তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৭১
শিক্ষা মানবসম্পদ উন্নয়নের সোপান
-- এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী
রংপুর, ২২ ফাল্গুন (৬ মার্চ) :
এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, শিক্ষা মানবসম্পদ উন্নয়নের অন্যতম সোপান।
প্রতিমন্ত্রী আজ রংপুরে জেলা পরিষদ কর্তৃক বিয়াম স্কুল এন্ড কলেজের প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত প্রশাসনিক ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
এসময় জেলা পরিষদ প্রশাসক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বক্তৃতা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পশ্চাৎপদ উত্তরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে শিক্ষা, স¦াস্থ্য, যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতে বিশেষ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষাদান কার্যক্রমের গুণগত মানোন্নয়নের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী রংপুরে প্রস্তাবিত পল্লি উন্নয়ন একাডেমি ও সিটি সেন্টার সাইট পরিদর্শন করেন। তিনি রংপুর রবার্টসনগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করেন।
এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী গংগাচড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায়ও যোগ দেন।
#
আহসান/মিজান/নবী/মোশারফ/সেলিম/২০১৫/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৭০
শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক হতে হবে
-- ড. মসিউর রহমান
খুলনা, ২২ ফাল্গুন (৬ মার্চ) :
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেছেন, শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক হতে হবে অর্থাৎ মুক্তমনের অধিকারী হতে হবে, যা তাদের অন্যের প্রতি সহনশীল আচরণে উদ্বুদ্ধ করে।
উপদেষ্টা আজ খুলনা জিলা স্কুলের কলেজ শাখা প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী খুলনা বিভাগীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা-২০১৫ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন এ প্রযুক্তি মেলার আয়োজন করে। মেলায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ৩৩টি দল তাদের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রকল্প প্রদর্শনীর জন্য উন্মুক্ত রেখেছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলায় অন্যান্য আয়োজনের সাথে বিজ্ঞানভিত্তিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা, উপস্থিত বক্তৃতা এবং সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকবে।
উপদেষ্টা বলেন, বিজ্ঞান হলো উন্নয়নের পূর্বশর্ত, আর প্রযুক্তি উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখে। প্রযুক্তির উৎকর্ষতার মাধ্যমেই টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়। এর জন্য দরকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। তিনি আরো বলেন, যে কোনো মূল্যে সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিহত করতে হবে। কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে উদ্যোগী মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে তিনি ইনফো সরকার প্রকল্পের আওতায় বিভাগীয় পর্যায়ের ৪৫ জন কর্মকর্তার মাঝে ট্যাব বিতরণ করেন এবং মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি এসএম মনিরুজ্জামান বিপিএম, পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি, খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল এবং অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বক্তব্য রাখেন।
#
জিনাত/মিজান/নবী/মোশারফ/সেলিম/২০১৫/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৬৮
বাংলাদেশের নারীরা আজ ইতিহাসের সফলতম সময় অতিবাহিত করছে -- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২২ ফাল্গুন (৬ মার্চ) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, বাংলাদেশের নারীরা আজ ইতিহাসের সফলতম সময় অতিবাহিত করছে। বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন আজ কোনো স্বপ্ন নয়, নারীর ক্ষমতায়ন আজ বাস্তব।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক মানববন্ধনে একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলের নেত্রী, পার্লামেন্টের স্পিকার ও সংসদ উপনেতা একজন নারী। হিমালয়ের চূড়া আরোহণ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি, সচিব, এসপি, ডিসি, ওসি সবই হয়েছেন বাংলাদেশের নারীরা। নারীরা বিমান চালাচ্ছে, ট্রেন চালাচ্ছে, খেলাধুলায় সাফল্য অর্জন করছে। তারা সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদ অর্জনসহ প্যারাশুটার হিসেবে সাফল্য অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য সরকার সকল উন্নয়ন কার্যক্রমকে জেন্ডার রেসপনসিভ করেছে। বর্তমানে সরকার ৪০টি মন্ত্রণালয়ে জেন্ডার রেসপনসিভ বাজেট প্রণয়ন করেছে। নারীর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সরকার ব্যবসা বাণিজ্যে সুযোগ সুবিধা প্রদানসহ বিভিন্ন রকমের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। এসএমই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের খুব কম সুদে ঋণ দিচ্ছে।
মানববন্ধনে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের কয়েক হাজার সদস্য অংশগ্রহণ করে। অন্যান্যের মধ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক উল ইসলাম, সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহিন আহমেদ চৌধুরী মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
#
খায়ের/মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৬৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৬৭
ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে জাতিসংঘের
আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খেরীর সাক্ষাৎ
নিউইয়র্ক (যুক্তরাষ্ট্র), মার্চ ৬ :
নবযোগদানকৃত জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খেরী ৪ মার্চ জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে তাঁর অফিসকক্ষে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। উল্লেখ্য, অতুল খেরী ৪ মার্চ জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ফিল্ড সাপোর্ট হিসেবে শপথ নেন এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমিরা হকের স্থলাভিষিক্ত হন।
শপথ নেয়ার পরেই তিনি ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসেন।
সাক্ষাৎকালে অতুল খেরী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংখ্যক শান্তিরক্ষী অংশগ্রহণ করায় স্থায়ী প্রতিনিধির মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ অনন্য অবদান রেখে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন। পিসকিপিংয়ে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে তিনি বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিকে জানান।
