Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩

তথ্যবিবরণী ৩০ জানুয়ারি ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ৩৬১

 

রাষ্ট্রপতির সাথে ৭টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

ঢাকা, ১৬ মাঘ (৩০ জানুয়ারি) :

বাংলাদেশে নিযুক্ত চার দেশের রাষ্ট্রদূত এবং তিন দেশের মনোনীত হাইকমিশনাররা আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের কাছে তাদের নিজ নিজ পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।

চার অনাবাসী রাষ্ট্রদূত হলেন : কিউবার আলেজান্দ্রো সিমানকাস মারিন, সার্বিয়ার সিনিসা প্যাভিক, মেক্সিকোর ফেদেরিকো সালাস লোটফি এবং বেলজিয়ামের দিদিয়ের ভ্যান্ডারহাসেল্ট। তিনজন অনাবাসিক হাইকমিশনার হলেন : ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর ড. রজার গোপাঊল, ঘানার কোয়াকু আসোমাহ-চেরেমেহ এবং কিংডম অভ্ ইসওয়াতিনির মেনজি সিফো ডালমিনি।

বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ঢাকার পররাষ্ট্রনীতি সবার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশ সবসময় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণকে অগ্রাধিকার দেয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে ঢাকায় তাঁদের দায়িত্ব পালনকালে এসব দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে।

বাংলাদেশকে বিপুল সম্ভাবনার দেশ উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বাংলাদেশ ও সংশ্লিষ্ট দেশের মধ্যে ব্যবসা ও বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারে সব ধরনের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানান। সাক্ষাৎকালে মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত জানান তারা খুব শীঘ্রই বাংলাদেশে দূতাবাস চালু করবেন। এর মাধ্যমে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে নতুন রাষ্ট্রদূতরা তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

 

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব সংযুক্ত মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, বঙ্গভবনে তাদের আগমনের সময়, অনুষ্ঠানের অংশ হিসাবে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি চৌকস অশ্বারোহী দল রাষ্ট্রদূতদের গার্ড অভ্ অনার প্রদান করে। পরে রাষ্ট্রদূতগণ সংস্কারকৃত বঙ্গভবনের তোষাখানা পরিদর্শন করেন।

#

ইমরানুল/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/মোশারফ/রফিকুল/মাহমুদ/আব্বাস/২০২৩/২০২৬ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৩৬০

স্টার্টআপ সংস্কৃতির বিকাশে বাংলাদেশ-জাপান স্টার্টআপ বিনিময় করবে

ঢাকা, ১৬ মাঘ (৩০ জানুয়ারি) : 

          স্টার্টআপ সংস্কৃতির বিকাশে বাংলাদেশ-জাপান স্টার্টআপ বিনিময় করবে। আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে তাঁর দপ্তরে বৈঠক করেন। এসময় তারা দু’দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষ করে আইসিটি খাতে যৌথ সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা স্টার্টআপ, উদ্ভাবন ও গবেষণার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। তিনি স্টার্টআপ সংস্কৃতির বিকাশে বাংলাদেশ-জাপান স্টার্টআপ বিনিময়, জাপান-বাংলাদেশ আইটি সামিট, জাপান-বাংলাদেশ আইটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে প্রস্তাব করেন। বাংলাদেশের ২৫টি স্টার্টআপ এবং জাপানের ২৫টি স্টার্টআপ মোট ৫০টি স্টার্টআপ বিনিময়ের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত একমত পোষণ করেন। এছাড়াও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি করাসহ অন্যান্য বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।

          বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ সরকার দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ ও জাপানের একসঙ্গে কাজ করার বেশ সুযোগ রয়েছে।

          এসময় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রনজিত কুমারসহ আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

স্পারসো-এটুআই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

          মহাকাশ বিজ্ঞান ও দূর অনুধাবন প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং এ সংক্রান্ত গবেষণা-উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো) এবং এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম-এর মধ্যে আজ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে  এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। স্পারসো এর চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সামাদ ও এটুআই প্রকল্পের পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স¦াক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

          অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব গোলাম মোঃ হাসিবুল আলম। 

#

শহিদুল/পাশা/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২৩/১৯৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৩৫৯

টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে নবনিযুক্ত বিজিবি মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা নিবেদন

ঢাকা, ১৬ মাঘ (৩০ জানুয়ারি) : 

          বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

          বিজিবি মহাপরিচালক আজ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান এবং বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময়  বিজিবি’র একটি সুসজ্জিত দল গার্ড অভ্ অনার প্রদান করে। এরপর বিশেষ মোনাজাত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনা করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের দীর্ঘায়ু ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়। পরে মহাপরিচালক বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।

          বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, মহাপরিচালক হিসেবে জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পেরে আমি নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মনে করছি। তিনি বলেন, ২২৭ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই বাহিনী বাংলাদেশের 'সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী' হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ইপিআর এর ওয়্যারলেসের মাধ্যমেই দেশের সব জায়গায় ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। তখন থেকেই বিজিবি দেশের স্বাধীনতা অর্জনে এবং বিভিন্ন সময়ে দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে কাজ করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজিবি তার ঐতিহ্য সমুন্নত রেখে সীমান্তরক্ষাসহ ভবিষ্যতে বিজিবি'র ওপর অর্পিত যেকোনো দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পালন করতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

          তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিজিবি সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। তিনি সীমান্তরক্ষাসহ দেশের মানুষের কল্যাণে সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

          এর আগে নবনিযুক্ত বিজিবি মহাপরিচালক পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরের ‘সীমান্ত গৌরব’ এ মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

          উল্লেখ্য, গত ২৯ জানুয়ারি মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

#

শরীফুল/পাশা/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২৩/১৯৩০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৩৫৮

 

নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই চালু হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু

                                                                       --রেলপথ মন্ত্রী

 টাঙ্গাইল ১৬ মাঘ (৩০ জানুয়ারি) :

রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হবে। যে গতিতে কাজ চলছে তাতে ২০২৪ সালের আগস্টের নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

মন্ত্রী আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শনের সময় পূর্ব প্রান্তে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর মধ্যে ১ দশমিক ১৫ কিলোমিটার ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। বারোটি পিলারের উপর এগারটি স্প্যান বসে গেছে। পূর্ব প্রান্তের অগ্রগতি অনেক ভালো। পশ্চিম প্রান্তে অগ্রগতি কিছুটা কম তবে ঠিকাদার তাদের কাজের গতি বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে পুরো প্রকল্পটি নির্ধারিত সময় ২০২৪ সালের আগস্টের আগেই যান চলাচলের জন্য খুলে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো বলেন, সেতু ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন হচ্ছে। এখানে ব্রডগেজে  ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলবে এবং সেতু পার হতে পাঁচ মিনিট সময় লাগবে, যেটি এখন প্রায় ৪০ মিনিট সময় লাগছে। ফলে সময় অনেক কমে যাবে। এই সেতুর মাধ্যমে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সাথে যোগাযোগ স্থাপিত হবে। ফলে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল, ভুটানের সাথে ট্রেন যোগাযোগ আরো বৃদ্ধি পাবে। অধিক সংখ্যক ট্রেন চালানো সম্ভব হবে যার ফলে  অভ্যন্তরীণ ট্রেন বৃদ্ধিসহ আন্তঃদেশীয় ট্রেনও অধিকারে চালানো যাবে এবং ভারত থেকে সরাসরি মালবাহী ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। 

উল্লেখ্য, জাইকার অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মিত হচ্ছে। ২০২৪ সালের আগস্টের মধ্যে সেতুর কাজ নির্ধারণ করা আছে। এটির মোট প্রকল্প ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। সর্বশেষ এ বছর জানুয়ারি পর্যন্ত প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ।

পরিদর্শনের সময় টাঙ্গাইলের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত পরিচালক অবকাঠামো মোঃ শহিদুল ইসলাম এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মোঃ মাসউদুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 

#

শরিফুল/পাশা/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/মাহমুদ/লিখন/২০২৩/১৮১৭ঘণ্টা

                                                                                                            

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৩৫৭

 

সিপিডি রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে

                                                  --- কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৬ মাঘ (৩০ জানুয়ারি) : 

           সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) একটি রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, সিপিডি রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে অনেক জরিপ করে। তারা একটি রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় আনতে চায় ও  তারা সেই দলের অংশীদার। এর আগেও ড. ইউনূসকে নিয়ে সিপিডি আন্তরিকতার সাথে জোরেশোরে মাঠে নেমেছিল। তখন জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছিল।

          আজ সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির অগ্রগতি সংক্রান্ত সভায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          ‘দেশে ব্যবসায়ে বড় বাধা দুর্নীতি’ সিপিডির সাম্প্রতিক জরিপের এমন ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলে মন্ত্রী বলেন, তাদের জরিপ পদ্ধতি মানুষকে জানানো দরকার। কী পদ্ধতিতে, কীভাবে, কতটা বস্তুনিষ্ঠভাবে তারা জরিপ করেছে তা প্রশ্নসাপেক্ষ। আর সিপিডি ধোয়া তুলসি পাতা নয়, নিরপেক্ষও নয়।

