Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৯ নভেম্বর ২০২৪

তথ্যবিবরণী ০৯ নভেম্বর ২০২৪

 

 

Handout                                                                                                            Number: 1607

 


Ministry Continues Market Monitoring to Ban Polythene Shopping Bags: BDT 6 Lakh Fines Imposed and 12,696 kg Polythene Seized in One Week
 

Dhaka, November 9:

 

To enforce the ban on polythene shopping bags, the Ministry of Environment’s monitoring committee is actively conducting regular market inspections. Today the monitoring team carried out awareness activities at Banani kitchen market, Banani DCC market, Cherry Shopping Complex, and Shwapno Super Shop.

 

Led by Additional Secretary Tapan Kumar Biswas, head of the monitoring team, the initiative included Joint Secretary Mohammad Rezaul Karim, Deputy Secretary Rubina Ferdousi, and other committee members. They distributed leaflets to the public, encouraging the use of jute and cloth bags as alternatives to polythene. They also warned that strict action would be taken if polythene is found in future inspections.

 

Tapan Kumar Biswas stated that since November 3, rigorous action is underway against the production and sale of polythene. In the past week, 67 mobile court drives have been conducted, resulting in fines of BDT 613,700 for 142 shops and establishments, with a total seizure of 12.696 tons of illegal polythene. One illegal polythene manufacturing factory has also been sealed. He further emphasized that such drives will continue.

 

Tapan Kumar Biswas added that awareness efforts at various kitchen markets and super shops are gradually reducing the use of polythene.

 

#

 

Dipankar/Shibli/Ferdows/Sanjib/Salim/2024/2030 hours

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ১৬০৬

 

পলিথিন শপিং ব্যাগ বন্ধে মন্ত্রণালয়ের বাজার মনিটরিং অব্যাহত

 

ঢাকা, ২৪ কার্তিক (৯ নভেম্বর): 

 

নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগ বন্ধে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং কমিটি নিয়মিত বাজার পর্যবেক্ষণ করছে। আজ সকালে বনানী কাঁচাবাজার, বনানী ডিসিসি মার্কেট, চেরি শপিং কমপ্লেক্স এবং স্বপ্ন সুপার শপে মনিটরিং টিমের সদস্যরা সচেতনতামূলক তদারকি কার্যক্রম চালায়।

 

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিমের আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিম এবং উপসচিব রুবিনা ফেরদৌসীসহ কমিটির অন্য সদস্যরা বাজার মনিটরিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। তারা জনসাধারণের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন এবং পলিথিন ব্যাগের পরিবর্তে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহারের অনুরোধ জানান। তারা জানান, পরবর্তী অভিযানে পলিথিন পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিমের আহ্বায়ক তপন কুমার বিশ্বাস জানান, ৩ নভেম্বর থেকে পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। গত এক সপ্তাহে ৬৭টি মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে ১৪২টি দোকান ও প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ১৩ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় এবং ১২ দশমিক ৬৯৬ টন পলিথিন জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া একটি অবৈধ পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। তপন কুমার বিশ্বাস আরো বলেন, বিভিন্ন কাঁচাবাজার ও সুপার শপে সচেতনতার ফলে পলিথিন ব্যবহারের পরিমাণ ক্রমশ কমছে।

 

#

 

দীপংকর/শিবলী/ফেরদৌস/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/২০২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ১৬০৫

 

অনলাইনে তেজগাঁওয়ের তেজতুরী বাজার মৌজাসহ ঢাকার শতভাগ ভূমিকর পরিশোধের উদ্যোগ

 

ঢাকা, ২৪ কার্তিক (৯ নভেম্বর): 

 

ভূমি মন্ত্রণালয় ঢাকার তেজগাঁও সার্কেলের তেজতুরী বাজার মৌজার ভূমি মালিকদের শতভাগ ভূমি উন্নয়ন কর (এলডি ট্যাক্স) অনলাইনে প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আগামী ১২ থেকে ১৬ নভেম্বর তেজগাঁও ফার্ম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে আগ্রহী ভূমি মালিকদের সহায়তার জন্য এক ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ জনগণকে ভূমি নাগরিক সেবা-সুবিধা দানে উদ্বুদ্ধ করতে ১৩ নভেম্বর বেলা সাড়ে বারোটায় উক্ত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

 

আজ ভূমি ভবনের সম্মেলন কক্ষে তেজতুরী বাজার মৌজার শতভাগ অনলাইন এল ডি ট্যাক্স নিশ্চিতকরণ বিষয়ক এক কর্মশালায় এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ। এতে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিবগণসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।

