Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২১st অক্টোবর ২০২২

তথ্যবিবরণী ২১ অক্টোবর ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৪২৩৭

 

কোনো কিছু দিয়েই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব নয়

                                                              -- ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

 

ইসলামপুর (জামালপুর), ৫ কার্তিক (২১ অক্টোবর): 

 

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে জাতিকে একটি স্বাধীন  দেশ ও একটি মানচিত্র উপহার দিয়েছেন।  কোনো কিছু দিয়েই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব  নয়।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ ইসলামপুর উপজেলার মোঃ ফরিদুল হক খান দুলাল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ইসলামপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও স্মার্ট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান  সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা এখন ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এছাড়া অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য  বীর নিবাস নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও স্মার্ট কার্ড প্রদান করে তাদের সুযোগ সুবিধার প্রাপ্তিকে সহজ করা হয়েছে।

 

ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর হাসান রুমানের সভাপতিত্বে এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ, জামালপুর জেলা শাখার সহ সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তৃতা করেন ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট এস এম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল,  ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল খালেক আখন্দ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান  মোছা. রোজিনা আক্তার চায়না ইসলামপুর থানার  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  মোঃ মাজেদুর রহমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ।

 

 

আনোয়ার/মোশরফ/সেলিম/২০২২/২২১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৪২৩৬

 

স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে টিকিয়ে রাখতে সংস্কৃতিকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে

                                                                       -- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৫ কার্তিক (২১ অক্টোবর): 

 

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সংস্কৃতিকর্মীদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। তাঁরা সবসময় মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধকে ধারণ করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে টিকিয়ে রাখতে সংস্কৃতিকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আগামীতে তারা এ বিষয়ে আরো সজাগ ও সচেতন থেকে দায়িত্ব পালন করে যাবে।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ রাতে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ‘গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক পর্ষদ’ আয়োজিত ১১ দিনব্যাপী (২১-৩১ অক্টোবর) ‘গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২২’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

প্রধান অতিথি বলেন, গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ সাংস্কৃতিক উৎসব। ভারত ও বাংলাদেশের মৈত্রীর বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে এ উৎসবের যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, একইসঙ্গে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রেও এ উৎসবের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

 

গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদের আহ্বায়ক বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর এমপি, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী শাহ আলম সারোয়ার এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আহকাম উল্লাহ।

 

উল্লেখ্য, উৎসবে ভারত-বাংলাদেশের ১১১টি দল নাটক, যাত্রা, সংগীত, আবৃত্তি, নৃত্য ও পথনাটকে অংশগ্রহণ করছে।

 

 

ফয়সল/মোশরফ/সেলিম/২০২২/২২৪০ ঘণ্টা

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৪২৩৫

 

সাম্প্রদায়িক অপশক্তির কাছে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ কখনোই হারবে না

 -- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

 

ঢাকা, ৫ কার্তিক (২১ অক্টোবর): 

 

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির কাছে আমাদের ঐতিহ্য গাঁথা ধর্মনিরপেক্ষ-অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ কখনোই হার মানবে না।

 

আজ ঢাকায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘বিজয়া সম্মেলন-২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মৃনাল কান্তি দাশ, এমপি; বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিশপ থিয়োটনিয়াস গোমেজ, স্বামীবাগ আশ্রম ইসকনের অধ্যক্ষ চারুচন্দ্র দাশ ব্রহ্মচারীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

মন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে সবধর্মের মানুষের ঐক্যবদ্ধ অংশগ্রহণে আমরা অর্জন করেছি একটি অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র স্বাধীন বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল এ দেশের মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সবাই মিলে একটি উন্নত, শান্তিময় ও সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক দেশ হবে।

 

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্মম ঘাতকেরা তাঁকে অর্থনৈতিকভাবে দেশকে উন্নত করার সময় দেয়নি। এখন সেই কাজটি তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতার সঙ্গে করে যাচ্ছেন। সরকার জনগণের কল্যাণে উন্নয়ন করে যাচ্ছে এবং তাদের প্রশংসনীয় ভূমিকায় দেশ আজ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে।

 

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ধর্মনিরপেক্ষ ও সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সকলকে একসাথে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।   

#

 

সৈকত/মোশারফ/রফিকুল/লিখন/২০২২/ ২০৩৫ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৪২৩৪

 

বৈশ্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার সবধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে

                                                              ---বাণিজ্য মন্ত্রী

 

রংপুর, ৫ কার্তিক (২১ অক্টোবর): 

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে। অনেক দেশে আমাদের দেশের চেয়েও বেশি মূল্য বেড়েছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ অবস্থা আমাদের সহ্য করতে হচ্ছে। পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।

 

মন্ত্রী আজ রংপুরে দু’দিনের সফরে এসে রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

 

