Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২১st জানুয়ারি ২০২৩

তথ্যবিবরণী ২১ জানুয়ারি ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ২৩৬

 

‍‍প্রয়াত নাট্যজন আলী যাকের ছিলেন বাংলাদেশের মঞ্চনাটকের অন্যতম পথিকৃৎ

                                                                      ---সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী                                                                                  

ঢাকা, ৭ মাঘ (২১ জানুয়ারি) :  

 

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‍‍স্বাধীনতা-উত্তর কালের অর্জনের মধ্যে এদেশের মঞ্চনাটক অন্যতম। আমাদের সংস্কৃতিতে মঞ্চনাটক নিঃসন্দেহে স্বতন্ত্র একটি অবস্থান তৈরি করেছে। যাদের হাত ধরে এই মঞ্চনাটকের বিকাশ হয়েছে তাদের মধ্যে প্রয়াত নাট্যজন আলী যাকেরের নাম প্রণিধানযোগ্য। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের মঞ্চনাটকের অন্যতম পথিকৃৎ। সৃজনশীলতায় মগ্ন মঞ্চ অন্তঃপ্রাণ এই মানুষটির হাত ধরেই নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় বাংলা মঞ্চনাটকের মুকুটে যুক্ত করেছে একের পর এক সাফল্যের পালক।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় ও মঙ্গলদীপ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘আলী যাকের নতুনের উৎসব ২০২৩’ শিরোনামে সপ্তাহব্যাপী (২১ থেকে ২৬ জানুয়ারি) নাট্যোৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর এমপি’র সভাপতিত্বে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট নাট্যজন ফেরদৌসী মজুমদার। 

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আলী যাকের ছিলেন আমার অন্যতম প্রিয় অভিনেতা। তার প্রাণবন্ত অভিনয় দেখে সবসময় বিমুগ্ধ হতাম। তিনি বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা মঞ্চনাটকের দলসমূহকে সর্বাত্মক পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের চেষ্টা করি। নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তারা কখনো আর্থিক সহযোগিতার আবেদন করেনি। প্রতিমন্ত্রী এসময় নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়কে প্রয়োজনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা নেয়ার অনুরোধ করেন। 

 

উল্লেখ্য, উৎসবে বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য দেশের বরেণ্য চার গুণিজন সৈয়দ শামসুল হক, জিয়া হায়দার, আলী যাকের ও খালেদ খানের নামে ‘নাগরিক সম্মাননা পদক’ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে সৈয়দ শামসুল হক সম্মাননা, জিয়া হায়দার সম্মাননা, খালেদ খান সম্মাননা ও আলী যাকের সম্মাননা পেয়েছেন যথাক্রমে নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, সৈয়দ জামিল আহমেদ, মাসুদ আলী খান ও নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।

 

                                                           #

ফয়সল/মোশারফ/মাহমুদ/আব্বাস/২০২৩/২১৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ২৩৫

 

ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার পুলিশের সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে

                                                        ---গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী

 

ময়মনসিংহ, ৭ মাঘ (২১ জানুয়ারি)

গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে ডিজিটাল ডিভাইস এর ব্যবহারের ফলে পুলিশের সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, অপরাধ দমন এবং পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

আজ ময়মনসিংহের ফুলপুর থানা কমপ্লেক্সে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্ভিলেন্স সিস্টেম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পুলিশের প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ, জনবল কাঠামো সংস্কার, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও স্থাপনাসমূহ সিসি ক্যামেরার সার্ভিলেন্স সিস্টেমের আওতায় আনাসহ ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে পুলিশি কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে অপরাধ দমন ও প্রতিরোধ, আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমেছে। একই সাথে পুলিশের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে এবং পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

একইদিন অপরাহ্ণে উপজেলার সিংহেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিট পুলিশ সমাবেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে পুলিশের সেবা বর্তমান সরকার জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। এতে সমাজে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পুলিশি কার্যক্রম সহজতর হয়েছে।

 

সন্ধ্যায় আনন্দমোহন কলেজ মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে এহতেশামুল আলম, এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল এবং ইকরামুল হক টিটু ও মোহিত উর রহমান শান্তকে এক থেকে সাত নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কর্তৃক প্রদত্ত সংবর্ধনা প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক দিক তুলে ধরেন এবং আবার আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের নেতাকর্মীদের করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

 

                                                    #

রেজাউল/পাশা/সিরাজ/মোশারফ/মাহমুদ/আব্বাস/২০২৩/২০৪৪ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ২৩৪

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ৭ মাঘ (২১ জানুয়ারি) :  

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশ। এ সময় ৩ হাজার ১৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪১ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৯০ হাজার ৭৬১ জন।

