Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd August ২০২৩

তথ্যবিবরণী ২২ আগস্ট ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর :  ৬৩১

‍‍‍‍‍‍‍‍আওয়ামী লীগ সরকারের বিকল্প কেবল আওয়ামী লীগই

                                         -- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):

 

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি; উন্নয়ন-অগ্রগতি ও শান্তি-সমৃদ্ধির প্রতীক। অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ চেতনায় বিশ্বাসী। তাই আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো বিকল্প নেই। এর বিকল্প কেবল আওয়ামী লীগই।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর গুলিস্তানে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত গ্রন্থাগারভিত্তিক বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি কার্যক্রমের সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

প্রধান অতিথি বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এতে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সমাজের আলোকিত ও সচেতন মানুষের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। আর এ আলোকিত ও সচেতন মানুষ হচ্ছেন গ্রন্থাগারের পাঠক সমাজ। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে প্রায় ৯০০টি বেসরকারি গ্রন্থাগার বা পাঠাগার রয়েছে। তারা যদি তাদের আশপাশের মানুষকে সচেতন করেন, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শের দীক্ষা দেন এবং সর্বোপরি আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করেন, তাহলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় সুনিশ্চিত।

 

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ও অধ্যাপক রূপা চক্রবর্তী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দনিয়া পাঠাগারের প্রতিনিধি শাহ নেওয়াজ।

 

উল্লেখ্য, গ্রন্থাগারভিত্তিক বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি কার্যক্রমে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহের ২০টি বেসরকারি গ্রন্থাগার অংশগ্রহণ করে।

#

ফয়সল/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/২০২০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ৬৩০

বঙ্গবন্ধু অকৃত্রিমভাবে বাংলার মানুষকে ভালবাসতেন বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে

                                                                                           --- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):

          স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সারাটি জীবন মানুষের মুক্তির সংগ্রামে উৎসর্গ করেছেন। বঙ্গবন্ধু অকৃত্রিমভাবে বাংলার মানুষকে ভালবেসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ভূখণ্ড পেয়েছে। তিনি আরো বলেন, ১৫ই আগস্টের ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে সোনার বাংলার বাস্তবায়ন করার সুযোগ দেয়নি। তবে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের ২০০টি দেশের মধ্যে ৩৫তম অর্থনীতির দেশে পরিণত করেছেন।

          মন্ত্রী আজ ঢাকার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর অডিটোরিয়ামে স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কর্ম ও জীবনীভিত্তিক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ রাশেদুল হাসান, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সরোয়ার হোসেন।

          মন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশের উন্নতি দেখে পাকিস্তানের মানুষ আফসোস করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এমন উচ্চতায় নিয়েছেন যে পাকিস্তানের বেশিরভাগ মানুষ মনে করে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে সব ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে, বর্তমানে বিশ্ব ব্যাংক এবং আইএমএফ এর তথ্য দ্বারাও এই ধারণা প্রমাণিত।

          মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের মহিমায় বিশ্বের যে কোন মহান নেতার কাতারে নিজ মহিমায় উজ্জ্বল। আমরা গর্বিত এরকম একজন মহান নেতাকে আমরা পেয়েছিলাম যিনি আমাদের স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনিই আমাদেরকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ভালোভাবে উন্নত জীবন গড়ার এবং মুক্তভাবে প্রাণখুলে বেঁচে থাকার স্বাদ নিতে। তাজুল ইসলাম বলেন, একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ যেখানে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট সবই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠেছিলেন। দেশকে তিনি যখন ধীরে ধীরে সঠিক পথে পরিচালনা করা শুরু করেছিলেন তখনই চক্রান্তকারী ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে বহু আগেই বাংলাদেশের মানুষের জীবন উন্নত হত।

