তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৪২৪
আলজেরিয়ার সাথে দ্রুত পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করা হবে
-- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল):
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য আলজেরিয়ার সঙ্গে দ্রুত পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করা হবে।
উপদেষ্টা আজ ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত Dr. Abdelouahab Saidani -এর সাথে সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তিটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক কেবিনেটে ইতোমধ্যে অনুমোদিত হয়েছে। দু’পক্ষের সম্মতিসাপেক্ষে সুবিধাজনক দ্রুততম সময়ে এটি স্বাক্ষরিত হবে।
বৈঠকে দু'দেশের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ইস্যু, পুলিশের প্রশিক্ষণ, আন্তঃদেশীয় সন্ত্রাস দমন, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধ, আলজেরিয়ায় কৃষি শ্রমিক রপ্তানির সম্ভাব্যতা সহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আলজেরিয়া বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধুপ্রতিম দেশ। আমরা পারস্পরিক সম্পর্ককে আরো ঘনিষ্ঠ করতে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। এসময় রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা দু'দেশের মধ্যে একটি ফলপ্রসূ সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই। কেননা, পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো এক ধাপ উন্নীত হবে।
উপদেষ্টা বলেন, অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধ, আন্তঃদেশীয় সন্ত্রাস দমন, নিরাপত্তা ইস্যু, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় সহ বিভিন্ন বিষয়ে দু'দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে। বিশেষ করে মানবপাচার প্রতিরোধ ও পারস্পরিক আইনি সহায়তা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে। রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব প্রেরণের অনুরোধ করেন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, দু'দেশের পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পারস্পরিক সহযোগিতার অনেক সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি নিরাপত্তা ও পুলিশিং সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে পারস্পরিক উন্নত প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। উপদেষ্টা বলেন, আয়তনে আলজেরিয়া আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে বড় দেশ। দেশটিতে অনেক ভূমি তথা চাষাবাদযোগ্য জমি রয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ আয়তনে ছোট হলেও পৃথিবীর অন্যতম জনবহুল দেশ। তিনি বলেন, আমাদের দেশে কৃষকের সংখ্যা অনেক বেশি। দু'দেশ সম্মত হলে বাংলাদেশ আলজেরিয়াতে দক্ষ কৃষিশ্রমিক রপ্তানি করতে পারে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
ফয়সল/মেহেদী/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৫/২২২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৪২৩
মৎস্য রপ্তানি বাড়াতে আলাদা ইকোনমিক জোন প্রয়োজন
-- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল):
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বিশ্বে মাছ উৎপাদনে আমাদের অবস্থান সম্মানজনক হলেও রপ্তানি সেভাবে নেই। মৎস্য রপ্তানি বাড়াতে সরকারের আলাদা ইকোনমিক জোন করা প্রয়োজন; যেখানে উন্নত প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে রপ্তানির জন্য মাছ প্রক্রিয়াজাত করা হবে।
উপদেষ্টা আজ চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) তে ‘সিভাসু ফিশ ফেস্টিভ্যাল-২০২৫’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদকে কৃষিখাত থেকে আলাদা করে সুবিধাবঞ্চিত করা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের বিদ্যুৎ বিল বেশি হওয়ায় এই খাতের উদ্যোক্তা ও খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর সৃষ্ট একটি সরকারের মাধ্যমে আমরা বৈষম্য টিকিয়ে রাখতে পারি না। এটা আমাদের জন্য একটা চরম বৈষম্য। এই খাতের বিদ্যুৎ বিল কমাতে আমরা কাজ করছি।’
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর একজন মানুষ গড়ে যে পরিমাণ মাছ খায় এটি একদিকে ভালো, তবে এটি বাড়ানোর সুযোগ আছে। মাছ বেশি খেলে পুষ্টির ঘাটতি কমবে; পাশাপাশি আর্থিক প্রবৃদ্ধিও ভালো হবে।