 

ভূমি সিনিয়র সচিব বলেন, অতীতে ভূমি ব্যবস্থাপনা নিয়ে অনেক অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানি হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক আন্দোলনের সুফল হিসেবে ভূমি নাগরিক সেবা কার্যক্রমকে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে কাজ করছে। তিনি বলেন, তেজগাঁও সার্কেলের ২২টি মৌজাসহ ঢাকার সব মৌজা আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে অনলাইনে এলডি ট্যাক্স পরিশোধের সুবিধা দেওয়া হবে। এ কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে সারাদেশে চালু করা হবে।

 

 #

 

আহসান/শিবলী/ফেরদৌস/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/১৯২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ১৬০৪

 

কাপ্তাই লেক পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়ন ঘটাবে

                                                     -- উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

 

রাঙ্গামাটি, ২৪ কার্তিক (৯ নভেম্বর): 

 

কাপ্তাই লেক দেশীয় প্রজাতি মাছের এক বৈচিত্র্যময় জলভাণ্ডার উল্লেখ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, কাপ্তাই লেকে সকল প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গবেষণালব্ধ পদ্ধতিতে মৎস্য চাষ করা হবে। এছাড়া কাপ্তাই লেকে অধিক মৎস্য চাষ, আহরণ ও বিপণনের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়ন ঘটানো হবে।

 

আজ রাঙ্গামাটির মগবান ইউনিয়নে কাপ্তাই হ্রদের বর্তমান চিত্র সরেজমিন পরিদর্শন শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

 

সুপ্রদীপ চাকমা আরো বলেন, কাপ্তাই লেকের জলজ পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রেখে ও ইকো ট্যুরিজমের ব্যাঘাত না ঘটিয়ে মাছ চাষ করতে হবে। উপদেষ্টা আরো বলেন, হ্রদে পর্যাপ্ত পানি থাকার মৌসুমই হলো মাছ চাষের জন্য উপযোগী সময়।

 

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সহধর্মিণী নন্দিতা চাকমা, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার ড. এস. এম. ফরহাদ হোসেন, উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মুশফিকুর রহমান ও অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

রেজুয়ান/শিবলী/ফেরদৌস/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২০৫০ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ১৬০৩

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বন্যপ্রাণী শিকার ও পাচার বন্ধ করতে হবে

                                                 -- পরিবেশ উপদেষ্টা

ঢাকা, ২৪ কার্তিক (৯ নভেম্বর): 

 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বন্যপ্রাণী ধরা, শিকার ও পাচার বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, বাঘ, হাতি-সহ সকল বন্যপ্রাণীকে রক্ষা করতে হবে। বন ধ্বংস বন্ধ করে বিদ্যমান সব বন রক্ষা করতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় ছোট ছোট উদ্যোগও বড় পরিবর্তন আনতে পারে।

 

আজ ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজে ‘ওয়াইল্ড লাইফ অলিম্পিয়াড’-এর জাতীয় পর্বের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

 

ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে উপদেষ্টা বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন এবং প্রতিষ্ঠানের একটি প্রাচীন বৃক্ষকে স্মারকবৃক্ষ হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান। তিনি বলেন, ‘ওয়াইল্ড লাইফ অলিম্পিয়াড’-এর মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী রক্ষার বার্তা দিচ্ছি। আমরা চাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সবুজ ও সুন্দর বাংলাদেশে বাস করুক। একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। তিনি পলিথিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার না করতে, অযথা হর্ন না বাজাতে এবং দিনের বেলা ফ্যান-লাইট বন্ধ রাখার আহ্বান জানান।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী। ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

অনুষ্ঠানে অলিম্পিয়াডের থিম সং এর ভিডিও চিত্র ও গীতিনাট্য প্রদর্শিত হয় এবং বন্যপ্রাণী হত্যা না করার শপথ গ্রহণ করানো হয়। জাতীয় পর্বে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে টি-শার্ট, সার্টিফিকেট এবং উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। প্রতিটি ক্যাটেগরির সেরা প্রতিযোগীদের জন্য ৫০ হাজার, ৩০ হাজার ও ২০ হাজার টাকা পুরস্কার প্রদান করা হয়।

 

এবারের অলিম্পিয়াডে সারা দেশ থেকে অনলাইন ও অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে এক লাখ সাত হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এরপর কয়েক ধাপে জেলা পর্যায়ে অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয় এবং বিজয়ীদেরকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

 

