তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২৩
গভীর ভালোবাসা ও উৎসবের আমেজে ইতালিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদ্যাপিত
রোম (ইতালি), ১৭ মার্চ :
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস, রোম, ইতালি। ডিজিটাল প্লাটফর্মে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন, বাণী পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত, গ্রাফিক নোভেল প্রদর্শন এবং দেশি-বিদেশি আলোচকদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা এবং শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
সকালে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের পরে দূতাবাসের সভাকক্ষে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবনের ওপর নির্মিত একটি গ্রাফিক নোভেল প্রদর্শিত হয়। গ্রাফিক নোভেলটি প্রদর্শনের পরে সুস্মিতা সুলতানার নির্দেশনায় ইতালিতে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাংস্কৃতিক সংগঠন - সঞ্চারি সংগীতায়নের শিশু-কিশোরদের ধারণকৃত একটি মনোজ্ঞ সংগীত (শোন একটি মুজিবরের থেকে ......) পরিবেশিত হয়।
আলোচনা সভায় সম্প্রতি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রাপ্ত ইতালির নাগরিক ভিসেনজো ফালকোনে (ঠরহপবহুড় ঋধষপড়হব) এবং তাঁর স্ত্রী গ্রাজিয়েল্লা মেলানো লাউরা (এৎধুরবষষধ গবষধহড় খধঁৎধ) এ দিনটি উপলক্ষে তাদের শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। উল্লেখ্য, এ দম্পতি দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ বাংলাদেশের বসবাস করছেন এবং সাতক্ষীরা জেলায় ঋশিল্পী সংস্থার প্রতিষ্ঠা করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশি রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিকরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। আলোচকগণ বঙ্গবন্ধুর কর্মময় গৌরবান্বিত জীবনের ওপর আলোকপাত করে বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সৃষ্টি হতো না মর্মে উল্লেখ করেন। বক্তাগণ বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালবাসতেন, তাই আনন্দঘন এ দিনটিকে সরকার জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করছে।
রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহিদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধুমাত্র বাঙালি জাতিকেই স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্ব দেননি, সারা বিশ্বের নিপীড়িত-নির্যাতিত স্বাধীনতাকামী মানুষের মুক্তি সংগ্রামেও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও মানুষকে প্রেরণা যোগাবেন। তিনি আরো বলেন, ২০২১ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ হওয়ায় এ বছরটি বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর। রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাঙালিকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি প্রদান করা। গণমানুষের এ অধিকার আদায়ের জন্য তিনি সারা জীবন আন্দোলন করেছেন এবং বিভিন্ন মেয়াদে কারাগারে তাঁর কেটেছে প্রায় ১৩ বছর। বঙ্গবন্ধুর সম্মোহনী ব্যক্তিত্ব ও ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্ব সমগ্র জাতিকে একসূত্রে গেঁথেছিল যার ফলে বাঙালি পেয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর কিশোর জীবনের কিভাবে তাঁর মানবিক গুণাবলি ও শিশুদের প্রতি গভীর মমত্ববোধ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে তা তুলে ধরেন।
দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু-কিশোররা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ও বিজয়ী শিশু-কিশোরদের নাম ঘোষণা করা হয়।
#
বাংলাদেশ দূতাবাস,রোম/নাইচ/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/২২১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৩২২
বার্লিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও
জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন
বার্লিন, ১৭ মার্চ :
‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর হৃদয় হোক রঙিন’-এই প্রতিপাদ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ উদ্যাপন উপলক্ষে আজ বাংলাদেশ দূতাবাস, বার্লিন যথাযথ মর্যাদা ও উদ্দীপনার সাথে দূতাবাস প্রাঙ্গণে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে জাতীয় সংগীত বাজানোর মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরবর্তীতে রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির বাণী এবং দূতাবাসের মিনিস্টার এম মুরশিদুল হক খান প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। এছাড়া, দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর
মোঃ সাইফুল ইসলাম পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বাণী এবং দ্বিতীয় সচিব মোঃ খালিদ হাসান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলমের বাণী পাঠ করেন। ‘শিশুদের বঙ্গবন্ধু’ বিষয়ক ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক মূল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামমুখর জীবন, কর্ম, আদর্শ এবং একটি স্বাধীন দেশ গঠনে তাঁর ভূমিকা ও অবদানের বিষয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ও দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, কর্ম, আদর্শ আলোচনার পাশাপাশি শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম ভালোবাসার কথা তুলে ধরেন। জাতীয় শিশু দিবসের গুরুত্ব ও শিশুদের জন্য বর্তমান সরকারের মাইলফলক অর্জনসমূহ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বিশেষ গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নেতৃত্বের গুণাবলি ধারণ করে তাঁর কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের জন্য অর্থনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি শিশুদের সুনাগরিক এবং দেশপ্রেমিক হয়ে বেড়ে উঠতে যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই নিশ্চিত করছে।
পরবর্তীতে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ এবং বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া করা হয়।
#
তৌহিদুল/রোকসানা/সাহেলা/রফিকুল/আব্বাস/২০২১/২১৪২ ঘণ্টা
Handout Number : 1321
BD New Delhi mission held various programmes
on Bangabandhu’s 101st anniversary
New Delhi (India) March 17 :
Bangladesh High Commission in New Delhi today celebrated 101st Birth Anniversary of Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman and the National Children’s Day 2021 with a resolve to work for realizing his dream of building “Sonar Bangla.”
The day’s programme began with hoisting of national flag by Muhammad Imran at Chancery premises. High Commissioner Muhammad Imran, along with the members of the mission, placed a wreath at the portrait of Bangabandhu in the chancery building.
It was followed by reading out of messages from President Md. Abdul Hamid, Prime Minister Sheikh Hasina, Foreign Minister A.K Abdul Momen and State Minister for Foreign Affairs Md. Shahriar Alam.
In presiding over the meeting Imran said Bangabandhu’s illustrious life was cut short by his assassination in 1975, but his legacy and ideals will inspire the Bengali nation forever. He said main goal of Bangabandhu’s politics was the independence of the country, so he was successful. His daughter our able Prime Minister Sheikh Hasina is also working with the aim of building “Sonar Bangla”.
He Said “Our children should learn more about our father of the nation, the greatest Bengali of all time, so they can provide future leadership in transforming our country into Sonar Bangla dreamt by him,” he said.
The meeting was conducted by Minister (Political) Md. Nural Islam, where Brigadier General Md Abul Kalam Azad, Defence Adviser spoke on the occasion.
A special ‘munajat’ (prayers) was offered seeking divine blessings for Bangabandhu and those were brutally killed on the fateful night on August, 15, 1975.
Bangabandhu’s birthday is celebrated as National Children’s Day. Later art competition, essay competition and cultural programme was organized by the High Commission. Children of the mission took part in painting, essay writing on ‘Bangabandhu and Bangladesh’. Children joined the High Commissioner in cutting a cake in utmost tribute to Bangabandhu.
The mission has chalked a series of events throughout 101st Birth Anniversary including conferences, cultural festival and art exhibition. It will publish a Coffee Table Book in memory of Bangabandhu to mark the National and Independence Day on March 26.
#
Shaban/Nice/Mosharaf/Salim/2021/2125 Hrs.
