তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫২৫
“মুজিব চিরন্তন” থিম-এর লোগো উন্মোচন
কলকাতা বইমেলা শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি, থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ
কলকাতা, ১০ ফেব্রুয়ারি:
আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২২-এর ফোকাল থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ। কলকাতার বিধাননগরের করুণাময়ীর সেন্ট্রাল পার্ক মেলা প্রাঙ্গণে ২৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। চলবে ১৩ মার্চ পর্যন্ত।
এ উপলক্ষ্যে কলকাতা পাবলিশার্স এন্ড বুক সেলস গিল্ড আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলন ও “মুজিব চিরন্তন” থিম-এর লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
কলকাতা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে কবি কামাল চৌধুরী বলেন, এ বছরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমরা এবছর বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করছি। এবারের বইমেলায় আমাদের থিম হচ্ছে ‘মুজিব চিরন্তন’। এই থিমের ওপর ভিত্তি করে আমাদের স্লোগান-‘সৃজনে মননে মানবিক দেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে উপজীব্য করে এবারের বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করা হবে। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ ছিল মূলত: স্বাধীনতার ডাক, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের আহ্বান এবং অনুপ্রেরণা। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটিকে বিশ্ব প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে মেমোরি অভ্ দি ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করেছে। মুজিববর্ষে তাই বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণকে কেন্দ্র করেই এবারের বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করা হবে। সরকারি-বেসরকারি মিলে এবছর বাংলাদেশের ৫০টি স্টল থাকবে।
কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসার বলেন, মেলার ৩টি প্রবেশদ্বার বা গেট এবার বাংলাদেশ নির্মাণ করছে। এই গেট ৩টি বঙ্গবন্ধুর লেখা ৩টি বই এর আদলে নির্মাণ করা হবে। (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, আমার দেখা নয়াচীন)
এবারের মেলায় ৩ এবং ৪ মার্চ এই দু’দিন বাংলাদেশ দিবস হিসেবে উদ্যাপিত হবে।
পরে ড. কামাল চৌধুরী কলকাতা প্রেসক্লাবে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু সংবাদ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
#
রঞ্জন/নাইচ/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/২০৪৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫২৪
দক্ষ মানব সম্পদ দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি
-- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৭ মাঘ (১০ ফেব্রুয়ারি):
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দক্ষ মানব সম্পদ দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি। দেশে সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা বিশ্বের অনলাইন আউটসোর্সিং এ ১৬ শতাংশ অবদান রাখছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বর্ডারলেস পেমেন্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান পেওনিয়ার, ব্র্যাক ব্যাংক এবং বিকাশ যৌথভাবে বৈধ পথে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে থেকে ‘ডিজিটাল রেমিটেন্স সেবা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের গবেষণায় উঠে এসেছে, অনলাইন আউটসোর্সিং এ বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গন্তব্য। গত ১৩ বছরে সরকারের বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ ও নীতি সহায়তায় ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে যা আরো সম্প্রসারণের জন্য কাজ করা হচ্ছে। তিনি দ্রুততার সাথে তাৎক্ষণিক ভাবে নিরাপদে ফ্রিল্যান্সারদের উপার্জিত অর্থ পাওয়ার পদ্ধতি সহজ করায় বিকাশ, পেওনিয়ার ও ব্র্যাক ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান।
বক্তারা জানান এখন সারা বিশ্ব থেকে ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম পেওনিয়ার এর মাধ্যমে মূহুর্তেই ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্ট আসবে বিকাশে। দিন রাত ২৪ ঘণ্টা রিয়েল টাইমে এই সেবা আসার সুবিধা বিকাশমান ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আরো গতিশীলতা আনবে এবং দেশের বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রবাহকে আরো বেগবান করবে।
পরে প্রতিমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে এ সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, পেওনিয়ার এর রিজিওনাল সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট রোহিত কুলকার্নি ও চিফ রেভিনিউ অফিসার রবার্ট ক্লার্কসন, ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর এফ হোসেন এবং বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীরসহ প্রতিষ্ঠানগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।
#
শহিদুল/নাইচ/রাহাত/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫২৩