এর আগে উপদেষ্টা ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের ৬ তলাবিশিষ্ট স্বর্ণচাঁপা একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং ৮ তলাবিশিষ্ট আইসিটি ভবনের উদ্বোধন করেন।

 

এছাড়াও, চট্টগ্রামের সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ রাজগুরু অভয়ানন্দ মহাবিহারে অনুষ্ঠিত কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন পরিবেশ উপদেষ্টা। তিনি সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে শান্তির পথে থাকার আহ্বান জানান।

#

দীপংকর/শিবলী/ফেরদৌস/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/১৯২০ ঘণ্টা

Handout                                                                                                            Number: 1602

 


Wildlife hunting and trafficking must be stopped to protect biodiversity
                                                                            -- Environmental Advisor

 

Dhaka, November 9:

 

Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Environment, Forest, and Climate Change, as well as the Ministry of Water Resources, emphasized the need to end wildlife hunting, capturing, and trafficking to protect biodiversity. She called for the preservation of all wildlife, including tigers and elephants, and urged that deforestation be stopped to save existing forests. Small initiatives for environmental protection, she noted, can lead to significant change.

 

She shared these thoughts as the chief guest at the national closing ceremony of the ‘Wildlife Olympiad’ held at Viqarunnisa Noon School & College in Dhaka.

 

As a former student of Viqarunnisa Noon School and College, she shared various memories and mentioned that an initiative would be taken to designate an old tree at the institution as a memorial tree. Rizwana Hasan further highlighted the message of conservation being spread through the Wildlife Olympiad, emphasizing the vision for a green and beautiful Bangladesh for future generations. She mentioned various measures taken to protect Bangladesh’s only coral island, St. Martin’s, and urged people to avoid using plastic bags, unnecessary honking, and to save electricity by turning off fans and lights during the day.

 

The program featured Dr. Farhina Ahmed, Secretary of the Ministry of Environment, Forest, and Climate Change, as the special guest. The Chief Conservator of Forests, Md. Amir Hossain Chowdhury, presided over the event, and Viqarunnisa Noon School & College Principal Majeda Begum was also present.

 

The event showcased the Olympiad's theme song and a musical drama, followed by a pledge against wildlife poaching. All participating students received T-shirts, certificates, and gift items, while winners in each category were awarded cash prizes of BDT 50,000, 30,000, and 20,000 for first, second, and third places, respectively.

 

This year’s Olympiad drew 107,000 students nationwide, registered both online and offline. The district rounds took place across the country, with the Forest Department awarding prizes and certificates to district-level winners.

 

Prior to the event, the Advisor laid the foundation stone for a six-story academic building and inaugurated an eight-story ICT building at Viqarunnisa Noon School & College.

 

Meanwhile, in a video address as the chief guest at the Kathin Chibor Daan ceremony at Suddhananda Rajguru Abhoyananda Mahabihar in Chattogram, the Environment Advisor called for people of all communities to follow the path of peace.

 

#

 

Dipankar/Shibli/FerdowsSanjib/Salim/2024/1900 hour

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর: ১৬০১

 

পুলিশকে মানবিক হিসেবে গড়ে তুলতে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন অপরিহার্য

                                                                 ---নৌপরিবহন উপদেষ্টা

ঢাকা, ২৪ কার্তিক (৯ নভেম্বর): 

 

      পুলিশকে মানবিক হিসেবে গড়ে তুলতে একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন।

 

      তিনি আজ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি) আয়োজিত ‘জনমুখী পুলিশ সেবা নিশ্চিতকল্পে পুলিশ কমিশন গঠন ও অন্যান্য সংস্কারের প্রস্তাব’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।

 

      বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত রাষ্ট্র ব্যবস্হার চলমান সংস্কার কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ কমিশন গঠন করা জরুরি। আমি ৮ই আগস্টের পর পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের সাথে কথা বলি। এই পুলিশ কমিশন গঠন তাদের সে সময়ের দাবি ছিল জুলাই-আগস্টের রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের পরে তারা আর রাজনীতিকরণের অংশ হতে চায় না। এক “দানবিক পুলিশের” থেকে “মানবিক পুলিশ” গঠনের ক্ষেত্রে একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন অপরিহার্য। এই স্বাধীন পুলিশ কমিশনের প্রধান হিসেবে একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। এ কমিশন পাঁচ সদস্যের অধিক না হওয়ার  বিষয়ে উপদেষ্টা তার মতামত তুলে করেন। এ সময়ে উপদেষ্টা পুলিশকে জনমুখী করার লক্ষ্যে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর স্বদিচ্ছা ও অঙ্গীকারের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

