Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২nd ফেব্রুয়ারি ২০১৭

তথ্যবিবরণী 02 Feb 2017

তথ্যবিবরণী                                                                          নম্বর : ৩৪০
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক

ঢাকা, ২০ মাঘ (২ ফেব্রুয়ারি) : 
দশম জাতীয় সংসদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২০তম বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিফুর রহমান এর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। 
কমিটির সদস্য জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সুকুমার রঞ্জন ঘোষ, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এবং খোরশেদ আরা হক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। 
বৈঠকে ১৯তম বৈঠকের সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন কর্তৃক ২য় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ এবং সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বৈঠকে উল্লেখ করা হয়, ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় কৃতকার্য প্রার্থী সংখ্যা ৫ হাজার ৫ শ’ ৩৩ জন। তন্মধ্যে বিসিএস এর বিভিন্ন ক্যাডার পদে কমিশন কর্তৃক ২ হাজার ১ শ’ ৭৪ জন প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়েছে। ক্যাডার পদে স্বল্পতার কারণে ৩ হাজার ৩শ’ ৫৯ জন প্রার্থীকে সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি। কমিশন কর্তৃক জারিকৃত বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে ৩ হাজার ৩ শ’ ৫৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ২ হাজার ৬ শ’ ২৬ জন প্রার্থী অনলাইনে নন-ক্যাডার ১ম ও ২য় শ্রেণির পদের জন্য আবেদন করেছেন। ২ হাজার ৬ শ’ ২৬ জন প্রার্থীকে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের নন-ক্যাডার ১ম ও ২য় শ্রেণির পদে সুপারিশ প্রদানের জন্য সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান কর্তৃক সরকারের সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের আধা সরকারি পত্রের মাধ্যমে শূন্য পদের তালিকা প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ হতে এ যাবৎ ২ হাজার ৫ শ’ ৫৫টি ২য় শ্রেণির শুন্য পদে রিকুইজিশন পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত শূন্য পদের ভিত্তিতে ২য় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে সুপারিশ প্রদানের কার্যক্রম কমিশন কর্তৃক দ্রুত শুরু করা হবে।
বৈঠকে আরো জানানো হয়, সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর হতে মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী/উপমন্ত্রী/সমমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ, প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দ (সচিব/অতিরিক্ত সচিব/যুগ্ম সচিব), বিভাগীয় কমিশনার/জেলা প্রশাসক/উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সার্বক্ষণিক সরকারি কাজে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় আরো ৩ শত গাড়ি ক্রয় বাবদ এ অর্থবছরে আরো ১৯৮ কোটি ৭২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। এছাড়া একটি আধুনিক ওয়ার্কশপ ও একটি কেন্দ্রীয় নৌযান ওয়ার্কশপ নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। এ বিষয়ে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। 
এছাড়া বৈঠকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ব্যবহৃত সরকারি গাড়িগুলো সংস্কারের ও উন্নত গাড়ি সরবরাহের সুপারিশ করা হয়। 
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।  
#

সাব্বির/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/২০৪০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                    নম্বর : ৩৩৯

নারীর জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরিতে কাজ করছে সরকার
                                       -- মেহের আফরোজ চুমকি

ঢাকা, ২০ মাঘ (২ ফেব্রুয়ারি) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যৌন হয়রানি বন্ধে মহামান্য হাইকোর্ট যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ আমলে নেয়ার জন্য কমিটি করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় সব কিছু মনিটর করছে। পাশাপাশি কর্মস্থলেও নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, নারীদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
 
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর ইস্কাটনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কর্মস্থলে যৌন হয়রানি রোধকল্পে অবহিতকরণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহীন আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা শারমিন বেনু এবং একই মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন।

নাছিমা বেগম বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করায় কর্মস্থলে যৌন হয়রানি কমেছে। তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি অভিযোগ কমিটি নিয়মিত রিপোর্ট প্রেরণ করছে না। অভিযোগ পাওয়ার সংখ্যা শুন্য হলেও নিয়মিত প্রতিবেদন প্রেরণের প্রতি তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

কর্মশালায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রায় শতাধিক উপজেলা কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

#

খায়ের/মাহমুদ/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৯১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                    নম্বর : ৩৩৮

