Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৭ মে ২০২৪

তথ্যবিবরণী ৭ মে ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৪৫৬৬

 

হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময় বাড়ানো হয়েছে

 

ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে ):

 

হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময় বাড়ানো হয়েছে। ১১ মে ২০২৪ এর মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে ভিসার কার্যক্রম।

 

হজযাত্রীদের ভিসার জন্য আবেদনে সময় নির্ধারিত ছিলো ২৯ এপ্রিল। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় ১ম দফায় ৭ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। কিন্তু ২৫৯টি বেসরকারি হজ এজেন্সির অনেকেই এই বর্ধিত সময়ের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম শেষ না করায় ২য় দফায় সময় বাড়ানো হয়েছে। এ বর্ধিত সময়ের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম শেষ করা না হলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকেই তার দায় নিতে হবে।

 

আজ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগ হতে সকল হজ এজেন্সিকে এ বিষয়ে পত্র দেওয়া হয়েছে।

 

#

 

আবুবকর/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১৩০ ঘণ্টা

 

 

 তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৪৫৬৫

 

জিসিসির সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের নবদিগন্ত উন্মোচন

 প্রথম সিনিয়র অফিশিয়াল মিটিং অনুষ্ঠিত

 

রিয়াদ (সৌদি আরব), ৭ মে:

 

বাংলাদেশ ও উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) এর মধ্যে অংশীদারিত্ব সংলাপ আয়োজনের উদ্দেশ্যে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের প্রথম বৈঠক রিয়াদস্হ জিসিসি সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন এবং জিসিসি প্রতিনিধিদলের সভাপতিত্ব করেন জিসিসি সচিবালয়ের সহকারী মহাসচিব (রাজনৈতিক) ড. আব্দুল আজিজ আল উয়াইশেগ। এছাড়া বৈঠকে জিসিসি সদস্য রাষ্ট্রসমূহ থেকে আগত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

 

বৈঠকে দুই পক্ষের মধ্যে আগামী পাঁচ বছরের (২০২৪-২৮) রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সুরক্ষা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতার খসড়া যৌথ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনায় ফিলিস্তিন পরিস্থিতি, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা, লোহিত সাগরে পরিবহণ নিরাপত্তা, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে করণীয়, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা, সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদ মোকাবিলা, সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে উভয় পক্ষের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।

 

খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা দূরীকরণ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সুরক্ষায় পররাষ্ট্র সচিব সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা পেশ করলে জিসিসি সদস্য রাষ্ট্রসমূহ ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন। পররাষ্ট্র সচিবের প্রস্তাবনার মধ্যে চুক্তিভিত্তিক কৃষি উৎপাদন, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে যুক্ত করা, নবায়নযোগ্য শক্তিতে সহযোগিতা এবং কর্মপরিকল্পনাতে অন্তর্ভুক্ত ক্ষেত্রসমূহে আলোচনা এগিয়ে নেবার জন্য কারিগরি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়।

 

আলোচনায় পররাষ্ট্র সচিব জানান-জিসিসি’র সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সাথে বাংলাদেশে ঐতিহাসিক ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এক নতুন উচ্চতায় উঠেছে। এই সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো বেগবান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি বাংলাদেশে অবিচল সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরো বলেন, জিসিসি অঞ্চলে প্রায় ৫০ লক্ষাধিক বাংলাদেশি প্রবাসী বসবাস করেন যারা বাংলাদেশ ও স্বাগতিক দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। তাদের সার্বিক সহযোগিতা ও কল্যাণের জন্য কাজ করায় তিনি জিসিসিভুক্ত দেশসমূহের সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

 

বৈঠকে আলোচিত খসড়া কর্মপরিকল্পনা পরবর্তী পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ের সভাতে চূড়ান্ত করার জন্য পেশ করা হবে। উল্লেখ্য, ১৮ নভেম্বর ২০২২ তারিখে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) এর সাথে বাংলাদেশের মন্ত্রী পর্যায়ের নিয়মিত অংশীদারিত্ব সংলাপ অনুষ্ঠানের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

 

#

 

আসাদুজ্জআমান/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১৪০ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৪৫৬৪

 

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও বৈশ্বিক অভিবাসন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইওএম কার্যকর ভূমিকা রাখবে

