Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ এপ্রিল ২০২৪

তথ্যবিবরণী ১৭ এপ্রিল ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :  ৪২৪৩

 

রোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস-২০২৪ পালিত

 

রোম (ইটালি), ১৭ এপ্রিল:

 

রোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে আজ যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস-২০২৪’ পালন করা হয়েছে।

 

          অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে ও মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ ও দিবসটির ওপর একটি প্রামাণ্যচত্রি প্রদর্শন করা হয়। এরপর, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

 

চার্জ দ্য এফেয়ার্স মোঃ জসীম উদ্দিন তাঁর বক্তব্যে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন, যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করে। চার্জ দ্য এফেয়ার্স ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের পটভূমির ওপর আলোচনায় বলেন, ১০ এপ্রিল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি গণপরিষদ গঠনপূর্বক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কর্তৃক ইতোপূর্বে ঘোষিত স্বাধীনতার প্রতি দৃঢ় সমর্থন ও অনুমোদনের মধ্য দিয়ে মুজিবনগর সরকার একটি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করে। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে শতাধিক দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের উপস্থিতিতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে। চার্জ দ্য এফেয়ার্স মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

 

সবশেষে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

 

#

 

পাশা/শফি/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২২৩০ ঘণ্টা

Handout                                                                                                                   Number : 4242

 

 

Athens Conference: FM Hasan calls for responsible and sustainable ocean management


 

Athens, 17 April: 

 

Foreign Minister Dr. Hasan Mahmud stressed the need for responsible and sustainable ocean management in his intervention at the high level panel of Foreign Ministers on the theme 'Ocean Sustainable Management' in the 9th Our Ocean Conference in Athens on Wednesday. 

 

Dr. Hasan also pointed the need for adopting a holistic approach to balance between sustainable management of the ocean for environmental conservation and socioeconomic development of people living in the proximity of the ocean. 

 

In this regard, Minister Dr. Mahmud highlighted the initiatives taken by Bangladesh, a country with long Maritime border and Maritime history, under the leadership of Prime Minister Sheikh Hasina to ensure sustainable ocean management and utilization of maritime resources to uplift the socioeconomic condition of the coastal population.

 

The minister also called upon the world community to ratify the Biodiversity beyond National Jurisdiction-BBNJ Treaty and allocate funds for the restoration of biodiversity of the Oceans as about 10 billion USD was committed by various countries for overall development of ecosystems and green shipping.

 

Foreign Ministers of Greece, Costa Rica, Cape Verde, Sao Tome and Principe also made intervention and made national commitments at this conference concluding day panel discussion.

 

#

 

Akram/Pasha/Shafi/Sanjib/Shamim/2024/2120hour

তথ্যবিবরণী                                                                                                                      নম্বর ː ৪২৪১

 

দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

 

এথেন্স, ১৭ এপ্রিল :   

গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে অনুষ্ঠানরত ‘নবম আওয়ার ওশান কনফারেন্স’-এ দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সকলের সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

১৫ এপ্রিল শুরু হওয়া এ সম্মেলনের সমাপনী দিন আজ সমুদ্রের টেকসই ব্যবস্থাপনা বিষয়ক Ocean Sustainable Management থিমভিত্তিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

পরিবেশবিদ ড. হাছান বলেন, সমুদ্রের টেকসই ব্যবস্থাপনা এমন হওয়া কাম্য যাতে করে সমুদ্র উপকূলে বসবাসকারী মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকে। মানুষের একমাত্র আবাস পৃথিবী গ্রহকে টিকিয়ে রাখা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সমুদ্র ও সামুদ্রিক সম্পদের দায়িত্বশীল ও সযত্ন ব্যবহার একান্ত প্রয়োজন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনা এবং সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে গৃহীত নানা উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন।

বিশ্বের দেশগুলোর জাতীয় সীমার বাইরের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বাস্তুতন্ত্রের সার্বিক উন্নয়ন এবং গ্রিন শিপিং বা পরিবেশবান্ধব নৌপরিবহন, যা তুলনামূলকভাবে পরিবেশের ক্ষতি কম করে, এমন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিভিন্ন দেশ প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি -স্মরণ করিয়ে দেন মন্ত্রী হাছান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান জাতীয় সীমাবহির্ভূত জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ক বিবিএনজে চুক্তিটি সকল রাষ্ট্রকে ‘র‍্যাটিফাই’ করা এবং মহাসাগরের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারে তহবিল বরাদ্দের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

অন্যান্যের মধ্যে স্বাগতিক দেশ গ্রিস, কোস্টারিকা, কেপ ভার্দে, সাও টোমে এবং প্রিন্সেপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীবৃন্দ প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য দেন ।

 

