Handout Number : 1513
Mike Pompeo appreciates Bangladesh’s readiness to combat COVID-19
Dhaka, April 27 :
US Secretary of State Mike Pompeo appreciated Bangladesh’s readiness to support COVID-19 response supply chains. He also praised Bangladesh’s assistance in repatriation of American citizens.
In a letter Written to Foreign Minister Dr. A. K. Abdul Momen, US Secretary of State assured to work together to combat COVID-19. In the letter Mike Pompeo also conveyed US’s continued cooperation during this challenge.
The US Ambassador Earl Miller met with Foreign Minister Dr. A. K. Abdul Momen and handed over the letter at his office today. During the meeting, Foreign Minister underscored how the economy and livelihood of Bangladeshi people are adversely affected in this COVID-19 situation especially the country's RMG industry due to the cancellation of orders. Then he sought US’s Government’s support to Bangladesh for Bangladesh’s RMG products to the US market, the single largest RMG export destination of Bangladesh.
Foreign Minister also requested to expedite the deportation of Rashed Chowdhury, the self confessed killer of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman as it remains a priority for the Government. They discussed the Rohingya crisis that is being protracted and the US Ambassador assured of continued support on this matter. He asked for extending US cooperation in tackling this crisis in a unified manner. US Ambassador assured to work together with the Bangladesh Government.
Foreign Minister Momen elaborated Bangladesh Government’s strategies to tackle the war against COVID-19 crisis and expressed to work closely with the US Government in the coming days to face the global challenges.
#
Tohidul/Farhana/Mosharraf/Salim/2020/2020 Hrs
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫১২
মধ্যপ্রাচ্যের ১১ রাষ্ট্রদূতের সাথে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দুর্দশাগ্রস্ত প্রবাসীদের জন্য খাদ্য সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি প্রবাসী শ্রমিকরা যেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পূর্বের চাকুরিতে পুনর্বহাল হতে পারে সে জন্য সব ধরনের কূটনৈতিক তৎপরতা গ্রহণের নির্দেশনা দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
মন্ত্রী আজ মধ্যপ্রাচ্যের ১১ রাষ্ট্রদূত ও মিশন প্রধানের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের সময় এ নির্দেশনা দেন। সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, জর্ডান, লেবানন, ইরাক, ইরান, লিবিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও ওমানের রাষ্ট্রদূত এবং মিশন প্রধানগণ এ কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রবাসী শ্রমিকদের কেউ যদি ফেরত আসে, তবে ন্যায্য বেতন ও ভাতা পাওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখতে বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী । এ সময় তিনি বলেন, প্রবাসীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা দেওয়া হবে। মন্ত্রী এ সময় প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকেও দুর্দশাগ্রস্ত প্রবাসীদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন। এ সময় তিনি সকল প্রবাসীকে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও আহ্বান জানান।
ভিডিও কনফারেন্সে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের সকল বৈদেশিক মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
#
তৌহিদুল/ফারহানা/মোশারফ/সেলিম/২০২০/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫১১
লকডাউনে জনগণের দোরগোড়ায় ডাকসেবা পৌঁছে দিতে
ভ্রাম্যমাণ ডাকঘর উদ্বোধন করলেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
