Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৬ August ২০১৬

তথ্যবিবরণী ১৬ই আগস্ট ২০১৬

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ২৬৩২

বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষা নিতে হবে  
                            --আইনমন্ত্রী

ঢাকা, ১লা ভাদ্র (১৬ই আগস্ট):
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে এনে  দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় কার্যকর করবোই ইনশাল্লাহ। তিনি বলেন, আজ জাতির সবচেয়ে বড় প্রয়োজন, বঙ্গবন্ধু তাঁর ব্যক্তি জীবনে কী কী করেছেন তা বিশ্লেষণ করা এবং সেখান থেকে শিক্ষা নেয়া। তাহলে বাংলাদেশের উন্নয়ন কেউ রুখতে পারবে না বলে মত দেন তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ ঢাকায় নিবন্ধন পরিদপ্তর প্রাঙ্গণে এক আলোচনাসভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক আদর্শ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বাংলাদেশের সংবিধানে লিখে গেছেন। তাই তাঁর রাজনৈতিক আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে হলে সংবিধান পড়তে হবে।
আলোচনাসভায় বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ও বাঙালি জাতির কল্যাণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আজ বাঙালি জাতির সময় এসেছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলে তাঁর ঋণ কিছুটা হলেও পরিশোধ করা।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, অতিরিক্ত সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিদর্শক খান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, যুগ্মসচিব গোলাম সারোয়ারসহ মন্ত্রণালয়ের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও ব্যক্তিজীবন আলেখ্য নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনা সভাশেষে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয় এবং বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়।
#

ড. রেজাউল/আফরাজ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/২০৩৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২৬৩১

বাজার তদারকি  
৪৬ প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ১৭ হাজার টাকা জরিমানা

ঢাকা, পয়লা ভাদ্র  (১৬ই আগস্ট):
    জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় আজ ঢাকা মহানগর, বরিশাল, মুন্সীগঞ্জ, ফেনী, মাগুরা, লক্ষ¥ীপুর, টাঙ্গাইল, নরসিংদী, যশোর, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, গোপালগঞ্জ ও রাজবাড়ীতে বাজার তদারকি করে। তদারকিকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৪৬টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
    ঢাকা মহানগরীর কলাবাগান এলাকায় পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়ের অপরাধে অঝঞ ঝঁঢ়বৎ ঝযড়ঢ় কে ৪০ হাজার টাকা ও শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে নিত্যপণ্যকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
    ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ইসলামিয়া সুইটসকে ৩০ হাজার টাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরির অপরাধে আজমিরি হোটেলকে ২০ হাজার টাকা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়ের অপরাধে শাহ চন্দ্রপুরী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
    অন্যদিকে বরিশাল সদর উপজেলায় ১টি প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার টাকা, বরিশাল সদর উপজেলায় ২টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ হাজার ৫শ’ টাকা, মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা, ফেনী সদর উপজেলায়  ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬ হাজার ৫শ’ টাকা, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১১ হাজার টাকা, লক্ষ¥ীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার টাকা, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৯ হাজার টাকা, নরসিংদী সদর উপজেলায় ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ হাজার টাকা, কেশবপুর উপজেলায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ হাজার ৫শ’ টাকা, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ৮টি প্রতিষ্ঠানকে ১২ হাজার টাকা, গোপালগঞ্জের মকসুদপুর উপজেলায় ২টি প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা এবং রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা করা হয়।
#

আফরোজা/আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/২০১৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৬৩০

মিলানে জাতীয় শোক দিবস পালন

মিলান, ১৬ই আগস্ট :
    যথাযোগ্য মর্যাদায় গতকাল ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে ইতালির মিলানে বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল কার্যালয়ের হলরুমে খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল, বিশেষ মোনাজাত, ¯মরণ সভা ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
    মিলানে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল রেজিনা আহমেদ, অন্যান্য কর্মকর্তা ও প্রবাসী নেতৃবৃন্দসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ঘাতকদের হাতে শাহাদতবরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যসহ সকলের আত্মার মাগফিরাতের জন্য খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল আয়োজন করা হয় এবং তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
    সভায় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র ‘সোনালী দিনগুলো’ প্রদর্শন করা হয়। এরপর প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা স¦াধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স¥রণ করেন। একই সাথে তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের ঘৃণ্য ও বর্বরোচিত হত্যাকা-ের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
    অনুষ্ঠানে প্রায় দুইশত প্রবাসী বাংলাদেশি, কন্স্যুলেটের সদস্য ও তাঁদের পরিবারবর্গ এবং স্থানীয় কমিউিনিটি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#

রফিকুল/আফরাজ/নবী/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/২০২৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ২৬২৯

