তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩১৬
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছেন বলেই দেশ ডিজিটাল হয়েছে
-- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
সিংড়া (নাটোর), ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ মে) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে ৪০ বছর আগে দেশে ফিরেছেন বলেই ডিজিটাল হয়েছে বাংলাদেশ। তাঁর নেতৃত্বে উন্নয়নশীল এই দেশের সব নাগরিক সেবাকে জনগণের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪০তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ নাটোরের সিংড়া উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠন আয়োজিত আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, পেয়েছি বাংলা ভাষা। স্বাধীন দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে সংবিধানে সংযোজন করে সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার কাজ শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। ৭১ এর পরাজিত শক্তিরা ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশকে পিছিয়ে দিতে চেয়েছিল। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত ৬ বছর সময়কাল ছিলো বিভীষিকাময়। এ দেশের মানুষের বাক্স্বাধীনতা হরণ করে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে শাসনের নামে শুরু করা হয়েছিল শোষণ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে রুদ্ধ করতে একাত্তরের পরাজিত শক্তি আগমন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করেছিল এবং তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল। কিন্তু দেশের প্রতি ভালবাসা এবং দেশের মানুষের প্রতি কর্তব্যবোধ থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনা মৃত্যুঝুঁকি উপেক্ষা করে দেশে ফিরে আসেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কাজ শুরু করেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ওই দিন মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে দেশে না ফিরলে প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালী ডিজিটাল বাংলাদেশ কখনোই বাস্তবায়ন করা সম্ভব ছিল না। ১২ বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির স্বপ্ন পূরণে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কার্যক্রম শুরু করেন। তৃণমূল থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির প্লাটফর্ম নির্মাণ করে ডিজিটাল বিপ্লবকে বাস্তবে রূপায়ন করা হয়েছে। জনগণ এখন সকল নাগরিক সেবা হাতের মুঠোয় পাচ্ছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ওহিদুর রহমান শেখ।
#
শহিদুল/মাসুম/রেজুয়ান/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/২৩০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩১৫
সিলেট বিভাগে দুস্থ মানুষের মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত
ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ মে) :
করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত রোগ কোভিড-১৯ মোকাবিলার অংশ হিসেবে চলমান বিধিনিষেধের কারণে কর্মহীন গরিব মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে সিলেট বিভাগের সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার জেলাসমূহে গরিব, কর্মহীন দুস্থ মানুষের মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
সিলেট জেলায় এ পর্যন্ত ১ লাখ ১৭ হাজার ৪০৩টি কর্মহীন শ্রমিক ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে ২ কোটি ৭১ লাখ ৮৫ হাজার টাকার ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলায় কর্মহীন শ্রমিক ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য ও ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়। কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত ৪১ হাজার ৪২টি পরিবারের মাঝে ২ কোটি ১০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলায় এ পর্যন্ত ৬০ হাজার ৪১১টি গরিব ও অসহায় পরিবারের মাঝে ৫৫ লাখ ১৩ হাজার ৯৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলায় এ পর্যন্ত ৩৯ হাজার ৩৪০টি গরিব অসহায় পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট জেলা তথ্য অফিসারদের মাধ্যমে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস হতে প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে এসব জানা গেছে।
#
আলমগীর/মাসুম/রেজুয়ান/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/২২৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩১৪
চট্টগ্রাম বিভাগে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত
ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ মে) :
