তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৯১
যেখানে ট্রান্সপারেন্সি আছে সেখানে উন্নয়ন আছে
-- ডেপুটি স্পিকার
ঢাকা, ২৯ বৈশাখ (১২ মে):
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, যেখানে ট্রান্সপারেন্সি আছে সেখানে উন্নয়ন আছে। বাংলাদেশে যে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ট্রান্সপারেন্সির জন্যই সম্ভব হচ্ছে। এভাবে দেশের প্রতিটি সরকারি এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, সংগঠনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকলে অতি দ্রম্নত সময়েই বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে নাম লেখাতে সড়্গম হবে।
তিনি আজ রাজধানীর তোপখানা রোডে অবসি'ত বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে ঢাকাস' গাইবান্ধা জেলার সাদুলস্নাপুর উপজেলা সমিতির দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, গাইবান্ধা জেলার সাদুলস্নাপুর উপজেলা ঐতিহাসিকভাবেই সমৃদ্ধ। কারণ এখান থেকেই আবুল হোসেন সরকার তৎকালীন পূর্ববাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তার সততা, নিষ্ঠা ও মানুষের প্রতি ভালবাসার কারণে। তাই এ সমিতি যদি তার আদর্শ ধারণ করে স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে তাদের সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে তাহলে অবশ্যই এ এলাকা আর পশ্চাৎপদ থাকবে না। তিনি বলেন, এখন গাইবান্ধা জেলায় অনেক বিত্তবান এবং সরকারের গুরম্নত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ব্যক্তি ও সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। তাদের সবাইকে জেলার উন্নয়নে যার যার অবস'ানে থেকে কাজ করে যেতে হবে। এসময় তিনি সাদুলস্নাপুর থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে এ সমিতির পৃষ্ঠপোষকতা করে সার্বিক সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
সরকার ঘোষিত ভিশন-২০২১ এবং ভিশন-২০৪১ বাসত্মবায়নে গাইবান্ধা জেলার সর্বসত্মরের মানুষকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান ডেপুটি স্পিকার। এসময় তিনি দেশের অন্য একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানের ঘোষিত ভিশন-২০৩০ এর সমালোচনা করে বলেন, এটি একটি অনত্মঃসারশূন্য রূপকল্প। এ ধরনের রূপকল্পকে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা বলেও মনত্মব্য করেন তিনি।
সংগঠনের সভাপতি মোকছুদার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার, বাংলাদেশ জুট কর্পোরশনের চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক ফরিদ আহম্মদ, সংগঠনের সহ-সভাপতি শামসুল জোহা রাঙ্গা প্রমুখ।
#
স্বপন/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৯০
স্পিকারের সাথে মজলিশ আশ শুরার স্পিকারের বিদায়ী সাড়্গাৎ
ঢাকা, ২৯ বৈশাখ (১২ মে):
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলাদেশে সফররত সৌদি আরবের মজলিশ আশ শুরার স্পিকার ড. আব্দুলস্নাহ বিন মোহাম্মদ বিন ইব্রাহীম আলী আল শেখ (উৎ. অনফঁষষধয ইরহ গড়যধসসবফ ইরহ ওনৎধযরস অষব অষ-ঝযবরশয) ও তাঁর নেতৃত্বে শুরা কাউন্সিলের প্রতিনিধিদলের সাথে আজ ঢাকার একটি হোটেলে বিদায়ী বৈঠক করেন।
সাড়্গাৎকালে তাঁরা দ্বিপাড়্গিক স্বার্থসংশিস্নষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। আলোচনাকালে স্পিকার দু’দেশের সংসদীয় পর্যায়ে সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে গুরম্নত্বারোপ করেন। তিনি মনে করেন উভয় দেশের সংসদীয় পর্যায়ে সফর বিনিময়ের মাধ্যমে বিদ্যমান সম্পর্ক সুদৃঢ় করা সম্ভব।
