তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৮১
মাসব্যাপী জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতার শাহাদাতবার্ষিকী
পালন-সহ নানা আয়োজনের সিদ্ধান্ত
ঢাকা ২৪ আষাঢ় (৮ জুলাই) :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঘাতকচক্র ১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসের ১৫ তারিখে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করায় আগস্ট মাস বেদনাবিধুর শোকের মাস। একই মাসের ৫ তারিখে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল ও ৮ তারিখে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জন্মদিন। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হলে তাঁরাও শাহাদত বরণ করেন। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাসে তাঁদের অবদান জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। মুজিববর্ষে জাতীয় শোক দিবস ২০২০ ও জাতির পিতার শাহাদাতবার্ষিকী পালনে গৃহীতব্য কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহিদ বেগম মুজিব ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের জন্মদিন বর্ণাঢ্য আয়োজনের সাথে পালিত হবে বলে আজ বিকালে অনুষ্ঠিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’র এক বিশেষ অনলাইন সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’র সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় আমন্ত্রিত সদস্যরা অনলাইন অ্যাপ ‘জুম’ এর মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন। আগামী ১৫ই আগস্ট তারিখে টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহে প্রচারের জন্য বিশেষ আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নির্মাণের বিভিন্ন বিষয়কে আলোচকদের সামনে তুলে ধরেন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
এই সভায় অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মণি, সাবেক অর্থমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আবুল মাল আব্দুল মুহিত, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতর থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ, তথ্যসচিব কামরুন নাহার, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, আইন সচিব গোলাম সারওয়ার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, সংস্কৃতি সচিব এম বদরুল আরেফিন, যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. আখতার হোসেন, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
এছাড়াও গণমাধ্যম ও শিল্প-সাহিত্য জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন।
#
লিপি/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/২১১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৮০
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মৃণাল ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক
ঢাকা ২৪ আষাঢ় (৮ জুলাই) :
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃণাল ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
মন্ত্রী তাঁর শোকবার্তায় মুক্তিযুদ্ধকালে মৃণাল ভট্টাচার্যের অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, তিনি একাধারে সংগীতশিল্পী, সুরকার ও সংগীত পরিচালক ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের সংস্কৃতি অঙ্গনের অভিভাবক হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন।
ড. হাছান প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
কক্সবাজার আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক
নজরুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রী তাঁর শোকবার্তায় নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে একজন নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিক হিসেবে বর্ণনা করে দেশমাতৃকার সেবায় তাঁর অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
ড. হাছান প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
#
আকরাম/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/২০৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৭৯
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক মৃণাল ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক
ঢাকা ২৪ আষাঢ় (৮ জুলাই) :
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃণাল ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
প্রতিমন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক হিসাবে মৃণাল ভট্টাচার্য মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে দেশবাসী বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস ও মনোবল জোগাতে এবং উজ্জীবিত করতে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছেন। যুদ্ধের সময়ে প্রতিদিন মানুষ অধীর আগ্রহে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান শোনার জন্য অপেক্ষা করত। যতদিন বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ড থাকবে, ততদিন মৃণাল ভট্টাচার্যের মত কণ্ঠযোদ্ধাদেরকে এদেশের মানুষ স্মরণে রাখবে।
#
ফয়সল/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৭৮
