Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১০ নভেম্বর ২০২০

তথ্যবিবরণী ১০ নভেম্বর ২০২০

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর: ৪৩০৩

 

হিদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ৭০তম জন্মদিন পালিত

হত্যা মামলার রায় কার্যকরের জোর দাবি

 

গাজীপুর, ২৫ কার্তিক (১০ নভেম্বর) :  

 

          প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ৭০তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে আজ টঙ্গীসহ গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাছা থানা কৃষকলীগ আয়োজিত বোর্ড বাজারে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার রায় কার্যকর করার দাবি জানানো হয়।

 

          শাহ আলম তরুণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, মহানগর কৃষকলীগের সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন মহি ও কাজী ইলিয়াস হোসেন।

 

          এই উপলক্ষে আজ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে পরিবারের সদস্যরা আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল দুস্থ গরীব অসহায় মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করেন।

 

          শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদ ও জনকল্যাণ সমিতি আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের বৃদ্ধমাতা বেগম রোসমেতুননেসা, চাচা আলহাজ মোঃ ওসমান গণি, ছোট ভাই মোঃ নূরুল ইসলাম-সহ জনকল্যাণ সমিতির কর্মকর্তাবৃন্দ।

 

          বিকেলে গাছা জনসভায় বক্তারা শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের হত্যা মামলার রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, দেশের আন্দোলন, সংগ্রাম, অধিকার নিশ্চিতকরণে শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের নাম চির অক্ষয় হয়ে থাকবে। তারা বলেন, শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর মাটি ও মানুষের কল্যাণে যে অবদান রেখে গেছেন তা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে চিরদিন।

 

#

 

আরিফ/ফারহানা/রফিকুল/সেলিম/২০২০/২০২০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর: ৪৩০২

 

রিপোর্টাররা সংবাদমাধ্যমের প্রাণ

            -- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ২৫ কার্তিক (১০ নভেম্বর) :  

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সংবাদপত্র জাতির নেতৃত্ব দেয় আর রিপোর্টাররা সংবাদমাধ্যমের প্রাণ। প্রযুক্তির অভাবনীয় পরিবর্তণে সংবাদ প্রকাশের প্রচলিত মাধ্যমসমূহের পরিবর্তন হলেও সাংবাদিকদের প্রয়োজনীয়তা শেষ হবে না। তিনি বলেন, আগামীদিনের রূপান্তরের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল যুগের উপযোগী গণমাধ্যম প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সাংবাদিকদের জন্য প্রযুক্তির অবাধ সুযোগ তৈরি করা অপরিহার্য।

          মন্ত্রী আজ রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে মন্ত্রীর উদ্যোগে বিটিসিএল প্রদত্ত ফ্রি ওয়াই ফাই জোনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

          দেশে আশির দশকে কম্পিউটারে পত্রিকা এবং প্রথম অনলাইন বাংলা সংবাদ সংস্থা প্রকাশনার জনক  মোস্তাফা জব্বার বলেন, যাত্রার শুরুতে কাজ করতে করতে প্রযুক্তি শেখানো হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে প্রযুক্তি শিখিয়ে দিতে হয় না। তাদেরকে একটু গাইড করতে পারলেই তারা সহজেই প্রযুক্তি আয়ত্তে আনতে সক্ষম হয়।

          মন্ত্রী ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিকে উপযোগী প্রশিক্ষণ-সহ সম্ভাব্য সব ধরণের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করে বলেন, সাংবাদিক সমাজ হচ্ছে সবচেয়ে অগ্রসরমান সমাজ। তারা মানুষকে আলোর পথ দেখান, সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখেন। তাদেরকে সহযোগিতা করতে প্রত্যেককেই এগিয়ে আসতে হবে।

          মন্ত্রী বিটিসিএলকে জনবান্ধব এবং আধুনিকায়নে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, প্রযুক্তির সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিটিসিএলকে বহুমাত্রিক ডিজিটাল প্রযুক্তি সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার কার্যক্রম ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। মানুষ খুব সহসাই এর ব্যাপক সুফল পাবেন।