কোভিড-১৯ জনিত লকডাউনে নগরবাসীর দোরগোড়ায় ডাক সেবা পৌঁছে দিতে ভ্রাম্যমাণ ডাকঘরের কার্যক্রম আজ থেকে শুরু হয়েছে। রাজশাহী ও খুলনা মেট্রোপলিটন শহরেও একই সাথে দুইটি ভ্রাম্যমাণ ডাকঘর আজ থেকে চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ ডাকঘর চালু করা হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ ঢাকায় তাঁর বেইলী রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ঢাকায় জিপিও চত্বরে টেলিসংযোগের মাধ্যমে ৯টি ভ্রাম্যমাণ ডাকঘরের উদ্বোধন করেন।
মন্ত্রীর নির্দেশে ঢাকা মেট্রোপলিটন শহরের লকডাউনের আওতাভুক্ত এলাকায় জনগণের দোরগোড়ায় ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র, জরুরি চিঠিপত্র, ঔষধপত্র ও করোনা চিকিৎসা সংক্রান্ত উপকরণ, পার্সেল, ডিজিটাল কমার্স, ইএমটিএস ও ডাক জীবন বীমা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এই সেবা চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নূর-উর-রহমান এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন। ঢাকা জিপিও চত্বরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আজিজুল ইসলাম এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র-সহ ডাক অধিদপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
কোভিড -১৯ এর প্রাদুর্ভাবজনিত সরকার ঘোষিত ছুটিকালীন সময়ে ডাক অধিদপ্তর গত ২৮ মার্চ থেকে অদ্যাবধি জনসাধারণের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সাত লাখ পঞ্চাশ হাজার গ্রাহককে ডাক সেবা প্রদান করা হয়েছে এবং এক হাজার দুই শত কোটি টাকার লেনদেন সম্পন্ন করা হয়েছে।
সরকার ইতোমধ্যে টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবার পাশাপাশি ডাক সেবাকে জরুরি পরিসেবা হিসেবে ঘোষণা করে। এর ফলে জিপিও, জেলা পর্যায়ের প্রধান ডাকঘর, শহরস্থ সাব পোস্ট অফিস এবং সীমিত পরিসরে গ্রামীণ ডাকঘর খোলা রয়েছে।
#
শেফায়েত/ফারহানা/মোশারফ/সেলিম/২০২০/২০৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫১০
করোনা পরিস্থিতিতে কৃষি উৎপাদনের ধারা অব্যাহত থাকবে
-- কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে কৃষি উৎপাদনের বর্তমান ধারা অব্যাহত রাখা এবং ভবিষ্যতে উৎপাদন বাড়াতে গুণগত মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন, সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং শাকসবজির বিপণন, সরবরাহ ঠিক রাখা ও কৃষকের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নানান পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সার্বক্ষণিক উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখা হয়েছে।
মন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে করোনা পরিস্থিতিতে শাকসবজি, বীজ ও সতেজ কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ ও সরবরাহে করণীয় নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে অনলাইন সভায় এ কথা বলেন। এসব ক্ষেত্রে করোনার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব মোকাবিলায় কৃষি মন্ত্রণালয় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।
করোনা পরিস্থিতিতে শাকসবজির বাজারজাতকরণ ও কৃষকের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, শাকসবজি ও পচনশীল কৃষিপণ্যের চলাচল নির্বিঘ্ন করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালেয়র প্রদত্ত ত্রাণসামগ্রীতে আলু, সবজি, পেঁয়াজ ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কৃষিপণ্যের ভ্রাম্যমাণ বাজার পরিচালনা শুরু করেছে। পাশাপাশি, লকডাউন এলাকার উদ্বৃত্ত কৃষিপণ্য ঘাটতি এলাকায় প্রেরণের ক্ষেত্রে ট্রাক চলাচলের জন্য জেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। ফলে শাকসবজির বাজারজাতকরণ কিছুটা সহজতর হয়েছে।
মন্ত্রী আরো জানান, আজকের সভায় পাওয়া সুপারিশ অনুযায়ী বিআরটিসির ট্রাক ব্যবহার, বিদেশে রপ্তানির জন্য কার্গো ভাড়া, দেশের সুপারশপ খোলা রাখার সময়সীমা বাড়ানো এবং সমন্বয়ের জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে।
সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশের জেলাগুলোর মধ্যে মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, ঝিনাইদহ, যশোর, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, বগুড়া, পাবনা, রাজশাহী, গাইবান্ধা, রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, ভোলা জেলাসমূহকে সবজির জন্য উদ্বৃত্ত জেলা । এসব জেলা থেকে ট্রাকযোগে শাকসবজি অন্য জেলায় প্রেরণ করা হচ্ছে।
