তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩০২
এপোস্টিল কনভেনশনে যুক্ত হলো দেশ, দেশি ডকুমেন্টের
বিদেশে সত্যায়ন লাগবে না, বছরে ৬০০ কোটি টাকা বাঁচবে
--- নেদারল্যান্ডসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দ্য হেগ, (২৯ জুলাই):
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নেদারল্যান্ডসে এপোস্টিল কনভেনশনে যোগদান অনুষ্ঠানে দেশের পক্ষে ‘ইনস্ট্রুমেন্ট অভ্ একসেশন’ আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছেন।
সোমবার নেদারল্যান্ডস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ‘দ্য কনভেনশন অন এবোলিশিং দ্য রিকোয়ারমেন্ট অভ্ লিগালাইজেশন অভ্ ফরেন পাবলিক ডকুমেন্ট’ বা এপোস্টিল কনভেনশন- ১৯৬১ এর পক্ষভুক্ত হলো।
এর ফলে দেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন করা ডকুমেন্ট আর অন্য দেশে পুনরায় সত্যায়ন করা লাগবে না এবং প্রতি বছর বিদেশগামী বাংলাদেশিদের আনুমানিক ৫০০-৬০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নেদারল্যান্ডস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল মন্ত্রী ড. হাছানকে স্বাগত জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় তাঁর বক্তৃতায় বাংলাদেশের লাখ লাখ নাগরিকের জন্য এই চুক্তির প্রয়োজনীয়তা ও তাৎক্ষণিক সুবিধাদি ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, এর ফলে এখন থেকে বিদেশগামী ছাত্র-ছাত্রী, পেশাজীবী ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিদেশে ভর্তি ও চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে যে সকল পাবলিক ডকুমেন্ট সনাতন পদ্ধতিতে সত্যায়িত করতে হতো, তা দ্রুততর, সহজ ও সুলভভাবে করতে পারবে।
এই কনভেনশনে যোগদান বাংলাদেশের জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ এবং এতে দেশের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, কারণ এর ফলে ই-এপিপি বা ইলেকট্রনিক এপোস্টিল প্রোগ্রাম পদ্ধতিতে সত্যায়ন করে ইলেকট্রনিক এপোস্টিল সার্টিফিকেট ইস্যু করা হবে যার সত্যতা ও সঠিকতা সার্টিফিকেটে বিদ্যমান কিউআর কোড দিয়ে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে যাচাই করা যাবে। এতে বিদেশগামী ছাত্র-ছাত্রী এবং পেশাজীবীদের বিভিন্ন ধরনের হয়রানি ও ভোগান্তি সম্পূর্ণ লাঘব হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, নিজ দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু করা এপোস্টিল সার্টিফিকেট ব্যবহার করলে বিদেশি দূতাবাস বা বিদেশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা বিদেশি অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের সত্যায়নের জন্য শ্রম ও অর্থ ব্যয় করে তাদের দ্বারস্থ হতে হবে না। এতে প্রতি বছর বিদেশগামী বাংলাদেশিদের আনুমানিক ৫০০-৬০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ, চাকরির আবেদন, বিদেশে স্থায়ী হওয়া, বিদেশি নাগরিকদের সাথে বিবাহ বন্ধনসহ নানাবিধ প্রয়োজনে বিদেশগামী ও বিদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের বিভিন্ন দলিলাদি (যেমন- একাডেমিক সার্টিফিকেট, জন্মনিবন্ধন সনদ, বৈবাহিক সার্টিফিকেট ইত্যাদি) একাধিক কর্তৃপক্ষের সত্যায়নের প্রয়োজন হয়। দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সত্যায়নসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন শেষে সেবা প্রার্থীগণকে পুনরায় বিদেশি দূতাবাস, সংশ্লিষ্ট দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিদেশি বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের নিকট সত্যায়নের জন্য উপস্থিত হতে হয়, যা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ, শ্রমসাধ্য এবং ব্যয়বহুল।
নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্র সচিবের সৌজন্য সাক্ষাৎ
অনুষ্ঠান শেষে নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্র সচিব পল হুজিস (Paul Hujits) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ সামগ্রিক উদ্যোগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রশংসা করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অন্যান্য দেশের মতো কনভেনশনে যোগদানের আট মাসের মধ্যে এতে পক্ষভুক্ত অন্য দেশগুলোর চূড়ান্ত সমর্থন নিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ই-এপিপি বা ইলেকট্রনিক এপোস্টিল প্রোগ্রাম সম্পূর্ণভাবে চালু করা সম্ভবপর হবে।
‘ইনস্ট্রুমেন্ট অভ্ একসেশন’ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুঃ রিয়াজ হামিদুল্লাহ্, নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হেড অভ্ ট্রিটিজ ডিভিশন, ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল অভ্ হেগ কনফারেন্স অন প্রাইভেট ইন্টারন্যাশনাল ল’, দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও কল্যাণ উইংয়ের মহাপরিচালক ড. শাহ্ মোঃ তানভীর মনসুর এবং দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আকরাম/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২২২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩০১