চট্টগ্রাম বিভাগে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন প্রান্তিক ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে বিভিন্ন সরকারি অর্থ সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পুরোদমে অব্যাহত রয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা, ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ নগদ সহায়তা, ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা প্রভৃতি কর্মসূচির আওতায় গরিব, অসহায়, দুস্থ দিনমজুরসহ হতদরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৬ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৩ হাজার ৬৩৮ দুস্থ পরিবারের মাঝে ৫ কোটি ৩২ লাখ ১৮ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার সুফল ভোগ করেছে ৫ লাখ ১৮ হাজার ১৯০ জন প্রান্তিক, কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮ কোটি ২৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫০ টাকা যার পুরোটাই এ পর্যন্ত ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩১টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৬৫ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৭ হাজার ৩১১টি প্রান্তিক পরিবারের মাঝে ৫৮ লাখ ৪৮ হাজার ৮০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ চট্টগ্রাম জেলায় বরাদ্দকৃত ১৫ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৬০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ২ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় এ পর্যন্ত ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২ হাজার ৫৩৫টি পরিবার।
কক্সবাজার জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ২৮ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ২ কোটি ১৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ৪২ হাজার ৮৬৩টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৭ কোটি ৮৬ লাখ ২৭ হাজার ১৫০ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৭ কোটি ৮৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭২৭টি প্রান্তিক পরিবার ও ৮ লাখ ৬ হাজার ৫৭৪ জন মানুষ। তাছাড়া এ জেলায় ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ পেয়েছে আরো ১ হাজার ৩৩৪টি পরিবার। জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৮ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১ হাজার ৭২টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৮ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৮১৩টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
রাঙ্গামাটি জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ২৮ হাজার পরিবার ও ১ লাখ ৫ হাজার জন প্রান্তিক কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জেলায় বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪১ লাখ ৭৫ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে এ যাবৎ ২৬ হাজার হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ১০ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার বিতরণ প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু হবে।
খাগড়াছড়ি জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা (জিআর ক্যাশ) খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২২ হাজার ৯০০টি কর্মহীন পরিবারের মাঝে ১ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪৯ লাখ ২৫ হাজার ১৫০ টাকার পুরোটাই ৩৩ হাজার ২৬৭টি দুস্থ অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৫৫২টি পরিবার।
বান্দরবান জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ১৭ হাজার ৪১৪টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে জেলাটিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৮৬ হাজার ৯০০ টাকা যার পুরোটাই এ যাবৎ ৫৯ হাজার ৮২টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৭ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৭ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে ১৩২টি পরিবার। তাছাড়া জেলাটিতে ১ হাজার ৪২৮টি অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ হাজার ৪২৮ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার কর্তৃক গৃহীত মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে ১ কোটি ৭৯ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার মধ্যে অদ্যাবধি ৩১ হাজার ৫০০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় ভিজিএফ সহায়তা (নগদ) অর্থ খাতে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে ৭৫ হাজার ৫৯টি দুস্থ, অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ২৯৫ জন প্রান্তিক মানুষ। তাছাড়া এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ ১৩ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যা শীঘ্রই বিতরণ করা হবে।
নোয়াখালী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৮১ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৫১ হাজার ৫০০ প্রান্তিক অসহায় পরিবারের মাঝে ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫০ টাকা যার পুরোটাই অদ্যাবধি ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫০টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৪৭৫টি পরিবার। এছাড়া, জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ফেনী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪১ লাখ ৭৫ হাজার টাকার মধ্যে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা ২৩ হাজার ৮০০টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া, জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৬৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার পুরোটাই ৩৬ হাজার ৮০০টি প্রান্তিক হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ফেনী জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৬ লাখ টাকা ইতোমধ্যে ৬০০ দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ জেলায় বরাদ্দকৃত ৬ লাখ টাকার বিতরণ প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু হবে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৩০০টি পরিবার।