সভায় সিভাসু ফিশ ফেস্টিভ্যাল আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক ও মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শেখ আহমাদ আল নাহিদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আতিয়ার রহমান। বাংলাদেশ ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড.অনুরাধা ভদ্র, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আব্দুর রউফ, এসিআই এগ্রো লিংক লিমিটেডের বিজনেস পরিচালক সাঈদ এম ইশতিয়াক, বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ এসোসিয়েশন সভাপতি এনাম চৌধুরী, নিরিবিলি গ্রুপ এবং শ্রিম্প অ্যান্ড ফিশ ফাউন্ডেশন এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি লৎফর রহমান কাজল। চিফ প্যাট্রোন হিসেবে বক্তৃতা করেন সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান।
উল্লেখ্য, দু’দিনব্যাপী ফেস্টিভ্যালে ২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ মৎস্য সেক্টরের সাথে জড়িত ৯৫টি প্রতিষ্ঠানের ৫৫০ জন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক, উদ্যোক্তা, ভোক্তা ও প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে।
#
মামুন/মেহেদী/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৫/২২৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৪২২
জ্বালানি তেলের মূল্য পুনর্নির্ধারণ
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল):
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস ও বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে দেশে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। এ লক্ষ্যে প্রাইসিং ফর্মুলার আলোকে মে ২০২৫ মাসের জন্য তুলনামূলক সাশ্রয়ীমূল্যে জ্বালানি তেল সরবরাহ নিশ্চিতকরণের নিমিত্ত ডিজেলের বিক্রয়মূল্য প্রতি লিটার ১০৫ টাকা হতে ১ টাকা হ্রাস করে ১০৪ টাকা, কেরোসিন ১০৫ টাকা হতে ১ টাকা হ্রাস করে ১০৪ টাকা এবং অকটেন ১২৬ টাকা হতে ১ টাকা হ্রাস করে ১২৫ টাকা, পেট্রোল ১২২ টাকা হতে ১ টাকা হ্রাস করে ১২১ টাকায় পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয় করা হয়েছে, যা ০১ মে ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে।
আজ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
#
নোবেল/মেহেদী/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৫/২১৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪২১
কৃষির উন্নয়নে জাপানের অংশীদারিত্ব আরো বৃদ্ধি করা হবে
- কৃষি উপদেষ্টা
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :
কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম প্রধান অংশীদার ও পরীক্ষিত বন্ধু। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)-এর মাধ্যমে দেশটি বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে আসছে। আগামীদিনে বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে জাপানের অংশীদারিত্ব আরো বৃদ্ধি করা হবে।
উপদেষ্টা আজ ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত Saida Shinichi-এর সাথে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন।
বৈঠকে দ’দেশের মধ্যে কৃষি খাতে সহযোগিতা বিশেষ করে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণ, ফসলের পোস্ট হার্ভেস্ট ম্যানেজমেন্ট ও সংরক্ষণ, জলবায়ু ও স্মার্ট কৃষি, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা, ২০২৭ সালে জাপানের ইয়োকোহামাতে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক হর্টিকালচার এক্সপোতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ, কৃষি বিষয়ক জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা, নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পুলিশ সংস্কার, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইস্যু-সহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, জাপান বাংলাদেশের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আগামী দিনগুলোতে এ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ২০২৭ সালে জাপানের ইয়োকোহামা'তে ‘আন্তর্জাতিক হর্টিকালচার এক্সপো’ অনুষ্ঠিত হবে। তিনি এ আন্তর্জাতিক এক্সপো'তে বাংলাদেশকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। আর জাপান কৃষি খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারকারী দেশ। তাই জাপান বাংলাদেশের কৃষি খাতে বিশেষ করে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণ, ফসলের পোস্ট হার্ভেস্ট ম্যানেজমেন্ট ও সংরক্ষণ, জলবায়ু ও স্মার্ট কৃষি, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহযোগিতা করতে পারে। তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের কৃষিপণ্য সংরক্ষণে আধুনিক হিমাগার স্থাপন ও কুলিং ভ্যান সরবরাহ করে সহযোগিতা করতে পারে। এছাড়া জাপান আমাদেরকে আধুনিক কৃষি সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি দিয়ে সহায়তা করতে পারে। তিনি এসময় রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে আধুনিক কৃষি সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি তৈরির জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, কৃষি বিষয়ক দু’দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সর্বশেষ সভা ২০২৪ সালের মে মাসে জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দ্রুত এ সংক্রান্ত পরবর্তী সভা আয়োজন করা দরকার। উপদেষ্টা জানান, জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের পরবর্তী সভা এ বছরের অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ সভা আয়োজনের বিষয়ে বাংলাদেশ সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূতের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে ঢাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। তবে এটির আরো উন্নতির সুযোগ রয়েছে এবং আমরা এ ব্যাপারে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন হবে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, তখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কোনো সুযোগ নেই, বরং দিন দিন এটির উন্নতি ঘটবে বলে আমি আশা করছি।
পুলিশের সামর্থ্য ও গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতির তুলনায় বর্তমানে পুলিশের সামর্থ্য, মনোবল ও বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেড়েছে। তিনি এসময় আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় জাপানের সহায়তা কামনা করেন। এছাড়া তিনি নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডকে পেট্রোল ভেসেল ও আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সহযোগিতা এবং অধিক সংখ্যক পুলিশ সদস্যকে জাপানে উন্নত প্রশিক্ষণে প্রেরণের জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন। রাষ্ট্রদূত জানান, আগামী ইন্টারপোল নির্বাচনে নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে জাপানের পক্ষ থেকে মনোনয়ন প্রদান করা হবে। উপদেষ্টা এ পদে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাপানকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস প্রদান করেন।
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাপান দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
ফয়সল/মেহেদী/রানা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৫/২১৪০ঘণ্টা
Handout Number: 3420
International Noise Awareness Day:
265 Hydraulic Horns Seized, Over BDT 1.73 Lakh Fined in Nationwide Anti-Noise Drive
Dhaka, 30 April:
On the occasion of International Noise Awareness Day, the Department of Environment under the Ministry of Environment, Forest and Climate Change conducted mobile court drives against noise pollution across various districts of the country. These drives, conducted under the Noise Pollution (Control) Rules, 2006, led to the filing of 168 cases, resulting in fines totaling BDT 1, 73, 600 and the seizure of 265 hydraulic horns.
A total of 31 mobile court operations were conducted in districts including Pirojpur, Panchagarh, Noakhali, Manikganj, Rangpur, Sunamganj, Bagerhat, Sherpur, Naogaon, Narayanganj, Thakurgaon, Shariatpur, Jashore, Kurigram, Gazipur, Sirajganj, Gaibandha, Cumilla, Magura, Bandarban, Jhenaidah, Gopalganj, Barguna, Natore, Dinajpur, Sylhet, Narsingdi, Khulna, Chuadanga, and Chapainawabganj. To mark the day, an awareness event was also organized by the Ministry at Manik Mia Avenue in the capital.
On the same day, another mobile court was conducted at Manik Mia Avenue and Sher-e-Bangla Nagar areas of Dhaka against black smoke emission. The operation led to 9 cases and fines amounting to BDT 29,000 while 8 vehicle drivers were cautioned.
In Gazipur, a separate mobile court was conducted under the Air Pollution Control Rules, 2022. One case was filed with a fine of BDT 48,000 and one institution was warned.
In accordance with the Bangladesh Environment Conservation Act, 1995 (Amended 2010), 5 mobile court drives were carried out in Chandpur, Sunamganj, Pirojpur, and Feni districts against the illegal production, sale, supply, and marketing of banned polythene. The drives resulted in 9 cases, fines of BDT 28000 and the seizure of 385 kilograms of polythene. Several shop owners and members of the public were also made aware of the legal restrictions on polythene use.