          বক্তারা রিপোর্টারদের জন্য ফ্রি ওয়াই ফাই জোন প্রতিষ্ঠাকে সাংবাদিকদের পেশাগত উৎকর্ষতার জন্য সরকারি সহযোগিতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেন। তারা আশির দশকে সাংবাদিকদের কম্পিউটার শেখানো এবং কম্পিউটারে পত্রিকা প্রকাশে মন্ত্রীর অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তারা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির জন্য একটি আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠায় মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

          ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে  এবং সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরীদর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুর মতিন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, আইএসপিএবি’র সভাপতি এমএ হাকিম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সহ-সভাপতি নজরুল কবির, বিটিসিএল এর জিএম মির মোর্শেদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

          পরে মন্ত্রী ৫০ এমবিপিএস ক্ষমতাসম্পন্ন বিটিসিএল এর ফ্রি ওয়াই ফাই জোন উদ্বোধন করেন।

#

শেফায়েত/ফারহানা/রফিকুল/সেলিম/২০২০/২০০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                         নম্বর :  ৪৩০১

যাত্রীসেবায় বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান

ঢাকা, ২৫ কার্তিক (১০ নভেম্বর) :

            নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেছেন, সরকার ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকার নৌপথে আধুনিক ও নান্দনিক জলযান নামানোর চিন্তা করছে। তিনি বলেন, এ খাতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে।

            প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর  সদরঘাটে ‘ওয়াটার বাস’ সার্ভিস পরিচালনা ও যাত্রীসেবা কার্যক্রম পরিদর্শনকালে  এসব কথা বলেন।

            এসময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান খাজা মিয়া এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন।

            খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেন, কারও জীবিকার ওপর হাত দিতে চাই না; জীবনটা নিরাপদ করতে চাই। যাত্রীসেবা দিতে বেসরকারি উদ্যোক্তারা এখানে কোনো ধরণের বিনিয়োগ করতে চাইলে সেটাকে সরকার স্বাগত জানাবে। তিনি বলেন, এখন শুধু জীবন ও জীবিকার জন্য এ নদীপথ ব্যবহার হচ্ছে। এর সাথে বিনোদনের জন্য এই নদীকে কাজে লাগাতে চাই।

            প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার যাত্রীসেবা আরো আপগ্রেড করার জন্য চেষ্টা করছে। এজন্য বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করছে। আমরা চাই সব ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসুক। বেসরকারি উদ্যোগের জন্য আজ যাত্রীসেবায় অনেক বিলাসবহুল জাহাজ এসেছে। আমরা চাই বাংলাদেশের বেসরকারি পর্যায়ের বিনিয়োগ আরো বিস্তৃতি লাভ করুক। সেজন্য সরকার তাদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেবে।

            প্রতিমন্ত্রী বলেন, যাত্রী পারাপার নিরাপদ করতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জনসচেতনতা। এ সচেতনতামূলক কাজগুলো আগে খুব দুর্বলভাবে হয়েছে সে কারণে অনেক ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সরকার সেজন্য বিআইডব্লিউটিএ’র মাধ্যমে মূল বন্দরের দু’পাশ থেকে ‘ওয়াটার বাস’ চালু করেছি। যেগুলো আগে ঢাকার চারপাশের নৌরুটে চলতো। এজন্য এখানে যারা ডিঙ্গি নৌকা চালায় তাদের সাথে কথা বলেছি। তাদের এ বিষয়ে সম্মতি রয়েছে। পাশাপাশি যাত্রী সাধারণেরও ভালো সাড়া পাচ্ছি। তিনি বলেন, সরকার এই ব্যবস্থাকে আরো আধুনিক করবে। তবে সহসাই (ওভারনাইট) কোনো কিছু করা যায় না। ধীরে ধীরে করছে এবং এটা কি রকম ফলপ্রসূ হচ্ছে সেজন্য আজ পরিদর্শনে এসেছি। আর সদরঘাটের সুবিধাগুলো আরো বেশি আধুনিকায়ন হচ্ছে, এটা চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিমন্ত্রী  বলেন, বুড়িগঙ্গার পাড়ের ডকইয়ার্ডগুলো সরাতে বিআইডব্লিউটিএ একটি খসড়া চূড়ান্ত করছে এবং শীঘ্্রই সে বিষয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