 

     পুলিশের অনিয়ম দুর্নীতি দূর করতে পুলিশে বিদ্যমান তিন ধাপের নিয়োগ থেকে কমিয়ে দুই ধাপে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশের নিচের দিকের সদস্যদের সুযোগ সুবিধা অত্যন্ত কম। তাদের পদোন্নতির সুযোগ নেই। তারা যে কনস্টেবল পদে যোগদান করে, সেই পদ থেকেই অবসরে যায়। একজন বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট যখন পদোন্নতির কোন আশা দেখেন না। তখন সে হতাশ হয়, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে। নিচের দিকে পুলিশের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে পুলিশের দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন, একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জানা উচিত কিভাবে তার অধঃস্থন পুলিশ ডিউটি করে, দায়িত্ব পালন করতে কি কি সমস্যার মুখোমুখি হয়। এজন্য বিসিএস ক্যাডারভুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের সারদায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শেষে এক বছরের জন্য থানায় সংযুক্ত করা উচিত। এতে তৃণমূল পর্যায়ে পুলিশ কিভাবে কাজ করে সেটি জানার ও বোঝার সুযোগ তৈরি হবে।   

 

     পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে জেলাভিত্তিক নিয়োগ কার্যক্রম গ্রহণ না করে কেন্দ্রীয় ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া ও তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমার মতে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বাধীন পুলিশ কমিশনের মাধ্যমেই হওয়া উচিত।

 

     সেমিনার সঞ্চালনা করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এসআইপিজি পরিচালক অধ্যাপক শেখ তৌফিক এম. হক। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ রিজওয়ানুল ইসলাম এবং পলিটিক্যাল সাইন্স এবং সোশিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ইশরাত জাকিয়া সুলতানা। তারা এ সেমিনারে দেশের পুলিশ সংস্কারের রোডম্যাপ এবং একটি সম্ভাব্য পুলিশ কমিশন গঠনের পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

 

                                                   #

আরিফ/শিবলী/সঞ্জীব/ফেরদৌস/আব্বাস/২০২৪/১৯৩৩ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর: ১৬০০

 

মৎস্যজীবীরা চরম বৈষম্যের শিকার

    ---মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

ঢাকা, ২৪ কার্তিক (৯ নভেম্বর):    

 

     মৎস্যজীবী ও মৎস্যখাতে চরম বৈষম্য উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-জনতা-শ্রমিকদের রক্তক্ষয়ী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফলে নতুনভাবে স্বাধীনতা আসলেও মৎস্যজীবী ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের মাঝে যে বৈষম্য রয়েছে তা দূর করতে সরকার সর্বোচ্চভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

      আজ সিরডাপ মিলনায়তনে Challenges and Forward-Rights of Small-Scale Fishing Communities: The Context of Bangladesh-বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেছেন। 

     মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেছেন, যারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে তারাই প্রকৃত মৎস্যজীবী। এক্ষেত্রে কোনভাবেই ব্যবসায়ীরা অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না। মৎস্যজীবীদের মধ্যে মজুরি বৈষম্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারী মৎস্যজীবীদের স্বীকৃতিকে বড় ধরনের সমর্থন জানাতে হবে-তাদের সাথে অন্য মৎস্যজীবীদের কোন পার্থক্য করা যাবে না। সুযোগ-সুবিধা দিতে পারলে মৎস্যজীবীরা আর গরিব থাকবে না। 

     উপদেষ্টা বলেন, আমরা যদি মেরিন ফিশারিজকে সত্যিকার অর্থেই ব্যবহার করতে পারি তাহলে বাংলাদেশ আর গরিব থাকবে না। শুধু মৎস্য সম্পদের কথা বিবেচনা করলে দেখা যায়, এই বিশাল প্রজাতির মধ্যে অনেক প্রজাতি এখনও আমাদের আহরণের মধ্যে আসেনি। এমনকি, গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণে সক্ষম উন্নত ভেসেল আমাদের নেই। আমরা জানি না প্রকৃতপক্ষে আমাদের কত প্রজাতির মৎস্যসম্পদ আছে, তাদের মজুত কেমন। সরকার নিজস্ব ভেসেল এনে এ বিষয়ে কাজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য দেশের স্বার্থে স্বনামধন্য বিজ্ঞানীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