                                                                                                -- পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে ):

 

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন ২০২৪ প্রকাশ করেছে। ২০০০ সাল থেকে দ্বিবার্ষিকভাবে প্রকাশ হয়ে আসা এই আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন এবারই প্রথম তাদের সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভার বাইরে বাংলাদেশের রাজধানী থেকে প্রকাশিত হল।

 

আজ ঢাকার বনানীতে একটি হোটেলে আইওএম’র মহাপরিচালক এমি পোপ (Amy Pope) ‘ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট ২০২৪’ আন্তর্জাতিকভাবে প্রকাশ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য বাংলাদেশকে নির্বাচন করায় আইওএমকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১৩ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ দেশে দ্রুততম সময়ে প্রত্যাবাসন এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কক্সবাজারে তাদের আশ্রয় এলাকা মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান এবং জঙ্গিবাদের 'ব্রিডিং গ্রাউন্ড' হিসেবে ব্যবহার শুধু দেশেরই নয় আন্তর্জাতিক সংকটে রূপ নিচ্ছে।

ড. হাছান মাহ্‌মুদ এ সময় বাংলাদেশে আসা আইওএম মহাপরিচালককে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং এই সংকট নিরসনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি আইওএম বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশাপ্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজায় ইসরায়েলি হামলার কারণে উদ্বাস্তু হাজার হাজার মানুষের দুর্দশার কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণ হিসেবে যুক্ত হয়েছে, যা আমলে নেওয়া ও সমাধানের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করা এখন সময়ের দাবি।

আইওএম মহাপরিচালক এমি পোপ প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বে ২৮ কোটিরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের মধ্যে প্রায় ১২ কোটি ৭০ লাখ মানুষই যুদ্ধ-বিগ্রহ-সংঘাত ও নানা দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত। এটি দুশ্চিন্তার বিষয়।

পাশাপাশি তিনি অভিবাসনের ফলে বিশ্ব অর্থনীতির ধ্বনাত্মক দিকের কথাও তুলে ধরেন। এমি পোপ বলেন, ২০০০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স বা প্রবাসীদের প্রেরিত আয় ১২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৬৫০ শতাংশ বেড়ে ৮৩১ বিলিয়ন হয়েছে। এই আয় বাংলাদেশসহ বহু দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম চালিকাশক্তি।

প্রতিবেদনের গুরুত্ব সম্পর্কে এমি পোপ বলেন, ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্টের প্রমাণভিত্তিক তথ্য ও বিশ্লেষণগুলো মানুষের গমনাগমনের অন্তর্নিহিত রহস্য বুঝতে সাহায্য করে যা অনিশ্চিত বিশ্বে অবহিত সিদ্ধান্ত এবং কার্যকর নীতি প্রণয়নে অত্যন্ত জরুরি।

ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, মিশন প্রধান, কূটনীতিক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অভ্‌ ডেলিগেশন ও রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি (Charles Whiteley) এবং অস্ট্রেলিয়ার এক্টিং হাইকমিশনার নাদিয়া সিম্পসন (Nardia Simpson) এবং বাংলাদেশে আইওএম মিশন প্রধান আব্দুসসাত্তার ইসোয়েভ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

#

মাহমুদুল/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০৫০ ঘণ্টা

Handout                                                                                                           Number : 4563

 

Bangladesh and UAE Commits to Strengthening

Economic and Development Cooperation

 

Abu Dhabi (UAE) May 7:

 

The Finance Minister of Bangladesh Abul Hassan Mahmood Ali and the State Minister of Foreign Trade of the United Arab Emirates (UAE) Dr. Thani bin Ahmed Al Zeyoudi held a bilateral meeting in Abu Dhabi while they reaffirm their commitment to fostering deeper economic collaboration between the two nations. The meeting underscored the shared aspirations of both countries to bolstering trade, investment, and development cooperation for mutual prosperity. They stressed on exploring new and emerging areas of collaboration including Energy security with particular focus on renewable energy, management of sea ports, aviation, construction of infrastructure, artificial intelligence and other new technologies. Ali stressed on elevating the bilateral ties to the level of comprehensive economic partnership.  