#

আকরাম/শফি/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/২০৪০ঘন্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর ː ৪২৪০

 

আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪

 

 ঢাকা, ৪ বৈশাখ (১৭ এপ্রিল)ː 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক আগামী ১৮ থেকে ২২ এপ্রিল ২০২৪ দেশব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। ‘প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আগামী ১৮ এপ্রিল সকাল ১০.০০ টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।

এ প্রসঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ এর অন্যতম লক্ষ্য হলো প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি, দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার সৃষ্টি, ক্ষুদ্র খামারি ও উদ্যোক্তাদের গবাদি পশু উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করা। এছাড়া প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সেমিনার থেকে জনগণ গবাদি পশু পালনের আধুনিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে জানতে পারবে। ফলে জনগণ উপকৃত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতি আমাদের এসব কাজে উৎসাহ যোগাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে ১৮ ও ১৯ এপ্রিল ২০২৪ দুই দিনব্যাপী পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠ, আগারগাঁও, ঢাকায় দুদিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া দেশব্যাপী ৬৪ টি জেলার ৪৬৬টি উপজেলায় এ প্রদর্শনী একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। এসব প্রদর্শনীতে স্ব স্ব উপজেলা থেকে উন্নত জাতের এবং অধিক উৎপাদনশীল জাতের গবাদিপশু যেমন- গাভি, বাছুর, ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, মুরগি, হাঁস, দুম্বা, কবুতর, সৌখিন পাখি, পোষা প্রাণী এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রদর্শন ইত্যাদি স্থান পাবে।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় প্রদর্শনীতে ভিন্ন ভিন্ন ভ্যালুচেইনভিত্তিক প্রায় ৪০০টি স্টল স্থাপন করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রযুক্তি, ঔষধ সামগ্রী, টিকা, প্রাণিজাত পণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ সরঞ্জাম, মোড়কসহ পণ্য বাজারজাতকরণ প্রযুক্তি ইত্যাদির স্টলও থাকবে। এছাড়া ৭টি প্যাভেলিয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প, এলআরআই, কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার অংশগ্রহণ করছে। 

প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ১৯ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে এবং প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান আগামী ২২ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশন (বিডিএফএ) এবং বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এ আয়োজনে সহযোগিতা করছে। 

#

 

নাজমুল/শফি/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/২০৩০ঘন্টা

 

 

তথ্যববিরণী                                                                                                      নম্বর : ৪২৩৯

মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে

                                                                       --- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

মেহেরপুর, ৪ বৈশাখ (১৭ এপ্রিল) :

          মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই-বাছাই শেষে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা জাতীয় কাউন্সিলে পাঠান। তারপর মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট প্রকাশ করা হয়। যদি কোনো ব্যক্তি মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকেন, সেটা কেউ অভিযোগ করলে বা মন্ত্রণালয়ের নজরে এলে সেগুলো বাতিল করা হবে। ইতিমধ্যে প্রমাণ হওয়ায় আট হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’

          মন্ত্রী আজ মেহেরপুরে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

          মোজাম্মেল হক বলেন, মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশের প্রথম সরকার। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের ধারাবাহিকতায় আজকের এই সরকার। মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্য মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রকল্পটা প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। অল্পদিনের মধ্যেই একনেকে তোলা হবে। একনেকে অনুমোদন করার পর দ্রুতই কাজ শুরু হবে। আগামী ১৭ এপ্রিলের পূর্বেই মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একটি কর্মযজ্ঞ শুরু করা হবে।

          এ সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি), রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

          এরপর আম্রকাননে জাকজমকপূর্ণ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পুলিশ, বিজিবি, আনসার, বিএনসিসি ও ছাত্র-ছাত্রীদের একাধিক দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন।

#

এনায়েত/পাশা/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২১২০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :   ৪২৩৮

 

রিয়াদে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

 

রিয়াদ (সৌদি আরব), ১৭ এপ্রিল:

 

সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে দূতাবাসের অডিটরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন। একাত্তরের এই দিনে অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও সরকার পরিচালনা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে এক রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

 

রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে যে অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়েছিল তা জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। চরম দুঃসময় ও এক ক্রান্তিলগ্নে সেদিন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম সরকার শপথ নিয়ে দেশবাসীকে আশার আলো দেখিয়েছিল এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে দিকনির্দেশনা প্রদান করেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সেদিন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হয়।

 

রাষ্ট্রদূত বলেন, সেদিনের সরকারের শপথ নেয়া জাতীয় চার নেতাকে জাতি যুগ যুগ ধরে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। তিনি সবাইকে দেশের জন্য তাঁদের অবিস্মরণীয় অবদান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

 

দূতাবাসের কাউন্সেলর মোঃ বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় এবং একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