এ অনলাইন সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান-সহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
কামরুল/ফারহানা/মোশারফ/সেলিম/২০২০/১৯১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫০৯
শতভাগ বিদ্যুতায়ন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে
-- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, শতভাগ বিদ্যুতায়ন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের শ্রেষ্ঠত্ব অব্যাহত রাখতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রকল্প বাস্তবায়নে ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য কাজে যে পরিমাণ রাজস্ব প্রয়োজন তা জরুরি ভিত্তিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে অভিহিত করা প্রয়োজন।
প্রতিমন্ত্রী আজ তাঁর বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিভাগ ও এর আওতাধীন দপ্তর ও কোম্পানির সাথে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি সভায় বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাওয়ায় উৎপাদন হ্রাস পাওয়া বা সময়মতো বিল না পাওয়ায় আগামীতে সংস্থাসমূহের যে রাজস্ব ঘাটতি হবে তার একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ চিত্র প্রয়োজন। তা নিয়ে সরকার ও দাতা সংস্থার সাথে আলোচনা করা যেতে পারে। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংক প্রকল্পে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ বিনিয়োগ বা জিওবি খাতে ৮৭ টি, প্রকল্প সহযোগিতা খাতে ১১ টি ও নিজস্ব অর্থায়নে ৬টি-সহ মোট ১০৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। মার্চ ২০২০ পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে আর্থিক ৬১ দশমিক ৭০ শতাংশ ও ভৌত ৬২ দশমিক ৪০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে ।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি সম্পর্কিত ভার্চুয়াল এই সভায় অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ সচিব ড. সুলতান আহমেদ, পিডিবির চেয়ারম্যান মোঃ বেলায়েত হোসেন, আরইবির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অবঃ), পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন এবং দপ্তর ও কোম্পানিসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
আসলাম/ফারহানা/মোশারফ/সেলিম/২০২০/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫০৮
জৈন্তাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমাণ্ডার সিরাজুল হকের মৃত্যুতে
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সিরাজুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
মন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় বলেন, সিরাজুল হক বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর মৃত্যুতে জাতি একজন অকুতোভয় বীর সেনানীকে হারাল। তিনি আরো বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের কারণে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক (৬৮) দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গতকাল রাত ৯টায় নিজ বাসভবনে মৃত্যুররণ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
#
রাশেদ/ফারহানা/মোশারফ/সেলিম/২০২০/১৯১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫০৭
টেলিকম বিভাগের জন্য প্রাপ্ত নিরাপত্তা সামগ্রী ঢাকায়
তিনটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের জরুরি সেবার আওতাভুক্ত টেলিফোন, ইন্টারনেট ও ডাক কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য ইতোপূর্বে চায়না মেশিনারি এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন থেকে প্রাপ্ত মাস্কসহ কোভিড-১৯ সংক্রমণ বিস্তাররোধে নিরাপত্তা সামগ্রী ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের পাশাপাশি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল এবং ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন এবং নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলা প্রশাসনের নিকট হস্তান্তর করা হচ্ছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ তাঁর বেইলী রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত থেকে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্রের নিকট এই সব সামগ্রী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহে বিতরণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নূর-উর-রহমান ভিডিও কনফারেন্সে এ সময় যুক্ত ছিলেন।