 

Both the Ministers stressed on the need to activate the Joint Business Council and concluding the Comprehensive Economic Partnership Agreement (CEPA) in near future while both the countries are celebrating 50 years of establishment of the diplomatic relations. A high level delegation from the UAE side is expected to visit Bangladesh in the coming months to explore the investment opportunities in Bangladesh and to identify new areas of engagement for mutual benefit. 

 

Bangladesh side also requested for increased financing by ADFD (Abu Dhabi Fund for Development) and other UAE financial institutions. In addition to bilateral matters, the ministers also deliberated on regional and global economic challenges, affirming their commitment to multilateral cooperation and coordination to address shared concerns and promote sustainable development. Ambassador of Bangladesh to the UAE Abu Zafar and Additional Secretary of ERD Anwar Hossain accompanied the Finance Minister during the meeting while the UAE State minister was assisted by senior officials of his Ministry. 

 

It may be noted that Finance Minister is on a 3-day official visit to United Arab Emirates (UAE) at the invitation of the UAE government to attend the 13th AIM (Annual Investment Meeting) Congress-2024 scheduled in Abu Dhabi from 7-9 May 2024 with the theme Adapting to a Shifting Investment Landscape: Harnessing New Potential for Global Economic Development. This morning Minister attended the opening ceremony of the Congress and few other sessions.  

 

AIM Congress is an Initiative of the AIM Global Foundation, an Independent International Organization fully committed to empower the world’s economy by boosting effective Promotion Strategies and facilitating opportunities for economic productivity and expansion. More than 10 thousand participants from 175 countries including Ministers, industry leaders, policymakers, investors, entrepreneurs, and experts from around the world are gathering here to explore innovative strategies and opportunities for economic growth and prosperity.

 

#

Gazi/Shafi/Rafiqul/Salim/2024/20.50 Hrs.

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৪৫৬২

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আইওএম’র মহাপরিচালকের বৈঠক

 

ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে ):

 

আজ ঢাকার বনানীতে একটি হোটেলে আইওএম’র ‘ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট ২০২৪’ প্রকাশনা অনুষ্ঠানস্থলে পৃথক কক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদের সাথে সাক্ষাৎ করেন আইওএম’র মহাপরিচালক এমি পোপ (Amy Pope)।

 

বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করা ও বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি অভিবাসীদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইওএম’র কার্যকর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা।

 

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রুহুল আমিন, বাংলাদেশে আইওএম মিশন প্রধান আব্দুসসাত্তার ইসোয়েভ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

আকরাম/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০৪০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ৪৫৬১

বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে একত্রে কাজ করতে চায় যুক্তরাজ্য

                                                                           -বিমান মন্ত্রী

ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে একত্রে কাজ করতে চায় যুক্তরাজ্য।

আজ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যানি ম্যারি ট্রেভেলেইনের সাথে বৈঠকের পর গণমাধ্যমের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে মন্ত্রী এ কথা জানান।

মন্ত্রী আরো বলেন, এই মুহূর্তে প্রধানত কথা হয়েছে আমাদের এভিয়েশন সিকিউরিটি নিয়ে প্রশিক্ষণের বিষয়ে। এই প্রশিক্ষণের সাথে বিনিয়োগও হতে পারে, যুক্ত হতে পারে আধুনিক যন্ত্রপাতি। তবে ভবিষ্যতে এভিয়েশন খাতে কীভাবে বিনিয়োগ করবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বেসামরিক বিমান খাতে যৌথভাবে কী করা যায়, সেটাই ছিল আমাদের আলোচনার মূলকেন্দ্র। তারা আমাদের নতুন বিমানবন্দর দেখেছেন। তারা বুঝতে পেরেছেন যে এখানে অনেক কাজ হবে। ইউরোপে তারা এয়ারবাস বানায়, আমাদের বিমানের বহরে বোয়িং আছে। তারা আমাদের কাছে এয়ারবাস বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে। এখন পর্যন্ত যতটুকু জানি, বেশ ভালো প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। এরই মধ্যে বোয়িংও আমাদের ভালো প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলো এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। এ বিষয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে একটি মূল্যায়ন কমিটি করা হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য যেগুলো ভালো হবে; সেগুলো আমরা বিবেচনা করবো।