নির্বাচনের উদ্দেশ্যেই এখন বিএনপি নেতাদের উঁকিঝুঁকি
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২৭ মাঘ (১০ ফেব্রুয়ারি):
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, নির্বাচনকে উদ্দেশ্য করে এখন বিএনপি নেতাদের উঁকিঝুঁকি দিতে দেখা যাচ্ছে, করোনাকালে অসহায় মানুষের পাশে তাদের দেখা যায়নি।
আজ সচিবালয়ে নিজ দপ্তর থেকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন।
‘এতোদিন গ্রাম-গ্রামান্তরে তাদের কোনো খবর ছিলো না, নির্বাচনের উদ্দেশ্যে এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের ধীরে ধীরে দিনে-রাতে বিভিন্ন নিমন্ত্রণ-দাওয়াতে দেখা যাচ্ছে, তারা আবার মানুষের কাছে আসার চেষ্টা করছে’ উল্লেখ করে ড. হাছান নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তাদেরকে প্রশ্ন রাখতে হবে, যখন বন্যা হয়েছিলো, আপনারা তখন কোথায় ছিলেন, করোনাকালে একমুঠো চাল নিয়ে কেন মানুষের কাছে আসেননি?’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা করোনাকালে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, কয়েক হাজার নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ৮১ সদস্যের মধ্যে উপদেষ্টামণ্ডলীসহ ৫ জন সদস্য মৃত্যুবরণ করছে। আওয়ামী লীগের বহু এমপি মৃত্যুবরণ করেছে। করোনাকালে মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, আবার সুস্থ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করছে, এমন ঘটনা বহুজনের ক্ষেত্রে ঘটেছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘এই করোনাকালে রাঙ্গুনিয়াসহ সারাদেশে আমাদের নেতাকর্মীরা কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে, সেই ধান আবার মাথায় তুলে কৃষকের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে। কিন্তু অন্য কোনো দলকে দেখা যায়নি। যখন নির্বাচন আসছে, আমরা যেই কাজগুলো করেছি, সেই কাজ ভুল ধরার জন্য এখন তাদেরকে উঁকিঝুঁকি দিতে দেখা যাচ্ছে। তাই আমি জনগণ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানাবো তাদেরকে প্রশ্ন রাখার জন্য- এতোদিন তারা কোথায় ছিলেন।’
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আজকে যখন দেশের প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে, তখন দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে এবং বিএনপি’র পক্ষ থেকে বিএনপি’র প্যাডে তাদের মহাসচিব নিজের স্বাক্ষরে দেশের বিরুদ্ধে বিদেশিদের কাছে চিঠি লিখছেন দেশকে যেন সাহায্য দেওয়া না হয়, দেশের রপ্তানি বাণিজ্য যেন বাধাগ্রস্ত হয়।’
চলমান পাতা/২
--০২--
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সম্মেলনের মাধ্যমে আপনারা এমন নেতৃত্ব নির্বাচিত করবেন, যারা দুঃসময়ে ছিলো এবং দুঃসময়ে থাকবে। পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের হাতেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব থাকবে। নতুন নেতাকর্মীদের একটু সময় লাগবে।’
‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণমানুষের সংগঠন, এদেশের খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের সংগঠন, রাজনীতিকে ড্রয়িংরুম থেকে সাধারণ মানুষের কাতারে নিয়ে আসার জন্যই ১৯৪৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিলো’ স্মরণ করিয়ে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সেই থেকে বাঙালির সমস্ত আন্দোলন, সংগ্রামের সাথে যুক্ত থেকেছে। বাঙালির সমস্ত অর্জন আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এসেছে। বাঙালির সবচেয়ে বড় অর্জন আমাদের যে মহান স্বাধীনতা, সেই স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধকালীন যে সরকার গঠিত হয়েছিলো, যে সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, উপরাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম যিনি বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ, সেই সরকার ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের।’
‘শিলক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল হাশেম মাস্টারের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন তালুকদারের সঞ্চালনায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল কাইয়ুম তালুকদার উদ্বোধক এবং সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. সামশুল আলম তালুকদার প্রধান বক্তা হিসেবে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম চিশতি, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার, এইচএন বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার প্রমুখ এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও শিলক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
#
আকরাম/নাইচ/রাহাত/রফিকুল/সেলিম/২০২২/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫২২
সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভাগুলোর রাস্তা আইডিভুক্ত করে বরাদ্দ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত
-- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ২৭ মাঘ (১০ ফেব্রুয়ারি):