মজলিশ আশ শুরার স্পিকার বলেন, বাংলাদেশে তাঁর সফর নতুন এক দিগনেত্মর সূচনা করেছে। বাংলাদেশ অতিথিপরায়ণ দেশ উলেস্নখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকার যে আনত্মরিকতা দেখিয়েছেন তা মনে রাখার মতো। এ কারণেই সৌদি আরবের বাদশাহ অতি শীঘ্রই বাংলাদেশ সফরসূচি চূড়ানত্ম করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় স্পিকার মজলিশ আশ শুরার স্পিকার ও প্রতিনিধিদলের সম্মানে এক মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন।
প্রতিনিধি দলে সৌদি শুরা কাউন্সিলের সদস্য ড. সালেহ এ.এস আলসিহাইব (উৎ. ঝধষবয অ.ঝ অষংযরযধুন), ড. ইঞ্জিনিয়ার আব্দুলস্নাহ আব্দুল আজিজ আল দারাব (উৎ. ঊহম. অনফঁষষধয অনফঁষধুরু ধষফধৎৎধন) ও উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত আব্দুলস্নাহ এইচ এম আল মুতাইরি (অনফঁষষধয ঐ.গ. অষ গঁঃধরৎু) উপসি'ত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, হুইপবৃন্দ, সংসদীয় স'ায়ী কমিটির সভাপতিবৃন্দ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সেক্রেটারি নূর-ই-আলম চৌধুরী, সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ আবদুর রব হাওলাদারসহ সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপসি'ত ছিলেন।
#
তারিক/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৮৯
বিশ্বব্যাপী ব্যবসা সমপ্রসারণের নিরাপদ ও লাভজনক স'ান বাংলাদেশ
-- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
স্টকহোম (সুইডেন), ১২ মে:
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরম্নল হামিদ বলেছেন, বিশ্বব্যাপী ব্যবসা সমপ্রসারণের নিরাপদ ও লাভজনক স'ান বাংলাদেশ। ১৬০ মিলিয়ন লোকসংখ্যার বিশাল এই বাজার কৌশলগত কারণে ভারত ও মিয়ানমারের ৮০০ মিলিয়ন লোকসংখ্যার বাজারে পরিণত হতে পারে। অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান, ম্যানুফেকচারার বা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সহজেই এ বাজারে প্রবেশ করতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ সুইডেনের স্টকহোমে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে, সুইডেন-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল আয়োজিত ‘সুইডিশ এনার্জি সিস্টেম এন্ড সাসটেইনেবল সলিউশন’ শীর্ষক বিজনেস সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। তিনি বলেন, আইএমএফ (ওগঋ) ২০১৬ সালে বাংলাদেশকে দ্রম্নত বর্ধনশীল মেজর অর্থনীতির দেশসমূহের মাঝে দ্বিতীয় বলে ঘোষণা করেন এবং এইচএসবিসি (ঐঝইঈ ) পূর্বাবাস দেন যে, ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ২৩তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে। এখানে বিনিয়োগকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা দেয়া হয়, কর পদ্ধতি সহজ ও কম খরচে কর্মী পাওয়া যায়।
সুইডিশ এনার্জি এজেন্সির পরিচালক যুসেফিন বার জাংডেল (ঔড়ংবঢ়যরহব ইধযৎ খলঁহমফবষষ)-এর সঞ্চালনায় সুইডেনের হিফাব (ঐওঋঅই), রেজিন (জঊএওঘ), ভল্ভ (ঠঙখঠঙ), মিলযো অচ (গওখঔঙ-ঙঈঐ), কাসান্দ্রা অয়েল (ঈঅঝঝঅঘউজঅ ঙওখ), এবিবি (অইই), মারকুরি আরভাল (গঅজঈটজও টজঠঅখ), এক্সপেন্ডো ইন্টারন্যাশনাল (ঊঢচঅঘউঙজ ওঘঞঊজঘঅঞওঙঘঅখ), এসবিএইচ সুইডেন (ঝইঐ ঝডঊউঊঘ), ইন্ডসেন রেজর (ওঘউঈঊঘ জঊঝঙজ), কালস এয়ারলাইন্স (কঅখঊঝ অওজখওঘঊঝ), এইচ এন্ড এম (ঐ্গ), লিমরা আইটি সলিউশন (খওগজঅ ওঞ ঝঙখটঞওঙঘঝ), স্করলাইন ম্যানেজমেন্ট (ঝঈঙজঊখওঘঊ গঅঘঅএঊগঊঘঞ) প্রভৃতি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সম্ভাবনা এবং স্রেডার সদস্য সিদ্দিক যোবায়ের নাবায়ণযোগ্য জ্বালানি নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন ও বক্তব্য দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সুযোগ সৃজন হয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে সুইডেনসহ ইউরোপীয় দেশসমূহকে তিনি আহ্বান জানান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত যোহান ফ্রিসেল (ঔঙঐঅঘ ঋজওঝঊখখ ) উপসি'ত ছিলেন।
