তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৫
বিএনপি নেতাদের ওপর ক্ষেপে গিয়েই পেট্রোলবোমা বাহিনী নামিয়েছেন তারেক
-তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই):
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘গত শুক্রবারের প্রোগ্রামে গন্ডগোল কেন হলো না সেজন্য বিএনপি নেতাদের উপর চটে গিয়ে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নেতাদের ফোন করে নির্দেশ দিয়েছেন গাড়ি ভাংচুর, আগুন দেওয়া এবং পুলিশের উপর আক্রমণ করার জন্য। সেই প্রমাণ আমাদের হাতে আছে।’
আজ চট্টগ্রাম নগরীর দোস্ত বিল্ডিং চত্বরে বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্য সৃষ্টি ও সহিংসতার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায়ের অডিও বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে, তিনি আগুন দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। আবার বলছেন- এটা একটু ভিডিও করে রাখেন, জায়গা মতো পাঠাতে হবে। অর্থাৎ তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পাঠাতে হবে।’
ঢাকায় গতকালের সংঘর্ষ নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গন্ডগোল করার উদ্দেশ্যেই বিএনপি পরদিন ঢাকা শহরের প্রবেশ মুখগুলোতে অবস্থান ধর্মঘট অর্থাৎ ঢাকা অবরুদ্ধ করার কর্মসূচি দিয়েছে। কিন্তু ঢাকা শহরের প্রবেশ পথ বন্ধ করার অধিকার কোনো রাজনৈতিক দলের নাই।’
তিনি বলেন, সবাই সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারে, সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখতে পারে, এবং তারা তা করছেও। সেখানে বাধা দেয়া হচ্ছে না, বরং সহযোগিতা করা হয়েছে। কিন্তু ঢাকা শহরের প্রবেশ মুখ বন্ধ করে দেওয়ার অধিকার কাউকে সরকার দিতে পারে না, সে কারণে সেটি সরকার অনুমতি দেয় নাই।
কেউ যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতি বিনষ্ট করতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঢাকার প্রবেশ মুখে সতর্ক পাহারায় ছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের ওপর তারা আক্রমণ চালিয়েছে, পুলিশের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। গতকাল প্রথমার্ধে তারা সাতটি বাস জ্বালিয়েছে, রাতের বেলা আরো গাড়িতে আগুন দিয়েছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন এই সব গাড়ি জ্বালানোর মধ্য দিয়ে এক একটি পরিবারকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, একটি পরিবারের স্বপ্নকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না।’
‘বিএনপি মহাসচিব মিথ্যাচার করছেন’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে তারা যে আগুন দিয়েছেন সেটি অস্বীকার করলেন। তার মতো জঘন্য মিথ্যাবাদী বাংলাদেশে কখনো জন্মগ্রহণ করে নাই। মিথ্যা বলায় যদি কেউ চ্যাম্পিয়ন তাহলে তিনি হবেন। যারা গাড়িতে আগুন দিয়েছেন সেগুলোর ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে গ্রেফতার ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
নেতা-কর্মীদেরকে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে না আনা পর্যন্ত রাজপথে নেমেছি রাজপথেই থাকবো। আগুন সন্ত্রাসীদের আমরা এই দেশ থেকে বিতাড়িত করব। বিএনপি নির্বাচন চায় না, তারা চায় দেশে একটি গন্ডগোল পাকাতে, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ভন্ডুল করতে, সেটি আমরা হতে দিতে পারি না। তাই নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে পাড়ায়-মহল্লায়, গ্রামে-গঞ্জে, ওয়ার্ডে-ইউনিটে বিএনপির আগুন সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে হবে। তাদের এই অপরাজনীতি বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিতে হবে।’
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পালিতের সঞ্চালনায় সহসভাপতি আবুল কাশেম চিশতি, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম রাশেদুল ইসলাম, ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা বাসন্তী প্রভা পালিত প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
-২-
চট্টগ্রামে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ
এ দিন সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) এর আয়োজনে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্ববেনিয়াদের হাতে দেশ তুলে দেওয়ার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আমি সাংবাদিকদের কলম ধরার অনুরোধ জানাই।’
মন্ত্রী বলেন, 'দেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা, স্থিতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা হচ্ছে। বিএনপি বিদেশিদের কাছে গিয়ে হাতে পায়ে ধরে, তারা আমাদের দেশটাকে বিশ্ববেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চায়, আমাদের জমি, সাগরের অংশ তাদের হাতে তুলে দিতে চায়। কিন্তু সাংবাদিকরা মানুষের তৃতীয় নয়ন খুলে দিতে পারে, মানুষকে ঠিক নির্দেশনা দিতে পারে। আপনারা কলাম লেখেন, রিপোর্টিং করেন, সর্বোপরি আপনাদের লেখনি সকল অপশক্তি থেকে জনগণকে রক্ষায় ভূমিকা রাখবে।’
