তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৮৭
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সিভিল সার্ভিস ২০৪১-এর যাত্রা শুরু
ঢাকা, ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই):
২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনসেবা প্রদান ও দেশের জনগণের সমস্যা মোকাবিলায় গভপ্রেনিউরশীপের মাধ্যমে নতুন পদ্ধতি ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সদা তৎপর, উদ্যমী ও যোগ্যতাসম্পন্ন জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে হবে। এলক্ষ্যে আজ রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ বিনির্মাণে সিভিল সার্ভিসের ভূমিকা’-শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে এটুআই। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মোঃ সামসুল আরেফিন এবং সিভিল সার্ভিস ২০৪১: ডিজিটাল লিডারশিপ জার্নি বিষয়ে বিস্তারিত উপস্থাপনা প্রদান করেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এবং এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী। সিভিল সার্ভিস ২০৪১-এর কার্যক্রম শুরু করায় জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল (অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্কিত) লিউ ঝেন মিন একটি লিখিত শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমলাতন্ত্রের কাজ হলো জনগণের চাহিদা অনুযায়ী দেশের সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে জনকল্যাণ নিশ্চিত করা। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রক্রিয়ায় সকল বাধা ডিঙিয়ে আমরা সফল হয়েছি। আমাদেরকে পরবর্তী প্রজন্মের গভর্নেন্সের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। যেখানে মূল চ্যালেঞ্জ হবে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ম্যানেজমেন্ট ও গভর্নেন্স এর সকল শাখায় উন্নয়ন ঘটানো। বৈশ্বিক ও জাতীয় প্রেক্ষাপটের কথা মাথায় রেখে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। প্রাথমিকভাবে ছোট ছোট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তা অর্জনে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে হবে। যার ধারাবাহিকতায় ২০৩০ সালকে আমরা মধ্যবর্তী পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও কাজ করছি। তাছাড়া এসডিজি গ্রাজুয়েশনের পর বাংলাদেশ যেসকল সুবিধা হারাবে সে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে তাও মাথায় রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সিনিয়র সচিব, সচিবগণ, উপাচার্যগণ, যুগ্মসচিববৃন্দ, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, মাঠপর্যায় থেকে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনারবৃন্দ, জেলা প্রশাসকবৃন্দ, সিভিল সার্ভিসের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। এছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, আইসিটি বিভাগ, এটুআই এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অংশ নেন।
#
আদনান/রফিক/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/২৩১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৮৬
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তরুণ সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে
-- গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী
ময়মনসিংহ, ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই):
গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তরুণ সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
আজ ময়মনসিংহের অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সৈয়দ নজরুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে দেশ স্বল্পোন্নত হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়ে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। অর্থনৈতিক, সামাজিক সকল সেক্টরে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর একটি আধুনিক, উন্নত ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে হলে তরুণ সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদেরকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দক্ষ জনবল হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোঃ এনামুল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু এবং জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
#
সিদ্দিকী/রফিক/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/২১৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৮৫
মুকুল বোসের মৃত্যুতে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দের শোক
ঢাকা, ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই):
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মুকুল বোসের মৃত্যুতে মন্ত্রীবর্গ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আজ পৃথক শোকবার্তায় তাঁরা প্রয়াত মুকুল বোসের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মুকুল বোসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন; খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার; বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
#
মাহমুদুল/রফিক/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৮৪
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ
ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ), ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই):
যতদিন প্রয়োজন ততদিন ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের পুনর্বাসনে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে অতিদ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যগণ বন্যা কবলিত সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে কমিটির সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান ও মজিবুর রহমান চৌধুরী পরিদর্শন এবং ত্রাণ বিতরণে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া কমিটির বিশেষ আমন্ত্রণে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও মুহিবুর রহমান মানিক পরিদর্শন এবং ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফসল, রাস্তাঘাট, স্কুল ও ঘরবাড়ি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কমপক্ষে আরো ২ সপ্তাহ প্রয়োজন হলে এরপরও ত্রাণ প্রদান কার্যক্রম চলবে। এ সময় নগদ অর্থ, চাল ও শুকনো খাবার চাহিদা অনুযায়ী প্রদান করা হবে। এছাড়া বন্যাপ্লাবিত বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নিরাপদ পানি নিশ্চিতকল্পে প্রয়োজনীয় সংখ্যক টিউবওয়েল, ঘরবাড়ি মেরামতের টিন, স্কুল ঘর মেরামত, পানিবাহিত রোগ-বালাই রোধে ওষুধ প্রদান করা হবে।
মতবিনিময় সভা শেষে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যগণ, স্থানীয় সংসদ সদস্য, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মহাপরিচালক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন।
#
সেলিম/রফিক/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৯৪৫ঘণ্টা
Handout Number : 2683
Foreign Minister inaugurates Chancery Building of Bangladesh Embassy in Lisbon
Dhaka, 2 July:
Foreign Minister Dr. A K Abdul Momen formally inaugurated the new Chancery building of Bangladesh Embassy in Lisbon yesterday. The entrance and premises of the Chancery wore a festive look with decorations befitting the occasion. Secretary General of the Ministry of Foreign Affairs of Portugal Ambassador Álvaro Mendonça e Moura graced the inaugural ceremony as special guest.