ড. মোমেন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলকে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকা- সংক্রান্ত বই উপহার দেন।
#
মিজান/মোশারফ/সেলিম/২০১৫/১৬৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৬৬
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২২ ফাল্গুন (৬ মার্চ) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী দিয়েছেন :
‘‘আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ। বাঙালি জাতির জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির স¦াধীনতার ডাক দেন। রেসকোর্স ময়দানের বিশাল জনসভায় তিনি বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা দেন, ‘‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স¦াধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা’’।
ঔপনিবেশিক পাকিস্তানী শাসনের বিরুদ্ধে স¦াধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্বে বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণে বাংলার গণমানুষের প্রাণের দাবি ধ্বনিত হয়। গোটা জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধের দিকে ধাবিত হয়। এ ভাষণে বাঙালির প্রতি পাকিস্তানী শোষকগোষ্ঠীর হত্যা-নিপীড়ন-নির্যাতনের চিত্র মূর্ত হয়ে উঠে। শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির অসন্তোষ ও সংক্ষুব্ধতা প্রকাশ পায়। একটি স¦াধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের আবশ্যকতা ও আকাক্সক্ষা এ ভাষণের পরতে পরতে ধ্বনিত হয়। শত্রুর মোকাবিলায় তিনি বাঙালি জাতিকে নির্দেশ দেন, ‘‘তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো’’। জাতির পিতার এই সম্মোহনী ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে বাঙালি জাতি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।
১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ কালরাতে পাকিস্তানী সামরিক জান্তা গণহত্যা শুরু করে। জাতির পিতা ২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে স¦াধীনতার ঘোষণা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ ও বহু ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি।
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ভাষণ। বাঙালির বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতার এই ভাষণের দিকনির্দেশনাই ছিল সে সময় বজ্রকঠিন জাতীয় ঐক্যের মূলমন্ত্র। অসীম ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের স¦াধীনতা সংগ্রামের অমিত শক্তির উৎস ছিল এ ঐতিহাসিক ভাষণ। যার আবেদন আজও অটুট রয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে তখনই জাতির পিতার আদর্শকে সমুন্নত রেখে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে গেছে। গত ছয় বছরে আমরা দেশের কৃষি, শিক্ষা, স¦াস্থ্য, যোগাযোগ, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, তথ্য-প্রযুক্তি, বৈদেশিক সম্পর্ক, ক্রীড়াসহ প্রতিটি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়ন করেছি। ’৭১ এর যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলছে। আমরা দেশ থেকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, শোষণ, বঞ্চনা, ও সন্ত্রাস চিরতরে দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আসুন, এসকল অঙ্গীকার পূরণের পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত জোটের নৈরাজ্য ও নিরীহ মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ একতাবদ্ধ হই।
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, তেমনি আরেকবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে রূপকল্প-২০২১ এবং রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স¦প্নের সোনার বাংলায় পরিণত করি। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
নুরএলাহি/মিজান/সঞ্জীব/আবব্াস/২০১৫/১৭০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৬৫
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২২ ফাল্গুন (৬ মার্চ) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী দিয়েছেন :
‘‘৭ মার্চ ১৯৭১ বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় দিন। এ দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বজ্রকণ্ঠে যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন তার মধ্যে নিহিত ছিল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের ডাক। আমি এ দিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যাঁর অনন্যসাধারণ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছে।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতার সাথে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) লাখো জনতার উদ্দেশ্যে বজ্রকণ্ঠে যে ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন তা বাঙালি জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ঐতিহাসিক সেই ভাষণ এদেশের গণমানুষকে গভীরভাবে আন্দোলিত করে এবং তাঁদেরকে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে বিপুলভাবে উদ্বুদ্ধ করে। এ ভাষণে তিনি স্বাধীনতার জন্য দেশবাসীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল’। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠের ঘোষণা ‘‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’’ ছিল মূলত স্বাধীনতার ডাক। ঐতিহাসিক ভাষণের সেই ধারাবাহিকতায় ২৬ মার্চ ১৯৭১ জাতির পিতা ঘোষণা করেন বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ মহান স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি বহু কাক্সিক্ষত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে তাই ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।
স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’য় পরিণত করা ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন। আমাদের মহান নেতার সে স্বপ্ন পূরণ করতে সমাজ থেকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অশিক্ষাসহ নানা সামাজিক কুসংস্কার দূরীকরণে আমাদের অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ২০২১ সালে বাংলাদেশকে একটি মধ্যমআয়ের দেশে পরিণত করতে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভিশন-২০২১’ ঘোষণা করেছেন। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমি দলমত নির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাই।
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/মিজান/সঞ্জীব/আবব্াস/২০১৫/১৭০০ ঘণ্টা