সিউলে বঙ্গবন্ধুর ৪১তম শাহাদতবার্ষিকী পালিত

সিউল, ১৬ই আগস্ট:
    গতকাল ১৫ই আগস্ট সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিগণ অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর শিশু-কিশোরদের রচনা প্রতিযোগিতা, জাতির পিতার স্মরণে নীরবতা পালন, দোয়া, আলোচনা অনুষ্ঠান ও কবিতা আবৃতি অন্তর্ভুক্ত ছিল। অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
    দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী বাঙালিদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রদূত বলেন, আজকে এত বাঙালির সরব উপস্থিতি প্রমাণ করে, ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারলেও তাঁর আদর্শের মৃত্যু ঘটেনি। তিনি বলেন, ক্ষণজন্মা এই মহামানবের মৃত্যু নেইÑ তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী। নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা এবং তাঁর আদর্শের অনুসরণে একটি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
    প্রবাসী নেতৃবৃন্দ মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে তাঁদের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করেন। দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানে উদ্বিগ্ন আলোচকগণ শক্ত হাতে জঙ্গিদের দমনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
    পরে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদেরকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
#

আফরাজ/নবী/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৯১২ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২৬২৮

গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

ঢাকা, ১লা ভাদ্র (১৬ই আগস্ট):
    আজ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারসহ দেশের ৩০টি গ্রন্থাগার আধুনিকায়নের (ডিজিটাল ও ই-গ্রন্থাগারে রূপান্তর) লক্ষ্যে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আশীষ কুমার সরকার ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইধৎনধৎধ ডরপশযধস স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এতে স্বাক্ষর করেন। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আক্তারী মমতাজসহ মন্ত্রণালয় ও দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
    এ সমঝোতা স্মারক ৫ বছরের জন্য স্বাক্ষরিত হলো এবং স্বাক্ষরের দিন থেকে তা কার্যকর হবে।
    অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, একটি জ্ঞানদীপ্ত আধুনিক সমাজ নির্মাণে গ্রন্থাগারের বিকল্প নেই। গ্রন্থাগার আলোকিত মানুষ তৈরি করে। তরুণ প্রজন্মকে যদি আমরা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলি তাহলে সে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে।
    তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সবক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে। এক্ষেত্রে সরকারি গণগ্রন্থাগারগুলোও পিছিয়ে নেই। কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারসহ দেশের গণগ্রন্থাগারগুলোকে ডিজিটাল ও ই-গ্রন্থাগার করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের মধ্যে আজ যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে তা একটি তাৎপর্যবহ ঘটনা। এর মাধ্যমে আমরা ই-গ্রন্থাগার যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে একদিকে যেমন গণগ্রন্থাগারগুলোতে পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে পাঠকদের কাছে গ্রন্থাগারকে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে।
    ইরষষ ্ গবষরহফধ এধঃবং ঋড়ঁহফধঃরড়হ (ইগএঋ) এর অর্থায়নে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাস্তবায়িতব্য এ প্রকল্পের নাম- ‘খরনৎধৎরবং টহষরসরঃবফ’। প্রকল্পের পরিচালক দিদারুল চৌধুরী।
    এ প্রকল্পের আওতায় ১৮ মাসব্যাপী একটি পাইলট ফেজ- এর জন্য ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা) অর্থায়নে কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারসহ দেশের ৩০টি গ্রন্থাগারকে আধুনিকায়ন তথা ডিজিটাল ও ই-গ্রন্থাগারতে রূপান্তর করা হবে। এর মধ্যে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরাধীন ২৫টি এবং অপরাপর (যেমন- শিশু একাডেমি গ্রন্থাগার, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ও এনজিও সংশ্লিষ্ট) গ্রন্থাগারের সংখ্যা ৫টি।
    পাইলট ফেজ- এর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী ফেজ- এর উন্নয়ন কার্যক্রম নির্ধারিত হবে। সেক্ষেত্রে ইগএঋ হতে ৩.০-৩.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২৪ কোটি থেকে ২৮ কোটি টাকা) ব্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
    এ প্রকল্পের পাইলট ফেজ- এ যেসব কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে তাহলো- প্রচার (গবফরধ ঈধসঢ়ধরমহ), সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বিদেশে শিক্ষা সফর ও প্রশিক্ষণ, প্রত্যাশিত লাইব্রেরির ডিজাইন করা এবং আধুনিক প্রযুক্তিগত সরঞ্জামের সমন্বয়ে তা বাস্তবায়ন, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের পেশাগত জ্ঞান বৃদ্ধি করা এবং প্রকল্প মনিটরিং ও মূল্যায়ন করা।
#

