তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৮৫
বঙ্গবন্ধুর গণমুখী সমবায় আন্দোলনকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে
---স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ৮ মাঘ (২২ জানুয়ারি) :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সমবায়ের মাধ্যমে মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে চেয়েছিলেন। সেজন্য গণমুখী সমবায় আন্দোলনকে তিনি গুরুত্ব দিয়েছিলেন যাতে মানুষ উন্নত জীবন পায়। বঙ্গবন্ধু সমবায়ের মাধ্যমে সমাজকে যে পরিমাণ পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন তা তাঁর সাড়ে তিন বছরের সময়কালে করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কিন্তু সমবায়ের সম্ভাবনার সুযোগ বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই তৈরি হয়েছিল। সমবায়ের শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে দারিদ্র্য পীড়িত মানুষের অফুরন্ত সম্ভাবনা সুযোগ সৃষ্টি হয় বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় সমবায় অধিদপ্তরে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম এবং সভাপতিত্ব করেন সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ শরিফুল ইসলাম।
সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো কার্যকর করতে হলে সমবায় আইন ও বিধিকে যুগোপযোগী করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সমবায় যেহেতু আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাই এতে যে কোনো অব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিবে। তাই সমবায়কে শক্তিশালী করতে হলে যুগোপযোগী আইন তৈরি করে তা কার্যকর করতে হবে।
মোঃ তাজুল ইসলাম এ সময় সমবায় সমিতিগুলোর নিবন্ধন প্রদান এবং সেই সমিতিগুলোর বার্ষিক নিরীক্ষা কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভালোভাবে চালানোর জন্য স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ব্যবস্থা থাকতে হবে। তিনি বলেন, সমবায় সম্পর্কে মানুষের মনে স্বচ্ছ ধারণা তৈরি করতে হবে যাতে মানুষ সমবায়ের সাথে যুক্ত হয় এবং তার অর্থনৈতিক উন্নতির সম্ভাবনা তৈরি হয়।
মতবিনিময় সভার শুরুতে মন্ত্রীকে সমবায় অধিদপ্তরের কার্যক্রম, সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলো বিস্তারিত অবহিত করা হয়।
#
হেমায়েত/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/২২১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৮৪
দেশের চলচ্চিত্রে সুদিন ফিরে এসেছে
---সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ৮ মাঘ (২২ জানুয়ারি) :
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, দেশের চলচ্চিত্রের ভবিষ্যত উজ্জ্বল। অনেক ভালো ভালো সিনেমা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরো ভালো হবে।
আজ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে দ্বাবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। উৎসব কমিটির সদস্য গবেষক মফিদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ।
মন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, জীবনধারা ফোটে উঠে। সরকার দেশের চলচ্চিত্র উন্নয়নে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। আমাদের দেশে কালজয়ী চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে। সরকারের নানা উদ্যোগের কারণে দেশের চলচ্চিত্রে সুদিন ফিরে এসেছে। চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ আরো উজ্জ্বলতর হবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় দ্বাবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব নিয়ে দীপু মনি বলেন, এত দীর্ঘ সময় ধরে একটি উৎসব চালিয়ে নেওয়া অসাধারণ একটি কাজ। এটা একটা বিরাট সাফল্য। যারা চলচ্চিত্র তৈরি করেন তাদের জন্যও এটি একটি বড় সম্ভাবনা ও সুযোগের জায়গা।
উল্লেখ্য, রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের আয়োজনে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে চলছে ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’। এটি ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ স্লোগানে উৎসবের দ্বাদশ আসর। এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোসপেকটিভ বিভাগ, ট্রিবিউট, বাংলাদেশ প্যানারোমা, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অভ্ দ্য ওয়ার্ল্ড, চিলড্রেন্স ফিল্ম, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্ট ফিল্ম, উইমেন্স ফিল্ম সেশনে বাংলাদেশসহ ৭৪ দেশের ২৫২টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এর সবগুলোই বিনামূল্যে বড় পর্দায় দেখা যাবে।
#
জাকির/পাশা/শফি/মোশারফ/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৮৩
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৮ মাঘ (২২ জানুয়ারি) :
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং যুক্তরাজ্য হাইকমিশনার সারাহ কুক।
