Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ মার্চ ২০২১

তথ্যবিবরণী ২৮ মার্চ ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ১৫৬১

উন্নয়ন অগ্রযাত্রার এই দেশে কোন ধ্বংসাত্মক চেষ্টা চালিয়ে আর লাভ নেই

                                                           --নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
 

বিরল (দিনাজপুর), ১৪ চৈত্র (২৮ মার্চ) :

          নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ যখন গর্ব ও অহংকারের সাথে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদ্‌যাপন করছে, তখন স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। তাই তারা এখনও রক্ত নিয়ে খেলা করার অপচেষ্টা করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সব জেনে গেছে, বুঝে গেছে। তাই উন্নয়ন অগ্রযাত্রার এই দেশে কোন ধ্বংসাত্মক চেষ্টা চালিয়ে আর লাভ নেই।


          প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুরের বিরলে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী : স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ” কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।


          বিরল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনাত রহমান।


          এর আগে বিরল সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট এর চুড়ান্ত খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী  প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন। খেলায় বিরল শংকরপুর মিতালী সংঘকে টাইব্রেকারে পরাজিত করে চিরিরবন্দর ডাঃ হারেস উদ্দীন ফুটবল একাডেমি চ্যাম্পিয়ন হয়। এই টুর্নামেন্টে ১৬টি দল অংশ নেয়।


#

 

জাহাঙ্গীর/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২১/২২৪৮ ঘণ্টা


তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ১৫৬০

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল প্রযুক্তির দক্ষতা অর্জন অপরিহার্য

                                                                  -- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ১৪ চৈত্র (২৮ মার্চ) :

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির  উৎকর্ষের ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যমান পেশার প্রায় অর্ধেক  বিলুপ্ত হবে। এর ফলে  চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রচলিত  প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শিল্প বিপ্লব উপযোগী বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন অপরিহার্য। এই লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রচলিত শিক্ষায় শিক্ষিত বিদ্যমান শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

          মন্ত্রী আজ ঢাকায় অনলাইনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী স্বাধীনতার পঞ্চশ বছরের বাংলাদেশের অগ্রগতির বর্ণনা দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্প্ন্ন গতিশীল ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর লালিত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে। স্বাধীনতা আমাদের রক্তে কেনা অর্জন। আমাদের এই অর্জন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো একজন  মহামানবের জন্ম এই মাটিতে হয়েছিলো বলে সম্ভব হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমার প্রজন্মের জন্য স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর এবং জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ পালন করা খুবই সৌভাগ্যের। তিনি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বকে সমকালীন বিশ্বের বিস্ময় উল্লেখ করে বলেন, হুচিমিন, মাওসেতুং, চেগুয়েভার, লেলিন কিংবা স্টালিন তাদের সাথে বঙ্গবন্ধুকে তুলনা করলে বলা যাবে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অনন্য। পঞ্চাশ বছরের বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৭ বছরের বাংলাদেশের অগ্রগতির তুলনামুলক পার্থক্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তর পরবর্তী দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশ ছিলো অপশক্তির হাতে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রটিকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত ছিলো। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির এই চক্রান্ত এখনো থেমে নেই। এদের সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান। মন্ত্রী আগামী দিনের কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স, আইওটি, বিগডেটা কিংবা ব্লকচেইন প্রযুক্তির জন্য উপযোগী মানবসম্পদ তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এক্ষেত্রে শিক্ষা ব্যবস্থার রূপান্তর ঘটাতে হবে। আমাদের জনসম্পদকে দক্ষমানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

          নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম মজিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ২১শে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কবি নুরুল হুদা  এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অভ্ ট্রাস্টির চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বক্তৃতা করেন।

          অনুষ্ঠানে বক্তারা বাংলাদেশের অগ্রগতির বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। তারা বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুর অবদান ও  পঞ্চাশ বছরের বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন।

#

শেফায়েত/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২১/২২০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ১৫৫৯

মানুষের প্রতি নিখাঁদ ভালোবাসার কারণেই বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন

                                                                     -- প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য

ঢাকা, ১৪ চৈত্র (২৮ মার্চ) :

          পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের মানুষের জন‍্য যে অবদান রেখে গেছেন তা বাঙালি জাতি চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। বঙ্গবন্ধু যে অবদান, যে কষ্ট, যে ত‍্যাগ তা অনস্বীকার্য। তিনি দীর্ঘদিন জেল খেটেছেন, সংগ‍্রাম করেছেন  মানুষের প্রতি অকৃত্রিম, নিখাঁদ ভালবাসার জন‍্য। নিজের জীবন উৎসর্গ করে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন।

