তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৯৩
আর্থসামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে জাতিকে সমৃদ্ধ করা হবে
-- এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী
গংগাচড়া, (রংপুর), ২৭শে আশ্বিন (১২ই অক্টোবর):
এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, দেশের ভাগ্য বিড়ম্বিত মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে জাতিকে সমৃদ্ধ করে এগিয়ে নেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার দক্ষিণ হাবু কিশামত জামে মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অন্ন ও বাসস্থানসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন বিগত দিনে গংগাচড়া উপজেলা ছিল একটি অনুন্নত জনপদ। এ জনপদের উন্নয়নে কোন সমন্বিত উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি। বর্তমান সরকার গংগাচড়া উপজেলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, কৃষি, পরিবেশ, যোগাযোগ ও ভৌত অবকাঠামো খাতে এক বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবহেলিত এ উপজেলাটিকে অচিরেই একটি মডেল জনপদে পরিণত করা হবে।
পরে প্রতিমন্ত্রী উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদকের মায়ের কুলখানী অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
#
আহসান/মাহমুদ/জসীম/জয়নুল/২০১৬/১৯২০ঘণ্টা
Handout Number : 3192
Foreign Minister spends busy time in Vienna
Vienna, Austria, October 12 :
Foreign Minister Abul Hassan Mahmood Ali held bilateral official talks with the Austrian Minister for Foreign Affairs and European Integration Sebastian Kurz at the Federal Ministry of European Integration and Foreign Affairs in Vienna yesterday. This is the first ever Foreign Minister level bilateral official visit from Bangladesh to Austria. On arrival the Austrian Foreign Minister extended warm reception to the Bangladesh Foreign Minister receiving him at the ministry's entrance.
During the meeting, the two Ministers exchanged views on different aspects of bilateral relations and agreed to work together for deepening and widening areas of cooperation between the two countries in particular trade. Minister Ali recalled with gratitude the support of the people of Austria during Bangladesh’s Liberation War in 1971. He especially appreciated the engagement of the then Federal Austrian Chancellor Bruno Kreisky, who was later awarded the “Friends of Bangladesh” citation in 2012.
Bangladesh Foreign Minister apprised his Austrian counterpart about the sustained economic growth in Bangladesh, including global acclamation for Bangladesh’s socio-economic progress under the visionary leadership of Prime Minister Sheikh Hasina. In that context Minister Ali invited Austrian businesses to seize the opportunity to explore investment potentials in Bangladesh. Both ministers also exchanged views on regional and international issues of mutual interest, including the on-going refugee and migration crisis in Europe. In response to Minister Ali’s invitation to attend the Summit on Global Forum for Migration and Development (GFMD) to be held in Dhaka in December 2016, the Austrian Foreign Minister appreciated Bangladesh role as Chair of GFMD and informed that Austria will send delegation to the Summit.
Both ministers also discussed about the scourge of terrorism and violent extremism and vowed to work together to address these global menace.
Foreign Minister Ali later visited the Austrian Parliament and exchanged views with Austrian member of parliaments led by the Chairman of the Foreign Affairs Committee Josef Cap. The Austrian deputies highly appreciated Bangladesh’s image as a moderate Muslim country. Minister Ali presented Bangladesh as a vibrant secular country having a robust economical outlook to become a higher middle income country by 2021.
Foreign Minister also visited the Austrian Federal Economic Chamber and held a meeting with its President ChristophLeitl and his delegation. He invited Austrian businesses to explore opportunities available in Bangladesh, especially in the newly established special economic zones.
