Handout Number : 4601
Bangladesh Embassy hosted spectacular ‘Food Festival’
celebrating Bangladeshi and Portuguese Cuisine
Lisbon (Portugal), May 9:
Bangladesh Embassy in Lisbon hosted a vibrant and lively Food Festival titled ‘A Taste of Bangladesh and Portugal’ at the Bangladesh House on 7 May 2024. The event aimed to showcase the rich culinary traditions of both Bangladesh and Portugal, bringing together esteemed guests and dignitaries to celebrate the cultural exchange through food diplomacy.
Ambassador Rezina Ahmed emphasized in her speech, the deep-rooted connections between Bangladesh and Portugal, underlining the shared appreciation for culinary traditions as a means of fostering friendship and understanding between nations. Ambassador highlighted on the recent economic development in the country led by our Prime Minister Sheikh Hasina, leading towards fulfilling the dream of Bangabandhu’s ‘Sonar Bangla’- a Golden Bangladesh. She also mentioned that among other sectors, the government is taking a number of initiatives to promote the tourism sector in Bangladesh. She urged the Portuguese Government for future cooperation in this sector for the mutual benefit of both countries.
Ms. Madalena Natividade, the President of Junta Freguesia de Arroios, expressed her heartfelt gratitude for the excellent cooperation between the Parish Council of Arroios and the Embassy of Bangladesh. She appraised our collaboration that has been instrumental in fostering a sense of community and belonging among the Bangladeshis who reside and work in the Parish of Arroios. Ms. Madalena also deeply acknowledged the openness, dedication and proximity of the Ambassador towards the shared goals, which has been invaluable in facilitating the joint efforts to enhance the integration and well-being of the Bangladeshis living at Arroios.
The festival commenced with an array of mouthwatering Bangladeshi snacks, including the iconic ‘Jhal-muri’ and ‘Phuchka’, delighting the senses of the attendees. Throughout the event, guests were treated to a delectable selection of dishes, ranging from ‘Bengali Fish Cake’ to ‘Pumpkin Biriyani’, and the ‘Portuguese Grandma´s Beef Stew’, showcasing the diverse and vibrant flavours of both cuisines.
The Ambassador introduced the renowned Bangladeshi-British Chef Tommy Miah, a culinary maestro with a global reputation, who lent his expertise and passion to the festival, captivating attendees with his talent, dedication, and commitment to promoting Bangladeshi cuisine on the world stage. The highlight of the festival was the live cooking demonstration by Chef Tommy Miah, where he showcased the intricate process of preparing ‘Chicken Tikka Masala’. Guests had the opportunity to witness firsthand the skilful artistry and aromatic spices that define Bangladeshi cuisine, with some enthusiastic attendees even participating in the cooking demonstration.
As a token of appreciation, all the guests were presented with packets of ‘Jute tea’, a recent introduction in Bangladesh, symbolizing the enduring friendship and hospitality of the Bangladeshis.
Overall, the Food Festival left a lasting impression on the guests, not only delighting their taste buds but also served as a testament to the cultural richness and warmth shared between Bangladesh and Portugal. Amidst the culinary delights, there was a palpable sense of camaraderie and cultural exchange as guests mingled, sharing stories and experiences while enjoying the hospitality at the Bangladesh House. The event was truly enjoyed and appreciated by the audience.
Among the distinguished guests, Adviser to the Secretary of State (equivalent to State Minister) of the Ministry of Tourism of Portugal, the President of Junta Freguesia de Arroios, Ms. Madalena Natividade, and Mr. Vitor Marcelino, Director of the Asia and Oceania Department at the Ministry of Foreign Affairs, Asian and African Ambassadors, CDA, a.i. of India, Deputy Chief of Missions including Russia, UK, USA, Head of British Chamber of Commerce in Portugal, Businessmen, and many others were present at the event.
#
BD Mission Lisbon/Rana/Sanjib/Salim/2024/22.40 Hrs.
