তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০০৯
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বর্ষাই হলো বাংলার প্রিয় ঋতু
- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ষড়ঋতু ও ঋতু বৈচিত্র্যের এ বাংলাদেশে বসন্তকে ঋতুরাজ বলা হলেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বর্ষাই হলো বাংলার প্রিয় ঋতু। বর্ষা ঋতুর আলাদা মাদকতা রয়েছে। প্রবল খরায় তেতিয়ে থাকা মন যেন বৃষ্টির অপেক্ষায় প্রহর গুনে। বর্ষা এলে প্রকৃতি নতুন সাজে। তৃষিত হৃদয়ে, পুষ্পে-বৃক্ষে, পত্র-পল্লবে নতুন প্রাণের সঞ্চার করে।
প্রতিমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডস্থ বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক সংগঠন 'স্বপ্নবিকাশ কলাকেন্দ্র' আয়োজিত 'নান্দনিকতায় বর্ষা' শীর্ষক "বর্ষা উৎসব-২০২২" অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বর্ষাও এখন নিয়ন্ত্রিত হয়ে গেছে। যে কারণে এ শ্রাবণ মাসেও অঝোর ধারায় বৃষ্টি হতে দেখা যায় না। তিনি বলেন, বাংলার প্রকৃতিতে বর্ষার যেমন বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি বর্ষার সুর ও ছন্দের মাঝে রয়েছে মানুষের মন-প্রাণ আনন্দিত করে তোলার দারুণ ক্ষমতা। তিনি বলেন, গ্রামে না গেলে বর্ষার প্রকৃত রূপ বোঝা যায় না। টিনের চালে বৃষ্টির ঝংকার শব্দ মনের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করে। যদিও গ্রাম-গঞ্জে টিনের ঘর এখন কম চোখে পড়ে। কে এম খালিদ বলেন, বৃষ্টির দিনে ধুম পড়ে খিচুড়ি আর ইলিশ মাছ ভাজা বা ভুনা মাংস রান্না করার যা শহরে-গ্রামে সর্বত্রই চোখে পড়ে। এছাড়া শহরে ইদানিং আষাঢ়ের প্রথম দিনে কদম ফুল বিক্রি হতেও দেখা যায়। মোদ্দাকথা, অর্থনৈতিক জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য বিস্তারের পাশাপাশি বর্ষা বাঙালির সাংস্কৃতিক জীবনেও ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে।
স্বপ্নবিকাশ কলাকেন্দ্রের অধ্যক্ষ মৈত্রী সরকার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও বাংলাদেশ নৃত্য শিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এস কে মাহফুজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বপ্নবিকাশ কলাকেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক অমিত সরকার।
প্রতিমন্ত্রী পরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে একাডেমি আয়োজিত '২৩তম নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী ২০২২' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
#
ফয়সল/রফিক/রফিকুল/শামীম/২০২২/২২২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০০৮
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিতরণের জন্য আরো প্রায় ১৭ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন চাল
এবং দুই কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দ
ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :
বন্যা, নদী ভাঙন, ঘূর্ণিঝড় এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের জন্য দেশের ৬৪টি জেলার অনুকূলে আরো ১৭ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন চাল এবং ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে আজ এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
৬টি বিশেষ ও ২৬টি "এ" ক্যাটিগরিসহ ৩২টি জেলার প্রতিটির জন্য ৩০০ মেট্রিক টন করে মোট ৯ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন চাল এবং ৫ লাখ টাকা করে মোট ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
২৬টি "বি" ক্যাটিগরি জেলার প্রতিটির জন্য ২৫০ মেট্রিক টন করে মোট ৬ হাজার ৫০০ মেট্রিন টন চাল এবং ৪ লাখ টাকা করে মোট ১ কোটি ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
৬টি "সি" ক্যাটিগরি জেলার প্রতিটির জন্য ২০০ মেট্রিক টন করে মোট ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন চাল এবং সাড়ে ৩ লাখ টাকা করে মোট ২১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বরাদ্দকৃত চাল এবং টাকা বন্যা, নদী ভাঙন, ঘূর্ণিঝড় ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণ করতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যতীত অন্যকোনো কাজে এ বরাদ্দ বিতরণ করা যাবে না বলে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
#
সেলিম/রফিক/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/২১০৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০০৭
সজীব ওয়াজেদ জয় তরুণ প্রজন্মের অহংকার
-- এনামুল হক শামীম
ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় তরুণ প্রজন্মের অহংকার। সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি সজীব ওয়াজেদ জয়। বাংলাদেশের এমন একজন তরুণ আইকন, যিনি বদলে দিয়েছেন দেশের বেকার যুবকদের ভাগ্য। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা এবং সেই স্বপ্ন-পূরণের পথে দুর্বার গতিতে আমাদের ছুটে চলা যার হাত ধরে, তিনি সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি একজন স্বপ্নচারী মানুষ। তিনি শুধু স্বপ্ন দেখেনই না, বাস্তবায়ন করেন। স্বপ্নাতুর এই মানুষটির জন্মদিনে শুভেচ্ছা। শুভ জন্মদিন।
