তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৩৬
কক্সবাজার জেলার দুস্থ পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ
টেকনাফ (কক্সবাজার), ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন) :
বল প্রয়োগে বাস্তুচ্যুত ১১ লক্ষাধিক মিয়ানমার নাগরিক কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। এর ফলে কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলাসহ আশপাশের উপজেলার লোকজন বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এসকল বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকের আশ্রয়ের ফলে স্থানীয় এলাকায় বাজার মূল্য, শ্রমবাজার, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনযাত্রা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণের ওপর ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনা করে ঈদুল ফিতরের পূর্বে তাদের সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিল থেকে কক্সবাজার জেলায় ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এ অর্থের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার ৩৩ হাজার ৩৩৪ পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তাসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পোলাও চাল, সেমাই, চিনি, সয়াবিন তেল, গুড়াদুধ, রোজার শরবত ইত্যাদি। প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ২ হাজার টাকা করেও প্রদান করা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম, আজ উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় উপস্থিত থেকে দুস্থ ও গরীব পরিবারদের এ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন। এ উপলক্ষে উখিয়া উপজেলার বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা কলেজ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব ও দুস্থ মানুষের পাশে আছেন বলেই তিনি মমতাময়ী মা হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা নাগরিকদের আগমনের ফলে উখিয়া ও টেকনাফের স্থানীয় অধিবাসীদের যে ক্ষতি হয়েছে সরকার সে সম্পর্কে সচেতন রয়েছে। শীঘ্রই রোহিঙ্গা নাগরিকদের ভাষাণচরে স্থানান্তর করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মিয়ানমার নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার মধ্যেই রয়েছে একমাত্র সমাধান।
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় যেসব অধিবাসী পাহাড়ের ঢালে বসবাস করছেন অতিদ্রুত তাদেরকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য মন্ত্রী জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মোঃ শাহ কামাল, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আঃ মান্নান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
ওমর ফারুক/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/২০২৮ ঘণ্টা
Handout Number: 1735
UNHCR representative calls on Shahriar Alam
Dhaka, 12 June :
The State Minister for Foreign Affairs Md. Shahriar Alam has advised UNHCR to continue its engagement with the government of Myanmar towards creating conducive environment in the Rakhine State to ensure safe and sustainable return of the forcibly displaced Rohingyas to their homeland.
The State Minister said this during a meeting with James Lynch Regional representative of UNHCR held at the Parliament today.
The UNHCR representative briefed the state minister about the recently signed tripartite MoU by Myanmar with UNHCR and UNDP. This MoU provides a framework for further cooperation between Myanmar and the UN (UNHCR and UNDP) towards creating conditions or facilities for the returnee Rohingyas in Myanmar including assisting their resettlement and reintegration.
Bangladesh has already engaged UNHCR in the repatriation by signing two MoUs of cooperation.