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২০
বঙ্গবন্ধুর জীবনী মানেই বাংলাদেশের ইতিহাস
--স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৩ চৈত্র (১৭ মার্চ) :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর গোটা জীবনই আমাদের জন্য, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উৎসর্গ করে গেছেন। বিশ্বের অনেক দেশের স্বাধীনতা এসেছে হয় নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে অথবা টেবিল আলোচনার মাধ্যমে যাদেরকে কোনো রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করতে হয়নি। ভিয়েতনামের স্বাধীনতার জন্য তিরিশ বছর সংগ্রাম করতে হয়েছে। আর আমাদেরকে মাত্র নয় মাস যুদ্ধ করতে হয়েছে। এই নয় মাসে দেশের মানুষ যেভাবে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এই ঝাঁপিয়ে পড়ার শক্তি এসেছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের কারণে। বঙ্গবন্ধু সেই ভাষা আন্দোলন থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন স্বাধীনতা ছাড়া এ জাতির মুক্তি নাই। বঙ্গবন্ধু তাঁর ছয় দফায় স্বাধীনতার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের সেই ভাষণ দেশের সাধারণ মানুষকে এক সুতোয় বেঁধে নিয়েছিল, স্বাধীনতা যুদ্ধের মনোবল যুগিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর জীবন পর্যালোচনা করলে এক কথায় বলা যায়, বঙ্গবন্ধুর গোটা জীবনটাই হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাস।
আজ মহাখালীতে স¦াস্থ্য অধিদপ্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনায় গোটা বিশ্ব যেখানে হিমশিম খেয়েছে তখন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত মাথা উচু করে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখে যাচ্ছে। সবই সম্ভব হচ্ছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই। কাজেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে তাঁর সুযোগ্য কন্যার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা, মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, সিডিসি ও এনসিডিসি এর পরিচালকবৃন্দসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
#
মাইদুল/রোকসানা/সাহেলা/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/২১৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৩১৯
বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রিটোরিয়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন
প্রিটোরিয়া (দক্ষিণ আফ্রিকা), ১৭ মার্চ :
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অসীম অবদানের কথা স্মরণের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন হাই কমিশনার নুরে হেলাল সাইফুর রহমান। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের পর দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন হাইকমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ। বাণী পাঠের পর হাইকমিশনারের পরিচালনায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রবাসী বাংলাদেশিগণ। বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলনে এবং স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনে বঙ্গবন্ধুর মহান অবদানের কথাও উল্লেখ করেন তারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ হাইকমিশনারের সাথে কেক কাটায়ও অংশগ্রহণ করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী বিশেষ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়কার আন্দোলনে তাঁর অতুলনীয় ও দূরদর্শী নেতৃত্ব, পাকিস্তানি শাসকদের সাথে তাঁর আপোষহীন আলোচনা পর্বসমূহ, যুদ্ধকালীন হিমালয়সম চারিত্রিক দৃঢ়তা, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, দেশ গঠনে তাঁর পরিকল্পনাসমূহ ইত্যাদি উঠে আসে হাইকমিশনারের সমাপনী বক্তব্যে।
#
খালেদা/রোকসানা/সাহেলা/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/২১৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩১৮
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব বিশ্বের ইতিহাসে বিরল
-- বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
ঢাকা, ৩ চৈত্র (১৭ মার্চ) :
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক, বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর মতো এমন নেতা ও নেতৃত্ব বিশ্বের ইতিহাসে সত্যিই বিরল। তাঁর আদর্শ বাঙালির মাঝে চিরকাল বেঁচে থাকবে। একজন নেতার মাঝে যত ধরনের গুণাবলি থাকা সম্ভব, বঙ্গবন্ধুর মাঝে তার সবগুলোই ছিল; যে কারণে বঙ্গবন্ধু আজও আমাদের মাঝে উজ্জ্বল, চিরভাস্বর ও স্ব-মহিমায় উদ্ভাসিত। ক্ষমা, দয়া ও দানশীলতা বঙ্গবন্ধুর অন্যতম মহৎ গুণ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আজ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের গরিব-দুঃখীসহ সব মানুষের আশা-আকাঙ্খার ভরসার স্থল বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা হিসেবে হাজারও বাধা অতিক্রম করে, ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে তাঁর দূরদৃষ্টি ও বিচক্ষণতা এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। তাই দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার মাধ্যমেই মুজিব আদর্শ বাস্তবায়ন করা সম্ভব।’