আজ শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলা ও সখিপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত জাতির পিতার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫২তম জন্মদিন এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন পিছিয়ে ছিলো। এ খাতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে তার প্রস্তাবে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে দলীয় ইশতেহারে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। সে সময় বিরোধী পক্ষ ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে নানা কটাক্ষ, সমালোচনা করলেও আজ তথ্য ও প্রযুক্তিগত সুবিধা মানুষের হাতের মুঠোয়। দ্রুত ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রসারে এগিয়ে থাকা দেশের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী রূপকল্প বাস্তবায়নে আইসিটি উপদেষ্টা হিসেবে পাশে থাকা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কারণেই।
উপমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে অনেক তরুণ আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা নিয়ে আয় করছেন। করোনা মহামারি গৃহবন্দি করেছে বিশ্বের মানুষকে। এ সময়ে বন্ধ হয়ে গেছে স্বাভাবিক যোগাযোগের সব দরজা। কিন্তু আইসিটির জানালা খোলা ছিলো। এ খোলা জানালা দিয়েই আমরা ব্যক্তিগত থেকে শুরু করে সামাজিক, ব্যবসায়িক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যাংকিংসহ সব খাতে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। ঘরে বসেই জীবনযাপনের সব উপাদান সচল রেখেছি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অব্যাহত উন্নতির কল্যাণে। এটাই বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। এটাই দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারিশমা। আর এ আইসিটি সক্ষমতার রূপকার সজীব ওয়াজেদ জয়। তাঁর দক্ষ একদল সহকর্মী কোটি কোটি মানুষের জীবনে স্বস্তি এনে দিতে, জীবনকে সহজতর করতে শেখ হাসিনার হাতকে করছেন শক্তিশালী। আর জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে গড়া সংগঠন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই এ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ দেশের সকল দুর্যোগ-দূর্বিপাকে, গণতান্ত্রিক সকল আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, আপনারা নড়িযা-সখিপুরে আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন। আমি ঢাকায় আছি। আপনাদের সঙ্গে মিটিংয়ে যুক্ত হতে পেরেছি সজীব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণেই। তারুণ্যের অহংকার জাতির পিতার দৌহিত্রের ৫২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আমি ডিজিটাল বাংলাদেশের নেপথ্য নায়ক, নিঃশব্দে ঘটে যাওয়া আইসিটি বিপ্লবের স্থপতি, বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সুযোগ্য, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক কর্মবীর, কোটি তরুণের স্বপ্নসারথি সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তাঁর পরিবারের সব সদস্যকে জানাচ্ছি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কামনা করছি দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য।
এতে অংশগ্রহণ করেন নড়িয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদ্য সাবেক আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন আকন, সদস্য সেকেন্দার আলম রিন্টু, সখিপুর থানার সাবেক আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান বিপ্লব, যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিম বেপারী প্রমুখ।
#
গিয়াস/পাশা/রফিক/রফিকুল/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/২০৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০০৬
২০তম ডি-৮ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :
আজ ঢাকায় ২০তম ডি-৮ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ২০তম ডি-৮ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সভার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন।
এছাড়া উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, ডি-৮ মহাসচিব এম্বাসেডর ইসিয়াকা আব্দুল কাদির ইমাম (Ambassador Isiaka Abdul Qadir Imam), পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন এবং ডি-৮ সিসিআই প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম বক্তব্য প্রদান করেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর ২০তম ডি-৮ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সভা শুরু হয়। হাইব্রিড ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় তুরস্ক ও ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীসহ অন্যান্য ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন এবং বক্তব্য প্রদান করেন।
মন্ত্রী পর্যায়ের সভা শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দশম শীর্ষ সম্মেলনে ডি-৮ নেতৃবৃন্দের গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি ২০তম ডি-৮ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সভায় পর্যালোচনা করা হয়। সভায় ডি-৮ মহাসচিব, সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে বিগত বছরে গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন।