কুমিল্লা জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৮৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৫ কোটি ৩৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা ১ লাখ ৫ হাজার ৯৬০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৮ কোটি ৬০ লাখ ১৩ হাজার টাকার পুরোটাই ১ লাখ ৯১ হাজার ১৪০টি প্রান্তিক অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৪২ লাখ টাকার মধ্যে ইতোমধ্যে ২৭ লাখ টাকা ৫ হাজার ৫০০টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ১৭ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১৭০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ২ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। কুমিল্লা জেলায় শুকনো খাবার বাবদ বরাদ্দকৃত ১ হাজার প্যাকেটের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৫৪ প্যাকেট ১৫৪ দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২৮২০টি পরিবার।
চাঁদপুর জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে ২ কোটি ৭৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে যার মধ্যে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৬০ লাখ ২৫ হাজার টাকা ৫২ হাজার ৫০টি প্রান্তিক দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৪ কোটি ৫৫ লাখ ৫১ হাজার ২৫০ টাকা ১ লাখ ১ হাজার ২২৫টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় খাতে ৮ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় খাতে আরো ৮ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১৫টি পরিবার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ২ কোটি ৭৯ লাখ ১৬ হাজার টাকা ৫৮ হাজার ৩০০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৬ কোটি ১১ লাখ ১৯ হাজার ৯০০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮২২টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১৯৮টি পরিবার। এছাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৯ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৭৫৪টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ৪ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৯ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১৭০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ২ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট জেলা তথ্য অফিসারদের মাধ্যমে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস হতে প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে এসব জানা গেছে।
#
ফয়সল/মাসুম/রেজুয়ান/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/২২৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩১৩
বাংলাদেশ ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে
-- ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ মে) :
১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসংঘ দিবস। ‘এক্সিলারেটিং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ইন চ্যালেঞ্জিং টাইমস’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এর ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিআরসি প্রতি বছর নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে আসছে। করোনার কারণে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা সম্ভব না হলেও এবছর ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও বিটিআরসির উদ্যোগে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা আজ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিপুল সম্ভাবনা এবং একে সমাজ ও অর্থনীতির কল্যাণে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সকলকে সচেতন করাই দিবসটি উদযাপনের মূল লক্ষ্য। দিবসটি উপলক্ষে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাণী দিয়েছেন। আইটিইউ এর মহাসচিব হাউলিন ঝাওও শুভেচ্ছা বার্তা প্রদান করেন।
এই উপলক্ষে ডিজিটাল প্লাটফর্মে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন ও ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণ, ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র চালু এবং টিএন্ডটি বোর্ড প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা ডিজিটাল টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ১৯৯৬-২০০১ ও গত ১২ বছরের বাংলাদেশ অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রত্যন্ত গ্রামের শিশুটিও মোবাইলে ক্লাস করছে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ডিজিটাল সক্ষমতার নজীর স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ ইউনিয়ন এমনকি দুর্গম দ্বীপ, চর ও হাওরাঞ্চল পর্যন্ত ফাইভ-জি কানেক্টিভিটি দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। উইসিস এর সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০০৩ সালে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বিশ্ব