 

আলোচনা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।

#

পাশা/শফি/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/১৯৫০ ঘণ্টা

তথ্যববিরণী                                                                                                   নম্বর : ৪২৩৭

 

স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাসে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে

                                                                              --- ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব

ঢাকা, ৪ বৈশাখ (১৭ এপ্রিল) :

        ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ টেলিগ্রাম বার্তায় বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নেতা কর্মীদের মাঝে পৌছে দেয়া এবং মুজিবনগর সরকারের ৮টি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগের এই ভূমিকা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান।

        আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা-ডাক ও টেলিযোগাযোগের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব এসব কথা বলেন।

        সচিব বলেন, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ প্রণীত হয়, যা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি টার্নিং পয়েন্ট বলে বিবেচিত। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের আম্রকাননে মুজিবনগর সরকারের শপথের মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গরূপে উপস্থাপিত হয় এবং সমগ্র বিশ্বের ইতিহাসে এক অনন্য আইনি দলিল হিসেবে স্বীকৃত হয়। তিনি ১৭ এপ্রিলের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, মুজিবনগরে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেওয়ার মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সে ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে মুজিবনগরের সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আজকের বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার যোগসূত্র রচিত হয়। বিশ্ববাসী জানতে পারে বাংলাদেশে একটি বৈধ সরকার গঠিত হয়েছে এবং সেই সরকারের নির্দেশনায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এদেশের মুক্তিকামী মানুষ স্বাধীনতার সংগ্রাম করছে।

        তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা টেলিগ্রাম ও ওয়ারলেসসহ টেলিযোগাযোগ যন্ত্র ব্যবহার করে যে সকল বাঙালি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েও প্রেরণ করতে সহযোগিতা করেছেন তারা জাতীয় বীর। এসকল বীরদের যথাযথ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে উদ্যোগ গ্রহণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রতিমন্ত্রী ইতোমধ্যেই নির্দেশনা দিয়েছেন।

        ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্তি সচিব এ কে এম আমিরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসির কমিশনার মুশফিক মান্নান চৌধুরী, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদার, বিটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহম্মদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের যুগ্মসচিব মোঃ জহিরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

        অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্তি সচিব মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার ই কায়নাত, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সাহাব উদ্দিন, মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. মোঃ মহিউদ্দিন এবং টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম হাবিবুর রহমানসহ বিভাগ ও সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

        অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের যুগ্ম সচিব সাইদা আফরোজ।

#

শেফায়েত/পাশা/শফি/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০৩০ঘণ্টা

Handout                                                                                                                             Number : 4236

The 4-day NAP Expo begins on April 22 and will be opened by the PM
                                                                         --- Environment Minister
 

Dhaka, 17 April: 

            Environment, Forest and Climate Change Minister Saber Hossain Chowdhury said that UN Climate Adaptation Conference National Adaptation Plan (NAP) Expo 2024 will be held at Bangabandhu International Conference Center (BICC) from 22 to 25 April.  The Expo is being organized under the supervision of UNFCCC with the cooperation of expert groups of least developed countries and various organizations. Prime Minister Sheikh Hasina will auspiciously inaugurate the conference. UNFCCC Executive Secretary Simon Stiell will be present at the NAP Expo.

            The Environment Minister said these things at a press conference organized by the Ministry of Environment, Forest and Climate Change on the occasion of NAP Expo 2024 today.

            The Environment Minister said that 383 people from 104 countries have registered with UNFCCC to participate in NAP Expo 2024.  Besides, 550 people including representatives of various ministries, departments and organizations of the country, climate experts, representatives of NGOs, students will participate. By participating in this conference, everyone will be able to mutually benefit from various issues related to the adaptation activities of different countries to deal with the impact of climate change.

            Saber Chowdhury said, NAP Expo is an international forum where various countries, organizations and other relevant stakeholders interact and exchange experiences in the formulation and implementation of NAP. Expert meetings will be held to discuss country experiences, best practices, implementation challenges, needs and information on support provided and received related to the NAP formulation and implementation process, and provide an opportunity to assess the implementation progress of various NAPs.  In addition, it is a global platform to secure funding from other climate funds, including the GCF, for the formulation and implementation of NAPs in countries vulnerable to climate change.  The expo will also organize training to identify gaps and needs related to the process of NAP formulation and implementation in developing countries. Bangladesh will host various sessions at NAP Expo 2024.