দেশের সকল সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভাগুলোর রাস্তার আইডিভুক্ত না করে অর্থ বরাদ্দ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। সরকারি অর্থ সাশ্রয়ের স্বার্থে রাস্তার উন্নয়ন ও সংস্কারের আগে আইডিভুক্ত না করলে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি। এছাড়া, সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভার রাস্তা দ্রুত আইডিভুক্ত করার প্রক্রিয়া নির্ধারণ করতে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকীর নেতৃত্বে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে এই কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে বলেন মন্ত্রী।
আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার অধিক্ষেত্রে বিদ্যমান রাস্তাসমূহের বিপরীতে পরিচিত নম্বর প্রদান সংক্রান্ত সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার রাস্তাগুলো আইডিভুক্ত না থাকায় অনেক জায়গায় একই রাস্তায় একাধিকবার কাজ করা হয়। একবার প্রজেক্ট থেকে অন্যবার তাদের নিজস্ব ফান্ড থেকে বরাদ্দ প্রদান করা হয়ে থাকে। একবছর পরে আবার রক্ষণাবেক্ষণ করতে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এতে করে একদিকে যেমন অর্থ অপচয় হচ্ছে অন্যদিকে অব্যবস্থাপনা থাকায় অনিয়মের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
রাস্তাগুলোর কোনো রেকর্ড না থাকায় এই সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সকল রাস্তার আইডি নম্বর করতে পারলে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এছাড়া বাজেট নির্ধারণ করা সহজ হবে। তখন একই রাস্তার কাজ দুইবার করার সুযোগ থাকবে না।
প্রতিটি সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভাতে একটি ডেস্ক খোলার পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই ডেস্ক রাস্তার উন্নয়ন করার আগে আইডি নম্বর আছে কিনা তা চেক করবে। না থাকলে আইডিভুক্ত করার ব্যবস্থা নিবে। এরপর উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হবে।
মো. তাজুল ইসলাম জানান, সব রাস্তা এক সাথে আইডিভুক্ত করা কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ। তাই রাস্তার উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ করার আগে আইডিভুক্ত করতে পারলে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন রাস্তা আইডিভুক্ত করা সম্ভব হবে। এলজিইডি যে পদ্ধতি অনুসরণ করে আইডিভুক্ত করছে অথবা নতুন কোনো পদ্ধতিতে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার রাস্তাগুলোকে আইডিভুক্ত করা সহজ হবে সে উপায় নির্ধারণে একটি কমিটি গঠন করে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেন মন্ত্রী।
সভায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
হায়দার/নাইচ/রাহাত/রফিকুল/সেলিম/২০২২/১৯৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫২১
পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেছে সরকার
ঢাকা, ২৭ মাঘ (১০ ফেব্রুয়ারি):
পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০২১-২০৩০) প্রকাশ করেছে সরকার। এ কর্মপরিকল্পনা অনুসরণ করে ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ, শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
আজ রাজধানীতে হোটেল সোনারগাঁওয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় শিল্প, স্বাস্থ্য ও সেইফটি কাউন্সিলের ১১তম সভায় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, শোভন কর্মপরিবেশ সৃষ্টি এবং শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য, সেইফটি ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি কাউন্সিলের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পেশাগত সেইফটি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং এর মানকে আরো উন্নত করতে সকলকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কে মালিকপক্ষ-শ্রমিককে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করার লক্ষ্যে রাজশাহীতে পেশাগত সেইফটি ও স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হচ্ছে। আগামী জুনের মধ্যে এ ইনস্টিটিউটের কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরো ৫টি কাজকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং সারা দেশে প্রায় সাড়ে ১৯ লাখ শ্রমিক করোনার টিকা গ্রহণ করেছেন বলে সভায় জানানো হয়।
সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার ভূইয়া, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ এহছানে এলাহী, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ নাসির উদ্দীন আহমেদ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আবু নাঈম মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, আইএলও’র প্রতিনিধি জর্জ ফলার, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়া, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা.ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ বিভিন্ন মালিক-শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি সভায় অংশগ্রহণ করেন।
#
আকতারুল/নাইচ/রাহাত/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/১৯৫১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫২০
ভূমিমন্ত্রীর সাথে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২৭ মাঘ (১০ ফেব্রুয়ারি):