গত ২৫ এপ্রিল শনিবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের নিকট চায়না মেশিনারি এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের চিফ রিপ্রেজেনটেটিভ চেন শিন পাঁচ হাজার মাস্ক ১০টি ইলেক্ট্রনিক থার্মাল থার্মোমিটার এবং আট পিস প্রোটেকটিভ ক্লথ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে হস্তান্তর করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ নূর-উর-রহমান ঢাকায় ডাক অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রীর পক্ষ থেকে এসব সামগ্রী গ্রহণ করেন।
প্রাপ্ত এই সব নিরাপত্তা সামগ্রী ডাক অধিদপ্তর থেকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড, ঢাকায় দুই পিস প্রোটেকটিভ ক্লথ ও তিনটি ইলেক্ট্রনিক থার্মাল থার্মোমিটার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য দুই পিস প্রোটেকটিভ ক্লথ, তিনটি ইলেক্ট্রনিক থার্মাল থার্মোমিটার এবং সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে দুই পিস প্রোটেকটিভ ক্লথ, তিনটি ইলেক্ট্রনিক থার্মাল থার্মোমিটার প্রেরণ করা হয়। এছাড়া নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরীতে এক হাজারটি মাস্ক, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনকে এক হাজারটি মাস্ক, ডাক অধিদপ্তরকে এক হাজার একশতটি মাস্ক এবং অবশিষ্ট ১৯শত মাস্ক ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং এর অধীন আরো ৮টি সংস্থার কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে ডাকঘরের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়।
#
শেফায়েত/ফারহানা/মোশারফ/সেলিম/২০২০/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫০৬
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৬৪টি জেলায় এ পর্যন্ত ১ লাখ ৪ হাজার ২ শত ৬৭ মেট্রিক টন জিআর চাল এবং শিশু খাদ্য-সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ৫৩ কোটি ৬৫ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা জিআর (ক্যাশ) নগদ জেলা প্রশাসকের অনুকূলে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী আজ দেশে নতুন করে আরো ৪৯৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ৯১৩ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ জন-সহ এ পর্যন্ত এ রোগে ১৫২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৮১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
দেশে মোট ২১টি প্রতিষ্ঠানে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা সম্পাদিত হচ্ছে। দেশে সর্বমোট ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ৩২১টি পিপিই সংগ্রহ করা হয়েছে, তার মধ্যে মোট বিতরণ করা হয়েছে ১২ লাখ ৮০ হাজার ৩৮টি এবং ২ লাখ ৫৪ হাজার ২৭৪টি মজুত আছে।
আশকোনা হজ ক্যাম্পে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ৪০০ জন এবং ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে ৬০০ জন, উত্তরা দিয়াবাড়িতে ১১০ জন এবং সাভারের বিপিএটিসিতে ৩০০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আশকোনা হজ ক্যাম্পে মোট ৩২০ জন এবং ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে ১৮২ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে।
সারা দেশে ৬৪টি জেলার সকল উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬০১টি প্রতিষ্ঠান এবং এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সেবা প্রদান করা যাবে ৩০ হাজার ৬৩৫ জনকে।
#
তাসমীন/ফারহানা/মোশারফ/সেলিম/২০২০/১৮১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫০৫
রমজানে বিষোদগার ও মিথ্যাচারের রাজনীতি পরিহার করুন
-- বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