Meanwhile, in Pabna, Mymensingh, and Lakshmipur districts, 3 mobile courts were conducted against illegal brick kilns. The courts filed 12 cases and realized fines amounting to BDT 1.9 million. Additionally, chimneys and raw bricks of 6 brick kilns were demolished during the operations.
The Department of Environment will continue such drives to control pollution.
#
Dipankar/Mehedi/Mahmudul/Rana/Sanjib/Joynul/2025/2045 hour
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৪১৯
বিভিন্ন সম্প্রদায়ের হারিয়ে যাওয়া ভাষাগুলোকে পুনরুদ্ধার করতে হবে
--- পার্বত্য উপদেষ্টা
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল):
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, আমাদের হারিয়ে যাওয়া ভাষাগুলোকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। তিনি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষাগুলোকে সরকারিভাবে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, বিতরণ ও বাস্তবায়ন কাজে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর তাগিদ দেন।
আজ রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) মিলনায়তনে ‘প্রাথমিক স্তরের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পাঁচটি ভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, বিতরণ ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়াদি পর্যালোচনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায় গোষ্ঠীর ৪১টি ভাষা এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে। ৫টি ভাষাকে জাতীয়ভাবে মাতৃভাষা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে এমন কিছু সম্প্রদায় রয়েছে যার জনগোষ্ঠী অনেক কম। তাদেরও ভাষা আছে। যেমন লুসাই, তাদের মোট জনগোষ্ঠী আড়াই হাজার। তাদের মাতৃভাষাও পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। আমাদের বাকি ভাষাগুলোর কথা বা ভাষাকে উদ্ধার করা ও টিকিয়ে রাখাও জরুরি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সুপ্রদীপ চাকমা আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকায় মানুষের সংখ্যা অনেক কম। এ অঞ্চলের লুসাই, চাকমা, বোম সম্প্রদায়ও দেশের মূলধারার সাথে এক হতে চায়। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ এখন আর পিছিয়ে থাকতে চায় না। পার্বত্য চট্টগ্রামে কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিত করতে চাই। আপাতত প্রি-প্রাইমারি থেকে ক্লাস থ্রি পর্যন্ত শুরু করব। পরে উপজেলা পর্যায়ে দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য হোস্টেল নির্মাণ করে থাকার ব্যবস্থা করে কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিত করতে চাই। শিক্ষার্থীরা শিক্ষা থেকে ঝরে না পড়ে। আমাদের ছেলেমেয়েদের ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞানের ভীতি দূর করতে হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানার সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্বে) মো. মনিরুল ইসলাম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মডারেটর মাসুদ আকতার খান, এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর রবিউল কবীর চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
#
রেজুয়ান/মেহেদী/রানা/ফেরদৌস/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৫/২১২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪১৮
দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫টি হাইড্রোলিক
হর্ন জব্দ এবং ১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায়
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :
আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবসে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় শব্দদূষণবিরোধী মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে। আজ অভিযানে ১৬৮টি মামলার মাধ্যমে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ২৬৫টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়।
শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০০৬ অনুসারে পিরোজপুর, পঞ্চগড়, নোয়াখালী, মানিকগঞ্জ, রংপুর, সুনামগঞ্জ, বাগেরহাট, শেরপুর, নওগাঁ, নারায়ণগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, শরীয়তপুর, যশোর, কুড়িগ্রাম, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, কুমিল্লা, মাগুরা, বান্দরবান, ঝিনাইদহ, গোপালগঞ্জ, বরগুনা, নাটোর, দিনাজপুর, সিলেট, নরসিংদী, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩১টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এছাড়া, মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে শব্দ সচেতনতা দিবস উদ্যাপন করা হয়।
একই দিনে ঢাকা মহানগরের মানিক মিয়া এভিনিউ ও শেরে বাংলা নগর এলাকায় কালো ধোঁয়া নির্গমনবিরোধী একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৯টি মামলায় ২৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ৮ জন গাড়িচালককে সতর্ক করা হয়। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা-২০২২ অনুযায়ী গাজীপুরে আরেকটি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়, যেখানে এক মামলায় ৪৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) অনুযায়ী চাঁদপুর, সুনামগঞ্জ, পিরোজপুর ও ফেনী জেলায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে ৫টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়। এতে ৯টি মামলায় ২৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং ৩৮৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। এ সময় সুপারশপ-সহ বিভিন্ন দোকান মালিক ও সাধারণ জনগণকে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার না করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
অন্যদিকে পাবনা, ময়মনসিংহ ও লক্ষ্মীপুর জেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ৩টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়ে ১২টি মামলায় ১৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানে ৬টি ইটভাটার চিমনি ও কাঁচা ইট ভেঙে ফেলা হয়।
দূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
#
দীপংকর/মেহেদী/রানা/ফেরদৌস/সঞ্জীব/শামীম/২০২৫/২০৪০ঘণ্টা
Handout Number: 3417
Turkish Ambassador meets Information Adviser
Dhaka, 30 April:
Turkish Ambassador to Bangladesh Ramis Sen met with Information and Broadcasting Adviser Md. Mahfuj Alam. The meeting was held at the Ministry of Information and Broadcasting on today.