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে আমাদের সবাইকে সোনার মানুষ হতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের চেতনার মূর্ত প্রতীক। নীতির ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন আপসহীন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন কোমল হৃদয় ও অসীম সহ্য ক্ষমতার অধিকারী। ত্যাগী ও সংগ্রামী নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর তুলনা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনায় সব সময় ছিল তাঁর দেশের জনগণের ও বিশ্বের মানুষের উন্নতি ও কল্যাণ। বঙ্গবন্ধুর অন্যতম মহৎ গুণ ছিল সাধারণ মানুষের প্রতি সীমাহীন ভালোবাসা। তিনি ছিলেন একজন খাঁটি বাঙালি। নিজের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা ছিল প্রবল। দেশকে তিনি নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসতেন। মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল অবিচল বিশ্বাস। তিনি ছিলেন বিশ্বের মানবতাবাদী ও শান্তিকামী মানুষের আদর্শ। নেতৃত্বের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসাধারণ ও তাঁর নেতৃত্বে মন্ত্রমুগ্ধের মতো জাদুকরি শক্তি ছিল। সে কারণেই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এবং নিজের জীবন বিলিয়ে দিতে একটুও ভাবেননি। নেতৃত্বের উচ্চতায় ও চরিত্রের দৃঢ়তায় রাষ্ট্রনায়ক জননেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আর কারো তুলনা করা যায় না বলেই আমি মনে করি। বঙ্গবন্ধু এমন একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব; যিনি ত্যাগের মহিমা ও দেশপ্রেমের কঠিন পরীক্ষায় সম্পূর্ণরূপে উত্তীর্ণ।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সব সময়ই স্মরণ করতে হবে। বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে সব সময়ই স্মরণ করবে। জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার মধ্য দিয়ে বাঙালির সত্তাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী, কুচক্রী-যড়যন্ত্রকারীদের সেই অভিলাষ পূরণ হয়নি। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড বাঙালি জাতির হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করেছে। বঙ্গবন্ধুর হৃদয় ছিল আকাশের মতো বিশাল। ব্যক্তিত্বে তিনি ছিলেন হিমালয় পর্বতের চেয়েও উঁচু। সে কারণেই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করায় সমগ্র বাঙালি জাতির হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়েছে ঠিকই কিন্তু মুজিব আদর্শ ও চেতনাকে তারা এক মুহূর্তের জন্যও ভুলে যায়নি। ইতিহাসের নির্মাতা, গরিব-দুঃখী-কাঙাল বাঙালির স্বপ্নের বীরপুরুষ বঙ্গবন্ধু আজও আমাদের ভালোবাসা ও ভরসার কেন্দ্রবিন্দু। সমগ্র বাঙালির মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চিরদিনই বেঁচে থাকবে। বর্তমান প্রজন্মসহ সমগ্র দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সেই লক্ষ্য পূরণেই দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন।’
রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল হাই ভুঁইয়া ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল প্রমুখ।
#
সৈকত/রোকসানা/পাশা/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩১৭
‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী
দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা’র দ্বিতীয় দিনের থিম ‘মহাকালের তর্জনী’
ঢাকা, ৩ চৈত্র (১৭ মার্চ) :
১৭-২৬ মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে প্রতিদিন পৃথক থিমভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অডিও ভিজ্যুয়াল এবং অন্যান্য বিশেষ পরিবেশনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। আগামীকাল ১৮ মার্চ এ অনুষ্ঠানের থিম ‘মহাকালের তর্জনী’।
মুজিব চিরন্তন প্রতিপাদ্যের ওপর টাইটেল অ্যানিমেশন ভিডিও পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হবে। এরপর আবহ সংগীত পরিবেশিত হবে। বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে স্বাগত সম্ভাষণ দেয়ার পর মহাকালের তর্জনী ভিত্তিক অডিও ভিডিও প্রদর্শিত হবে। এরপর থিমভিত্তিক আলোচনা করবেন ড. আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য অংশে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুনসেন’র ধারণকৃত ভিডিও বার্তা প্রচারের মাধ্যমে আলোচনা পর্বের সমাপ্তি হবে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে বন্ধু রাষ্ট্র ভিয়েতনামের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ধারণকৃত ভিডিও পরিবেশিত হবে। এরপর ‘মহাকালের তর্জনী’ থিমের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত অডিও ভিজ্যুয়ালে ফুটে উঠবে জাতির পিতার সংগ্রামী জীবনের নানা অধ্যায়। পটের গানের উপস্থাপনার মাধ্যমে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের সাথে অর্কেস্ট্রা মিউজিক, বিভিন্ন সময়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত গান, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর ভিত্তি করে লাইট এবং সাউন্ড শো, দুই প্রজন্মের শিল্পীদের মেলবন্ধনে মিশ্র মিউজিক পরিবেশনের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সমাপ্ত হবে।