     ইলিশ মাছ আল্লাহর দান উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেছেন, নোনা পানি থেকে স্বাদু পানিতে আসা এবং ফেরত যাওয়ার মতো মাইগ্রেটরি রুট ঠিক করতে পারলে ইলিশের উৎপাদন বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে এবং ইলিশ আমাদের বড় সম্পদে পরিণত হবে। অতীতের সরকার ভারতের নতজানু থাকার ফলে বাংলাদেশে ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন সে দেশের জেলেরা আমাদের সমুদ্রসীমায় প্রবেশ করে ইলিশ ধরে নিয়ে যেত এ সমস্যা লাঘবে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। 

     উপদেষ্টা আরো বলেছেন, নদ-নদীর মতো সমুদ্রও দূষণমুক্ত নয়। নদীর পানি সমুদ্রে যাচ্ছে, সমুদ্রও দূষিত হচ্ছে। দেশে যেভাবে প্লাস্টিক ব্যবহৃত হচ্ছে তা রোধ করা দরকার। আমরা যে মাছ খাচ্ছি সেগুলোর মধ্যে মাইক্রো প্লাস্টিক পাওয়া যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশকে প্লাস্টিকমুক্ত করতে আমাদের কাজ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, হাওর ও নদীর মাছ রক্ষায় অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন বাড়িয়ে সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে। 

     কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক সনৎ কুমার ভৌমিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ জিয়া হায়দার চৌধুরী, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের পরিচালক অদ্বৈত চন্দ্র দাস, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ প্রমুখ। এক্সপার্ট গেস্ট হিসেবে বক্তৃতা করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক (অব) ড.আব্দুল ওয়াহাব।

                                                  #

মামুন/শিবলী/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/১৮৪২ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর: ১৫৯৯

আলেমসমাজ সামাজিক শক্তির প্রতিভূ

                           ---ধর্ম উপদেষ্টা

খুলনা, ২৪ কার্তিক (৯ নভেম্বর): 

 

      ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আলেমসমাজ সামাজিক শক্তির প্রতিভূ। তাদের সাথে জনসম্পৃক্ততা ও সমাজের প্রগাঢ় বন্ধন রয়েছে।

 

      আজ খুলনা ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিভাগীয় কার্যালয়ে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা ও সামাজিক সমস্যা নিরসনে ওলামা মশায়েখদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

 

     ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ইমাম-খতিবদের মানুষ সম্মান করে। তারা জুমার খুতবা ও ওয়াজ-নসিহতের মাধ্যমে মানুষের উত্তম চারিত্রিক গুণাবলি বিকাশে মেহনত করে যাচ্ছেন। একইভাবে মানুষের চরিত্রের নেতিবাচক দিকগুলো থেকে বিরত রাখার ক্ষেত্রেও ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। সমাজে যেসকল ব্যাধি রয়েছে সেগুলো নিরসনেও আলেম-ওলামাদের বিশাল ভূমিকা রয়েছে।

 

      ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, আলেম-ওলামাদের মেহনতের কারণেই বাংলাদেশে ইসলামের অনুকূল আবহ তৈরি হয়েছে। তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায়ও মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে। উপদেষ্টা ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানজনক বেতন কাঠামো নির্ধারনে উদ্যোগ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়া, তিনি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদকে বিশ্বের অন্যান্য আইকনিক মসজিদের মতো সুন্দর, দৃষ্টিনন্দন ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ মসজিদে রূপান্তরিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

 

      ড. খালিদ বলেন, সরকার অত্যন্ত নাজুক পরিস্থিতিতে দেশের দায়িত্ব নিয়েছে। আমরা ধীরে ধীরে অগ্রগতির পথে ধাবিত হচ্ছি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। জাতিতে জাতিতে কিংবা ধর্মে ধর্মে যদি হানাহানি হয় তাহলে জাতীয় অগ্রগতি ও উন্নয়ন ব্যাহত হতে বাধ্য। এ কারণে সরকার অগ্রাধিকারভিত্তিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ওলামা-কেরামদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে।

 

      ড. খালিদ আরো বলেন, বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যের দেশ। কিছু দুর্বৃত্ত বা কায়েমী স্বার্থবাদী মহল মাঝেমাঝে এই সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যকে বিনষ্ট করার পাঁয়তারা চালিয়ে থাকে। এ সকল দুর্বৃত্তদেরকে সরকার প্রতিহত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

 

     উপদেষ্টা বলেন, সরকার তিনমাস হলো দায়িত্ব নিয়েছে। অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে। ইতোমধ্যে রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীদিনে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরো মজবুত হবে।

 

    জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ ইউসুপ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ, স্থানীয় সরকারের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক মোঃ তবিবুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় পরিচালক মুহাম্মদ জালাল আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।

 

#

আবুবকর/শিবলী/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/১৮০২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর: ১৫৯৮

অভিবাসীরদের পাশে আছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

                                --- শারমীন এস মুরশিদ

ঢাকা, ২৪ কার্তিক (৯ নভেম্বর): 

 

     সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর অভিবাসীদের সাজা থেকে মুক্তি সম্ভব হয়েছে। এমন অর্জন অভিবাসীদের বার্তা দেয়, বাংলাদেশ সরকার তাদের পাশে আছে।

 

     উপদেষ্টা আজ ঢাকা বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে ‘ভয়েসেস অভ্ রেজিলিয়েন্স: এমপাওয়ারিং বাংলাদেশ মাইগ্র্যান্ট ওয়ার্কার্স’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

 

     উপদেষ্টা বলেন, নারী উন্নয়নে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাজের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এজন্য মাইগ্রেন্ট অভিবাসী নারী ওয়ার্কারদের উন্নয়নে পরিকল্পিত পরিকল্পনার মাধ্যমে পলিসি গ্রহণ করতে হবে। বিদেশে যাওয়ার সময় হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে এয়ারপোর্টে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করতে হবে তাহলে নারীদের স্বার্থ রক্ষা হবে।

 

উপদেষ্টা আরো বলেন, অভিবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এদেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রেখেছে, তাদের সুরক্ষা বিষয়ে আমাদের ভাবতে হবে। দেশকে সমৃদ্ধ করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন উদ্যমে সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই‌।

 

     সেমিনারে উদ্বাস্তু ও অভিবাসী আন্দোলন গবেষণা ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. তাসনিম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার লিলি গোমস, আইন ও উন্নয়ন গবেষণা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ফাউজিয়া করিম ফিরোজ এবং রিক্রুটিং এজেন্সির পক্ষ থেকে এবিএম শামসুল আলম বক্তৃতা করেন।

 

     অনুষ্ঠানে বক্তারা অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় সরকারের দায়িত্ব এবং প্রাসঙ্গিক নীতিমালা বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন। অনুষ্ঠানে অভিবাসন সংক্রান্ত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইনি সহায়তা, পুনর্বাসন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা তুলে ধরা হয়।

 

#

রফিকুল/শিবলী/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/১৭৪২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                            নম্বর: ১৫৯৭

রংপুরে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

        প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রচার কার্যক্রম জোরদারকরণে গুরুত্বারোপ

ঢাকা, ২৪ কার্তিক (৯ নভেম্বর): 

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে রংপুরে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রংপুর জেলাপ্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম। শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন রংপুরের জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অতিরিক্ত সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকার রয়েছে কার্যকর ভূমিকা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, অনেকে এই টিকা সম্পর্কে গুজব ছড়াচ্ছে। এ গুজবের কোনো ভিত্তি নেই। এইচপিভি টিকা সম্পর্কে সঠিক বার্তা জনগণের নিকট পৌঁছানোর জন্য সরকারের পাশাপাশি গণমাধ্যমকেও ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি প্রত্যন্ত অঞ্চলের কিশোরীদের এই টিকাগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার জন্য অভিভাবক, শিক্ষক, নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

কর্মশালায় আমন্ত্রিত অতিথির বক্তৃতায় রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. মোস্তফা জামান চৌধুরী বলেন, রংপুর জেলায় এইচপিভি টিকাদানের উদ্দিষ্ট কিশোরীর সংখ্যা এক লাখ ১৪ হাজার ২১২ জন। এ পর্যন্ত ৮৮ হাজার ৮৫৭ জন কিশোরীকে এইচপিভি টিকা প্রদান করা হয়েছে। যারা এখনো এইচপিভি টিকা গ্রহণ করেননি, তাদের টিকাগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি এইচপিভি টিকাপ্রদান কার্যক্রমকে সফল করতে গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তৃতায় রংপুরের জেলাপ্রশাসক বলেন, এইচপিভি টিকাপ্রদান কর্মসূচি সফল করতে অভিভাবক, শিক্ষক ও কিশোরীদের এইচপিভি টিকা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। জেলাপ্রশাসন ও অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের অনুষ্ঠানেও এইচপিভি টিকাগ্রহণ-সংক্রান্ত বার্তা প্রচার করতে হবে। ত

2024-11-09-15-09-e59c24eb7e6e747531a03d397b614176.docx