Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২০ এপ্রিল ২০২৫

তথ্যবিবরণী ২০ এপ্রিল ২০২৫

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর: ৩২৯৮

অসমর্থ ক্রীড়াবিদদের সহযোগিতার জন্য কাজ করছে ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন

                                                                              --- ক্রীড়া উপদেষ্টা

ঢাকা, ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল):

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, বাংলাদেশে অনেক ক্রীড়াবিদ রয়েছেন যাদের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার পরে আর কোনো আয়ের উৎস থাকে না। আমাদের দেশের স্পোর্টস ইকোসিস্টেম না থাকার কারণে সাবেক খেলোয়াড়দের এমপ্লয়মেন্টের খুব অল্প সুযোগ থাকে। আমরা এ বিষয়গুলোকে এড্রেস করছি এবং এগুলো উত্তরণে মন্ত্রণালয় কাজ করছে তবে সম্পূর্ণ ফলাফল আসতে কিছু সময়ের প্রয়োজন হবে। এই সময়ের মধ্যে যে অসমর্থ ক্রীড়াবিদ রয়েছেন যারা দেশকে সার্ভ করেছেন, দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন তাদের সহযোগিতার জন্য এই ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন কাজ করছে।

 আজ রাজধানীর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন আয়োজিত অসচ্ছল, অসুস্থ, আহত ও অসমর্থ ক্রীড়াসেবীদের মাঝে ক্রীড়াভাতা বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

 আসিফ মাহমুদ বলেন, ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের কর্ম-পরিধি বৃদ্ধির জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী বছর থেকে ক্রীড়াসেবীদের মাঝে মাসে ২০০০ টাকা করে বাৎসরিক ২৪ হাজার টাকার পরিবর্তে মাসে ৩০০০ টাকা করে বছরে ৩৬ টাকা প্রদান করা হবে। ভবিষ্যতে এই টাকার পরিমাণটা আরো বৃদ্ধি করা হবে।

  উপদেষ্টা আরো বলেন, সারাদেশে তারুণ্যের উৎসব একটি সফল কর্মসূচি হিসেবে পালিত হয়েছে। প্রায় ৪৬ হাজার ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে, যাতে প্রায় দেড় কোটি তরুণ অংশগ্রহণ করেছেন। যখন একটি সমাজে খেলাধুলার প্রাধান্য থাকে তখন যুব সমাজ মাদকসহ নানা ধরনের বাজে অভ্যাস হতে দূরে থাকে। সেই দিক বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তারুণ্যের উৎসব সারা বছরব্যাপী চলমান থাকবে এবং আরো নতুন নতুন অনেক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, তারুণ্যের উৎসবকে সফল করতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনায় এবং বাফুফের সহযোগিতায় দেশে ৬৪টি জেলায় ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হবে। ক্রীড়াক্ষেত্রে স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে ক্রীড়া অনুরাগীদেরকে নিয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রায় ৫১ টি জেলায় ক্রীড়া সংস্থার কমিটি গঠন করা হয়েছে, বাকিগুলোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

 উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব বাজেটের ৩ কোটি ৯৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা বিইএফটিএন (BEFTN) -এর মাধ্যমে ১ হাজার ৬৫২ জন ক্রীড়াসেবীর স্ব স্ব হিসাব নম্বরে প্রদান করা হয়।

#

নূর আলম/মেহেদী/রানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৫/২১৫০ঘণ্টা  

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                    নম্বর: ৩২৯৭

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ থেকে আরো

বেশি হারে ফোর্স নেওয়ার অনুরোধ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

ঢাকা, ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল): 

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ থেকে পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য-সহ আরো বেশি হারে ফোর্স নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অভ পিস অপারেশনের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলকে অনুরোধ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অভ্‌ পিস অপারেশনের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল Jean-Pierre Lacroix সাক্ষাৎ করতে এলে উপদেষ্টা এ অনুরোধ জানান।

বৈঠকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অবদান, বর্তমান অবস্থান, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, মিশনের যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য অফিসার ও ফোর্সদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং সামর্থ্য বৃদ্ধি, নারী পুলিশ অফিসারদের সমন্বয়ে ফিমেল প্লাটুন প্রেরণ, মিশনে বিজিবি ও আনসার সদস্য প্রেরণের সম্ভাব্যতা, দক্ষিণ সুদান ও সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে ফরমড পুলিশ ইউনিট (এফপিইউ) প্রেরণ, রোহিঙ্গা সমস্যা ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একসময় শীর্ষ দেশ ছিলো। কালের পরিক্রমায় বর্তমানে আমাদের অবস্থান তৃতীয়। নেপাল ও রুয়ান্ডা বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আবারো জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রেরণের ক্ষেত্রে প্রথম স্থান পুনরুদ্ধার করতে চাই। আমরা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের আওতায় বিভিন্ন দেশে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও আন্তঃসীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে বিজিবি সদস্যদের প্রেরণ করতে চাই। তাছাড়া মিশনে প্রশিক্ষিত আনসার সদস্যদের প্রেরণেরও ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে জাতিসংঘের সহযোগিতা আমাদের একান্ত প্রয়োজন।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অবদানকে স্বীকৃতি জানিয়ে আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, পুলিশসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রদর্শনের মাধ্যমে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণের ক্ষেত্রে বর্তমানে বাংলাদেশ শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে শীর্ষ পদগুলোতে যাতে বাংলাদেশি অফিসাররা আরো অধিক হারে দায়িত্ব পালন করতে পারে, সে লক্ষ্যে আমরা চেষ্টা করছি। তিনি এসময় সারাবিশ্বে শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অবদানের কথা উল্লেখ করেন।

উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রেরণের জন্য আমাদের একটি ফিমেল প্লাটুন প্রস্তুত রয়েছে। এ ব্যাপারে জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অভ পিস অপারেশন (ডিপিও)-এর সহযোগিতা প্রয়োজন যাতে তারা প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দ্রুত শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত হতে পারে। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের অনুরোধে সাড়া দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সাফল্যের সহিত ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অভ কঙ্গো থেকে দক্ষিণ সুদানে দু'টি এফপিইউ মোতায়েন করে। বাংলাদেশের প্রশংসনীয় পারফরম্যান্স সত্ত্বেও বর্তমানে সেখানে কোনো  এফপিইউ নেই। তিনি আরো বলেন, যদিও জাতিসংঘ ২০১৪ সাল থেকে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে একটি মিশন বজায় রেখেছে, সেখানেও বাংলাদেশের কোনো এফপিইউ প্রতিনিধিত্ব নেই। উপদেষ্টা এ দু'টি দেশে বাংলাদেশ থেকে এফপিইউ নেওয়ার জন্য আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলকে অনুরোধ করেন।  

জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনের পাশাপাশি বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ শুরু থেকে সহযোগিতা প্রদান করে আসছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের পর রোহিঙ্গা সমস্যা দূরীকরণে আমাদের জনগণের মধ্যে আশা জেগেছে। উপদেষ্টা এসময় রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের আরো সময়োপযোগী ও কার্যকরী উদ্যোগ কামনা করেন।

            বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি) খন্দকার মোঃ মাহাবুবুর রহমান, রাজনৈতিক-১ অধিশাখার যুগ্মসচিব মুঃ জসীম উদ্দিন খান-সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

#

ফয়সল/রানা/মোশারফ/শামীম/২০২৫/২১৫০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর: ৩২৯৬

বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নরের বৈঠক

 

ঢাকা, ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল): 

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সাথে চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নর ওয়াং ইউবো (Wang Yubo) এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেছেন।

আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তাঁরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন, বাণিজ্য-বিনিয়োগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ও ইউনান প্রদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে চায়। তিনি আরো বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও পর্যটন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি এদেশে এগ্রিকালচার ড্রোন সিস্টেম চালু করতে চীনের সহযোগিতা কামনা করেন। পাশাপাশি ট্রেনারদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, পেস্টিসাইড ম্যানেজমেন্ট ও খাদ্যশস্য উৎপাদনে এক্সপেরিমেন্টাল প্রকল্প গ্রহণের আহ্বান জানান।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বাংলাদেশে পর্যটনের সম্ভাবনা ভালো। ইউনানের পর্যটন অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ডমেস্টিক ট্যুরিজম (স্থানীয় পর্যটন) বৃদ্ধিতে সহযোগিতা চান তিনি। এসময় তিনি বাংলাদেশে ট্যুরিজম অবকাঠামো উন্নয়নে এগিয়ে আসতে এবং বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ বাড়াতে ইউনানের গভর্নরের প্রতি আহ্বান জানান।

চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন চমৎকার উল্লেখ করে ইউনান প্রদেশের গভর্নর ওয়াং ইউবো বলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক চীন সফর বাংলাদেশ চীন সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এর ধারাবাহিকতায় ইউনান প্রদেশ বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, ইউনান প্রদেশের অবস্থান বাংলাদেশের নিকটেই। চট্টগ্রাম-কুনমিং ফ্লাইট চালু হলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো গতি পাবে। এসময় গভর্নর ইউনান প্রদেশের জনগণের সাথে বাংলাদেশের জনগণের সম্পর্কোন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আরো বলেন, চীনের ইউনানে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে মৌসুমি ফলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তিনি বাংলাদেশ হতে আম ও ইলিশ মাছ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান ও ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের উপস্থিত ছিলেন।

#

কামাল/মেহেদী/রানা/ফেরদৌস/সঞ্জীব/শামীম/২০২৫/২০১০ঘন্টা

Handout                                                                                                               Number: 3295

Sustainable adaptation programmes to be expanded to tackle climate impacts

                                                                                          --- Environment Advisor

Dhaka, April 20:

            Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Environment, Forest and Climate Change and the Ministry of Water Resources, has said that adaptation efforts will be strengthened to combat the impacts of climate change. In particular, sustainable and science-based initiatives will be designed and implemented to ensure the livelihoods and security of people in coastal, hilly, and drought-prone areas.

            The Advisor made these remarks while presiding over a meeting on ‘Climate Change Adaptation Initiatives’ at the Ministry's conference room in the Bangladesh Secretariat today.

            Rizwana Hasan emphasized that hands-on training will be provided on climate-resilient crop seeds, fish fry production, and improved agricultural techniques. Additionally, timely access to weather and climate information, along with regular agricultural advisory services, will be ensured.

            Environment Advisor stated that the government is committed to undertaking necessary adaptation projects. Adaptation activities will be planned and implemented based on the needs and realities of local communities, through coordinated efforts between government and non-government stakeholders.

            She highlighted the need for a collaborative and inclusive adaptation framework to face the challenges of climate change. She stressed the importance of sharing experiences on how to make fallow lands cultivable across the country. Furthermore, she noted that farmers would benefit from solar-powered irrigation systems, which would reduce costs, increase crop yields, and enhance their income.

            The meeting was attended by Dr. Farhina Ahmed, Secretary of the Ministry of Environment; Mohammad Navid Shafiullah, Additional Secretary; Dharitri Kumar Sarkar, Joint Secretary; along with officials from the Ministry and representatives of non-governmental organization.

            Participants exchanged views on current adaptation activities, challenges, and the way forward.

#

Dipankar/Mehedi/Rana/Ferdows/Sanjib/Joynul/2025/2000 Hrs.