 

#

 

কবীর/পাশা/সিরাজ/মোশারফ/মাহমুদ/শামীম/২০২৩/১৮২০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ২৩৩

মৌলভীবাজারে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করলেন পরিবেশমন্ত্রী

বড়লেখা (মৌলভীবাজার), ৭ মাঘ (২১ জানুয়ারি)

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন আজ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এক হাজার শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করেন।

বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুনজিত কুমার চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাহেনা বেগম এবং নারী শিক্ষা একাডেমির অধ্যাপক মোঃ হেলাল উদ্দিন।

মন্ত্রী এ অনুষ্ঠানে উপজেলার বেরেঙ্গা পুঞ্জি, পাল্লাতল পুঞ্জি, আগাড় পুঞ্জি, দুসুড়ি পুঞ্জিতে পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাসকারীদের জন্য সিঁড়ি নির্মাণ কাজের এবং বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ গ্রামতলা গ্রামে কৃষি জমির পানি নিষ্কাশন এবং কালভার্ট নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে নিরলসভাবে কাজ করছে। শুধু সরকারিভাবেই নয়, দলীয়ভাবে এবং ব্যক্তিগতভাবেও মানুষের জন্য কাজ করা হচ্ছে।

#

দীপংকর/পাশা/সিরাজ/মোশারফ/মাহমুদ/শামীম/২০২৩/১৮১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর: ২৩২  

স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকায় মুক্তিযোদ্ধারা সঠিক সম্মান পাচ্ছেন

                                                                                         --বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

ঢাকা, ৭ মাঘ (২১ জানুয়ারি)

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) বলেছেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি তাই জাতির বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা সকল পর্যায়ে সঠিক সম্মান পাচ্ছেন।

আজ রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন। ড. খোন্দকার শওকত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ ও মুখ্য আলোচক বীর মুক্তিযোদ্ধা ম. হামিদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করে বর্তমান সরকার সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নানামুখী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। সরকার বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজকে পরিপূর্ণতা দানের লক্ষ্যে ‘ভিশন ২০৪১’ বাস্তবায়ন করেছে। এসব পরিকল্পনার অন্যতম লক্ষ্য হলো ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা।

মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে দেশপ্রেমিক হিসেবে তৈরি করেছে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেছি ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধ বাংলাদেশের লক্ষ্যে। তিনি দেশকে স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। কিন্তু ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে হত্যা হওয়ায় তিনি দেশকে অর্থনৈতিকভাবে মুক্তি দেওয়ার সময় পাননি। এখন, সেই কাজটি তারই সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতার সঙ্গে করে যাচ্ছেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার। এ সরকারের আমলে দেশের প্রতি‌টি খাতেই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। সরকার জনগণের কল্যাণে উন্নয়ন করে যাচ্ছে এবং তাদের প্রশংসনীয় ভূমিকায় দেশ আজ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, বাঙালি জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি। স্বাধীনতার জন্য শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাঙালি জাতি চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

#

সৈকত/পাশা/সিরাজ/মোশারফ/মাহমুদ/শামীম/২০২৩/১৭৪০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ২৩১

 

বার্লিনে কৃষিমন্ত্রী-জার্মান ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের বৈঠক

মাটির গুণমান মনিটরিংয়ে স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ব্যবহারে সহযোগিতা দিবে ব্যবসায়ীরা

                                                                                  

ঢাকা, ৭ মাঘ (২১ জানুয়ারি) :  

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সাথে গতকাল বার্লিনের সিটি কিউবে জার্মান এগ্রিবিজনেস অ্যালায়েন্স ও জার্মান শীর্ষ কৃষি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের মাটির গুণমান মনিটরিংয়ে স্যাটেলাইট প্রযুক্তির ব্যবহার, বেটার লাইফ ফার্মিং সেন্টার স্থাপন, বৈশ্বিক উত্তম কৃষি চর্চা কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন (গ্লোবাল গ্যাপ), কৃষিপণ্য রপ্তানিতে সহযোগিতা প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হয়। জার্মান এগ্রিবিজনেস অ্যালায়েন্স ও অন্যান্য ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এসব বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ও শীঘ্রই বাংলাদেশে এসব বিষয়ে পাইলট কর্মসূচি গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। 

জার্মান এগ্রিবিজনেস অ্যালায়েন্সের চেয়ারপার্সন জুলিয়া হার্নাল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এলিনা গামপার্ট, গ্লোবাল গ্যাপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিশ্চিয়ান মুয়েলার, বায়ারক্রপ সাইন্স ডয়েচল্যান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিটার মুয়েলারসহ শীর্ষস্থানীয় জার্মান ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: রুহুল আমিন তালুকদার, বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার মো. সাইফুল ইসলাম। 