          কৃষিমন্ত্রী বলেন, করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারতের মতো দেশেও উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে, নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ যে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে, এটিকে সিপিডি কীভাবে দেখে? এ অর্জন কী যাদুবলে হয়েছে? বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা বলছে, দেশে এখন প্রবৃদ্ধি প্রায় শতকরা ৬ ভাগ। সিপিডি কি জানে দাম বৃদ্ধির কারণে টনপ্রতি ২৫০ ডলারের পটাশিয়াম সার কীভাবে আমরা ১২০০ ডলারে কিনে কৃষকদেরকে ভর্তুকিতে দিয়েছি।

          উন্নত দেশসহ সারা বিশ্বেই কম-বেশি দুর্নীতি রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে, জার্মানিতেও দুর্নীতির অনেক নজির রয়েছে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশেও কিছুটা দুর্নীতি আছে। খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় জেল খাটছেন। দেশ থেকে দুর্নীতি একেবারে নির্মূল হয়ে গেছে-তা বলা যাবে না।

          কৃষিপণ্য ও আলু রপ্তানির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্য ও আলু রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য আমরা দু’টি রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করছি। ইতিমধ্যে বিমান বন্দরে কৃষিপণ্যের জন্য আলাদা স্ক্যানার স্থাপন, মধ্যপ্রাচ্যে সরাসরি (সিঙ্গাপুর হয়ে যাওয়ার পরিবর্তে) কার্গো জাহাজ যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা বাস্তবায়ন ও পূর্বাচলে আধুনিক প্যাকিং হাউজ স্থাপনের কাজ চলছে। তবে এখনও ব্যাংকিং সমস্যা, কৃষিপণ্যের রপ্তানিতে প্রদত্ত শতকরা ২০ ভাগ প্রণোদনা ঠিকমতো না পাওয়াসহ কিছু সমস্যা রয়েছে, এগুলো নিরসনেও কাজ চলছে।

          সভায় কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি ও আলু রপ্তানি বৃদ্ধির রোডম্যাপ বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার। এতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধানসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, রপ্তানিকারক ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

#

কামরুল/পাশা/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২৩/১৮৩০ঘণ্টা

  

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৩৫৬

মানবাধিকার রক্ষায় সবরকম সহযোগিতা করবে সরকার

                                                                --- আইনমন্ত্রী

ঢাকা, ১৬ মাঘ (৩০ জানুয়ারি) :

          আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। তাই মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত সরকার। শুধু এ কমিশন নয়, যে মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে কাজ করবে সরকার তাকেই সহায়তা করবে।

          আজ সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা সাক্ষাৎ করতে আসলে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          শিশু ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, দেশের ৮০-৮৫ ভাগ মানুষ যেখানে বসবাস করে সেখানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এখনো পৌঁছাতে পারেনি, এসব জায়গায়ও কমিশনকে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, গ্রামীণ এলাকা ও তৃণমূল পর্যায়ের অধিকাংশ  মানুষ এখনো তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয়। এসব মানুষকে সচেতন করতে হবে এবং কমিশনকে সফল হতে হলে সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত প্রয়োজন। এজন্য  উপজেলা পর্যায়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও শিশুদের রচনা প্রতিযোগিতাসহ অন্যান্য প্রচার কার্যক্রম বাড়ানোর পরামর্শ দেন মন্ত্রী ।

          এসময় গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিএনপির সম্মেলনের পিছনে ষড়যন্ত্র ছিল উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও দেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হবে। অনেক নাটক সাজানো হবে। সত্যকে মিথ্যা এবং মিথ্যাকে সত্য বানানোর অনেক চেষ্টা হবে। সেখানে মানবাধিকার কমিশনকে তদন্ত করে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করতে হবে এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে হবে। তিনি বলেন,  মানুষে-মানুষে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সেখানেও মানবাধিকার কমিশনকে কাজ করতে হবে।

          মন্ত্রী কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য, কমিশন পাওয়া মাত্র সরকারকে জানানোর পরামর্শ দেন, যাতে সরকার তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে পারে।

          সাক্ষাৎকালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, কমিশনের অবৈতনিক সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, কংজরী চৌধুরী, ড. তানিয়া হক, কাওসার আহমেদ, কমিশনের সচিব নারায়ণ চন্দ্র সরকারসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

#

 রেজাউল/পাশা/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২৩/১৮২৫ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৩৫৫

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করতে কাজ করছেন

                                                                               --- পানি সম্পদ উপমন্ত্রী

শরীয়তপুর, ১৬ মাঘ (৩০ জানুয়ারি) :

          পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে চলছেন। মানুষ গ্রামে বসবাস করে শহরের সুবিধা ভোগ করছে। এ দেশের কৃষক-শ্রমিক, দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

          আজ শরীয়তপুরের নড়িয়া ও সখিপুরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন ও সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি এবং দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ সরকার। এই সরকারের আমলে দেশের যত উন্নয়ন হয়েছে এর আগে কোনো সরকার এত উন্নয়ন করতে পারেনি। এখন প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, গ্রামেগঞ্জে রাস্তাঘাট, সেতু কালভার্টে ভরপুর যা একসময় মানুষ কল্পনাই করতে পারেনি। সরকার যেখানে যা প্রয়োজন সব করছে। সকল প্রকার উন্নয়ন দিয়ে গ্রামকে শহরে রূপান্তর করা হবে। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও উদ্দেশ্য হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

          জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান সিকদার, সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবির,  নড়িয়ার নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাশেদউজ্জামান, ভেদরগঞ্জের নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

#

গিয়াস/পাশা/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২৩/১৭৩৫ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ৩৫৪

 

রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের সমাবেশ ছিল বিএনপির চেয়ে ১৪ গুণ বড়

   --তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ১৬ মাঘ (৩০ জানুয়ারি) :

রাজশাহীতে গতকাল আওয়ামী লীগের সমাবেশ বিএনপির চেয়ে ১২ থেকে ১৪ গুণ বড় ছিল বলেছেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ। আজ সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। 

 

ড. হাছান বলেন, ‘আসলে রোববার একটা অসাধারণ সভা হয়েছে। পুরো রাজশাহী শহরই জনসভায় পরিণত হয়েছিল। সভাস্থল মাদ্রাসা মাঠের বাইরে কমপক্ষে ১০-১২ গুণ মানুষ ছিল। বিএনপিও সেখানে সমাবেশ করেছিল। তাদের তুলনায় কতগুণ বড় সেটা অনুমান করা কঠিন। তবে বিএনপির সমাবেশের চেয়ে ১২-১৪ গুণ বড় তো বটেই। আকাশ থেকে প্রধানমন্ত্রীও সমাবেশ দেখেছেন। পুরো শহরজুড়ে যে মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা এবং সমাবেশে যাওয়ার জন্য আগ্রহ আমি দেখেছি সেটি অভাবনীয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি, তাঁর দলের প্রতি জনগণের যে বিপুল সমর্থন, এই জনসভায় সেটিই প্রমাণিত হয়েছে।’ 

 

বঙ্গবন্ধু ও চার নেতা হত্যার বিচার বন্ধ করেছিল জিয়া

 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য ‘এখনও ভোটের অধিকার, ন্যায় বিচারের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে’ -এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘আমি ফখরুল সাহেবকে সবিনয়ে অনুরোধ জানাবো আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখার জন্য, দলের চেহারাটাও দেখার জন্য। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করেছিল বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। সেখানে শুধু ন্যায় বিচার না, বিচারটাই বন্ধ করা হয়েছিল। কারাগারের অভ্যন্তরে চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল, সেটির বিচারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।’ 

 

‘জিয়াউর রহমানই এই দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন শুরু করেছে’ উল্লেখ করে হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে জিয়াউর রহমান যুক্ত ছিল এবং বঙ্গবন্ধুর লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী প্রধান হয়েছিল। যে সেনা কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করল, তাদের প্রচণ্ড বিশ্বস্ত না হলে জিয়াউর রহমান কি সেনাপ্রধান হতে পারত। আজকে সেটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট, প্রমাণিত, সত্য। এবং জিয়াউর রহমান নিজের ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য হাজার হাজার সেনাবাহিনীর অফিসারকে বিনা বিচারে ফাঁসি দিয়েছে। অনেকের ফাঁসি হয়েছে, রায় হয়েছে ফাঁসি কার্যকর হবার পরে। আজকে সেই নিহতদের পরিবারের সংগঠন ‘মায়ের কান্না’র বোবা কান্না আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে এবং বিদেশি কূটনীতিকদের কানেও গেছে।’ 

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভোটের অধিকারের কথা যদি বলেন- জিয়াউর রহমানের সময়, সাত্তার সাহেবের সময়, খালেদা জিয়ার সময়, এরশাদ সাহেবের সময় স্লোগান ছিল “১০টা হোন্ডা, ২০টা গুণ্ডা, নির্বাচন ঠাণ্ডা”। সেই অপসংস্কৃতি তারাই চালু করেছিল। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বিএনপিই করেছিল। তারা এক মাসের বেশি ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। তো আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখলেই উনি উত্তর পেয়ে যাবেন।’ 

