তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬১৫
২০১৭-১৮ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ৫ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে
- নারায়ণ চন্দ্র চন্দ
ঢাকা, ৯ আশ্বিন (২৪ সেপ্টেম্বর) :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ৫ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে। মন্ত্রী আজ ঢাকায় নিজ দপ্তরে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের মোট উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আসে শুধু ইলিশ থেকে। দেশের জিডিপিতে ইলিশের অবদান এক শতাংশের অধিক। কাজেই একক প্রজাতি হিসেবে ইলিশের অবদান সর্বোচ্চ। ফলে মাত্র
৯ বছরের ব্যবধানে এ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৬৬ শতাংশ। এসময়ে সার্বিক মাছের উৎপাদনও ২৭ লাখ
১ হাজার মেট্রিক টন থেকে ৪১ লক্ষ ৩৪ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। এটি ২০১৬-১৭ সালের উৎপাদন-লক্ষ্যমাত্রা ৪০ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টনের চেয়ে ৮৪ হাজার মেট্রিক টন বেশি। ২০১৭-১৮ সালে ইলিশের উৎপাদন যেমন ৫ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে; তেমনই মাছের উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়ে ৪২ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন হবে বলে আশা করা যায়।
ইতিমধ্যে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর প্রয়োজনীয় পরীক্ষানিরীক্ষা ও আইনানুগ কার্যক্রমশেষে বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশের ভৌগোলিক নিবন্ধন (জিআই সনদ) প্রদান করে। ইতিপূর্বে ইলিশের কোনো ব্র্যান্ডিং ও ট্রেডমার্কও ছিল না। বিশ্বে ইলিশের ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশেই সর্বপ্রথম সম্পন্ন হয়েছে। ফলে বিদেশের ক্রেতারা এখন সহজেই বাংলাদেশি সুস্বাদু ইলিশমাছ শনাক্ত করতে পারবে।
সামাজিক নিরাপত্তা র্কমসূচির আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জাটকা সমৃদ্ধ ১৭ জেলার ৮৫টি উপজেলায় জাটকা আহরণে বিরত রাখতে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৩ জন জেলে পরিবারকে মাসিক ৪০ কেজি হারে ৪ মাসের জন্য মোট ৩৮ হাজার ১৮৮ মেট্রিক টন এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৬৭৪টি জেলে পরিবারকে মোট ৩৯ হাজার ৭৮৮ মেট্রিক টন চাল প্রদান করা হয়েছে।
বর্তমান সরকারের আমলে প্রকৃত জেলেদের শনাক্ত করে নিবন্ধকরণ ও পরিচয়পত্র প্রদানের লক্ষ্যে জুন ২০১৭ পর্যন্ত ১৬ লাখ ২০ হাজার মৎস্যজীবীদের নিবন্ধন ও ডাটাবেইজ প্রস্তুত এবং ১৪ লাখ ২০ হাজার জেলের পরিচয়পত্র বিতরণ সম্পন্ন করে সরকার ইলিশসহ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বাস্তবমুখী অবদান রেখে চলেছে। ইলিশ আহরণে জড়িত প্রায় ৭ লাখ জেলে এবং মা-ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে ২২দিনের জন্য ৩ লাখ ৯৫ হাজার জেলে পরিবারকে ২০ কেজি হারে প্রায় ৭ হাজার টন খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়ে থাকে।
#
শাহ আলম/অনসূয়া/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/২১২০ ঘণ্টা
Handout Number: 2618
PM makes 3 proposals for resolving Rohingya crisis
New York, September 24:
Prime Minister Sheikh Hasina this morning addressed the High-level Event on the Global Compact on Refugees: A Model for Greater Solidarity and Cooperation at the United Nations Headquarters. Organized by UN High Commissioner for Refugees, the high level event was attended by the United Nations Secretary General António Guterres and the World Bank President Jim Yong Kim.
In her address, the Prime Minister welcomed the adoption of global compact on refugees. She mentioned that currently 65 million people are livings as refugees and mostly the developing countries are hosting them. She invited the world leaders to come forward with political will and commitment in resolving Refugee crisis.
Highlighting on the magnitude of Rohingyas crisis and its impact on Bangladesh, the Prime Minister underscored the need for addressing the root causes of forced displacement and urged the international community to intensify its efforts in resolving protracted crises by ensuring safe and sustainable return of the refugee population to their homelands.
