Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৫ জুলাই ২০২০

তথ্যবিবরণী ১৫ জুলাই ২০২০

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :  ২৫৯১

কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাসসংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই) :

          ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৬৪ জেলায় ইতোমধ্যে ২ লাখ ১১ হাজার ১৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া শিশু খাদ্য-সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ১২২ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।

 ‌         স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী আজ দেশে নতুন করে আরো ৩ হাজার ৫৩৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫৯০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ জন-সহ এ পর্যন্ত ২ হাজার ৪৫৭ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৫ হাজার ২৩ জন।

          সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান এবং এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সেবা প্রদান করা যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।

#

 

তাসমীন/পাশা/মোশারফ/রেজাউল/২০২০/২১৩৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ২৫৯০

একুশে পদক জয়ী ভাষাসৈনিক ডা. সাঈদ হায়দারের মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক

ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই) :

          একুশের চেতনা পরিষদের সহ-সভাপতি, প্রথম শহীদ মিনারের অন্যতম সহযোগী নকশাবিদ, একুশে পদক জয়ী ভাষাসৈনিক ডা. সাঈদ হায়দারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। 

          প্রতিমন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

          শোকবার্তায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী জানান, ডা. সাঈদ হায়দার ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ২৩শে ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ছাত্ররা প্রথম শহীদ মিনার গড়ে তোলেন আর এর নকশাকার বদরুল আলমকে সহযোগিতা করেছিলেন সাঈদ হায়দার, যা ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধ্বংস করে দেয়। ডা. সাঈদ হায়দারের মৃত্যুতে দেশ একজন প্রকৃত নিবেদিতপ্রাণ ভাষা সংগ্রামীকে হারালো যা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। ভাষা আন্দোলন এবং মাতৃভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান জাতি আজীবন কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করবে।

#

ফয়সল/পাশা/মোশারফ/রেজাউল/২০২০/২১১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ২৫৮৯

সরকার তরুণ ও যুব সমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে

রূপান্তর করে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা প্রদানে বদ্ধপরিকর

                                     -- যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই) :

          ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস’ উপলক্ষে ‘অদম্য যুবদের জন্য দক্ষতা- SkILLS for a resilient YOUTH’ - এ প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর আজ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক অনলাইনভিত্তিক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আখতার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আখতারুজ জামান খান কবির (অতিরিক্ত সচিব)। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ৮টি বিভাগীয় জেলা ও অন্যান্য ২০টি জেলার উপপরিচালক/ কো-অর্ডিনেটর/ ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর, ৬৪ জেলা হতে যুব সংগঠক, সাবেক ও  বর্তমান প্রশিক্ষণার্থীগণ এ আলোচনা সভায়  অনলাইনে যুক্ত হন।

          বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, এ মহান নেতার জন্ম শতবার্ষিকীতে কেউ কর্মহীন থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন এর অভীষ্ট নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্জনে সরকার বদ্ধপরিকর।  রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন দেশের জন্য এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য দেশের সকল কর্মক্ষম মানুষ বিশেষ করে যুবসমাজকে দক্ষ করে গড়ে তোলা প্রয়োজন। রূপকল্প ও টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট অর্জনের লক্ষ্যে প্রযুক্তি নির্ভর  শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে যুবসমাজের অংশগ্রহণের কোন বিকল্প নেই। এজন্য দেশের যুবসমাজকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার তরুণ ও যুব সমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা প্রদানে বদ্ধপরিকর।  বর্তমান সরকারের মূল অঙ্গীকার “তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি”। তারুণ্যের শক্তিকে দক্ষ মানব সম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে সরকার দেশের প্রতিটি উপজেলায় ‘যুব প্রশিক্ষণ-বিনোদন’ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

          বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আখতার হোসেন বলেন-যবুসমাজই দেশের প্রাণশক্তি। তিনি বলেন, বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস ২০২০ একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কোভিড-১৯ মহামারী এবং লকডাউন ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী দক্ষতা বিকাশের ধারাবাহিকতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

