Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ মার্চ ২০১৬

তথ্যবিবরণী 6/3/2016

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ৭৫৮

১২০০ কেজি অবৈধ জাটকা আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড

ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (৬ মার্চ) :

    আজ বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের পাগলা স্টেশনের একটি অপারেশনদল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বুড়িগঙ্গা নদীতে অভিযান চালিয়ে ‘এম গাজী সালাউদ্দিন’ যাত্রীবাহী লঞ্চ হতে মালিকবিহীন অবস্থায় আনুমানিক ১২০০ কেজি অবৈধ জাটকা আটক করে। আটককৃত জাটকার আনুমানিক মূল্য ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

    আটককৃত জাটকাগুলো নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মর্জিনা বেগমের মাধ্যমে অত্র জেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানা ও গরিব-দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

#

আফরাজ/মোশাররফ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৬/১৯৪০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ৭৫৭

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সাথে ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের মিশন প্রধানগণের সাক্ষাৎ

ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (৬ মার্চ) :
    বাংলাদেশে নিযুক্ত ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের ৯টি দেশের রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার/মিশন প্রধানগণ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহ্রিয়ার আলমের সাথে আজ ঢাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অভ্ ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এদের মধ্যে ব্রাজিল ব্যতীত অন্যরা অনাবাসী এবং তারা দিল্লি¬তে অবস্থান করেন।
ব্রাজিল, ডোমিনিকান রিপাবলিক, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, ইকুয়েডর, পেরু, ভেনিজুয়েলা, গায়ানা এবং ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোর মিশন প্রধানগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের জনগণের নৈতিক সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ল্যাটিন আমেরিকার জনগণের মধ্যে গণতন্ত্র , উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায়বিচার বিষয়ে একই রকমের মূল্যবোধ এবং শিল্পসাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বন্ধন এ দু’অঞ্চলের মধ্যকার ভৌগোলিক দূরত্ব অতিক্রমে ভূমিকা রাখতে পারে এবং বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক ও অন্যান্য সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিতে পারে। প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি সম্পর্কে উপস্থিত মিশন প্রধানগণকে অবহিত করেন। তিনি বাংলাদেশ ও ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্য প্রতিনিধিদল বিনিময় ও বাণিজ্যমেলা আয়োজনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্যদূরীকরণ, সন্ত্রাসবাদ দমন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনে বাংলাদেশ ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশসমূহের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উভয়ে লাভবান হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত মেলবা প্রিয়া বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে যে সমস্ত লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক ও চুক্তিসমূহ রয়েছে সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ রূপদানের উপর জোর প্রদান করেন। তিনি দু’দেশের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি, বিজ্ঞান-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের মাধ্যমে উভয় দেশের জনগণ উপকৃত হতে পারে বলে মত ব্যক্ত করেন। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে যে সমস্ত আন্তর্জাতিক উদ্যোগে বাংলাদেশ রয়েছে সেসবে ভেনিজুয়েলা, কলম্বিয়া এবং ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেন তিনি।
বাংলাদেশের জন্য ডোমিনিকান রিপাবলিকের এম্বাসেডর-ডেজিগনেট ফ্রাংক হ্যানস্্ ড্যানেন বার্গ ক্যাসটা লান্স আন্তর্জাতিক পরিসরে বহুপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। তিনি হাইতিতে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের প্রশংসনীয় ভূমিকার জন্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা রহিতকরণের প্রস্তাব করেন।
বাংলাদেশে অবস্থানের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত ওয়ানজা কাম্পোস ডা নব্রেগা ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে মিশন প্রধানগণের সাথে একসাথে বসার এ আয়োজনের জন্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বসবাস ও বেড়ানোর জন্য ঢাকা একটি অত্যন্ত প্রাণচঞ্চল ও চমৎকার স্থান। বাংলাদেশ এবং ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশসমূহের একসাথে কাজ করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে বলে রাষ্ট্রদূত নব্রেগা মন্তব্য করেন।

#

খালেদা/আফরাজ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৬/১৯২০ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৭৫৬

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স শেষপর্ব ভর্তির পুনঃ আবেদন ৯ মার্চ শুরু

ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (৬ মার্চ) :
    জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স শেষপর্ব (নিয়মিত) ভর্তি কার্যক্রমে যে সকল শিক্ষার্থী  প্রথম পর্যায়ে কোন আবেদন করেনি সে  সকল শিক্ষার্থী আগামী ৯ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ  তারিখের মধ্যে অনলাইনে পুনরায় আবেদন করতে পারবেন।
    এ ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট িি.িহঁ.বফঁ.নফ/ ধফসরংংরড়হং অথবা ধফসরংংরড়হং.হঁ.বফঁ.নফ  থেকে জানা যাবে।
#

ফয়জুল/আফরাজ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৬/১৮৫০ঘণ্টা

Handout                                                                                                     Number : 755

 

FM attends extra-ordinary OIC Summit in Jakarta

 

Dhaka, March 6 :

 

            Foreign Minister A H Mahmood Ali is in Jakarta to attend the 5th extra-ordinary OIC Summit from 6 to 7 March. The Summit is being convened at the request of the President of Palestine to discuss the situation in the occupied Palestinian territories. He attended the Ministerial Preparatory Meeting to the Summit which was chaired by the Foreign Minister of Indonesia. Ministers from other OIC countries attended the preparatory meeting.

            The meeting finalized a draft resolution and a declaration titles ‘The Jakarta Declaration on Palestine and Al Qud Al-Sharif’ for adoption by the heads of delegations tomorrow.

            At the sideline of the Summit, Foreign Minister Ali had a bilateral meeting with the Saudi Foreign Minister Adel bin Ahmed Al-Jubeir. They discussed a range of issues of bilateral interest as well as issues of Muslim Ummah during the meeting. The Saudi Foreign Minister recalled his recent meeting with Mahmood Ali in Riyadh that had added new impetus to the existing excellent relations between the two brotherly countries.

            Foreign Minister also met his counterparts of Palestine, United Arab Emirates and the Secretary General of OIC.

 

#

Khaleda/Afraz/Mosharraf/Mosharaf/Rezaul/2016/1838 hours

 
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ৭৫৪

সরকারি হাসপাতালে বিশেষ সেবা সপ্তাহ ১৭ মার্চ শুরু
 
ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (৬ মার্চ) :
আগামী ১৭ মার্চ থেকে সারাদেশের সকল সরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে বিশেষ সেবা সপ্তাহ পালন করা হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন থেকে প্রতি বছর এই সপ্তাহ পালন করা হবে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে স্বাস্থ্যসেবা অধিকার, শেখ হাসিনার অঙ্গীকার।  

আজ সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে সারাদেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিশেষ সেবা সপ্তাহ পালনের প্রস্তুতি সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সেবা সপ্তাহের প্রতিদিন সকালে হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হবে। স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে প্রতিদিন মোবাইলফোনে ক্ষুদে বার্তা প্রেরণ করা হবে।

জাতীয় পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক সেবা, অটিজম, শিশু স্বাস্থ্য এবং শিশুর পুষ্টি ও খাদ্য বিষয়ে পৃথক পৃথক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। চিকিৎসাসেবায় নৈতিকতা বিষয়ে বিএমএ’র উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ইউনিয়ন, উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ের সকল হাসপাতালে স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা, সেবার মান উন্নয়নকল্পে সেবা গ্রহীতাদের সাথে মতবিনিময়, বিভিন্ন বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম, হাসপাতালে রোগীদের জন্য উন্নতমানের মধ্যাহ্নভোজ সরবরাহ, স্বাস্থ্যখাতের অগ্রগতি নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীসহ সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

সভায় অন্যান্যের মাঝে স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মন্জুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ওয়াহিদ হোসেন, বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, বিএমএ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)-এর মহাসচিব ডা. আবদুল আজিজসহ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

