তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২২
বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকারের উপহার
--- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর):
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকারের উপহার। পর্যায়ক্রমে সকল নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে এ বীমার আওতায় আনা হবে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা’ দাবী প্রদান উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রুহুল আমীন খান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল ও সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ হারুন-অর-রশীদ।
মন্ত্রী বলেন, চার ধরনের এনডিডি ব্যক্তির জীবনমান উন্নয়নে নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। এ ট্রাস্টের মাধ্যমে এনডিডি ব্যক্তিদের চিকিৎসা, শিক্ষা ও কেয়ার গিভারদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে তাঁদের জীবনকে সহজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমার পাইলটিংয়ের মাধ্যমে এর কার্যকারীতা প্রমাণিত হয়েছে। ভবিষ্যতে সকল এনডিডি ব্যক্তিকে এর আওতায় আনার জন্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ভাতার আওতায় আনার পাশাপাশি বীমা সুবিধায় অন্তর্ভুক্তিকরণের ফলে তাদের জীবযাত্রা সহজ হবে। পরে মন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের হাতে বীমা দাবির চেক হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এনডিডি ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্টের আওতায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এর সাথে সমন্বয়পূর্বক একটি স্বাস্থ্য বীমা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
১ মার্চ ২০২২ খ্রি. তারিখ জাতীয় বীমা দিবসে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা’ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এবং ঢাকা জেলার আওতাধীন উপজেলাসমূহে এক বছরের জন্য পাইলটিংভিত্তিক কার্যক্রম চালু হয়। বীমাকৃত ব্যক্তি/বীমাকৃত ব্যক্তির অভিভাবকের বার্ষিক আয় তিন লক্ষ টাকার কম হলে একশত পঞ্চাশ টাকা এবং বার্ষিক আয় তিন লাখ টাকার চেয়ে বেশি হলে ছয়শত টাকা হারে প্রিমিয়াম প্রদান করে বীমার আওতায় আসতে পারবে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫০৪ জন এনডিডি ব্যক্তিকে বীমা কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে তন্মধ্যে বীমা দাবি প্রদানের আবেদনের ভিত্তিতে ২০২ জন বীমাকৃত ব্যক্তির মধ্যে মোট নয় লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার আটশত আঠারো টাকার বীমা দাবি পরিশোধ করা হয়। বর্ণিত এ বীমা কার্যক্রমটির পাইলটিং শেষে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্ট ও সাধারণ বীমা কর্পোরেশন কর্তৃক মূল্যায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে একটি কার্যকর স্বাস্থ্য বীমা পরিকল্পনা প্রণয়নপূর্বক সেবা গ্রহীতাদের মাঝে বীমা চালুর পর্যায়ে রয়েছে।
#
জাকির/জামান/সঞ্জীব/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/২০৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২১
কৃষিতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ হয়েছে,
আরো ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন
-- কৃষিমন্ত্রী
রোম (ইটালি), ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) :
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনকে টেকসই করতে ও কৃষিখাতের রূপান্তরের জন্য জাতীয় কৃষি নীতি ২০১৮ বাস্তবায়ন চলছে। জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত এ খাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকারও (৪.৪ বিলিয়ন ডলার) বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিনিয়োগ ৩০ হাজার ২০০ কোটি টাকা (৩.২ বিলিয়ন ডলার), বাকিটা উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার। এছাড়া সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক ও ইফাদ পার্টনার প্রকল্পে ৫ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। তারপরও এই মুহূর্তে কৃষিখাতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন।