ড. মোমেন বলেন, এবারের ডি-৮ মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় ডি-৮ সদস্য দেশসমূহের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষত বাণিজ্য, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, শিল্প সহযোগিতা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, পরিবহন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং পর্যটন গুরুত্বপূর্ণ এ ছয়টি খাতে ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী চলমান জ্বালানি সংকটের প্রেক্ষাপটে জ্বালানি খাতে ডি-৮ দেশসমূহের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে ডি-৮ পররাষ্ট্রমন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রীগণ ১ম জ্বালানি বিষয়ক ডি-৮ মন্ত্রী পর্যায়ের সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ডি-৮ একটি অর্থনৈতিক জোট। প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে ডি-৮ সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে বাণিজ্য প্রসারের লক্ষ্যে ডি-৮ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠাকালীন ডি-৮ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৪ বিলিয়ন ডলার যা বর্তমানে ১২৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ইতোমধ্যে মিশর ব্যতীত অন্যান্য সাতটি সদস্য দেশ ডি-৮ অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (D-8 PTA) অনুসমর্থন করেছে। মিশর শীঘ্রই ডি-৮ অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তিতে অনুসমর্থন প্রদানের বিষয়ে এবারের সভায় জানিয়েছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বছর আমরা ডি-৮ প্রতিষ্ঠার পঁচিশ বছর পূর্তি উদযাপন করছি। এই শুভলগ্নে, ডি-৮ এর সদস্যপদ লাভের জন্য আজারবাইজান আবেদন করেছে। এবারের সভায় আজারবাইজানের ডি-৮ সদস্যপদের আবেদনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া নাইজেরিয়ার প্রস্তাবিত ডি-৮ ইয়ুথ কাউন্সিল (D-8 Youth Council) গঠনের বিষয়েও সভায় আলোচনা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করেছিলেন এবং ইতোপূর্বে বাংলাদেশ ১৯৯৯ সালে ঢাকায় দ্বিতীয় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনটি সফলভাবে আয়োজন করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ এপ্রিল ২০২১ তারিখে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট- এর নিকট হতে ডি-৮ এর সভাপতিত্ব গ্রহণ করেন।
#
মোহসিন/রফিক/সঞ্জীব/মোশরফ/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৭৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০০৫
বিমান বাংলাদেশের দু’টি উড়োজাহাজের সংঘর্ষের ঘটনায়
আরো কোনো কারণ আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে
-- বিমান প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেছেন, যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের গাফিলতির কারণেই গত ৩ জুলাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দু’টি উড়োজাহাজের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। তবে এর সাথে আরো কোনো কারণ জড়িত আছে কি না তাও বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে কারণেই এ ঘটনা ঘটে থাকুক না কেন যারা দায়ী তাদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।
আজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের হ্যাঙ্গার ও জিইসি ডিপার্টমেন্টে আকস্মিক পরিদর্শনে যান বিমান প্রতিমন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
পরিদর্শনের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালন) এয়ার কমোডোর সাদিকুর রহমান চৌধুরী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মহিদুল ইসলাম, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহিদ হোসেন এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (নিরাপত্তা) আবু সালেহ মোহাম্মদ মান্নাফি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দু’টি বিমানের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ইতোমধ্যে এর সাথে জড়িত ৪ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই দুর্ঘটনায় বিমানের যে ক্ষতি হয়েছে তা যাতে দায়ী ব্যক্তিদের কাছ থেকে আদায় করা যায় তার জন্য বিধি-বিধানও সংশোধন করা হবে।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমানের নিয়োগে কোনো ধরনের অনিয়ম প্রশ্রয় দেয়া হবে না। পূর্বের নিয়োগ নিয়ে যে অনিয়ম হয়েছে তার বিরুদ্ধে আমি দায়িত্ব গ্রহণ করার পরেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশন দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাজ করছে। বর্তমান নিয়োগেও কোনো ধরনের নিয়মের ব্যত্যয় হবে না। যদি কেউ ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য কোনো অনিয়ম করেন তবে তাকেই তার দায় নিতে হবে। বর্তমান নিয়োগ নিয়ে যে অভিযোগগুলো আছে সেগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, বিমানের কর্মীদের আন্তরিকতা ও কঠোর পরিশ্রমের কারণেই প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিমান সফলভাবে কোভিড সংকট মোকাবিলা করতে পেরেছে। সেই সময় যখন সারা বিশ্বের বিভিন্ন এয়ারলাইন্স বড় সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করেছে তখনও বিমান তার কোনো কর্মীকে ছাঁটাই করেনি। কোভিডের সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় বিমানকে যে টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল সেই টাকা ইতোমধ্যে সুদসহ সম্পূর্ণভাবে পরিশোধ করা হয়েছে। কোনো ফ্লাইট লিজ না নিয়েই এবারের হজ ফ্লাইট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে। বিমান ২০১৯ সাল থেকে তার প্রতি বছরের সকল