আজ মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রপ্তানি বহুমুখীকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাট ও পাটজাত এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতকে এগিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী হস্তশিল্পকে ২০২৪ সালের বর্ষপণ্য ঘোষণা করেছেন। এসব খাতে বিনিয়োগের জন্য ইইউ এবং যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানান। পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্যের পাশাপাশি ফার্মাসিউটিক্যাল বিশেষ করে এপিআই খাতে, এগ্রো প্রসেসিং, সি ফুড, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, স্বাস্থ্য, বাই সাইকেল, হিমায়িত খাদ্য, কৃষিপণ্যে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং গুণগতমান উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ এবং বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ট্রেড ও রেগুলেটরি সংক্রান্ত বাধা দূর করে আমদানি ও রপ্তানি পলিসি যুগোপযোগী করা হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা দেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি এবং বিনিয়োগকারীদের ওয়ানস্টপ সার্ভিস প্রদান করছে।
২১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবছর মেলায় বাংলাদেশে অবস্থিত সকল মিশনের প্রধানগণ এবং ট্রেড ও কমার্সিয়াল কাউন্সিলরদের নিয়ে মেলা পরিদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে। দেশে উৎপন্ন পণ্য প্রদর্শনের সবচেয়ে বড় আসর এই মেলা উল্লেখ করে তিনি বলেন এখানে অনেক বিদেশি প্যাভেলিয়নও থাকে। মিশন কর্মকর্তাদের মেলা পরিদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্যের ব্রান্ডিং করা সম্ভব হবে বলেও জানান।
যে সকল পণ্য ইইউ এবং যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে সেসব পণ্য কন্ট্রাক্ট ম্যান্ফ্যুাকচারিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে উৎপাদনের আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিনিয়োগের উত্তম জায়গা হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। অনেক দেশ বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল ছাড়াও শিল্প কলকারখানা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
সাক্ষাৎকালে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আগামী ২৬-২৯ ফেব্রুয়ারি আবুধাবিতে অনুষ্ঠিব্য ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন আয়োজিত মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশসমূহের অবস্থানের পক্ষে প্রয়োজনীয় সমর্থনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চান।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
হায়দার/পাশা/শফি/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৮২
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর নির্দেশ পর্যটন মন্ত্রীর
ঢাকা, ৮ মাঘ (২২ জানুয়ারি) :
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে বিমানবন্দরে সেবার মান আরো বৃদ্ধির পাশাপাশি রাজস্ব আয় বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
আজ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এভিয়েশন শিল্পের বাজার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বর্ধিত বাজারের সুবিধা গ্রহণ করতে হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের রাজস্ব আয় আরো বৃদ্ধি করার জন্য চেষ্টা করতে হবে এবং তা নিশ্চিতে সকলকে কাজ করতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ তাদের রাজস্ব আয় থেকেই তাদের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ ও সম্পন্ন করতে পারে সেই সক্ষমতা অর্জনে মনোযোগ দিতে হবে। তিনি বলেন, বিমানবন্দরভিত্তিক সকল সেবা ডিজিটাইজড করতে হবে যাতে মানুষ সহজে সেবা পায় এবং তাদের দুর্ভোগ কমে আসে। বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তার আন্তর্জাতিক মান ধরে রাখার জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিমানবন্দরের সকল কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য ধারাবাহিক ও সময়োচিত মানবসম্পদ উন্নয়নেও এ সময় জোর দেন তিনি।
পরে মন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সদর দপ্তর বলাকা ভবনে বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি সঠিক সময়ে বিমান ছাড়া, দ্রুততম সময়ে লাগেজ ডেলিভারি দেয়া এবং ইনফ্লাইট যাত্রী সেবা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, বিমানকে যাত্রীদের আস্থার পরিবহণে পরিণত করতে সেবা বৃদ্ধির পাশাপাশি যাত্রীদের সাথেও যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের লাভের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য পরিকল্পিত ও ধারাবাহিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।
#
তানভীর/পাশা/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৮১
টেশিসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করতে হবে
--- জুনাইদ আহমেদ পলক
ঢাকা, ৮ মাঘ (২২ জানুয়ারি) :