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৬০০
রপ্তানি বাণিজ্যকে এগিয়ে নিতে উদ্যোগী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
-- বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ বৈশাখ (৯ মে):
রপ্তানি বাণিজ্যকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রপ্তানি পণ্য বাড়াতে চামড়া, পাট, চা, ঔষধ শিল্পকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আরো ব্যবসায়ী যেন সিআইপি সম্মানে ভূষিত হতে পারে, দেশের রপ্তানি বাড়াতে পারে। ‘১টি গ্রাম, ১টি পণ্য’ স্লোগানে সারাদেশ থেকে তৃণমূল কারিগর নিজের পণ্য যেনো রপ্তানি ও বাজারজাত করতে পারে, তাদের আর্থিক এবং কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে হস্তশিল্পকে বিকল্প রপ্তানি পণ্য হিসেবে তুলে ধরতে চাই। তিনি আরো বলেন, আগামী পহেলা বৈশাখে প্রত্যেক দূতাবাসে বৈশাখী মেলা করে সেখানে হস্তশিল্প পৌঁছে দিতে চাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যাতে আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যে ভূমিকা রাখতে পারে।
আজ রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত সিআইপি (রপ্তানি ও ট্রেড)-২০২২ কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দেশের সার্বিক অগ্রগতি উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জাপান, ভারত, চায়নাসহ কয়েকটি দেশের সাথে এফটিএ, পিটিএ নিয়ে কাজ করছি। এর লক্ষ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও বাজার সুবিধা যাতে পেতে পারি।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস- চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।
বক্তব্য শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী সিআইপি (রপ্তানি ও ট্রেড)-২০২২ সম্মাননাপ্রাপ্তদের মাঝে কার্ড প্রদান করেন। এ সময় মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়াধীন বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আসিফ/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৯৯
ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুর কাছাকাছি থেকেও ক্ষমতাচর্চায় আগ্রহী হননি
-- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ বৈশাখ (৯ মে):
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বাংলাদেশের খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী। যদিও বৈবাহিক সম্পর্ক বাদেই বাঙালি জাতির এক গর্বিত ও আলোকিত মানুষের নাম ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া। এক বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী ছিলেন এই পরমাণু বিজ্ঞানী। ব্যক্তিজীবনে নিজেকে গুটিয়ে রাখতে অভ্যস্ত এই বিজ্ঞানীর দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা হোসেন পুতুল। বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও, রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুর কাছাকাছি থেকেও কোনোদিন তিনি ক্ষমতাচর্চায় আগ্রহী হননি। নিজের মেধা, শ্রম ও যোগ্যতায় তিনি ক্রমে ক্রমে হয়ে উঠেছেন সত্যিকার আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মানুষের প্রতিচ্ছবি।
ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, তিনি আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। যে মানুষটি আমাকে এত পছন্দ করতেন তার শেষ যাত্রায় আমি রংপুর গিয়েছিলাম।
আজ ঢাকায় মোহাম্মদপুর টাউন হলে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগারে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোঃ শৌকত আকবর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৬১ সালের প্রথম দিকে শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক আদশের্র প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদান করেন। ১৯৬১-৬২ শিক্ষা বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন । ১৯৬২ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাৎ ঘটে এবং ওই বছরেই জেনারেল আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে গ্রেপ্তারও হন তিনি।
ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সময়টা ১৯৬৭ সাল। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ। ছয় দফা আন্দোলনের কারণে গোটা দেশে তখন বিরাজ করছে ভীতিকর পরিস্থিতি। এ রকম পরিস্থিতিতে ১৭ নভেম্বর পবিত্র শবেবরাতের রাতে বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের পছন্দের পাত্র, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেধাবী পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শেখ হাসিনা। বিয়ের পরদিন জেলগেটে ওয়াজেদ-হাসিনা নবদম্পতিকে দোয়া করেন বঙ্গবন্ধু। নতুন জামাইকে সে সময় তিনি একটি রোলেক্স ঘড়ি উপহার দেন। এই উপহার আজীবন সযত্নে রেখেছিলেন ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া।
মন্ত্রী আরো বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ সাত বছর নির্বাসিত জীবন কাটান। ৪০ বছরের বিবাহিত জীবনে ড. এম এ ওয়াজেদের বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি তার পরিবারের পাশে থেকে যে ধৈর্য, সাহস ও সেবার পরিচয় দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন, তা অসাধারণ।