দায়-দেনা পরিশোধ করে বর্তমানে লাভজনক অবস্থানে রয়েছে।
মাহবুব আলী বলেন, জাপানের সাথে আমাদের কথা হয়েছে, সেখানকার কোভিডজনিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেই জাপানে বিমানের ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হবে। চীনের গুয়াংজু ও কুনমিংয়ে বিমান ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে। গোয়াংজু রুট বিমানের জন্য একটি ভালো ডেস্টিনেশন হবে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আগ্রহের জায়গায় এটি। এছাড়া অচিরেই মালে ও চেন্নাইতেও বিমানের ফ্লাইট চালু হবে।
#
তানভীর/পাশা/রফিক/রফিকুল/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/২০১২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০০৩
জ্বালানি তেল সংক্রান্ত গুজব সম্পর্কে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ব্যাখ্যা
ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :
একটি স্বার্থান্বেষী মহল জ্বালানি তেলের মজুত নিয়ে অসত্য ও মনগড়া তথ্য প্রচার করছে, যা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আমরা দৃঢ় প্রত্যয়ে বলছি, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের আওতাধীন কোম্পানিসমূহের ডিপোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জ্বালানি তেল মজুত রয়েছে। বর্তমানে দেশে জ্বালানি তেলের কোনো ঘাটতি বা সংকট নেই। সংকটের কোনো আশঙ্কাও নেই। ইতোমধ্যে আগামী ৬ মাসের জন্য প্রয়োজনীয় তেল আমদানির প্রক্রিয়া পাইপলাইনে আছে।
আমাদের ডিজেল বর্তমানে মজুত রয়েছে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৩৫ মেট্রিক টন। দৈনিক গড় বিক্রয় ১৩ হাজার ৬০৭ মেট্রিক টন হিসেবে ৩২ দিনের; জেট-এ-১ মজুত রয়েছে ৪৪ দিনের ও ফার্নেস ওয়েল মজুত রয়েছে ৩২ দিনের। অর্থাৎ আমাদের মজুত সক্ষমতা অনুসারে যথেষ্ট পরিমাণ জ্বালানি তেল মজুত রয়েছে।
উল্লেখ্য, পেট্রোল পুরোটাই বাংলাদেশ উৎপাদন করে। অকটেনের প্রায় ৪০ শতাংশ বাংলাদেশ উৎপাদন করে।
জুলাই ২০২২ মাসে ৯টি জাহাজ হতে ইতোমধ্যে ২ লাখ ৫৫ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল, ২টি জাহাজে প্রায় ৪৩ হাজার মেট্রিক টন জেট-এ-১, ১টি জাহাজ হতে ২৪ হাজার ৬৭৭ মেট্রিক টন অকটেন এবং ২টি জাহাজ হতে ৫৩ হাজার ৩৫৮ মেট্রিক টন ফার্নেস ওয়েল গ্রহণ করা হয়েছে।
আগস্ট ২০২২ মাসে ৮টি জাহাজে ২ লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল, ১টি জাহাজে ২৫ হাজার
মেট্রিক টন জেট-এ-১ এবং ১টি জাহাজে হতে ২৫ হাজার মেট্রিক টন অকটেন আসবে।
আগামী ৬ মাসের আমদানি পরিকল্পনানুসারে জ্বালানি তেল বাংলাদেশে আসবে। এর ৫০ শতাংশ
জি-টু-জি চুক্তির মাধ্যমে এবং বাকি ৫০ শতাংশ উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয়াদেশ দেয়া হয়েছে। ঘাটতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
ভরতুকি মূল্যে সরবরাহকৃত জ্বালানি তেল ব্যবহারে মিতব্যয়ী ও সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
#
আসলাম/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/রফিকুল/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৯৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০০২
উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে হবে
- গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী
ফুলপুর, (ময়মনসিংহ), ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিকসহ সকল সেক্টরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধন করেছেন। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে আগামী জাতীয় নির্বাচনেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে হবে।
আজ ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্তৃক স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের সকল সেক্টর সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী চক্র। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করেছে একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার। ভবিষ্যতেও দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি আরো ত্বরান্বিত করতে হলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই।
উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত আলোচনা সভায় ফুলপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজাউল/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৮৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০০১
শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী
সততার সাথে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রত্যাশিত সেবা নিশ্চিত করতে হবে
ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। সততার সাথে প্রত্যাশিত সেবা নিশ্চিত করতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের বেশিরভাগ সেবা এখন অনলাইনে প্রদান করা হচ্ছে। মানুষ অনলাইনে সেবা গ্রহণে অভ্যস্ত হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যাতে অতি সহজে কম সময়ের মধ্যে সেবা পেতে পারেন, সেজন্য ইতোমধ্যে আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় এবং যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসসমূহের পরিদপ্তরকে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর বেশিরভাগ কাজ এখন অনলাইনে সম্পন্ন হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ অফিসগুলোর সেবার মান আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় সহজ ও আধুনিক হয়েছে। সেবার মান বৃদ্ধিতে আমাদের সব সময় সচেষ্ট থাকতে হবে।
আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত শুদ্ধাচার পুরস্কার-২০২২ প্রদান, উদ্ভাবন সম্ভাবনা এবং এপিএ চুক্তি বাস্তবায়নের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমি জানি আপনাদের অনেকেই এ পুরস্কার পাবার যোগ্যতা রয়েছে, কিন্তু সরকারের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবার আমাদের সুযোগ নেই। আগামীতে পর্যায়ক্রমে নিশ্চয় সবাই এ পুরস্কার পাবেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সরকারের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রণালয়, এ মন্ত্রণালয়ের সুনাম বৃদ্ধি এবং সেবার মান আরো উন্নত করতে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রক শেখ রকিবুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ আব্দুছ সামাদ আল আজাদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খন্দকার সাদিয়া আরাফিন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কম্পিউটার অপারেটর মোঃ রবিউল ইসলাম এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক মোঃ মোশাররফ হোসেন। উদ্ভাবন সম্ভাবনায় বাংলাদেশ টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ আশরাফুল ইসলাম, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রক শেখ রকিবুল ইসলাম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসসমূহের পরিদপ্তরের নিবন্ধক শেখ শোয়েবুল আলম এবং ট্রেডিং করপোরেশন অভ্ বাংলাদেশ (টিসিবি) এর চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আরিফুল হাসান। উদ্ভাবনী ধারণা বাস্তবায়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব নুসরাত জাবিন বানু, সেবা সহজীকরণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মালেকা খায়রুন্নেছা এবং সেবা ডিজিটালাইজেশনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নুর মোঃ মাহবুবুল হক। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সকলকে সম্মাননা স্মারক, ক্রেস্ট এবং একমাসের মূল বেতনের সমান অর্থ প্রদান করেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ সকল বিভাগের প্রধান এবং সিনিয়র কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
বকসী/পাশা/মোশারফ/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০০০
দেশে তেল-গ্যাসের সংকট নেই, দেশ বিরোধীরা অপপ্রচার চালাচ্ছে
-নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিশ্ব পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে বাংলাদেশের ওপর যেন কোনো আঘাত না আসে, কোনো সংকটে না পড়তে হয় সেজন্য সরকার কিছু আগাম পদক্ষেপ নিয়েছে। এটিকে দেশবিরোধী রাজনীতিকরা সংকট বলছে। বাংলাদেশের মানুষ যেন ভবিষ্যতে কোনো সংকটে না পড়ে, সরকার সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যারা সংকটের কথা বলছে, তারা রাজনৈতিকভাবে সংকটে পড়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ‘যতদিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ।’
প্রতিমন্ত্রী আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৬তলা বিশিষ্ট অফিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরে এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদা, গর্ব ও অহংকারের জায়গায় নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। পদ্মা সেতু আমাদের দেশ ও জাতিকে মর্যাদার জায়গায় নিয়ে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, লোডশেডিং একটি সাময়িক সমস্যা। দ্রুত এর সমাধান হবে। দেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সবাইকে এসব বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কঠিন পরিস্থিতিতেও যাতে বিভেদ সৃষ্টি না হয় সেজন্য সজাগ থাকতে হবে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম (অব.), ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল ইসলাম ও বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার মেয়র তফাজ্জল হোসেন ভূইয়া।
#
জাহাঙ্গীর/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৮১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৯৯
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১২ শ্রাবণ (২৭ জুলাই) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬২৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এ সময় ৯ হাজার ১৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ২৮০ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ২১১ জন।
#
কবীর/পাশা/মোশারফ/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৭৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৯৮
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলায় সরকার সতর্ক রয়েছে
&nb