বিনিয়োগ বাড়াতে কিছু আইন সংশোধন প্রয়োজন
     -- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ২০ মাঘ (২ ফেব্রুয়ারি) :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কিছু আইন আছে যেগুলো বিনিয়োগের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে ওইসব আইনের পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংশোধন প্রয়োজন। 
তিনি আজ সচিবালয়ে নিজ দফতরে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলামের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান। 
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে হলে বিনিয়োগ বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। কিন্তু কিছু আইনগত জটিলতায় বিনিয়োগ বিলম্বিত হচ্ছে। বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে আন্তর্জাতিকমানের ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট প্রয়োজন। সে জন্যই চার-পাঁচটি আইন সংশোধন ও পরিমার্জনের বিষয়টি তুলে ধরেছেন বিডার চেয়ারম্যান। আমরা এটাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি।
আইনমন্ত্রী বলেন, কাস্টমস অ্যাক্ট হয়েছিল ১৯৬৯ সালে, এখন নতুন করে কাস্টমস অ্যাক্ট হবে। কোম্পানিজ অ্যাক্টের কিছু কিছু ধারা পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংশোধনের প্রয়োজন। কন্ট্রাক্ট অ্যাক্টটা ভালো  কিন্তু এটাকে যুগোপযোগী করতে হবে। সেগুলো আমরা দেখব।
তিনি বলেন, যে সব আইন সংশোধন ও পরিমার্জনের কথা ভাবা হচ্ছে সেগুলো হলো- কাস্টমস অ্যাক্ট, কোম্পানিজ অ্যাক্ট, কন্ট্রাক্ট অ্যাক্ট, আরবিট্রেশন অ্যাক্ট ও ইনসলভেন্সি অ্যাক্ট। 
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিনিয়োগ বাড়াতে এখনই নতুন আইন প্রয়োজন হবে না। পুরনো আইনগুলো সংশোধন করলেই চলবে।  
তিনি জানান, আগামী বাজেট অধিবেশনের আগে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য সংসদে আইন পাসের জন্য একটি অধিবেশন বসবে। এ অধিবেশনেই বিষয়টি উত্থাপিত হতে পারে। তবে তিনি বলেন, কিছু পরিবর্তন এখনই হবে। আর কিছু পরিবর্তন হবে ধীরে ধীরে।
#


রেজাউল/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৯০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                    নম্বর : ৩৩৭

বঙ্গবন্ধুর ‘জাল যার জলা তার’ ঘোষণা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিলেন ভূমিমন্ত্রী 

ঢাকা, ২০ মাঘ (২ ফেব্রুয়ারি) :
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, প্রকৃত জেলেরা যেন জলদস্যুদের ষড়যন্ত্রের শিকার না হয়। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জাল যার জলা তার ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক থাকার নির্দেশ দেন।
আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৪০তম জলমহাল ইজারা বন্দোবস্ত কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, আমি প্রায়ই মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে শুনতে পাই, জলদস্যুরা জলদাসদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। এসব জলদস্যুদের কালো হাত থেকে মৎস্যজীবীদের রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের যৌক্তিকভাবে উপস্থাপিত মতামতকে গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। নচেৎ প্রশাসনিক কাজে জনস্বার্থের ব্যাঘাত দেখা দিতে পারে। দুষ্ট লোকেরা যাতে জনস্বার্থ ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে সেদিকে প্রশাসনকে তৎপর থাকতে হবে। কেউ নীতিমালা বহির্ভূত সিদ্ধান্ত চাপাতে চাইলে প্রকৃত জেলেদের স্বার্থের দিকটিকে গুরুত্ব দিতে মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। মন্ত্রী জেলা জলমহাল কমিটিতে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন থেকে উপদেষ্টাদের অবহিত করার জন্য পত্র প্রেরণের নির্দেশ দেন। তিনি আরো বলেন বদ্ধ জলাশয় ব্যতীত জলমহাল ইজারা বন্দোবস্ত দেয়া যাবে না। জলমহাল ইজারা বন্দোবস্ত উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সভার সিদ্ধান্ত থেকে ১৬টি জলমহাল হতে ১ কোটি টাকার অধিক রাজস্ব আয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেছবাহ উল আলম, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আবুয়াল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, যুগ্মসচিব মজিবুর রহমান ও দেলোয়ার হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)গণ উপস্থিত ছিলেন।
#

রেজুয়ান/মাহমুদ/আলী/জয়নুল/২০১৭/১৮৫০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                     নম্বর : ৩৩৬

ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দুষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধি করা হবে
                                                    -এলজিআরডি মন্ত্রী
ঢাকা, ২০ মাঘ (২ ফেব্রুয়ারি) :