#
Tohidul/Mahmud/Rafiqul/Rezaul/2018/1940 hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৩৪
অভিবাসী কর্মীদেরকে প্রতারিত করলে শাস্তি পেতেই হবে
--- প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন) :
‘অভিবাসন খাতে অসাধু দালালদের চিহ্নিত করে তাদের নিগৃহীত করুন। অভিবাসী কর্মীদেরকে প্রতারিত বা হয়রানি করলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে’। আজ ঢাকায় প্রবাসী কল্যাণ ভবনের ব্রিফিং সেন্টারে অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থার সাথে মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (২০১৮-১৯) ও নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ক সচেতনতামূলক তথ্যচিত্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বি.এসসি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীরা যাতে প্রতারণার শিকার না হন সেই লক্ষ্যে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধায়নে নির্মিত হয়েছে এই নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ক সচেতনতামূলক তথ্যচিত্র। মন্ত্রী এ তথ্যচিত্রটির বার্তা জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানোর জন্য উপস্থিত সাংবাদিকসহ সকলের কাছে অনুরোধ জানান। তিনি আরো বলেন, এই মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে কাজ করছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব ড. নমিতা হালদার এনডিসি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ওয়েজ আনার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ জুলহাস এনডিসি, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মোঃ সেলিম রেজা, বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মরণ কুমার চক্রবর্তী এবং তথ্যচিত্র নির্মাতা ও শ্রম-অভিবাসন বিশেষজ্ঞ হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সচিব ড. নমিতা হালদার বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি শতভাগ পূরণের লক্ষ্যে এ মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করেছে।
তথ্যচিত্র নির্মাতা হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ তাঁর বক্তব্যে বলেন, কর্মের সন্ধানে চাকরি নিয়ে বিদেশ যেতে আগ্রহীদের একটা বড় অংশই জানে না, বিদেশ যেতে কী কী ধাপ অনুসরণ করতে হয়। তাই অনেকেই না জেনে না বুঝে অন্ধের মতো দালালদের খপ্পড়ে পড়ে। প্রতারণার শিকার হয়ে দেশে ফিরে আসে। এই তথ্যচিত্রটিতে বিদেশ যাওয়ার আগে কিভাবে চুক্তিপত্র, ভিসার কপি, বেতন কত, স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে কিনা, কিভাবে স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করতে হয়, কর্মস্থলের পরিবেশসহ বিভিন্ন বিষয় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/পারভেজ/জয়নুল/২০১৮/১৮২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৭৩৩
তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর সাথে ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন) :
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত Marie Annick Bourdin আজ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সাথে তার আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারের অফিস কক্ষে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময়ে তাঁরা দুই দেশের পারষ্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া তাঁরা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশ ও উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সের Thales Alenia Space-এর সিনিয়র সেলস ডাইরেক্টর Sandy Gillio এবং জিইও প্রোগ্রামসের ভাইস প্রেসিডেন্ট Renny Le Thuc.
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদুত বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অভাবনীয় উন্নয়নে বর্তমান সরকারের প্রশংসা করেন।
#
শহিদুল/মাহমুদ/পারভেজ/রেজাউল/২০১৮/১৭৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৩২
জনগণের কল্যাণে সাহসিকতার সাথে কাজ করুন
-- মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন) :
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে জনগণের প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতি ও সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি উপলব্ধি করে ডিজিটাল বাংলাদেশ তথা বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের চলমান কর্মসূচি সঠিক সময়ে এবং সঠিকভাবে বাস্তবায়নে আরো মনোযোগী হতে হবে। সকলকে সেবার মহান ব্রত নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগে জনগণের কল্যাণে সাহসিকতা ও দৃঢ়তার সাথে কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার সাতটি দপ্তর ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে পৃথকভাবে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
মন্ত্রী চুক্তি বাস্তবায়নে অধিকতর আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি নির্দেশ দেন।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরকারী দপ্তর ও সংস্থাসমূহ হচ্ছে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর, ডাক অধিদপ্তর, বিটিসিএল, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড, টেলিফোন কেবল ইন্ডাস্ট্রিজ খুলনা, সাব-মেরিন কেবল লিমিটেড এবং টেলিফোন শিল্প সংস্থা।
#
শেফায়েত/মাহমুদ/পারভেজ/রেজাউল/২০১৮/১৭১২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৩১
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাথে
আওতাধীন সংস্থাসমূহের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত
ঢাকা, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আজ মন্ত্রণালয়ের সাথে এর আওতাধীন চারটি সংস্থার ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এর উপস্থিতিতে মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ নুরুল আমিনের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নির্মল কান্তি চাকমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান নিজ সংস্থার পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি উন্নত সমৃদ্ধ পার্বত্য চট্টগ্রাম নির্মাণে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি একটি মাইলফলক। সীমিত সম্পদের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য আবাসিক বিদ্যালয় তৈরি, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, মিশ্র ফলজ বাগান সৃজন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান তৈরি তথা ভৌত অবকাঠামোগত বিষয়সমূহ অগ্রাধিকার দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে টেকসই উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে স্বাক্ষরিত এ চুক্তি ফলপ্রসূ হবে। সাথে সাথে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমন্বিতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি নির্ধারিত সময়ে সকল কাজ শেষ করার জন্য সংস্থা প্রধানদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন সংস্থাসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
জুলফিকার/মাহমুদ/পারভেজ/জয়নুল/২০১৮/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৩০
জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে
-- এলজিআরডি মন্ত্রী
ঢাকা, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন) :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে সরকারি কর্মচারীদের ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব পালনে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
মন্ত্রী আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থাসমূহের সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব এস এম গোলাম ফারুকসহ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন অধিদপ্তর ও সংস্থা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী দপ্তর প্রধানদের উদ্দেশে বলেন, সকল উন্নয়ন কর্মকা- ও সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে জনকল্যাণের বিষয় মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের নিষ্ঠা ও সফলতার ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘রূপকল্প ২০২১’ ও ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়ন নির্ভর করছে। তিনি আরো বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি চালু হওয়ার পর থেকে সরকারের কার্যক্রমে গতি এসেছে। এর ফলে সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কর্মচাঞ্চল্য বেড়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এলজিআরডি মন্ত্রণালয় চলতি অর্থ বছরের ধারাবাহিকতায় আগামী অর্থ বছরেও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির শতভাগ লক্ষ্য অর্জন করবে।
পরে মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব ও অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে স্ব স্ব পক্ষে স্বাক্ষর করে। চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দপ্তরসমূহ হচ্ছে- স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), জাতীয় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান (এনআইএলজি), জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই), সকল সিটি কর্পোরেশন, সকল ওয়াসা, একটি বাড়ি একটি খামার, সকল পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বিআরডিবিসহ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান।
#
জাকির/মাহমুদ/পারভেজ/রেজাউল/২০১৮/১৬৪৮ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭২৯
উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলতি মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিলেন ভূমিমন্ত্রী
ঈশ^রদী, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন) :
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ চলতি অর্থ বছরে সরকারের সকল প্রকল্প চলতি জুন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া তিনি সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নে সকলকে আন্তরিকতার সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ ঈশ^রদী ও আটঘরিয়ায় সুধীজন এবং সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময়কালে ভূমিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, আমাদের একটি লক্ষ্য বা ভিশন রয়েছে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার। সকলের চেষ্টায় অবশ্যই এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।
#
রেজুয়ান/মাহমুদ/পারভেজ/জয়নুল/২০১৮/১৬৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭২৮
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাথে এর অধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহের এপিএ স্বাক্ষর
ঢাকা, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন) :