কুতুবুদ-দ্বীন/আফরাজ/মোশররফ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৮৫৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৬২৭

পাট অধিদপ্তরে শোক দিবসের আলোচনা

ঢাকা, পয়লা ভাদ্র  (১৬ই আগস্ট):
    আজ ঢাকায় পাট অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০১৬ উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
    অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম উপস্থিত ছিলেন ।
    প্রতিমন্ত্রী বলেন, শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের  প্রতি অনুগত থাকতে হবে। তার পাশাপাশি সকলকে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুুদ্ধ হয়ে সরকারি চাকুরিজীবীদের মেধা ও শ্রম দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে।
    পাট অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কেফায়েত উল্লাহসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং পাট অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#

সৈকত/আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৮২৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ২৬২৬

কারিগরিই এখন যুগোপযোগী শিক্ষা
                        -- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, পয়লা ভাদ্র  (১৬ই আগস্ট):
ঢাকা, পয়লা ভাদ্র  (১৬ই আগস্ট):        উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষতাবিহীন বিপুলসংখ্যক যুব বেকার থাকলেও কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা-প্রশিক্ষণ নিয়ে কাউকে বেকারত্বের বোঝা বইতে হয় না। কারিগরি শিক্ষাই এখন যুগোপযোগী শিক্ষা। সরকার এ শিক্ষার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।
    শিক্ষা মন্ত্রণালয় সারাদেশে আজ একই দিনে সরকারি ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজসহ ১১৭টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১ম বর্ষ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তিকৃত ৫৭ হাজার শিক্ষার্থীর সংবর্ধনা ও শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ ঢাকার আগারগাঁওয়ে ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে কেন্দ্রীয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
    অনুষ্ঠানে শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস, স্কিলস এন্ড ট্রেনিং এ্যানহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (স্টেপ) এর প্রকল্প পরিচালক মো. ইমরান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাহের হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
    মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা সরকারের অগ্রাধিকার খাত, কারিগরি শিক্ষা অগ্রাধিকারের অগ্রাধিকার। প্রযুুক্তির উৎকর্ষতার এ যুগে বিশ্বের উন্নত দেশসমূহে যখন কারিগরি শিক্ষার এনরোলমেন্ট ৮০ শতাংশের উপরে আমরা কেবল ১৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছি। ২০০৯ সালে যা ছিল মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ। তিনি বলেন এক সময় আমাদের সাথে সমতালে চলা দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়ন বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে। তাদের কারিগরি এনরোলমেন্ট ৯৬ শতাংশ। তিনি বাংলাদেশের কারিগরি এনরোলমেন্ট ২০২০ সালে ২০ শতাংশ, ২০৩০ সালে ৩০ শতাংশ এবং চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা ৬০ শতাংশে উন্নীত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
    জনাব নাহিদ কারিগরি শিক্ষায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তোমরাই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছো, চার বছর পর পড়ালেখা শেষ করেই চাকরি পাবে। প্রয়োজনে উচ্চশিক্ষার দ্বারও তোমাদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রযুক্তিগত দক্ষ নতুন শিক্ষার্থীরাই হবে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা। তিনি কারিগরি শিক্ষায় ভর্তি হওয়া শতভাগ মেয়ে এবং ৫০ ভাগ ছেলেরা মাসে ৮০০ টাকা করে স্টাইপেন্ড পাবে বলে উল্লেখ করেন। তবে প্রত্যেকের ক্লাসে হাজিরা ৮০ শতাংশ এবং পরবর্তীতে সব বিষয়ে পাস করতে হবে। তিনি শিক্ষার্থীদেরকে জঙ্গিবাদ, মাদক থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন মা-বাবা, পরিবার, সমাজ, জাতি সবাই তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, তোমরাই জাতির ভবিষ্যৎ। তিনি নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন দেশপ্রেমিক প্রযুক্তিদক্ষ সুনাগরিক হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
    এর আগে মন্ত্রী ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ১ম বর্ষ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের আরেকটি সংবর্ধনা ও শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
    উল্লেখ্য, সারাদেশের ১১৭টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই ধরনের অনুষ্ঠানসমূহে পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে প্রথম শ্রেণির ৮৬ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
#

সাইফুল্লাহ/আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৮২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ২৬২৫    
ইস্তানবুলে জাতীয় শোক দিবস পালিত
 