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) গড়ে তুলার বিকল্প নাই। স্মার্ট টেশিস এর জন্য স্মার্ট সম্পদ ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য। এই লক্ষ্যে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে টেশিসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করতে হবে। আয় বৃদ্ধি এবং অপচয় কমিয়ে আয়-ব্যয় এ দু’য়ের ভারসাম্য রেখে সংশ্লিষ্টদের প্রতিষ্ঠানটিকে লাভজনক করতে তিনি নির্দেশনা প্রদান করেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ গাজীপুর জেলার টঙ্গীতে টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) লিমিটেড-এর দোয়েল
ল্যাপটপ, টেলিফোন সেট, বৈদ্যুতিক স্মার্ট মিটার অ্যাসেম্বল প্লান্টসহ টেশিসের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী টেশিসকে গর্বিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠায় অপারেশন,
ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং, বিক্রয় পরবর্তী সেবা এসব জায়গাসমূহে উন্নত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ২০১১ সালে দোয়েল ল্যাপটপ যাত্রা শুরু করেছিলো কিন্তু পরিতাপের বিষয় তা সাফল্যজনকভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। মেড ইন বাংলাদেশ পণ্য দেশে এবং দেশের বাইরে রপ্তানি করতে টেশিস ব্যর্থ হলো। অথচ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ৯৪টি কম্পোনেন্টের ওপর ইমপোর্ট ডিউটি কমিয়ে দেওয়ায় ১৭টি মোবাইল ফোন কারখানা বাংলাদেশে স্থাপিত হয়েছে। ল্যাপটপ কারখানা হয়েছে এবং ভালো করছে।
জুনাইদ আহমেদ টেশিসকে লাভজনক অবস্থায় উন্নীত করার কৌশল তুলে ধরে বলেন, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংকটে আমরা রাজস্ব বাড়াতে চাই, অপচয় কমাতে চাই। আগামী পাঁচ মাসে আয় বাড়াতে পারলে আমরা লাভে যাব। আয় বাড়াতে না পারলে ব্যয় কমাতে হবে।
বঙ্গবন্ধু আধুনিক বাংলাদেশের ভিত্তি রচনা করে গেছেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের ২৪ এপ্রিল টেলিফোন শিল্প সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার রূপকার বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এর মেধাবী ও সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ আইসিটি সেক্টর থেকে রপ্তানি আয় করেছে ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। আইসিটি পেশায় ২০ লাখ তরুণ তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পেরেছি। ১৩ কোটি মানুষকে ইন্টারনেটে যুক্ত করেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানের ৪টি মূল ভিত্তি ইতোমধ্যে সজীব ওয়াজেদ জয় ভাই তুলে ধরেছেন। আমাদের স্মার্ট নাগরিক তৈরি করা, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলতে হবে। আমরা তিনটি খাতকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিচ্ছি। সেটি হচ্ছে আমাদের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করা, বিনিয়োগ আকর্ষণ করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) লিমিটেড-এর দোয়েল ল্যাপটপ, টেলিফোন সেট,
বৈদ্যুতিক স্মার্ট মিটার অ্যাসেম্বল প্লান্টসহ টেশিসের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেন। তিনি টেশিস এর বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। মন্ত্রী কিছু কিছু ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
#
শেফায়েত/পাশা/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২০১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৮০
দেশে কোনো কূটনৈতিক সংকট নেই
--আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ৮ মাঘ (২২ জানুয়ারি) :
নির্বাচনের পরে দেশে কোনো কূটনৈতিক সংকট নেই বা সংকটের কোনো সম্ভাবনাও নেই বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
নির্বাচনের আগে থেকে দেশে একটি কূটনৈতিক সংকট ছিল, সেটা কী কেটে গেছে, না-কি কিছু কিছু দেশের সঙ্গে এখনো আছে? এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সংকট আমি বলবো না। আপনাদের মনে একটা দুশ্চিন্তা ছিল যে, দেশে একটি কূটনৈতিক সংকট হতে পারে। কিন্তু নির্বাচনের পরে আপনারাও দেখেছেন কূটনৈতিক সমস্যার কোনো সম্ভাবনাই নেই।
হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে আমাদের যেসব ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (উন্নয়ন অংশীদারিত্ব) রয়েছে, সেগুলোতে আইনের প্রয়োগ কিংবা আইনের ধারাগুলোর স্পষ্টীকরণ সবসময় প্রয়োজন হয়। তাছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের যে আইনি অবকাঠামো-সেটা অনেকদিন আগে থেকেই প্রায় এক। তাই ভারতে যেসব আইনি অবকাঠামো পরিবর্তন করা হয়েছে, সেসব পরিবর্তন বাংলাদেশেও সম্ভাবনা আছে কিনা এবং বাংলাদেশে যেসব আইনের পরিবর্তন করা হয়েছে, সেগুলো ভারতেও করার সম্ভাবনা আছে কিনা, তা নিয়ে সবসময় আলাপ করা হয়। আজকেও সেসব বিষয়ে আলাপ করা হয়েছে।
আনিসুল হক আরো বলেন, ভারতের ভূপালে একটা ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি আছে। সেখানে আমাদের এক হাজার ২০৬ জন ট্রেনিং নিয়েছেন। প্রায় ২ হাজার ট্রেনিং নেবেন। আমরা একটি ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি করতে যাচ্ছি। সেখানে ওনাদের অভিজ্ঞতা আমাদের প্রয়োজন হবে। সেগুলো নিয়েই আমরা আলাপ-আলোচনা করেছি।