          প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা লাভের মাত্র এক বছরের মাথায় আমাদের যে সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে মাত্র সাড়ে তিন বছরে যতটুকু উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়েছিলেন তা আজও অনুসরণীয়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে ২১ আগষ্টের মতো নির্মম ও বর্বর হত্যাকাণ্ডের পরও বিএনপি সেই ঘৃণ্য অপরাধকে অস্বীকার করে।

          বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কর্ম ও জীবনীভিত্তিক আলোচনা শেষে ১৫ আগস্ট এর সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

#

হেমায়েত/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/২০৫০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ৬২৯

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):  

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ২ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।                     

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৬ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১২ হাজার ৫৯২ জন।

 

#

 

সুলতানা/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৯৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর :  ৬২৮

‍‍‍‍‍‍‍‍

পানি সংরক্ষণে বন কাজ করে স্পঞ্জের মতো

                                 -- পার্বত্য সচিব

ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মশিউর রহমান বলেছেন, শুধু প্রজেক্টের মডেল, গাইড তৈরি আর সিস্টেম দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলে বন ও পানি সংরক্ষণ করা নিশ্চিত হবে না। পার্বত্য অঞ্চলের বন সংরক্ষণে পার্বত্য অঞ্চলের আপামর জনসাধারণকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে বন সংরক্ষণের পাশাপাশি পানি সংরক্ষণ করা নিশ্চিত হবে। তিনি বলেন, প্রকৃতিতে পানি সংরক্ষণে বন কাজ করে ঠিক স্পঞ্জের মতো।

 

আজ রাজধানীর বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের মাল্টিপারপাস হলরুমে চিটাগাং হিলট্রাক্টস ওয়াটারশেড কো-ম্যানেজমেন্ট এক্টিভিটি-লেসনস লার্নড এন্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এসব কথা বলেন।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য সচিব বলেন, পানি সংরক্ষণে পার্বত্য অঞ্চলে বন সৃজন, সংরক্ষণ ও প্রতিকারের বিষয়ে ভৌগোলিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক দিকগুলোকে বিবেচনা করে একটি যুগোপযোগী সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে। পার্বত্য সচিব বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দেশি-বিদেশি সংস্থার সাথে যৌথভাবে এর সমাধান করা সহজ হবে। ফরেস্ট রেজিস্ট্রেশন ও মালিকানা নিয়ে লিটিগেশন সমস্যা সংক্রান্ত কমিউনিটি চেঞ্জ মেকারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে এখনো ল্যান্ড সার্ভে হয়নি। তিনি বলেন, রিজার্ভ ফরেস্ট ট্রান্সফার হয় না। পার্বত্য চট্টগ্রামে ল্যান্ড কমিশন ও আইন তৈরি করা হয়েছে। বিধিমালা তৈরির কাজ চলছে। বিধিমালা হয়ে গেলে ভূমি সংক্রান্ত লিটিগেশন বা সমস্যা আর থাকবে না বলে জানান পার্বত্য সচিব। আইনগত জটিলতা নিরসনে শান্তি চুক্তির আলোকে দ্রুত কাজ করে যাচ্ছে সরকার। সরকারের সাথে ইউএসএইড ও ইউএনডিপি যৌথভাবে পার্বত্য অঞ্জলে বন সৃজন ও পানি সংরক্ষণের উপরে এ কর্মশালার আয়োজন করার জন্য ইউএএস এইড ও ইউএনডিপিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সচিব।

 

কর্মশালায় অভিজ্ঞরা জলাশয় সংরক্ষণে বন সৃজন, ভিলেজ কমন ফরেস্ট, রিজার্ভ ফরেস্ট সৃষ্টি করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও পরিবেশ ঠিক রেখে সম্মিলিতভাবে সকলকে বনায়ন সৃজন ও এর সুরক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই পার্বত্য অঞ্চলের বনায়ন, জলাশয় ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।

 