ফোর-জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে মোবাইল অপারেটরদেরকে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর তাগিদ
ঢাকা ২৪ আষাঢ় (৮ জুলাই) :
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের প্রয়োজনে ফোর-জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ত্বরান্বিত করতে গ্রামীণফোন-সহ দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরদেরকে তাগিদ দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, মোবাইল ফোন ও নেটওয়ার্ক এখন মানুষের জীবনের শ্বাস প্রশ্বাসের মতো। জনগণকে পারস্পরিক সংযুক্ত রাখার দায়িত্বের পাশাপাশি করোনাকালে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট মানুষকে ‘স্টে এট হোম’ এবং ‘ওয়ার্ক এট হোম’ এর সুযোগ সৃষ্টির দায়িত্বও পালন করছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় অনলাইনে গ্রামীণফোন আয়োজিত জিপি একসিলারেটর প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এ তাগিদ দেন। তরুণ উদ্যোক্তাদেরকে উৎসাহ প্রদানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনা পরবর্তী ব্যবসা প্রচলিত ধারায় থাকবে না। প্রচলিত ব্যবসার বদলে ডিজিটাল ব্যবসার প্রসার ঘটবে। এ দেশের শিক্ষার্থীরা চমৎকার মেধাবী। তাদের হাত ধরেই দেশের মেধা শিল্পের বিকাশ ঘটবে। ২০২০ সালে ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের বিরাট সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর আগে এই খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ ছিল না। ব্যাংকগুলোও এখন ডিজিটাল খাতের ব্যবসায়ীদের জন্য বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছে। গত ১১ বছরে ডিজিটাল কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের ফলে মানুষ আজ চরম দুর্যোগেও জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখতে পারছে। অফিস - আদালত, ব্যবসা -বাণিজ্য সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে। করোনাকালে চারকোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষার অচলাবস্থার অবসানও আমরা সফলভাবে করতে পারতাম যদি তাদেরকে ডিভাইস এবং শিক্ষার ডিজিটাল কনটেন্ট দিতে পারতাম।
#
শেফায়েত/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৭৭
ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদানের প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু
ইন্টারনেটবিহীন ডিজিটাল পাঠদান চালু করলেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা ২৪ আষাঢ় (৮ জুলাই) :
দেশে বিটিসিএল পরিচালিত টিএন্ডটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ইন্টারনেটবিহীন ডিজিটাল পাঠদান কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এই পদ্ধতিটি চালু হওয়ার ফলে শিক্ষার্থীদের বই খাতা, কলম কিংবা চক-ডাস্টার পদ্ধতিতে প্রচলিত পাঠদান পদ্ধতির পরিবর্তে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদানের প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো। বিটিসিএল পরিচালনাধীন ৮টি টিএন্ডটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে প্রাথমিকভাবে প্রি-স্কুল থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত এই শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে মোবাইল বা ট্যাবে বোর্ডের পাঠ্যসূচি ডিজিটাল এনিমেশনের মাধ্যমে তৈরি করা সফটওয়্যারে পাঠদান করা হবে। এর ফলে খেলার ছলে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে সহজে এবং আগ্রহের সাথে পড়াশোনা অব্যাহত রাখতে পারবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ ডিজিটাল পাঠদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
বিটিসিএল, হুয়ায়ুয়ে এবং বিজয় ডিজিটাল এর যৌথ উদ্যোগে এই উপলক্ষে আয়োজিত জুম ভার্চুয়্যাল সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, “শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য দীর্ঘ তিন যুগব্যাপী কাজ করে যাচ্ছি। ১৯৯৯ সালে গাজীপুরে ১৩ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের যাত্রা শুরু করি। অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী সেটি উদ্বোধন করেছিলেন, যা বর্তমানে বেড়ে ৩২টিতে উন্নীত হয়েছে।”
মোস্তাফা জব্বার বলেন, শিক্ষা জীবনে প্রাথমিক স্তরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর আগামী দিনটা হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির দিন। এই পদ্ধতিতে শিশুদের কম্পিউটার শিক্ষার কাজটিও যেমন এগিয়ে যাচ্ছে পড়ার প্রতি তাদের আগ্রহও তেমনি বাড়ছে। তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব শুরু হয়ে গেছে। বিপ্লবের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে না পারলে নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকা কঠিন হবে। প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতি বিদ্যমান শিল্পযুগের উপযোগী মানব সম্পদ তৈরি করতে পারবে না। ডিজিটাল শিক্ষা পদ্ধতিই বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টিকে থাকার একমাত্র পথ।
প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকার বনানীতে টিএন্ডটি বয়েজ হাইস্কুলে কার্যক্রমটি শুরু করা হয়। পর্যায়ক্রমে দুই বছরের মধ্যে টিন্ডটির আরও ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক হাজার ৯শত ৭০ জন শিক্ষার্থী ডিজিটাল শিক্ষার আওতায় আসবে। বিটিসিএল এর ব্রিজিং দ্য ডিজিটাল এডুকেশন ডিভাইড টু রিডিউস দ্য গ্যাপ প্রকল্প এই কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করছে।