উন্নত ভূমি মূল্যায়ন কৌশল বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখবে
ঢাকা, ১৪ শ্রাবণ (২৯ জুলাই):
ভূমি মন্ত্রণালয় আজ বাংলাদেশে ভূমি মূল্যায়ন (Land Valuation) পদ্ধতি উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রকল্প ধারণাপত্র (Project Concept Paper–PCP) পর্যালোচনা করার জন্য এক সেমিনারের আয়োজন করে। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের ভূমি, অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠান কোরিয়া রিয়েল এস্টেট বোর্ড (আরইবি) এই কনসেপ্ট পেপার প্রস্তাব করে।
গত ১০ জুলাই দক্ষিণ কোরিয়ার ডিজিটাল সার্ভে বিশেষজ্ঞরা ভূমিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এলে তারা বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকায় ডিজিটাল ভূমি জরিপ পরিচালনার পাশাপাশি ভূমি মূল্যায়ন নিয়ে কাজ করার আগ্রহের কথা ভূমিমন্ত্রীকে জানায়। এ সময় ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জিয়াউদ্দীন আহমেদের সঞ্চালনায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আজকের সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডল এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ। এছাড়া সরাসরি ও ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন জেলার ভূমি প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ। কোরিয়া রিয়েল এস্টেট বোর্ডের ওভারসি প্রজেক্ট ডিপার্টমেন্টের পরিচালক ড. বিজে কিং, জিউম্যাক্সসফটের সিইও ড. জে ইয়ং ইউসহ ভার্চুয়ালি আরো উপস্থিত ছিলেন ল্যান্ড ভ্যালুয়েশন স্পেশিয়ালিস্ট ড. পার্ক এবং ড. ওয়ান।
প্রসঙ্গত, ভূমি মূল্যায়ন হলো সম্ভাব্য সব বিষয় বিবেচনা করে বাজারে জমির অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া, যা ক্রয়, বিক্রয়, কর আরোপ, উন্নয়ন, বিনিয়োগ এবং পরিকল্পনার মতো বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক ভূমি মূল্যায়ন ব্যক্তি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি সংস্থাগুলোর জন্য ন্যায্য লেনদেন এবং স্থিতিশীল পরিকল্পনা গ্রহণ নিশ্চিত করে।
মূলত ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন কর এবং খাসজমি বন্দোবস্ত সংক্রান্ত ভূমি মূল্যায়ন জটিলতা নিরসনের জন্য ডিজিটাল ভূমি মূল্যায়ন পদ্ধতি উন্নয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে কোরিয়া থেকে। বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ের আওতায় নিবন্ধন অধিদপ্তর মৌজা মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে জমির মূল্য এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নিজ আওতাভুক্ত সম্পদের মূল্য নির্ধারণ করলেও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উল্লিখিত তিন ক্ষেত্রে তা প্রায়ই পূর্ণাঙ্গ সহায়ক হয় না এবং এছাড়া প্রচলিত মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতিটিও ডিজিটাল নয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তায় দেশের ৬টি অঞ্চল, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, মানিকগঞ্জ পৌরসভা এবং ধামরাই ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ইডিএলএমএস প্রকল্পের আওতায় চলমান বিডিএস কার্যক্রম শেষ হলে এর ডিজিটাল ক্যাডাস্ট্রাল ডাটাবেজের ওপর ভিত্তি করে প্রাথমিক পর্যায়ে এই ছয় অঞ্চলের জন্য ডিজিটাল ভূমি মূল্যায়ন পদ্ধতি উন্নয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।
#
নাহিয়ান/শফি/মোশারফ/রেজাউল/২০২৪/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩০০
সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে
-- ধর্মমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ শ্রাবণ (২৯ জুলাই):
ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেন, সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সমৃদ্ধির এই অগ্রযাত্রায় হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টও যেন আগামীদিনে একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে সে বিষয়ে ট্রাস্টের সকলকে দায়িত্বশীল হতে হবে। উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সমতার নীতি অনুসরণ করতে হবে, কোনোরূপ পক্ষপাতিত্ব করা যাবে না।
আজ সচিবালয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ১১৩তম বোর্ড সভায় হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ধর্মমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ড. বীরেন শিকদার, কুমিল্লা-৭ আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য আরোমা দত্ত, ধর্মসচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল, ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু পাল-সহ ট্রাস্টিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আবুবকর/শফি/মোশারফ/রেজাউল/২০২৪/২০১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৯৯
বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার কাজ থেকে
প্রবাসীদের বিরত থাকার আহ্বান প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর
ঢাকা, ১৪ শ্রাবণ (২৯ জুলাই):
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট ও শ্রমবাজারকে সংকটে ফেলতে একটা মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে সিংহভাগ প্রবাসীদের অবদান। তাই দেশবিরোধী অপপ্রচার থেকে সকলকে বিরত থাকতে হবে। কারণ সরকার জনশক্তিকে সম্পদে রূপান্তর করতে কাজ করেছে। বিনা অভিবাসন ব্যয়ে জর্ডানগামী ৪৮ জন নারী কর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আপনাদের কর্মকাণ্ড দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ¦ল করতে হবে।
আজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিনা অভিবাসন ব্যয়ে বোয়েসেলের মাধ্যমে জর্ডানগামী ৪৮ জন নারী কর্মীদের সেন্ড-অভ্ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এব কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, আপনারা আপনাদের পরিবারের আর্থিক উন্নতির জন্য কাজ করবেন। বৈধ পথে আপনাদের অর্জিত রেমিটেন্স দেশে পাঠাবেন। যা আপনাদের পরিবার ও দেশের উন্নয়নে কাজ লাগবে। তিনি বলেন, আপনারা একেকজন দেশের প্রতিনিধি, বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর। আপনাদের কাজ, চলাফেরা, ব্যবহারে দেশের সুনাম বৃদ্ধি পাবে। বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এরকম যেকোনো কাজ থেকে নিজেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যারা বিদেশ যেতে চায় তাদের জন্য আপনারা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবেন। আপনারা তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করবেন যাতে সবাই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ হয়ে বিদেশে যায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল এভিয়েশন অথরিটির চেয়ারম্যান এয়ার কমোডর সাদিকুর রহমান চৌধুরী, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রুহুল আমিন, বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিকা আনোয়ার, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মোঃ হামিদুর রহমান-সহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বোয়েসেলের মাধ্যমে বিনা খরচে ১৩টি দেশে মোট ১৫ হাজার ৫৫৮ জন কর্মী বিদেশ গিয়েছে।
#
সৈকত/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৯৮
টেলিভিশন চ্যানেলে স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য
সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়া
ঢাকা, ১৪ শ্রাবণ (২৯ জুলাই):
সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেল-সহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিম্নোক্ত বার্তাটি স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য অনুরোধ করা হলো:
মূলবার্তা:
‘কোটা আন্দোলনের সহিংস ঘটনায় নিহতদের স্মরণে আগামীকাল (৩০ জুলাই মঙ্গলবার) একদিনের শোক। নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সকল মসজিদে বিশেষ দোয়া এবং মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডা-সহ সকল উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে-মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।’
#
মাহবুব হোসেন/শফি/মোশারফ/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/১৮৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৭
কোটা আন্দোলনের সহিংস ঘটনায় নিহতদের স্মরণে আগামীকাল একদিনের শোক
ঢাকা, ১৪ শ্রাবণ (২৯ জুলাই):
কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সংঘটিত সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাত ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় নিহতদের স্মরণে আগামী ৩০ জুলাই মঙ্গলবার সারাদেশে শোক পালন করা হবে।
উক্ত শোক পালনের অংশ হিসেবে কালো ব্যাজ ধারণ করতে হবে এবং আগামী ৩০ জুলাই মঙ্গলবার নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সকল মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডা-সহ সকল উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আজ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।
#
মাহবুব হোসেন/শফি/মোশারফ/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৯৬
বিদ্যুৎ বিভাগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপি বাস্তবায়ন ১০১ দশমিক ৮২ শতাংশ
নিজস্ব যোগাযোগ অবকাঠামো দ্রুত নির্মাণ করতে হবে
--- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ শ্রাবণ (২৯ জুলাই):
বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নিজস্ব যোগাযোগ অবকাঠামো দ্রুত নির্মাণ করতে হবে। নিজস্ব যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকলে আপৎকালীন সময়ে বিল প্রদানসহ অন্যান্য যোগাযোগ দ্রুত করা যাবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের জুলাই ২০২৩ থেকে জুন ২০২৪ পর্যন্ত রিভাইজড বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন অগ্রগতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। আরএডিপি’র শতভাগ বাস্তবায়ন করায় তিনি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মাসিক ভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে পরিকল্পিতভাবে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন সভায় যে সব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তার বাস্তবায়নের ফলোআপ করা প্রয়োজন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার রোডম্যাপ দ্রুত প্রস্তুত করা আবশ্যক। সাইবার সিকিউরিটি ও ফিজিক্যাল সিকিউরিটির বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দ্রুততার সাথে নিতে হবে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদ্যুৎ বিভাগের ৬৪টি প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ছিল ৩০ হাজার ৬৩ দশমিক ৬৬ কোটি টাকা, ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ৬০৯ দশমিক ৮৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ ১০১ দশমিক ৮২ শতাংশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে স্রেডার চেয়ারম্যান মুনীরা সুলতানা, পিডিবি’র চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান, বিআরইবি’র চেয়ারম্যান অজয় কুমার চক্রবর্ত্তী, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন-সহ দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
আসলাম/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৭৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৯৫
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৪ শ্রাবণ (২৯ জুলাই):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী রবিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ সময় ১৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৯৯ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৮ হাজার ৯৫০ জন।
#
দাউদ/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৭২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৯৪
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া মিশনের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১৪ শ্রাবণ (২৯ জুলাই):
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এখানে সব ধর্মের মানুষ অত্যন্ত সৌহার্দ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করছে এবং নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করছে।
আজ রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বঙ্গভবনে শ্রী শ্রী হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া মিশনের সভাপতি শ্রী পদ্মনাভ ঠাকুরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকালে তাঁরা মিশনের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি সকল ধর্মের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সব ধর্মের মানুষের অবদানের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশকে সুখী-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
এসময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী এবং প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদিন উপস্থিত ছিলেন।
#
রাহাত/ফাতেমা/সিরাজ/সাজ্জাদ/মাসুম/২০২৪/১৪৩৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৩
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৪ উদ্যাপন
ঢাকা, ১৪ শ্রাবণ (২৯ জুলাই) :
প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ৩০ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৪’ উদ্যাপন করা হবে। এ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১ জুলাই ১০.৩০ টায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ এবং তিন দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় মৎস্য মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
দেশের মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি ও উদ্বুদ্ধকরণ এবং মৎস্য সপ্তাহ সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ও জেলা/ উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সড়ক র্যালি, নৌ র্যালি, আলোচনা সভা, মতবিনিময় সভা, সেমিনার, জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, রচনা কুইজ প্রতিযোগিতা ও প্রশিক্ষণ ইত্যাদি।
#
রহমান/ফাতেমা/সিরাজ/সাজ্জাদ/আসমা/২০২৪/১৩২৫ ঘণ্টা
Handout Number : 292
Dhaka, 29 July :