কর্মশালাটি ইউএসএইড, ইউএনডিপি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় সংস্থাসমূহের দেশি-বিদেশি প্রতিনিধি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি এই তিন জেলার কমিউনিটি চেঞ্জ মেকাররা অংশ নেন। কর্মশালায় পার্বত্য অঞ্চলে বনায়ন সৃজন ও পানি সংরক্ষণের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য শিক্ষণ ও এগিয়ে যাওয়ার পথ কি হতে পারে তা নিয়ে অংশীজনদের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

#

 

রেজুয়ান/পাশা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/১৮৫০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ৬২৭

 

ডিজিটাল ভূমিসেবা সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশন ও প্ল্যাটফর্ম দ্বিতীয় প্রজন্মে উন্নয়নে ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশ

 

ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):

          ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভূমি সেবা গ্রহিতাদের সেবার অভিজ্ঞতা অধিকতর সুবিধাজনক করতে ডিজিটাল ভূমিসেবা সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশন ও প্ল্যাটফর্ম দ্বিতীয় প্রজন্মে উন্নয়নের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

          আজ সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভূমিসেবা ডিজিটাইজেশন প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্বকালে ভূমিমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ প্রদান করেন। ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

          মন্ত্রী বলেন, যেকোনো ডিজিটাল প্রযুক্তির মতোই ভূমিসেবা ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি একটি চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়া। ভূমিসেবা প্রযুক্তির চলমান অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হলে দ্রুত গতিশীল বৈশ্বিক ডিজিটাল পরিমণ্ডলে পিছিয়ে পড়তে হবে। এতে সেবার মান বিঘ্নিত হতে পারে, এমনকি ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিপন্ন হতে পারে।

          মন্ত্রী এ ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ব্লকচেইন প্রযুক্তির কৌশলগত ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার কথা গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করে বলেন, ভূমিসেবা সিস্টেমের উন্নয়নে এই প্রযুক্তিগুলো বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে। তিনি বলেন, প্রযোজ্য বিধিবিধান ও নীতিমালা সংস্কার করা হচ্ছে নিয়মিত। এছাড়া, প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন এবং ক্ষেত্রবিশেষে আইন প্রণয়নেরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

          পূর্বের ম্যানুয়াল সেবা প্রদানের ধারা ও রীতিকে অধিকতর ডিজিটাল সেবাবান্ধব করার উদ্দেশ্যেই আমরা এসব কাজ করে যাচ্ছি, মন্ত্রী এ সময় যোগ করেন।

          সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ডোমেইন স্পেশালিস্ট সাবেক মুখ্য সচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় ভূমি জোনিং প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সাবেক সিনিয়র সচিব দিলওয়ার বখত সহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন ডিজিটাইজেশন প্রকল্পের পরিচালকবৃন্দ এবং ভূমিসেবা ডিজিটাইজেশন ভেণ্ডার কোম্পানির কর্মকর্তাগণ।

#

নাহিয়ান/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৮৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                     নম্বর : ৬২৬

বুকে পাথর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন

                                               ---  নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):

             নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করছি। তাঁর কাজকে এগিয়ে নিয়ে সফল জায়গায় পৌঁছে যাওয়া আমাদের দায়িত্ব। নেতৃত্ব একটি বড় বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আগামীতে শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব পাব কি না! একজনের পর, একজন আসবেন। শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব কখনও আসবে কি? তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বুকে পাথর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ১৫ ও ২১ আগস্টের ঘটনায় তাঁর উন্মাদ ও পাগল হয়ে যাওয়ার কথা। জাতির পিতার কন্যা হিসেবে তিনি ন্যূনতম সম্মান পাননি। তারপরেও হতাশ হননি। বাংলাদেশকে একটু ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনার জায়গায় নিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরের এবং শেখ হাসিনার ১৫ বছরের দেশ পরিচালনায় দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা পাকিস্তান ও ভারত থেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে। মাঝখানে দেশ পরিচালনার অবস্থা আপনারা জানেন। নেতৃত্ব কী জিনিস! নেতৃত্বের কারণে হয়নি। দেশ আগাতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী টার্গেট নির্ধারণ করেছেন। সে টার্গেট অনুযায়ী কাজ করতে হবে। যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে সচেষ্ট থাকতে হবে।

