তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৮৭
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা
সম্পাদকের মায়ের মৃত্যুতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে) :
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট আব্বাস উদ্দিনের মা মরিয়ম বেগমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
মন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, প্রয়াত মরিয়ম বেগম (৭০) আজ সিলেট উপশহরের এফ ব্লকের বাসায় ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি ছেলে মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
#
রাশেদুজ্জামান/রাহাত/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/২২০২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৮৬
শিল্প খাতে সম্মাননা পেলেন ৪৪ শিল্পোদ্যোক্তা
ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে):
বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে ৪৪ জন শিল্পোদ্যোক্তাকে ২০২১ সালের জন্য বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (শিল্প) তথা সিআইপি (শিল্প) হিসেবে সম্মাননা প্রদান করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। ‘সিআইপি (শিল্প) নীতিমালা ২০১৪’ অনুযায়ী বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, পণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জাতীয় আয় বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। প্রতিবছর এ সম্মাননা প্রদানের কথা থাকলেও করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন কারণে সিআইপি (শিল্প) ২০১৭ সম্মাননা প্রদানের তিন বছর পর এবার সিআইপি (শিল্প) ২০২১ সম্মাননা প্রদান করা হলো।
আজ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন ও এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মোঃ জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সরকার দেশে শিল্প ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। কৃষিনির্ভর অর্থনীতি থেকে দেশ ক্রমশ শিল্প ও সেবাখাতমুখী অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সরকারের সঠিক দিক ও নীতি-নির্দেশনায় বাংলাদেশে ইতোমধ্যে নীরব শিল্প বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। শিল্পখাতে দেশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছে। শিল্প-কারখানায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রয়োগ বাড়ানো হয়েছে। জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্পখাতের অবদানও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ইতোমধ্যে ৩৭ শতাংশ অতিক্রম করেছে। এই ধারা অব্যাহত রেখে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে শিল্প মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের শিল্প উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতাও বাড়ছে। বিশ্ব-বাণিজ্যে আমরা প্রতিদিনই নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে কাজ করতে হবে। শিল্প মন্ত্রণালয় অতীতেও বেসরকারি শিল্পখাতের বিকাশে ফ্যাসিলিটেটরের ভূমিকা পালন করেছে। শিল্পায়নের স্বার্থে ভবিষ্যতেও আমরা এ দায়িত্ব পালন করে যাব। শিল্পখাতের অগ্রযাত্রায় বেসরকারি উদ্যোক্তাদের প্রতি আমাদের সরকারের সর্বোচ্চ সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ, তাঁর দর্শন ছিল ‘বাংলার মানুষের মুক্তি’। সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন করছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকন্যার সৃজনশীল নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার বাংলাদেশ এখন সমগ্র বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল এবং মধ্যম আয়ের দেশ। মধ্যম আয়ের এই বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছাতে হলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে কাজে লাগাতে হবে এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হবে।
সিআইপি (শিল্প) হিসেবে নির্বাচিত ব্যক্তিদের শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিচয়পত্র (সিআইপি কার্ড) প্রদান করা হয়। এর মাধ্যমে তাঁরা আগামী এক বছরের জন্য জাতীয় ও সিটি করপোরেশনের অনুষ্ঠান, নাগরিক সংবর্ধনায় দাওয়াত, ব্যবসাসংক্রান্ত কাজে ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার পাবেন। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। স্ত্রী, সন্তান ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে বিশেষ সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া সরকারের শিল্পবিষয়ক নীতিনির্ধারণী কমিটিতে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।