সম্মেলনে তৎকালীন সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা করেননি। এমনকি পরবর্তী ফলোআপ সম্মেলনেও অংশ নেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তথ্য সমাজ প্রতিষ্ঠার সেই ধাপ অতিক্রম করে ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ আফজাল হোসেন এবং অ্যামটব চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী ১৭ মে বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের এক অনন্য দিন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বাঙালি জাতির জন্য এই দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা পঁচাত্তর পরবর্তী ছয় বছরের লড়াই, দুঃখ-কষ্ট, নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে বাংলাদেশে পদার্পণ করেছিলেন। তিনি ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির মতো দুঃসাহসিক ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কর্মসূচি না নিলে আজকের এই বাংলাদেশ আমরা পেতাম না।
প্রথম আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ কনভেনশন এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) প্রতিষ্ঠার স্মারক হিসেবে ১৯৬৯ সালের ১৭ মে হতে প্রতি বছর বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস পালিত হয়ে আসছে। পরে, তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সাল হতে ১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
#
শেফায়েত/মাসুম/রেজুয়ান/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩১২
পঞ্চগড়ে সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগী সাড়ে ছয় লাখ মানুষ
ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ মে) :
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) দ্বিতীয় ঢেউ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের জেলাওয়ারী মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় পঞ্চগড়ে এ পর্যন্ত ৬ লাখ ৩৪ হাজার ২৭৫ জন দরিদ্র অসহায় কর্মহীন মানুষ উপকৃত হয়েছে।
এ কর্মসূচির আওতায় পঞ্চগড় জেলায় ১ কোটি ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ টাকা নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। ফলে ২৫ হাজার ৪৪৪টি পরিবারের ১ লাখ ১০ হাজার ৮৯২ জন দরিদ্র, অসহায় ও কর্মহীন মানুষ উপকৃত হয়েছে।
এছাড়া, ৫ কোটি ২৭ লাখ ৭৬ হাজার ৪৫০ টাকা ভিজিএফ (আর্থিক সহায়তা) হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে। এতে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮১টি পরিবারের ৫ লাখ ২৩ হাজার ৩৮৩ জন দরিদ্র, অসহায় ও কর্মহীন মানুষ উপকৃত হয়েছে।
#
রেজাউল/মাসুম/রেজুয়ান/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩১১
পিতৃহীন আওয়ামী লীগকে মায়ের স্নেহেই চারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় নিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ মে) :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর রক্তভেজা বাংলাদেশের মাটিতে ফিরে এসে পিতৃহীন সন্তানের মতো আওয়ামী লীগকে মায়ের স্নেহেই চারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় নিয়ে গেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।’
আজ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে ঈদ-উত্তর মতবিনিময় সভায় ১৭ মে শেখ হাসিনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মন্ত্রী একথা বলেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বরাত বঙ্গবন্ধুকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিনে একটি সুখবর দিতে চাই উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী জানান, করোনা মহামারির মধ্যে প্রায় সবদেশে যেখানে অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে, মাথাপিছু আয় কমেছে, সেখানে গত বছর বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে। আমাদের ২০১৯-২০ অর্থবছরের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৬৪ ডলার এখন প্রায় ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ২২৭ ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা আমাদের জাতির জন্য আরেকটি অর্জন।
আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীতে ৯১তম বাংলাদেশ আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বে ধান উৎপাদনে তৃতীয়, মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে পৃথিবীতে চতুর্থ, আলু উৎপাদনে সপ্তম, সবজি উৎপাদনে চতুর্থ, উল্লেখ করেন ড. হাছান।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার ও রায় কার্যকর হয়েছে, যুদ্ধাপরাধের বিচার হয়েছে ও চলমান আছে। তাঁর হাত ধরেই ক্যান্টনমেন্টে বন্দি গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছিল, দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বারবার মৃত্যুর উপত্যকা থেকে ফিরে এসে জননেত্রী শেখ হাসিনা কখনো বিচলিত হননি, দ্বিধান্বিত হননি, বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের কাফেলাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।’
ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘন 'ওয়াচ' করে না হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