#
রেজাউল/পাশা/শফি/মোশারফ/রেজাউল/২০২৪/১৯১৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৭৯
দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলন
ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার ডাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
কাম্পালা, ৮ মাঘ (২২ জানুয়ারি) :
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ টেকসই উন্নয়নের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে দক্ষিণ বিশ্বের দেশগুলোর প্রতি ঐক্যবদ্ধ সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডার রাজধানী কাম্পালার স্থানীয় সময় গতকাল ৭৭ জাতি গ্রুপ ও চীনের তৃতীয় দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলনের সাধারণ বিতর্কসভায় (জেনারেল ডিবেট) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
দক্ষিণ বিশ্বের দেশগুলো শক্তিশালী দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন, যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা, ঋণ সঙ্কট এবং ক্রমবর্ধমান সুরক্ষাবাদের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরো সক্ষম হবে, বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. হাছান ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণকে স্মরণ করে বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর সমতা ও মানবিক মূল্যবোধের বাণী এখনো প্রাসঙ্গিক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব গড়তে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর জোর দেন যার মধ্যে রয়েছে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন বাস্তবায়নের জন্য আরো কার্যকর পদক্ষেপ, বর্তমান আন্তর্জাতিক আর্থিক কাঠামো সংস্কার, প্রযুক্তিগত বিভাজন মোকাবিলা, নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করা এবং দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে যুব জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন।
ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তববাদী উন্নয়ন নীতির ফলে গত দেড় দশকে বাংলাদেশে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তাঁর ভাষণে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের অধিকার অর্জনের সংগ্রামের সমর্থনে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
এর আগে এ দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় দেশগুলো, ইসরায়েল, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া ব্যতীত এশিয়া মহাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড বাদে ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশগুলো নিয়ে দক্ষিণ বিশ্ব শীর্ষ সম্মেলনের নতুন চেয়ার উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি মুসেভেনি দু'দিনব্যাপী এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিস, চীনের রাষ্ট্রপতির বিশেষ প্রতিনিধি লিউ গুওঝং এবং ২য় দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোলতান বিন সাদ আল মুরাইখি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও জাতিসংঘে দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত, কেনিয়া ও উগান্ডায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক মুহাম্মদ প্রমুখ প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।
#
আকরাম/পাশা/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৮৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৭৮
চালের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহযোগিতা জোরদার করবে ইরি
ঢাকা, ৮ মাঘ (২২ জানুয়ারি) :
বাংলাদেশ চালের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা জোরদার ও আরো গভীরভাবে কাজ করবে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি)। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে (ব্রি) পাঁচ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সংস্থাটি।
আজ সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুস শহীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ইরির প্রতিনিধিদল এসব কথা জানান। প্রতিনিধিদলে ইরির এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক জংসু শিন, ইরির বাংলাদেশ প্রতিনিধি হোমনাথ ভান্ডারি, নির্বাহী সহকারী মোঃ শাহিন ভূইয়া এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, একটি দেশের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বর্তমানে দেশে খাদ্যের কোনো ঘাটতি নেই। তবে জনসংখ্যা বাড়ছে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী রয়েছে। এসব কারণে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। ইরির সহযোগিতা এক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য এখন উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করা। উৎপাদন বাড়াতে পারলে মজুতদারি, কৃত্রিম সংকটের মতো সমস্যা থাকবে না। সেজন্য, উৎপাদন বাড়িয়ে আমরা মজুতদারি ও কৃত্রিম সংকট মোকাবিলা করব।