নানক বলেন, প্রথিতযশা পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার স্বপ্ন ছিল, বাংলাদেশের রূপপুরে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপিত হবে। তিনি স্বপ্ন দেখতেন, বিশ্বমাঝে বাংলাদেশ বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ একটি দেশ হিসেবে পরিচিতি পাবে। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার নিরলস পরিশ্রম অব্যাহত রেখেছিলেন আমৃত্যু। তাঁর স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য সামনে রেখে ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয় ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড ও তৎপরবর্তীকালের ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, আজকে যারা প্রতিনিয়ত সরকারের সমালোচনা করেন তাদের কাছে প্রশ্ন কোন সময়টা আমাদের চেয়ে ভালো ছিল। আমি বলব তারা ভুল পথে আছে। লন্ডন থেকে নির্দেশনা নিয়ে চলা দলটি রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত নিতেই থাকবে।
#
মাহমুদুল/রানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২১৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৯৮
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে সুইডেন, ইউএসএইড, ইউনিসেফ ও FCDO প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২৬ বৈশাখ (৯ মে):
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন আজ তাঁর কার্যালয়ে সুইডেন, ইউএসএইড, ইউনিসেফ ও FCDO এর প্রতিনিধিদলের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতে মন্ত্রী জনগণের জীবনমান উন্নয়নে স্বাস্থ্য খাতে বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জন তুলে ধরেন।
সুইডিশ দূতাবাসের ডেপুটি হেড অভ্ মিশন মারিয়া স্ট্রাইডসম্যানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন সহযোগী অংশীদাররা নার্সদের এবং স্বাস্থ্যসেবার বিশেষ দিকেগুলো নিয়ে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে। আর দক্ষ প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী জনগণের স্বাস্থ্যের মান বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবিকা যে বহুমাত্রিক হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে তা উল্লেখ করে সহযোগী অংশীদারদের তা মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান।
এন্টিবায়োটিক ও তার যথেচ্ছ ব্যবহার রোধে মন্ত্রী বলেন, সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক্ষেত্রে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার পাশাপাশি ঔষধ কেনাবেচার সাথে সংশ্লিষ্টদের ওপর কঠোর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, সুইডিশ দূতাবাসের ডেপুটি হেড অভ্ মিশন মারিয়া স্ট্রাইডসম্যান, ইউএসএইড বাংলাদেশ মিশন ডিরেক্টর রিড এশলিম্যান, ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার ম্যাট ক্যানেলসহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে ও জনস্বাস্থ্যের সামগ্রিক উন্নতি ঘটাতে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ সরকার ও উন্নয়ন সহযোগী সুইডেন, ইউএসএইড, ইউনিসেফ ও FCDO নিবিড়ভাবে কাজ করছে। মাতৃস্বাস্থ্য, টিকাদান, শিশু স্বাস্থ্য, নবজাতকের পরিচর্যা, কমিউনিটি হেলথসহ স্বাস্থ্যসেবা খাতের বিভিন্ন পর্যায়ে জনগণের স্বাস্থ্যের সামগ্রিক উন্নতিতে এ সহযোগিতা ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
#
পবন/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৯৭
উন্নত যাত্রী সেবা ও দক্ষ বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতের
মাধ্যমে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে
--- বিমান মন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ বৈশাখ (৯ মে):
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, ব্যবসাবান্ধব নীতি, নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন, উন্নত যাত্রী সেবা ও দক্ষ বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতের মাধ্যমে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
আজ জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রীর দপ্তর কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার ডেরেক লোহ এর সাথে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী একথা জানান।
মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশকে একটি অন্যতম প্রধান এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের সকল আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে ব্যাপক অবকাঠামোগত ও কারিগরি উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এভিয়েশন শিল্পের সাথে নিয়োজিত কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি আমরা রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্সের ফ্লিট সম্প্রসারণকেও গুরুত্ব দিচ্ছি।
মন্ত্রী আরো বলেন, কোভিড-১৯ এর সময়ে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশি কর্মীদের যে যত্ন নিয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ। একই সাথে প্রবাসী কর্মীদের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষার বিষয়ে সিঙ্গাপুরের সচেতনতা প্রশংসার দাবিদার। আরো বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী সিঙ্গাপুরে কাজ করার সুযোগ পেলে তারা দক্ষতা এবং নিষ্ঠা দিয়ে তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করবে।