#

পরীক্ষিৎ/আফরাজ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৬/১৮১৫ ঘণ্টা

 
তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ৭৫৩

নারীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে কোটার প্রয়োজন হবে না
                                 -- মহিলা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (৬ মার্চ) :
    মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, নারীরা বর্তমানে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে অদূর ভবিষ্যতে আর নারীদের কোটা প্রথার প্রয়োজন হবে না। পক্ষান্তরে পুরুষের জন্য কোটা প্রথা চালু করা লাগতে পারে।
    প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের আয়োজনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘অধিকার মর্যাদায়, নারী-পুরুষ সমানে সমান’।
    মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহিন আহমেদ চৌধুরীসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধনে বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করে।
    প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে নারী ও পুরুষের মধ্যে যে বৈষম্য বিদ্যমান আছে তা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে  ব্যাপক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন সরকার নারী শিক্ষা ও নারীর দরিদ্রতা দূর করার পাশাপাশি নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে কাজ করছে। যা আজ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশ আজ নারীর ক্ষমতায়নের অভিজ্ঞতা জানার জন্য  বাংলাদেশে আসছে।
    মানববন্ধনে সচিব নাছিমা বেগম বলেন, ‘অধিকার, মর্যাদায় নারী-পুরুষ সমানে সমান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজকে আমরা সবাই মানববন্ধনে মিলিত হয়েছি। নারী-পুরুষ সকলে সমভাবে নারীর অর্থনৈতিক উন্নয়নে সম্পৃক্ত হলে ২০৩০ সালের পূর্বেই বাংলাদেশে নারী-পুরুষ সমতা অর্জিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
#
খায়ের/আফরাজ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৬/১৮১০ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর :৭৫২

৩ নভেম্বর ২০১৫ এর পূর্বে ইস্যুকৃত এলসির বিপরীতে কাঁচাপাট রপ্তানির অনুমোদন
ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (৬ মার্চ) :
    বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় গত ২০১৫ সালের ১ নভেম্বর ৪০৩ নং স্মারকে ২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর হতে এক মাস এবং এর অনুবৃত্তিক্রমে ২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর ৪৫১ নং স্মারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সকল প্রকার কাঁচাপাট রপ্তানি বন্ধ করা হয়।
    রপ্তানিকারকগণের আবেদনের প্রেক্ষিতে, পাট অধিদপ্তর হতে প্রাপ্ত তালিকা অনুযায়ী ১৪টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ২০১৫ সালের ৩ নভেম্বরের পূর্বে ইস্যুকৃত ৫৬টি এলসির বিপরীতে ৬৫ হাজার ২৯৫ দশমিক ৬৩ বেল কাঁচা পাট রপ্তানির জন্য অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে।
    সম্প্রতি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের এক পত্রে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
#

আফরাজ/মোশাররফ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৬/১৭৩০ ঘণ্টা

 
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ৭৫১
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প হবে বিশ্বের রোলমডেল
                              -- শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (৬ মার্চ) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প আগামীতে বিশ্বে রোলমডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। ২০২১ সালের মধ্যে এ দেশের তৈরি পোশাক হবে সবচেয়ে নিরাপত্তামূলক বিনিয়োগ খাত।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় হোটেল রেডিসনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থা আইএফসি আয়োজিত দু’দিনব্যাপী প্রথম ‘ঝঃধশবযড়ষফবৎং ঋড়ৎঁস : ইবঃঃবৎ ডড়ৎশ ইধহমষধফবংয’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার তৈরি পোশাকখাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সুযোগসুবিধা বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো শ্রম বিধিমালা ২০১৫ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই বিধি প্রণয়নের ফলে শ্রম আইন শতভাগ বাস্তবায়নের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। ফাউন্ডেশনের বর্তমান তহবিল ১শ’ ২০ কোটি টাকা। সরকার, শ্রমিক ও মালিক পক্ষের সমন্বয়ে ত্রিপক্ষীয় ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক স্টেকহোল্ডারদের আস্থায় নিয়ে শ্রমআইন বাস্তবায়নে প্রশংসনীয় সফলতা অর্জন করেছে। ফলশ্রুতিতে গত দু’বছরে  শ্রম পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অবনতির কোনো ঘটনা ঘটেনি। মালিক-শ্রমিক, ক্রেতা-বিক্রেতা সকলে উন্নত কর্মপরিবেশের সফলতা ভোগ করছে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর দেয়া তথ্যমতে ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ২৬ দশমিক ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের যেকোনো সময়ের রপ্তানি আয়ের থেকে বেশি। এটি এ সরকারের যুগান্তকারী সাফল্য।
দু’দিনব্যাপী এ কর্মশালার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে প্রতিমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আইএলও-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীনিবাস বি রেড্ডি (ঝৎরহরাধং ই. জবফফু) এবং আইএফসি-এর কান্ট্রি ম্যানেজার ওয়েনডি ওয়ার্নার (ডবহফু ডবৎহবৎ) বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মপরিবেশের উন্নয়ন, মান এবং উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার, মালিক-শ্রমিক এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে ইবঃঃবৎ ডড়ৎশ কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২০১৪ সাল থেকে ইবঃঃবৎ ডড়ৎশ ইধহমষধফবংয কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।
#