মন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কাজ করে যাচ্ছে। দেশে এক ইঞ্চি আবাদি জমিও যেন খালি পড়ে না থাকে সে জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। এছাড়া, যে সমস্ত খাতে সরকারি খরচ কমানো যায়, কাট-ছাট করা যায় কিংবা পিছিয়ে দেওয়া দরকার সেটিও সরকার করে যাচ্ছে।

 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভোজ্যতেলের দাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দেশে ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কমানো হয়েছে। ট্যারিফ কমিশন বিশ্ববাজারে তেলের দাম, দেশে ডলারের মূল্য বিবেচনায় এনে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দিচ্ছে। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অন্যায় সুযোগ নিয়ে বেশি দামে বিক্রির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বাজার মনিটরিংয়ের জন্য সারা বছরই জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর কাজ করছে। ভোজ্যতেল নিয়ে কারসাজি করা অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।   

 

এ সময় রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট রেজাউল ইসলাম মিলনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

পরে বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কাউনিয়া উপজেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগদান করেন।

 

 

                                                      # 

বকসী/রাহাত/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/১৭৩২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৪২৩৩

 

যুব সমাজই যুগে যুগে দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে সাহসী ভূমিকা রেখে থাকে

                                                      ---আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্

 

বরিশাল, ৫ কার্তিক (২১ অক্টোবর): 

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, যুব সমাজই  যুগে যুগে দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে  সাহসী ভূমিকা রেখে থাকে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে যুব সমাজকে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করেন।

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়াস্থ সেরালে উপজেলার বিভিন্ন যুব সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। এ সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

‌          আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনোত্তর বাংলাদেশে দক্ষ, মেধাবী ও বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী যুব সমাজ গঠনে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জাতির জন্য প্রশিক্ষিত ও তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসমৃদ্ধ যুব সমাজ উপহার দিতে প্রতিটি বাজেটে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সুষম উন্নয়ন নীতিতে বিশ্বাসী। বর্তমান সরকার দেশব্যাপী শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বনায়ন, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতে সমন্বিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করছে।

 

‌          আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ এ সময় স্থানীয় যুব সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদেরকে স্বনির্ভরতা অর্জনে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি উপজেলাটির যুব সংগঠনগুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

 

 

আহসান/রাহাত/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/১৭৩৭ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর :৪২৩২

সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুর রৌফ চৌধুরীর ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

 

ঢাকা, ৫ কার্তিক (২১ অক্টোবর): 

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরীর পিতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুর রৌফ চৌধুরীর ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে আব্দুর রৌফ চৌধুরী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মরহুমের সমাধিস্থলে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং কোরানখানি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আব্দুর রৌফ চৌধুরী ফাউন্ডেশনটি জন্মলগ্ন থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, খেলাধুলা ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন পর্যায়ে ভূমিকা রেখে চলেছে। মরহুম আব্দুর রৌফ চৌধুরীর মানুষের প্রতি যে ভালোবাসা ছিল, ফাউন্ডেশনটি সেই লক্ষ‍্য নিয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে।

 

এদিকে মরহুম আব্দুর রৌফ চৌধুরীর ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী, মরহুম আব্দুর রৌফ চৌধুরী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও মরহুমার স্ত্রী রমিজা রৌফ চৌধুরী, জেলা প্রশাসন, পলিশ সুপার, বিরল উপজেলা পরিষদ, বিরল উপজেলা প্রশাসন, বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগ, বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, বিরল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা, বিরল প্রেস ক্লাবসহ বিরল ও বোচাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুম আব্দুর রৌফ চৌধুরীর সমাধিস্থলে (কবরে) শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। পরে  সমাধিস্থল প্রাঙ্গণে কোরানখানি, দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।


#
 

জাহাঙ্গীর/রাহাত/রফিকুল/লিখন/২০২২/ ১৭৪২ঘণ্টা


 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৪২৩১

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ৫ কার্তিক (২১ অক্টোবর) : 

  স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২১৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এ সময় ৩ হাজার ৬৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। 

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪১১ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৭৬ হাজার ৯৭৩ জন।

 

                                                 # 

 

কবীর/রাহাত/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/১৬৪৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৪২৩০  

‍‍‍সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় বৃত্তি প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে

                     -সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৫ কার্তিক (২১ অক্টোবর) : 