            প্রতিমন্ত্রী কেরানীগঞ্জের হাইস্পিড শিপইয়ার্ডে বিআইডব্লিউটিসির জন্য দু’টি ফেরির নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। ফেরি দু’টি আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে পাওয়া যাবে। মিডিয়াম সাইজের প্রতিটি ফেরিতে ১২টি করে বাস-ট্রাক এবং ১০০ জন কর যাত্রী পারাপার করা যাবে। ফেরি দু’টি নির্মাণে ব্যয় হবে ২১ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

            পরে প্রতিমন্ত্রী রাজধানীর দৈনিকবাংলা মোড়ে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) ভবনে বিএসসি’র ৩০৬তম বোর্ড সভায় সভাপতিত্ব করেন।

#

জাহাঙ্গীর/নাইচ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৯৫০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর: ৪৩০০

 

পূর্বাচলে বিশ্বমানের সর্বাধুনিক প্যাক হাউস ও অ্যাক্রেডিটেশন ল্যাব স্থাপন করা হবে

                                                                                       -- কৃষিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৫ কার্তিক (১০ নভেম্বর) :  

 

          কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক প্যাক হাউস স্থাপনের জন্য পূর্বাচলে  ২ একর জমি কৃষি মন্ত্রণালয়কে  দিয়েছেন। সেখানে  কৃষিপণ্যের  রপ্তানি বৃদ্ধিতে বিশ্বমানের সর্বাধুনিক প্যাক হাউজ এবং অ্যাক্রেডিটেশন ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হবে। এই প্যাক হাউস নির্মাণের জন্য দ্রুত উদ্যোগ ও প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। এটি নির্মিত হলে ইউরোপ,  মধ্যপ্রাচ্য-সহ বিদেশে এদেশের ফলমূল ও শাকসবজি রপ্তানি বহুগুণ বাড়বে এবং কৃষি দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

 

          মন্ত্রী আজ রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মিলনায়তনে হর্টিকালচার এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (হর্টেক্স) আয়োজিত কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে ‘আধুনিক প্যাক হাউজ সুবিধা এবং অ্যাক্রিডিটেড ল্যাবরেটরি নির্মাণ বিষয়ে পরামর্শ কর্মশালা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

          মন্ত্রী আরো বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও বাণিজ্যিকরণের দিকে যাচ্ছে। কৃষি অবশ্যই আধুনিক হবে। সেজন্য, একই সাথে কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার বাড়াতে হবে। এটির ক্ষেত্রে অন্তরায় হলো প্যাকেজিং এবং নিরাপদ ফুড হিসাবে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য সার্টিফিকেটের অভাব। পূর্বাচলে এই প্যাক হাউস ও ল্যাব স্থাপিত হলে এইসব অন্তরায় দূর হবে। এছাড়া, বিমানবন্দরের কাছে হওয়ায় পণ্য পরিবহণ সহজতর হবে।

 

          কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, হর্টেক্স ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মনজুরুল হান্নান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মোঃ হামিদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।  সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব  বিভাগের প্রফেসর ড. মোহা: কামরুল হাছান। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ, গবেষক, ফল ও সবজি রপ্তানিকারক এসোসিয়েশন, ভ্যালু চেইন এক্সপার্ট, ল্যাবরেটরি এক্সপার্ট ও বিজ্ঞানী প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

কামরুল/খালিদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/১৯২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ৪২৯৯

কোভিড পরবর্তী করণীয় বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ২৫ কার্তিক (১০ নভেম্বর) :   

          কোভিড পরবর্তী নতুন পৃথিবীতে নেতৃত্ব দিতে ১৬টি অ্যাকশন পয়েন্ট, ৯০টি অ্যাকশন এজেন্ডা চিহ্নিত করে একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। আজ কোভিড পরবর্তী করণীয় বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

          তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ‘কোভিড পরবর্তী রোডম্যাপ’ বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

          প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী প্রণীত এই রোডম্যাপে অংশীদারিত্বের জায়গা আরো সম্প্রসারণ করে সরকার, ইন্ডাস্ট্রি, অ্যাকাডেমিয়া এবং সুশীল সমাজকে একত্রিত করে একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর আত্মনির্ভরশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, গবেষক ও উদ্যোক্তাদের নিয়ে এই রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়।