পরে কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক কানাডার কৃষিমন্ত্রী মেরি-ক্লাউডি বিবিউ এর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। মন্ত্রী স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে কানাডার স্বীকৃতি প্রদান এবং সহযোগিতার জন্য কানাডার কৃষিমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। 

বৈঠকে কানাডার সাচকেচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি এর সাথে চলমান সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে গতবছর সেখানে স্থাপিত 'বঙ্গবন্ধু চেয়ার' এর  আওতায় গবেষণা ও প্রশিক্ষণের প্রতি জোর দেয়া হয়।

#

কামরুল/জুলফিকার/রবি/বুদ্ধ/শামীম/২০২৩/১৫৪৪ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ২৩০

 

সরকারের পদক্ষেপেই সারাদেশে নদীভাঙন কমে এসেছে

                                             -এনামুল হক শামীম

চট্টগ্রাম, ৭ মাঘ (২১ জানুয়ারি) :  

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, সারাদেশের নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কাজ করছে সরকার। আর সরকারের পদক্ষেপের কারণেই সারাদেশে নদীভাঙন কমে এসেছে।

আজ চট্টগ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ড  ও পওর বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন। তিনি আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের সুবিধা সম্বলিত বাংলাদেশ গড়তে চান। এজন্য তিনি দূরদর্শী পদক্ষেপ নেন। তিনি ডেল্টাপ্লান-২১০০ বাস্তবায়নেরও ঘোষণা দিয়েছেন। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে সারাদেশে নদী ভাঙন ও জলাবদ্ধতার কোনো সমস্যাই থাকবে না।

এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী শিবেন্দু খাস্তগীর, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খ ম জুলফিকার সহ নির্বাহী প্রকৌশলী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

 

গিয়াস/জুলফিকার/রবি/বুদ্ধ/শামীম/২০২৩/১৫২৩ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                         নম্বর : ২২৯

ন্যায়বিচার ছাড়া মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারেনা

                                                -আইনমন্ত্রী

ঢাকা, ৭ মাঘ (২১ জানুয়ারি) :  

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও গতিশীল বিচার বিভাগের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে শোষিত-বঞ্চিত-নির্যাতিত এবং অসহায় মানুষগুলো স্বল্প খরচে দ্রুত ন্যায়বিচার পাবেন। বস্তুত ন্যায়বিচার খাদ্য ও বস্ত্রের মতোই জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য উপাদান। কেননা খাদ্য ছাড়া যেমন জীবন বেঁচে থাকতে পারেনা, বস্ত্র ছাড়া যেমন মানুষ জনসম্মুখে বের হতে পারে না, তেমনি ন্যায়বিচার ছাড়া মানুষ সমাজে শান্তিতে বসবাস করতে পারেনা। ন্যায়বিচারের অনুপস্থিতিতে সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, সামাজিক অস্থিরতা বা অস্থিতিশীলতা দেখা দেয়। আর সমাজ নিয়েই যেহেতু রাষ্ট্র, তাই অস্থিতিশীল সমাজ মানেই অস্থিতিশীল রাষ্ট্র। এরূপ রাষ্ট্রের সঙ্গে বিদেশি রাষ্ট্রসমূহ বন্ধুত্ব বা সম্পর্ক স্থাপন করতে অনীহা দেখায়, তারা বিনিয়োগ করতে ভয় পায়। পরিণতিতে ওই রাষ্ট্র বিশ্ব সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, উন্নয়ন বিঘ্নিত হয়। তাই জাতির পিতা আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সবসময় তৎপর থেকেছেন। এমনকি পাকিস্তানি শাসন আমলে তিনি যেখানেই সুযোগ পেয়েছেন, সেখানেই আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও সুযোগের সমতা নিশ্চিতকরণের বিষয়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরে কথা বলেছেন।

আজ ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ/সমপর্যায়ের বিচারকদের জন্য আয়োজিত ১০ম ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, কোন দেশে সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও শক্তিশালী আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে অপরাধকর্মে জড়িত প্রত্যেক অপরাধীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক এবং এসব বিচার যথাসম্ভব দ্রুতগতিতে হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শুরু থেকেই বিচার বিভাগকে সবধরণের সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার ও সুপ্রীম কোর্ট দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির মাধ্যমে দেশের দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত মামলাজট কমানোর বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। যার সুফল ইতোমধ্যেই জনগণ পেতে শুরু করেছে। প্রায়শই খবর পাওয়া যাচ্ছে, দেশের অনেক আদালতেই এখন, একক সময়ে মামলা দায়েরের সংখ্যার চেয়ে মামলা নিষ্পত্তির হার বেশি হচ্ছে। যা আমাদেরকে আশান্বিত করছে।