          সভাপতির বক্তব্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আখতারুজ জামান খান কবির (অতিরিক্ত সচিব) বলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যুবদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, যুবদের দক্ষতা বৃদ্ধিকল্পে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ৬৪টি জেলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ৬৪টি আবাসিক যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ৪৯৬টি উপজেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে ৪১টি প্রাতিষ্ঠানিক ও ৪২টি অপ্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে নিয়মিত যুবদের দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ পর্যন্ত ৬১ লাখ ২৪ হাজার ৫৭৮ জন যুবকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে, এদের মধ্যে ২২ লাখ ৭৯ হাজার ৭৪৭ জন আত্মকর্মী এবং ২৫ হাজার ৩৫৭ জন উদ্যোক্তায় পরিণত হয়েছে।

#

আরিফ/পাশা/মোশারফ/রেজাউল/২০২০/২০৫২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ২৫৮৮

 ‘বিমানকে এক কোটি টাকা জরিমানা করেছে সৌদি আরব’

সংবাদটির প্রতিবাদ করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ

ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই) :

          “বিমান-কে এক কোটি টাকা জরিমানা করেছে সৌদি আরব” শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে গত কয়েক দিন ধরে সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রকৃত বিষয় হলো, যে ঘটনার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-কে উক্ত পরিমাণ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল তা ২০১৭ সাল ও তার নিকটবর্তী সময়ে সংঘটিত পুরাতন ঘটনা। যে বা যাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলার কারণে এই জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে হয়েছিল ঐ ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিমানের বর্তমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নজরে বিষয়টি আসা মাত্রই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

          সৌদি আরবের জেদ্দা হেলথ ডিপার্টমেন্ট এর নিয়ম অনুযায়ী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-জেদ্দা- ঢাকা রুটে পরিচালিত ফ্লাইটে "ওয়ান শট স্প্রে" নামক একটি জীবাণুনাশক দিতে হয়।  যা বিমানের ফ্লাইটেও যথাযথভাবে দেয়া হয়। নির্ধারিত এই জীবাণুনাশক দেয়ার পর তার খালি টিউবগুলো নিয়ম অনুযায়ী জেদ্দা হেলথ ডিপার্টমেন্টের কাছে পরিদর্শনের জন্য উপস্থাপন করার কথা ছিল। কিন্তু সেই সময় বিমানের ঐ ফ্লাইটে কর্মরত কারো কারো অবহেলার দরুণ তা যথাযথভাবে ও নির্দিষ্ট সংখ্যায় উপস্থাপন না করার কারণে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ মার্চ ২০১৭ ও তার নিকটবর্তী সময়ে এরকম বেশ কয়েকটি ঘটনায় ওই জরিমানা আরোপ করে।  উল্লেখ্য, জরিমানার টাকা ঐ সময়েই পরিশোধ করা হয়েছে। বিষয়টি তখন তদন্ত কার্যক্রম এর বাইরে রয়ে গিয়েছিল।

          বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বর্তমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব নেয়ার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স থেকে বিদ্যমান সকল অনিয়ম দূর করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে। তারই অংশ হিসেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে কর্মরত কারো অবহেলার কারণে ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় অর্থ ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী এধরনের কর্মকাণ্ড রোধ করতে এই তদন্ত আবশ্যক। এছাড়াও পূর্বের বা বর্তমানের যেকোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে বিমান কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। বিমান কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয় এ রকম কাজের জন্য প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে শাস্তির মুখোমুখি করলে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড রোধ করা সম্ভব হবে। 

#

তানভীর/পাশা/মোশারফ/রেজাউল/২০২০/২০১০ ঘণ্টা

তথ্যববিরণী                                                                                   নম্বর : ২৫৮৭
জনগণের জীবন ও জীবিকার সুরক্ষাসহ স্বাস্থ্য সংকট হ্রাসে ভূমিকা রাখতে পারে ‘ড্যাটা বিপ্লব’ 
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত প্যানেল আলোচনায় বক্তাগণ
 
