Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩১st ডিসেম্বর ২০২১

তথ্যবিবরণী ৩১ ডিসেম্বর ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                        নম্বর:৬১৬৩                                                                                                                                      

বঙ্গবন্ধুকে নয় ঘাতকরা একটি জাতিকে হত্যা করেছে

                                      -স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকা, ১৬ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর):    

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নয় ঘাতকরা ’৭৫ এর ১৫ই আগস্ট একটি জাতিকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। এ দেশের মাটি ও মানুষ দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে এশিয়ার সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন বলেও জানান তিনি।

আজ রাজধানীর আইডিইবি ভবনে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ আয়োজিত মুজিববর্ষ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন: সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সকল মানুষের হৃদয়ের নেতা ছিলেন। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নিকট বারবার আবেদন-নিবেদন করেছেন বাঙালির ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য। এর বিনিময়ে বঙ্গবন্ধুকে অসংখ্যবার কারাগারে যেতে হয়েছে। সহ্য করতে হয়েছে অমানবিক নির্যাতন। তারপরেও অন্যায়ের কাছে কখনো মাথানত করেননি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার দায় তৎকালীন চিফ আর্মি স্টাফসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা এড়াতে পারেন না। জাতির পিতার খুনের সাথে জড়িত সকলকে জনসমক্ষে আনতে হবে। জীবিতদের সাথে সাথে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদেরও বিচারের আওতায় এনে তাদের পরিচয় জাতির সামনে উন্মোচন করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ধ্বংসস্তুপ থেকে দেশকে পুনর্গঠন করে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে পথ নকশা তৈরি করে কাজ আরম্ভ করেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে দেশে সকল খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেই উন্নয়নের ধারা বন্ধ হয়ে যায়। দেশে শুরু হয় বিভীষিকাময় অধ্যায়ের।

দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করতে হলে সকল মানুষকে সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান কাউকে বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।

বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোঃ খবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, আইডিবি'র সভাপতি একেএমএ হামিদ এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামসুর রহমান‌।

#

হায়দার/সাহেলা/রাহাত/এনায়েত/মোশারফ/রফিকুল/শামীম/২০২১/২১৪৫ ঘন্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর: ৬১৬১

 

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু ১ জানুয়ারি

-- বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১৬ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) :

 

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, অবশেষে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি অতিক্রম করে পহেলা জানুয়ারি মাসব্যাপী ‘২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২২’ শুরু  হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি সকাল ১০ টায়  বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার, পূর্বাচলে বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করবেন। আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ পূর্বাচলে এক্সিবিশন সেন্টারে উপস্থিত থাকবেন। নতুন এক্সিবিশন সেন্টারে প্রথম বারের মতো এ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, এবারের বাণিজ্য মেলায় ১১টি দেশের ২২৭টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। এ বাণিজ্যমেলার পাশাপাশি বছরব্যাপী বিভিন্ন ধরনের মেলা ও প্রদর্শণীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান এখানে অনুষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়িত হলো এবং দেশের বাণিজ্য সেক্টর খুঁজে পেলো স্থায়ী ঠিকানা।

 

আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত ‘২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২২’ আয়োজন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের হল রুমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

মন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য মেলায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য রাস্তা চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। বিআরটিসি’র ৩০টি বাস কুড়িল বিশ্বরোড থেকে এক্সিবিশন সেন্টার পর্যন্ত মেলা চলাকালীন বিশেষ ব্যবস্থায় যাতায়াত করবে, ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে বিআরটিসির নির্ধারিত রুটে বাসও চলবে। গতবছরের মতো মেলায় প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা এবং বীরমুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ফ্রি। এক্সিবিশন সেন্টারের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২২০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, ১-৩১ জানুয়ারি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা এবং ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে। প্রতিবারের মতো এবারও মেলায় বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করা হয়েছে। মুজিববর্ষ, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এক্সিবিশন সেন্টারের ১ লাখ ৫৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের ২টি হলে সকল স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কোভিড-১৯ বিবেচনায় নিয়ে মেলা চলাকালীন স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করা হবে।

 

প্রেস ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভিসি এ এইচ এম আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মোঃ হাফিজুর রহমানসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সিনিয়র কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

বকসী/সাহেলা/রাহাত/এনায়েত/মোশারফ/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২১০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ৬১৬২

 

বিএনপি কি গাড়িঘোড়া ও মানুষের সম্পত্তি পোড়ানোর অধিকার চায় : প্রশ্ন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর

 

চট্টগ্রাম, ১৬ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) :

 