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ৩২৯৪

জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় অভিযোজন কার্যক্রম জোরদার করা হবে

                                                              - পরিবেশ উপদেষ্টা

ঢাকা, ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল): 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় অভিযোজন কার্যক্রম জোরদার করা হবে। বিশেষ করে উপকূলীয়, পাহাড়ি এবং খরাপ্রবণ এলাকার মানুষের জীবিকা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টেকসই এবং বিজ্ঞানভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।

আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজন কর্মকাণ্ড’ বিষয়ক সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকার প্রয়োজনীয় অভিযোজনমূলক প্রকল্প গ্রহণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্থানীয় পর্যায়ে মানুষের চাহিদা ও বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে অভিযোজন কার্যক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করা হবে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অভিযোজন কাঠামো গড়ে তুলতে আমরা সকলে একযোগে কাজ করবো।

সভায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, যুগ্মসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার-সহ মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। তারা অভিযোজন বিষয়ক বর্তমান কার্যক্রম, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।

#

দীপংকর/মেহেদী/ফেরদৌস/সঞ্জীব/শামীম/২০২৫/১৯১০ঘন্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর: ৩২৯৩

রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের দরখাস্ত করা যাবে আইন মন্ত্রণালয়ে

ঢাকা, ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল):

 রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের চলমান কার্যক্রমকে আরো বেগবান করার লক্ষ্যে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার শিকার যে কোনো ব্যক্তি এখন থেকে সরাসরি আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর বরাবর মামলা প্রত্যাহারের দরখাস্ত করতে পারবেন। তবে দরখাস্তের সঙ্গে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট মামলার এজাহার ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিযোগপত্রের (চার্জশিট) সত্যায়িত অনুলিপি দাখিল করতে হবে।

 আজ সচিবালয়ে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করার বিষয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে গঠিত কমিটির ১১তম সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

 আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো ৭২৪টি মামলা প্রত্যাহার করার সুপারিশ করা হয়েছে। এর আগের বিভিন্ন সভায় কমিটি ৭ হাজার ৫৭০টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করে। ফলে আজ পর্যন্ত সর্বমোট ৮ হাজার ২৯৪টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করলো এই কমিটি।

  দেশে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সময়ের মধ্যে দায়েরকৃত সকল রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা ক্রমান্বয়ে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি।

#

 রেজাউল/মেহেদী/ফেরদৌস/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৫/১৯০০ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর: ৩২৯২

আড়পাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দেখে আমি মুগ্ধ

                                 --- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

শালিখা (মাগুরা), ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল):

 প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দেখে আমি মুগ্ধ, আমি আনন্দিত। শিক্ষার্থীদের সুশৃঙ্খল কুচকাওয়াজ আমার খুবই ভালো লেগেছে। শিক্ষার্থীরা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠুক এ কামনা করি।

উপদেষ্টা আজ মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।  এসময় অন্যান্যের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আতিকুর রহমান, জেলা প্রশাসক মোঃ অহিদুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগের উপপরিচালক ড. শফিকুল ইসলাম, মাগুরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আমিরুল ইসলাম, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 উপদেষ্টা বলেন, আড়পাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কো-কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস দেখে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সাথে কথা বলে মুগ্ধ হয়েছি। তিনি বলেন, মাগুরায় বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ পর্যায়ক্রমে শুরু হবে।

 উল্লেখ্য, আড়পাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ৩৯৯ জন বালক এবং ৩৮৭ জন বালিকাসহ মোট ৭৮৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের লেখাপড়ার জন্য একজন প্রধান শিক্ষক ও ১৩ জন সহকারী শিক্ষক রয়েছেন। বিদ্যালয়টি ২০১৭ সালে জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রাপ্তিতে প্রথম স্থান এবং প্রধান শিক্ষক হিসাবে প্রথম স্থান অর্জন করে।

#

জাহাঙ্গীর/মেহেদী/ফেরদৌস/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৫/১৮১০ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ৩২৯১

মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে

                                                          --- স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

 ঢাকা, ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল):

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা মা ও শিশুদের জন্য একটি উজ্জ্বল ও সুস্থ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারবো।

 ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আজ ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা একথা বলেন।