          আজ মণিরামপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ‍্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষে  ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ’ শীর্ষক দুই দিনব‍্যাপী উন্নয়ন মেলার সমাপনী দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন,  জাতির পিতার  স্বপ্ন ছিল  দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁরই সুযোগ‍্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলছে। দেশ এখন আত্মমর্যাদা ও উন্নয়নশীল জাতি হিসেবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম উন্নত ও গর্বিত জাতি হিসেবে পৃথিবীর বুকে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াবে। সেই প্রত‍্যাশায় সেই লক্ষ‍্যে সবাইকে একযোগে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে সহযোগিতা করতে হবে।

          প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, তিন বছরের মধ্যে মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসকে একটি মনোরম পার্ক হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সেই লক্ষ্যে মাস্টারপ্লান করে পরিকল্পিতভাবে কাজ করা হচ্ছে। 

          উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসানের সভাপতিত্বে অন‍্যান‍্যের মধ‍্যে আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও  পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) পলাশ কুমার দেবনাথ প্রমুখ।

#

আহসান/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২১/২২০২ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ১৫৫৮

বর্তমান সভ্যতার চালিকাশক্তি হচ্ছে ইন্টারনেট

                            -- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ১৪ চৈত্র (২৮ মার্চ) :

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বর্তমান সভ্যতার চালিকাশক্তি হচ্ছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেটভিত্তিক মহাসড়ক দেশব্যাপী গড়ে তুলতে না পারলে উন্নয়নের মহাযাত্রা এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। এই লক্ষ্যই দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় ডিজিটাল অবকাঠামো পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের ৯৮ ভাগ এলাকা টেলিকম নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে এবং হাওর, দ্বীপ ও দুর্গম চরাঞ্চলসহ দেশের প্রতিটি উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। এ বছরের মধ্যেই দেশের প্রতিটি মানুষের দ্বারপ্রান্তে উচ্চগতির ব্যান্ডউইডথ পৌঁছে দিতে  ও ফাইভজি চালু করতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

          মন্ত্রী আজ ঢাকায়  দেশব্যাপী গ্রামীণফোনের ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

          উল্লেখ্য কোভিড পরিস্থিতিতে মন্ত্রী মোবাইল অপারেটরসমূহকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য তাগিদ দেন। এরই অংশ হিসেবে গ্রামীণফোন ফোরজি সম্প্রসারণ কাজ দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

          মন্ত্রী বলেন, দেশের বেশিরভাগ মানুষ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। এর মধ্য দিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষেরাও ফোরজি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার সুযোগ পাবে যা ছিলো আমাদের দীর্ঘ প্রত্যাশিত। সরকারের প্রত্যাশা পূরণে অন্য মোবাইল অপারেটরগণ এগিয়ে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, কোভিড-১৯ এর পর ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা ও ব্যবহার যেমন বেড়েছে তেমনি মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগ করতে পেরেছে। মন্ত্রী গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের এই কর্মযজ্ঞকে একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন। ভি-স্যাটের মাধ্যমে দেশে ডায়াল আপ ইন্টারনেটের যাত্রা শুরু হয়। অথচ ৯২ সালে তৎকালীন সরকারের অদূরদশীতার কারণে বিনা মাশুলে সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ থেকে দেশকে বঞ্চিত করা হয়। তিনি ২০০৮ সালে ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচিকে দেশের অগ্রগতির চালিকাশক্তি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন. গত ১২ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় আজকের বাংলাদেশ বিশ্বের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

          অনুষ্ঠানে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র এবং গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বক্তৃতা করেন।

#

শেফায়েত/নাইচ/রেজুয়ান/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২১/২১৫৬ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ১৫৫৭

 

বাংলাদেশ যখন 'বিশ্বে উন্নয়নের উদাহরণ' তখনও ধর্মান্ধরা দেশকে পিছিয়ে দিতে তৎপর

                                                                                 -- কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৪ চৈত্র (২৮ মার্চ) :

কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীতেই আলোড়ন তুলেছে, সারা পৃথিবী উদ্‌যাপনে শামিল হয়েছে। বিশ্বের যেসব দেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেনি, স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন দেয়নি বরং বিরোধিতা করেছে; সেসব দেশও এই উদ্‌যাপনে শামিল হয়েছে, বাংলাদেশকে 'বিশ্বে উন্নয়নের উদাহরণ' হিসেবে উল্লেখ করেছে। অথচ স্বাধীনতাবিরোধী, পাকিস্তানের এ দেশীয় দোসর-সহযোগী ও ধর্মান্ধরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদ্‌যাপনকে ভণ্ডুল ও  কালিমালিপ্ত করার জন্য অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। এই ধর্মান্ধদের ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। এ দেশ থেকে ধর্মান্ধদের মূলোৎপাটন করতে হবে।

কৃষিমন্ত্রী আজ ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

সম্প্রতি ২০ নাগরিকের দেয়া বিবৃতি প্রসঙ্গে ড. রাজ্জাক বলেন, বিএনপি, জামাত ও ধর্মান্ধরা যখন প্রতিবাদের নামে জ্বালাও-পোড়াও, জনগণ ও সরকারি সম্পদ নষ্টসহ সাধারণ নাগরিকের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে তখন  এই তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা সবসময়ই নীরব থাকেন। ভারতের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নিয়ে আসা হয়েছে। কোন  স্বৈরাচারকে নিয়ে আসা হয়নি। এটা নিয়ে ধর্মান্ধরা দেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ সারা দেশে প্রতিবাদের নামে জ্বালাও পোড়াও, জনগণ ও সরকারি সম্পদ নষ্টসহ সাধারণ নাগরিকের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। এ ধরনের আন্দোলন ও প্রতিবাদের অধিকার দেশের কোন নাগরিকের  নেই। শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার অধিকার সকল নাগরিকের রয়েছে। 

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (ভার্চুয়াল), জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আসাদুল্লাহ বক্তব্য রাখেন। মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বরেণ্য ইতিহাসবিদ  ড. মুনতাসীর মামুন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতাপাঠ করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল।

অর্থমন্ত্রী সভায় ভার্চুয়াল অংশ নিয়ে বলেন, অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। কৃষিতে এখনও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলোকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারলে দেশ আরো এগিয়ে যাবে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, দেশে দুটি শক্তি বিরাজমান। একটি উন্নয়নের পক্ষে আরেকটি ধ্বংসের পক্ষে। যারা দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই আজ এ দেশের উন্নয়নের বিপক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আগামী প্রজন্ম যেন উন্নত রাষ্ট্রে নিরাপদে ও স্বচ্ছন্দ্যে বাস করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদেরকে কাজ করতে হবে।

#

কামরুল/নাইচ/রেজুয়ান/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২১/২১৩৪ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ১৫৫৬

কুয়েতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উদ্যাপিত

ঢাকা ১৪ চৈত্র (২৮ মার্চ) :

          কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উদ্যাপনের অংশ হিসেবে জুম প্ল্যাটফর্মে ÔGolden Jubilee of Independence of Bangladesh: A thriving NationÕ শীর্ষক অনলাইন আলোচনা সভার আয়োজন করে।

          অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রধান অতিথি, রাষ্ট্রদূত আলি সুলাইমান আল-সাঈদ, এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী, কুয়েত বিশেষ অতিথি এবং ড. আতিউর রহমান, ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চেয়ারম্যান, উন্নয়ন ও সমন্বয়, প্রাক্তন গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক মূল বক্তা হিসেবে উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন। কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোঃ আশিকুজ্জামান আলোচনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

          প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবার, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। বক্তব্যে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। এছাড়া প্রধান অতিথি এসময় বিদেশি অতিথিদের তাদের সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্যে আমন্ত্রণ জানান।

          অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম -এর প্রেরিত শুভেচ্ছা ভিডিও বার্তা প্রদর্শিত করা হয়। মূল বক্তা ড. আতিউর রহমান তার বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, বাংলাদেশের সাথে কুয়েতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় তিনি ‘কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট’ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কুয়েতের অবদানের কথা তুলে ধরেন। এসময় তিনি উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে সরকার দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখে অত্যন্ত সফলতার সাথে করোনা মোকাবিলা করছে। করোনাকালেও এশিয়ার সবগুলো দেশের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি সর্বোচ্চ, যা ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ।

          অনুষ্ঠানের উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে অংশ নিয়ে কুয়েতে নিযুক্ত ভারত, ভুটান, শ্রীলংকা, নেপালের রাষ্ট্রদূতগণ এবং কুয়েতস্থ সেনেগাল ও ইয়েমেন দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান এবং কুয়েতের গণমাধ্যমের প্রতিনিধিগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।