পবিত্র রমজানে বিষোদগার ও মিথ্যাচারের রাজনীতি পরিহার করতে বিএনপি'র প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে অনলাইনে দেওয়া বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মানুষের জীবন রক্ষা, খাদ্য সহায়তা দান ও অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে জিডিপির ৩ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি প্রণোদনা ঘোষণাসহ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা আজ সমগ্র বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ও বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বস-ও প্রধানমন্ত্রীর এ সকল কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেছে।
'কিন্তু আমরা দেখছি, বিএনপি তাদের বিষোদগারের রাজনীতি পরিহার করতে পারেনি এবং গতকাল রিজভী সাহেব যে ভাষায় কথা বলেছেন, আমি তাকে অনুরোধ জানাবো, রমজান মাসে কথাবার্তায় একটু সংযমী হওয়ার জন্য' উল্লেখ করেন ড. হাছান। তিনি বলেন, 'রমজান মাসে বিষোদগার ও মিথ্যাচারের রাজনীতি পরিহার করে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের জনগণের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন।'
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আমাদের দলের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে এবং দলের পক্ষ থেকে যে কমিটি করার কথা বলা হয়েছে, তারা দলের এই ত্রাণ বিতরণ করছে। ইতোমধ্যেই লাখ লাখ মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছানো হয়েছে। সেই সংখ্যাটাও সহসাই জানানো হবে। দলের কমিটিকে সরকারি ত্রাণের সাথে এজন্য সমন্বয় করতে বলা হয়েছে, যাতে একজন ব্যক্তিই বারবার ত্রাণ না পায় আবার যেন কেউ বাদ না যায়।'
এ সময় আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা ও উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।
#
আকরাম/ফারহানা/মোশারফ/সেলিম/২০২০/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫০৪
পাটকল শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধে ১১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অওতাধীন বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (বিজেএমসি) কর্তৃক পরিচালিত পাটকলসমূহের শ্রমিকদের মার্চ-এপ্রিল, ২০২০ পর্যন্ত ৮ সপ্তাহের বকেয়া মজুরি পরিশোধের নিমিত্ত ১১৬ কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক আজ অর্থ মন্ত্রণালয় এ অর্থ বরাদ্দ প্রদান করেন। বরাদ্দকৃত এ অর্থ শ্রমিকদের নিজ নিজ একাউন্টে চেকের মাধ্যমে প্রদান করা হবে।
‘অর্থ মন্ত্রণালয় থোক বরাদ্দ হিসেবে ১১৬ কোটি টাকা প্রদান করেছে। এটাকে 'পরিচালন ঋণ' বা 'অপারেশন লোন' হিসেবে বরাদ্দ প্রদান করা হলো। বিজেএমসি শ্রমিকদের প্রত্যেকের নিজস্ব ব্যাংক হিসাবে এই টাকা পরিশোধ করতে হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২৬ এপ্রিল স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, আগামী ২০ বছরে ৫ শতাংশ সুদে ষান্মাসিক কিস্তিতে এ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। আর এ জন্য অর্থ বিভাগের সঙ্গে বিজেএমসিকে একটি ঋণ চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। চিঠিতে বিশেষভাবে বলা হয়েছে, বরাদ্দ দেওয়া অর্থ কেবল শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি খাত ব্যতীত অন্য কোনো খাতে ব্যয় করা যাবে না। বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে সরকারের বিদ্যমান বিধি - বিধান অনুসরণ করতে হবে। বিধি বহির্ভূতভাবে কোনো অর্থ পরিশোধ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন।
#
সৈকত/ফারহানা/মোশারফ/সেলিম/২০২০/ ১৭২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫০৩
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো কোনো দেশকেই র্যাপিড কিটস পরীক্ষার অনুমোদন দেয়নি
-- মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সেল
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সেল কর্তৃক আয়োজিত “কোভিড-১৯ পরীক্ষার কিটস” সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ও মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মোঃ হাবিবুর রহমান খান ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বক্তৃতা করেন।