After unveiling the inaugural plaque and cutting the ribbon, the Foreign Minister paid his homage to the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman by placing a floral wreath at his mural portrait lying on the wall of the Chancery building.
Ambassador Mr. Tarik Ahsan, Rear Admiral (Retd.) Md. Khurshed Alam, BN, officials from the Foreign Ministry, other embassy officials, distinguished Portuguese guests along with leaders and members of expatriate Bangladesh community were present on this auspicious occasion.
Participants of the event assembled at the auditorium of the Chancery to share their feelings on the special day. Bangladesh expatriates expressed their joy at having a Bangladesh-owned Embassy in Portugal. Portuguese guests congratulated Bangladesh government on securing a permanent address of Bangladesh in Lisbon.
Ambassador Tarik Ahsan, in his welcome speech, said that permanent Chancery building had been a long-felt need, as workload of our Embassy has increased manifold, due to its increased activities in consular affairs as well as in pursuit of economic, cultural and public diplomacy. He viewed that the new Chancery building would contribute in a big way to strengthening the bonds of friendship between peoples of Bangladesh and Portugal. He expressed his gratitude to Prime Minister Sheikh Hasina for her directives to establish the permanent Chancery building and Ambassador’s Residence in Lisbon.
Ambassador Álvaro Mendonça e Moura in his remarks congratulated Bangladesh government and all the expatriates living in Portugal at this historic moment. He opined that the friendly relation between Bangladesh and Portugal would be elevated to a higher level with this inauguration of the permanent chancery building in Lisbon.
Foreign Minister Dr. A K Abdul Momen in his speech viewed that the Chancery building symbolizes the presence of a transforming Bangladesh that has just celebrated 50 years of its independence last year, and stands poised to enhance its global footprints by surging ahead with its value-based diplomacy in pursuit of its national development aspirations. He said, “This building is not just a mere construction or enclosure, but bears our message to our friends in Portugal that we value our shared history, that we cherish our present-day human connectivity, and that we look to our shared future with much anticipation and optimism.”
Cont. page-2
Page-2
Towards the end of the event, a special prayer was offered on the occasion seeking continued success of the Embassy of Bangladesh in Lisbon as well as peace, progress and prosperity of Bangladesh. The guests were treated with Bangladeshi food.
After the main segment of inaugural ceremony, the Foreign Minister inaugurated Bangabandhu Corner of the Chancery, went round different sections of the Chancery building and interacted with consular service seekers.
The resident Embassy of Bangladesh in Lisbon was first established at a rented building in July 2012. The government of Bangladesh bought two properties in 2020 for permanent addresses of the Chancery and Ambassador’s Residence. Shifting from rented properties to these own properties took place after their remodelling and renovation. The property for Chancery is a three-storied building, based on a land plot of 2,000 square metre. Main features of the property include reception area, auditorium, Bangabandhu Corner, conference room, dining room, wide exhibition room, consular service area with separate entrance, spacious waiting room and fountain, apart from office rooms for officials as well as large open space suitable for hosting big public events. This is one of the largest Chancery buildings of Bangladesh in Europe.
In the evening, the Foreign Minister attended a dinner hosted in his honour by Ambassador Tarik Ahsan at Bangladesh House. This was also attended by Secretary General of Portuguese Ministry of Foreign Affairs Ambassador Álvaro Mendonça e Moura, other high officials, members of civil society of Portugal as well as members of Foreign Minister’s delegation and Embassy officials.
Earlier in the morning, the Foreign Minister had a bilateral meeting with Portuguese Foreign Minister Dr. João Gomes Cravinho.
On 30 June evening, the Foreign Minister attended a reception arranged by the Bangladesh community of Portugal. He listened the issues raised by the expatriates Bangladeshis and assured them, he would advise appropriate authorities back in Bangladesh to address the issues relating passport and police clearances.