#
Khaleda Begum/Mahmud/Jashim/Joynul /2016/1830hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৯১
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৭শে আশ্বিন (১২ই অক্টোবর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৩ই অক্টোবর ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ১৩ই অক্টোবর ২০১৬ ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০১৬ এর এবারের প্রতিপাদ্য ‘খরাব ঃড় ঞবষষ’ অর্থাৎ ‘দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে হলে, কৌশলসমূহ বলতে হবে’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রম শুরু করেন। উপকূলীয় জনসাধারণের দুর্যোগ ঝুঁকি বিবেচনা করে তিনি ১৯৭৩ সালের ১লা জুলাই নতুন আঙ্গিকে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর হাতে গড়া সিপিপি আজ সারাবিশ্বে সমাদৃত।
আওয়ামী লীগ সরকার কাঠামোগত ও অবকাঠামোগত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রমে সফলতা অর্জন করেছে। আমরা অবকাঠামোগত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের লক্ষ্যে সাইক্লোন শেল্টার, বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ও ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ করেছি। ভূমিকম্প মোকাবেলায় জরুরি উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনার জন্য সরঞ্জামাদি ক্রয় করে আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন এবং ফায়ার সার্ভিস ডিফেন্সকে হস্তান্তর করেছি। সারাদেশে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে দুর্যোগে এভাকুয়েশন রুট হিসেবে ব্যবহার এবং জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ৭ঃয ঋরাব ণবধৎ চষধহ অনুযায়ী পাঁচ হাজার ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে নারী, শিশু, বৃদ্ধ এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত। এদেশের মানুষকে প্রতিনিয়ত দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হয়। ভূমিকম্প ও বজ্রপাতে জানমালের ক্ষতি কমাতে ঝুঁকিহ্রাসের কৌশল বিষয়ে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবেলায় বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্যোগে দ্রুত সাড়াদানের জন্য দেশের প্রতিটি জেলায় পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দুর্যোগ সে¦চ্ছাসেবক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের কাছে দুর্যোগের কারণ এবং বাঁচার উপায় বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সরকারি, বেসরকারি সংস্থাসহ সর্বসÍরের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০১৬’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নজরুল/মাহমুদ/জসীম/সেলিম/২০১৬/ ১৭০১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৯০
ধর্মের নামে ধর্মবিরোধী কাজে যুক্তদের দমন করা হবে
-- ভূমিমন্ত্রী
ঈশ^রদী, ২৭শে আশ্বিন (১২ই অক্টোবর):
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, জঙ্গিদের বাড়াবাড়ি এখন বন্ধ হয়েছে। তবে এখনও যারা নানাস্থানে ঘাপটি মেরে আছে তাদের ধরা হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন, ধর্মের নামে যারা ধর্মবিরোধী কাজ করে তাদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। তাদের জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করে তাদের দমন করা হবে। তিনি জঙ্গিমুক্ত অসাম্প্রদায়িক ঐক্য গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
ভূমিমন্ত্রী আজ পাবনার ঈশ^রদী শেরশাহ রোডে তাঁর বাসভবনের আঙ্গিনায় আশুরা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত লাঠি খেলা পরিদর্শনে সমবেতদের উদ্দেশে এ সব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সকল ধর্মের মানুষকে নিয়ে মিলেমিশে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। তাঁকে হত্যার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শক্ত হাতে কুচক্রীদের সমস্ত ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়েছেন। বাংলাদেশের মাটিতে কোনো জঙ্গি সন্ত্রাসীদের ঠাঁই হবে না- যতই হুমকি ধামকি দেওয়া হোক না কেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলবে এবং দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
#
রেজুয়ান/মাহমুদ/জসীম/জয়নুল/২০১৬/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৮৯
আগামীকাল সিলেটে জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ২৭শে আশ্বিন (১২ই অক্টোবর):
আগামীকাল (১৩ই অক্টোবর) সিলেটে জঙ্গিবাদ বিরোধী এক শিক্ষক - সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
সিলেটে এম সি কলেজ রোডে আমানউল্লা কনভেনশন সেন্টারে আগামীকাল সকাল ১০ টায় ‘শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়ন, জঙ্গিবাদমুক্ত শিক্ষাঙ্গণ’ শিরোনামে আয়োজিত এ সমাবেশে সিলেট বিভাগের ৪টি জেলার ১ হাজার ১ শ’ স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ অংশগ্রহণ করবেন।
#
সাইফুল্লাহ/মাহমুদ/জসীম/জয়নুল/২০১৬/১৮০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৮৮