নউিইর্য়ক, ১৫ জুলাই:
প্রমাণভিত্তিক ড্যাটা শুধু কোভিড-১৯ জনিত স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলার জন্যই নয় এটি দরিদ্র্য ও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের সামাজিক সুরক্ষা, নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা এবং স্থানীয় ও প্রবাস ফেরত কর্মীদের জীবিকার সংস্থান নিশ্চিতের জন্যও এটি প্রয়োজন। গত ১৩ জুলাই “ড্যাটা বিপ্লবের মাধ্যমে কোভিড পরবর্তী পুনরুদ্ধার কার্যক্রম ত্বরান্বিতকরণ” শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সাইড ইভেন্টের প্যানেল আলোচনায় এসকল কথা উল্লেখ করেন আলোচকগণ।
জীবন ও জীবিকার ভারসাম্যের জন্য কীভাবে ড্যাটা ব্যবহার করা যেতে পারে সে সম্পর্কে কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সরকারি, বিষয় বিশেষজ্ঞ, একাডেমিয়া এবং বেসরকারি খাত থেকে নির্বাচিত প্যানেলিস্টগণ নিয়ে জাতিসংঘের চলমান উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরাম উপলক্ষে উক্ত ভার্চুয়াল সাইড ইভেন্টের আয়োজন করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এটুআই এই আয়োজনটির বাস্তবায়ন করে। সোমালিয়া, জাতিসংঘের সংস্থাসমূহ এবং ফিউচার অভ্ ওয়ার্ক ল্যাব বাংলাদেশ ছিল ইভেন্টের সহযোগী। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
উদ্বোধনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, “যেহেতু আমরা একটি মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করছি তাই বৈজ্ঞানিক প্রমাণপত্র ও তথ্যাদির গুরুত্ব আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন অনেক বেশি, তাই ‘ড্যাটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ’ -এখন কী ঘটছে শুধু সে জন্যই নয়, বাস্তবভিত্তিক ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ এবং পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রেও অত্যাবশ্যক”। কোভিড-১৯ এর ফলে সারাবিশ্ব যেসকল বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে তা উল্লেখ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জসমূহের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “অভিবাসী কর্মী প্রেরণকারী অন্যান্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশও আজ কোভিড মহামারিজনিত কারণে অভিবাসী কর্মীদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এ কারণে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দেশের ন্যায় আমাদের অর্থনীতি বড় হুমকির মুখে পড়েছে। তেলের দাম হ্রাস ও কোভিড মহামারির দ্বৈত প্রভাবে অনেক কর্মী বেকার হয়ে পড়েছে। তাই ড্যাটা সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ ও এর কার্যকর ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনকারী এসকল প্রবাসী কর্মীগণের পুনঃকর্মসংস্থান ব্যবস্থা করতে পারি; এবং তাদেরকে টেকসই উপায়ে পুনরায় কর্মে পুনর্বাসিত করতে সাহায্য করতে পারি”। 
এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনির চৌধুরী ইভেন্টটিতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। কোভিড-১৯ সংক্রমণের হট জোন চিহ্নিতকরণ, টেলি-হেলথ সেবা প্রণয়ন, নগদ অর্থসহায়তা প্রেরণের জন্য পাঁচ লাখেরও বেশি জনগণের একটি ডাটাবেজ তৈরি করা, কোভিড পরবর্তী দক্ষতা ও কর্মসংস্থান ব্যবস্থাপনা এবং কার্যকর নীতি ব্যবস্থাপনার জন্য সরকারের সমগ্র ড্যাটা একত্রীকরণ ইত্যাদি বিষয়ে উপাত্ত ব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের উত্তম অনুশীলনসমূহ ইভেন্টটিতে তুলে ধরেন এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজর। এই মাহামারি মোকাবিলা এবং এর থেকে পুনরুদ্ধারে দক্ষিণের উন্নয়নশীল দেশসমূহ গৃহীত প্রচেষ্টায় জাতিসংঘের দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা বিষয়ক কার্যালয় (ইউএনওএসএসসি) যে ভূমিকা রাখছে তা উল্লেখ করেন ইউএনওএসএসসি এর এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রতিনিধি ড. ডেনিস নকালা।
কি-নোট বক্তব্যের পরেই অনুষ্ঠিত হয় সমৃদ্ধ প্যানেল আলোচনা। প্যানেলিস্টগণের মধ্যে সোমালিয়ার প্রতিনিধি আবদিরাহিম মুদে কোভিড পরবর্তী দক্ষতা উন্নয়ন নিশ্চিতে ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণসহ তাঁর দেশের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। মহামারি পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে কাউকেই পিছনে ফেলে রাখা চলবে না মর্মে মন্তব্য প্রদান করেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির প্রফেসর আহমেদ মুশফিক মোবারক। ইভেন্টটির অন্য প্যানেলিস্টগণ হলেন ইউএনডিপির রবার্ট অপ, ইউএন ডেসার ভিনসিনজো অ্যাকুয়ারো, ইউএন এসক্যাপ এর মিজ জেম্মা ভ্যান হ্যালডিরেন, আইএলও এর নিয়াল ও হিগিনস্ এবং দ্য কমন্স প্রজেক্ট এর পল মেয়ের, হার্ভার্ড পাবলিক হেলথ প্রফেসর মিজ্ ক্যরোলিন বুকি। তাঁরা ড্যাটা বিপ্লবের বিভিন্ন উপাদান এবং এর সময়োপযোগিতা, ফলাফলের মূল্যায়ন ও অগ্রগতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ড্যাটার ব্যবহার, অর্থবহ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষ করে কোভিড এর প্রেক্ষাপটে ড্যাটার ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম ইভেন্টটিতে সমাপনী বক্তব্য দেন। ড্যাটা সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা বিনিময়ে উপকারিতার উপর তিনি আলোকপাত করেন। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি ‘ড্যাটা বিনিময়ের সাধারণ প্লাটফর্ম’ প্রতিষ্ঠার উপর জোর দেন। কোভিড পরবর্তী পুনরুদ্ধার এগিয়ে নেওয়া এবং এসডিজি অর্জনসহ সামাজিক, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে কোভিড এর প্রভাব কতটা গভীর তা মূল্যায়ন করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের প্রয়োজনীয় ধারণাকে আরও গতিশীল করতে এই ইভেন্টটি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে মর্মে মন্তব্য প্রদান করেন বক্তাগণ।
প্যানেল আলোচনা শেষে একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রশ্নোত্তর পর্ব ও প্যানেল আলোচনার মডারেটর ছিলেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
#
পাশা/মোশারফ/রজোউল/২০২০/১৯৪৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ২৫৮৬