#
Mohsin/Pasha/Rafiq/Sanjib/Abbas/1920 Hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৮২
রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষিকে আরও সমৃদ্ধ করতে চাই
-- কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই):
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে খাদ্য নিরাপত্তা একসময় বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। বর্তমান সরকারের আমলে খাদ্য নিরাপত্তায় অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। দুর্যোগেও দেশে এখন খাদ্য সংকট হয় না।
আজ নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশ ভবনে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের কৃষি অনেক উন্নত হয়েছে, এটিকে আমরা আরও সমৃদ্ধ করতে চাই। কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি করতে না পারলে এটি সম্ভব হবে না। কোন ফসলের উৎপাদন একটু বাড়লেই কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য পায় না। সেজন্য আমরা কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে কাজ করছি। রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিরসনে কাজ চলছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, কৃষিপণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে নেদারল্যান্ডস শীর্ষস্থানীয় দেশ, বর্তমানে দ্বিতীয় অবস্থানে। নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে (গ্রিন হাউস, বিরূপ পরিবেশে) ফসল উৎপাদনে বিশ্বের উদাহরণ। নেদারল্যান্ডসের এ অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিকে আমরা কাজে লাগাতে কাজ করছি।
সভায় প্রবাসী ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য আনার ক্ষেত্রে নানা সমস্যা তুলে ধরেন।
স্বাধীনতাবিরোধীরা চায় না বাংলাদেশ উন্নত হোক
-- কৃষিমন্ত্রী
এর আগে মন্ত্রী দূতাবাস ভবনে বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জ পরিদর্শন করেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কখনও প্রকৃত অর্থে স্বশাসিত ও স্বাধীন ছিল না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। কিন্তু দেশের স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকার, আলবদর ও মীর জাফরের বংশধরেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। পাকিস্তানিরা যাঁকে হত্যা করতে সাহস পায়নি, আমাদের সেই মহান নেতা বঙ্গবন্ধুকে এ দেশের বাঙালিরা হত্যা করেছে, যা চরম অকৃতজ্ঞতা ও নৃশংসতার উদাহরণ।
মন্ত্রী বলেন, মাও সেতুং এবং লেনিনকে সে দেশের মানুষ পরম শ্রদ্ধাভরে ও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। বঙ্গবন্ধু মাও সেতুং ও লেনিনের মতো মহান নেতা, কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি, রাজাকার, আলবদররা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে এবং এখনও এই অপশক্তি বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করে। তিনি আরো বলেন, এই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এখনও চায় না বাংলাদেশ উন্নত দেশ হোক, পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে যাক।
পরে কৃষিমন্ত্রী ইস্ট ওয়েস্ট সিডসের প্রতিষ্ঠাতা ও ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ বিজয়ী সিমন গ্রুটসের সাথে বৈঠক করেন।
এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার, অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রেহানা ইয়াসমিন ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
#
কামরুল/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/১৮০৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৮১
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর উন্নয়নে সরকার কাজ করছে
---খাদ্যমন্ত্রী
পোরশা (নওগাঁ) ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই) :
সরকার দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার
আজ নওগাঁর পোরশা উপজেলার সরাইগাছী মাঠে কারিতাস এর সুবর্ণ জয়ন্তী ও সিধু কানু দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি জাতি গোষ্ঠীর ঐতিহ্য রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর। তাদের জীবনমানের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, অনেক সংগঠন আছে যারা নৃ-গোষ্ঠীদের নিয়ে বিভিন্ন মিছিল, মিটিং ও সমাবেশে তাদেরকে জমায়েত করে এসব ভিডিও করে বিদেশে পাঠিয়ে অর্থ আনে। তারা নিজেরা ফায়দা লোটে কিন্ত নৃ-গোষ্ঠীর অবস্থার পরিবর্তন হয় না । অপরদিকে কারিতাস ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলেছে। এসময় মন্ত্রী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সমস্যাসমূহের কার্যকর সমাধানে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
পোরশা উপজেলা নিবার্হী অফিসার সালমা আক্তার, কারিতাসের বিশপ জেভার্স রোজারিও, কারিতাস রাজশাহী অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সুক্লেশ জর্জ কস্তারসহ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