'বিএনপি কি গাড়িঘোড়া ও মানুষের সম্পত্তি পোড়ানোর অধিকার চায়' প্রশ্ন রেখেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

 

আজ চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইনের মাল্টিপারপাস হলে মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানিদের হাতে নিহত তৎকালীন পুলিশ সুপার শামসুল হকের বীরত্বগাঁথা অবলম্বনে নির্মিতব্য পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দামপাড়া’র মহরত অনুষ্ঠানশেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী এ প্রশ্ন রাখেন।

 

ড. হাছান বলেন, 'বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব সকালে একবার সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন, বিকেলে একবার করেন, আবার মাঝেমধ্যে সন্ধ্যাবেলায়ও করেন। তাদের নেতৃবৃন্দ সারাদেশে ঘুরে ঘুরে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে। তারা এর চেয়ে বেশি কি রাজনৈতিক স্বাধীনতা চান? তারা কি অবাধে গাড়িঘোড়া ও মানুষের সম্পত্তি পোড়ানোর অধিকার চান?'

 

বিএনপিনেত্রীকে মুক্তির জন্য সরকারের কাছে করা আবেদন নাকচ করায় মির্জা ফখরুল বলেছেন রাজপথে ফয়সালা হবে  - এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি যদি রাজপথেই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়, তাহলে সরকারের কাছে কেন তারা তাকে বিদেশ পাঠানোর আবেদন জানান। এই দ্বি-চারিতা পরিহার করা উচিত।

 

'গাড়ি পোড়ানো এবং মানুষকে জিম্মি করে বোমা নিক্ষেপ করার হুকুমের মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও যে ধরনের রাজনৈতিক স্বাধীনতা তারা ভোগ করছেন, দন্ডপ্রাপ্ত বেগম জিয়াকে মুক্ত রেখে তার ইচ্ছেমতো চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, তারপরও তারা সরকার এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বিষোদগার করছেন, অন্য কোনো দেশে এতটুকু করতে পারতেন কিনা সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

 

দামপাড়া চলচ্চিত্রের মহরত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, দামপাড়া জায়গাটি একটি ঐতিহাসিক জায়গা, ১৯৩০ সালে এখানেই ছিল চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার, মাস্টারদা সূর্যসেন তার বিপ্লবী বাহিনীকে নিয়ে এই চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন করে চট্টগ্রাম অঞ্চলকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে ১১ দিন স্বাধীন রেখেছিলেন। সেই ইতিহাস সবাই জানে না। আর ১৯৭১ সালে লুণ্ঠন করতে হয়নি বরং অস্ত্রাগারের রক্ষক পুলিশ সুপার শামসুল হক অস্ত্রগুলো বিতরণ করে দিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে। সুতরাং দুই ঘটনার মধ্যে একটা বৈপরীত্য আছে।

 

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরের সভাপতিত্বে ও উপ-পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাকের সঞ্চালনায় মহরতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, ‘দামপাড়া’ ছবির নায়ক ফেরদৌস খান, নায়িকা আশনা হাবিব ভাবনা, চলচ্চিত্রটির রচয়িতা আনন জামান, পরিচালক শুদ্ধমান চৈতন, মুক্তিযুদ্ধে নিহত সাবেক এসপি শামসুল হকের সহধর্মিণী মাহমুদা হক চৌধুরী প্রমুখ। 

 

 

#

 

আকরাম/সাহেলা/রাহাত/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০৪০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর : ৬১৬০

 

 

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে গড়ে তুলতে সরকার সংস্কৃতি চর্চায় গুরুত্ব দিয়েছে

                                                                                ---আবুল হাসানাত

 

 

আগৈলঝাড়া (বরিশাল), ১৬পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) :

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ (মন্ত্রী পদমর্যাদা) বলেছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদমুক্ত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সংস্কৃতি চর্চা কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়েছে।

 

আজ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরালে নিজ বাসভবন চত্বরে স্থানীয় সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানে গৌরনদী পৌরসভার মেয়র মোঃ হারিছুর রহমানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

আবুল হাসানাত বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন সত্তা। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে তাঁর নামে আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন বাংলাদেশের জন্য এক বড় অর্জন। এ পুরস্কার বিশ্বময় বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং ও ইমেজ বিল্ডিং-এ বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সংস্কৃতি কর্মীদের সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি দেশজ সংস্কৃতির প্রচার, প্রসার ও সংরক্ষণে কাজ করতেও সংস্কৃতিকর্মীদের পরামর্শ দেন। 

 