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, রবীন্দ্র, নজরুল ও বাউল সংগীতসহ সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় বৃত্তি প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর হতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এটি চালু হবে। তাছাড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিয়মিত গবেষণা ক্ষেত্রে অনুদান প্রদান করা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় বাংলাদেশ বাউল ও লোকশিল্পী সংস্থা আয়োজিত 'বিশ্ব সংস্কৃতিতে বাংলাদেশের বাউল ও লোকদর্শন' শীর্ষক দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ বাউল ও লোকশিল্পী সংস্থার সভাপতি বাউল শফি মণ্ডলের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তৃতা করেন ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর লিয়েন উই ও বিশিষ্ট লালন সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাকলী ধরা মণ্ডল। আলোচনা করেন ফ্রান্সের বিশিষ্ট লালন গবেষক ড. দেবোরা জান্নাত, যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট লালন গবেষক ড. কিথ ই কান্তু, বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. তপন বাগচী, বিশিষ্ট বাউল গবেষক আবদেল মান্নান প্রমুখ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, লালন সাঁইজির আগমনের মধ্য দিয়ে বাউল মতবাদের উন্মেষ ঘটে। বাউল সংগীতে সাইঁজি ও গুরুর প্রতি যে শ্রদ্ধা ও মমত্ববোধ দেখা যায়, সংগীতের অন্য শাখায় তেমনটি কম দেখা যায়। তিনি আরো বলেন, ভারতবর্ষ বিশ্বের মধ্যে একটি বৈচিত্র্যময় অঞ্চল। এর ইতিহাস ও ভূগোল উভয়ই বৈচিত্র্যপূর্ণ। বৈচিত্র্যের সেই প্রবাহ এ দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যেও লক্ষণীয়। অতি প্রাচীনকাল থেকেই বাংলার মানুষ মরমিবাদ ও ভাববাদে বিশ্বাসী হয়ে তাদের জীবন পরিচালনা করে আসছে।

#

ফয়সল/মেহেদী/জুলফিকার/রবি/মানসুরা/২০২২/১৪১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৪২২৯

সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে

     -শিল্পমন্ত্রী

ঢাকা, ৫ কার্তিক (২১ অক্টোবর) : 

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, জাহাজ ও নৌ সংক্রান্ত শিল্পে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে। ইতোমধ্যে সুনীল অর্থনীতির কিছু ক্ষেত্র চিহ্নিত করে সেগুলো কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

গতকাল রাজধানীর কুড়িলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ‘বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেরিন এন্ড অফশোর এক্সপো-২০২২’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, মেরিন এন্ড অফশোর বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় খাত। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশী কোম্পানিগুলো এক্ষেত্রে যথেষ্ট ভালো করছে। এ খাতে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। মালামাল পরিবহণের জন্য রেলপথের পাশাপাশি  জলপথ হলো সবচেয়ে সহজলভ্য ও পরিবেশ বান্ধব যাতায়াত ব্যবস্থা। বিশ্বের শতকরা ৯০ ভাগের অধিক ব্যবসা বাণিজ্য নৌপথে সম্পন্ন হয়। এজন্য অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নৌপথে চলাচলের উপযোগী জাহাজ বা নৌযানের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, জাহাজ নির্মান ও রফতানি করে বাংলাদেশ জাহাজ নির্মাণকারী জাতি হিসেবে বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে।  নীতিগত ও আর্থিক বিষয়ে সরকারের অব্যাহত সহায়তা এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট’ প্রবর্তনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ মেরিটাইম বাংলাদেশের ভিত রচনা করে গেছেন। সেটাকে ভিত্তি করে  বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে ২০১২ সালে মিয়ানমারের সাথে ও ২০১৪ সালে ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা নির্ধারণসংক্রান্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে  বঙ্গোপসাগরে প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার এলাকায় আমাদের  সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই অর্জনের ফলে সুনীল অর্থনীতিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে ।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে  উপস্থিত ছিলেন চিটাগাং ড্রাই ডক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডোর মোঃ নিজামুল হক,  খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডোর মোঃ শামসুল আজিজ, ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস  এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর আবদুল্লাহ-আল-মাকসুস, স্যাভর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফায়জুল আলম প্রমুখ।

পরে শিল্পমন্ত্রী বিভিন্ন স্টল ও প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখেন।

#

মাহমুদুল/মেহেদী/জুলফিকার/রবি/মানসুরা/২০২২/১২৪৫ ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ৪২২৮

জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ৫ কার্তিক (২১ অক্টোবর) :      