সরকারের ভিশন ও মিশন নিয়ে সকলকে কাজ করতে হবে, যা সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে খাদ্য উৎপাদনের জন্য আধুনিক, উন্নত ও টেকসই প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ব্যবহারকে শক্তিশালী করেছে। এর ফলে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্জন করাসহ ইতিমধ্যে চাল রপ্তানিও করেছে বাংলাদেশ। এই ধারাবাহিতকা বজায় রাখাসহ উন্নয়নকে বেগবান করতে সবাইকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর ও সংস্থার সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৭টি দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর হয়েছে।
সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ এবং দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
#
গিয়াস/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৮/১৪৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭২৭
সরকার তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে
-মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন) :
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর প্রশিক্ষিত মানবসম্পদ তৈরি করতে মোবাইল গেইম ও এপ্লিকেশন দক্ষতা উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বড় সম্পদ তরুণ প্রজন্ম। তরুণ প্রজন্ম অত্যন্ত মেধাবী। আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তাদের মেধাকে কাজে লাগাতে উপযুক্ত পরিবেশ ও সুযোগ সৃষ্টি করা অত্যন্ত জরুরি।
মন্ত্রী আজ কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে মোবাইল গেইম ও এপ্লিকেশন এর দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডিজিকন টেকনোলজিস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান শরীফের সভাপতিত্বে, মোবাইল গেইম ও এপ্লিকেশন এর প্রকল্প পরিচালক কে এম আবদুল ওয়াদুদ এবং উপ প্রকল্প পরিচালক শেখ খলিলুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে প্রচলিত শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ কম। তাই প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি নিজের মেধা ও সৃজনশীলতা কাজে লাগাতে বর্তমান সরকার তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের জন্য সম্ভাবনার জায়গা তৈরি করে করতে পারবে। তিনি নিজেদের মেধা ও সৃজনশীলতাকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রচলিত শিক্ষার বাইরে ডিজিটাল যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করতে প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, তথ্য ও প্রযুক্তিখাতের স্থানীয় বাজার সম্প্রসারণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের জন্য বাংলাদেশকে প্রস্তুত করার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে মোবাইল গেইম ও এপ্লিকেশন তৈরির ওপর দেশব্যাপী বিনামূল্যে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
পাঁচ মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণে প্রথম দফায় বিভিন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। মোবাইল গেইম ও এপ্লিকেশন এর দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পর্যাক্রমে মোট ১৬ হাজার ১শ’ জন তরুণ তরুণীকে মোবাইল গেইম ও এপ্লিকেশন তৈরির দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
#
শহিদুল/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১৪২৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭২৬
দুর্ঘটনা এড়াতে বন্ধ বয়লার চালুর পূর্বে সেফটি ডিভাইস পরীক্ষা করার পরামর্শ
ঢাকা, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন) :
শিল্প দুর্ঘটনা এড়াতে পবিত্র ঈদুলফিতরের ছুটির পর বয়লার চালুর পূর্বে সেফটি ডিভাইসগুলো পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয়। দপ্তরটির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন বয়লার বন্ধ থাকলে তা পুনরায় চালুর পূর্বে সেফটি ডিভাইসগুলো পরীক্ষা না করার কারণে বয়লা দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। এতে প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হতে পারে।
এ বিবেচনায় ঈদের ছুটির পর বয়লার চালুর পূর্বে সেফটি ডিভাইসগুলো পরীক্ষা করে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
#
জলিল/অনসূয়া/সুবর্ণা/আসমা/২০১৮/১২৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭২৫
নিরাপদ নৌ চলাচল নিশ্চিতে নৌপরিবহন অধিদফতরের নির্দেশনা
ঢাকা, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন) :
আসন্ন পবিত্র ঈদুলফিতর ও বর্ষা মৌসুমে নৌপথে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণের জান-মালের নিরাপত্তা বিধানকল্পে এবং দুর্ঘটনামুক্ত ও নিরাপদ নৌ চলাচল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নৌপরিবহন অধিদফতর সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে। সতর্কতাসমূহ হচ্ছে ঃ
নির্ধারিত সংখ্যক ও নির্ধারিত গ্রেডের মাস্টার এবং ড্রাইভার দ্বারা নৌযান পরিচালনা করা; দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করলে নৌযানের যাত্রা স্থগিত করা; সার্ভেসনদে উল্লিখিত যাত্রী সংখ্যার অতিরিক্ত যাত্রী ও ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত মালামাল বহন পরিহার করা; পথিমধ্যে ঝড়ের আশংকা দেখা দিলে নৌযানকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে বা কিনারায় ভিড়িয়ে রাখা; বৈধ কাগজপত্র বিহীন নৌযান পরিচালনা হতে বিরত থাকা; অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে বা নৌযানের ছাদে যাত্রী হয়ে ভ্রমণ না করা; দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌযানে ভ্রমণ না করা এবং সকল বালু/মাটি/ইট/পণ্যবাহী ট্রলার/ড্রেজার/ইঞ্জিন চালিত নৌযান রাতের বেলায় চলাচল বন্ধ রাখা।
#
জাহাঙ্গীর/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১২০৯ ঘণ্টা