তথ্যবিবরণী নম্বর: ২২৬০
করোনা পরবর্তী সময়েও দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভার্চ্যুয়াল ক্লাস চলমান থাকবে
-- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ৯ আষাঢ় (২৩ জুন) :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনা পরবর্তী সময়েও দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভার্চ্যুয়াল ক্লাস চলমান থাকবে।
মন্ত্রী আজ এটুআই এর আয়োজনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়াল ক্লাস রুম উদ্বোধন বিষয়ক এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে আরো যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন-সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সংশ্লিষ্টরা।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন পর্বে মন্ত্রী বলেন, ‘অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় কয়েক বছর পর যেতেই হতো, করোনা পরিস্থিতির কারণে আমাদের আগে করতে হলো। রূপকল্প ২০৪১ ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের নতুন দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজন রয়েছে। সুতরাং অনলাইন শিক্ষাই তাদের জন্য বড় সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।’
বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমের অনেক উদাহরণ রয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাঠ্যবইয়ের কনটেন্ট ই-কনটেন্টে রূপান্তরিত করতে হবে। আমাদের মাইড সেট পরিবর্তন করতে হবে। ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী যাদের অনলাইন শিক্ষায় সুযোগ (অ্যাকসেস) দিতে পারছি না। কীভাবে দেওয়া যাবে, সেক্ষেত্রে লোন দেওয়া যায় কিনা, ইন্টারনেটের খরচ কমানো যায় কিনা সেটা কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আইসিটি মন্ত্রণালয় তা নিয়ে কাজ করছে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই শুধু কাজ করবে তা নয় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই কাজ করতে হবে। যে অবকাঠামো তৈরি হয়েছে, তার যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।
তথ্য প্রযুক্ত প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘১০ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য সুদবিহীন ঋণ দেওয়া যায় কিনা তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ল্যাপটপ লোনও দেওয়া হতে পারে বলে তিনি জানান।
#
খায়ের/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২০/২১৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২২৫৯
আরো ৪ জেলার রেড জোনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা
ঢাকা, ৯ আষাঢ় (২৩ জুন) :
করোনা ভাইরাসে অধিক সংক্রমিত দেশের ৪ জেলার কয়েকটি এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করেছে সরকার। রেড জোন এলাকায় বিভিন্ন মেয়াদে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটিসমূহ এই সাধারণ ছুটির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী অধিক সংক্রমিত জেলাগুলো হলো−কক্সবাজার, মাগুরা, খুলনা ও হবিগঞ্জ। এই ৪ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে।
এসব জেলার মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলাধীন কক্সবাজার পৌরসভা; টেকনাফ উপজেলাধীন টেকনাফ পৌরসভা; উখিয়া উপজেলাধীন রাজাপালং ইউনিয়নের ২, ৫, ৬ ও ৯নং ওয়ার্ড, রত্নাপালং ইউনিয়নের কোটবাড়ি বাজার, পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালি ও থাইংখালী বাজার এলাকা ২০ জুন রেড জোন ঘোষণা করা হয়। রেড জোন ঘোষণার মেয়াদ ২১ জুন থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত। এসব এলাকায় ২৪ জুন থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
মাগুরা জেলার ঢাকা-ঝিনাইদহ-মেহেরপুর মহাসড়ক সংলগ্ন মাগুরা পৌরসভাধীন একতা কাঁচাবাজার এবং ভায়না মোড়ের দক্ষিণে ৪নং ওয়ার্ডের খানপাড়া এবং পিটিআই পাড়াকে ২১ জুন রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এসব এলাকায় রেড জোন ঘোষণার মেয়াদ ২১ জুন থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত। উক্ত এলাকা ২৪ জুন থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি থাকবে।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ১৭ ও ২৪নং ওয়ার্ড এবং রূপসা উপজেলাধীন আইচগাতী ইউনিয়ন এলাকাকে ২২ জুন রেড জোন এলাকা ঘোষণা করা হয়। এসব এলাকায় রেড জোন ঘোষণার মেয়াদ ২৫ জুন থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত। এ এলাকায় ২৬ জুন থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলাধীন বাহুবল ইউনিয়নকে ১৮ জুন রেড জোন এলাকা ঘোষণা করা হয়। এই তারিখ থেকে পরবর্তী ২১ দিন রেড জোন বহাল থাকবে। এ এলাকায় ২৪ জুন থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
#
সাইফুল/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২০/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৫৮
করোনাকালে ডিজিটাল বাংলাদেশ আরো জীবন্ত হয়েছে
-- মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ৯ আষাঢ় (২৩ জুন) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, করোনাকালে ডিজিটাল বাংলাদেশ মানুষের জীবন যাত্রায় চরম দুর্ভোগ লাঘবে নিরাপদ অবলম্বন হিসেবে রূপান্তর লাভ করেছে। শত শত বছরের পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করে ১১ বছরে ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশ নেতৃত্বের জায়গায় উপনীত হয়েছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় তাঁর দপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, ডাক অধিদপ্তর, বিটিসিএল, সাবমেরিন কেবল লিমিটেড, টেলিটক এবং খুলনা টেলিফোন কেবল ইন্ডাস্ট্রি-সহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকতারা এ সময় জুম ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সংযুক্ত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী দু’টি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন।
ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শুধাংশু শেখর ভদ্রের সভাপতিত্বে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: নূর-উর-রহমান, অতিরিক্ত সচিব শাহাদাত হোসেন এবং ডাক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হারুন উর রশীদ অনুষ্ঠানে ভিডিওতে সংযুক্ত থেকে বক্তৃতা করেন।
#
শেফায়েত/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২০/২০০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৫৭
করোনা সংকটে ডেঙ্গুর প্রকোপ থামাতে সতর্ক থাকার নিদের্শ স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর
ঢাকা, ৯ আষাঢ় (২৩ জুন) :
দেশে করোনা সংকটের সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ রাজধানী-সহ সারা দেশের মানুষের জন্য যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
মন্ত্রী আজ সচিবালয়ে নিজ কক্ষে সারা দেশে ডেঙ্গু-সহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম পর্যালোচনা নিয়ে অনলাইনে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী বলেন, এডিস মশা নিধনে গুণগত মানসম্পন্ন কীটনাশক আমদানি করায় এ বছরের শুরু থেকে এডিস মশার প্রকোপ অনেক কমেছে। এ সময় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মশা নিধনে উৎকৃষ্টমানের কীটনাশক সরবরাহ করায় মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
ঢাকা শহরকে এডিস মশা, ময়লা-আবর্জনা মুক্ত করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নগর গড়তে ঠিক মতো কাজ হচ্ছে কি না তা দেখতে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন স্থান মাঝে মাঝে পরিদর্শন করবেন বলে মন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি সবাইকে জবাবদিহিতার মধ্যে থাকতে হবে। নগরবাসীকে নিজেদের বাড়ি ও এর আশপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এডিসের লার্ভা কোনক্রমেই যেন তৈরি না হয় সেদিকে সবাইকে নজর রাখতে হবে।
সভায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঢাকা ওয়াসার এমডি-সহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ অংশ নেন।
#
হায়দার/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২০/১৭৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৫৬
আওয়ামী লীগ এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
ঢাকা, ৯ আষাঢ় (২৩ জুন) :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্য বিধি মেনে আজ উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তিনি জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় প্রতিমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সুরাইয়া আক্তার এবং সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার
সাথী-সহ জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ।
#
আকতারুল/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২০/১৭২৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৫৫
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৯ আষাঢ় (২৩ জুন) :
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৬৪ জেলায় ইতোমধ্যে ২ লাখ ১১ হাজার ১৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া শিশু খাদ্য-সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ১২২ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী আজ দেশে নতুন করে আরো ৩ হাজার ৪১২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ১৯ হাজার ১৯৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ জন-সহ এ পর্যন্ত ১ হাজার ৫৪৫ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ২৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪৭ হাজার ৬৩৫ জন ।
এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২৫ লাখ ২৮ হাজার ২৪৫টি পিপিই সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে মোট বিতরণ করা হয়েছে ২৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮১৪টি এবং মজুত আছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৩১টি।
সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান এবং এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সেবা প্রদান করা যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।
#
তাসমীন/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০২০/১৭২৬ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর:২২৫৪
এসএমই ডাটাবেজ দ্রুত আপডেট করা হবে
- শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ৯আষাঢ় ( ২৩ জুন):
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতকে সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের সুফল নিশ্চিত করতে এসএমই ডাটাবেজ দ্রুত আপডেট করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় এসএমই ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এই ডাটাবেজ আপডেট করবে। এর ফলে তৃণমূল পর্যায়ে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প উদ্যোক্তারা প্রণোদনার সুফল পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
শিল্পমন্ত্রী আজ “কোভিড-১৯ অথনৈতিক সংকট এবং বাংলাদেশের এসএমই শিল্পখাত” শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে একথা বলেন। দেশে করোনা সংকট উত্তরণের লক্ষ্যে মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), বিল্ড এবং পলিসি এক্সচেঞ্জের যৌথ উদ্যোগে গঠিত পলিসি ডেভলপমেন্ট প্ল্যাটফর্ম 'রিসারজেন্ট বাংলাদেশ' এ সংলাপের আয়োজন করে।
সংলাপে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিল্ডের চেয়ারপার্সন আবুল কাশেম খান । পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিল্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বেগম। পিকেএসএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিম, শিল্প উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, উন্নয়ন গবেষক এবং গণমাধ্যম কর্মীরা আলোচনায় অংশ নেন। সংলাপের সুপারিশগুলো তুলে ধরেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি শামস মাহমুদ।
সংলাপে অংশ নেয়া বক্তারা করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত বিশাল প্রণোদনা প্যাকেজের প্রশংসা করেন। তারা বলেন, অতি দ্রুততার সাথে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হলেও ব্যাংকিং জটিলতার কারণে এসএমই শিল্পোদ্যোক্তারা এর সুফল পাচ্ছেন না। তারা ব্যাংকিং চ্যানেলের পাশাপাশি মাইক্রো-ফাইন্যান্সিং ইনস্টিটিউট (এমএফআই)সহ নন-ব্যাংকিং সেক্টরের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের অপ্রাতিষ্ঠানিক, কুটির, ক্ষুদ্র শিল্প ও ব্যবসার জন্য সরকার ঘোষিত প্রণোদনা সুবিধা দেয়ার দাবি জানান।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনার সুবিধা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে জেলা পর্যায়ে মনিটরিং কার্যক্রম চালু হয়েছে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের চিহ্নিত করতে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং এ কমিটি কাজ শুরু করেছে। করোনা পরিস্থিতিতে বিদ্যমান কর্মসংস্থান ধরে রাখার পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান সৃজন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অর্থনীতির প্রাণ শক্তি হিসেবে এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
হুমায়ুন আরও বলেন, বর্তমান সরকার করোনা পরিস্থিতিতেও জীবন ও জীবিকা সচল রাখতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং শিল্পায়ন চালু রাখার বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নিয়েছে। এর পাশাপাশি বিদেশ ফেরত জনশক্তিকে উৎপাদনশীল এসএমই খাতে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা চলছে। করোনার ফলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিদেশি উৎপাদনমুখী শিল্পকারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এটি দেশীয় এসএমই খাতের জন্য নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে। তিনি এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে এসএমই শিল্পোদ্যোক্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহায়তা কামনা করেন। সংলাপের যৌক্তিক সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত উদ্যোগ নেয়া হবে বলে তিনি আয়োজকদের আশ্বস্ত করেন।
#
জলিল/গিয়াস/জুলফিকার/কুতুব/২০২০/১৫৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২২৫৩
৭১ বছর ধরে জনগণের পাশে আওয়ামী লীগ
-তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৯ আষাঢ় (২৩ জুন) :
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন,‘আওয়ামী লীগ একটি স্ফুলিঙ্গের নাম। আওয়ামী লীগ শুধুমাত্র ক্ষমতায় থেকে জনগণের কল্যাণ করেছে তা নয়,৭১ বছরের পথ চলায় বেশির ভাগ সময়ই দলটি ক্ষমতায় ছিল না,তখনও আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে।’
আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের পক্ষে পুষ্পিত শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে দিবসটি উপলক্ষে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার সময় তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন,‘আজ আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৪৯ সালের এই দিনে প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ গণমানুষের মধ্য থেকে গড়ে ওঠা একটি দল এবং বাংলাদেশের সমস্ত অর্জনের সাথে আওয়ামী লীগের নাম জড়িয়ে আছে। আর সবচাইতে বড় অর্জন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করে, তখন ভাষাদিবস সরকারিভাবে পালন করা হয়। পাকিস্তানের প্রথম সংবিধানও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রচিত হয়েছিল।’