অনুষ্ঠানে ৪২ জন সাংবাদিকের হাতে প্রায় ৩৪ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন মন্ত্রী।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শহীদুল আলম, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কলিম সরওয়ার, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক প্রমুখ।
#
আকরাম/এনায়েত/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/২২০২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৪
দেশকে যারা অচল করতে চায় তাদের জানা উচিত দেশ স্বাধীন হয়েছে সচল করার জন্য
-স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই):
যারা আন্দোলনের নামে দেশকে অচল করতে চায় তাদের জানা উচিত ১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মহান স্বাধীনতা দেশকে সচল করার জন্যই হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আন্দোলন এবং সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জন থেকে এ পর্যন্ত এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আওয়ামী লীগ ছাড় দিচ্ছে দেশের মানুষের শান্তির জন্য। তবে আন্দোলনের নামে জনদুর্ভোগ ও অগ্নি সন্ত্রাস কোনভাবেই সহ্য করা হবে না।
মন্ত্রী আজ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনে মেয়র মোঃ হানিফ মিলনায়তনে বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সাথে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদারকরণ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, সভাপতিত্ব করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
মোঃ তাজুল ইসলাম ডেঙ্গু প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন ও সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এ ক্ষেত্রে পাড়া মহল্লাভিত্তিক ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও পরিচ্ছন্নতা কমিটি গঠন করে সমাজের সকল স্তরে ডেঙ্গু মশা যাতে প্রজনন করতে না পারে, লার্ভা বিস্তার না করে সে জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। এ সময় শুক্রবারের খুৎবায় এডিস মশা ও ডেংগু প্রতিরোধ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার বিষয়ে মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের আহ্বান জানান তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদেরও ডেঙ্গু প্রতিরোধে ছাত্রছাত্রীদের উদ্বুদ্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যেহেতু উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে ডেঙ্গু সারা বছর সংক্রমণের সম্ভাবনা সারা বিশ্বের বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদেরকেও ডেঙ্গু সচেতন করা অপরিহার্য।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু রোগ শুধু আমাদের দেশে আছে তা নয়, এটা অন্যান্য দেশেও আছে। সকল ট্রপিক্যাল কান্ট্রি, সকল দেশেই এই রোগ আছে। সুতরাং বহির্বিশ্বের প্রেক্ষাপটে আমাদের কর্মপরিকল্পনা যেভাবে সাজিয়েছি, এটি সারা বিশ্বে স্বীকৃত।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান। এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির ঢাকা দক্ষিণে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ওপর সচিত্র পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন।
#
হেমায়েত/এনায়েত/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/২১৫২ ঘণ্টা
Handout Number: 303
Foreign Ministers of Bangladesh and Sweden held tele-discussion
regarding the repeated acts of desecrating the Holy Quran in Sweden
Dhaka, 30 July:
Foreign Minister Dr. A K Abdul Momen held a tele-discussion with Swedish Foreign Minister Tobias Billström today regarding the issues arising out from the desecrating of the Holy Quran in Sweden in the past days.
Highlighting that Bangladesh strongly condemns any act of desecrating and burning of a copy of the Holy Quran, for that matter any religious scriptures, under any circumstances, Foreign Minister Momen expressed Bangladesh’s grave concerns over the repeated acts of desecrating and burning of copies of the Holy Quran in Sweden in the past days. He reiterated Bangladesh’s call on all concerned to put an end to such unwarranted provocations for the sake of mutual respect, harmony and peaceful coexistence. Terming Sweden as a trusted friend of Bangladesh, Minister Momen expected that any such despicable act would not recur in Sweden.