ফিলিস্তিনি জনতার ওপর অব্যাহত ইসরায়েলি বোমা হামলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো নীরব কেন -সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি ফিলিস্তিনে যখন ইসরায়েল কর্তৃক মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, নারী, শিশু এবং সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, তখন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো নিশ্চুপ।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এতো কিছু ওয়াচ করে আর এখন পৃথিবীর সমস্ত টেলিভিশন যে এই বর্বরতা দেখাচ্ছে সেটা তাদের চোখে পড়ে নাই, কোনো বিবৃতিও তাদের নাই, বলেন হাছান মাহ্মুদ।
চলমান পাতা/২
--০২--
মন্ত্রী আরো বলেন, পান থেকে চুন খসলেই অ্যামনেস্টি ইন্টারনেশনাল বিবৃতি দেয়, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে, শহীদুল হকের পক্ষেও বিবৃতি দিয়েছে। কিন্তু আজকে যখন ফিলিস্তিনে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে তখন অ্যামনেস্টি ইন্টারনেশনালের কোনো অফিসিয়াল বিবৃতি আমরা দেখতে পাইনি। তাদের মিডিল-ইস্ট এবং নর্থ আফ্রিকার অঞ্চলের একজন উপপরিচালক একটি বার্তা সংস্থার সাথে আলাপকালে কিছু কথা বলেছেন, কিন্তু তাদের অফিসিয়াল কোনো বিবৃতি নাই।
এ ধরনের অপরাধের সময় যারা নিশ্চুপ থাকে এবং দেখতে পায় না, তাদের আসলে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে বিবৃতি দেয়ার নৈতিক অধিকার থাকে কি না, এটি একটি বড় প্রশ্ন মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক মন্তব্য 'সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করছে' এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব তো প্রতিদিনই এই সমস্ত কথা বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উপস্থাপন করেন। তার এই বক্তব্য সেটিরই ধারাবাহিকতা ছাড়া আর অন্য কোনো কিছু নয়।’
আইনশৃঙ্খলাবাহিনী জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়ার জন্যই কাজ করছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, বিএনপি এবং তার মিত্ররা, তাদের পেট্রোলবোমা বাহিনী, সন্ত্রাসীরাই জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায়। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা মির্জা ফখরুল সাহেব মানতে পারছেন না বলেই হয়তো তিনি একথা বলেছেন।
#
আকরাম/মাসুম/রেজুয়ান/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩১০
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬ হাজার ৯৪০ জনের ভ্যাকসিন গ্রহণ
ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ মে) :
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মোট ৫৬ হাজার ৯৪০ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। এদের সবাই দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করেন। এদের মধ্যে ৩৫ হাজার ৫১৭ জন পুরুষ এবং ২১ হাজার ৪২৩ জন মহিলা।
এ নিয়ে সারা দেশে গত ২৭ জানুয়ারি থেকে ১৭ মে পর্যন্ত সর্বমোট ভ্যাকসিন গ্রহীতার সংখ্যা ৯৫ লাখ ৭৬ হাজার ৯৩৫ জন। এদের মধ্যে প্রথম ডোজে ৩৬ লাখ ৮ হাজার ৯৭৯ জন পুরুষ এবং ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৩৩ জন মহিলা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। দ্বিতীয় ডোজে ২৪ লাখ ১৪ হাজার ১৯২ জন পুরুষ এবং ১৩ লাখ ৪২ হাজার ৮৩১ জন মহিলা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ১৭ মে ২০২১ বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সরকার কর্তৃক তৈরিকৃত সুরক্ষা অ্যাপে মোট ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছেন।
#
মিজানুর/মাসুম/রেজুয়ান/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩০৯
প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্তকে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ
ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ মে) :
কৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্তকে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ আজ এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে।
#
মাসুম/রেজুয়ান/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩০৮
সরকারের সঠিক পদক্ষেপের কারণেই করোনায় দেশ এখনো নিরাপদ রয়েছে
-- স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ মে) :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকারের সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের ফলেই করোনায় এখনো বাংলাদেশ অনেকটাই নিরাপদ রয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে দিনে গড়ে প্রায় ৪ হাজার মানুষ করোনায় মারা যাচ্ছে এবং দৈনিক ৩ থেকে ৪ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। অথচ ভারতের এত নিকটবর্তী দেশ হয়েও বাংলাদেশে বর্তমানে সংক্রমণ দিনে ৩০০ জনের কাছাকাছি নেমে গেছে। তিনি বলেন, ভারতীয় নতুন ভ্যারিয়েন্ট দেশে চলে এলেও সঠিকভাবে কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং করার ফলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টটি দেশে এখনো ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। তবে, আগামী কিছুদিন আমাদেরকে আরো বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে ঈদ পরবর্তী আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে সরকারের ফলপ্রসূ আলোচনা চলছে। শীঘ্রই হয়তো এ বিষয়ে সুখবর দেয়া সম্ভব হবে। ভ্যাকসিন ক্রয়ের পাশাপাশি দেশেই ভ্যাক