The Government of Bangladesh has taken note of the concerns expressed by some international partners, including civil society organisations and media, over the recent incidents of violence and terrorist acts in Bangladesh. The government remains thankful to the international community for their overwhelming support and understanding, especially in the backdrop of the wide circulation of propaganda, misinformation and disinformation. The government wishes to assure all international partners that the overall situation is turning back to normalcy thanks to the timely and appropriate measures taken by the government and the people.
The exact human toll during the recent violence and terrorist acts is becoming evident [1] as the government assesses the tragic loss of lives, casualties and damages to public properties. The government is reaching out to the families of the deceased, with assurance from the Hon’ble Prime Minister herself to ensure justice for their losses. The Hon’ble Prime Minister is personally monitoring the treatment and rehabilitation of those injured and has also assured of livelihood opportunities for the family members of the deceased. The government remains sensitized to the need for addressing the trauma suffered by the victims and their families.
It is by now evident that a vested quarter led by the Bangladesh Nationalist Party (BNP) and Bangladesh Jamaat-e-Islami and their students’ wings (i.e. Islami Chhatra Shibir) appropriated the largely peaceful Quota Reform movement by a section of the University students to unleash a reign of terror, anarchy and mayhem. They also enlisted the support of some violent extremist groups and managed to take over the students’ movement for their recurrent ploy to overthrow a democratically-elected government by disrupting public life and grounding the economy to a halt. The same vested quarter now continues with its disinformation campaign, both locally and internationally, to project the lawful measures and responses by the security and law enforcement agencies against their terrorist activities as ‘crackdown on student protests’. Such distorted projection gained ground even when the concerned student leaders of the Quota Reform movement made a public announcement distancing themselves from the BNP-Jamaat-led terrorist activities. The government urges the international community not to conflate the issue-specific students’ movement with the subsequent terrorist activities that necessitated the legally-mandated deployment of armed forces in aid of civil power and imposition of curfew for specific locations during specified hours to save people’s lives and properties.
In fact, the students’ protests had continued peacefully for several weeks in the aftermath of a High Court Division judgment of 05 June 2024 reinstating the public service quota system that the government itself had abolished in 2018 in response to a previous round of students’ movement. At the clear instruction of the government, the concerned University authorities and law enforcement agencies ensured that the protesting students could fully exercise their right to peaceful assembly and freedom of expression this time as well. The government also facilitated appropriate arrangements for the students to deliver a Protest Memo to the Hon’ble President during this period.
The government made it clear from the outset that its own position on the question of quota reform was mostly aligned with that of the student protesters. It also filed an appeal before the Appellate Division of the Supreme Court for annulment of the High Court Division judgement, and assured the students of appropriate action once the Appellate Division delivered its judgement on the matter. Subsequently, the Hon’ble Prime Minister assigned a Ministerial Committee to meet with the coordinators of the student movement to discuss their demands. Accordingly, based on the directives given by the Appellate Division through its judgment of 21 July 2024, the Government Gazette on the reformed quota system was issued on 23 July 2024. The reformed quota system went beyond the initial demands of the protesting students and thus duly addressed the underlying cause of their movement.