আকতারুল/আফরাজ/মোশাররফ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৬/১৭২৫ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৭৫০


“পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০”
প্রয়োগ ও বাস্তবায়নে অগ্রগতি ও সাফল্য  

ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (৬ মার্চ) :

বাংলাদেশ পাট ও পাটপণ্য রপ্তানিতে বিশ্বে প্রথম  ও পাট উৎপাদনে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। জাতীয় রপ্তানি আয়ের শতকরা ৪ দশমিক ৯ ভাগ পাটখাত থেকে অর্জিত হয়। পাটখাত রপ্তানি আয়ের বৃহত্তম খাতও বটে।
পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ বাস্তবায়নের ফলে স্থানীয় বাজারে পাটপণ্যের বিক্রি ও চাহিদা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত সময়ে মাসব্যাপী বিশেষ অভিযানকালে ৩ কোটি ৩৪ লাখ পাটের ব্যাগ বিক্রি হয়েছে এবং ব্যাগের বাৎসরিক চাহিদা ১০ কোটি ব্যাগ থেকে বেড়ে ৭০ কোটি ব্যাগে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে বার্ষিক পাটের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এবং ভবিষ্যতে এ হার আরো বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকায় ভবিষ্যতে পাট ও পাটপণ্য দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জিডিপিসি) এর তত্ত্বাবধানে পাটপণ্য বহুমুখীকরণের ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণের ফলে এ পর্যন্ত ২৫০ জন সফল উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। বহুমুখী পাটপণ্য বিশ্বের প্রায় ১১৮টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিবেশবান্ধব পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকায় বহুমুখী পাটপণ্যের খাতটি দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে।
রাস্তা, বাঁধ, নদীতীর সংরক্ষণ কাজে ব্যবহৃত সিনথেটিক জিও টেক্সটাইল এর পরিবর্তে জুট জিও টেক্সটাইল ব্যবহার পরিবেশ সুরক্ষায় ও স্বল্প খরচে মাটির ক্ষয়রোধে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। ইতোমধ্যেই জুট জিও টেক্সটাইল সফলভাবে উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ করা হচ্ছে। বিজেএমসি’র বছরে প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা মূল্যমানের জুট জিও টেক্সটাইল উৎপাদনে সক্ষম। বেসরকারি পাটকলগুলোও জুট জিও টেক্সটাইল উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছে। স্থানীয়ভাবে এলজিইডি, সড়ক ও সেতু বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, রেলপথ মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উন্নয়ন কাজে বছরে ৭১৬ দশমিক ৫২ কোটি টাকার ঔএঞ ব্যবহারের চাহিদা রয়েছে।

 

উল্লেখ্য, দেশে ধান, চালসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পরিবহণ, প্লাস্টিক ও পলিথিনের পরিবর্তে পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহারের জন্য “পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০” প্রণীত হয়েছে। উক্ত আইনের ধারা-১৪ এ পণ্যে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার না করে কৃত্রিম মোড়ক দিয়ে কোনো পণ্য বা পণ্যসামগ্রী মোড়কজাতকরণ, বিক্রয়, বিতরণ বা সরবরাহ করলে বা করবার অনুমতি প্রদান করলে অনুর্ধ্ব এক বৎসর কারাদ- বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-ে দ-িত হবে।