ইরির প্রতিনিধদল তাদের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। তারা জানান, চালের উৎপাদন বাড়াতে উচ্চ ফলনশীল, স্বল্প জীবনকালীন ও মানসম্পন্ন ধানের জাত উৎপাদনে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। খরা, তাপ, ঠাণ্ডা, লবণাক্ততাসহ প্রতিকূল পরিবেশে চাষোপযোগী জাত এবং পুষ্টিসম্পন্ন ধানের জাতের উদ্ভাবনে এখন গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।
#
কামরুল/পাশা/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৮১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৭৭
বোটানিক্যাল গার্ডেনের উন্নয়নে ব্রিটিশ সরকারের সাথে কাজ করবে সরকার
- পরিবেশ ও বন মন্ত্রী
ঢাকা, ৮ মাঘ (২২ জানুয়ারি) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বোটানিক্যাল গার্ডেনের উন্নয়নে ব্রিটিশ সরকারের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক সরকার। তিনি বলেন, এটাকে শিশুবান্ধব করে গড়ে তোলা হবে। এখানকার বৃক্ষরাজি, জলাশয় ইত্যাদি সংরক্ষণে ব্রিটিশ সরকারের সাথে অংশীদারত্বের মাধ্যমে কাজ করা হবে।
মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকে এ আহ্বান জানান।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা ইত্যাদি বাস্তবায়নেও ব্রিটিশ সরকারের সাথে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করতে আমরা আগ্রহী।
হাইকমিশনার বলেন, ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশে পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করবে।
বৈঠকে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, উদ্ভাবন ও গবেষণা, নবায়নযোগ্য শক্তি, প্রযুক্তি স্থানান্তর, জলবায়ু অংশীদারিত্ব, সক্ষমতা বৃদ্ধি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশ ও স্বাস্থ্য, জলবায়ু অভিবাসীদের পুনর্বাসন ইত্যাদি বিষয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হয়।
#
দীপংকর/পাশা/শফি/মোশারফ/রেজাউল/২০২৪/১৮০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৭৬
প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর সাথে লিবিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
ঢাকা, ৮ মাঘ (২২ জানুয়ারি) :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত Abdulmutalib S M Suliman এর সৌজন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর সাথে লিবিয়ার রাষ্ট্রদূতের এই সৌজন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের শুরুতেই লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত সেদেশের সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের নতুন সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান এবং বর্তমান সরকারকে শুভকামনা জানিয়ে দু’দেশের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকবে বলে উল্লেখ করেন।
বৈঠকে উভয়পক্ষ দু’দেশের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি, সুষ্ঠু-সুশৃঙ্খল ও দায়িত্বশীল অভিবাসন, মানব পাচারের প্রতিরোধ, অনিয়মিত অভিবাসনকে নিরুৎসাহিতকরণসহ লিবিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশের কর্মী প্রেরণ বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ খায়রুল আলম, যুগ্মসচিব মোঃ আবু রায়হান মিঞা এবং মোঃ সাজ্জাদ হোসেন ভূঞাসহ অন্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
রাশেদুজ্জামান/পাশা/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৮২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৭৫
চীন সরকারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে
The Great Wall Commemorative Medal রাষ্ট্রীয় অ্যাওয়ার্ড প্রদান
ঢাকা, ৮ মাঘ (২২ জানুয়ারি) :
চীন সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ‘The Great Wall Commemorative Medal’ প্রদান করে সম্মান জানানো হয়।
আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত Yao Wen চীন সরকারের পক্ষে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকট এ অ্যাওয়ার্ড ও সার্টিফিকেট হস্তান্তর করেন এবং চীনের পাবলিক সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী Wang Xiaohong বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে খ্রিস্ট্রীয় নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান এবং পুনরায় বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানান।
দুই দেশের মধ্যে পারষ্পরিক সম্পর্কের উন্নয়ন, বাংলাদেশ ও চীনের নাগরিকদের (বাংলাদেশে বসবাসরত) নিরাপত্তা প্রদান ও আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধির ফলে চীন সরকারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়।
সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোঃ আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান-সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ এবং বাংলাদেশে অবস্থিত চীন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ।
#
অপু/পাশা/শফি/মোশারফ/রেজাউল/২০২৪/১৭২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৭৪
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৮ মাঘ (২২ জানুয়ারি) :
&