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৭শে আশ্বিন (১২ই অক্টোবর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৩ই অক্টোবর ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘দুর্যোগ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিকে মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে ১লা জুলাই ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)-কে নতুন আঙ্গিকে প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও সরকার সিপিপি-কে যৌথ কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করে দেশের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে একটি অনন্য মাইলফলক স্থাপন করেন। দুর্যোগ প্রশমনে স্থানীয় জনগণের অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ কারণে স্থানীয় জনগণের বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানকে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সাথে সমন্বয় করে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করলে দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি। আন্তর্জাতিকভাবে এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘খরাব ঃড় ঞবষষ’ এর আলোকে বাংলাদেশে এ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে হলে, কৌশলসমূহ বলতে হবে’ সময়োপযোগী ও বাস্তবধর্মী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সমগ্র বিশ্বের ন্যায় আমাদের দেশেও দুর্যোগের প্রকোপ এবং মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে দুর্যোগ ঝুঁকিও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের গৃহীত কার্যক্রম এবং স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনসাধারণের অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতি সারাবিশ্বে এ দেশকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ‘রোল মডেল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ফলে দুর্যোগ ঝুঁকি তথা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ কর্তৃক ‘চ্যাম্পিয়ন অভ্ দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীর দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত। প্রায়ই মাঝারি থেকে বড় ধরণের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠছে এ অঞ্চল। সাম্প্রতিক সময়ে বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় একে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্যোগকে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, তবে আগাম বার্তা ও সম্মিলিত উদ্যোগে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি বহুলাংশে হ্রাস করা সম্ভব। আমি আশা করি সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, গণমাধ্যম, স্থানীয় জনগণসহ সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে সমন্বিতভাবে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসসহ দুর্যোগ প্রশমনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
আমি ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/মাহমুদ/জসীম/সেলিম/২০১৬/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৮৭
আগামীকাল আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস
ঢাকা, ২৭শে আশ্বিন (১২ই অক্টোবর):
আগামীকাল ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে হলে, কৌশলসমূহ বলতে হবে’। দিবসটি পালন উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দেশব্যাপী আলোচনা সভা, পোস্টার স্থাপন, লিফলেট বিতরণ, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে টক শো, সড়ক দ্বীপ সাজ-সজ্জা, র্যালি, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প ও অগ্নিকা- মহড়া, স্মরণিকা প্রকাশ ইত্যাদি।
আগামীকাল ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন।
আজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এসব তথ্য জানান। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মোঃ শাহ্ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বের সাথে আমরাও পূর্ব প্রস্তুতির উপর গুরুত্বারোপ করতে চাই। বিশেষত জনসচেতনতার জন্য দুর্যোগ মোকাবেলার কৌশলগুলো জনগণকে অবহিত করতে চাই।
মন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্প ও অগ্নিকা- মোকাবিলার কৌশল হিসেবে জনসচেতনতার পাশাপাশি দেশব্যাপী ভূমিকম্প ও অগ্নিকা- মহড়া করা হচ্ছে। গত ৯ অক্টোবর সচিবালয়ে ও ১০ অক্টোবর পুরান ঢাকার সদরঘাটে ভূমিকম্প ও অগ্নিকা- মহড়া করা হয়েছে। অবশ্য এ ধরনের মহড়া নিয়মিতভাবেই বিভিন্ন কমিউনিটিতে, প্রতিষ্ঠানে ও স্কুল কলেজে করা হচ্ছে। ভূমিকম্প ও অগ্নিকা- মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জনের জন্য ২ শতাধিক কোটি টাকার উদ্ধার যন্ত্রপাতি ক্রয় করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরকে সরবরাহ করা হয়েছে এবং হচ্ছে।
তিনি বলেন, সাইক্লোন মোকাবিলার কৌশল হিসেবে সাইক্লোনে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও র্যাবকে ৬টি উদ্ধারকারী জাহাজ সরবরাহ করা হয়েছে। উপকূলীয় জেলাসমূহে ১২টি ওয়াটার এম্বুলেন্স দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ১০০ সাইক্লোন সেল্টার ও ৪৯টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ওসমানী মিলনায়তন থেকে একযোগে উদ্বোধন করবেন। সাইক্লোন আসার ৫ দিন পূর্বে সরকার আগাম বার্তা প্রদান করছে।
তিনি আরো বলেন, বজ্রপাতকে সরকার ২০১৫ সালেই দুর্যোগ হিসেবে ঘোষনা করেছে। বজ্রপাত মোকাবিলায় আগাম সতর্ক বার্তার সুযোগ খুব নাই বললেই চলে। ভারী মেঘের আনাগোনা লক্ষ করে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকলে বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। সরকার বজ্রপাতে করনীয় বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং ও লিফলেট বিতরণ করেছে, বাসা বাড়িতে বজ্রপাত নিরোধক দ- লাগানোর অনুরোধ করেছে। বিশেষজ্ঞগণের অভিমত অনুযায়ী প্রচুর পরিমাণে তালগাছ ও নারকেল গাছ রোপণ করা হলে গ্রামে গঞ্জে সেগুলো বজ্র নিরোধক দন্ড হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি প্রেস ব্রিফিং এ উল্লেখ করেন।
বিভিন্ন আগাম বার্তা পেতে ১০৯০ নম্বরে মোবাইল কল করে জেনে নিতে তিনি দেশবাসীর প্রতি
আহ্বান জানান।
প্রেস ব্রিফিং এর পর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ওপর শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় তিনি পুরস্কার
বিতরণ করেন।
#
ওমর ফারুক/মাহমুদ/জসীম/জয়নুল/২০১৬/১৭৫০ঘণ্টা