During the meeting, discussions were held on developing relations between Bangladesh Betar, BTV, and Bangladesh Sangbad Sangstha with Turkish Radio, Television, and Anadolu Agency. At the meeting, Ambassador Ramis Sen expressed his interest in developing economic and commercial relations between Bangladesh and Turkiye. During this meeting, Adviser Mahfuj Alam said that several new areas of development of relations with Turkiye have been created. The government of Bangladesh is interested in energizing the field of cooperation with Turkiye.
Several issues of mutual interest between the two countries were discussed during the meeting. Counselor of the Turkish Embassy Bora Tasdelen was present during the meeting.
#
Mamun|Mahmudul/Rana/Rafiqul/Joynul/2025/1945 hour
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৪১৬
তথ্য উপদেষ্টার সাথে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল):
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলমের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন। আজ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাতে তুরস্কের রেডিও, টেলিভিশন এবং আনাদোলু এজেন্সির সাথে বাংলাদেশ বেতার, বিটিভি এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা হয়। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত রামিস সেন বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, তুরস্কের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের বেশ কিছু নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার তুরস্কের সাথে সহযোগিতার ক্ষেত্র গতিশীল করতে আগ্রহী।
সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যকার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সাক্ষাৎকালে তুরস্ক দূতাবাসের কাউন্সিলর বোরা তাসডিলেন উপস্থিত ছিলেন।
#
মামুন/মাহমুদুল/রানা/ফেরদৌস/রফিকুল/জয়নুল/২০২৫/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৪১৫
বাংলাদেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী চীন
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল):
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, চীন বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের উন্নয়ন এবং ব্যবসায়িক সহযোগী। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশকে চীন সরকার এক হাজার শয্যার একটি হাসপাতাল উপহারের বিষয়টি জনমনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি চীন-বাংলাদেশ যৌথ ড্রোন শো দেশের লাখ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে, যা দুই দেশের পারস্পরিক সংস্কৃতি বিনিময়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আজ ঢাকায় নগর ভবনে উপদেষ্টার সাথে তার নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ওয়াও ওয়েন সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে উপদেষ্টা বলেন, চীনের সহযোগিতায় দেশের সকল সিটি কর্পোরেশনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী সরকার। জবাবে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে চীন আগ্রহী। একে একে সকল সিটি কর্পোরেশনেই যেনো বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রকল্প হাতে নিবে চীন।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে ৫৫টি ক্রীড়া ফেডারেশন রয়েছে। ক্রিকেট, ফুটবল ছাড়া অন্যান্য ক্রীড়া ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের উন্নতি এবং আন্তর্জাতিক অর্জন সম্ভব। সেজন্য চীনের সহযোগিতায় স্পোর্টস ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা এবং কোচ-খেলোয়াড়দের অলিম্পিক মান উপযোগী প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার ওপর জোর দেন উপদেষ্টা।
চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ও সৌহার্দ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে দল পাঠাবে চীন। এছাড়া, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলার জন্য চীনে আমন্ত্রণ জানাতে চান রাষ্ট্রদূত। বাংলাদেশের যে কোনো পর্যায়ের খেলোয়াড় কিংবা কোচদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করারও আশ্বাস দেন তিনি। এসময় তিনি ক্রীড়া উপদেষ্টাকে চীনের স্পোর্টস ভিলেজ পরিদর্শন করার আমন্ত্রণ জানান।