২০২১ সালের জন্য এনসিআইডি কোটায় ৬ জন এবং অন্যান্য ক্যাটেগরিতে ৩৮ জনকে সিআইপি (শিল্প) সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এনসিআইডি ক্যাটেগরি: জাতীয় শিল্প উন্নয়ন পরিষদ বা এনসিআইডি ক্যাটেগরিতে সিআইপি হচ্ছেন এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম; বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সভাপতি রুপালী হক চৌধুরী, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান এবং বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী।
বৃহৎ শিল্প (উৎপাদন): এ ক্যাটেগরিতে সিআইপি হচ্ছেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা অংশীদার এরিক এস. চৌধুরী, বিএসআরএম স্টিলস লিঃ এর চেয়ারম্যান আলী হুসাইন আকবর আলী, প্রাণ ডেইরি লিঃ এর চেয়ারম্যান মোঃ ইলিয়াস মৃধা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোবারক আলী, জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিক্স লিঃ এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জাবের, এসিআই লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আরিফ দৌলা, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল মোনেম লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম মাঈনউদ্দিন মোনেম, ফারিহা নিট টেক্স লিঃ এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মামুন ভূঁইয়া, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, হ্যামস গার্মেন্টেস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ সফিকুর রহমান, বাদশা টেক্সটাইলস এর উদ্যোক্তা পরিচালক কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, মীর সিরামিক লিঃ এর পরিচালক মাহরীন নাসির, ডিউরেবল প্লাস্টিক লিঃ এর পরিচালক উজমা চৌধুরী, রানার অটোমোবাইলস্ লিঃ এর চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, উইনার স্টেইনলেস স্টিল মিলস লিঃ এর চেয়ারম্যান মোঃ সোহেল রানা, তাসনিয়া ফেব্রিক্সের উদ্যোক্তা পরিচালক আহমেদ আরিফ বিল্লাহ, সোহাগপুর টেক্সটাইল মিলস লিঃ এর চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সিকদার, এনভয় টেক্সটাইলস লিঃ এর চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ এবং কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিংস লিঃ এর ভাইস চেয়ারম্যান ইমরান করিম।
বৃহৎ শিল্প (সেবা): এ বিভাগে সিআইপি হচ্ছেন এসটিএস হোল্ডিংস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার মনির উদ্দীন, এসবি টেল এন্টারপ্রাইজেস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকারিয়া শাহিদ, দি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ আতিকুর রহমান, কনকর্ড রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিঃ এর চেয়ারম্যান এসএম কামাল উদ্দিন এবং ইস্টার্ন হাউজিং লিঃ এর চেয়ারম্যান মনজুরুল ইসলাম।
মাঝারি শিল্প (উৎপাদন): এ বিভাগে সিআইপি হচ্ছেন বিশ্বাস পোলট্রি অ্যান্ড ফিশ ফিডস লিঃ এর চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান, ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিঃ এর ভাইস চেয়ারম্যান আক্তার জাহান হাসমিন মুক্তাদির, অকো-টেক্স লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সোবহান, জিন্নাত নিটওয়্যারস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আব্দুল জব্বার, রোমানিয়া ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির বাবলু, প্রমি এগ্রো ফুডস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ এনামুল হাসান খান, মাসকো পিকাসো লিঃ এর পরিচালক ফাহিমা আক্তার, টর্ক ফ্যাশনস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, জিন্নাত এ্যাপারেলস লিঃ এর চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ এবং মেসার্স সিটাডেল এ্যাপারেলস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মাহিদুল ইসলাম।
ক্ষুদ্র শিল্প (উৎপাদন): এ বিভাগে সিআইপি হচ্ছেন রংপুর ফাউন্ড্রি লিঃ এর পরিচালক চৌধুরী কামরুজ্জামান এবং এরফান এগ্রো ফুড লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মাহবুব আলম। এ ছাড়া মাইক্রো শিল্প ক্যাটেগরিতে নির্বাচিত হয়েছেন মাসকো ডেইরি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী এমএ সবুর।
