তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৬২
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৬ জ্যৈষ্ঠ (৩০ মে) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২০’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস’ পালিত হতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
এবারের প্রতিপাদ্য ‘Protecting youth from industry manipulation and preventing them from tobacco and nicotine use'-যার বাংলা ভাবানুবাদ করা হয়েছে: ‘তামাক কোম্পানির কূটচাল রুখে দাও-তামাক ও নিকোটিন থেকে তরুণদের বাঁচাও’ যা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
আমাদের সরকার তামাকের ভয়াল থাবা থেকে সকলকে রক্ষা করতে ২০১৩ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন ও ২০১৫ সালে বিধি জারি করেছে। সর্বোপরি আমি ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছি। এ লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল এফসিটিসি প্রণয়ন করেছে। জাতিসংঘ অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনের এজেন্ডাভুক্ত করে এফসিটিসির কার্যকর বাস্তবায়ন ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দিয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি প্রণয়ন করেছে। আমাদের সরকার এসডিজি অর্জনকে গুরুত্ব দিয়ে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় তামাক নিয়ন্ত্রণকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের এ সময়ে আমাদের সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। আমি দেশবাসীকে আহ্বান জানাই, আপনারা এ মহামারী মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন এবং সকল তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার পরিহার করুন।
আমি বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২০ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আশরাফ/ফারহানা/রাহাত/মিজান/২০২০/১৭০৫ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৯৬১
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৬ জ্যৈষ্ঠ (৩০ মে) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২০’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। কিশোর-তরুণদের তামাক কোম্পানির আগ্রাসন থেকে সুরক্ষা প্রদানের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে এ বছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের নির্ধারিত প্রতিপাদ্য ‘Protecting youth from industry manipulation and preventing them from tobacco and nicotine use' অর্থাৎ ‘তামাক কোম্পানির কূটচাল রুখে দাও-তামাক ও নিকোটিন থেকে তরুণদের বাঁচাও’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
ধূমপানকে বলা হয় মাদক সেবনের প্রবেশ পথ। তামাক সেবনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম মাদকের দিকে ধাবিত হয়ে পরিবার ও রাষ্ট্রের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তামাক ও ধূমপান ধূমপায়ীর পাশাপাশি পরোক্ষভাবে অধূমপায়ীকে সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অগ্রগতির হাতিয়ার এই তরুণ জনগোষ্ঠীকে যেকোনো উপায়ে তামাকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে হবে। বর্তমানে সারা বিশ্ব করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সৃষ্ট মহামারী মোকাবিলা করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-সহ জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপান করলে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি এবং আক্রান্ত হওয়ার মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। এ সময় তামাকজাত পণ্য ও ধূমপান বর্জনের মাধ্যমে মানুষের মৃত্যুঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব বলে আমি মনে করি।
সরকার জনস্বাস্থ্যকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ২০১৩ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ সংশোধন করেছে এবং ২০১৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা প্রণয়ন করেছে। এতে তামাকজাত দ্রব্যের সব ধরণের প্রচার-প্রচারণা এবং শিশুদের তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য ১৮ বছরের নীচের শিশুদের নিকট বা তাদের দ্বারা তামাকজাত দ্রব্যের ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তামাক ও ধূমপান সংক্রান্ত এসকল আইন ও বিধি বিধানের সঠিক প্রতিপালন নিশ্চিত করতে আম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সাথে তামাক ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করতে সচেতন নাগরিক সমাজ, তামাক ও ধূমপান বিরোধী বিভিন্ন সংগঠন ও সর্বোপরি গণমাধ্যমগুলোর সমন্বিত প্রয়াস অত্যন্ত জরুরি বলে আমি মনে করি।
আমি ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২০’ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
#
ইমরানুল/ফারহানা/রাহাত/রফিকুল/মিজান/২০২০/১৭০০ ঘন্টা