“পাঠাও” এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহের রহস্যজনক মৃত্যুতে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর শোক

ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই) :

          বাংলাদেশি রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাও এর অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহের রহস্যজনক মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

          আজ এক শোকবাণীতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাঠাও এর মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী তরুণ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ফাহিম ছিলেন অসাধারণ উদ্ভাবনী মেধা শক্তির অধিকারী। মেধাবী এই উদ্ভাবক বাংলাদেশ-সহ বিভিন্ন দেশে রাইড শেয়ারিং অ্যাপস কোম্পানি, ওয়েবসাইট ও সফটওয়্যার তৈরির মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যা সমাধান করত দেশে-বিদেশে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। তার উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে যৌথ উদ্যোগে ঢাকায় মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন অ্যাপস পাঠাও চালু করে রাজধানীর যাতায়াত সমস্যা সমাধান ও কর্মসংস্থানে কার্যকরী অবদান রেখেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

          জনাব পলক বলেন, তার মৃত্যুতে আমরা প্রযুক্তি খাতের আন্তর্জাতিক মানের অসাধারণ মেধাশক্তির অধিকারী একজন তরুণ উদ্ভাবককে হারালাম। যার অভাব কখনোই পূরণ হবার নয়। এ ধরনের নৃশংস হত্যা কান্ড মেনে নেয়া যায় না বলে তিনি উল্লেখ করেন।

          প্রতিমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

#

শহিদুল/পাশা/মোশারফ/রেজাউল/২০২০/১৯০৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ২৫৮৫

ঈদ ব্যবস্থাপনা সভা
স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে

                                       -- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই) :

            ঈদের পূর্বে ৫ দিন ও পরের ৩ দিন  নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য  কোরবানির পশুবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক  ও কাভার্ডভ্যান ফেরিতে  পারাপার বন্ধ  থাকবে। সূর্যাস্তের পর সকল প্রকার  মালবাহী জাহাজ, বালুবাহী বাল্কহেড  চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। ঈদের পূর্বে ৫ দিন ও পরের ৩ দিন  পর্যন্ত  দিনের বেলায়ও  সকল  বালুবাহী বাল্কহেড  চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।