            প্রতিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থাসমূহের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের এডিপিভুক্ত ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠকে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

             নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল এবং দফতর ও সংস্থা প্রধানগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

            উল্লেখ্য, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২০২২-২৩ অর্থবছরে আরএডিপিতে সাতটি প্রকল্প সমাপ্ত করেছে। সমাপ্ত প্রকল্পগুলো হলো জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ‘নদী দূষণ, অবৈধ দখলদারিত্ব এবং অন্যান্য দূষণ থেকে ৪৮ নদী রক্ষা ও নদীর তথ্য ভান্ডার তৈরি ও সমীক্ষা প্রকল্প’; ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের মাদারীপুর শাখা স্থাপন; ধানুয়া-কামালপুর স্থলবন্দর উন্নয়ন, বাল্লা স্থলবন্দর উন্নয়ন, বিলোনিয়া স্থলবন্দর উন্নয়ন; বিআইডব্লিউটিএ’র ‘ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথের লক্ষ্মীপুর প্রান্তে মেঘনা নদী ড্রেজিং এর মাধ্যমে নাব্যতা উন্নয়ন এবং মোংলা বন্দরের জন্য সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন।

            নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩৩টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এর মধ্যে ২৮টি এডিপিভুক্ত, চারটি নিজস্ব অর্থায়নে এবং একটি স্কিম প্রকল্প। এজন্য বরাদ্দ পেয়েছে ৯ হাজার ৯৫৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এডিপিভুক্ত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৪ হাজার ৭৫২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ ৫ হাজার ২০২ কোটি ১০ লাখ টাকা। এডিপিভুক্ত ২৮টি প্রকল্পের  মধ্যে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তিনটি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ১৪টি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের দু’টি, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চারটি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) একটি, নৌপরিবহন অধিদফতরের একটি, নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদপ্তরের একটি এবং বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির একটি প্রকল্প। নিজস্ব অর্থায়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চারটি প্রকল্প। একটি স্কিম প্রকল্প-পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও মেইনটেনেন্স ড্রেজিং।

            উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৯টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আরএডিপিতে বরাদ্দ ছিল ৬ হাজার ৪০২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আরএডিপিভুক্ত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ৫২৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৮৭৫ কোটি টাকা।

পায়রা বন্দরের খসড়া মাস্টারপ্লান উপস্থাপন

            প্রতিমন্ত্রী পরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পায়রা বন্দরের খসড়া মাস্টারপ্লান উপস্থাপন সংক্রান্ত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

             বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক, মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস আলম, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহম্মেদ মোস্তফা, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম।

#

জাহাঙ্গীর/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৮৫৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ৬২৫

বঙ্গবন্ধু সবসময় নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাজনীতি করেছেন

                                                            --- আইনমন্ত্রী

ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):

          আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও আন্দোলন করেছেন। তিনি বাংলার মানুষকে তাদের অধিকার সমন্ধে শিখিয়েছেন এবং অধিকার আদায়ে কী করতে হয়, তাও জানিয়েছেন। এজন্য তিনি টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করেছেন এবং বাংলার সর্বস্তরের মানুষকে সংগঠিত করেছেন।

          আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে সন্ত্রাস-মৌলবাদ-জঙ্গিবাদের অভয়াশ্রম বিএনপি- জামায়াতের নির্দেশে ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা দিবসে শহিদদের স্মরণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

          আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ছয়দফা দিয়েছিলেন বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য। বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ে তিনি ১৩ বছর জেল খেটেছেন। তারপরও তিনি কখনই সামরিক জান্তার সঙ্গে আপস করেননি। বাংলার মানুষকে সত্যিকারভাবে ভালোবাসতেন বলেই তিনি বঙ্গবন্ধু।

          মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময়ই অনুধাবন করেছেন, জনগণের অধিকার, স্বাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ছাত্র সমাজের ভূমিকা অনন্য। সেজন্যই তিনি আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার আগেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

          সরকারের সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক এক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আনিসুল হক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম মিথ্যা কথা বলতে বলতে কোন পর্যায়ের মিথ্যা বলেন, নিজেও ভুলে গেছেন। একজন মিথ্যুক যদি সত্যকে মিথ্যা বানাতে চান, তাকে কষ্ট করতে হয়। একজন বুদ্ধিমান মিথ্যুক হলে, তাকে ধরতে দেরি লাগে। আর যদি কেউ আহাম্মকের মতো মিথ্যা কথা বলেন, তাহলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ধরা পড়ে যান। মির্জা ফখরুল ইসলাম হচ্ছেন সেই রকম মিথ্যুক। কারণ হলো তিনি প্রকৃত তথ্য না জেনেই কথা বলেন।

          বিএনপির মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম ভুলে গেছেন। মুফতি হান্নানকে অন্য কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তখন সেসব মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তখন এক পর্যায়ে মুফতি হান্নান বললেন, দেখুন, আমাকে তো ফাঁসিই দিয়ে দেবেন, আমি কিছু সত্য কথা বলতে চাই। কী সে সত্য কথা? পুলিশের কাছে বলব না, আমি বলব ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে। তখন তাকে বলা হলো, ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বললে তো ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি হিসেবে নিতে হবে। তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বলে গেছেন। তিনি জবানবন্দিতে তারেক রহমানের সেই হাওয়া ভবনের কথা এবং এই একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং হত্যা ষড়যন্ত্র কোথায় হয়েছে এবং সেটার আসল নায়ক কে, এসব বলে গেছেন। মির্জা ফখরুলকে বলব আপনি তথ্য জেনে নিয়ে কথা বলুন, তাহলে আপনাকে এতো মিথ্যাবাদী কেউ বলবে না।

          আলোচনা সভায় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। এতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

#

 রেজাউল/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৮০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ৬২৪

বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):  

 

বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী।

 

আজ সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি এর সাথে সাক্ষাৎকালে প্রতিমন্ত্রী এই আহ্বান জানান। এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

 

সাক্ষাৎকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দেশ। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে কাঙ্ক্ষিত মানে বিকশিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী মহা-পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। মহা-পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প নতুন যুগে প্রবেশ করবে। বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু ও উন্নয়ন সহযোগী জাপান বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের মাধ্যমে এ শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

 

প্রতিমন্ত্রীর কথার জবাবে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, আগামী অক্টোবরে জাইকার অর্থায়নে নির্মিত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং হতে যাচ্ছে জেনে জাপান আনন্দিত। বাংলাদেশ ও জাপানের মাঝে সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে চালু হতে যাওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সরাসরি ফ্লাইট দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে ভূমিকা রাখবে।

 

এছাড়াও, সাক্ষাৎকালে জাপানের রাস্ট্রদূত বাংলাদেশের পর্যটন মহা-পরিকল্পনা নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এভিয়েশন সেক্টরে চলমান উন্নয়ন সহায়তার পাশাপাশি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নেও জাপান সহযোগিতা করবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

#

 

তানভীর/পাশা/রেজাউল/২০২৩/১৭৫৮ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                     নম্বর : ৬২৩

বিএনপি মহাসচিব ২১ আগস্টের ঘাতকদের মুখপাত্র

  --তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):  

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘বিএনপি মহাসচিব ২১ আগস্টের ঘাতকদের মুখপাত্র। কারণ ২১ আগস্টের মতো এমন ভয়াবহ ঘটনাকে মির্জা ফখরুল সাহেব আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক বলেছেন যেখানে এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, তারা এটি ঘটিয়েছে। এমন জঘন্য, ঘৃণ্য, বীভৎস মিথ্যাচার একটি দলের মহাসচিব করতে পারেন, আমার বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্ছে।’

আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট খালেদা জিয়ার অনুমোদনক্রমে তার পুত্র তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যেই গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়েছিলো। আর পত্র-পত্রিকায় দেখলাম, মির্জা ফখরুল সাহেব গতকাল এই ঘৃণ্য গ্রেনেড হামলা নিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব বলেছেন- “যে জায়গায় অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো সেখানে না করে তারা অন্য জায়গায় কেন করলো”। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমরা ২১ আগস্টের কয়েকদিন আগেই মুক্তাঙ্গণে সমাবেশ করার জন্য অনুমতি চেয়েছিলাম কিন্তু অনুমতি দেওয়া হয়নি। শেষ মুহূর্তে আমাদের পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশ করার জন্য মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়। এতে প্রমাণ হয় যে গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করার সুবিধার্থেই মুক্তাঙ্গণে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয় নাই। কারণ মুক্তাঙ্গণে গ্রেনেড ছোঁড়ার সুবিধা সেভাবে নাই। আমাদের দলীয় কার্যালয়ের চারপাশের বিল্ডিং থেকে গ্রেনেড ছোঁড়া যায়। সে জন্যই সেখানে সমাবেশ করতে বলা হয়।’ 

তিনি বলেন, ‘সমাবেশের সময় বিল্ডিংয়ের ওপরে সাদা পোষাকে বা পোষাকধারী পুলিশ থাকে। কিন্তু সেই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট কোনো পুলিশ পাহারায় ছিলো না, পরিবর্তে সেখানে তৎকালীন বিএনপি সরকার, তারেক রহমান জঙ্গিদের অবস্থান নিশ্চিত করেছিলো এবং সেখান থেকেই গ্রেনেডগুলো ছোঁড়া হয়েছিলো।’

সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব এটি নিয়ে যেভাবে মিথ্যাচার করেছেন, তা আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল। আসলে বিএনপি তো হত্যার রাজনীতি করে আর তাদের মহাসচিব হচ্ছেন মির্জা ফখরুল সাহেব। তিনি বরাবরই মিথ্যাচার করে এসেছেন। এখন সম্ভবত তার মহাসচিব পদটা নড়েবড়ে হয়ে গেছে যে কারণে মিথ্যাচারের মাত্রাটা আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন।’ 

            গ্রেনেড হামলা মামলায় দুই দফা সাক্ষী দেওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘আমি আহত হিসেবে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী হিসেবে বিধায় তার বুলেটপ্রুফ গাড়িটি আমার স্বাক্ষরে হস্তান্তরের সময় সাক্ষী দিয়েছি। সাক্ষী-প্রমাণে সবকিছু স্পষ্ট হয়েছে এবং সেই মামলায় আসামীরা কনটেস্ট করেছে। কনটেস্ট করার পর দিবালোকের মতো সবকিছু স্পষ্ট হয়ে আদালতে তাদের শাস্তি হয়েছে। আসামীদের পক্ষ থেকে আপীল করা হয়েছে। প্রক্রিয়া সমাপ্ত হলেই শাস্তি কার্যকর হবে, তবে অনেক আসামী গ্রেপ্তার আছে।’

এ সময় সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘সরকার দেশে ভয়াবহ একটা কিছু ঘটাতে যাচ্ছে’ এ নিয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবের এ কথাতেই প্রমাণিত হয় যে, তারা কিছু ঘটাতে চাচ্ছে যেটি মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন। তারা এমন একটা কিছু ঘটাতে চাচ্ছে যাতে দেশে নির্বাচন ভন্ডুল করা যায় এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা যায়।’ 

ভারতীয় গণমাধ্যম ‘ফ

2023-08-22-14-53-4810bdbb8a70a9b2d023d42cc51ad715.docx