#

আহসান/সাহেলা/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/আব্বাস/২০২১/২০৪৭ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর: ৬১৫৯

সমাজ ও পরিবার থেকে মেয়েদের খেলায় অংশ নিতে উৎসাহ দিতে হবে

                                        -- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

 

সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ), ১৬ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) :

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, সমাজ ও পরিবার থেকে মেয়েদের খেলায় অংশ নিতে উৎসাহ দিতে হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করলে ভালোমানের খেলোয়াড় তৈরি হবে। এজন্য স্কুল, কলেজ ও স্থানীয় পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে হবে। খেলাধুলায় অংশগ্রহণ তরুণ সমাজের অবক্ষয় রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আজ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মধ্যপাড়ায় নিঃস্বার্থ সামাজিক সংগঠন আয়োজিত মধ্যপাড়া চ্যাম্পিয়ন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২১ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা সদ্য স্বাধীন দেশে সকল ধরনের খেলার উন্নয়ন ও অবকাঠামো নির্মাণ অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ফুটবল খেলতে ভালোবাসতেন ও স্কুল ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ও ক্রীড়ার উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। সরকার ২০১০ সাল হতে প্রতিবছর ‌‍‌‌‌‌‌‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট‌‍‌’ এবং ২০১১ সাল হতে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট‌‍’ আয়োজন করছে।

ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আরো বলেন, বাংলাদেশ সাহায্যনির্ভর দেশ থেকে স্বনির্ভর দেশে পরিণত হয়েছে। উন্নয়নের দশটি সূচকে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে। সারা বিশ্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ম্যাজিক দেখে অবাক হয়ে গেছে।

মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে মধ্যপাড়া চ্যাম্পিয়ন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২১ এর উদ্বোধক ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহি বি. চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম তারিকুল ইসলাম। এসময় সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মহিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ ফয়েজ আহমেদসহ ক্রীড়াসংগঠক ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ফাইনাল খেলায় অংশগ্রহণকারী ফিউচার প্লান স্পোর্টিং ক্লাব ট্রাইব্রেকারে ৪-১ গোলে  গ্রীন ওয়েল ফেয়ার সেন্টার টিমকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিমন্ত্রী খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন দলের ক্যাপ্টেনের হাতে ট্রফি ও এক লাখ টাকার প্রাইজ মানি তুলে দেন।

#

আলমগীর/সাহেলা/রাহাত/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর: ৬১৫৮

 

পঁচাত্তরের পর সাম্প্রদায়িকতা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে

                                      -- নৌ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৬ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) :

পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জাতির ওপর সাম্প্রদায়িকতা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় সংস্কৃতি চর্চাও বাধাগ্রস্ত হয়েছিল বলে জানান তিনি।

আজ রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বিশ্বভরা প্রাণ’ নিজেদের চুতর্থ বর্ষপূর্তিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী আমাদের ওপর হামলা বারবার আঘাত করেছে।  সেই গোষ্ঠীকে আমরা পরাজিত করেছি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। এটা আমাদের মীমাংসিত একটি বিষয় ছিল। এবং এই মীমাংসা করতে আমাদের ৩০ লাখ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। আমাদের লাখ লাখ মা-বোনকে তাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। কিন্তু এ মীমাংসিত বিষয়টি নিয়ে আবার আমাদের লড়াই করতে হচ্ছে। কারণ মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে, যিনি আমাদের জাতিসত্তার পরিচয় দিয়েছিলেন। এরপর আমাদের উপর যে জিনিসটি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে তা হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা। মীমাংসিত বিষয়টিকে আবার চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং দীর্ঘ সময় এটা ধীরে ধীরে আমাদের সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা সংস্কৃতি সবক্ষেত্রে। সে জায়গাটায় আমরা সবাই লড়াই করছি।

তিনি বলেন, পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের কারণে একাত্তরে মীমাংসিত বিষয়গুলো আবার আমাদের ওপর চেপে বসেছে। তারা ধীরে ধীরে অনেক শক্তিশালী হয়েছে। কারণ তারা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিল।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশে আমরা কিন্তু আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং সংস্কৃতিকে সাহসের সঙ্গে উচ্চারণ করতে পারি। বীরত্বগাঁথা রচনা করা বীর মুক্তিযোদ্ধারাও পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে নিজেদের পরিচয় দেওয়ার একটা ভীতিকর পরিবেশের মধ্যে ছিল। আজকে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা গর্ব করে বলতে পারে আমি মুক্তিযোদ্ধা। রাষ্ট্র তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। যেটা পঁচাত্তর পরবর্তীতে ছিল না।