#

তৌহিদুল/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২০৩৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                                                                                                                           নম্বর : ১৫৫৫

 

কারো রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থের জন্য ব্যবহৃত হবেন না

            ---মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষদের প্রতি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৪ চৈত্র (২৮ মার্চ) :

            কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত না হতে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ। সেইসাথে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব পালনে সরকার যে কোনো নৈরাজ্য দমন করার জন্য বদ্ধপরিকর, বলেন তিনি। 

            আজ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ আহ্বান ও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

            ড. হাছান বলেন, ‘২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালন না করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনকে অজুহাত বানিয়ে দেশ, রাষ্ট্র ও জনগণের সম্পত্তির ওপর আক্রমণ ও আগুন দিয়ে দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার পেছনে রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। কোমলমতি শিশু-কিশোরদেরকে রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা, রাজনৈতিক হাঙ্গামার মধ্যে ঠেলে তাদের দিয়ে সরকারি সম্পত্তিতে আগুন দেয়া অত্যন্ত ন্যক্কারজনক, অগ্রহণযোগ্য এবং দুষ্কৃতি মনোবৃত্তি।’

            ‘আমি কওমী মাদ্রাসার সাথে যুক্ত সকলকে অনুরোধ জানাবো, যে সমস্ত ব্যক্তি তাদের রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করার জন্য আপনাদেরকে ব্যবহারের অপচেষ্টা করছে, ব্যবহার করছে, তাদেরকে বর্জন করুন, তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবেন না এবং শিশু-কিশোরদেরকে ব্যবহার করবেন না’ বলেন মন্ত্রী। 

            কওমী মাদ্রাসার কল্যাণে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বহু কাজ করেছেন এবং ইসলামের খেদমতে তিনি যে সমস্ত কাজ করেছেন অতীতে তা কেউ করেনি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশে এই কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। প্রায় ১ লাখ মসজিদে স্থাপিত মক্তবের আলেমদের প্রতিমাসে সাড়ে ৪ হাজার টাকা করে ভাতাও তিনি চালু করেছেন। সারাদেশে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পও তিনি বাস্তবায়ন করে চলেছেন এবং শুধু কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়েই বঙ্গবন্ধুকন্যা ক্ষান্ত হননি বরং সেখান থেকে পাস করা অনেককে সরকারি চাকুরিও দিয়েছেন। এর আগে পঁচাত্তরের পরের অন্য সরকারগুলো  তাদের পাশে বসিয়ে মুরগির কল্লা-মাছের মাথাই খাইয়েছেন, স্বীকৃতি দেননি, বলেন তিনি। 

            ‘যারা নিজেদের আমিরকে হত্যা করার মতো অপকর্ম করে, তাদের হাতে ধর্ম, রাষ্ট্র কোনটাই নিরাপদ নয়’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত আমীর মওলানা আহমদ শফীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ এবং মামলা দায়ের করা হয়েছে যে, দলের হাঙ্গামাকারীরা মওলানা শফীর রাইস টিউব এবং অক্সিজেন টিউব খুলে নিয়েছিল এবং সেই কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।’ 

            বিএনপি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে লক্ষ্য করলাম যে, স্বাধীনতা দিবসে এই হামলা এবং হরতালকেও পরোক্ষভাবে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে, আর জামাত সরাসরি সমর্থন দিয়েছে। অর্থাৎ এই নৈরাজ্যের পেছনে বিএনপি-জামাত যে ওতোপ্রোতভাবে যুক্ত, সেটি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব গতকাল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে খোলাসা করে দিয়েছেন।’ 

            সম্প্রতি ২০ জনের বিবৃতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিবৃতিটি দেখেছি। যে ২০ জন বিবৃতি দিয়েছেন তাদেরকে বুদ্ধিজীবী বলতে আমার লজ্জা হচ্ছে। কারণ তাদের উচিত ছিল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিন যারা ধর্মের নামে হাঙ্গামা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেয়া। কিন্তু তারা সেটি না করে সরকারি সম্পত্তিতে আগুন দেয়া, ভূমি অফিস, রেলস্টেশন জ্বালিয়ে দেয়া, থানা ও সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণকারীদের পক্ষ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। এরপর তারা আর স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি বলে নিজেদের দাবি করতে পারেন না, টেলিভিশনের পর্দায় গিয়ে তারা সুশীল বলে দাবি করতে পারেন না, তারা উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সাথে মিশে গেছেন। তাই তাদেরকে বুদ্ধিজীবী বলতে লজ্জা হচ্ছে।’ 