ফারুক খান বলেন, এয়ারবাস এরই মধ্যে অর্থনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলো ভালোভাবে পরীক্ষা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এবারই তারা একটি সমঝোতা স্মারকে সই করার কথা বলেছিল। কিন্তু আমরা বলেছি, আগে মূল্যায়ন শেষ হোক, তারপর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে। বাংলাদেশ ১০টির মতো এয়ারবাস কিনতে চায় বলেও জানান বিমান মন্ত্রী।

এছাড়া সিকিউরিটি, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়েও কথা হয়েছে। এসব খাতে তাদের বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে। ঢাকা ছাড়াও সিলেট ও কক্সবাজারে আমাদের দুটো বিমানবন্দরে উন্নয়ন কাজ চলমান আছে। তারা আরো জানতে পেরেছেন, সৈয়দপুরে একটা বিমান হাব তৈরির চেষ্টা করছি। এসব কারণে তারা বেসামরিক বিমান খাত নিয়ে অনেক আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

সাংবাদিকদের অপর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বোয়িংয়ের ৭৮৭ ড্রিমলাইনের বিষয়ে পত্রিকায় বিভিন্ন কথা এসেছে। আমরা এই মুহূর্তে বিষয়টিকে এতো বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি না। তবে বোয়িংয়ের সাথে কথা বলে কারিগরি বিষয়গুলো জানতে বলেছি। এই মুহূর্তে আমরা কোনো সমস্যা পাইনি। এই মুহূর্তে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই। তবে এ বিষয়ে আমরা সতর্ক ও জানার চেষ্টা করছি।

এ সময় সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যানি ম্যারি ট্রেভেলেইন বলেন, যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের সম্পর্ক ও অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রণালয়ের সাথে আমাদের নিরাপত্তা বিষয়ক অংশীদারিত্ব রয়েছে। আমরা এভিয়েশন খাতে দুই দেশের সম্পর্ক কিভাবে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তা আলোচনা করেছি ।

বাংলাদেশের সার্বিক উন্নতিতে আনন্দ প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে। সেক্ষেত্রে এভিয়েশন শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশ তার বিমানবন্দরগুলোর উন্নয়ন করছে। নতুন টার্মিনাল নির্মিত হয়েছে। এ কারণে আমরা বাংলাদেশের সাথে এভিয়েশন শিল্পের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের দক্ষতা শেয়ার করতে চাই।

#

তানভীর/শফি/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২০০০ ঘন্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৪৫৬০

 

পোশাক শিল্পের হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে উন্নীত হবে

                                               -- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে ):

 

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আমাদের পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাগণ অত্যন্ত চৌকস। তারা পোশাকশিল্পের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সফলতার সাথে মোকাবিলা করেছেন। আমাদের অভিভাবক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন খাতে আমরা অসামান্য অগ্রগতি সাধন করেছি। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের পোশাক শিল্প আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এই শিল্পের হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে উন্নীত হবে ইনশাআল্লাহ।

 

মন্ত্রী আজ আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি), ঢাকা-য় ‘১৬তম বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুয়েরেন, বিজিএমইএ’র সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) এবং বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

 

মন্ত্রী বলেন, পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এদেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশ আসে এই শিল্প থেকে। প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক এই শিল্পে কর্মরত আছেন, যার প্রায় ৬৫ শতাংশ নারী। এদেশের প্রায় ২ কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এদেশের জিডিপিতে পোশাক শিল্পের অবদান প্রায় ১১ শতাংশ। গত বছর বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। বলা যায়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তি এসেছে এদেশের পোশাক শিল্পের হাত ধরে। বিশ্বের প্রায় ১৬০টি দেশের মানুষ ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পোশাক পরিধান করেন।

 

পোশাক ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী অনুরোধ করে বলেন,  নিরাপদ ও কমপ্লায়েন্ট পোশাক প্রস্তুতকারক দেশ হিসেবে তারা বাংলাদেশকে সোর্সিং ডেস্টিনেশন হিসেবে বেছে নেবেন এবং পোশাকের যথাযথ মূল্য বা ফেয়ার প্রাইস দেবেন। আফ্রিকার কোনো নন-কমপ্লায়েন্ট দেশের পোশাকের তুলনায় আমাদের পোশাকের মূল্য বেশি হবে সেটি স্বাভাবিক। কারণ কর্মপরিবেশ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ও পরিবেশবান্ধব পোশাক তৈরিতে এদেশের উদ্যোক্তাগণ নিয়মিত বিনিয়োগ করছেন।