#
মাহমুদুল/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/২২২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৮৪
ইউনিয়নসমূহে নিরবচ্ছিন্ন দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিচালনার
জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে বিসিসি’র চুক্তি স্বাক্ষর
ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে):
দেশের ২ হাজার ৬০০ ইউনিয়নে দ্রুতগতির ইন্টারনেট অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত, আপগ্রেডেশন, প্রতিস্থাপন, পরিচালনা এবং রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের জন্য বেসরকারি অংশীদার সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড এবং ফাইবার এট হোম লিমিটেডের সাথে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। ২ হাজার ৬০০টি ইউনিয়নের মধ্যে সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড ১ হাজার ২৯৩টি ইউনিয়ন এবং ফাইবার এট হোম লিমিটেড ১ হাজার ৩০৭টি ইউনিয়নে এ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান দু’টি আগামী ২০ বছর ২ হাজার ৬০০ ইউনিয়নে ইন্টারনেট সেবা সার্বক্ষণিক সচল রাখবে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, সামিট কমিউনিকেশনস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোঃ আরিফ আল ইসলাম এবং ফাইবার এট হোম লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিঃ জেঃ মোঃ রফিকুর রহমান স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
আজ আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে এ চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ভিত্তি রচনা করেছেন বঙ্গবন্ধু। আর তাঁর অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল বাংলাদেশের চারটি পিলার নির্ধারণের পর সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নে নেটওয়ার্ক স্থাপনে বিটিসিএল সফল না হওয়ায় ইনফো সরকার-৩ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে একই খরচে এক হাজার ইউনিয়নের পরিবর্তে ২ হাজার ৬০০ ইউনিয়নে এই নেটওয়ার্ক স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। এটাকে টেকসই করতে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দেশের ইন্টারনেট সেবা সুনিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পলক আরো বলেন, ইনফো সরকার-৩ প্রকল্পটি স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি পিলারকেই মজবুত করবে। নদীর তীর ও সমুদ্র বন্দরকে কেন্দ্র করে সভ্যতা গড়ে উঠেছে। এরপর রেল ও বিদ্যুৎকে নির্ভর করে গড়ে ওঠে শিল্প। কিন্তু কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের ফলে আমরা এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছি। সামনে শতভাগ ক্যাশলেস লেনদেন হবে বলেও তিনি জানান।
ইন্টারনেট ছাড়া ইনক্লুসিভ উন্নয়ন সম্ভব নয় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেট ব্যতীত জীবনযাপন অসম্ভব। টেকসই উন্নয়নে ইনফো সরকার সবক্ষেত্রেই শতভাগ সফল হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের খরচ হয়েছে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ২০ হাজার কিলোমিটার ফাইবার টানা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষা-চিকিৎসা-ব্যবসা-বিনোদন সেবা চলছে।
উল্লেখ্য, আইসিটি বিভাগের অধীন বিসিসি ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে। চুক্তির শর্ত মোতাবেক আগামী ২০ বছরের জন্য বিসিসি কোনো অর্থ ব্যয় করবে না। বিসিসি এই চুক্তির সার্বিক বিষয় তদারকি করবে।
বিসিসির নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাবিদ শফিউল্লাহ, ফাইবার এট হোম এর চেয়ারম্যান মঈনুল হক সিদ্দিকী। পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোঃ মুশফিকুর রহমান, ইনফো-সরকার (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের পরিচালক প্রণব কুমার সাহা।
#
শহিদুল/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/২২০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৮৩
শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের ছয়জন
--- ভূমিমন্ত্রী
ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে):
কর্মক্ষেত্রে শুদ্ধাচার চর্চার স্বীকৃতিস¦রূপ ভূমি মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাভুক্ত দপ্তর ও সংস্থার ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন।