 স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, একটি শিশুর জন্ম শুধু একটি পরিবারের নয়, পুরো জাতির ভবিষ্যতের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। মা এবং নবজাতকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারলেই আমরা শিশুর সুস্থতা ও বিকাশ নিশ্চিত করতে পারবো। এ জন্য সরকার গর্ভকালীন সেবা, নিরাপদ প্রসব, নবজাতকের যত্ন এবং মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু সরকার নয়-এই লক্ষ্য অর্জনে জনসচেতনতা, পরিবার ও সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন সবগুলোই গুরুত্বপূর্ণ। ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার সর্বনিম্ন পর্যায়ে আনতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

 বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘Healthy beginnings, hopeful futures’ ‘জন্ম হোক সুরক্ষিত, ভবিষ্যৎ হোক আলোকিত’।

 স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য নিশ্চিতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, দেশি-বিদেশি সংস্থা ও বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান নিরলসভাবে কাজ করছে। ভবিষ্যতে সকলের কার্যক্রম আরো জোরদার হবে বলে উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

  উপদেষ্টা বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদ্যাপনের সাথে জড়িত সকল মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের ধন্যবাদ জানান। তিনি জনগণের স্বাস্থ্য রক্ষা ও উন্নয়নে সকল সেক্টর, বিভাগ, সাংবাদিক, দেশি ও বিদেশি সংস্থা, সিভিল সোসাইটি এবং সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে এগিয়ে এসে সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

  স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশস্থ প্রতিনিধি ডা. আহমেদ জামশেদ মোহাম্মদ।

#

 হোসেন/মেহেদী/ফেরদৌস/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৫/১৮৫৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ৩২৯০

বিচার ব্যবস্থাকে আরো সহজ করতে হবে

                         --- আসিফ নজরুল

ঢাকা, ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল):

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বিচার ব্যবস্থাকে আরো সহজ করতে হবে। সীমাবদ্ধতা মেনে দায়িত্ব পালনে বিচারকদের দ্রুত, স্বল্প ব্যয়ে ও ভোগান্তিহীনভাবে বিচারিক সেবা দিতে হবে। বিচারকদের অন্যায়-অবিচার করার কোনো সুযোগ নেই। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এমনভাবে প্রস্তুত করতে হবে যেন উপমহাদেশের অন্যান্য দেশ থেকে প্রশিক্ষণার্থীরা বাংলাদেশে আসেন।

 আজ বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজ ও সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ‘৫০তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা একথা বলেন।

 অনুষ্ঠান শেষে এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, যে মামলা তদন্তের মধ্যে থাকে, সে মামলার ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়ার অধিকার শুধু পুলিশ অথবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রয়েছে। যদি একটি মামলার চার্জশিট হয়ে যায় তখন এখানে আইন মন্ত্রণালয়ের মামলা প্রত্যাহার করার এখতিয়ার বা সুযোগ থাকে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা করেছিল, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তখনকার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশ প্রধানের (আইজিপি) সঙ্গে বৈঠক করে অনুরোধ করেছিলাম, এই মামলাগুলোর ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি যেন নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সেটা অনুযায়ী ওনারা সব মামলার ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছেন জেনেছিলাম। পরে আমাদের জানানো হয়েছিল, অল্প কিছু মামলা এখনো রয়ে গেছে, যেগুলো হত্যা সংক্রান্ত। ফাইয়াজের মামলা এমন একটি মামলা, যেখানে দুইজন আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিলেন। আমি খবর নিয়ে জানলাম, ওনারা যদি ১৬৪ ধারার জবানবন্দি প্রত্যাহার না করেন, তাহলে এই মামলাটার নিষ্পত্তি বা ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া খুবই দুষ্কর। এটা সম্পূর্ণ পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারাধীন বিষয়। এখানে আইন মন্ত্রণালয়ের করার কিছু নেই।