তিনি বিশ্বাস করেন, সরকার ও সুপ্রীম কোর্টের বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি বিজ্ঞ বিচারকদের উদ্ভাবনীমূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ, বিচারিক কর্মঘন্টার সঠিক প্রয়োগ, কার্যকর মামলা ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি, দক্ষ আদালত ব্যবস্থাপনা এবং সর্বোপরি তাদের সুদক্ষ নেতৃত্বের কার্যকর সমন্বয়ের মাধ্যমে বিচার বিভাগ মামলার বোঝা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে। বিচার প্রক্রিয়ায় অংশীজনদের সঙ্গে কার্যকর সমন্বয় সাধনের মাধ্যমেও মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এসব ক্ষেত্রে সকল বিচারক তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।

আইনমন্ত্রী একথাও স্মরণ করিয়ে দেন, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, এখানে একটি মামলার অনেকগুলো পক্ষ তৈরি হয়ে যায়। কোন পক্ষ চায়, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। কোন পক্ষ চায়, মামলা নিষ্পত্তির সময় প্রলম্বিত হোক। কেউ কেউ হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে আদালতের কালক্ষেপন করে থাকেন। এসব বিষয়কে মাথায় নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। দ্রুত গতিতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আবার এক্ষেত্রে ভুলে গেলে চলবে না ‘Justice Hurried is Justice Buried’; বদান্যতা, মহানুভবতা, কৃতজ্ঞতা, বন্ধুত্ব ও করুণা থেকে ন্যায়বিচার আলাদা। ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার মর্মমূলে রয়েছে নিরপেক্ষতার ধারণা।

আনিসুল হক বলেন, আমরা রাষ্ট্রের যে, যে দায়িত্বই পালন করি না কেন, প্রত্যেকের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সব সময় সাধারণ জনগণ বিশেষ করে কৃষক-শ্রমিক-মেহনতী মানুষের নিকট দায়বদ্ধতার বিষয়টি স্মরণ রাখা উচিত। কেননা লাখ লাখ শ্রমিক ও গার্মেন্টস কর্মীর গা ঘামানো পরিশ্রমের বিনিময়েই আমাদের হাজার হাজার কোটি টাকা রপ্তানি আয় হয়, এক কোটির অধিক প্রবাসী কর্মীর রেমিটেন্স পাঠানোর ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ বাড়ে, গ্রামের কৃষক ভাই-বোনদের রোদ-বৃষ্টিতে মাঠে নেমে ফসল ফলানোর ফলেই আমরা শহরে বসে তা খেতে পারি। আবার তাদের করের টাকায় আমাদের বেতন-ভাতা হয়। বাস্তবতা হলো সমাজে এসব মানুষই বেশি ভোগান্তির শিকার হন, শোষিত-বঞ্চিত হন। যদিও জাতির পিতা স্বয়ং কৃষক-শ্রমিক-মেহনতী মানুষের অধিকার আদায়ে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম করে গেছেন। তাই বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে তাদেরকে যাতে আদালতের বারান্দায় বছরের পর বছর জুতার তলা ক্ষয় করতে না হয়, সে বিষয়ে বিচারকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন। অধিকন্তু তারা যাতে সেবা নিতে এসে কোনভাবে অবজ্ঞা বা হয়রানির স্বীকার না হয়, সে বিষয়ে সজাগ থাকা উচিত।

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান বক্তৃতা করেন।

#

রেজাউল/জুলফিকার/রবি/বুদ্ধ/শামীম/২০২৩/১৫০২ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ২২৮

 

লোকসংস্কৃতি আমাদের দেশের অহংকার

                    -সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী


নেত্রকোণা, ৭ মাঘ (২১ জানুয়ারি) :  

সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন, লোকসংস্কৃতি আমাদের দেশের অহংকার। লোকসংস্কৃতি ছাড়া আমাদের অস্তিত্ব কল্পনাও করা যায় না।

গতকাল নেত্রকোণায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, নেত্রকোণা জেলা শাখা আয়োজিত দু'দিনব্যাপী লোকসংগীত উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অসিত সরকার সজল, পুলিশ সুপার মোঃ ফয়েজ আহমেদ ও কেন্দ্রীয় উদীচীর সহ-সভাপতি সারোয়ার তমাল রবিন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধারণ করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সেই বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।

#

জাকির/জুলফিকার/রবি/বুদ্ধ/শামীম/২০২৩/১১৪৭ ঘণ্টা

 

2023-01-21-16-11-9e67f62cdfbca38ca03640928667178a.docx