Prime Minister also requested the international partners to help the UN in implementing its joint response plan – the humanitarian assistance programme for the Rohingyas with necessary funding.
For resolution of longstanding Rohingya crisis peacefully and sustainably, Prime Minister made three specific recommendations:
First, Myanmar must abolish discriminatory laws, policies and practices against Rohingyas and address the root causes of forced displacement in a genuine and timely manner.
Second, Myanmar must create a conducive environment by building trust and guaranteeing protection, rights and pathway to citizenship for all Rohingyas. If needed, create a “safe zone” inside Myanmar to protect all civilians.
Third, prevent atrocity crimes against Rohingyas in Myanmar by bringing accountability and justice, particularly in light of the recommendations of the Fact-Finding Mission of the UN Human Rights Council.
Prime Minister reiterated that Rohingya crisis has been originated in Myanmar and the solution has to be found in Myanmar. By opening the border and sheltering the displaced Rohingyas, Bangladesh has not only saved lives, we have stabilized the entire region by containing the crisis within our border, she added.
The Prime Minister referred to the impacts of Rohingya influx on Bangladesh’s socio-economic life and environment and announced that pending return, the Rohingyas will be relocated to a newly developed island called Bhashan Char. She also reiterated that Bangladesh does not have any policy of local integration and the Rohingyas must return to their own country to secure their own future.
The event was also attended by a number of world leaders, humanitarian and development agencies and representative of NGOs and business community. Hon’ble Prime Minister of Bangladesh was invited by the UN High Commissioner for Refugees to deliver her perspectives on the occasion of adoption of Global Compact on Refugees.
#
Tohidul/Nice/Mosharf/Rezaul/2018/2338 hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬১৭
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, যে জাতি তিনটি শিল্প বিপ্লবের কোনটিতেই অংশ নিতে পারেনি, সেই পশ্চাৎপদ জাতি হিসেবে আমরা প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছর পিছিয়ে থেকেও ডিজিটাল শিল্পবিপ্লবে বৈশ্বিক নেতৃত্ব দিচ্ছি। বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে দেখছে। প্রযুক্তি মানুষকে বিস্ময়কর জায়গায় নিয়ে যাবে। প্রযুক্তির আগামী দিনের বিস্ময়কর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের সন্তানদের ডিজিটাল যুগের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। অন্যথায় এর দায় অভিভাবকদেরই নিতে হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ স্কাউট জাতীয় সদর দপ্তরে কাবিং ও রোভারিংয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ স্কাউট এর সহ-সভাপতি মোঃ হাবিবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্কাউটের প্রধান জাতীয় কমিশনার ও দুদক কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান, বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার ম-ল এবং বাংলাদেশ স্কাউটের নির্বাহী পরিচালক আরশাদুল মোকাদ্দিস বক্তৃতা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, স্কাউটিংয়ের সাথে ডিজিটাল বাংলাদেশের সম্পর্ক আছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। স্কাউটরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়ন করবে ডিজিটাল বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ইন্টারনেট হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং শ্রেষ্ঠ গ্রন্থাগার। তিনি নিরাপত্তার সাথে ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ইন্টারনেটের খারাপ দিক বর্জন করে উদ্ভাবনী শক্তি হিসেবে ইন্টারনেট ব্যবহারে নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে স্কাউটদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বাংলাদেশের স্কাউটরা বিশ্বে পঞ্চম বৃহত্তম উল্লেখ করে বলেন, গত সাড়ে নয় বছরে অনেক কিছুতেই বাংলাদেশের রূপান্তর বিস্ময়কর। ৫৫০ ডলারের মাথা পিছু আয়ের বাংলাদেশ গত ৯ বছরে ১৭৫২ ডলারের মাথা পিছু আয়ের বাংলাদেশ। ২০০৮ সালে ইন্টারনেট ব্যান্ডউডথ ব্যবহার ছিল ৭ জিবিপিএস যা বেড়ে ৮০০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে। মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাড়ে তিন কোটি থেকে সাড়ে পনেরো কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৪০ লাখ থেকে ৯ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।
ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, স্কাউটিংয়ে বাংলাদেশ এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নেতৃত্বকারী দেশ। স্কাউট বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে। সরকারের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার ফলে বিশ্বে ১৬৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষ অবস্থানে উপনীত হতে সক্ষম হয়েছে। একুশ শতকের বাংলাদেশ নির্মাণে স্কাউটদের তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর করে গড়ে তুলতে হবে।