সাক্ষাৎকালে হাইকমিশনার ডেরেক লোহ বলেন, বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের খুব ভালো বন্ধু। ১ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মী সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন খাতে কাজে নিয়োজিত আছেন। বাংলাদেশি কর্মীরা খুব দক্ষ ও পরিশ্রমী। ভবিষ্যতে আরো বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের বিষয়টি সিঙ্গাপুর বিবেচনা করবে।
হাইকমিশনার আরো বলেন, বাংলাদেশের এভিয়েশন খাত ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে। বাংলাদেশকে একটি এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের যে কাজ শুরু হয়েছে তাতে সিঙ্গাপুর ভূমিকা রাখতে আগ্রহী। বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোর দক্ষ ব্যবস্থাপনার জন্য সিঙ্গাপুর এভিয়েশন খাতে নিয়োজিত কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তাও প্রদান করতে আগ্রহী।
#
তানভীর/রানা/সঞ্জীব/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২১০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৯৬
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত
আগামীকাল থেকে পবিত্র জিলকদ মাস গণনা শুরু
ঢাকা, ২৬ বৈশাখ (৯ মে):
বাংলাদেশের আকাশে আজ ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামীকাল ১০ মে শুক্রবার থেকে পবিত্র জিলকদ মাস গণনা করা হবে। আজ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার।
সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আজ ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ মে ২০২৪ খ্রি. বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এমতাবস্থায়, আগামীকাল ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ মে ২০২৪ খ্রি. শুক্রবার থেকে ১৪৪৫ হিজরি সালের পবিত্র জিলকদ মাস গণনা শুরু হবে।
সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহাঃ বশিরুল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোঃ সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মো. আবদুল জলিল, বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের ওয়াকফ প্রশাসক আবু সালেহ মোঃ মহিউদ্দিন খাঁ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ আজিজুর রহমান, ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আমিনুর রহমান, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব রুহূল আমীন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সহকারী পরিচালক মোঃ নাজিম উদ্দিন, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি আদনান মুহাম্মাদ সানী, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
#
শায়লা/রানা/সঞ্জীব/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০১০ঘণ্টা
Handout Number : 4595
Speaker of British Parliament and Bangladesh Foreign Minister hand over the ‘Bangabandhu-Edward Heath’ and the ‘Bangabandhu-Harold Wilson Friendship Awards 2023
Dhaka, 9 May:
Speaker of the British House of Commons Rt Hon Sir Lindsay Hoyle MP and Bangladesh Foreign Minister Md. Hasan Mahmud MP handed over the Bangladesh High Commission London’s ‘Bangabandhu-Edward Heath Friendship Award 2023’ to British Conservative peer Lord Jonathan Marland of Salisbury and the ‘Bangabandhu- Harold Wilson Friendship Award 2023’ to Cross-bench peer Lord Swaraj Paul, Baron of Marylebone, during the 54th Independence and National Day Diplomatic Reception of Bangladesh held at the Churchill Room of the historic Queen Elizabeth II Centre at Westminster.
Before handing over the awards, Bangladesh High Commissioner to the UK Saida Muna Tasneem told the media that these two awards were launched during Mujib Borsho in 2022 by the High Commission to honour the special friendship of Bangladesh’s Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman with two of UK’s celebrated Conservative and Labour Prime Ministers, namely Sir Edward Heath and Sir Harold Wilson between 1964 and 1975 that laid the foundation of today’s vibrant Bangladesh-UK relations. She added, ÔIt was Bangabandhu’s two historic meetings as president of independent Bangladesh during his one-day visit to London on 08 January 1972, at 10 Downing Street with the-then Conservative Prime Minister Edward Heath and the other with then Leader of the Opposition, Sir Harold Wilson, that laid the foundations of today’s vibrant Bangladesh-UK bilateral relations. That is why we tool the initiative to dedicate these awards to recogniseÕ
The ‘Bangabandhu-Edward Heath Friendship Award’ was given to Rt. Hon. Lord Jonthan Marland, former British Minister for Energy and Climate Change and Business, Innovation and Skills, and Chair of Commonwealth Enterprise and Investment Council for his extraordinary contributions to promote trade and business relations between the UK and Bangladesh, while the ‘Bangabandhu-Harold Wilson Friendship Award’ was given to Lord Swaraj Paul, Philanthropist and former Deputy Speaker of the lords and member of the Privy Council for his extra-ordinary contributions during Bangladesh’s epic War of Liberation in 1971 and strengthening Bangladesh-UK relations.