‘বঙ্গবন্ধুকে যদি স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় সপরিবারে হত্যা করা না হতো কয়েক দশক আগেই আমরা দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়ার চেয়ে অনেক উন্নত রাষ্ট্রর কাতারে থাকতে পারতাম’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন,‘আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা যার রক্তে বঙ্গবন্ধুর রক্ত বহমান তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের পথে অদ্যম গতিতে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবার পথে, ১৯৫০ সালের খাদ্য ঘাটতির দেশ আজ খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশ, গত সাড়ে ১১ বছরে মানুষের মাথাপিছু আয় সাড়ে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, দারিদ্র্য নেমে এসেছে অর্ধেকে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী জননেত্রী’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন;মৃত্যুঞ্জয়ী জননেত্রী শেখ হাসিনা জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে এসে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, আওয়ামী লীগের মাধ্যমে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সামনে কি চ্যালেঞ্জ রয়েছে-এ প্রশ্নের উত্তরে ড. হাছান বলেন, গত ৭১ বছর ধরে আওয়ামী লীগ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই এগিয়ে এসেছে। এটি দুঃখজনক যে, স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর এখনো আমাদেরকে স্বাধীনতার পক্ষের ও বিপক্ষের শক্তি নিয়ে কথা বলতে হয়। একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি এখনো তাদের সহযোগী স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি জামাতে ইসলামীর পৃষ্ঠপোষকতা করে। সাম্প্রদায়িক চেতনার ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িকতাকে ভূলন্ঠিত করে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশ রচিত হয়েছিল। কিন্তু আজও এদেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানো হয়, আমাদের অগ্রগতিকে থামিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চলে। এগুলো অতিক্রম করাই আমাদের চলার পথের চ্যালেঞ্জ।’
#
আকরাম/গিয়াস/জুলফিকার/কুতুব/২০২০/১৪২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২২৫২
জাতিসংঘ পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড পেল বাংলাদেশ
ঢাকা, ৯ আষাঢ় (২৩ জুন) :
ভূমি মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ পুরস্কার অর্জনের গৌরবের মধ্য দিয়ে আজ দেশে পালিত হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস’।
দেশে-বিদেশে প্রশংসিত ই-মিউটেশন কার্যক্রম বাস্তবায়নের স্বীকৃতি হিসেবে প্রথমবারের মত ‘স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিকাশ’ ক্যাটাগরিতে জাতিসংঘের মর্যাদাপূর্ণ ‘জাতিসংঘ পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ অর্জন করে বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয়, যা দেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয়।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ,এই পুরস্কার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ ও জাতির সম্মিলিত অর্জন জাতিসংঘ পুরস্কার প্রাপ্তির পর আমাদের উপর দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে এ স্বীকৃতি ধরে রাখতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ‘ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অগ্রগামী ভূমিকা পালনের মাধ্যমে যে সব প্রতিষ্ঠান কার্যকর এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে সক্ষম জনপ্রশাসন গঠনে অবদান রাখে সে সব প্রতিষ্ঠানকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
গত ৫ জুন জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিক ভাবে ভূমি মন্ত্রণালয়কে জাতিসংঘ পুরুস্কার অর্জনের বিষয়টি জানায়; ১৬ জুন জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ৭টি দেশের ৭টি প্রতিষ্ঠান কিংবা উদ্যোগের নাম ঘোষণা করে। প্রতিবছর এই দিনকে সামনে রেখে জাতিসংঘ ‘ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে ৭টি ক্যাটাগরিতে।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় (যুক্তরাষ্ট্র ইএসটি সময় সকাল ৯টা) জাতিসংঘ ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে 'ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস দিবস’ উদযাপন করবে। এবারের আলোচ্য বিষয় ‘ON THE FRONTLINES: Honouring public servants in the COVID-19 pandemic response’।