 

#

আকরাম/পাশা/সাহেলা/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/২০১১ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ১৫৫৩

উন্নয়ন মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী

দেশের সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার
 

ঢাকা, ১৪ চৈত্র (২৮ মার্চ) :

          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশের সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সমাজের অবহেলিত এবং পিছিয়ে পড়া মানুষদের অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার। উপস্থিত জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশকে ভালোবাসতে হবে, দেশের উন্নয়নকে ভালোবাসতে হবে। দেশের উন্নয়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সবাই মিলে কাজ করলে ২০৪১ সালের মধ্যেই উন্নত দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ।


          আজ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী : স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ’ শীর্ষক দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপনী দিনের আলোচনা সভায় ঢাকাস্থ সরকারি বাসভবন হতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।


          মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সফল দেশ পরিচালনায় ২০২১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। বর্তমানে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, মাথাপিছু গড় আয় ২০৬৪ ডলার এবং মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ৭২ বছরে উন্নীত হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি যারা চায় না, তারা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপনকালেও হরতাল পালন করছে। তিনি বলেন, সবাই একত্রিত থাকলে কেউ বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে পারবে না।


          আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম আল ইমরান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ এবং ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ তাজ উদ্দিন প্রমুখ।

#

দীপংকর/সাহেলা/মোশারফ/রেজাউল/২০২১/১৯৫০ ঘণ্টা


তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ১৫৫৪

শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট করা হলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে

                                                    -- আইনমন্ত্রী

ঢাকা, ১৪ চৈত্র (২৮ মার্চ) :

            আইন, বিচার ও সংসদ  বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যারা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন নষ্ট করার চেষ্টা করছে তারা অবশ্যই  বাংলাদেশ ও মাতৃভূমির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দেখাচ্ছে না। তিনি বলেন,  বিগত ১২ বছর যাবৎ বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা  টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে সরকার সচেষ্ট।  সরকার কোনো ক্ষুদ্র গোষ্ঠীরও বক্তব্য দিতে বাধা দেবে না কিন্তু জনগণের শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট করা হলে, আইন অমান্য করে ভাঙচুর ও আক্রমণ চালানো হলে সরকার সে ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

            আজ ঢাকার গ্রিনরোডে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা) আয়োজিত  ইপিজেডের শ্রমিকদের জন্য বেপজার হেল্পলাইন সেবা উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

            অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ‘নতুন উদীয়মান অর্থনীতির দেশ’। ভৌগোলিক অবস্থান, সহজলভ্য, উৎপাদনশীল ও সহজে প্রশিক্ষণযোগ্য সম্ভাবনাময় শ্রমশক্তি এবং পরিমিত উৎপাদন ব্যয়ে এশিয়া এমনকি বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগের প্রধান আকর্ষণীয় ক্ষেত্র।

            মন্ত্রী বলেন, এটা খুবই প্রশংসনীয় যে বেপজা সবসময় শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষাকে প্রাধান্য দেয়। ইপিজেডগুলোতে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক যেমন শ্রমিক-মালিক-ব্যবস্থাপনা ঐক্যতানই এর প্রমাণ। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১০ বছরে ইপিজেডে ও ইপিজেডের বাইরের শ্রমিকদের বেতন তিনবার বৃদ্ধি করেছেন।  অধিকন্তু  ইপিজেডের শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা ও কল্যাণের জন্য আন্তর্জাতিক শ্রমমান অনুসারে সরকার একটি পূর্ণাঙ্গ ও পৃথক ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৯’ প্রণয়ন করেছে।

            মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন অনুসরণ করে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য  দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইপিজেড স্থাপন করা হয়েছে। ইপিজেডের কর্মীদের জন্য বেপজার হেল্পলাইন সেবা চালু একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ ইপিজেডের শ্রমিকদের পক্ষে খুব সহায়ক হবে এবং অভিযোগ মোকাবেলার মাধ্যমে সহজতর কর্ম পরিবেশ বজায় রাখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

            মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, বর্তমান সরকারের গতিশীল নেতৃত্বের সাথে একাত্ম হয়ে বাংলাদেশের গর্ব হিসেবে বেপজা তার বিক

2021-03-28-22-47-a1e5173cbdc539cbc968cc4626607cfd.docx