তিনি বলেন, যে জাতি তার নিজের সৃষ্টির ইতিহাসকে ভুলে যায়, সে জাতি অন্ধকারে তলিয়ে যায়। সে রকম একটি অন্ধকারে আমরা তলিয়ে যাচ্ছিলাম। সংস্কৃতি চর্চাও বাধাগ্রস্ত ছিল। রবীন্দ্রনাথ-নজরুল চর্চাগুলো বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। বর্তমানে সরকার সংস্কৃতিকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। বরাদ্দ বাড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সারা বিশ্বে তুলে ধরেছেন।

অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন খ্যাতিমান আবৃতি ও অভিনয় শিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। সংগঠনের আন্তর্জাতিক কমিটির প্রধান উপদেষ্টা কবি ইমরোজ সোহেল চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শওকত আলী, সংগীত শিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা, আবৃতি শিল্পী অধ্যাপক রূপা চক্রবর্তী, নাট্যজন টুটুল চৌধুরী, সংগঠনের সভাপতি জাহান বশির ও সাধারণ সম্পাদক নিপা মোনালিসা।

#

জাহাঙ্গীর/সাহেলা/রাহাত/এনায়েত/মোশারফ/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২০২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                             নম্বর:৬১৫৭                                                                                                                            ব্রি’র ধান কাটার যন্ত্র কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বিপ্লব ঘটাবে

                                                   -- কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৬ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর):  

 

দেশের জমিতে ব্যবহারের উপযোগী ও সুলভ মূল্যের ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বিজ্ঞানীরা। 

 

আজ গাজীপুরে ব্রি’র চত্বরে কম্বাইন হারভেস্টারটির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। এসময় তিনি বলেন, ব্রি’র বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে ধান কাটার মেশিনটি উদ্ভাবন করেছে। এটি একটি অসাধারণ সাফল্য। এটির ধান কাটার ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে বেশি, দেশের ছোট ছোট জমিতে ব্যবহারের উপযোগী। বিদেশের  বিভিন্ন কম্বাইন হারভেস্টারের তুলনায় এর দাম ও হার্ভেস্ট লস কম। ব্রি’র উদ্ভাবিত যন্ত্রটি আমরা যদি স্থানীয়ভাবে তৈরি করে সারা দেশে ব্যবহার করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বিপ্লব ঘটবে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষিকে লাভজনক করতে অনন্য ভূমিকা রাখবে।

 

ব্রি’র বিজ্ঞানীরা জানান, তাদের উদ্ভাবিত ব্রি হোল ফিড কম্বাইন হারভেস্টারের ইঞ্জিনটি বিদেশ থেকে আনা। অন্যান্য যন্ত্রপাতি স্থানীয়ভাবে তৈরি। ঘণ্টায় মেশিনটি ৩-৪ বিঘা জমির ধান কর্তন করতে পারে। জ্বালানি খরচ হয় ঘণ্টায় ৩.৫- ৪ লিটার। হারভেস্টিং লস শতকরা এক ভাগের কম। আর দাম পড়বে মাত্র ১২-১৩ লাখ টাকা। হারভেস্টারটি খণ্ড খণ্ড জমিতেও ব্যবহার উপযোগী। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত যেকোনো কম্বাইন হারভেস্টারের তুলনায় এটি ভালো বলে জানান ব্রি’র বিজ্ঞানীরা।

 

এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিদায়ী সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম, সদ্য যোগদানকৃত সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম, ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থাপ্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। 

 

 ব্রি’র শ্রমিকদের জন্য পাঁচতলা নতুন আবাসিক ভবন উদ্বোধন : 

পরে কৃষিমন্ত্রী ব্রি’র চত্বরে ব্রি’র শ্রমিকদের জন্য নির্মিত পাঁচতলা নতুন আবাসিক ভবন ‘ব্রি শ্রমিক কলোনী ভবন’ উদ্বোধন করেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কৃষি শ্রমিকদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতোই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের শ্রমিক-মজুরদের দুঃখ কষ্ট হৃদয় দিয়ে অনুভব করেন। তাই তিনি মুজিব শতবর্ষের উপহার হিসেবে শ্রমজীবী মানুষের আবাসনের জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ব্রি’র নব নির্মিত শ্রমিক কলোনী ভবন এর একটি বাস্তব উদাহরণ।

 

একইদিন দুপুরে মন্ত্রী ব্রি’র প্রাঙ্গণে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক পুনর্মিলনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। সভায় বিদায়ী সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম ও সদ্য যোগদানকৃত সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলামকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

 

#

কামরুল/রাহাত/মোশারফ/শামীম/২০২১/১৮৩০ ঘন্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর: ৬১৫৬

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ১৬ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) :

 

            স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৮ হাজার ৬৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫১২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৫৩৯ জন।

 

          গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৭২ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।

 

          করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ১০১ জন।

 

#

 

ইউনুস/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৮৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর : ৬১৫৫

 

ডাকঘর ডিজিটাল করতেই হবে

---ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৬পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) :

 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে ডাকঘর ডিজিটাল করতেই হবে। তিনি বলেন, ডাক কর্মচারীদের একটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ন্যূনতম ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতেই হবে। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কর্মচারী-কর্মকর্তাদের  প্রশিক্ষণ প্রদানসহ ডাকঘর ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। এ বিষয়ে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাসও ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি আশা প্রকাশ করেন ডাকঘর ডিজিটাল হলে দুর্নীতি থাকবে না।

 

মন্ত্রী গতকাল ঢাকায় জিপিও মিলনায়তনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

 

ডাক ও টেলিযোগাযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের সবচেয়ে বড় অবদান হচ্ছে   এই জনপদের জন্য তাঁর মহান ত্যাগ।  তিনি বলেন, আমাদের একজন বঙ্গবন্ধু ছিলেন বলেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরের বাংলাদেশের অর্জন তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দারিদ্র্যমুক্ত এবং ৩৬ সালের বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৪তম অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশ এবং ৪১ সালের বাংলাদেশ হবে উন্নত বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে  আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি এ সময় মুক্তিযুদ্ধে ডাক বিভাগের কর্মীদের অবদানের জন্য তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ খলিলুর রহমান এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সিরাজ উদ্দিন বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডাক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মুসলেহ উদ্দিন হাওলাদার সভাপতিত্ব করেন।

 

 

 

#

শেফায়েত/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/১৭২১ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                      নম্বর : ৬১৫৪

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ১৬ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) :

           বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, বিমানবন্দরে কর্মরত সকল সংস্থার কর্মীদের যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও মোকাবেলা করার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার সাথে দেশের ভাবমূর্তি জড়িত। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোনো ধরনের আপোস করা চলবে না। নিরাপত্তা বিঘ্নকারীদের কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।

          আজ সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত অগ্নিনির্বাপণ মহড়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ-উল আহসানের পরিচালনায় অগ্নিনির্বাপণ মহড়ায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, আনসার, স্বাস্থ্য বিভাগ, কুর্মিটোলা হাসপাতাল, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ বিভিন্ন সংস্থা অংশ নেয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার সনদ প্রাপ্তির লক্ষ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মহড়াটি আয়োজন করা হলেও এর অভিজ্ঞতা সকলের জন্য শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে। সত্যিকার দুর্ঘটনার সময় তা যথাযথভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হবে।

          বিমান প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে দেশের সকল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও বিমান দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের সকল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানের যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে দেশের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা আগের থেকে অনেক উন্নত ও আধুনিক। তিনি বলেন, এটি দেশের প্রধান বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরের মাধ্যমেই দেশের সিংহভাগ মানুষ ভ্রমণ করেন। যাত্রীসেবার উন্নয়নে তৃতীয় টার্মিনালের কাজ চলমান আছে, যা এখন দৃশ্যমান। নান্দনিক সৌন্দর্যের তৃতীয় টার্মিনালে অবকাঠামোগত সকল সুযোগ-সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। দেশি-বিদেশি যাত্রীগণ এই টার্মিনালের মাধ্যমে ভ্রমণকালে পাবেন আন্তর্জাতিক মানের সেবা।

উল্লেখ্য, বিমানবন্দরে যদি কোন বিমানে আগুন লাগে, তখন কীভাবে, কখন, কে, কী পদক্ষেপ নেবে; সেই মহড়া করা হয়েছে । কোনও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজে আগুন লাগলে কীভাবে তা মোকাবেলা করা হবে, সেজন্য প্রতি দুই বছর পর পর মহড়ার বিধান করেছে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমাবন্দরগুলোতে নিয়মিত এ ধরনের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

          অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মফিদুর রহমান, সহকারি বিমান বাহিনী প্রধান (রক্ষণাবেক্ষণ) এয়ার ভাইস মার্শাল সাদে উদ্দিন আহমেদ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল, বেবিচকের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমডোর সাদিকুর রহমান চৌধুরী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

#

তানভীর/মেহেদী/গিয়াস/রেজ্জাকুল/মাসুম/২০২১/১৩১৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                           

2021-12-31-16-23-d84d9676978464f525492d8f3cd92e97.doc