বাংলাদেশের জাতীয় পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে উদ্ভাবিত সফটওয়্যার শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করবে বিজয় ডিজিটাল অ্যাপ। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরকে হুয়ায়ুয়ে ট্যাব সরবরাহ করবে। সরবরাহকৃত ট্যাবে বিজয় ডিজিটাল অ্যাপটি আগে থেকেই ইনস্টল করা থাকবে।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো: নূর-উর-রহমান, বিটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর হেড অভ্ অফিস বিয়্যাট্রিস কালদুন, বিজয় ডিজিটাল এর প্রধান নির্বাহী জেসমিন জুই, হুয়ায়ুয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝাং ঝেং জুন, বনানীর টিএন্ডটি বয়েজ হাইস্কুলের অধ্যক্ষ হালিমা বেগম, শিশু শিক্ষার্থী লিমন খান এবং অভিভাবক লাকী বেগম বক্তৃতা করেন।
#
শেফায়েত/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/১৮৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৭৬
শিল্পমন্ত্রীর সাথে বিদায়ী সাক্ষাৎকারে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পের গুণগত মানোন্নয়নে নরওয়ের সহায়তা অব্যাহত থাকবে
ঢাকা ২৪ আষাঢ় (৮ জুলাই) :
বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ রিসাইক্লিং শিল্পের গুণগত মানোন্নয়নে নরওয়ের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন (Sidsel Bleken)।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে আজ বিদায়ী সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন। ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার গৃহীত পদক্ষেপ, জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ রিসাইক্লিং শিল্পখাতে দক্ষ জনবল তৈরি, পরিবেশবান্ধব সবুজ শিল্পায়নে সহায়তা জোরদার এবং দু'দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বাণিজ্য প্রসারে পারস্পরিক সহযোগিতা-সহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হয়।
বিদায়ী রাষ্ট্রদূত করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, করোনাকালীন এবং করোনাপরবর্তী সময়ের জন্য সরকার গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম ও উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ দ্রুত করোনার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠবে এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে। করোনা-উত্তর বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন অভিযাত্রায় নরওয়ের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
নরওয়েকে বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই নরওয়ে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতিতে অব্যাহত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের শিপবিল্ডিং ও শিপ রিসাইক্লিং, তৈরি পোশাক, মেরিন রিসোর্স-সহ উদীয়মান শিল্পখাতে নরওয়ের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পাশাপাশি শিল্প বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষ করে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নরওয়ের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের কাজে লাগবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক উত্তরণে নরওয়ের সাথে বাংলাদেশ অংশীদারিত্বেরভিত্তিতে কাজ করতে আগ্রহী বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শিল্পমন্ত্রী একজন পেশাদার রাষ্ট্রদূত হিসেবে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান। নরওয়ের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
#
জলিল/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/১৮৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৭৫
গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদের জন্য ৮৪ কোটি টাকা সহায়তা
ঢাকা ২৪ আষাঢ় (৮ জুলাই) :
শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প খাতে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে গঠিত কেন্দ্রীয় তহবিল হতে গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদের জন্য প্রায় ৮৪ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় তহবিলের ১২তম বোর্ড সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
কেন্দ্রীয় তহবিল হতে এ পর্যন্ত গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদেরকে ৮৩ কোটি ৭১ হাজার ৯৭২ টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৯২০ জন মৃত শ্রমিকের স্বজনদের সহায়তা এবং মৃত্যু বিমাদাবি বাবদ ৭৮ কোটি ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৬৮৫ জন অসুস্থ শ্রমিককে এক কোটি ৯৬ লাখ টাকা চিকিৎসা সহায়তা এবং শ্রমিকদের ৫৩৫ জন মেধাবী সন্তানকে উচ্চ শিক্ষায় এক কোটি ৭ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ২০১৬ সালের জুলাই হতে এ পর্যন্ত এ তহবিলে ২২৪ কোটি ১২ লাখ ৩৯ হাজার ৬শ’ টাকা জমা হয়েছে। বর্তমানে এ তহবিলে প্রায় একশ’ ২৫ কোটি টাকা জমা রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তহবিলের মহাপরিচালক মো. আমীর হোসেন বোর্ডকে অবহিত করেন।