High Commissioner Tasneem further informed that the 2022 ‘Bangabandhu-Edward Heath Friendship Award’ was given to Julian Francis OBE for his contributions during Bangladesh’s liberation war as head of Oxfam and in strengthening post-independence Bangladesh relations, whereas the 2022 ‘Bangabandhu- Harold Wilson Friendship Award’ was given to Cherie Blair CBE KC for her extraordinary contributions promoting girls’ education in Bangladesh.
#
Ashequn/Shafi/Rana/Sanjib/Joynul/2024/2100 hour
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৫৯৪
স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট ডেটা
- অর্থ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ বৈশাখ (৯ মে):
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট ডেটা প্রয়োজন। শুধু পর্যাপ্ত ডেটা থাকলেই হবে না, আমাদের প্রয়োজন গুণগত, উপযুক্ত ও নির্ভরযোগ্য ডেটা। নির্ভরযোগ্য ও মানসম্পন্ন ডেটা নীতি নির্ধারণ, সম্পদের সুষম বণ্টন ও জনসেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান আজ মেট্রোপলিটন চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জের যৌথ আয়োজনে ‘পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (পিএমআই)’ সূচক প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিন্ত্রী বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় দেশের আর্থিক ও বাণিজ্যিক উন্নয়ন এবং সহায়ক শুল্কনীতির মাধ্যমে দেশের রপ্তানি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। প্রতিবছর বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে সামষ্টিক অর্থনীতি এবং বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন ও অগ্রগতি প্রকাশ করছে অর্থ মন্ত্রণলায়। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের সুসংগঠিত উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে গুণগত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব বিবেচনা করে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ব্যুরো অভ্ স্টাটিস্টিকস (বিবিএস) প্রতিষ্ঠা করেন। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যকর পরিকল্পনার জন্য সময়োপযোগী এবং মানসম্পন্ন পরিসংখ্যান ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে কোভিড মহামারি ও বৈশ্বিক সংকটের সময়েও বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রা সুরক্ষিত ছিল। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে তিনি মেগাপ্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (PMI) ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হবে। রিয়েল টাইম ডেটার মাধ্যমে ইহা অর্থনীতির সকল খাতের তথ্য প্রদান করবে। জনগণের সার্বিক উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি খাত এক সাথে কাজ করে যাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ব্রিটিশ হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল। বক্তৃতা করেন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো: আবদুর রহমান, এমসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট কামরান টি রহমান ও নিহাদ কবীর। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আলমগীর/রানা/সঞ্জীব/রফিকুল/শামমীম/২০২৪/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৪৫৯৩
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা
ঢাকা, ২৬ বৈশাখ (৯ মে):
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব Vinay Mohan Kwatra।
আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদেরকে মন্ত্রী জানান, ‘ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সাথে সাক্ষাতে দ্বিপাক্ষিক বিষয়াবলি নিয়ে আন্তরিক আলোচনা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্ক, অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক, যে সম্পর্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।’
কানেক্টিভিটি নিয়ে এবং বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা সহজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশের ১৬-১৭ লাখ মানুষের জন্য ভিসা ইস্যু করে ভারত। বিশ্বে সর্বোচ্চ ভিসা ভারত ইস্যু করে বাংলাদেশে। অনেক সময় ভিসা পেতে অপেক্ষা করতে হয়। সেটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, বাংলাদেশে ভারতীয় মিশনের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তারা আরো লোকবল নিয়োগ করছেন।
হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে উদ্ভাবনী প্রক্রিয়ার কথা আলোচনা করেছি, অনলাইনে আবেদনের কথা বলেছি যেন সহজে মানুষ ভিসা পায়। তারা বিষয়টি আন্তরিকতার সাথে দেখছেন।’