#
কামাল/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২২/১৭৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৮০
বর্তমান সরকারের আমলে পার্বত্য এলাকায় দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে
---পার্বত্যমন্ত্রী
লামা (বান্দরবান,) ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, পার্বত্য এলাকার উন্নয়নে বর্তমান সরকার অত্যন্ত আন্তরিক, আর এই সরকারের আমলে পার্বত্য এলাকার উন্নয়নে ব্রীজ, কালভার্ট ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। অতীতের সরকারগুলো পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে অপরাজনীতি করেছে, বর্তমান সরকারের আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে।
আজ পার্বত্য বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে লামা উপজেলার মাতামুহুরী নদীর উপর রুপসীপাড়া-শিলেরতোয়া সড়কে ১৮৪ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ উদ্বোধন করেন। গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে প্রায় ১৫ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ।
এছাড়াও গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বাসিন্দাদের মাঝে ৬২৫টি সোলার হোম সিস্টেম, ২০ বান ঢেউটিন, ৭০ জনকে কৃষি প্রণোদনা এবং ২০টি সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্রীড়াসামগ্রী প্রদান করেন পার্বত্যমন্ত্রী।
এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য মোঃ হারুন অর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা জামাল, পৌর মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোঃ ইয়াছিন আরাফাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
#
নাছির/পাশা/আব্বাস/২০২২/১৭৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৭৯
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ হাজার ১০৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ। এ সময় ৮ হাজার ৩৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ১৬০ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৭ হাজার ৯৯০ জন।
#
জাকির/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২২/১৭১৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৭৮
কপর্দকহীন ও উদভ্রান্তের মতো কথা বলা এখন বিএনপি’র মজ্জাগত
---তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, কপর্দকহীন এবং উদভ্রান্তের মতো কথা বলা বিএনপির মজ্জাগত হয়ে গেছে। পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ায় সারাদেশের মানুষ যখন উল্লসিত এবং পদ্মা সেতু নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদেরকে মানুষ ধিক্কার দিচ্ছে, তখন তারা খেই হারিয়ে নানা ধরনের উল্টাপাল্টা বক্তব্য দিচ্ছে, বলেন তিনি।
আজ মন্ত্রী তার চট্টগ্রাম নগরীর বাসায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। পদ্মা সেতু নিয়ে সংসদে গান করার পরিবর্তে বন্যায় দুর্গত মানুষের সহায়তায় যেন আওয়ামী লীগ ঝাঁপিয়ে পড়ে - বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে ড. হাছান বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবার পর রিজভী সাহেব কয়েকদিন নিখোঁজ ছিলেন, হঠাৎ বের হয়ে তিনি এখন নানা ধরনের কথা বলছেন। বন্যা হবার পর সেখানে বিএনপির কেউ যায়নি এবং বিএনপি কপর্দকহীনের মতো বলেছে, ত্রাণ দেয়া তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য নয় । আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তখন বন্যা, জলোচ্ছ্বাসসহ বিভিন্ন দুর্যোগ দুর্বিপাকে সবসময় দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমাদের নেত্রী ছুটে গেছেন, কিন্তু তারা এবার যায়নি। এছাড়া, সংসদে এমপি মমতাজ বেগম তার বক্তব্যের শেষাংশে বিএনপির সংসদীয় দলের নেতা হারুনুর রশীদের অনুরোধেই আরেকটি গান গেয়েছিলেন। সেটি মনে হয় রিজভী সাহেব জানেন না।’
বাংলাদেশে থেকে যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না এ প্রশ্নে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘হাইকোর্টের একটি রায়ে পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে। রায়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কী করা যায় সরকার বিবেচনা করবে।’
আওয়ামী লীগের গাফিলতিতে দেশে করোনা বাড়ছে - বিএনপির খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এ বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন, ‘সারা পৃথিবীতে তাহলে করোনা কী জন্য বাড়ছে? ভারতে বিজেপি’র কারণে বাড়ছে কি না? বন্যা হবার পরও বিএনপি বলেছে, সরকারের কারণে বন্যা হয়েছে তবে কি আসাম এবং মেঘালয়ে দুই হাজার এবং সিলেটে একদিনে হাজার মিলিমিটার বৃষ্টিও আওয়ামী লীগের কারণে হয়েছে ? ১২২ বছরের মধ্যে এবার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে, সে জন্যই বন্যা এবং বন্যার শুরু থেকে আমাদের সরকার এবং দল সর্বাগ্রে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, বন্যার পানিতে ডুবে এবং সাপের কামড়ে কয়েকজন মারা গেছে সেটা সত্য, কিন্তু অনাহারে কোন মানুষ মৃত্যুবরণ করেনি।’