#
আসলাম/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৮৮
পাট থেকে পলিথিনের বিকল্প পচনশীল পলিব্যাগ তৈরির প্রকল্প উদ্বোধন
ঢাকা, ২৯ বৈশাখ (১২ মে):
পলিথিনের বিকল্প পচনশীল পলিব্যাগ তৈরির প্রকল্প উদ্বোধন করল বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) তত্ত্ববধানে পাটের তৈরি পলিব্যাগ উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি গবেষণা কেন্দ্রের সাবেক মহাপরিচালক ড. মোবারক আহমদ। উদ্ভাবিত পলিব্যাগ পাইলট প্রকল্প পর্যায়ে উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান বিজেএমসি।
রাজধানীর ডেমরায় অবসি'ত লতিফ বাওয়ানী জুটমিলে আজ পলিব্যাগ তৈরির প্রাথমিক পাইলট পস্ন্যান্ট উদ্বোধন করেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক। বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপসি'ত ছিলেন।
সংসদ সদস্য মো. হাবিবুর রহমান মোলস্না, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান, বিজেএমসি চেয়ারম্যান ড. মাহমুদুল হাসান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিজেএমসির বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারগণ এ সময় উপসি'ত ছিলেন।
এ উপলড়্গে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, সোনালী আঁশ পাটের উৎপাদন ও বহুমুখী ব্যবহার উৎসাহিত এবং জনপ্রিয় করতে পাট চাষিদের সোনালী স্বপ্নপূরণে জোরদার পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। বর্তমান সরকার কাঁচা পাট ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ, পাটজাত পণ্য রপ্তানি ও অভ্যনত্মরীণ ব্যবহার বৃদ্ধিকরণ এবং পরিবেশ রক্ষায় পলিথিন বর্জন ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পাটকে বিশ্ব বাজারে তুলে ধরতে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) এ ১৩৫ প্রকার পাটপণ্যের স'ায়ী প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র চালু হয়েছে। পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যবহার বহুমুখীকরণ ও উচ্চমূল্য সংযোজিত পাটপণ্য উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে চারকোল, ঠরংপড়ংব, পাটপাতার পানীয়সহ নতুন নতুন বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে জোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম জানান, আগামীতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পাটের পলিথিন উৎপাদন শুরম্ন করা হবে। তিন মাসের মধ্যে বিদেশ থেকে আনা হবে যন্ত্রপাতি। সবকিছু করা হচ্ছে মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে। সরকারিভাবে উৎপাদনের পর বেসরকারিভাবেও এই ব্যাগ উৎপাদনে উৎসাহ দেয়া হবে। দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রফতানি হবে এই ব্যাগ। বাজারে যে পলিথিন ব্যাগ আছে তার চেয়ে দেড়গুণ বেশি টেকসই এবং ব্যবহার স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যাবে এই পাটের পলিথিনে।