            The minister said that there will be a total of 20 stalls in this conference where adaptive activities of different countries will be displayed. Also, in 16 sessions over 4 days, experts will discuss about transformational adaptation, financial mechanism, adaptation activity monitoring and evaluation tools, gender responsive adaptation etc. Rainwater harvesting, water harvesting through solar energy in hilly areas, climate tolerant seeds, livestock conservation and other agricultural activities, Delta Plan activities in support of adaptation activities, cyclone shelters for climate adaptation, Mujib Killa, roads  , culvert construction, climate resilient urban management, climate refugees, etc. will be showcased on climate adaptation topics 10 sites allocated for Bangladesh. We can also gain experience from the orientation activities displayed at foreign stalls.  Various ministries and local and foreign organizations will participate in this expo to demonstrate the climate adaptation of the country.

            Secretary of the Ministry of Environment, Forest and Climate Change Dr. Farhina Ahmed, Additional Secretary Iqbal Abdullah Harun and Tapan Kumar Biswas, Director General of Department of Environment Dr. Abdul Hamid and Chief Conservator of Forest of Department of Forests Md. Amir Hossain Chowdhury was present at the press conference.

#

Dipankar/Pasha/Shafi/Sanjib/Joynul/2024/2030 hour

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :   ৪২৩৫

 

রংপুরে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

 

রংপুর, ৪ বৈশাখ (১৭ এপ্রিল):

 

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক এক‍ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

আজ রংপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান।

 

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের গুরুত্ব সুদূরপ্রসারী। তৎকালীন মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে মুজিবনগর সরকার গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রকাশ ঘটে। ১৭ এপ্রিল শপথ গ্রহণের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন সরকারের যাত্রা শুরু হয়। মুজিবনগর সরকার গঠনের ফলে বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। দেশকে স্বাধীন করতে মুক্তিযোদ্ধাদের যে আত্মত্যাগ তা ভোলার নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের কল্যাণে কাজ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

 

সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, মুজিবনগর সরকার প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট ও কার্যক্রম নতুন প্রজন্মের নিকট তুলে ধরতে হবে। তিনি নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।

 

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা প্রদান করেন রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি এসএম রশিদুল হক, মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার উত্তম কুমার পাল, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী প্রমুখ। সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

#

মামুন/পাশা/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৮৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর ː ৪২৩৪

 

 

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে বিভাগীয় কমিশনার

মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির শ্রেষ্ঠ গৌরবের ইতিহাস

 

সিলেট, ৪ বৈশাখ (১৭ এপ্রিল)ː  

বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধ শ্রেষ্ঠ গৌরবের ইতিহাস। একাত্তরের ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসেই বাঙালির লালিত স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিমূল রচিত হয়। সিলেটে আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ২০২৪ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী এসব কথা বলেন।

          জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) সৈয়দ হারুন অর রশীদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মু. মাসুদ রানা, অতিরিক্ত ‍পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মাহফুজা আক্তার শিমুল, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল ও ভবতোষ রায় বর্মণ। 

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বাংলা, বাঙালি, মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর যেন অভিন্ন নাম। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে স্বাধীনতার যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, বাঙালির সে স্বাধীনতার সূর্য আবারও উদিত হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে। তিনি আরো বলেন, একাত্তরের এ দিনে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে বহির্বিশ্বে সরকার পরিচালনার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। পরবর্তীতে ত্রিশ লাখ শহিদ, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এ স্বাধীনতা।

বঙ্গবন্ধু সবসময় রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, তাঁর সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে সকলকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের আহ্বান জানান তিনি।

#

মাসুদ/পাশা/শফি/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৯০৫ঘন্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর :  ৪২৩৩

 

ম্যানচেষ্টারস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাই-কমিশনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

 

ম্যানচেষ্টার (যুক্তরাজ্য), ১৭ এপ্রিল:

 

ম্যানচেষ্টারস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাই-কমিশনে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস’ পালন করা হয়।

 

          অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে ও মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ ও দিবসটির ওপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

 

সহকারী হাই-কমিশনার কাজী জিয়াউল হাসান তার বক্তব্যে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন, যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করে। সহকারী হাই-কমিশনার ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের পটভূমির ওপর আলোচনায় বলেন, ১০ এপ্রিল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি গণপরিষদ গঠনপূর্বক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কর্তৃক ইতিপূর্বে ঘোষিত স্বাধীনতার প্রতি দৃঢ় সমর্থন ও অনুমোদনের মধ্য দিয়ে মুজিবনগর সরকার একটি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করে। ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে শতাধিক দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের উপস্থিতিতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে এবং পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে। সহকারী হাই-কমিশনার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

 

সর্বশেষ জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের, ১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

 

#

 

পাশা/শফি/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর ː ৪২৩২

 

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের অর্জন গিনেস বুকে স্থান পাওয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে

                                                                       - প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৪ বৈশাখ (১৭ এপ্র

2024-04-17-16-29-ea7a54c53425fcb68a3fe7f835eabeb5.docx