আজ সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা সনদ ও স্মারক তুলে দেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এ সময় শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান ভূমিমন্ত্রী। ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, স্মার্ট ভূমিসেবার অন্যতম অনুষঙ্গ সুশাসন। আমরা যতই সিস্টেম বদল করি না কেন, সিস্টেম অপারেটর তথা পেছনের মানুষ যদি দক্ষ এবং সৎ না হন, চূড়ান্তভাবে উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। দক্ষ এবং সৎ গণকর্মচারী সুশাসন নিশ্চিতকরণের জন্য অপরিহার্য।
ভূমি মন্ত্রণালয় একটি সেবামুখী মন্ত্রণালয় উল্লেখ করে ভূমিমন্ত্রী এ সময় বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাভুক্ত দপ্তর ও সংস্থায় কর্মরত সবাইকে ভূমিসেবা গ্রহীতার সন্তুষ্টির কথা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।
এসময় জনগণকে সরকারের পরিকল্পিত স্মার্ট ভূমিসেবা বিষয়ে অবগত করা, ভূমিসেবায় নাগরিক অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং দ্রুত প্রযোজ্য সেবা দেওয়ার মাধ্যমে ভূমিসেবা সপ্তাহ ২০২৩ সফল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ভূমিসেবা সপ্তাহ ভূমিসেবা গ্রহণকারী, জমির মালিক এবং ভূমিসেবা প্রদানকারী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধি করার এক চমৎকার উপলক্ষ্য।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক মোঃ আরিফ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. মোঃ জাহিদ হোসেন পনির পিএএ, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোঃ খলিলুর রহমান ভূঞাঁ, সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক মোঃ মনজুর রহমান, অফিস সহায়ক মোঃ আব্দুর রহমান এবং অফিস সহায়ক মোঃ সাদ্দাম হোসেন নিজ নিজ ক্যাটাগরিতে ২০২১-২২ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার অর্জন করেন।
অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
#
নাহিয়ান/পাশা/সঞ্জীব/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/২০০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৮৮২
মুখস্হ বিদ্যা দিয়ে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব নয়
-- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে):
মুখস্হ বিদ্যা দিয়ে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, যে ভবিষ্যতের জন্য আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের তৈরি করছি সেই ভবিষ্যতে মূল দক্ষতাই হবে শিখতে পারার দক্ষতা। সেখানে একজন শিক্ষার্থীর যোগাযোগের দক্ষতা, সূক্ষ্ম চিন্তার দক্ষতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, অনেকের সঙ্গে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে। আর যে শিক্ষার্থী যত বেশি সৃজনশীল ও মুক্তচিন্তা করবে সেই শিক্ষার্থী এসব বিষয়ে ততই দক্ষ হয়ে উঠবে। মুখস্হ বিদ্যা দিয়ে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব হবে না।
আজ রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় দিবসসমূহে বিভিন্ন সৃজনশীল কাজে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার রূপান্তর ঘটানোর জন্য আমরা নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে এসেছি। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতি নতুনভাবে করা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শ্রেণিতে এই নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আমরা একজন শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, সৃজনশীল কাজে ঢাকার বাইরের শিক্ষার্থীরা যেভাবে জড়িত ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা সেভাবে জড়িত নয়। শহরের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার বাইরে কিছু করতে দেওয়া হয় না। বলা যায়, শহরের শিক্ষক-অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের মানসিক নির্যাতন করছেন। ভালো ফল করার চাপ দিয়ে তাদের জীবন বিপন্ন করে দেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী আরো বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশেই ১৬ বছর বয়য়ের আগে কোনো শিক্ষার্থীকে মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। অথচ আমাদের দেশে ১০ বছর বয়স হলেই একটি ছেলেকে মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এই শিক্ষার্থীর যখন মেধা অর্জনের সময়, শিক্ষা গ্রহণের সময় তখন তাকে মেধাবী শিক্ষার্থীর তকমা দিয়ে নির্যাতনের মুখে ফেলে দেওয়া হয়। আমরা তাকে মূল্যবোধ শেখার কোনো সুযোগ দিচ্ছি না, সৃজনশীলতা বিকাশের সুযোগ দিচ্ছি না।