বর্তমানে বিজেএমসির উদ্যোগে এই পচনশীল ব্যাগ তৈরির একটি সেমি অটোমেটিক পাইলট পস্ন্যান্ট তৈরির কাজ চলছে। তবে বৃহৎ পরিসরে নতুন উদ্ভাবিত এই পাট পলিব্যাগ তৈরিতে দেশে বা বিদেশে কোনো মেশিন তৈরি হয়নি। তাই এ ধরনের মেশিন তৈরির জন্য বিভিন্ন দেশে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে মেশিন তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশীয় প্রযুক্তিতে বড় মেশিন তৈরির জন্য টেন্ডার দেওয়া হয়েছে, যা দিয়ে পাইলট প্রকল্প পরিচালনা করা হবে। এতে প্রতিদিন ৩-৪ হাজার পলিব্যাগ উৎপাদন করা হবে। প্রকল্পটি সফলভাবে পরিচালন করা সম্ভব হলেই বাণিজ্যিকভাবে এই পলিব্যাগের উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরম্ন হবে।
উলেস্নখ্য, বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর আবিষ্কৃত এ পলিব্যাগ দেখতে প্রচলিত পলিথিনের মতোই হালকা, পাতলা ও টেকসই। পাটের সূক্ষ্ম সেলুলোজকে প্রক্রিয়াজাত করে এ ব্যাগ তৈরি করা হয়েছে। পাটের তৈরি পলিথিন মাটিতে ফেললে তা মাটির সঙ্গে মিশে যাবে। ফলে পরিবেশ দূষিত হবে না। এই ব্যাগ দামে সাশ্রয়ী হবে। এভাবে পাটের ব্যবহার বাড়লে ন্যায্য দাম পাবেন কৃষক। অতীতের মতোই পাট দিয়েই বিশ্বে সুপরিচিত হবে বাংলাদেশ।
#
সৈকত/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৭৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৮৭
সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের পলিটেকনিকসমূহে ৬০টি স্ট্রার্টার ল্যাব স'াপনে কারিগরি সহায়তা দেবে
সিঙ্গাপুর, ১২ মে :
সিঙ্গাপুর বাংলাদেশে ৬০টি স্ট্রার্টার ল্যাব স'াপনে কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে। প্রথম ১০টি ল্যাব স'াপনের কাজ জানুয়ারি ২০১৮-এর মধ্যে সমাপ্ত হবে। তাছাড়া সিঙ্গাপুরের নানইয়াং পলিটেকনিক ইন্টারন্যাশনাল বর্তমানে ২০ জনের ব্যাচে ব্যাচে বাংলাদেশের ১১৫০ জন কারিগরি শিড়্গককে প্রশিড়্গণ দিচ্ছে। ২০১৯ সালের মধ্যে এ প্রশিড়্গণ শেষ হবে। ইতোপূর্বে ২০১৬ সালের মধ্যে ৪৫০ জন শিড়্গককে পেশাগত প্রশিড়্গণ প্রদান করেছে।
প্রথম ১০টি স্ট্রার্টার ল্যাবের মধ্যে ৬টি মাইক্রো কন্ট্রোলার ল্যাব এবং ৪টি ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক ল্যাব হবে।
শিড়্গামন্ত্রী নুরম্নল ইসলাম নাহিদ আজ সিঙ্গাপুরের নানইয়াং পলিটেকনিক ইন্টারন্যাশনালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপড়্গের সাথে বাংলাদেশে স্ট্রার্টার ল্যাব স'াপন বিষয়ে এক নীতিনির্ধারণী সভায় মিলিত হন। মন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্যবৃন্দ উপসি'ত ছিলেন। সভায় নানইয়াং পলিটেকনিক ইন্টারন্যাশনালের সিইও জে ফুন ফুং (ঋড়ড়হম ঞুব ঋঙঙঘ), ডিরেক্টর এন'নি উন (অহঃযড়হু ডঙঙঘ), ডেপুটি ডিরেক্টর এসথার বে (ঊংঃযবৎ ইঅণ), ডেপুটি ডিরেক্টর টাটস্ ফাহ্ সুন (ঞধঃং ঋধয ঝঙঙঘ), জুডি এমিলি (ঔঁফু ঊগওখণ), প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ এড্রিয়ান কুইক (অফৎরধহ ছটঊক) প্রমুখ উপসি'ত ছিলেন।
শিড়্গামন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমানে একটি প্রতিনিধিদল সিঙ্গাপুরের নানইয়াং পলিটেকনিক ইন্টারন্যাশনালে চলমান প্রশিড়্গণ কার্যক্রমের মনিটরিং করেছেন। প্রতিনিধিদলে শিড়্গা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিড়্গা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও উন্নয়ন) বি এম এনামুল হক, শিড়্গা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা, স্টেপ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এ বি এম আজাদ, যুগ্মসচিব নাজমুল হক খান, স্টেপ-এর ডিপিডি জয়দেব সাহা আছেন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল আগামী ১৩ মে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
#
সুবোধ/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৮০৩ ঘণ্টা