 

 

-২-

 

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘বিএনপি যে ন্যায় নীতির কথা বলে, ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে যেভাবে মানুষ হত্যা করেছে, সেই হামলার হুকুমদাতা তো বিএনপি নেতারা। মির্জা ফখরুল সাহেবও সেই হুকুমদাতাদের মধ্যে একজন। এভাবে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যার পর এখনও যে তারা ঘুরে বেড়ায় এটাই তো জনগণের কাছে আশ্চর্যজনক বিষয়।’ 

 

জাতীয় প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সাথে তথ্যমন্ত্রী

 

এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ তথ্যমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। মন্ত্রী হাছান তাদের অভিনন্দন জানান এবং বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাব ধারাবাহিকভাবে অত্যন্ত স্বচ্ছ, সুন্দর পরিবেশে, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চার মাধ্যমে নির্বাচন করে আসছে। আমি মনে করি গণতান্ত্রিক চর্চাকে সংহত করা ও সব পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় প্রেসক্লাবের এ নির্বাচন ভূমিকা রাখবে। 

 

প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের পরিচালনায় সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বৈঠকে সচিবালয়-জাতীয় প্রেসক্লাব সংলগ্ন মেট্রোরেল স্টেশনের নাম ‘জাতীয় প্রেসক্লাব স্টেশন’ রাখা, প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন সংস্কার, জাতীয় প্রেসক্লাবের ২১ তলা ভবন নির্মাণে সহযোগিতা এবং প্রেসক্লাব সাংবাদিক ফান্ডে সহায়তার দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। 

 

তথ্যমন্ত্রী জানান, প্রেসক্লাবের ২১ তলা ভবন নির্মাণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে এবং গণমাধ্যমকর্মী আইনের বিষয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাথে তাঁর আলোচনা হয়েছে। মেট্রোরেল স্টেশনের নামকরণ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা এবং প্রেসক্লাব ফান্ডকে আরো শক্তিশালী করতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন ড. হাছান
মাহ্‌মুদ। 

 

জাতীয় প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসান হাফিজ, সহ-সভাপতি রেজোয়ানুল হক রাজা, যুগ্ম সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া ও মোঃ আশরাফ আলী, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, সদস্য ফরিদ হোসেন, কাজী রওনাক হোসেন, শাহনাজ সিদ্দিকী সোমা, কল্যাণ সাহা, শাহনাজ বেগম পলি, সৈয়দ আবদাল আহমদ, জুলহাস আলম, বখতিয়ার রানা, মোহাম্মদ মোমিন হোসেন এবং সীমান্ত খোকন বৈঠকে যোগ দেন।

 

#

 

আকরাম/পাশা/রাহাত/মোশারফ/মাহমুদ/রেজাউল/২০২৩/১৭৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর :৩৫৩ 

চট্টগ্রামে প্রকল্প পরিচালক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটানায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে

                                                                      --স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

 

 

ঢাকা, ১৬ মাঘ (৩০ জানুয়ারি):

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রকল্প পরিচালক মোঃ গোলাম ইয়াজদানীকে মারধরের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। হামলাকারী যেই হোক আইন তার নিজের গতিতে চলবে এবং দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর অফিস কক্ষে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রকৌশলীগণ উপস্থিত হয়ে এই দুঃখজনক ঘটনা ও প্রকৌশলীদের কষ্টের কথা মন্ত্রীকে অবহিত করেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনেই চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনারের সাথে কথা বলেছি। ইতোমধ্যে এবিষয়ে মামলা হয়েছে এবং অভিযুক্ত ১২ জনের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে অবশিষ্টদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিন এ সময় জানান, কাজ না পাওয়ায় গতকাল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে নিজ কার্যালয়ে একদল ঠিকাদার প্রকল্প পরিচালক মোঃ গোলাম ইয়াজদানীর ওপর হামলা করে। প্রকল্প পরিচালককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও অফিস ভাঙচুর করে।

মন্ত্রী সবাইকে ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে অর্পিত দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান এবং আশ্বাস দেন যে এই অন্যায় কাজের বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেখানেই সরকারি কর্মকর্তাগণ দায়িত্ব পালনে বাধাগ্রস্ত হবেন সেখানেই রাষ্ট্র তার পক্ষে দুর্বৃত্তদেরকে দমন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

#

 

রুবেল/পাশা/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/মাহমুদ/লিখন/২০২৩/১৬৫৩ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী  &am

2023-01-30-14-51-295283df09099dd6842dde08f318c821.docx