          ‘ইলেকশন নয়, জেনারেশন’ এর দিকে দৃষ্টি দিয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, কোভিড পরবর্তী বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে আমরা অবশ্যই আত্মনির্ভরশীল হলেও আত্মকেন্দ্রিক হবো না। বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ বন্ধ করবো না। আর এই লক্ষ্য নিয়েই এই রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

          পলক বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় গত আট মাসে ১১ বছরে প্রস্তুতকৃত প্রযুক্তি অবকাঠামো মূল ভূমিকা পালন করেছে। অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য ও বিচারিক কার্যক্রম চলমান রাখা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, রোডম্যাপ অনুযায়ী এই পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য ডেটা প্রাইভেসি ও প্রোটেকশন অ্যান্ড লোকালাইজেশন আইন, স্টার্টআপ পলিসি, দক্ষতা তৈরির ম্যাপিং প্রণয়ন এবং তরুণ ও নারীদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিতে অন্তর্ভূক্তির জন্য প্রস্তাব করা করা হবে।

          আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো সংযুক্ত ছিলেন মন্ত্রিপরষদ বিভাগের সচিব কামাল হোসেন, এটুআই উপদেষ্টা আনির চৌধুরী, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, স্টার্টআপ বাংলাদেশের উপদেষ্টা টিনা জাবিন প্রমুখ। এলআইসিটি উপদেষ্টা সামি আহমেদ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

#

শহিদুল/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/১৮৪২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর :  ৪২৯৮
 
অনলাইনে ঋণের কিস্তি প্রদান বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
ও অগ্রণী ব্যাংকের মধ্যে কালেকশন সার্ভিস চুক্তি স্বাক্ষরিত
 
ঢাকা, ২৫ কার্তিক (১০ নভেম্বর) :
 
অনলাইনে ঋণের কিস্তি প্রদান বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের মধ্যে কালেকশন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এবং অগ্রণী ব্যাংক এর মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের গ্রাহকরা অগ্রণী ব্যাংকের অনলাইন প্লাটফর্ম ‘অগ্রণীদুয়ার’ ব্যবহার করে যে কোনো জায়গা থেকে যে কোনো সময় অনলাইনে ঋণের কিস্তি প্রদান করতে পারবেন। 
 
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। তিনি বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিন্তা ও মননের ফসল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী মন্ত্রণালয় প্রবাসীদের সেবা সহজলভ্য করতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। এই চুক্তির মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সেবা গ্রহীতারা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। 
এতে আরো বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান বেগম শামছুন নাহার, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শামস-উল ইসলাম এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব জাবিন। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মোঃ শামসুল আলম, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মোঃ হামিদুর রহমান, বোয়েসেল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম বাদল এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ শহীদুল আলম-সহ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  
#
রাশেদুজ্জামান/নাইচ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৮৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ৪২৯৭

 

বায়ুদূষণ কমাতে ব্যক্তিগত গাড়ির পরিবর্তে গণপরিবহনের ব্যবহার বাড়াতে হবে

                                                                                            -- পরিবেশ মন্ত্রী

ঢাকা, ২৫ কার্তিক (১০ নভেম্বর) :

          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ক্ষতিকর গ্যাসের নিঃসরণজনিত বায়ুদূষণ কমাতে ব্যক্তিগত গাড়ির পরিবর্তে গণপরিবহনের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে যানবাহন ও এর জ্বালানির মানের উন্নয়ন, মোটর গাড়ির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ এবং  পরিবহন কাঠামো ও এর সার্ভিসের উন্নয়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করতে হবে।

          আজ জাতিসংঘ ও জাতিসংঘ পরিবেশ-সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ‘ক্লাইমেট একশন এন্ড রেজিলেন্স ইন ট্রান্সপোর্ট’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের ২য় অধিবেশনে ঢাকাস্থ সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          মন্ত্রী বলেন, এশিয়া অঞ্চলে গৃহস্থালী যন্ত্রপাতি ও ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটর সাইকেলে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে গ্রীন হাউজ গ্যাসের নিঃসরণও আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ দেশই প্যারিস জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষর ও অনুমোদন করেছে। শিল্পবিপ্লব-পূর্ব সময়ের তুলনায় বর্তমানের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ‘ন্যাশনালী ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন’ পরিকল্পনা জমা দিয়েছে। এশিয়ার দুই প্রধান অর্থনীতি জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিউট্রালিটি ঘোষণা করেছে। সম্মিলিত পরিকল্পনায় সকলে একযোগে কাজ করলেই আমরা সফল হতে পারবো।