আজ ইটালির রোমে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বিশ্ব খাদ্য ফোরামের ‘বিনিয়োগ সম্মেলন’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও পরবর্তী সেশনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশের কৃষিখাতে বিনিয়োগ করতে উন্নত দেশ, আন্তর্জাতিক ব্যাংক, দাতা সংস্থা ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এসময় আহ্বান জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে এফএওর মহাপরিচালক কিউ দোংয়ু, চিফ ইকনমিস্ট টরেরো কুলেনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যাংক, দাতা সংস্থা ও বেসরকারি উদ্যোক্তা প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোঃ বখতিয়ার, রোমে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ মনিরুল ইসলাম, ইকনোমিক কাউন্সিলর মোঃ আল আমিন উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী কৃষিতে বিনিয়োগ উপস্থাপন বিষয়ক বাংলাদেশের নির্ধারিত সেশনে দেশের কৃষিখাতে বিনিয়োগ পরিকল্পনা, প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাবনা তুলে ধরেন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিকল্পনায় কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন ও সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণন, ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহার এই ৬টি খাতকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। এসব খাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের অবকাঠামো ও সরকারি সুযোগসুবিধার বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, দেশে বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে। বাংলাদেশে কৃষিতে বিনিয়োগের জন্য কৃষিখাত খুবই সম্ভাবনাময় এবং তা লাভজনক হবে ।
বিশেষ করে আলু, পেঁয়াজ, আম, কাঁঠাল, আনারস ও টমেটো-এসব পণ্যের জন্য কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন, সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনে দ্রুত বিনিয়োগ কামনা করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশে পেঁয়াজ, আম ও টমেটোসহ শাকসবজি সংরক্ষণের এখনো তেমন প্রযুক্তি নেই, কোল্ড স্টোরেজ নেই। এছাড়া, এসব পণ্য সংগ্রহোত্তর পর্যায়ে ২৫-৪০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়। সেজন্য, দ্রুত ২০০ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ১১০০টি মাল্টিপারপাস কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, কৃষিখাতের রূপান্তরে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে কাজ করছে এফএও। সেজন্য, এফএও ১৭-২০ অক্টোবর পর্যন্ত চারদিনব্যাপী ‘বিনিয়োগ সম্মেলন’ এর আয়োজন করেছে। এ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ৩২টি দেশ অংশগ্রহণ করছে, যাদের কৃষিখাতে বিদেশি বিনিয়োগের বেশি প্রয়োজন। এছাড়া, বিশ্বব্যাংক, আরব ব্যাংক, আন্তঃআমেরিকান উন্নয়ন ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ল্যাটিন আমেরিকা উন্নয়ন ব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যাংক, দাতা সংস্থা ও বেসরকারি উদ্যোক্তা প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছে।
#
কামরুল/জামান/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২০
আধুনিক প্রযুক্তির সহযোগিতায় নিরাপদ গ্রিড ও গ্রিডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে
--- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর):
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আধুনিক প্রযুক্তির সহযোগিতায় নিরাপদ গ্রিড ও গ্রিডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে গতানুগতিক পদ্ধতিতে তা মোকাবিলা করা দুরূহ। আধুনিক সিস্টেম ও প্রযুক্তির সাথে সমন্বয় করে পূর্বাভাস অনুসারে পরিকল্পনা সাজাতে হবে। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে স্মার্টলি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে টেকসই ব্যবস্থা গড়ে উঠবে না।