 

উল্লেখ্য, এবার দু’দিনব্যাপী বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো মেলায় বিশ্বের ১৩টি দেশ হতে ৬০টিরও বেশি কোম্পানি অংশগ্রহণ করছে।

 

#

 

মাহমুদুল/শফি/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৮৫০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৪৫৫৯

 

স্বাধীনতাবিরোধীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে

                                      -- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

গাজীপুর, ২৪ বৈশাখ (৭ মে ):

স্বাধীনতাবিরোধীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। সরকারবিরোধী দলগুলোর দিকে ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ওরা আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিরা আবারো স্বাধীনতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের মোকাবিলা করতে হবে।

আজ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের হায়দরাবাদ গ্রামে শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার এর ২০তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আহসানউল্লাহ মাস্টারের স্মৃতিচারণ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সেদিন নির্মমভাবে আহসানউল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হলো। তখন হত্যাকারীদের বিচার হলো না! কী কারণে বিচার হলো না?  আমার বোধগম্য নয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ এই হত্যাকারীদের শাস্তি চায়।

মন্ত্রী বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে। আল্লাহর রহমতে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে যায়। সেদিন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মানব দেওয়াল তৈরি করে নেত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়েছিল। সেই হামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ২৪টি তাজা প্রাণ চলে যায়। এই ছিল বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি।

শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের ছেলে এবং গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, টঙ্গী পৌরসভার সাবেক মেয়র আজমতউল্লাহ খান প্রমুখ। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকরর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

#

মাহমুদুল/শফি/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৮৫০ ঘণ্টা

 

Handout                                                                                                         Number : 4558

Sundarbans fire is completely extinguished

Dhaka, May 7:

Khulna Circle Forest Conservator Mihir Kumar Doe said the Sundarbans fire has been completely extinguished. He said that rain started at that place from 5:30 pm on Monday. Today, the members of the forest department and fire service arrived at the spot and started monitoring the fire site again through drones.

Hourly drone monitoring has been done since morning, but no sign of fire was found anywhere in the forest.  Besides, several teams visited the spot on foot inside the forest but found no sign of fire anywhere.  Inspection revealed that the fire site was substantially soaked with water as a result of rainfall.  Water has accumulated somewhere.  In the review of the overall situation, it has been confirmed that the fire in the forest area under the Amarbunia camp of Sundarbans has been extinguished.

On the other hand, the Chairman of the committee formed to assess the loss of biodiversity in the wake of the Sundarban fire said that the work of assessing the loss of forest resources and biodiversity in the wake of the fire and preparing recommendations about the next steps will be started soon.

#

 

 

Dipankar/Shafi/Mosharaf/Salim/2024/18.50 Hrs.

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ৪৫৫৭

প্রতিবন্ধীরা যাতে সমাজের সঙ্গে একসাথে চলতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার

                                                                                                            -সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রতিবন্ধীসহ যেসব জনগোষ্ঠী পিছিয়ে রয়েছে তারাও যেন সমাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একসাথে চলতে পারে সেসব বিষয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

আজ রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদের ব্যারিস্টার আব্দুল গনি খান ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এসময় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আরো বলেন, যে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী শিশু ও ব্যক্তিরা রয়েছেন, তারা যেন সক্ষম হয়ে চলতে পারেন সেজন্য বর্তমান সরকার তাদের পাশে রয়েছে। এসব মানুষ যেন সমাজের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে চলতে পারে সে বিষয়টি লক্ষ্য রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন।

দীপু মনি বলেন, সারা দেশে এসব মানুষের শিক্ষা, কর্মদক্ষতা বাড়ানো এবং প্রশিক্ষণসহ নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বাস্তবে যাতে একটা মানবিক সমাজ গড়ে তোলা যায় সেটিই মূল লক্ষ্য। সমাজের যেকোনো ধরনের পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোকে যেন চলমান উন্নয়নের মূলধারায় নিয়ে আসা যায় সেই বিষয়েও সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