 উপদেষ্টা আরো বলেন, আমাদের যতই সদিচ্ছা থাক, একটি মামলা চার্জশিট পর্যায়ে আসার পরই কেবল আইন মন্ত্রণালয় কিছু করতে পারে। তার আগে কোনো কিছু করার সুযোগ আইন মন্ত্রণালয়ের নেই। আমি আশা করবো, কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। যারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিলেন, তারা যেন সেটি প্রত্যাহার করার পদক্ষেপ নেন। যাতে এই মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

 অন্য এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমি তার (ফাইয়াজ) ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তাকে বলেছি, এটা হচ্ছে প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় যদি আগানো হয়, তাহলে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব।

 ফাইয়াজের মামলা প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, যারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিলেন, পুলিশ তাদের অত্যাচার-নির্যাতন করে সেটি নিয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি। এই সরকার এসেছে আট মাস হয়ে গেছে। ওনারা (জবানবন্দি দাতারা) এখনো সেটি প্রত্যাহার করে নেননি কেন? এটা ওনাদের জিজ্ঞেস করেন। এটা করলে তো শিশু ফাইয়াজকে কোর্টে যেতে হতো না।

  বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি মো. এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের, ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. সাব্বির ফয়েজ প্রমুখ।

#

রেজাউল/মেহেদী/ফেরদৌস/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৫/১৯১০ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ৩২৮৯

 

৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা

 

ঢাকা, ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল): 

 

আগামী ৮ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। পরীক্ষার হলে বই-পুস্তক, ঘড়ি, মোবাইল ফোন, সায়েন্টিফিক বা প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটরসহ সকল ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ডের অনুরূপ কোনো ডিভাইস, গহনা, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ কোনো প্রার্থী পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে পারবেন না। পরীক্ষা হলের গেটে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষার দিন নিষিদ্ধ সামগ্রী সাথে না আনার জন্য সকল প্রার্থীর মোবাইল ফোনে এসএমএস প্রেরণ করা হবে এবং এসএমএস বার্তার নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। পরীক্ষার সময় প্রার্থীগণ কানের ওপর কোনো আবরণ রাখতে পারবে না। কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ পরীক্ষার পূর্বে কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।

পরীক্ষার হলে কোনো প্রার্থীর নিকট নিষিদ্ধ সামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪-এর বিধি ভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন গৃহীতব্য সকল নিয়োগ পরীক্ষার জন্য উক্ত প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন আইন, ২০২৩ এর ধারা-১০, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ অনুযায়ী কোনো অপরাধ সংঘটন করলে বা সংঘটনে সহায়তা করলে, তিনি যে ধারার অধীন অপরাধ সংঘটন করবেন বা সংঘটনে সহায়তা করবেন, সে ধারায় বর্ণিত দন্ডে দন্ডিত হবেন।

#

 

মাসুমা/তৌহিদ/মিতু/আলী/আসমা/২০২৫/১৩৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ৩২৮৮

 

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রার্থীদের নির্ধারিত সময়ের পূর্বে কেন্দ্রে উপস্থিতির নির্দেশনা  

 

ঢাকা, ৭ বৈশাখ (২০ এপ্রিল):

          আসন এবং কক্ষ চিহ্নিত করার লক্ষ্যে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রার্থীদের পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে নিজ নিজ পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরীক্ষার হলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়িয়ে চলার লক্ষ্যে হাজিরা তালিকায় প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর জোড় ও বিজোড়ে বিন্যস্ত করে এবং প্রতিটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর কক্ষওয়ারি দৈবচয়ন (Random) ভিত্তিতে সাজিয়ে হাজিরা তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এ কারণে পরীক্ষার্থীদের আসন এবং কক্ষ চিহ্নিত করা কিছুটা সময়সাপেক্ষ।

          বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট পূর্বে প্রার্থীকে পরীক্ষার কক্ষে প্রবেশ করতে হবে। সকাল ৯.৪৫ মি

2025-04-20-15-58-5b6b39166e0dc0a081828afd7f6c7a47.docx