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিদ্যুৎ United States Trade and Development Agency (USTDA) এর অর্থায়নে The Boston Consultant Group (BCG) কর্তৃক ÔSmart Grid Roadmap in Bangladesh Phase-2Õ-এর ওপর সমীক্ষা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে Smart Grid Experience Day শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দীর সুফল ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিদ্যৎ-জ্বালানির সার্বিক সিস্টেমকে আধুনিক ও সুসংহত করতেই হবে। আর স্মার্ট গ্রিড হবে সকল ব্যবস্থার মেরুদন্ড। বিদ্যুৎ সিস্টেমের বিশ্বস্ততা, দক্ষতা বৃদ্ধি, নিরাপত্তা ও টেকসই এবং রিয়েল টাইমে বিদ্যুৎ প্রবাহ নিশ্চিত করতে স্মার্ট গ্রিড তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে। বিভিন্ন উৎস হতে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। তার যথাযথ সিংক্রোনাইজ করতেও স্মার্ট গ্রিড প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে General Electric (GE), Microsoft, IBM I Oracle-এই চারটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে Art of the possible for a smart grid Innovation Demo Lab - উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, USTDA -এর দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র আঞ্চলিক প্রতিনিধি মেহনাজ আনসারি এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিসিজি’র সিনিয়র পার্টনার জারিফ মনির বক্তব্য রাখেন।
#
আসলাম/জামান/সঞ্জীব/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/১৮৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩১৯
আগামী একশ’ দিন রাষ্ট্র পাহারা দিন
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১ কার্তিক ( ১৭ অক্টোবর) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের অনুরোধ জানাই, সংস্কৃতি কর্মীদেরও অনুরোধ জানাই, আগামী একশ’ দিন রাষ্ট্র পাহারা দিতে হবে, কারণ বিএনপি দেশটাকে বিশ্ববেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চাচ্ছে। ক্ষমতা পাহারা দিতে হবে না, ক্ষমতার পাহারাদার জনগণ কিন্তু রাষ্ট্র পাহারা দিতে হবে।’
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দেশকে নিয়ে একটা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত বিশ্ববেনিয়াদের হাতে দেশটাকে তুলে দিতে চায়। তাদের লক্ষ্য ক্ষমতায় যাওয়া নয়, কারণ তারা জানে নির্বাচন হলে তাদের পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভবপর নয়। আর তারা যে পানিটা ঘোলা করার চেষ্টা করছে সেখানে তারা নয়, মাছ শিকার করবে অন্যরা, সেটিও তারা জানে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করা আর বিশ্ববেনিয়াদের হাতে দেশ ও দেশের সম্পদ তুলে দেওয়া। আর বিশ্ববেনিয়ারা শকুনের মতো তাকিয়ে আছে সুতরাং সেই সুযোগ দেওয়া যাবে না।’
ফিলিস্তিনের কথা উল্লেখ করে হাছান বলেন, ‘আমি অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করলাম, যে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন এলেই ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি করে, জামায়াত তো করেই, অথচ আজকে ফিলিস্তিনে পাখি শিকারের মতো মানুষ শিকার করা হচ্ছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, সে নিয়ে তাদের মুখে একটি কথা নাই। আপনারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, তারেক জিয়া নির্দেশ দেয় যে এটি নিয়ে কথা বলার প্রয়োজন নাই, বিশ্বমোড়লরা অখুশি হতে পারে। বিশ্বমোড়লরা অখুশি হতে পারে সে জন্য যারা একটি শব্দও উচ্চারণ করে না, তারা যদি সুযোগ পায় নিজেদের স্বার্থে দেশটাকেই বিক্রি করে দেবে। সুতরাং এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’
‘ফখরুল সাহেবদের অনুরোধ জানাবো, আপনারা বেগম জিয়া, তারেক রহমানের লাঠিয়াল বাহিনীর সর্দার হিসেবে কাজ করবেন না, রাজনীতিবিদ হিসেবে কাজ করুন, দেশের স্বার্থে কাজ করুন, তাহলে দেশ উপকৃত হবে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবকে বলব, অত উঁচু গলায় কথা বলবেন না। আপনি এমপি হওয়ার পরও আপনার দল আপনাকে শপথ নিতে দেয় নাই। আপনার দল এমপিদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাদের পদত্যাগ করিয়েছে, কোনো লাভ হয় নাই। সুতরাং আপনার দলের মূল নেতারা বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়া চায় না আপনারা নির্বাচনে এসে ভালো ফল করুন কিংবা এমপি হন।’
এ সময় বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন হাছান মাহ্মুদ। তিনি বলেন, ‘এটি আওয়ামী লীগ সরকার শেখ হাসিনার সরকার। কয়েকটা মানববন্ধন, নয়াপল্টনের সামনে বা কোথাও ২০-৩০ হাজার মানুষ জড়ো করে, সারাদেশ থেকে তাদের অগ্নিসন্ত্রাসীদের জড়ো করে কিছু গাড়িঘোড়া ভাংচুর করে, আগুন দিয়ে এ সরকার হটানো সম্ভব না। ২০১৩-১৪ সালে অনেক চেষ্টা করেছিলেন। বহু গাড়ি-ঘোড়া পুড়িয়েছিলেন, শেখ হাসিনাকে হটাতে পারেননি। দেশে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ নির্বাচন করার জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, যেখানে দেশের মানুষ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করবে। আশা করবো বিএনপিও সেখানে অংশগ্রহণ করবে এবং তারা তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করবে। রাজপথে দাঁড়িয়ে সরকারকে হুংকার দিবেন না।’