তাছাড়া ধারা-১৫ এ উল্লিখিত অপরাধ পুনঃসংগঠনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দ-ের দ্বিগুণ দ-নীয় হবেন। আইন অনুযায়ী ছয়টি পণ্য অর্থাৎ ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত হয়েছে। উক্ত আইনটি মোবাইল কোর্ট আইন-এর তফসিলেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আইনের ধারা ৫ অনুযায়ী সরকার উপদেষ্টা কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনের উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তসমূহ হলো-
খাদ্য অধিদপ্ততর কর্তৃক ধান, চাল ও গম এর ক্ষেত্রে বর্তমানে ১০০% পাটের বস্তা ব্যবহৃত হচ্ছে। এখন থেকে এ হার অব্যাহত থাকবে। দেশে উৎপাদিত সার ও আমদানিকৃত সার নির্বিশেষে এখন থেকে ৫০% বাধ্যতামূলকভাবে পাটের বস্তা মোড়কীকরণ করতে হবে। ধান, চাল, গম ও সারের জন্য সরকার ও কর্পোরেশন কর্তৃক পাটের বস্তা ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিজেএমসি ৫০% বেসরকারি উৎস হতে ৫০% হারে পাটের বস্তা সরবরাহ করবে। চিনি খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন ও বেসরকারি চিনিকল কর্তৃক উৎপাদিত চিনির ৫০% মানসম্পন্ন লেমিনেটেট হেসিয়ান ব্যাগ (বিএসটিআই এর মান অনুযায়ী) দ্বারা মোড়কীকরণ করতে হবে। ধান, গম ও ভুট্টা বীজের ক্ষেত্রে ৫ কেজি ও তদুর্ধ্ব পরিমাণ মোড়কীকরণে বাধ্যতামূলকভাবে পাটের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিজেএমসি ৫০% ও বেসরকারি উৎস হতে ৫০% হারে লেমিনেটেট হেসিয়ান ব্যাগ সরবরাহ করবে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে আমদানিকৃত চাল ও গম মোড়কীকরণে ১০০% পাটের ব্যাগ বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহার করতে হবে।
#

মতিউর/মোবাস্বেরা/খাদীজা/কামাল/২০১৬/১৫২০ ঘণ্টা


 


তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ৭৪৯
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (৬ মার্চ) :

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :  
    “বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে ৭ মার্চ এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক এই দিনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির স্বাধীনতার ডাক দেন। রেসকোর্স ময়দানের বিশাল জনসভায় তিনি বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা দেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা।’
    রেসকোর্সের জনসমুদ্রে দেওয়া জাতির পিতার এই কালজয়ী ভাষণে ধ্বনিত হয়েছিল বাংলার গণমানুষের প্রাণের দাবি। এই ভাষণে বাঙালির প্রতি পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠীর হত্যা-নিপীড়ন-নির্যাতনের চিত্র মূর্ত হয়ে উঠে। শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির অসন্তোষ ও সংক্ষুব্ধতা প্রকাশ পায়। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের আবশ্যকতা ও আকাক্সক্ষা এ ভাষণের পরতে পরতে ধ্বনিত হয়। শত্রুর মোকাবিলায় তিনি বাঙালি জাতিকে নির্দেশ দেন, ‘তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো।’ স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্বে ৭ মার্চের এই ভাষণ গোটা জাতিকে ঔপনিবেশিক পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ করে। জাতির পিতার এই সম্মোহনী ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে বাঙালি জাতি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।
    ৭ মার্চের ভাষণের মাত্র ১৭ দিন পর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা গণহত্যা শুরু করে। জাতির পিতা ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদ হন। ২ লাখ মা-বোন সম্ভ্রমহারা হন। রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ আর বহু ত্যাগের বিনিময়ে আমরা ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে ছিনিয়ে আনি মহান স্বাধীনতা।
    আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ভাষণ। লেখক ও ইতিহাসবিদ ঔধপড়ন ঋ. ঋরবষফ এর বিশ্বসেরা ভাষণ নিয়ে লেখা ‘ডব ংযধষষ ঋরমযঃ ড়হ ঃযব ইবধপযবং : ঞযব ঝঢ়ববপযবং ঞযধঃ ওহংঢ়রৎবফ ঐরংঃড়ৎু’ গ্রন্থে এই ভাষণ স্থান পেয়েছে। অসংখ্য ভাষায় অনুদিত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ববাসীর কাছে বিশেষ করে বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের কাছে আলোর দিশারিতে পরিণত হয়েছে।
    বাঙালির বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতার এই ভাষণের দিকনির্দেশনাই ছিল সে সময় বজ্রকঠিন জাতীয় ঐক্যের মূলমন্ত্র। অসীম ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অমিত শক্তির উৎস ছিল এ ঐতিহাসিক ভাষণ। যার আবেদন আজও অটুট রয়েছে।
    বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, তেমনি আরেকবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে রূপকল্প-২০২১ এবং রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করি। ঐতিহাসিক ৭ মার্চে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।        
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নুরএলাহি/মোবাস্বেরা/খাদীজা/আসমা/২০১৬/১১৩০ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ৭৪৮
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (৬ মার্চ) :

    রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :   
    “৭ মার্চ ১৯৭১ বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় দিন। এ দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বজ্রকণ্ঠে যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন তার মধ্যে নিহিত ছিল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের ডাক। আমি এ দিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যাঁর অনন্য সাধারণ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছে।
    আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে মিশে আছে জাতির পিতার অসামান্য অবদান। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জনের এই দীর্ঘ বন্ধুর পথে বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম সাহস, সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষা, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং সঠিক দিকনির্দেশনা জাতিকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতার সাথে রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশ্যে বজ্রকণ্ঠে যে ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন তা মূলত বাঙালি জাতির স্বাধীনতার দলিল। কালজয়ী এই ভাষণ ছিল বাংলাদেশের ভিত্তিমূল। দৃঢ় মনোবল, অনন্য বাগ্মিতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় ভাস্বর ওই ভাষণে তিনি তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বাঙালির আবেগ, স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষাকে একসূত্রে গেঁথে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করলেন বাঙালির মুক্তির সনদ, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’, যা ছিল মূলত স্বাধীনতার ডাক। এই ভাষণের পর সারাবাংলার মুক্তিপাগল উদ্বেলিত জনগণ মুক্তিযুদ্ধের সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করে। ঐতিহাসিক ভাষণের সেই ধারাবাহিকতায় ২৬ মার্চ ১৯৭১ জাতির পিতা ঘোষণা করেন বাঙালি জাতির বহুকাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে তাই ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।  
    স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’য় পরিণত করা ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন। আমাদের মহান নেতার সে স্বপ্ন পূরণ করতে সমাজ থেকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অশিক্ষাসহ নানা সামাজিক কুসংস্কার দূরীকরণে আমাদের অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে সকল রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরের জনগণের অব্যাহত প্রচেষ্টা থাকতে হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশকে একটি মধ্যমআয়ের এবং ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘রূপকল্প-২০২১’ ও ‘রূপকল্প-২০৪১’ ঘোষণা করেছেন। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমি দলমতনির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাই।
    বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
    খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#

হাসান/মোবাস্বেরা/খাদিজা/রফিকুল/কামাল/২০১৬/১৩৩০ ঘণ্টা  
 
তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৭৪৭

ভারতের রাষ্ট্রপতির সাথে স্পিকারের সাক্ষাৎ

ঢাকা, ২৩ ফাল্গুন (০৬ মার্চ) :

    বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ৫ মার্চ ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর সাথে তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন।
    সাক্ষাৎকালে তারা দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
    এ সময় ভারতের রাষ্ট্রপতি লোকসভার আমন্ত্রণে ‘ভারতের মহিলা আইন প্রনেতাদের জাতীয় সম্মেলন’ -এ যোগ দেয়ার জন্য নয়াদিল্লী সফর করায় স্পিকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্র আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হয়েছে। এর ফলে দুইটি আন্তর্জাতিক পার্লামেন্টারি ফোরাম সিপিএ ও আইপিইউ-এর প্রধান বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত হয়েছে।
    ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশ প্রশংসিত হচ্ছে।
    প্রণব মুখার্জী আরো বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত চুক্তি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। তাই তাঁর শাসন আমলে তিনি এ চুক্তি করতে পেরেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের সীমানা চুক্তি বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি বলেন, এ চুক্তি বাস্তবায়ন করতে পেরে ভারতও আনন্দিত।
    স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সাক্ষাৎ প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বর্তমানে অনেক সৌহার্দ্যপূর্ণ। তিনি আশা প্রকাশ করেন ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। এছাড়া দু’দেশের পার্লামেন্ট ও সংসদ সদস

Todays handout (9).doc