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন চট্টগ্রামের কর্নফুলী নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে মাস্টার প্ল্যান তৈরির মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কমিটিকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের ফলে পানির স্তর প্রতিনিয়ত নীচে নেমে যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে নদীর পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে।
মন্ত্রী আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দুষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য মাষ্টার প্ল্যান তৈরি সংক্রান্ত কমিটির এক সভায় সভাপতিত্বকালে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিড ও তরল বর্জ্য এবং মানব বর্জ্যরে কারনে ঢাকার চারপাশের নদীসমূহের পানি প্রতিনিয়ত দুষিত হচ্ছে। এ সকল বর্জ্যরে কারনে নদীর পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ঢাকাকে ক্লিন সিটি করতে হলে ঢাকার চারপাশের নদীসমূহের পানি দূষণমুক্ত করা অত্যন্ত জরুরি। তবে এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। এ সকল নদীর পানি দূষণমুক্ত, পরিষ্কার, স্বচ্ছ ও ব্যবহার উপযোগী রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক মাস্টার প্ল্যান তৈরির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
বর্তমানে ৮০ ভাগ পানি ভূগর্ভস্থ উৎস থেকে সরবরাহ করা হয়। আর ২০ ভাগ ভূ-উপরস্থ উৎস থেকে করা হয়। এ কারনে আমাদের পানির স্তর নিচে চলে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে পুরো দেশ এক সময় মরুভূমি হয়ে যাবে। এসব বিবেচনায় এখন থেকে ৮০ ভাগ পানি ভূ-উপরস্থ উৎস হতে সরবরাহ করা হবে। এরপরও পানির যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ২০ ভাগ ভূ-গর্ভস্থ উৎস থেকে সরবরাহ করা হবে। এজন্য মেগা পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে সারা দেশব্যাপী ৩ হাজার পুকুর খননে ৩ শত কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী গঠিত এ কমিটি একটি যুগোপযোগী ও কার্যকর মাস্টার প্ল্যান তৈরির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে কর্ণফুলী ও ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনবে।
অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাহজাহান খান, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনিসুল হক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, নৌবাহিনী প্রধান এ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাসির হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবির বিন আনোয়ারসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
#

জাকির/অনসূয়া/নুসরাত/শহিদ/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৭/১৬৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                          নম্বর : ৩৩৫  

জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাথে নরওয়ে ও জর্ডান এর  সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সভা  

নিউইয়র্ক, ০২ ফেব্রুয়ারি :
    
সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থা মোকাবিলায় জাতিসংঘ কিভাবে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে এ বিষয়ে ১ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ, নরওয়ে ও জর্ডানের যৌথ উদ্যোগে একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। গুরুত্বপূর্ণ এই সাইড-ইভেন্টে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন জঙ্গী, সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংস চরমপন্থা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার সফলভাবে অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদ দমন করছে। এছাড়া আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কোন জঙ্গী ও সন্ত্রাসীগোষ্ঠী যাতে বাংলাদেশে ঘাঁটি গাড়তে না পারে তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে’।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বাংলাদেশের আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সবসময়ই সন্ত্রাস ও মৌলবাদের পরিপন্থী। দেশের আলেম-ওলামাসহ সকল স্তরের মানুষ সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া কয়েকটি সন্ত্রাসী ঘটনার বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে রুখে দাঁড়িয়েছে। মৌলবাদ ও সহিংস চরমপন্থার বিস্তার রোধে তৃণমূল পর্যায়ে নারীর ক্ষমতায়নকে সরকার আরও শক্তিশালী করেছে।    
এ আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জমিয়াতুল উলামার চেয়ারম্যান ও শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসুদ। তিনি বলেন, ‘আমি সারা জীবন ইসলামের খেদমতে নিজেকে নিবেদিত করেছি। ইসলাম শান্তি, ন্যায় ও সহনশীলতার ধর্ম। ইসলাম জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদকে কখনও সমর্থন করে না। আমি বেদনাহত হই যখন দেখি ইসলামের নামে সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থার মত ঘটনা ঘটছে’। 
‘কোন ধর্মই সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থাকে সমর্থন করে না’- এ বিষয়টি জোরালোভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, ‘সন্ত্রাসীর কোন ধর্ম বা জাতি নেই, সন্ত্রাসীর পরিচয় সে শুধুই সন্ত্রাসী’। 
অনুষ্ঠান শেষে মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসুদ দেশের একলাখ মুফতি, উলামা ও আইম্মার দস্তখতসম্বলিত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী মানবকল্যাণে শান্তির ফতোয়া নরওয়ের উপ-মন্ত্রী লায়লা বুখারীর নিকট হস্তান্তর করেন। 
প্যানেল আলোচনায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন নরওয়ের উপ-মন্ত্রী লায়লা বুখারী, জাতিসংঘে নিযুক্ত জর্ডানের স্থায়ী প্রতিনিধি সীমা সামি বাউজ, জাতিসংঘের কাউন্টার টেরোরিজম ইম্পিøমেন্টেশন টাস্ক ফোর্স (সিটিআইটিএফ) এর পরিচালক জাহাঙ্গীর খান এবং নরওয়ের খ্যাতনামা চলচ্চিত্রকার দিয়া খান। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এটাই জাতিসংঘের সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থা বিরোধী প্রথম আলোচনা অনুষ্ঠান। 

#
অনসূয়া/সাহেলা/শহিদ/শামীম/২০১৭/১০৩৯ ঘণ্টা

Todays handout (4).docx