-২-
এর আগে শহিদ শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আমি পরম স্রষ্টার কাছে শহিদ শেখ রাসেলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের সাথে সবশেষে ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়। তখন ১৩-১৪ বছরের রমা, যিনি আজও বেঁচে আছেন, তাকে নিয়ে সিঁড়ির নিচে লুকিয়েছিল। সেখান থেকে টেনে-হিঁচড়ে বঙ্গমাতার লাশের কাছে নিয়ে গিয়ে শেখ রাসেলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অর্থাৎ খুনিরা বঙ্গবন্ধুর ছায়াকেও ভয় পেতো।’
‘শেখ রাসেল যদি বেঁচে থাকতেন আজকে জাতীয় জীবনে অনেক কিছু দিতে পারতেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুকন্যার সহযাত্রী হতে পারতেন, কিন্তু খুনিরা তাকেও রেহাই দেয়নি’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কারবালার প্রান্তরে যখন ইমাম হোসেনকে জবাই করে হত্যা করা হয় তখন নারী ও শিশুদের সেই হত্যাকাণ্ড থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নারী ও শিশু নির্বিচারে এমনকি অন্তঃসত্ত্বা মাকেও হত্যা করা হয়েছিল। এটি মানব ইতিহাসে একটি জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। শুধু হত্যাকারীদের বিচার যথেষ্ট নয়। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে জিয়াউর রহমানসহ কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচিত হয়নি। সেই মুখোশ উন্মোচিত হওয়া প্রয়োজন।’
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি কণ্ঠশিল্পী মোঃ রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সঞ্চালনায় সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী ড. অরূপ রতন চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট নেতা কণ্ঠশিল্পী এসডি রুবেল, সাংবাদিক রেদোয়ান খন্দকার, মুহাম্মদ রোকন উদ্দিন পাঠান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এইচ এম মেহেদী হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
#
আকরাম/জামান/সঞ্জীব/রফিকুল/রেজাউল/২০২৩/১৮২৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩১৮
১৮ অক্টোবর দেশে-বিদেশে পালিত হতে যাচ্ছে ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২৩’
ঢাকা, ১ কার্তিক, (১৭ অক্টোবর):
আগামীকাল ১৮ অক্টোবর তৃতীয় বারের মতো জাতীয়ভাবে নানা আয়োজনে একযোগে সারা দেশে এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে পালিত হবে ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২৩’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শেখ রাসেল দিবস-২০২৩ এর উদ্বোধন করবেন এবং শেখ রাসেল পদক-২০২৩ ও স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার প্রদান করবেন।
আজ আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ তথ্য জানান।
দিবসটি উপলক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ১৮ অক্টোবর সকালে স্ব স্ব মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা/প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা/প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। সকালে আইসিটি অধিদপ্তর এবং শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে। আইসিটি অধিদপ্তর এবং শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে সকলের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র্যালি আয়োজন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে শেখ রাসেল অ্যানিমেশন ল্যাব, শেখ রাসেল স্কুল অভ্ ফিউচারের পাইথন প্রোগ্রামিং প্রশিক্ষণ, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার, ১৩০টি উপজেলার ২৫,১২৫ জন নারীর জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং স্মার্ট ৩৩৩, স্মার্ট প্রেগনেন্সি মনিটরিং সিস্টেম, স্মার্টই-ট্রেড লাইসেন্স, শিক্ষার্থীদের সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাপ ‘নৈপুণ্য’, সমন্বিত ই-টোলকালেকশন সেবা ‘একপাস’, কিশোর-কিশোরীদের সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে টোল ফ্রি হেল্প লাইন সেবা ১৩২১৯ এবং ইউনিভার্সিটি ইনোভেশন হাবের উদ্বোধন করবেন। এছাড়া ১০ হাজার টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, রোবটিক্স কর্নার, ৫৫৫টি জয় ঝঊঞ ঈবহঃবৎ, উড়ওঈঞ # ২০৪১ ঝগঅজঞ ঞড়বিৎ এবং ইউনিভার্সিটি ইনোভেশন হাবের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