#
নূর আলম/মাহমুদুল/রানা/ফেরদৌস/রফিকুল/জয়নুল/২০২৫/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪১৪
বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আল হামুদি বৈঠক করেছেন। আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে তাঁরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন, দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি, ভিসা চালু, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
উপদেষ্টা বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত-সহ বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের আর্থসামাজিক বিকাশে ভূমিকা রাখছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশিদের বিনিয়োগ রয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশেও বর্তমানে বিনিয়োগ পরিবেশ ভালো। সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার ও সেদেশের ব্যবসায়ীগণ এদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করে লাভবান হতে পারে। এসময় তিনি বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য সেদেশে ভিসা সুবিধা পুনরায় চালু করার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৮০ হাজার বাংলাদেশি রয়েছে। দক্ষ শ্রমিক কোটায় এখনও বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদেশে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে তারা সেমি গভর্নমেন্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: আব্দুর রহিম খান উপস্থিত ছিলেন।
#
কামাল/মাহমুদুল/রানা/ফেরদৌস/রফিকুল/শামীম/২০২৫/১৮২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৪১৩
ডা. নুরুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা চিকিৎসক
-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল):
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জাতীয় অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা চিকিৎসক যিনি চিকিৎসা শাস্ত্র ও অধ্যাপনার জন্য বিশেষ খ্যাতিমান ছিলেন।
উপদেষ্টা আজ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগংয়ের (ইউএসটিসি) প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলামের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় আলোকময় পথ দেখিয়েছিলেন বলে তিনি আজও আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞানের অনন্য দ্রষ্টা। তাঁর অবদান অপরিসীম। এমনই একজন প্রতিভাধর, মানবিক ও নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিত্ব কিংবদন্তি ডা.নুরুল ইসলাম উচ্চশিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে চট্টগ্রামে ইউএসটিসি স্থাপন করেছেন।
উপদেষ্টা বলেন, ডা. নুরুল ইসলাম তাঁর জীবদ্দশায় বেশ কয়েকটি সমাজসেবামূলক সংস্থার সাথে জড়িত ছিলেন। পাশাপাশি তিনি জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার মধ্যে ইসলামিক চিকিৎসা মিশন, জনসেবা ফাউন্ডেশন, আধুনিক, জাতীয় যক্ষ্ণা সমিতি, ইউএসটিসি অন্যতম।
The Unparalleled Legacy of National Professor Dr. Nurul Islam: Pioneering Contributions of Education, Research, Medicine And Service Human Welfare’ শীর্ষক সেমিনারে বাংলাদেশের চিকিৎসা ও বিজ্ঞান গবেষণায় তার অবদানের ওপর আলোকপাত করা হয়।
ইউএসটিসি এর উপাচার্য প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ সোলাইমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন দৈনিক আজাদী পত্রিকার সম্পাদক এম এ মালেক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপ-উপাচার্য প্রফেসর এম এ মহি উদ্দিন চৌধুরী, ইনস্টিটিউট অব এপ্লাইড হেলথ সায়েন্স (আইএএইচএস) এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক প্রফেসর ডা. রমা বড়ুয়া। উক্ত সেমিনারে কী নোট স্পীকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইএএইচএসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক প্রফেসর ডা. বদিউল আলম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার দিলীপ কুমার বড়ুয়া, বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এসময় উপস্থিত