তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৭৪
একাত্তরের ইতিহাস ভুলতে চাই না
-- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ২০ আষাঢ় (৪ জুলাই) :
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, আমরা একাত্তরের ইতিহাস ভুলতে চাই না এবং ভুলতে দিতেও চাই না। নতুন প্রজন্মের সামনে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে চাই।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আয়োজিত শ্যূনন রেপাটরী থিয়েটার পরিবেশিত মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের এক নারীর সংগ্রামী জীবন নিয়ে নির্মিত “লাল জমিন” নাটকের মঞ্চায়ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। নাটকটিতে একক অভিনয় শৈলী প্রদর্শন করেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী মোমেনা চৌধুরী।
মন্ত্রী বলেন, ‘শিল্পকলা একাডেমিতে নাটকটি প্রথম দেখে আমি মুগ্ধ ও অভিভূত হয়েছি। এরপর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নাটকটি সারাদেশে মঞ্চায়নের জন্য অনুদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে’।
ইতোমধ্যে অনেকগুলো জেলায় নাটকটি মঞ্চায়িত হয়েছে। মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, নাটকটি দেখে তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে। লাল জমিন নাটকে ফুটে ওঠেছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, রাজাকার-আল বদরদের হত্যা ও ধর্ষণের নির্মম কাহিনী।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মোঃ আব্দুল মান্নান ইলিয়াসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ।
#
ফয়সল/সেলিম/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৭৩তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৭২
বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচিত ছাত্র সংসদ থাকা জরুরি
- সংস্কৃতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২০ আষাঢ় (৪ জুলাই) :
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও এর হলসমূহে নির্বাচিত ছাত্র সংসদ থাকা জরুরি। এটি ছাড়া সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা-সহায়ক কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে পরিচালিত হওয়ার সুযোগ নেই। এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে সংস্কৃতিচর্চা তেমনভাবে হয় না বললেই চলে। এর অন্যতম প্রধান কারণ এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নেই বা সেগুলো নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে।
মন্ত্রী আজ দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তিকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস প্রণীত 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা-সহায়ক কর্মকাণ্ড t সেকাল একাল' শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশনা ও মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সময়ে সংস্কৃতি চর্চা শুধু নিছক বিনোদন ছিল না, এটি ছিল আন্দোলন-সংগ্রামের অন্যতম হাতিয়ার। তখন যে মানের সংস্কৃতিচর্চা হত, এখন তা দেখা যায় না। মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সংস্কৃতি চর্চা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করা শুরু হয়েছে। ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ভবিষ্যতে এটি আরো সম্প্রসারণ করা হবে।
জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ সামাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি
এ কে আজাদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন CARASS এর পরিচালক ও গ্রন্থটির সম্পাদক অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।
উল্লেখ্য, ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সার্বিক পরামর্শে সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সম্পাদনায় এ গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে। CARASS থেকে প্রকাশিত এটি প্রথম গ্রন্থ।
#
ফয়সল/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৮/১৫২০ ঘণ্টা