শক্তির উৎসের কানেক্টিভিটি নিয়ে আলোচনার কথা উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘আমরা ফিজিক্যাল কানেকটিভিটি নিয়ে আলোচনা করেছি। সেটা অনেক দূর এগিয়েছে। বিশেষ করে, নেপাল ও ভুটানকে ট্রানজিট দেওয়া এবং এ দুই দেশ থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা। ইতিমধ্যে নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করার ক্ষেত্রে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে। ট্যারিফ নিয়েও আলোচনা অনেকটা চূড়ান্ত হয়েছে। সেটি আমাদের ক্রয় কমিটিতে যাবে। সেটি হলে ভারতের ওপর দিয়ে আমরা নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে পারব।’
বৈঠকে সীমান্ত হত্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নন-লেথাল (প্রাণঘাতী নয়) এমন অস্ত্র ব্যবহার করার ওপর আমরা গুরুত্বারোপ করেছি। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব জানিয়েছেন- তারা তাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছেন। তাদের আন্তরিকতার অভাব নেই। এটি নিয়ে দুই দেশের সরকারি ও রাজনৈতিক পর্যায়ে আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই।’
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনেক আগে থেকে ভারত সফরের কথা রয়েছে। ভারতে যেহেতু নির্বাচন, সেটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কখন সফর হবে, সেটি নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ভারতে নির্বাচনের পর সরকার গঠন হবে। তারপর প্রধানমন্ত্রীর সফর কখন হবে, সেটা ঠিক হবে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিস্তায় আমরা একটা বৃহৎ প্রকল্প নিয়েছি। ভারত সেখানে অর্থায়ন করতে চায়। আমি বলেছি, তিস্তায় যে প্রকল্পটি হবে, সেটা আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী হবে। আমাদের প্রয়োজন যেন পূরণ হয়।’
এ সময় দেশে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে, বিএনপির নিষেধ সত্ত্বেও তাদের নেতা-কর্মীরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
চলমান পাতা-২
পাতা-২
বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন জাতির জন্য নিবেদিত: ড. হাছান
এ দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রয়াত বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রয়াত বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন জাতি ও মানবতার জন্য নিবেদিতপ্রাণ। তার জীবন ও কর্ম থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর জামাতা, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বামী হয়েও সে পরিচয় দিয়ে কিছু করেননি। সেবার ব্রত নিয়ে গবেষণা করেছেন। আজকের পরমাণু শক্তি কমিশন তারই প্রেরণার ফসল।
আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য লায়ন মশিউর আহমেদের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মো: হুমায়ুন কবির, মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল বাহার মজুমদার, অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম প্রমুখ সভায় বক্তৃতা করেন।
#
আকরাম/রানা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/২০৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৫৯২
সৌদি আরবে পৌঁছেছে বাংলাদেশের প্রথম হজ ফ্লাইট
রিয়াদ (সৌদি আরব), ৯ মে:
বাংলাদেশ থেকে এই বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট (বিজি-৩৩০১) ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে আজ সকাল ১১.৩০ টায় সৌদি আরবের জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দরের হজ টার্মিনালে এসে পৌঁছেছে। সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) বিমানবন্দরে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের স্বাগত জানান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক ও বাংলাদেশ হজ মিশনের কাউন্সিলর মোঃ জহিরুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
বিমানবন্দরে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের স্বাগত জানানোর জন্য আরো উপস্থিত ছিলেন সৌদি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার আয়েত আল-খোয়ামী, জেদ্দা বিমানবন্দরের (JEDCO) সিইও ইঞ্জিনিয়ার মাজেন জাওয়াহার, সৌদি পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান মেজর জেনারেল ফয়সাল আল রাজি, হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহমান ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) আগত হজযাত্রীদের শুভকামনা জানান ও যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ দূতাবাস, কনস্যুলেট ও বাংলাদেশ হজ মিশন সবসময় হজযাত্রীদের পাশে রয়েছে বলে আশ্বাস প্রদান করেন। বাংলাদেশি হজ যাত্রীগণ বিমান বন্দরের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ থেকে আগত হজযাত্রীরা বিমানবন্দরের সুন্দর ব্যবস্থাপনা ও উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রোড টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় এবছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন পবিত্র হজ পালনের জন্য ন