          এসময় অন্যান্যের মধ্যে ‘ক্লিন এয়ার এশিয়ার’ ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর গ্লিন্ডা বাথান,  স্টকহোম এনভাইরনমেন্টাল ইনস্টিটিউটের এফিলিয়েটেড রিসার্চার লাইলাই লি, ওয়ার্ল্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিটিজ এন্ড ট্রান্সপোর্ট বিভাগের ম্যানেজার চৈতন্য কানুরি, সিনো-কানাডিয়ান কোম্পানি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট রবার্ট আরলি, মঙ্গোলিয়ার পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিশ্বব্যাংক ও জাইকার প্রতিনিধি-সহ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

দীপংকর/খালিদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/১৮৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৪২৯৬

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাথে নবনিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

ঢাকা, ২৫ কার্তিক (১০ নভেম্বর) :   

          বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত Alexandra Berg Von Linde আজ সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

          প্রতিমন্ত্রী নবনিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে বলেন, একসাথে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, সুইডেনের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও এর ব্যবস্থাপনা খুবই উন্নত, বৈদ্যুতিক প্রযুক্তিও আধুনিক। এসব খাতে একসাথে কাজ করা যেতে পারে। বাংলাদেশ ক্লিন এনার্জি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে কাজ করছে। স্মার্ট গ্রিড, স্মার্ট ট্রান্সফরমার, স্মার্ট মিটার এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানির বিতরণ ও সঞ্চালন ব্যবস্থার আধুনিকায়নে সুইডেনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যেতে পারে।

          রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত সম্পর্কে সুইডেনের সরকার ও ব্যবসায়ীদের আগ্রহ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করা প্রয়োজন। এ সময় জ্বালানি খাত, সঞ্চালন ও বিতরণ, বর্জ্য থেকে জ্বালানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সাশ্রয়ী জ্বালানি নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনাকালে তিনি অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যোগাযোগ কার্যক্রম বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

          বিদ্যুৎ সচিব ড. সুলতান আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

#

আসলাম/খালিদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/১৮২৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ৪২৯৫

ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি দেশকে অন্ধকারে নিয়েছে, গত একযুগেও একই অপচেষ্টা

                                                                      -- তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২৫ কার্তিক (১০ নভেম্বর) :   

            তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে কিভাবে দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে গিয়েছিল, সেটা সবাই জানে। পরবর্তীতে জনগণ যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রায় দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে, তখনও তারা অব্যাহতভাবে গত ১২ বছর ধরে দেশকে অন্ধকারের দিকেই নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।’  

            আজ রাজধানীর মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবনে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও প্রদর্শক সমিতিদ্বয়ের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় শেষে শহিদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস ও আইন সম্পাদক আর এম ইউনুস রুবেল এসময় উপস্থিত ছিলেন।

            নূর হোসেন দিবসে বিএনপির অভিযোগ- ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে, নির্বাচন কমিশনকে দলীয়করণ করেছে’ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপির এসমস্ত গৎবাঁধা অভিযোগ আমরা গত এক যুগ ধরে শুনে আসছি। বিএনপি যে জনগণকে নিয়ে ভাবে না, সেটিরই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে- তাদের সমস্ত বক্তৃতা-বিবৃতি, আন্দোলন-সংগ্রাম সবই নির্বাচন কমিশন আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারকেন্দ্রিক। আর বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করেছে বিএনপি।’

            ‘বিএনপির জন্মটাই হয়েছে অগণতান্ত্রিকভাবে, সেনা ছাউনির মধ্যে, শতশত সেনাবাহিনীর অফিসার এবং জওয়ানের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি কিভাবে দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে গিয়েছিল তা সবাই জানে। তখন দেশ দুর্নীতিতে পর পর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন, চারবার একক, একবার যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন। হাওয়া ভবনে সমান্তরাল সরকার পরিচালনা আর খোয়াব ভবনে ছিল আমোদ-ফুর্তি। তখন বাংলা ভাই, শাইখ আব্দুর রহমান এই সমস্ত জঙ্গির উত্থান ঘটেছিল। দেশে আদালতে বোমা, রাজপথে বোমা, ৬৩টি জেলায় পাঁচশ’র বেশির স্থানে একযোগে বোমা -এগুলো বিএনপির আমলেই হয়েছিল।’

            তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (বিএনপি) গণতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য শুধু নির্বাচন বর্জনই নয়, নির্বাচন বানচালের জন্য পেট্রোল বোমা মেরে শত শত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে এবং নির্বাচনি কর্মকর্তাকে বোমা মেরে, পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সভ্য দুনিয়ার কোথাও এ ধরণের ঘটনা ঘটে নাই। সে কারণে কানাডার আদালতের রায়ের মধ্যে বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে বলা হয়েছে। সুতরাং আন্তর্জাতিকভাবে আদালতে সন্ত্রাসী দল হিসেবে স্বীকৃত বিএনপি’র মুখে এসমস্ত কথা শোভা পায় না।’ 

            এ সময় ১৯৮৭ সালের এই দিনে শহীদ নূর হোসেন স্মরণে ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে এক জীবন্ত পোস্টার হিসেবে সবসময় নূর হোসেনের নাম রক্তাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে, এই ক্ষেত্রে নূর হোসেনের অবদান চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে আসার পর থেকেই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। যে গণতন্ত্র বার বার জিয়াউর রহমান, এরশাদ সরকারের হাতে বন্দি ও ভূলুণ্ঠিত হয়েছে, সেই গণতন্ত্রকে তিনি ফিরিয়ে এনেছেন। 

            চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং হল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, গত মাসের ১৬ তারিখ থেকে সিনেমা হলগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। করোনাসহ নানাবিধ কারণে বিশেষ করে নতুন ছবি মুক্তি পায়নি, সে কারণে সিনেমা হলে আশানুরূপ দর্শক হচ্ছে না। এই পরিস্থিতি উত্তরণে নতুন সিনেমা মুক্তি দেয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ 

#

আকরাম/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২০/১৮০২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৪২৯৪

মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে ভূমি সচিব

ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ভূমি নিবন্ধন ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে

নামজারি কার্যক্রম সমন্বয়ে বছরে এক কোটির অধিক মানুষ উপকৃত হবেন

ঢাকা, ২৫ কার্তিক (১০ নভেম্বর) :

ভূমি সচিব মোঃ মাক্‌ছুদুর রহমান পাটওয়ারী বলেছেন, জমির নামজারি ও নিবন্ধন সেবা সমন্বয় কার্যক্রম দেশব্যাপী চালু হলে প্রতিবছর প্রদত্ত ২০ থেকে ২২ লাখ নামজারি সেবা আরো দ্রুততা ও দক্ষতার সাথে দেওয়া যাবে। ফলে বছরে সংশ্লিষ্ট এক কোটির অধিক মানুষ এ সেবার মাধ্যমে সরাসরি উপকৃত হবেন। মানুষের ভূমি-সংক্রান্ত হয়রানি কমবে।

আজ সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় ভূমি সচিব কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন।

এ সময় ভূমি সচিব জমির নামজারি ও নিবন্ধন সমন্বয় কার্যক্রমের সদয় অনুমোদন প্রদান করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীকে প্রযুক্তিমুখী মন্ত্রী আখ্যায়িত করে ভূমি সচিব এ সময় বলেন, ‘তাঁর নেতৃত্বে ভূমি মন্ত্রণালয় সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে’।

ভূমি সচিবের সভাপতিত্বে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অনুষ্ঠিত সভায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

          উল্লেখ্য, গতকাল ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বচ্ছতার সঙ্গে জমির নিবন্ধন করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে উক্ত জমির নামজারি ও রেকর্ড সংশোধন প্রক্রিয়ার ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এটুআই এর সহযোগিতায় ভূমি মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগের ফসল এ প্রক্রিয়ায় জমির নিবন্ধন শেষ হওয়ার আটদিনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নামজারি হয়ে যাবে । এখন দেশের ১৭টি

2020-11-10-20-40-0d985a6a759aa186a6820104748bf5d0.docx