বোর্ড সভায় সভাপতির বক্তৃতায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শুধু শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য শ্রম মন্ত্রণালয় ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় তহবিল গঠন করে। এ তহবিলটি একটি অনন্য তহবিল। পণ্য রপ্তানি মূল্যের ০.০৩ শতাংশ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি এ তহবিলে জমা হয়। রপ্তানি যত বাড়বে এ তহবিলে তত অর্থ জমা হবে। শ্রমিকদের আপদে বিপদে আরো বেশি সহায়তা প্রদান করা সম্ভব হবে।
শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এর ২৩২(৩) ধারার বিধান অনুযায়ী এ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ‘কেন্দ্রীয় তহবিল’ প্রতিষ্ঠা করে সরকার। কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত অথবা পেশাগত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে অথবা কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত স্থায়ী অক্ষমতা ঘটলে সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগী বা তার উত্তরাধিকারীদের সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা, দুর্ঘটনায় আহত এবং দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা এবং শ্রমিকের মেধাবী সন্তানের উচ্চ শিক্ষার জন্য সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, শ্রমিকদের বিমা বাবদ এবং বিভিন্ন সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধে মালিককে আপাতকালীন সহায়তার বিধান রয়েছে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়, বিকেএমইএ এর ১ম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিকেএমইএ এর সহ-সভাপতি মো. মোরশেদ সারোয়ার, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক -কর্মচারী লীগ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি, মহিলা শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম - সাধারণ সম্পাদক (১) সৈয়দা খায়রুন নাহার তামরিন এবং বিজিএমইএ এর প্রতিনিধি-সহ কেন্দ্রীয় তহবিলের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
#
আকতারুল/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/১৮২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৭৪
শি ট্রেড আউটলুক শীর্ষক ভার্চুয়াল ফোরামে বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্য সফলতায় বাংলাদেশের নারীরা অনেক এগিয়ে গেছে
ঢাকা ২৪ আষাঢ় (৮ জুলাই) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাণিজ্য সফলতায় বাংলাদেশের নারীরা অনেক এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশ সরকার মহিলাদের দেশীয় এবং আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। দেশের জনশক্তির প্রায় অর্ধেক নারী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এ বিপুল নারী জনশক্তিকে উৎপাদনশীল কাজে লাগাতে সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এসএমই এর মাধ্যমে উদ্যোক্তা মহিলাদেরকে লোন ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ফলে বিশেষ করে কুটির শিল্পে নারীদের অগ্রযাত্রা চোখে পরার মতো। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় মহিলা উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার এবং প্রয়োজনে বিভিন্ন সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।
মন্ত্রী গতকাল আইটিসি জেনেভা অফিসের সাথে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় গভীর রাতে ইউনাইটেড ন্যাশন এবং ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন (ডব্লিউটিও) এর উদ্যোগে আয়োজিত “শি ট্রেড আউটলুক” (SheTrades Outlook ) শীর্ষক ভার্চুয়াল ফোরামে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, চলমান কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) পরিস্থিতি মোকাবিলায় নারী কর্মীদের সুরক্ষা প্রদানের জন্য বেতন খাতে সরকার ৫ হাজার কোটি টাকা নামমাত্র সুদে সরবরাহ করেছে। গৃহীত লোনের কিস্তি প্রদান স্থগিত করা হয়েছে। সরকারের নানামুখী গৃহীত পদক্ষেপে বিশ্বমন্দা অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশেল অর্থনীতি সচল রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে জরুরি, স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক ডরোথি টেম্বো (Dorothy Tembo) এর সঞ্চালনায় যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টারি আনডার সেক্রেটারি অভ্ স্টেট এবং প্রধানমন্ত্রীর নারী শিক্ষা বিষয়ক বিশেষ দূত Baroness Sugg CBE, ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোর সিনেটর এবং শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী Paula Gopee-Scoon, নেগারিয়ার মহিলা বিষয়ক এবং সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রী Dame Pauline Tallen এবং কানাডার ক্ষুদ্র বাণিজ্য, এক্সপোর্ট প্রমোশন এন্ড ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড বিষয়ক মন্ত্রী Mary Ng বক্তব্য রাখেন।
#
বকসী/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/১৭৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৭৩
২০২১ সালের মধ্যে ইন্টারনেটে সংযুক্ত হবে ৯০ শতাংশ নাগরিক
-- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা ২৪ আষাঢ় (৮ জুলাই) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ নাগরিককে ইন্টারনেটে সংযুক্ত করার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সেবার ৯০ শতাংশই ডিজিটাল মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। একই সময়ে আইটি ও আইটিইএস খাতে ২০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ৫০০ কোটি টাকা আয় হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ আন্তর্জাতিক সংস্থা এশিয়ান প্রডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন, জাপান হেডকোয়ার্টারের উদ্যোগে ফুড ফর নেশন এর অধীনে ডিজিটাল মার্কেট প্লেস তৈরি এবং কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের উদ্যোগ বিষয়ে আয়োজিত বিশেষ ভার্চুয়াল টকশো-তে এসব কথা বলেন।
এর আগে এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও) মহাসচিব ড. একেপি মোস্তান ভার্চুয়াল টকশো-তে বাংলাদেশের কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপসমূহের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী কাছে বিস্তারিত জানতে চান।
কোভিড ১৯ সময়ে জনগণের সচেতনতা ও সেবায় নেয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস সময়ে আমরা অনেক শিক্ষা নিয়েছি। কোভিড পরিবর্তী সময়ের জন্য ইতোমধ্যেই একটি আইসিটি রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে নাগরিক সেবায় নতুনত্ব সংযোজন; আইসিটি খাতে স্টার্টআপ গড়ে তোলা; স্বাস্থ্য, কৃষি ও শিক্ষা এবং সাপ্লাই চেইনের ডিজিাটল রূপান্তর; সামাজিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং বেসরকারি খাতের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ, স্থানীয় উৎপাদন ও জনশক্তি রপ্তানি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এরপর প্রতিমন্ত্রী পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে কোভিড-১৯ সময়ে ডিজিটাল মার্কেট প্লেসের মাধ্যমে কৃষকদের কীভাবে সহায়তা করা হচ্ছে সে বিষয়টি তুলে ধরেন ।
#
শহিদুল/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/১৭২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৭২
প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে
-- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা ২৪ আষাঢ় (৮ জুলাই) :
করোনা মহামারির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার বিশ্বখ্যাত ‘কোরসেরা ট্রেনিং প্ল্যাটফর্ম- এ চার হাজার কোর্সে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ৫ হাজার দক্ষ মানুষ তৈরি করবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের স্পনসর ও এলআইসিটি প্রকল্প সমন্বয়কের কাজ করছে। কোরসেরা এ চার হাজার প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে। প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে http://lict.gov.bd/BCConCoursera.php লিঙ্কে ক্লিক করে নিবন্ধন করতে হবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আজ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর এলআইসিটি প্রকল্প আয়োজিত ‘আইসিটি শিল্পের জন্য কোভিড-১৯ পরবর্তী দক্ষতা’শীর্ষক এক সেমিনার চলাকালে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, করোনা মহামারির কারণে পরিবর্তন ঘটছে দ্রুত গতিতে। এ পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে চলার জন্য প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ চতুর্থ বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ফ্রন্টিয়ার (অত্যাধুনিক) টেকনোলজিতে দক্ষ মানুষ তৈরি করছে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট ফর ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করছে। এ প্রতিষ্ঠানের কাজ হবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে দক্ষ মানুষ তৈরি করা। তিনি দেশের আইটি পেশাজীবী ও শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের কোরসেরা প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি-সহ অন্যান্য বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের আহ্বান জানান।
এলআইসিটি পলিসি এডভাইজার সামি আহমেদের সঞ্চালনায় সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, কোরসেরার জ্যাক ওডনোহ, এলআইসিটি প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম, বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, বোক্কা সভাপতি ওহাহিদুর রহমান শরীফ ও উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরামের সভাপতি নাসিমা আকতার নিশা ।
অনুষ্ঠানে একুশ শতকের দক্ষতার ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অগমেডিকস এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রাশেদ মুজিব নোমান।
#
শহিদুল/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/১৭৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৭১
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২৪ আষাঢ় (৮ জুলাই) :
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৬৪ জেলায় ইতোমধ্যে ২ লাখ ১১ হাজার ১৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া শিশু খাদ্য-সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ১২২ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রা