এ বছর দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে 'ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস ফোরাম' ও ‘পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ বিতরণ অনুষ্ঠান জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারী-এর প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করেছে ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়ন তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে ভূমি মন্ত্রণালয় সকল ভূমিসেবা ডিজিটাল সেবায় রূপান্তরের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এই জটিল কর্মযজ্ঞ দেশের তৃণমূল পর্যায়ে নেয়া সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ-এর নেতৃত্বে । উপজেলা/ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ‘ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল’ সম্প্রসারণ ও উচ্চ গতির ইন্টারনেট সহজলভ্য করার কারণে। ভূমিমন্ত্রী‘র নেতৃত্বে এবং ভূমিসচিব এর তত্ত্বাবধানে ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে তিন পার্বত্য জেলা ব্যতিত সারা দেশে ইমিউটেশন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ কাজে কারিগরি সহায়তা করছে আইসিটি বিভাগের এটুআই প্রকল্প। ভূমি সংস্কার বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় সহকারি কমিশনার(ভূমি)গণের মাধ্যমে ই-নামজারি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
#
নাহিয়ান/গিয়াস/জুলফিকার/কুতুব/২০২০/১৪3০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২২৫১
দীর্ঘ ছুটির পর আইন মন্ত্রণালয়ে তিন সপ্তাহেই বিদেশগামীদের ১৭১৫ টি সার্টিফিকেট সত্যায়িত
ঢাকা, ৯আষাঢ় (২৩ জুন):
করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ ছুটির পর গত ৩১ মে থেকে ২১ জুন পর্যন্ত তিন সপ্তাহেই বিদেশ গামীদের ১৫ ধরণের ১ হাজার ৭১৫ টি সার্টিফিকেট সত্যায়িত করেছে আইন মন্ত্রণালয়।বিদেশ যেতে বা বিদেশে গিয়ে কোন সুবিধা নিতে গেলে এসব সার্টিফিকেট লাগে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের রেজিস্ট্রেশন শাখা হতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে প্রাপ্ত এসব সার্টিফিকেট সত্যায়িত করা হয়। বিদেশগামীদের ম্যারেজ সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট ও অভিজ্ঞতা সনদসহ অন্যান্য কাগজপত্র বিদেশী এম্বাসীতে প্রদর্শন করাতে গেলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় হয়ে যেতে হয়।
আইন মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন ছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিদেশী এম্বাসীগুলো এসব কাগজপত্র গ্রহণ করেনা। এম্বাসীগুলোতে এসব সত্যায়িত কাগজপত্র জমা দিলে তারা যাচাই করে দেখে। এজন্য আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নমুনা স্বাক্ষর এম্বাসীগুলোতে দেয়া আছে।
আমাদের দেশের প্রবাসী ভাই বোনেরা তাদের স্বামী বা স্ত্রী নিয়ে যেতে চাইলে ম্যারেজ সার্টিফিকেট লাগে। সন্তানের জন্য বার্থ সার্টিফিকেট লাগে। নাগরিকত্ব পাইতে, চাকরি পাইতেও অনেক সার্টিফিকেট চায় সেখানে। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ লাগে উচ্চ শিক্ষার জন্য। অনেকে অসুস্থতার সার্টিফিকেট দিয়ে ছুটি নেয়। অনেক সময় ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে পেনশন সহ অন্যান্য পাওনাদি আদায় করে।
অভিজ্ঞতা সনদ দিয়ে প্রমোশন নেয়। কেউকেউ এদেশে কোন জমিজমা নাই , নদীতে ভেঙ্গে গেছে এসব কারণ দেখিয়ে বিদেশে এসাইলাম নেয়। অনেক সময় কেউ বিদেশে পাওয়ার অব এটর্নি পাঠায় যা সত্যায়িত করে পাঠাতে হয়।
প্রক্রিয়া: প্রথমে যেকোন ভ্যালিড ডকুমেন্ট নোটারি পাবলিক দিয়ে সার্টিফাইড করাতে হয়। তারপর আইন মন্ত্রণালয় হতে সত্যায়ন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হয়। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা সংশ্লিষ্ট এম্বাসীতে পাঠিয়ে দেয়।
প্রতিদিন সকাল ০৯:০০ হতে ০১:০০ টা পর্যন্ত কাগজাদি জমা নেওয়া হয়। অতঃপর বিকেল ০৩:০০ হতে ডেলিভারী দেওয়া হয়।
এই মহামারীর সময়েও আইনমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্য বিধি মেনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সরকারি পরিবহন পুল ভবনের নিচ তলায় সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন জমা গ্রহন করা হচ্ছে। আবার সেখান থেকেই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ডেলিভারী দেওয়া হচ্ছে।
#
রেজাউল/গিয়াস/জুলফিকার/কুতুব/২০২০/১২৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২২৫০
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণই আমাদের অঙ্গীকার।
-ওবায়দুল কাদের
ঢাকা, ৯ আষাঢ় (২৩ জুন) :
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২-এ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বঙ্গবন্ধরু প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নিজ বাসভবনে এক ব্রিফিং-এ এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের জনগণ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গৌরবময় সাত দশকের ইতিহাস বাংলাদেশেরই ইতিহাস। এদেশের প্রতিটি গৌরবময় অর্জন আওয়ামী লীগের হাত ধরেই। আমাদের ইতিহাসের মহানায়ক জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ধারাবাহিক আন্দোলনের পথ বেয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা-বাঙালি জাতি ও আওয়ামী লীগের সর্বশ্র