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২২ অক্টোবর ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“সড়ক নিরাপত্তায় সচেতন নাগরিক সৃষ্টির লক্ষ্যে এ বছর ৬ষ্ঠ জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২২ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘আইন মেনে সড়কে চলি, নিরাপদে ঘরে ফিরি’ নির্ধারণ সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমি জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। তিনি ১৯৭৪ সালের মধ্যেই মুক্তিযুদ্ধের সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত সকল সেতু পুননির্মাণ করে চলাচলের উপযোগী করেন। পাশাপাশি তিনি প্রায় ৪৯০ কি.মি. নতুন সড়ক নির্মাণসহ বেশ কিছু নতুন সেতু নির্মাণ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালের অক্টোবর মাসে জাপান সফরের সময় জাপান সরকারের নিকট যমুনা নদীর উপর সেতু নির্মাণের প্রস্তাব করেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর পাঁচ বছরে ১৫,১২৮ কি.মি. পাকা সড়ক নির্মাণ করি এবং মোট ৩৭,১৭১ কি.মি. রাস্তা হেরিংবোন বন্ডে রূপান্তরিত করি। তাছাড়া, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় ৬,৫২৬ কি.মি. পাকা সড়ক ও ১০,৮৬৫ কি.মি. গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ করি। প্রায় ১৯ হাজার বৃহৎ, মাঝারি, ছোট সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করি। আমরা পাকশী, ধরলা, দোয়ারিকা, গাবখান, রূপসা, সুরমা (দ্বিতীয়) ও মেঘনা সেতুসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করি। সেই সঙ্গে পদ্মা সেতুর সম্ভাব্যতা যাচাই ও এর স্থান নির্ধারণ করি। সড়ক পথে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান এবং ভারতের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের সাথে যোগাযোগের জন্য সাউথ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ট্রায়াঙ্গল প্রকল্প গ্রহণ করি।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর সড়ক নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিয়ে দেশের সকল জাতীয় মহাসড়ক পর্যায়ক্রমে চার বা তদুর্ধ্ব লেন এ উন্নীতকরণ, মেট্রোরেল, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লাইন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভার, ওভারপাস-আন্ডারপাস নির্মাণসহ নতুন নতুন সড়ক, সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ/পুননির্মাণের ক্ষেত্রে এক নবযুগের সূচনা করেছে। গত প্রায় ১৪ বছরে আমরা ৪,৪০৪টি সেতু, ১৫,০৮৪ টি কালভার্ট ও ২২,৪৩৩ কি.মি. মহাসড়ক নির্মাণ করেছি। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে বাঙালির আত্মমর্যাদা, গৌরব ও সক্ষমতার প্রতীক স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করে গত ২৫ জুন চলাচলের জন্য খুলে দিয়েছি। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে দেশের প্রথম ৩.৪ কি.মি. দীর্ঘ সড়ক সুড়ঙ্গ-পথ তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। উন্নত বিশ্বের আদলে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত উত্তরা হতে মতিঝিল পর্যন্ত ২০.১০ কি.মি. দীর্ঘ এমআরটি লাইন-৬ এর কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে, যার একাংশ আগামী ডিসেম্বর মাসে চালু হবে ইনশাআল্লাহ।

            আমরা সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়নের পাশাপাশি নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা জোরদার করার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করি। সড়ককে নিরাপদ করতে ডিভাইডার স্থাপন, বাঁক সরলীকরণ, সড়ক ৪-লেনে উন্নীতকরণ, মহাসড়কে চালকদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণ ও গতি নিয়ন্ত্রক বসানোসহ নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা আনয়ন, দক্ষ চালক তৈরি এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স গঠন করেছি। আধুনিক, প্রযুক্তি নির্ভর এবং টেকসই ও নিরাপদ মহাসড়ক নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের সরকারের লক্ষ্য।

            আমি সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ব্যাপকভাবে জনসচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে সকলকে এগিয়ে আসার এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলার সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান জানাই। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা আমাদের সড়কগুলোকে নিরাপদ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব।

            আমি জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সফলতা প্রার্থনা করি।

                                                                                                জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

                                                                                                            বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

সরওয়ার/মেহেদী/জুলফিকার/রবি/মাসুম/২০২২/১০৩০ ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৪২২৭

জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ৫ কার্তিক (২১ অক্টোবর) : 

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ২২ অক্টোবর ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক ২০২২’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

          “সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ২২ অক্টোবর সারাদেশে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘আইন মেনে সড়কে চলি, নিরাপদে ঘরে ফিরি’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি ।

          উন্নত যোগাযোগ অবকাঠামো এবং যুগোপযোগী পরিবহন সেবা টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। একটি দক্ষ পরিবহন ব্যবস্হা নিশ্চিতকল্পে সরকার মহাসড়ক নেটওয়ার্ক মেরামত, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ এবং সমন্বিত আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্হা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ অভ্যন্তরীণ ক্রমবর্ধমান সড়ক নেটওয়ার্ক নির্মাণের পাশাপাশি আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণে উপ-আঞ্চলিক মহাসড়ক যোগাযোগ স্হাপনেরও কর্মপ্রয়াস চলমান আছে। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু এ লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি। এছাড়া চট্রগ্রামের কর্ণফুলি নদীর তলদেশ দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ও বাংলাদেশের প্রথম ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’ এর নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। সহজ ও আরামদায়ক যোগাযোগ এবং সড়ক নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে মহাসড়কসমূহ পর্যায়ক্রমে চার বা চারের অধিক লেনে উন্নীতকরণ, সড়ক ডিভাইডার নির্মাণ, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক সরলীকরণ, ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস,

2022-10-21-16-28-e1215f686618d19590497b8956abf73b.docx