মাউশির পরিচালক (প্রশাসন) শাহেদুল খবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ কামাল হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান প্রমুখ।
#
খায়ের/পাশা/মোশারফ/লিখন/২০২৩/ঘন্টা১৯১৪
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৮৮১
সরকার বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে
-- পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সরকার বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধের জন্য জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। সে লক্ষ্যে অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী ক্রয়-বিক্রয়, শিকার, হত্যা, পাচারজনিত অপরাধ নিয়ন্ত্রণসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের লক্ষ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টিতে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া বনজ সম্পদের অবৈধ আহরণ নির্মূলে মাঠ পর্যায়ের প্রত্যেক বিভাগ ও ইউনিট নিয়মিত টহল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
‘বাস্তবায়ন করি অঙ্গীকার, জীববৈচিত্র্য হবে পুনরুদ্ধার’- প্রতিপাদ্যে সোমবার আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস-২০২৩ পালন উপলক্ষ্যে বন অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, সরকার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইতোমধ্যে জাতিসংঘের ‘কনভেনশন অন বায়োলজিক্যাল ডাইভার্সিটি’-তে স্বাক্ষর করেছে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও এর উপাদানসমূহের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে “বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য আইন-২০১৭” প্রণয়ন করা হয়েছে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বন্যপ্রাণীর অবাধে বিচরণ ও প্রজননের জন্য ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ২৫টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, ২০টি জাতীয় উদ্যান, ২টি বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা, ২টি মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া, ১টি উদ্ভিদ উদ্যান, ৩টি ইকোপার্ক এবং ২টি শকুন নিরাপদ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে।
বনমন্ত্রী বলেন, সরকার বঙ্গোপসাগরের সোয়াচ অভ্ নো গ্রাউন্ডের ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮০০ হেক্টর এলাকা এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপ সংলগ্ন ১ হাজার ৭৪৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া হিসেবে ঘোষণা করেছে; যার ফলে এখন আইনের মাধ্যমে এই বিশাল সামুদ্রিক এলাকার জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
শাহাব উদ্দিন বলেন, জীববৈচিত্র্য সংক্রান্ত গবেষণার জন্য অর্থায়ন করা হচ্ছে। দেশে প্রথমবারের মতো বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ প্রজাতির লাল তালিকা প্রণয়নের কার্যক্রম প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। জীববৈচিত্র্যের লীলাভূমি সুন্দরবন রক্ষায় সরকারি অর্থায়নে একাধিক প্রকল্প চলমান রয়েছে। জীববৈচিত্র্যের অন্যতম উপাদান উদ্ভিদ কিংবা প্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রতিবেশ ব্যবস্থার ওপর নেমে আসবে চরম বিপর্যয়। জীববৈচিত্র্য বিপন্ন হলে বিপর্যস্ত হবে মানবসভ্যতাও। তাই আমাদের নিজেদের স্বার্থেই জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে অগ্রণী হতে হবে। সুতরাং, জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধার কার্যক্রমকে আরো কার্যকরী ও গতিশীল করতে হলে সকলের অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে হবে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার; মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী; মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী।
এরপূর্বে রাজধানীর শাহবাগ হতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
#
দীপংকর/পাশা/মোশারফ/লিখন/২০২৩/ঘন্টা১৮২৩
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮৮০
হত্যা-খুনের রাজনীতি থেকে বিএনপি বেরিয়ে আসতে পারেনি
--তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ৮ জ্যৈষ্ঠ (২২ মে) :