            আজ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে লঞ্চ, ফেরি ও অন্যান্য জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত সভায় এসব  সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

            নৌপরিবহন  প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। তিনি ঢাকায় অবস্থানরত কর্মকর্তা/ ব্যক্তিগণের সাথে সরাসরি এবং ঢাকার বাইরের কর্মকর্তাদের সাথে জুম অ্যাপস এর  মাধ্যমে আলোচনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে কম্প্রোমাইজ নয়। প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণ সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) জনিত রোগ বিস্তার রোধে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রণীত গাইড লাইন/স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করে যাত্রীসহ নৌযান চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, লঞ্চ ও ফেরিতে যাত্রী পারাপার করে আসছি। কভিড-১৯ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে দিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় লঞ্চে কোনো যাত্রী করোনায় আক্রান্তের সংবাদ পাইনি। করোনায় মৃত্যুহার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে অনেক কম। তিনি বলেন, ঢাকা সদরঘাট একটি গুরুত্বপূর্ণ টার্মিনাল। এখান থেকে সারাদেশে নৌযান চলাচল করে। সময়সূচি অনুযায়ী লঞ্চ চলাচল করতে তিনি মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

            খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উন্নয়নের যাত্রা শুরু হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বিগত ১১ বছরে নৌপরিবহন খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। নদীর প্রবাহ ঠিক রাখা, নৌপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নকশা থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরাপদ নৌপথ তৈরির ক্ষেত্রে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।

            সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান খাজা মিয়া, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, নৌপুলিশের ডিআইজি মোঃ আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার চেয়ারম্যান মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, লঞ্চ মালিক সাইদুর রহমান রিন্টু, শহীদুল ইসলাম ভূইয়া, বদিউজ্জামান বাদল ।

            সভায় জানানো হয় যে, লঞ্চে যাত্রী উঠার সময় থেকে লঞ্চের চালক, মাষ্টার ও অন্যান্য কর্মচারীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ে এবং নদীর মাঝপথে নৌকাযোগে যাত্রী উঠালে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রাতের বেলা স্পিডবোড চলাচল বন্ধ থাকবে। স্পীডবোটে চলাচলের সময় যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরিধান নিশ্চিত করতে হবে।

            ফেরীঘাট ও লঞ্চঘাটসমূহে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই নিয়ন্ত্রণের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌ রুটে নৌ দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য পদ্মা নদীতে ঘূর্ণাবর্ত এলাকা মার্কিং করতে হবে।

#

জাহাঙ্গীর/পাশা/মোশারফ/রেজাউল/২০২০/১৯০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ২৫৮৪

দুই প্রতারকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ দায়ের

ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই) :

পরস্পর যোগসাজশে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদানকারী লালমনিরহাট নিবাসী কথিত শিক্ষক জনৈক ‘উকিল রায়’ ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয়দানকারী ‘সায়েম হোসেনের’ বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় পল্টন মডেল থানায় আজ এক অভিযোগ দায়ের করেছে। এই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

গত ১২ জুলাই একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সংবাদে 'সই জাল করে ভুয়া নিয়োগপত্র' শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। উক্ত প্রতিবেদন তৈরির সময় প্রতারণার ঘটনা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার কর্তৃক গৃহীত ভূমিমন্ত্রীর মতামতও প্রচারিত হয় উক্ত টিভি সংবাদ প্রতিবেদনটিতে। পরের দিন ১৩ জুলাই উক্ত প্রতারণা সংশ্লিষ্ট ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী নির্দেশ প্রদান করেন।

ফলশ্রুতিতে ভূমি সচিব মোঃ মাক্‌ছুদুর রহমান পাটওয়ারী বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশ প্রদান করেন। প্রতারণা সংঘটিত হওয়ার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় ভূমি সচিবের নির্দেশে মন্ত্রণালয় আজ এ অভিযোগ দায়ের করে।

#

নাহিয়ান/পাশা/মোশারফ/রেজাউল/২০২০/১৮৪৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ২৫৮৩

দেশে প্রথম হেলিপোর্ট তৈরির কাজ চলছে

ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই) :

            বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মহিবুল হক বলেছেন, দেশে প্রথম হেলিপোর্ট তৈরি করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। হেলিপোর্ট এর জন্য উপযুক্ত স্থান নির্ধারণও করা হয়েছে। হেলিপোর্ট তৈরির আনুষঙ্গিক কাজ সম্পাদনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে যা দ্রুততম সময়ে একটি প্রতিবেদন পেশ করবে। গঠিত কমিটি প্রতিবেদন পেশ করার পর হেলিপোর্ট তৈরির নানা বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা প্রদান করা হবে। আজ বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং ভ্রমণ ম্যাগাজিনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত “ট্যুরিজম এ প্যানাল্টি শুট ফর দ্য ইকোনোমি অভ্‌ বাংলাদেশ” শীর্ষক জুম কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন তিনি।

            সিনিয়র সচিব বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনের উন্নয়নের জন্য একটি নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে। এই নীতিমালায় পর্যটনের সাথে জড়িত প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করা হবে যাতে তারা তাদের অংশের কাজটুকু সঠিকভাবে সম্পাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পর্যটনের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারেন। পর্যটন উন্নয়নের জন্য দরকার সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগ। সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া পর্যটনের কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি সাধন সম্ভব নয়। এ সময় তিনি বাংলাদেশের পর্যটন গন্তব্য সমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দক্ষতার সাথে কাজ করায় ট্যুরিস্ট পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, টুরিস্ট পুলিশ ইউনিট গঠন করা বাংলাদেশের পর্যটনের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহুমাত্রিক নেতৃত্ব ও দূরদৃষ্টির ফসল।

            প্রত্যেক দায়িত্বশীল মানুষকে তার জায়গা থেকে পর্যটনের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, আমাদের দেশের ও পর্যটন গন্তব্যগুলোর ইতিবাচক প্রচারণা সহায়তা করার জন্য গণমাধ্যমকে অনুরোধ করছি।

            ভ্রমণ ম্যাগাজিনের সম্পাদক আবু সুফিয়নের সঞ্চালনায় ও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাস-এর সভাপতিত্বে জুম কনফারেন্সে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নওয়াজীশ আলী খান, টোয়াবের সভাপতি মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান, এভিয়েশন অপারেটর এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ মফিজুর রহমান ও বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মোঃ আরিফুর রহমান প্রমুখ।

#

তানভীর/পাশা/মোশারফ/রেজাউল/২০২০/১৮৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৫৮২

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ খাদ্যমন্ত্রীর

ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই) :

          খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, আমরা যাতে খাদ্যে ভেজাল মুক্ত থাকতে পারি, নিরাপদ খাদ্য ভোগ করতে পারি সে লক্ষ্যেই ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন এবং ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠিত হয়। এজন্য বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চলমান কার্যক্রমসমূহ আরো জোরদার ও গতিশীল করতে হবে- বলেন মন্ত্রী।

          আজ বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আয়োজিত পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় মন্ত্রীর মিন্টো রোডস্থ সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সমন্বয় ও সঞ্চালনা করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।

          সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রমুখ।

          খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিয়ে আমরা অতীতে বিভিন্ন সেমিনার-সহ অনেক কাজ করেছি। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির জন্য সে কাজগুলো সেভাবে আর হচ্ছে না। কিন্তু অচিরেই নতুন করে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করা হবে। কেউ যেন ভেজাল খাদ্য তৈরি করতে না পারে, ভেজাল খাদ্য বিক্রি করতে না পারে, প্রতিটি খাদ্যের নিরাপদতা যেন নিশ্চিত হয় সেদিকে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলেন তিনি। 

          মন্ত্রী আরো বলেন, আইন, বিধি-বিধান যতই তৈরি করা হোক না কেন; যদি এগুলোর সঠিক প্রয়োগ না হয়, কার্যকারিতা না থাকে, তবে তা কোনো সুফল বয়ে আনবে না। তিনি আধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপনের প্রয়োজনের কথা তুলে ধরে বলেন, প্রথমত ল্যাবরেটরি প্রয়োজন এবং কর্মকর্তাদের প্রশিক্

2020-07-15-21-34-410c2170ac34ac4345a53fa9dc2b155c.docx