ইস্তানবুল (তুরস্ক), ১৬ই আগস্ট:
    যথাযথ মর্যাদায় তুরস্কের ইস্তানবুলে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদতবার্ষিকী পালন করে। কনস্যুলেট জেনারেলের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ইস্তানবুলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিগণ এতে অংশগ্রহণ করেন। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।
    এ উপলক্ষে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলে কনসাল জেনারেল এফএম বোরহান উদ্দিন সভাপতিত্ব করেন। আলোচনাসভায় অংশগ্রহণকারী প্রবাসী বাংলাদেশিগণ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। বক্তারা বলেন, ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫-এর ঘটনার মাধ্যমে ঘাতকরা ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পেরেছে কিন্তু তাঁর আদর্শ ও পথ- যা তিনি জাতিকে দেখিয়েছেন তা নিঃশেষ করতে পারেনি।
    কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যে গণমানুষের মুক্তির সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিস্মরণীয় অবদানের কথা স্মরণ করেন। এ দিবসে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, আত্মত্যাগ, দৃঢ়তা ও দেশপ্রেম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ গঠনের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সকলের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
#

আফরাজ/নবী/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৭৫৮ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ২৬২৪
একনেক সভায় ১ হাজার ৯৫ কোটি টাকার ৬ প্রকল্প অনুমোদন

ঢাকা, ১লা ভাদ্র (১৬ই আগস্ট):
    জাতীয় অর্থনৈতিক  পরিষদের নির্বাহী  কমিটি (একনেক) সভায় ‘আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেল সংযোগ নির্মাণ (বাংলাদেশ অংশ)’ প্রকল্প এবং ‘ভৈরব রিভার বেসিন এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন’ প্রকল্পসহ ১ হাজার ৯৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬টি প্রকল্প অনুমোদন লাভ করেছে। এর মধ্যে জিওবি ৬৭৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। ৬টি (নতুন) প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
    আজ ঢাকায় শেরেবাংলা নগরে এনইসি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। একনেক সদস্যবৃন্দ, মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, অর্থসচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং সচিববৃন্দ, পরিকল্পনা সচিব এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
    সভাশেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে শক্তিশালী দেশগুলোর অধিকাংশই মন্দা অতিক্রম করছে। এ পরিস্থিতিতে আমাদের প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি অর্জনসহ টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিত করতে প্রান্তিক জনগোগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মুল¯্রােতধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে। এ জন্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য অধিকহারে ছোট প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। তিনি জানান, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাথে বিশেষ করে সেভেন সিস্টার স্টেটগুলোর সাথে যোগাযোগ বাড়াতে ‘আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্প’ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ভৈরব নদীর উৎস নদী ‘মাথাভাঙ্গা নদী’ চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুরহুদা উপজেলা হতে যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার তাহেরপুর পর্যন্ত ভরাট হয়ে গেছে। এর ফলে ভৈরব নদীর উৎসে প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ভৈরব নদীতে জোয়ারবাহিত পলি জমে এর নাব্যতা নষ্ট হয়ে গেছে এবং নদীটি ভরাট হওয়ার পাশাপাশি প্রশস্ততাও সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। এ নদীর নাব্যতা রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী ২০১০ সালে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে ওডগ কর্তৃক ভৈরব নদীর নিস্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। সম্ভাব্যতা সমীক্ষার সুপারিশ অনুযায়ী ভৈরব নদী পুনঃখনন অন্তর্ভুক্ত করে প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
    আজকের সভায় অনুমোদিত ৬টি প্রকল্প হচেছ ‘ভৈরব রিভার বেসিন এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন’ প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ২৭২ দশমিক ৮২ কোটি টাকা। এর পুরো অর্থের সংস্থান হবে জিওবি থেকে।  
    ‘কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপে পোল্ডার নং-৬৮ এর সী-ডাইক অংশে বাঁধ পুনণির্মাণ ও প্রতিরক্ষা কাজ বাস্তবায়ন’ প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ১০৬ দশমিক ১৬ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি থেকে ব্যয় হবে।  
    ‘চট্টগ্রাম জেলার বাপাউবো’র আওতায় উপকূলীয় অঞ্চলের পোল্ডার নং ৬১/১ (সীতাকুন্ড), ৬১/২ (মীরসরাই) ও ৭২ (সন্দ্বীপ) এর বিভিন্ন অবকাঠামোসমূহের ভাঙন প্রতিরোধ, নিষ্কাশন এবং সেচ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য পুনর্বাসন’ প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৯৫ দশমিক ৪০ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি। ‘নগরভিত্তিক প্রান্তিক মহিলা উন্নয়ন (২য় পর্যায়)’ প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৮৬ দশমিক ১০ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি। ‘আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেল সংযোগ নির্মাণ (বাংলাদেশ অংশ)’ প্রকল্প।
    এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৪৭৭ দশমিক ৮১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ৫৭ দশমিক ০৫ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৪২০ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা। প্রকল্প সাহায্য প্রদানকারী সংস্থা ভারত এবং ‘ঢাকার শেরেবাংলা নগরস্থ বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয় কমপ্লেক্স নির্মাণ (৮-১১)(৩ পর্ব)’ প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৫৭ দশমিক ১৩ কোটি টাকা। এ প্রকল্পের অর্থের পুরোটাই জিওবি থেকে ব্যয় হবে।
    অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা সচিব তারিক উল ইসলাম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম, খুরশেদ আলম চৌধুরী, জুয়েনা আজিজ, আব্দুল মান্নান এবং এ এন সামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
#
শেফায়েত/আফরাজ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৭৪৪ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ২৬২৩

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ
                                 -- ভূমিমন্ত্রী
ঢাকা, পয়লা ভাদ্র  (১৬ই আগস্ট):
    ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ। জঙ্গিরা আল্লাহর নাম মুখে নিয়ে মানুষ হত্যা করে ইসলাম ধর্মকে কলুষিত করছে। তিনি বলেন, ইসলামের নামে কেউ যাতে সন্ত্রাস না চালাতে পারে সেদিকে সকলকে সোচ্চার হতে হবে।
    আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
    ভূমি সচিব মেছবাহ উল আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ আবদুল আহাদ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আকরাম হোসেন, ভূমি আপিল বোর্ডের সদস্য ড. কবীর এম আশরাফ আলম ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মুক্তিযোদ্ধা এইউএসএম সাইফুল্লাহ এসময় বক্তব্য রাখেন। বক্তারা ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, ২১ দফা, ৬ দফা, ১১ দফা, স্বায়ত্তশাসন ও মুক্তিযুদ্ধের সফল অন্যতম নায়ক হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবনের ইতিহাস আলোচনায় তুলে ধরেন।
    মন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের শত্রু জঙ্গিবাদীরা বাংলাদেশকে অকার্যকর করতে চায়। হিযবুত তাহরির, হরকাতুল জিহাদ, আইএস বিভিন্ন নাম দিয়ে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কাজ চালাচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী এক অশুভ চক্র। তিনি বলেন, সরকার জঙ্গি, খুনি, চাঁদাবাজ, চোর-ডাকাত দলের লোকদের ধরছে। শোকের মাসে শোককে শক্তিতে পরিণত করে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তিনি প্রত্যেক পিতামাতাকে সন্তানের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়ারও আহ্বান জানান।
    মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষিতের পক্ষে। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন, আদর্শ, দর্শন ও ভিশন দিয়ে গেছেন বাঙালি জাতির মাঝে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
    ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সোচ্চার হলে আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবো।
#

রেজুয়ান/আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৭৩৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২৬২১
 
                      ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনে জাতীয় শোক দিবস পালিত

ভিয়েনা, ১৬ই আগস্ট:
    ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও জাতিসংঘ বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় গতকাল জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
    অপরাহ্নে দূতালয়ে পবিত্র কোরান পাঠ, বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও কর্মজীবনের ওপর স্থির আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং শোক দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত ভিডিওচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
    বিকালে দূতালয় প্রাঙ্গণে সাধারণ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ১৫ই আগস্টে নৃশংস হত্যাকা-ে সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপ্রতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। আলোচকগণ জাতির পিতা এবং তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্যকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন। শিশু-কিশোরদের আলোচনা পর্বে প্রবাস প্রজন্মের কোমলমতি শিশু-কিশোররা তাদের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন আদর্শ ও মহৎ গুণাবলী নিয়ে আলোচনা করে।
    সমাপনী বক্তব্যের শুরুতে রাষ্ট্রদূত মহোদয় জাতির পিতাসহ ১৫ই আগস্টের সকল শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ একই সত্ত্বা। তার অসীম ত্যাগ, তিতীক্ষা এবং দেশ ও মানুষের প্রতি ভালবাসার যে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা অন্তরে ধারণ ও লালন করতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি সবাইকে জাতির পিতার অসমাপ্ত আত্মজীবনী পাঠ করার উপদেশ দেন।
    সর্বশেষে, ১৫ই আগস্টের ভয়াবহ হত্যাকা-ে জাতির পিতাসহ পরিবারের সকল সদস্যদের এবং অন্যান্য সকল শহিদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।  

                                                       #

শাবাব/মোবাস্বেরা/আলী/রফিকুল/শামীম/২০১৬/১৫৪১ঘণ্টা   

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৬১৮ 

জাতিসংঘ স্থায়ী মিশনে জাতীয় শোক দিবস পালিত 

Todays handout (17).doc