বিএনপি হত্যা-খুনের অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি__বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ সচিবালয়ে টেলিভিশন নাট্যপরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ এর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্যদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির রাজশাহী জেলা আহ্বায়ক প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে-এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপি আসলে ষড়যন্ত্রের রাজনীতিটাই করছে। বিএনপি নেতাদের মনে এবং দলের মধ্যে এটাই ঘুরপাক খাচ্ছে, আর সেটাই তাদের রাজশাহী জেলা আহ্বায়কের মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে।’
সাংবাদিকরা এ সময় ঢাকাস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশে চলাফেরায় সতর্কবার্তা জারি নিয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ এটিকে বিএনপির অপরাজনীতিরই ফসল বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘মার্কিন দূতাবাসের এটি করা খুবই স্বাভাবিক। বিএনপি যেভাবে গাড়ি-ঘোড়া ভাংচুর করা শুরু করেছে, আবার যেভাবে গাড়িতে আগুন দেওয়া শুরু করেছে, এগুলো দেখেই তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে। বিএনপি এবং বিএনপির নেতৃত্বে তাদের জোট যদি এ রকম জ্বালাও-পোড়াও করতে থাকে তাতে অনেকেই এমন সতর্ক করতে পারে। এটি বিএনপির অপরাজনীতিরই ফসল।’
বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠানগুলোর মান নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশ বিবেচনায় নিলে মানুষ বাংলাদেশ টেলিভিশনই বেশি দেখে। বিটিভি’র অনুষ্ঠানে বহু গুণগত পরিবর্তন এসেছে। যে কোনো টেলিভিশনের চেয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রোগ্রামের মান এখন অনেক উন্নত।’
নাটক, টেলিফিল্ম, সিনেমাতে সমাজের জন্য বার্তা থাকা দরকার –তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
এর আগে ডিরেক্টরস গিল্ডের সঙ্গে সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ বলেন, আমরা সব টেলিভিশনকে উৎসাহ দিচ্ছি যাতে তারা বাংলাদেশের শিল্পী, কলাকুশলীদের নিয়ে দেশের কৃষ্টি, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সিরিয়াল বানায়। একইসাথে সেগুলো যেন সমাজকে ভালো জিনিস শেখায়। যে কোনো সিরিয়াল বা নাটক যেমন বিনোদন দেবে পাশাপাশি যদি সেখানে সমাজ হিতৈষী বার্তা থাকে, তাহলে সেটিকে আমি যথার্থ এবং পরিপূর্ণ মনে করি।
ডিরেক্টরস গিল্ড সভাপতি অনন্ত হীরা সংগঠনের পক্ষে তিনটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টে ডিরেক্টরস গিল্ডের একজন প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তি, টেলিফিল্মকে আলাদা ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আওতায় আনা এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে কর্মরতদের পেশার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের প্রস্তাব উত্থাপন করেন তিনি। সহ-সভাপতি মনোজ সেনগুপ্ত বিটিভিতে ডিরেক্টরস গিল্ড সদস্যদের পালাক্রমে কাজে সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার প্রস্তাব দেন।
মন্ত্রী প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনার আশ্বাস দেন এবং বলেন, ‘বাংলাদেশে টেলিভিশনের সংখ্যা যত বৃদ্ধি পাচ্ছে নাটকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে, দেশি সিরিয়াল বৃদ্ধি পাচ্ছে, এটি ক্রমবর্ধমান সেক্টর। আমরা বাংলাদেশে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে যথেচ্ছভাবে বিদেশি সিরিয়াল প্রচারের লাগাম টেনে ধরেছি। কোনো টেলিভিশন চ্যানেলে এক সাথে একটার বেশি সিরিয়াল প্রচার করতে দিচ্ছি না। অনেক দেশের সিরিয়াল দেখানোর জন্য যেমন আমাদের কাছে আবেদন আসে কিন্তু আমরা সবগুলো দেই না কারণ সেসব দেশের সমাজ ব্যবস্থার সাথে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ভিন্ন। এতে অনেক টেলিভিশন সতর্ক হয়েছে এবং তারা নিজেরা সিরিয়াল বানাচ্ছে। আগে এ বিষয়ে অনুমতির বালাই ছিলো না, প্রধানমন্ত্রী আমাকে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকে আমরা এ ব্যবস্থা নিয়েছি।’
তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ’র নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানান এবং দেশ ও দশের সেবায় তাদের আত্মনিয়োগের আহ্বান জানান।
ডিরেক্টরস গিল্ড কার্যনির্বাহী পরিষদের অপর সদস্যদের মধ্যে সহ-সভাপতি কায়সার আহমেদ, আশরাফুল আলম রন্টু, সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর, যুগ্ম সাধারণ সম&l