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত Nathalie Chuard আজ ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাথে সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে ভূমিমন্ত্রী ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজেশনে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। এ সময় ডিজিটাল ভূমিসেবা প্রবর্তনে সুইস সহায়তা প্রয়োজন হলে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রম ও ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগ গ্রহণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন সুইস রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, গৃহ প্রদানের মানবিক এই উদ্যোগ বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
রাষ্ট্রদূত ভূমিমন্ত্রীকে আরো জানান, ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম বাংলাদেশে তথ্য অধিকার ও লৈঙ্গিক সমতা নিশ্চিত করতে এবং স্বচ্ছ, জবাবদিহিতা ও সর্বোপরি টেকসই সুশাসন নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বলে সুইস সরকার মনে করে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনেও টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ সুইজারল্যান্ডের অন্যতম অগ্রাধিকার সহযোগী দেশ।
ভূমিমন্ত্রী ২০২১ সালে বাংলাদেশের পুঁজি বাজারের ওপর সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলনে সুইস আতিথেয়তার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সুইস সরকার, উদ্যোক্তা এবং বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। তিনি এ সময় দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত, বাণিজ্যিক ও বিশ্ব অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ককে আরো নিবিড় করার বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় দেশের ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সুইজারল্যান্ডের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান মন্ত্রী।
বাংলাদেশে সুইস দূতাবাসের জুনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার Jana Rothlisberger এ সময় উপস্থিত ছিলেন ।
#
নাহিয়ান/রাহাত/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/১৯১৯ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫১৯
নেত্রকোনার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বেসরকারি উদ্যোগে ইন্টারনেট
সংযোগের উদ্বোধন করলেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ২৭ মাঘ (১০ ফেব্রুয়ারি):
সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বেসরকারি উদ্যোগে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের কাজ শুরু হয়েছে। আজ নেত্রকোণার খালিয়াজুরী উপজেলার কৃষ্ণপুরে বাণিজ্যিকভাবে ইন্টারনেট ও ওয়াইফাই সংযোগ স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, যে গ্রামে একদিন হাই স্কুলে পড়তে পারিনি সেই গ্রামের সবকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন সরকারি-বেসরকারি ওয়াইফাই সংযোগ আছে। দুর্গম, প্রত্যন্ত বা পশ্চাৎপদ যাই বলা হোক কৃষ্ণপুর ডিজিটাল যুগে এক পা’ও পিছিয়ে নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় দেশের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীও আজ গ্রামে বসে শহরের সকল সুবিধা পাচ্ছেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এ সময় প্রত্যন্ত অঞ্চলে ওয়াইফাই সংযোগ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কৃষ্ণপুরে আবদুল জব্বার রাবেয়া খাতুন বালিকা বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়, কৃষ্ণপুর মহিলা মাদ্রাসা এবং কৃষ্ণপুর আলীয়া মাদ্রাসায় ওয়াইফাই সংযোগ স্থাপন এই অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক বলে উল্লেখ করেন। তিনি ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এডিএন-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আশা করি দেশের প্রতিটি দুর্গম অঞ্চলে এডিএন বাণিজ্যিকভাবে সংযোগ প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে এবং অন্যরাও এগিয়ে আসবে।
এডিএন গ্রুপের চেয়ারম্যান আসিফ মাহমুদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
#
শেফায়েত/রাহাত/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/১৯১৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫১৮
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২৭ মাঘ (১০ ফেব্রুয়ারি) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭ হাজার ২৬৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ সময় ৪২ হাজার ৮৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৪১ জন। এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৭৪৪ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬২৮ জন।
#
জাকির/রাহাত/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/১৭৪১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫১৭
২০২৩-এর মধ্যেই প্রতিটি জনপদে সর্বোচ্চ গতির ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে
- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ২৭ মাঘ (১০ ফেব্রুয়ারি):
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের দুর্গম, পার্বত্য অঞ্চল, দ্বীপ, চর, বিল ও হাওরসহ প্রতিটি জনপদে সর্বোচ্চ গতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ কেবল আগামী দিনের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাই করবে না, চতুর্থ-পঞ্চম শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্বও দেবে। তিনি দেশে শক্তিশালী ও সম্প্রসারিত ডিজিটাল অবকাঠামোর সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা প্রদানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আজ ঢাকার সাভারে সিটি ইউনিভার্সিটির সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির নবীনবরণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিন প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. হুমায়ুন কবির-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য সিটি ইউনিভার্সিটির বোর্ড অভ্ ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং সিটি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ-ই- আলম বক্তৃতা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল অবকাঠামো তৈরি করে দিয়েছি । এই অবকাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে আমাদের জীবনযাপন ও শিক্ষাব্যবস্থা বদলে যাবে। ডিজিটাল অবকাঠামো নতুন প্রজন্মের সহায়ক হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা পৃথিবীতে সবার আগে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ নামের আগে ডিজিটাল শব্দটি যুক্ত করেছিলেন। এরপর ২০০৯ সালে ব্রিটেন, ২০১৪ সালে ভারত, ২০১৫ সালে মালদ্বীপ এবং ২০১৯ সালে পাকিস্তান ডিজিটাল শব্দটি ব্যবহার করে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি পুণর্গঠনের পাশাপাশি কুদরত-ই খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন, কারিগরি শিক্ষা প্রসার, ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, টিএন্ডটি বোর্ড গঠন, আইটিইউ ও ইউপিইউ‘র সদস্যপদ অর্জন এবং বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করে গেছেন।
বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের যে বীজটি বপন করে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে তা চারাগাছে রূপান্তর করেন । গত ১৩ বছরে উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মন্ত্রী নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, বঙ্গবন্ধু যে সোনার মানুষ চেয়েছিলেন তোমরাই সে সোনার মানুষ। তোমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলবে এবং এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ। মোস্তাফা জব্বার বলেন, আগামী শিল্প যুগের প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের ৭০ ভাগ তরুণ জনগোষ্ঠীকে তৈরি করতে হবে।
#
শেফায়েত/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/জাহাঙ্গীর/আসমা/২০২২/১৬৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫১৬
দেশের সর্বত্র ঢাকার সমমানের চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়া হবে
- স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
ঢাকা, ২৭ মাঘ (১০ ফেব্রুয়ারি) :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চিকিৎসা ক্ষেত্রে ঢাকার ওপর অতিরিক্ত চাপ কমাতে স্বাস্থ্যসেবার বিকেন্দ্রীকরণ হচ্ছে। ঢাকার হাসপাতালগুলোতে যে মানের চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায়, সেই একই মানের চিকিৎসা সেবা যাতে দেশের ৮ বিভাগেই পাওয়া যায় সেই লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের ৮ বিভাগে ক্যান্সার, কিডনি, লিভারের মত অতি দুরারোগ্য রোগগুলোর চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে উন্নত ও আধুনিকমানের ৮টি হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এগুলোতে প্রায় ১৪০০ শয্যা বৃদ্ধি হবে কেবল ক্যান্সার চিকিৎসার জন্যই। দেশের আনাচে-কানাচে প্রায় ১৮ হাজারের মত কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করে সেখানে ৩২ রকমের ওষুধ বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে। শহরের পাশাপাশি গ্রামের মানুষজন উপকৃত হচ্ছে। এভাবে দেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালের জন্য উন্নতমানের যন্ত্রপাতি কিনে, প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দিয়ে, দেশের মফস্বল হাসপাতালে ভালো চিকিৎসক পদায়ন করে সর্বত্র ঢাকার মত সমপর্যায়ের চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে।
আজ সকালে রাজধানীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ‘বিশ্ব ক্যান্সার দিবস-২০২২’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ক্যান্সার রোগের ভয়াবহতার কথা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে বছরে ৬৭ ভাগ মানুষ অসংক্রামক রোগে মারা যায়। দেশে এখন প্রায় ২০ লাখ ক্যান্সার রোগী আছে। প্রতিবছর দেশে ১ থেকে দেড় লাখ মানুষ ক্যান্সারে মারা যাচ্ছে। সে তুলনায় দৈনিক ক্যান্সারে ২০০ থেকে ৪০০ মানুষ মারা যাচ্ছে যা খুবই উদ্বেগজনক। সময় মতো ক্যান্সার রোগটি ধরা গেলে নিরাময় করা যায়। কিন্তু দেরি করে ধরা পড়লে