ব্রিফিং এর শুরুতে অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ এর প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কর্তৃক গত ২৬ এপ্রিল, ২০২০ তারিখে সাংবাদিক সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের বিষয়টি তুলে ধরেন এবং জানান “গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ কিটস পরীক্ষার বিষয়াদি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ঔষধ প্রশাসনকে যেভাবে দোষারোপ করেছেন তা মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। প্রকৃতপক্ষে গণস্বাস্থ্য তাঁদের দাবির ক্ষেত্রে কোনো রকম প্রটোকল মানা হয়নি। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তাঁদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না রেখেই ঢালাওভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দোষারোপ করেছেন।
গণস্বাস্থ্যের র্যাপিড পরীক্ষার কিটস প্রসঙ্গে মিডিয়া সেলের আহবায়ক আরো বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোন দেশকেই র্যাপিড কিটস পরীক্ষার অনুমোদন দেয়নি। এক্ষেত্রে গণস্বাস্থ্যের র্যাপিড কিটস পরীক্ষারও আপাতত কোনো সুযোগ নেই। তবে ভবিষ্যতে র্যাপিড কিটস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত ও নির্দেশিত হলে গণস্বাস্থ্যের কিটস গ্রহণে সরকারের কোনো আপত্তি থাকবে না।
গণস্বাস্থ্যের কিটস গ্রহণ না করা ও ঔষধ প্রশাসনের অসহযোগিতা প্রসঙ্গে ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহাবুবুর রহমান সরকারের পক্ষে নানা তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন। গণস্বাস্থ্যের পক্ষ থেকে ঔষধ প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ধন্যবাদ জ্ঞাপনমূলক বেশ কিছু চিঠি সরকারকে দিয়েছে, সেগুলো তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহাবুবুর রহমান বলেন, গণস্বাস্থ্যের পক্ষ থেকে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। প্রকৃতপক্ষে গণস্বাস্থ্যকে সরকারিভাবে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। কিন্তু গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র সরকারের কোনো প্রটোকল আজ পর্যন্ত মেইনটেইন করেনি। ঔষধ প্রশাসন গণস্বাস্থ্যের কেন্দ্রে সরকারিভাবে বারবার পরিদর্শনে গিয়েছে।
ব্রিফিং শেষে অনুষ্ঠানে আগত সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন উভয় বক্তা। এক প্রশ্নের উত্তরে হাবিবুর রহমান খান জানান, করোনা প্রতিরোধে খুব দ্রুতই আরো ২ হাজার চিকিৎসক ও ৬ হাজার নার্স নিয়োগ করা হবে। করোনা মোকাবেলায় সরকারের হাতে ১ লাখেরও বেশি কিটস মজুদ আছে বলেও সরকারের অতিরিক্ত সচিব ব্রিফিংয়ে জানান।
#
মাইদুল/ফারহানা/মোশারফ/সেলিম/২০২০/ ১৭৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫০২
সরকারি খরচে ১০ বছরে পাঁচ লাখ দরিদ্র-অসহায় মানুষকে আইনি সহায়তা
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
দশ বছরে পাঁচ লাখ সাত হাজার চল্লিশ জন দরিদ্র-অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা প্রদান করেছে সরকার। ২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে এ সহায়তা প্রদান করা হয়। একই সময়ে সংস্থাটি ৩৫ কোটি ৩৬ লাখ ১৩ হাজার ৪২২ টাকা দরিদ্র-অসহায় মানুষকে ক্ষতিপূরণ আদায় করে দিতে সক্ষম হয়েছে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায় সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচারপ্রাপ্তিতে অসমর্থ জনগোষ্ঠীর আইনি অধিকার নিশ্চিতকল্পে তাদেরকে আইনগত সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে ২০০০ সালে প্রণয়ন করা হয় আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০।
সংস্থাটি বিগত ১০ বছরে ৬৪ টি জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৮২৩ জনকে, সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ২০ হাজার ৯২ জনকে, জাতীয় হেল্প লাইন কলসেন্টারের ১৬৪৩০নম্বরে ফোন কলের মাধ্যমে ৮৩ হাজার ৯১৮ জনকে এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম শ্রমিক আইনগত সহায়তা সেলের মাধ্যমে ১৮ হাজার ২০৭ জনকে আইনগত সহায়তা প্রদান করেছে। একই সময়ে সংস্থাটি ১ লাখ ২৬ হাজার ৪৯২ টি লিগ্যাল এইড মামলা নিষ্পত্তি করেছে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এর নির্দেশনায় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার জাতীয় হেল্প লাইন কলসেন্টার (১৬৪৩০) বর্তমানে ২৪ ঘন্টা খোলা রাখা হয়েছে এবং জনগণকে আইনি পরামর্শ সেবা দেওয়া হচ্ছে। আইনি সহায়তা গ্রহণ সহজীকরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল এ কল সেন্টার উদ্বোধনের পর থেকে অফিস চলাকালীন এ কল সেন্টার থেকে আইনি পরামর্শ সেবা দেওয়া হচ্ছিল। সাম্প্রতিক করোনা ভাইরাস পরিস্থিত<