#

 

জাকির/শফি/মোশারফ/শামীম/২০২৪/১৯৩৬ ঘন্টা 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ৪৫৫৬

সুন্দরবনের আগুন পুরোপুরি নিভে গিয়েছে


ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :

সুন্দরবনের আগুন পুরোপুরি নিভে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো। তিনি জানান, গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে উক্ত স্থানে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। আজ বন বিভাগ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যগণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন লাগার স্থান ড্রোনের মাধ্যমে পুনরায় মনিটরিং করা শুরু করেন।

সকাল থেকে প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং করা হলেও বনভূমির কোথাও কোনো আগুনের আলামত পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি বনের অভ্যন্তরে পায়ে হেঁটে একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেও কোথাও কোনো আগুনের আলামত পাননি। পরিদর্শনে দেখা যায়, আগুন লাগার স্থানে বৃষ্টিপাতের ফলে যথেষ্ট পরিমাণে পানিতে ভিজে গেছে। কোথাও কোথাও পানি জমে রয়েছে। সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনায় সুন্দরবনের আমরবুনিয়া ক্যাম্পের আওতাধীন বনাঞ্চলের আগুন নিভে গেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে ।

অপরদিকে, সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের প্রেক্ষিতে জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সভাপতি জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের প্রেক্ষিতে বনজসম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ প্রণয়নের কাজ অচিরেই শুরু করা হবে। 

#

দীপংকর/শফি/মোশারফ/শামীম/২০২৪/১৯৪৩ ঘন্টা 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৪৫৫৫

 

বিজিবি’র অভিযানে গত এপ্রিল মাসে ১৩৪ কোটি

৩৬ লক্ষাধিক টাকার চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ

 

ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে ):

 

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত এপ্রিল মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৩ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।

 

জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১২ কেজি ৪০ গ্রাম স্বর্ণ, ৭০৪ গ্রাম রূপা, ১ লাখ ৯০ হাজার ২২৪টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৫১৫টি ইমিটেশন গহনা, ৭ হাজার ৪১টি শাড়ি, ১০ হাজার ৩৬৭টি থ্রিপিস, শার্টপিস, চাদর, কম্বল, তৈরি পোশাক, ১ হাজার ৫ ঘনফুট কাঠ, ১ হাজার ৪৮ কেজি চা পাতা, ১২ হাজার ৯০০ কেজি কয়লা, ৩৮ কেজি ৪০০ গ্রাম কচ্ছপের হাড়, ১টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ২টি ট্রাক, ১টি কাভার্ড ভ্যান, ৩টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ৩টি মাহেন্দ্র ট্রাক্টর, ১৫টি নৌকা, ২৩টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৬৩টি মোটরসাইকেল এবং ১১টি বাইসাইকেল। 

 

উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৫টি পিস্তল, ১টি রাইফেল, ৪টি গান, ৪টি ম্যাগাজিন এবং ৪৯ রাউন্ড গুলি। 

 

          এছাড়াও গত মাসে বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৯ লাখ ৫ হাজার ৯৬৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১২ কেজি ৩১১ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৩২ হাজার ৭৯৩ কেজি হেরোইন, ১১ হাজার ৮৩ বোতল ফেনসিডিল, ২০ হাজার ৯০০ বোতল বিদেশি মদ, ৬০৩ লিটার বাংলা মদ,  ১ হাজার ৮৮ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ১১৬ কেজি গাঁজা, ৫১ হাজার ১৫০টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট, ইনজেকশন, ২ হাজার ৪৪২ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৬ দশমিক ৮৮০ কেজি কোকেন, ১ হাজার ৫২০ বোতল এমকেডিল, কফিডিল, ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭৯১ পিস বিভিন্ন প্রকার ঔষধ, ৮৯৯টি এ্যানেগ্রা, সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ১২ বোতল এলএসডি এবং ৫৬ হাজার ৬৬০টি অন্যান্য ট্যাবলেট।

 

সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫৫ জন চোরাচালানীকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক, ৫ জন ভারতীয় নাগরিক এবং ২৯৭ জন মিয়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

 

#

 

শরীফুল/শফি/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৮৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                         &

2024-05-07-15-56-20cd09d7a12642c84bb3e9c23ff6f911.docx