Regrettably, however, despite repeated assurances of appropriate measures by the Hon’ble Prime Minister through a televised address on 17 July 2024, the BNP-Jamaat combine instigated unrest and violence among a section of the student community by provoking inflammatory rhetoric and slogans, including by distorting the Hon’ble Prime Minister’s words at a Press Conference (on 14 July 2024). The situation soon spiraled out of control of the protesting students, and led to unprecedented levels of violence, anarchy and brutalities that can only be termed as terrorist activities. These resulted in the most tragic and egregious loss of a number of civilian lives, including some young people and minors. It has now surfaced that the perpetrators of the terror attacks were given assurance of ‘bounty’ for killing law enforcement personnel and ruling party affiliates. There were calculated attacks against a number of Key Point Installations and other public properties, notably metro rail stations and elevated expressway; public health facilities; disaster management office; national broadcasting facility like Bangladesh Television headquarters; firefighting vehicles, and digital connectivity including national data center, central broadband infrastructure and optical fibre networks. The targeted breaching of a high-security prison and setting free nine convicted militants were part of an attempt to roll back the decade-long gains in containing terrorism and violent extremism.
The government remains committed to hold accountable through proper investigation all those responsible for each incident of death among students and the ensuing terrorist acts involving killings, arson, vandalism, subversion and sabotage. An Inquiry Commission led by a Judge of the High Court Division of the Supreme Court, constituted on 18 July 2024, has already started working to this effect. In addition, a number of relevant departmental inquiries are also being conducted to ascertain responsibilities for the corresponding acts of killings and violence, including any case of negligence. The government ensures that the due process of law would be followed in ensuring accountability and justice for the reported terrorist acts. The law enforcement agencies are under clear instruction to bring to justice individuals on the basis of evidentiary proof of their involvement in the alleged terrorist acts, without any form of reprisal or harassment against the protesting students and innocent civilians. The political leadership remains on guard to ensure that the law enforcement agencies continue to operate within the bounds of law and avert the possibility of excesses or wrongdoings under any circumstances.
In the backdrop of the continued propagation of misinformation and disinformation, especially on the social media, the government would like to make the following points for the attention of the international community:
One: There is no scope for associating the mostly peaceful and issue-specific students’ movement with the ensuring terrorist acts perpetrated by the BNP-Jamaat combine against the State;
Two: The government reiterates that all acts of killings and terrorist acts would be brought to justice through impartial and objective investigations to identify those responsible irrespective of their affiliations.
Three: There has been no single case of ‘shoot-at-sight’ by the security forces in aid of civil power deployed in the aftermath of the terrorist acts;
Four: There has been no case of firing from helicopters during the law enforcement operations, other than for surveillance, rescue of stranded law enforcement personnel at certain locations, and facilitating passage for firefighting vehicles during emergencies.
Five: There was no otherwise motive behind the inadvertent deployment of one white Anti-Personnel Carrier that still had the UN insignia visible through the colour coating used to cover it. While the APC under question was quickly pulled out of service, the other images of law enforcement transports using UN insignia lacked any evidentiary basis.
Six: The broadband and mobile internet connectivity has been restored with full functionality by now. Other forms of communications, including land-based and mobile telecommunications, were functional through the entire period of unrest and violence.
Seven: It is to be flagged that the print and electronic media continued to operate all along, with exemption allowed for media personnel along with other emergency service providers during curfew hours. The government has and would continue to uphold the people’s right to freedom of expression and opinions at any cost.
To conclude, the Government of Bangladesh would continue to work together with the people in general to come to terms with the unprecedented losses and damages inflicted by the vested quarters. In this connection, the government looks forward to engaging constructively with international partners in pursuance of its efforts to build a peaceful, just and inclusive society that offers the opportunity for the youth to have its voices heard and realize its potentials in a safe and secure environment.
#
Akram/Fatema/Sazzad/Asma/2024/1245 hours