কোনো টিভি চ্যানেলে একটির বেশি বিদেশি সিরিয়াল নয় -তথ্যমন্ত্রী
দেশের কোনো টিভি চ্যানেল একসাথে একাধিক বিদেশি সিরিয়াল সম্প্রচার করতে পারবে না। দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য -সংস্কৃতি-কৃষ্টি রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এদিন রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসি'র তৃতীয় সম্প্রচার সম্মেলনে অনলাইনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী একথা জানান। ঢাকা প্রান্তে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ মকবুল হোসেন বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
বিজেসির অন্যতম ট্রাস্টি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অধিবেশনে আলোচনা করেন বিজেসি সভাপতি রেজওয়ানুল হক রাজা, সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ, পরিচালকদের মধ্যে রাশেদ আহমেদ, নূর উস-সাফা জুলহাজ, বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।
চলমান পাতা-২
পাতা-২
সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, গণমাধ্যম দেশের অন্যতম পথপ্রদর্শক, যা কোনভাবেই মালিকপক্ষের স্বার্থ রক্ষায় ব্যবহৃত হওয়া উচিত নয়। একইসাথে মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইনের পরিবর্তন-পরিবর্ধনে সাংবাদিকদের সাথে সরকার একমত এবং সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠনের লিখিত প্রস্তাবনার অপেক্ষায় রয়েছে। সুতরাং এ নিয়ে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই। হাছান মাহ্মুদ এসময় দেশের গণমাধ্যমকে সমৃদ্ধতর করতে বিজেসির ভূমিকা জোরদারে গুরুত্ব দেন। তথ্যসচিব এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ সম্প্রচার সম্মেলনের সাফল্য কামনা করেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মুকুল বোসের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকুল বোসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
ভারতের চেন্নাইয়ে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬৮ বছর বয়সে শনিবার ভোরে তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের সংবাদে শোকাহত মন্ত্রী প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
#
আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২২/১৭৪২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৭৭
সাহিত্যের নানা উপকরণে সমৃদ্ধ একটি জনপদ গোপালগঞ্জ
-- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
গোপালগঞ্জ, ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই):
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, রাজনীতির তীর্থস্থান ও পুণ্যভূমি খ্যাত গোপালগঞ্জ সাহিত্যের নানা উপকরণে সমৃদ্ধ একটি জনপদ। স্বাধীনতার মহান স্থপতি, অসাম্প্রদায়িক বাংলা গড়ার কারিগর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পবিত্র জন্মভূমি এ জনপদ। পবিত্রস্থানে গেলে আমরা যেমন আত্মিক শান্তি লাভ করি, তেমনি গোপালগঞ্জে এলেও আমি সেরকম শান্তির সুবাতাস লাভ করি। সেই ঐতিহ্যবাহী গোপালগঞ্জ জেলা থেকে বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘জেলা সাহিত্যমেলা ২০২২’ এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ গোপালগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির শেখ ফজলুল হক মণি স্মৃতি মিলনায়তনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় বাংলা একাডেমি আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘জেলা সাহিত্যমেলা ২০২২’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী অমর একুশে বইমেলার পূর্বে দেশের ৬৪টি জেলায় জেলা সাহিত্যমেলার আয়োজন শেষ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় জেলা পর্যায়ের সাহিত্যিকদের সৃষ্টিকর্ম জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। ক্ষুদে সাহিত্যিক ও শিক্ষার্থীদের সাহিত্যমেলায় সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের মধ্য থেকে আগামীদিনের প্রখ্যাত লেখক, কবি-সাহিত্যিক বের হয়ে আসবে। তিনি বলেন, ক্ষুদে লেখক, সাহিত্যিকদের সাহিত্যচর্চায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য সাহিত্যমেলায় আলাদা সেশন বা স্লট বরাদ্দ রাখতে হবে এবং তাদের মধ্য থেকে সেরাদের পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কে এম খালিদ বলেন, লেখালেখি করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে এমন লেখকের সংখ্যা হাতেগোনা। প্রাণের খোরাক জোগাতেই বেশিরভাগ মানুষ লিখে থাকেন। তিনি বলেন, দরিদ্রের পর্ণকুটিরে যেমন তার স্থান, তেমনি ধনীদের বিলাসবহুল প্রাসাদেও তার অবাধ গতি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, একসময় কলকাতা ছিলো বাংলা সাহিত্যচর্চার কেন্দ্রবিন্দু। ১৯৪৭ সালের দেশভাগ ও পরবর্তীতে ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বাংলা ভাষা ও সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেছে।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তৃতা করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক জাতিসত্তার কব