অনুষ্ঠানটি বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটে শুরু হয়ে রাত ৮ টায় শেষ হবে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৬টা ৩০মিনিট পর্যন্ত ৩০ মিনিটের বিরতি থাকবে। বর্ণাঢ্য আয়োজনের এই অনুষ্ঠান সকল টেলিভিশন ও বেতার চ্যানেল, অনলাইন মিডিয়ায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
#
নাসরীন/রোকসানা/সাহেলা/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/২০৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৩১৬
সিডনিস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন
সিডনী, ১৭ মার্চ :
১৭ ই মার্চ বাংলাদেশ হাউসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা হয়। এ সময় কনস্যুলেটের কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কনসাল জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলম।
এ উপলক্ষে কনস্যুলেট ভবনে স্থানীয় অভিবাসী বাংলাদেশি, কম্যুউনিটির সদস্যবৃন্দ এবং কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সূচিত অনুষ্ঠানের শুরতেই পবিত্র ধর্ম গ্রন্থসমূহ থেকে বাণী পাঠ করা হয়। এরপর জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণকারী ও শাহাদতবরণকারী সকল মুক্তিযোদ্ধার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মহান আল্লাহ’র রহমত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। তাৎপর্যপূর্ণ এ দিবসে জাতীয় নেতৃবৃন্দ কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ উপস্থিত সুধীবৃন্দ ও অতিথিবৃন্দকে পাঠ করে শোনানো হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতার একচ্ছত্র নেতৃত্বের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে কনসাল জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। জাতির জনকের বর্ণাঢ্য জীবনের ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে কনসাল জেনারেল বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবদান কেবলমাত্র স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো না বরং তাঁর পুরো জীবনেই তিনি দেশকে ও দেশের মানুষকে ভালোবেসে অপরিসীম কষ্ট ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গিয়েছেন, যা পুরো জাতির জন্য আজীবন অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি আরো বলেন সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সফল নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছেন। এ উন্নয়নের পেছনেও রয়েছে জাতির পিতার দূরদর্শী নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন ও দেশ পরিচালনায় তাঁর সঠিক দিক নির্দেশনা ও প্রণীত রূপরেখা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবন পরবর্তী প্রজন্মকে ব্যক্তি জীবনে ধারণ করার ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শিশু কিশোরদের হৃদয়ে দেশ, জাতি, সংস্কৃতি সম্পর্কে মৌলিক ধারণা গড়ে তোলার লক্ষ্যে অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিশু কিশোর শিল্পীরা বাংলা ছড়া, গান, কবিতা, অভিনয়, নাচ ও সম্মিলিত বাদ্যযন্ত্র পরিবেশন করে। তাদের দৃষ্টিনন্দন পরিবেশনা উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে। কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণও এতে অংশগ্রহণ করেন।
সবশেষে কনসাল জেনারেল উপস্থিত শিশু কিশোরদের সাথে নিয়ে কেক কাটেন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিশু কিশোরদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
#
রোকসানা/সাহেলা/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/১৯৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩০৮
লিসবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ উদযাপন
লিসবন, ১৭ মার্চ :
যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ উদযাপন করেছে।
এ উপলক্ষে ব্যানার, পোস্টার এবং ফেস্টুনের সমন্বয়ে দূতাবাসকে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ রঙিন পোষাকে এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন। যদিও কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে পর্তুগিজ সরকার কর্তৃক আরোপিত বিধি-নিষেধ মেনে সীমিত পরিসরে দূতাবাস এ বছর এ কর্মসূচি আয়োজন করেছে।
সকালে চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচির সূচনা করেন।
পরবর্তীতে পর্তুগাল সরকারের নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে এক উৎসবমুখর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দদের সাথে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে নিয়ে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীর কেক কাটেন পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। এরপর দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর অনুষ্ঠ