The Swedish Foreign Minister mentioned that any Islamophobic acts are condemned and rejected by the Swedish government. He termed that desecration of the Holy Quran, or any other Holy Scripture is an offensive and disrespectful act. He stated that public agencies in Sweden make independent decisions and accordingly, the Swedish Police Authority grants permits for demonstrations, but it does not grant permits to burn a copy of the Holy Quran, or any other Holy Scripture. The Swedish Foreign Minister regretted that individuals, availing the Swedish constitutional right to freedom of religion, freedom of expression and freedom of demonstration, misuse these freedoms to insult such value which is sacred to a religion. He updated that the Swedish Minister for Justice has initiated an analysis of the Public Order Act, in light of the recent events.
Foreign Minister Dr. Momen stated that Bangladesh is a country of religious harmony, where religious events are joined by all irrespective of their faiths. He expressed satisfaction that Swedish authorities are taking corrective measures. The Swedish Minister termed Bangladesh society very tolerant and appreciated religious harmony prevailing in Bangladesh.
Referring to the upcoming general elections in Bangladesh either in December this year or January next year in accordance with the provisions of the Constitution of the country, Foreign Minister Momen expressed his firm conviction that Bangladesh Election Commission will conduct the elections in a free, fair and peaceful environment. He requested Sweden to send election observers to observe the elections. The Swedish Foreign Minister assured to convey the invitation to the relevant authorities of Sweden.
#
Mohsin/Pasha/Enayet/Sanjib/Abbas/2023/1950 Hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০২
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ২৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭২ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১১ হাজার ৩৪১ জন।
#
সুলতানা/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৭৫৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০১
বিএনপির অপরাজনীতি ঠেকাতে নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকব
-আহত কর্মীদের পাশে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ শ্রাবণ (৩০ জুলাই):
‘বিএনপির অপরাজনীতি ঠেকাতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকবে’ ঘোষণা দিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
গতকাল রাতে তিনি রাজধানীর উত্তরায় ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলীয় আহত নেতাকর্মীদের দেখতে যান। তাদের খোঁজখবর নেওয়া শেষে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিব হাসান ও যুবলীগ সভাপতি ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিএনপির হামলায় মারাত্মকভাবে আহত নেতা-কর্মীদের দেখতে এসেছি। শুক্রবার গন্ডগোল করতে পারে নাই বলেই বিএনপি শনিবার আমাদের দল যখন শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রা করছিল তাদের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে, বাস পুড়িয়েছে, পুলিশের গাড়িতে হামলা করেছে, রাতেও উত্তরার কাছে গাড়ি পুড়িয়েছে। অর্থাৎ তারা ২০১৪-১৫ সালের মতো পুনরায় আগুনসন্ত্রাসে লিপ্ত হয়েছে।’
তিনি জানান, ‘হাসপাতালটিতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে উত্তরা ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ কর্মী মহিবুর রহমান নয়নের হাতের কব্জি কেটে ফেলার উদ্দেশ্যে বিএনপির সন্ত্রাসীরা চাপাতি দিয়ে কোপ দেয়। ডাক্তারেরা প্রায় বিচ্ছিন্ন কব্জি বাঁচানোর প্রাণান্ত চেষ্টা করছেন।’
এছাড়া স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে লিংকন কুমার দাস, ইসমাইল হোসেন দীপ, মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বাবু, জহিরুল ইসলাম, আশিক মিরাজ, নাহিদ হাসান, মামুন এই হাসপাতালে ও অন্য আরেকটি হাসপাতালে মহারাজ, আকাশসহ আরও নেতা-কর্মীরা চিকিৎসাধীন, জানান হাছান মাহ্মুদ।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই রাজধানীর প্রবেশমুখে বিএনপি শনিবার অবরোধ বা অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছিল। এই ঢাকা শহর দুই কোটি মানুষের। তাদের অবরুদ্ধ করে রাখার অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি।’
হাছান বলেন, ‘বিএনপির উদ্দেশ্য নির্বাচন নয়, সংঘাত তৈরি করে দেশটাকে বিশ্ববেনিয়াদের হাতে তুলে দেওয়া। আমরা এ দেশের জনগণ তা হতে দিতে পারি না। বিএনপির অপরাজনীতি ঠেকাতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকবে, জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের প্রতিহত করবে।’
#
আকরাম/পরীক্ষিৎ/রাসেল/কামাল/২০২৩/১৬:০০ ঘণ্টা