অন্যদিকে, দেশের বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শেখ রাসেল-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, র্যালী আয়োজন করা হয়েছে।
চলমান পাতা - ২
--- ২ ---
এছাড়াও জাতীয়ভাবে প্রদান করা হবে- শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ক্রীড়া, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু-কিশোর, শিল্পকলা ও সংস্কৃতি, খুদে প্রোগ্রামার, খুদে উদ্ভাবক, খুদে লেখক, ডিজিটাল স্কুল, ডিজিটাল এক্সিলেন্স মোট ১০টি ক্ষেত্রে ১১জন শিশু-কিশোরকে শেখ রাসেল পদক ২০২৩ প্রদান করা হবে। পদক হিসেবে দেয়া হবে ১ ভরি ওজনের স্বর্ণ। অনুষ্ঠানে স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২৩ প্রদান করা হবে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সাধারণ এবং কারিগরি ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে ১২টি পুরস্কার এবং জেলা পর্যায়ে দেয়া হবে আরও ১২টি পুরস্কার। শেখ রাসেল অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা ২০২৩ এ অংশগ্রহণকারী ১০জন বিজয়ীকে পুরস্কার হিসেবে কোর আই-৭, ১১ জেনেরেশনের ল্যাপটপ প্রদান করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কেউ যেন আর প্রতিষ্ঠিত করতে না পারে, সেজন্য শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু শেখ রাসেলকে হত্যা করেও রাসেলের আদর্শ ও স্মৃতি মুছে ফেলতে পারেনি। রাসেল সকলের স্মৃতিতে অমর হয়ে আছেন এবং সকলের স্মৃতিতে থাকবেন দুর্জয় হয়ে। তিনি বলেন, শেখ রাসেলের নির্মল শৈশব, নির্ভীক, দুর্জয় এই প্রতিপাদ্যটির মাধ্যমে তাঁর ব্যক্তিত্ব আমরা তুলে ধরার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের শিশু ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ করব।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোস্তাফা কামাল, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার জাহাঙ্গীর হোসেন রনি।
পরে প্রতিমন্ত্রী শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ এর লোগো উন্মোচন করেন।
#
শহিদুল/জামান/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/১৮৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩১৭
টেকসই ফার্নিচার শিল্পের জন্য দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে
--- বাণিজ্য মন্ত্রী
ঢাকা, ১ কার্তিক, (১৭ অক্টোবর):
বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ফার্নিচার শিল্পসহ যেকোনো টেকসই শিল্পের উন্নয়নের জন্য দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার বিকল্প নেই। প্রশিক্ষিত জনবলের তৈরি দেশীয় ফার্নিচার বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক অর্জন করা সম্ভব বলেও এসময় জানান মন্ত্রী।
আজ রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি আয়োজিত ‘১৮তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা’-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ফার্নিচার খাত খুব অল্প সময়ের মধ্যেই একটি শক্তিশালী খাতে রূপান্তরিত হয়েছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এখন বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশের ফার্নিচারের যে কোয়ালিটি, ডিজাইন, আধুনিকতা তা বিশ্বের যেকোনো দেশেরই নজর কাড়বে এবং নিতে আগ্রহী হবে। তিনি বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পখাত আজকে যে অবস্থানে এসেছে এটিও একদিনে হয়নি। ফার্নিচার শিল্পের যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে তাতে খুব শিগগিরই রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ফার্নিচার তৈরিতে যেসব মেটারিয়ালস আমদানি করতে হয় সেগুলো দেশেই উৎপাদনে উদ্যোক্তাকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।
টিপু মুনশি বলেন, অনেক লড়াই-আন্দোলন-সংগ্রাম করে আমাদের এই প্রিয় দেশ স্বাধীন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে দেশ আজ বিশ্ববাসীর নিকট উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে পাকিস্তানসহ পার্শ্ববর্তী অনেক দেশকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেছে। তিনি বলেন, দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার যে লক্ষ্যমাত্রা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠিক করেছেন তা এর আগেই অর্জিত হবে।
বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির চেয়ারম্যান সেলিম এইচ রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান ও সিইও এ এইচ এম আহসান, এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং বাংলাদেশ ফার্নিচার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কে এম আকতারুজ্জামান ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক।
উল্লেখ্য, ৫ দিনব্যাপী দেশীয় ফার্নিচার শিল্পের সর্ববৃহৎ এই মেলা চলবে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত। মেলায় ৩০টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১৮৫টি স্টল রয়েছে।
#
হায়দার/জামান/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/১৭৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩১৬
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১ কার্তিক ( ১৭ অক্টোবর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। এ সময় ৫৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫১০ জন।
#
সুলতানা/জামান/রফিকুল/রেজাউল/২০২৩/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩১৪
গ্লোবাল মেরিটাইম ইন্ডিয়া সামিট এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আজ ভারতের মুম্বাইতে ‘থার্ড এডিশন অফ গ্লোবাল মেরিটাইম ইন্ডিয়া সামিট ২০২৩’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন।
সম্মেলনে মেরিটাইম সেক্টরের বিভিন্ন দিকের ওপর গুরুত্ব আরোপের পাশাপাশি এ সেক্টরের উত্তম চর্চার প্রসার, বৈশ্বিক মেরিটাইম শিল্প, নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী ও অন্যান্য অংশীজনের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। টেকসই মেরিটাইম খাত, গবেষণা ও উন্নয়ন, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি, পর্যটন, মেরিটাইম ক্লাস্টার্স, দেশীয় জাহাজ নির্মাণ ও মেরামত, অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় শিপিং, নৌ-নিরাপত্তা, পেশাগত মেরিটাইম সেবাসহ উক্ত খাতে অর্থায়ন, বিমা, সালিশী প্রভৃতি এ সম্মেলনের অন্যতম প্রধান বিষয়বস্তু। সম্মেলনে অংশগ্রহণের ফলে বাংলাদেশ-ভারতের মেরিটাইম সেক্টরে সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে। মেরিটাইম সেক্টরের পারস্পরিক জ্ঞান বিনিময়, দু'দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা এবং অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করার জন্য এই সম্মেলন সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা এ সম্মেলনে অংশ নেন।
#
জাহাঙ্গীর/শাম্মী/সাঈদা/কামাল/২০২৩/১৩০০
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩১৩
শেখ রাসেল দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আমি তাকে গভীর ভালবাসা ও পরম মমতায় স্মরণ করি এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
শিশু রাসেলের জীবন সম্পর্কে শিশু-কিশোরদের কাছে তুলে ধরতে প্রতি বছর তার জন্মদিনকে ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে তৃতীয়বারের মতো পালিত ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২৩’ এর প্রতিপাদ্য ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বাসায় জন্মগ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অত্যন্ত প্রিয় লেখক ছিলেন খ্যাতনামা দার্শনিক ও নোবেলজয়ী লেখক বার্ট্রান্ড রাসেল। জাতির পিতা বার্ট্রান্ড রাসেলের বই পড়ে বঙ্গমাতাকে ব্যাখ্যা করে শোনাতেন। তাই বঙ্গবন্ধু আর বঙ্গমাতা দু'জনে মিলে শখ করে তাঁদের আদরের ছোট ছেলের নাম রেখেছিলেন ‘রাসেল’। রাসেল নামটি শুনলেই প্রথমে যে ছবিটি সামনে আসে তা হলো- হাস্যোজ্জ্বল, প্রাণচঞ্চল এক ছোট্ট শিশুর দুরন্তপনা; যে শিশুর চোখগুলো হাসি-আনন্দে ভরপুর। মাথা ভর্তি অগোছালো চুলের সুন্দর একটি মুখাবয়ব- যে মুখাবয়ব ভালবাসা ও মায়ায় মাখা।
এই কোমলমতি শিশু রাসেলকে আমরা হারিয়েছি ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ইতিহাসের এক নির্মম, জঘন্য ও বিভীষিকাময় রাতে। স্বাধীনতাবিরোধী, ষড়যন্ত্রকারী ও বিশ্বাসঘাতকদের হাতে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিত