Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩rd মে ২০২৩

তথ্যবিবরণী ৩ মে ২০২৩

ত 

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ১৬৫৩

 

সাম্প্রদায়িকতা রুখতে তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত করতে হবে

                                                 -- ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ২০ বৈশাখ (৩ মে):

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত করতে হবে এবং তাদের মাঝেও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হয়েছে। পরাজয়ের ইতিহাস তাদের নেই।  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে  মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত অপশক্তির প্রেতাত্মারা গুজব, অপপ্রচারের মাধ্যমে দেশের শান্তি, উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টের যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে তা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি বিশেষ করে তরুণ সমাজকেই মোকাবেলা করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে যে বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন, আমাদের নতুন প্রজন্মকে সেই বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়াই করতে হবে।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে শহিদ জননী জাহানারা ইমামের ৯৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ‌্যে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ‘জাহানারা ইমামের আন্দোলন : তরুণদের করণীয়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কথা সাহিত্যিক অধ‌্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, শহিদ সন্তান অধ‌্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, সমাজ কর্মী হাসান আবদুল্লা বিপ্লব বক্তৃতা করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জাহানারা ইমামকে সকল মুক্তিযোদ্ধার মায়েদের প্রতিনিধি উল্লেখ করে বলেন, তিনি গোটা জাতির শ্রদ্ধার পাত্র। শহিদ জননী জাহানারা ইমাম এই দেশের জন্মের জন্য নিদারুণ আত্মত্যাগের একটি নাম। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার বলেন, মুক্তিযুদ্ধে জাহানারা ইমামের ত্যাগ দেশপ্রেমের সর্বোচ্চ উদাহরণ। জাহানারা ইমাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং একাত্তরের ঘাতকদের বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী ব্যাপক গণআন্দোলন পরিচালনা করেন  উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জাহানারা ইমাম দেখিয়েছেন লড়াইয়ের কোনো বয়স নাই।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ভার্চুয়াল জগতে সম্মানিত ব্যক্তিরা সমালোচিত হন আবার অযোগ্যরা সমাদৃত হচ্ছেন। তিনি সাংস্কৃতিক বিকাশের মাধ্যমে এই অসমতা দূর করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ডিজিটাল অপরাধ দমনে আইনের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য উল্লেখ করে বলেন, আইনের অপপ্রয়োগের জন্য আইনকে দোষারোপ করা যায় না। এছাড়া গুজব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  তরুণ সমাজের সক্রিয় থাকার প্রয়োজনীয়তার ওপর মন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন। এর ফলে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি অশুভ তৎপরতা নিয়ে এগুতে পারবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।

#

শেফায়েত/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০২৩/২১৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ১৬৫২

বাংলাদেশ ও ইইউ দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব আরো গভীর করতে সম্মত হয়েছে

                                                              - পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২০ বৈশাখ (৩ মে) :

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ইইউ অংশীদারিত্ব আরো গভীর করতে সম্মত হয়েছে।

ব্রাসেলসে ২ ও ৩ মে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলমের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব বিষয়ক কমিশনার জুটা উরপিলাইনেন, স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিশনার ইলভা জোহানসন, ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক কমিশনার জেনেজ লেনারসিচ, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান বার্ন্ড ল্যাঞ্জ, পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ডেভিড ম্যাকঅ্যালিস্টার এবং মানবাধিকার বিষয়ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোরের পৃথক বৈঠকে এ আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের অসাধারণ উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রশংসা করে বাংলাদেশকে একটি সাফল্যের গল্প বলে অভিহিত করেছে। অপরদিকে স্বাধীনতার পর থেকে দেশের উন্নয়নে ইইউ-এর ভূমিকা বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে দেশের সামাজিক কাঠামোতে ইতিবাচক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ইবিএ-এর অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। এছাড়া স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা হতে উত্তরণের প্রস্তুতি সম্পর্কে ইইউকে অবহিত করে ভবিষ্যতে ইইউ-এর আরো বড় ভূমিকা পালনের আশা প্রকাশ করা হয়। একই সাথে এলডিসি-পরবর্তী বাণিজ্য সম্পর্ক, ইইউ-এর গ্লোবাল গেটওয়ে উদ্যোগের অধীনে অবকাঠামো উন্নয়ন, গ্রিন ট্রানজিশন, দক্ষ অভিবাসন, মানবাধিকার উন্নয়নের বিষয়গুলো বৈঠকে উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশ ও ইইউ এর সম্পর্ককে আরো সুসংহত করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি ভিত্তি হিসেবে অংশীদারিত্ব সহযোগিতা চুক্তি দ্রুত শুরুর আশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।

এসময় বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনৈতিক ও মানবিক সহায়তার প্রশংসা করেছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্যেও ইইউ-এর সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ। বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ইন্দো-প্যাসিফিক, মানব পাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান প্রতিরোধসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ইস্যুতে উভয় পক্ষ মতবিনিময় করেছে।

বৈঠকে সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, বেলজিয়াম ও ইইউতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম ব্রাসেলসে চারদিনের সরকারি সফরে রয়েছেন। এ সফরে ইউরোপীয় কমিশনের কমিশনার এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও ইউরোপীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সাথে মতবিনিময় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকারের কথা রয়েছে।

#

মোহসিন/রাহাত/মোশারফ/শামীম/২০২৩/২১১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ১৬৫১

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সচিবকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন পার্বত্য মন্ত্রী

ঢাকা, ২০ বৈশাখ (৩ মে):

          পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরামের ২২ তম অধিবেশন শেষে আজ নিজ দপ্তরে উপস্থিত হলে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।

          এসময় সরকারের কাজের গতিকে আরো গতিশীল করার জন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন মন্ত্রী।

          এছাড়া বৈসাবি উৎসব ও ঈদ পর্ব উদ্যাপন শেষে এবং বৌদ্ধ পূর্ণিমার আগের দিন আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে মন্ত্রী বীর বাহাদুর স্ব-উদ্যোগে পিঠা, শ্যামাই ও মিষ্টান্ন ভোজের আয়োজন করেন।

          এসময় অন্যান্যের মধ্যে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম, অতিরিক্ত সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম, যুগ্ম সচিব আলেয়া আক্তার, যুগ্ম সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এনডিসি, যুগ্মসচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি, উপসচিব সজল কান্তি বণিক, উপসচিব আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ, উপসচিব আশীস কুমার সাহা, উপসচিব কাজী মোহাম্মদ চাহেল তস্তরী, সিনিয়র সহকারী সচিব মালেকা পারভীন, সিনিয়র সহকারী সচিব মুন্না রাণী বিশ্বাস ও সহকারী সচিব প্রীতি মায়া চাকমা।

          উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরামের ২২তম অধিবেশনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে। মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরামের অধিবেশনে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের অর্জনগুলোকে তুলে ধরে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলের বক্তব্য বিচার বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতিকে স্বাগত জানিয়েছে আদিবাসী সংক্রান্ত জাতিসংঘের স্থায়ী ফোরাম।

#

  রেজুয়ান/পাশা/রাহাত/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/২১৩০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ১৬৫০

 

সাংবাদিক কামরুল ইসলামের মৃত্যুতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর শোক

 

ঢাকা, ২০ বৈশাখ (৩ মে):

 

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক কামরুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

 

ড. হাছান মাহ্‌মুদ আজ এক শোকবার্তায় বলেন, তাঁর মতো পথিকৃৎ সাংবাদিক ও সংগঠক আরো বেঁচে থাকলে দেশের সংবাদমাধ্যমে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারতেন। তিনি দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। অর্থনীতি বিষয়ক সাংবাদিকতায় সুনাম অর্জনকারী ও অন্যতম প্রধান পরিবেশ সাংবাদিক হিসেবে খ্যাত কামরুল ইসলামের মৃত্যু সাংবাদিকতার জগতে এক বেদনাবিধুর বিয়োগান্তক ঘটনা।

 

শোকাহত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

 

উল্লেখ্য, গতকাল রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কামরুল ইসলাম (৬৩) ইন্তেকাল করেন।

 

#

 

আকরাম/পাশা/রাহাত/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/১৮৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর: ১৬৪৯

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

 ঢাকা, ২০ বৈশাখ (৩ মে) :                          

 

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ২৩ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ৪৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।          

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪৬ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৫৭    হাজার ৭৯৫ জন।

 

                                                      # 

 

সুলতানা/পাশা/রফিকুল/লিখন/২০২৩/১৯০৪ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ১৬৪৮

 

বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে উদাহরণ

                                                       -- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ২০ বৈশাখ (৩ মে):

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বিস্তৃতি উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ। আমরা মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করি, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। প্রতিবেশী অনেক দেশেই গণমাধ্যমের এরকম বিস্তৃতি ঘটেনি এবং এমন অবাধ স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে কাজ করে না। একই সাথে তিনি বলেন, স্বাধীনতার সাথে দায়িত্বশীলতাকে যোগ করতে পারলেই গণমাধ্যম সঠিকভাবে পরিচালিত হয়। আর যদি স্বাধীনতার সাথে দায়িত্বশীলতা না থাকে তাহলে অনেক ক্ষেত্রে সমাজের ক্ষতি হয়, রাষ্ট্রেরও ক্ষতি হয়।

আজ রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘মানবাধিকার সংরক্ষণ ও গণতন্ত্র সম্প্রসারণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী  এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি বেগম ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, দৈনিক সমকাল সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আইয়ুব ভুঁইয়া প্রমুখ তাদের আলোচনায় দেশে গণমাধ্যমের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পথযাত্রা নিয়ে বক্তব্য রাখেন।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতন্ত্র এবং গণমাধ্যম একে অপরের পরিপূরক। গণমাধ্যম ব্যতিরেকে গণতন্ত্র হতে পারে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বচ্ছতা ব্যতিরেকে গণতন্ত্র কখনো পথ চলতে পারে না, গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা টিকে থাকতে পারে না। সে কারণে গণতন্ত্রকে সংহত করতে হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অবশ্যই প্রয়োজন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গণতন্ত্র ও বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থার বিকাশ, ন্যায়ভিত্তিক-বিতর্কভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করার লক্ষ্যে গণমাধ্যমের বিস্তৃতি এবং স্বাধীনতার ওপর জোর দিয়েছে উল্লেখ করে পরিসংখ্যান দিয়ে হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘গত ১৪ বছরে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনসহ সম্প্রচারে আসা টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা ৩৯টি, খুব সহসা আরো কয়েকটি সম্প্রচারে আসবে। বেসরকারি টেলিভিশন এবং বেতারের যাত্রাও শুরু হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। আমরা যখন ২০০৯ সালে সরকার গঠন করি তখন টিভি চ্যানেল ছিলো ১০টি আর দৈনিক পত্রিকা ছিলো সাড়ে ৪শ’ যা এখন ১২৬০। ২২টি বেসরকারি এফএম রেডিও’র লাইসেন্স দেওয়া আছে, ১২টি সম্প্রচারে আছে, কয়েক ডজন কমিউনিটি রেডিও’র লাইসেন্স দেওয়া আছে যার বেশিরভাগই সম্প্রচারে আছে। অনলাইন গণমাধ্যম কয় শত কিংবা কয় হাজার সেটি একটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যাপার। ইতোমধ্যে ২ শতাধিক অনলাইন গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে, পত্রিকা এবং টেলিভিশনের অনলাইনসহ সেটা আরো অনেক বেশি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এর ফলে আজকে হাজার হাজার সাংবাদিক গণমাধ্যমে কাজ করছে। আজকে যারা বিদগ্ধ সাংবাদিক তারা তাদের এই ‘ট্যালেন্ট’ প্রকাশ করার সুযোগ পেতেন না যদি গণমাধ্যমের এরকম ব্যাপক বিস্তৃতি না ঘটত। পৃথিবীর আশপাশের দেশে গণমাধ্যমের এরকম বিস্তৃতি ঘটেনি এবং এরকম অবাধ স্বাধীনতার মধ্যে কাজ করে না। কয়েকটি ছাড়া প্রায় সকল টেলিভিশন আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরেই অনুমোদন পেয়েছে। আর সকল টেলিভিশনে প্রতিদিন রাতের বেলায় টক শো’তে সরকারের সমালোচনা হয়। সংবাদ যখন প্রকাশ করা হয় তখনও সরকারের ব্যাপক আলোচনা হয়। এ ক্ষেত্রে সরকার কখনো হস্তক্ষেপ করে না। কারণ আমরা মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করি, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।’

হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘আমরা কথায় কথায় সিঙ্গাপুরের উদাহরণ দেই। একটি জেলে পল্লী থেকে কিভাবে সিঙ্গাপুর উন্নত দেশে রূপান্তরিত হল। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত প্রায় সব দেশের চেয়ে সিঙ্গাপুরের মাথাপিছু আয় বেশি। সিঙ্গাপুরের ৪টি চ্যানেল রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পত্রিকাও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত। থাইল্যান্ডে সব টেলিভিশন চ্যানেল ফিড একটা জায়গা থেকে আপলিংক করা হয়। কোনো কনটেন্ট পছন্দনীয় না হলে তা অফ করে দিয়ে বিজ্ঞাপন বা অন্য কিছু দেওয়া হয়। আমাদের দেশে তা নয়। মালয়েশিয়ার ৮০ দশক পর্যন্ত আমাদের দেশে পড়তে আসতো। এখন আমাদের ছেলেমেয়েরা সেখানে যাচ্ছে। তারা কিভাবে এই জায়গায় এলো সেটি একটি বিস্ময়। সেখানে গণমাধ্যমের এই স্বাধীনতা নাই, বিস্তৃতিও নাই।’

ইউরোপের দেশগুলোর উদাহরণ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্রের অনেক ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যকে অনুসরণের চেষ্টা করি। সেখানে প্রতি সপ্তাহে ভুল বা অসত্য সংবাদ পরিবেশন কিংবা কারো ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নষ্ট হওয়ার দায়ে গণমাধ্যমকে প্রতিনিয়ত মোটা অংকের জরিমানা গুনতে হয়। বিবিসিতে একজন এমপির বিরুদ্ধে ভুল সংবাদ পরিবেশিত হওয়ার কারণে পুরো বিবিসি টিমকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। ১৩০ বছরের পুরনো পত্রিকা ‘নিউজ অব দ্যা ওয়ার্ল্ড’ একটি ভুল অসত্য সংবাদ পরিবেশনের কারণে কয়েক মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা পরিশোধ করতে গিয়ে দেউলিয়া হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের দেশে এ ধরণের ঘটনা কখনো ঘটেনি। কন্টিনেন্টাল ইউরোপেও যুক্তরাজ্যের মতোই ভুল বা অসত্য সংবাদ পরিবেশনের কারণে গণমাধ্যমকে মোটা অংকের জরিমানা গুনতে হয়, শাস্তি পেতে হয়।’

‘পত্রিকায় পুঁজির দৌরাত্ম্য আজকে দেশে একটা সমস্যা’ উল্লেখ করে হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘যখন সংবাদমাধ্যমে পুঁজি বিনিয়োগ হয়, সেই পুঁজির দৌরাত্ম্য সাংবাদিকদের ওপর খড়গ বসায়, তাদের কাজে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়। সরকারের পক্ষ থেকে কি প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে সেটি নিয়ে আমরা সবসময় আলোচনা করি কিন্তু আমি মনে করি সুস্থভাবে, অবাধে, ভয়হীন পরিবেশে কাজ করার ক্ষেত্রে মালিক পক্ষের পুঁজির দৌরাত্ম্য একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। কয়েকজন সাংবাদিক নেতা প্রশ্ন রেখেছেন, ব্যাংকের মতো সংবাদ মাধ্যমের পরিচালনা পর্ষদে কেন সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে না, ইন্ডিপেনডেন্ট ডিরেক্টর থাকবে না!’

এ সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবসময় বলেছি আজকেও বলবো, একজন সাংবাদিক, গৃহিনী, চাকরিজীবী, কৃষক অর্থাৎ সর্বক্ষেত্রে সব মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যই এই আইন। অনেক সাংবাদিকও এই আইনে ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ক’দিন আগে একজন নারী সাংবাদিক তার চরিত্র হননের প্রতিকারের জন্য এই আইনে আরেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।’

হাছান বলেন, ‘আজকের আলোচনায় সাংবাদিকরাও বলেছেন, এ আইনের প্রয়োজন রয়েছে। এ ধরনের আইন আজকে পৃথিবীর প্রায় সব দেশে করেছে। অনেক দেশে এই আইন আমাদের চেয়ে কঠোর। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অঙ্গরাজ্য ছাড়া অন্যগুলোতে ফাঁসি নাই। কিন্তু সেখানে ডিজিটাল অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। যুক্তরাজ্যের লোকসংখ্যা আমাদের তিন ভাগের এক ভাগ, ৬ কোটির একটু বেশি। সেখানে প্রতি মাসে কয়েক ডজন মানুষ গ্রেপ্তার হয়। আমাদের দেশে হয় না। একজন গ্রেপ্তার হলে সেটা পত্রিকা শিরোনাম হয়।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সেই সাথে অবশ্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। কারণে-অকারণে মামলা ঠুকে দেওয়া, সাথে সাথে আবার গ্রেপ্তার করা- এগুলো অবশ্যই বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। সে ব্যাপারে আমি একমত। কোনো একটা গোষ্ঠীকে কোনো আইন থেকে বাদ দেওয়া সেটি সমীচীন হয় কিন্তু কোনো আইন যেন অপপ্রয়োগ না হয় বা কারো ওপর অপপ্রয়োগ না হয় সেটি আমাদের নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আগের তুলনায় অপপ্রয়োগ কমেছে, অপপ্রয়োগটা শূণ্যের কোটায় নিয়ে আসা প্রয়োজন।’

#

আকরাম/পাশা/রফিকুল/শামীম/২০২৩/১৮৪০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ১৬৪৭

উপকূলীয় ও লবণাক্ত এলাকায় প্রথমবার বোরো চাষ করে রেকর্ড ফলন

ঢাকা, ২০ বৈশাখ (৩ মে):

          বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের চরগাছিয়া গ্রামের একটি মাঠে ২০০ বিঘা জমি প্রথমবারের মতো বোরো চাষের আওতায় এসেছে, আগের বছরগুলোতে এই সময়ে পতিত থাকত। এবছর মাঠজুড়ে চাষ করা হয়েছে ব্রি-ধান ৬৭, ৭৪, ৮৯, ৯২, ৯৯ ও বঙ্গবন্ধু ধান ১০০। প্রতি বিঘাতে ব্রি-ধান ৮৯ হয়েছে ৩৭ মণ, ব্রি-৬৭ হয়েছে ২৮ মণ, ব্রি-৭৪ পাওয়া গেছে ২৮ মন, ব্রি-৯৯ হয়েছে ২৮ মণ ও ব্রি-৯২ হয়েছে ৩৩ মণ। আজ নমুনা শস্য কর্তনে এই রেকর্ড ফলন পাওয়া গেছে।

          বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্যোগে এবং উপকূলীয় শস্য নিবিড়িকরণ কর্মসূচি’র আওতায় এই ২০০ বিঘা (২৭ হেক্টর) জমিতে ব্রি-ধান ৬৭, ব্রি- ধান ৭৪, ব্রি-ধান৮৯, বি- ধান ৯২, ব্রি-ধান ৯৭ ও ব্রি-ধান ৯৯ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। ৩০০ জন কৃষককে বীজ, সেচ, সারসহ সকল উপকরণ বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে। খাল থেকে পানি এনে সেচ সুবিধা দেয়া হয়েছে, প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেয়া হয়েছে।

          নমুনা কর্তন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)-এর মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান মোঃ মনিরুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বরিশালের অতিরিক্ত পরিচালক শওকত ওসমান, ব্রি-বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের কাজী শিরিন আখতার জাহান, বরগুনার উপপরিচালক সৈয়দ জোবায়দুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

          এসময় ব্রি’র মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর বলেন, ধানের অবিশ্বাস্য ফলন হয়েছে। দেশের আর কোথাও বিঘাতে ৩৬ মণ ফলন পাইনি। তিনি বলেন, এবছর সম্ভাবনাময় ৫-৬টা জাত চাষ হয়েছে। যেগুলোর ফলন তুলনামূলক বেশি পাওয়া যাবে, আগামী বছর সেটির চাষ করা হবে।

          উল্লেখ্য, দেশের প্রায় ২৫ শতাংশ এলাকা হচ্ছে উপকূলীয় এলাকা। বরিশাল অঞ্চলে বিশেষত বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও বরিশাল জেলায় শুকনো মৌসুমে অনেক জমি পতিত থাকে। লবণাক্ততার কারণে বেশিরভাগ এলাকায় সারা বছরে একটি ফসল হয়। আমন ধান তোলার পর বছরের বাকি সময়টা মাঠের পর মাঠ জমি অলস পড়ে থাকে। এছাড়া লবণ পানির ভয়াবহতার কারণে প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে উপকূলীয় এলাকায় ৫ লাখেরও বেশি হেক্টর জমি অনাবাদি থেকে যায়।

          সেজন্য সেচ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে ‘উপকূলীয় শস্য নিবিড়িকরণ’ নামে একটি কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

#

কামরুল/পাশা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/১৯১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ১৬৪৬

 

নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বড় বাধা নির্যাতন

                                   -- ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা

 ঢাকা, ২০ বৈশাখ (৩ মে) :                          

 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারী নির্যাতন নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বড় বাধা। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। এ প্রেক্ষিত মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে বিভিন্ন প্রকল্প, আইন ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।

 

          প্রতিমন্ত্রী আজ ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ও ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরির কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংশোধন আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড   ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করায় দ্রুত অপরাধী শনাক্ত এবং ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা যাচ্ছে। এর ফলে নির্যাতন ও সহিংসতা কমেছে। পুর্বে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ছিল ৪৫ টি, সরকার ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়িয়ে ১০৬ টি করেছে। তিনি বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্র্রোগ্রাম প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় ১৪টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ৪৭টি জেলা সদর হাসপাতাল এবং ২০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৬৭টি ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল স্থাপন করা হয়েছে।

 

          ইন্দিরা বলেন, নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি ৭ টি বিভাগ এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিভাগীয় ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের জন্য মনোসামাজিক কাউন্সেলিং প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকায় ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেণ্টার এবং  ৮ টি রিজিওনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ন্যাশনাল হট লাইন  ১০৯ থেকে ২৪ ঘণ্টা  এ সময় বিনামূল্যে সেবা প্রদান করা হয়। এ সময় প্রতিমন্ত্রী ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাব্রেটরিকে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ ডিএনএ ল্যাবরেটরি করা হবে বলে ঘোষণা দেন।

 

          প্রতিমন্ত্রী পরে সার্কিট হাউজ সভাকক্ষে মহিল ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। তিনি ফরিদপুরের গোয়ালচামটে আইজিএ প্রকল্পের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

#

আলমগীর/পাশা/রফিকুল/লিখন/২০২৩/১৪৪৪ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ১৬৪৫

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না

       --আইনমন্ত্রী

ঢাকা, ২০ বৈশাখ (৩ মে) :

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল হবে না। তিনি বলেন, প্রত্যেকটা আইনের মধ্যেই যারা সত্য সাংবাদিকতা করেন তাদের সুরক্ষার জন্য প্রভিশন থাকবে। 

আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষ্যে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত ‘শেপিং আ ফিউচার অভ্ রাইটস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে সরকার কাজ করছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ইডজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে শুধ সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ করার জন্য। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার কখনও সংবাদ ক্ষেত্রের স্বাধীনতা হরণ করবে না। কারণ বঙ্গবন্ধু তাঁর দেওয়া সংবিধানে সংবাদ ক্ষেত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দানসহ একে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন। শেখ হাসিনা নিজেও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বসী। তিনি সংবাদ ক্ষেত্রের স্বাধীনতাকে সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করে দিয়েছেন, ৪০টির অধিক টেলিভিশন চ্যানেল, ২২টি এফএম রেডিও এবং ১৭টি কমিউনিটি রেডিও অনুমোদন দিয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সংবিধান উপহার দেন, তার ৩৯ অনুচ্ছেদে প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদ ক্ষেত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হয়। শুধু তাই নয়, বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদ ক্ষেত্রের স্বাধীনতাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর সেগুলো নির্বিচারে লঙ্ঘন করা হয়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর দেশে প্রথমবারের মতো বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুমোদন দেন। এসব টেলিভিশন চালু হওয়ার পর সেগুলোতে প্রচলিত অনুষ্ঠান সম্প্রচারের পাশাপাশি নতুন ধারার অনুষ্ঠান টকশো ও লাইভ নিউজ সম্প্রচার শুরু হয় এবং এর মাধ্যমে দেশে সংবাদ মাধ্যম ও বাক-স্বাধীনতার নব দিগন্ত উন্মোচিত হয়। তিনি ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে অভিযাত্রা শুরু করেন তাঁর ফলে আজ বাংলাদেশে অনলাইন মিডিয়া ও স্যোশাল মিডিয়ার বিপ্লব ঘটেছে। ফলে দেশে প্রায় কয়েক হাজার অনলাইন মিডিয়া ও নিউজ পোর্টাল কাজ করছে।

সাইবার অপরাধ দমনের জন্য সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম. ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশে আইন প্রণয়নের উদাহরণ টেনে আনিসুল হক বলেন,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকা

2023-05-03-16-33-a89c7e6f360bd4d59b87d17c8f0a0390.docx