তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪০৭
মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শিল্পীদের ভূমিকা ছিল তাৎপর্যপূর্ণ
---সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ জ্যৈষ্ঠ (১৩ জুন) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে আমাদের স্বাধীনতার বীজ বপিত হয়েছিল। জাতির পিতা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করতেন, সাংস্কৃতিক মুক্তি ব্যতীত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব নয়। সেজন্য তিনি সবসময় শিল্পী-সাহিত্যিক-সংস্কৃতিকর্মীদের কাছে রেখেছেন, পাশে পেয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শিল্পীদের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত বিশিষ্ট শিল্পী বিপদ ভঞ্জন সেন কর্মকারের 'স্বাধীনতা' শীর্ষক একক চিত্র প্রদর্শনী ২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্নেহ-মমতা পেয়েছেন, তারা সোনার মানুষ হয়েছেন। জাতির পিতার স্নেহধন্য তেমন একজন সোনার মানুষ শিল্পী বিপদ ভঞ্জন সেন কর্মকার। যিনি তার শৈল্পিক সত্তার ভেতর দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ধারণ ও লালন করেছেন। প্রতিমন্ত্রী এ সময় শিল্পীর আশু রোগমুক্তি কামনা করেন এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন প্রেস ইনস্টিটিউট অভ্ বাংলাদেশ (পিআইবি) এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিম (মিনি করিম)। অনুভূতি প্রকাশ করেন শিল্পী বিপদ ভঞ্জন সেন কর্মকার।
উল্লেখ্য, পক্ষকালব্যাপী (১৩-২৭ জুন) আয়োজিত প্রদর্শনীটি জাতীয় চিত্রশালা ভবনের ৩ নং প্রদর্শনী গ্যালারিতে শুক্রবার ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ১১টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। শুক্রবার প্রদর্শনীটি চলবে বিকাল ৩টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত।
#
ফয়সল/পাশা/এনায়েত/রফিকুল/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/২০১১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪০৬
পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণের ফলে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের অভূতপূর্ব উন্নতি হবে ---আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্
শিবচর (মাদারীপুর), ৩০ জ্যৈষ্ঠ (১৩ জুন) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশকে একটি আধুনিক ও উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরাপদ, টেকসই, পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী যোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তুলেছে। দেশে শিল্প ও বাণিজ্য সহায়ক পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়তে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ মাদারীপুর জেলার শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাট সংলগ্ন পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন শেষে সমবেত জনগণের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন উদ্দিন সোহেল ব্যাপারী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও সুদৃঢ় পদক্ষেপের ফলে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের সেতুটি নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। সেতুটি চালুর ফলে রাজধানীর সাথে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ, সাশ্রয়ী ও অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হবে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, গত তের বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশে রচিত হয়েছে এক স্বর্ণালি অধ্যায়। বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে শান্তি, প্রগতি ও সম্প্রীতির এক মিলনমেলায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠান সর্বাত্মক সাফল্যমণ্ডিত করতে দলমত নির্বিশেষে মাদারীপুরবাসীর সহায়তা কামনা করেন।
#
আহসান/পাশা/রাহাত/এনায়েত/রফিকুল/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/১৯১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪০৫
শেখ হাসিনা অর্জন ও উন্নয়নের শেষ ঠিকানা
-- পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ জ্যৈষ্ঠ (১৩ জুন) :
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে রাতদিন নিরলসভাবে কাজ করছেন। সে কারণেই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়িয়েছে।
আজ রাজধানীর উত্তরায় ইনস্টিটিউট অভ্ মডেলিং (আইডব্লিউএম) কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, উন্নত বাংলাদেশ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য দেশ গড়তে ডেলটা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ মহাপরিকল্পনার অধিকাংশ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ওপর। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দফতরসমূহ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলছে।
এনামুল হক শামীম বলেন, জাতির পিতার আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়া। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে দেশের অর্থনীতি আজ সমৃদ্ধ। যদিও জলবায়ু পরিবর্তনের সর্বাধিক ঝুঁকিতে থাকা পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ বাংলাদেশের পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। পানিসম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ও আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য দেশ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে শতবর্ষী বাংলাদেশ ডেলটা প্লান-২১০০।
উপমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ ডেলটা প্ল্যান-২১০০’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের একটি অন্যতম দৃষ্টান্ত, যা বর্তমান প্রজন্মের কাছে এবং আগামী প্রজন্মের জন্য সেরা উপহার। এ মহাপরিকল্পনায় ২০৩০ সালে আমাদের কী অর্জন করতে হবে; ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে করণীয় এবং ২০৫০ সাল পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
উপমন্ত্রী বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশের পানি এবং টেকসই উন্নয়ন একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। আমাদের দেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ইতোমধ্যে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। নানাবিধ উন্নয়ন ধারায় আমাদের পানির ওপর নির্ভর করতে হয়। সকল ক্ষেত্রে পানির সমন্বিত ব্যবহার নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে আমাদের টেকসই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আবু সালেহ খান, জহুরুল এইচ খান, এসএম মাহবুবু রহমান, মোঃ আমিরুল ইসলাম, মোঃ সোহেল মাসুদ, সারোয়ার জাহান, আশরাফ আলী খান, সামিউন নবী, গৌতম চন্দ্র মৃধা প্রমুখ।
#
গিয়াস/পাশা/রাহাত/এনায়েত/রফিকুল/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/১৯৫৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪০৪
উপবৃত্তির অর্থ বিতরণে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা
ঢাকা, ৩০ জ্যৈষ্ঠ (১৩ জুন) :
প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্প-৩য় পর্যায়ের আওতায় গত ২০২০-২১ অর্থবছরের উপবৃত্তি ও কিটসের অবিতরণকৃত ৮৬৪ কোটি, ২০ লাখ, ৩ হাজার, ৫ শত টাকা (EFT) প্রকৃত সুবিধাভোগীদের মোবাইল একাউন্টে প্রেরণের কাজ অতিশীঘ্রই শুরু হচ্ছে।
টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে সুবিধাভোগী অভিভাবকগণ কোনোরকম ভুলভ্রান্তি ও প্রতারণার শিকার যাতে না হন সে জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর অভিভাবকদের নিম্নোক্ত নির্দেশনা দিয়েছেন-
নগদ একাউন্টটি (যেটি ২০২০-২১ অর্থবছরে খোলা হয়েছিলো) সচল এবং পিন রিসেট করে গোপন রাখতে হবে। একাউন্ড হোল্ডার/সুবিধাভোগী কোনো অবস্থায়ই তাঁর পিন নম্বর অন্যের সাথে শেয়ার করবে না।
অভিভাবকগণ তাঁর নগদ একাউন্ট নম্বরের মোবাইলটি নিজের কাছে রাখবেন এবং মেসেজ দেখবেন। সর্বোচ্চ ১৫ দিনের মধ্যে অবশ্যই টাকা ক্যাশ আউট করবেন।
সুবিধাভোগীর মোবাইল অথবা সিমকার্ড হারিয়ে গেলে বা একাউন্ট হ্যাক হয়ে থাকল তা দ্রুত বন্ধ করে সিম কার্ড পরিবর্তনের বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপবৃত্তি বিভাগে জানাতে হবে।
যে কোনো সমস্যায় অভিভাবক/সুবিধাভোগীগণ সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে।
#
তুহিন/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/১৮৫৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪০৩
আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি
---মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ৩০ জ্যৈষ্ঠ (১৩ জুন) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ২০২১ সালে শুধু ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন না, আমরা অনুকরণীয় হতে পেরেছি। এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সফলতার গল্প বলে শেষ করা যাবে না। আমাদের যে সক্ষমতা রয়েছে, তাতে আমরা ইতোমধ্যে যা অর্জন করেছি তার থেকে কয়েক লক্ষগুণ সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদেরকে রোবট ব্যবস্থাপনা করতে হবে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করতে হবে, হার্ডওয়্যার ব্যবস্থাপনা করতে হবে। এজন্য নিজেদেরকে নতুন প্রযুক্তিতে দক্ষ করতে হবে। শুধু সফটওয়্যার রফতানিই আমাদের বাজার নয়, সকল ধরনের ডিজিটাল পণ্য ও কার্যক্রমই আমাদের বাজার। একদিন আমরা রোবটও রপ্তানি করবো। আমাদের সবগুলো তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠনগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়ক সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
মন্ত্রী গতকাল রবিবার রাতে ঢাকায় হোটেল রেডিসনে বেসিস আয়োজিত স্মার্ট বাংলাদেশ : আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি‘র ভূমিকা এবং বেসিস শর্টকোডের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ভাইস চ্যান্সেলর ড. রুবানা হক প্রমুখ বক্তৃতা করেন। প্যানেল আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন বেসিস ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু দাউদ খান।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের সন্তানদেরকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থাপনায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি আমরা তৈরি করতে পারি এমন বিদেশি সফটওয়্যার যেনো আগামীতে আর দেশে না আসে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। আমার দেশে আমার দেশের ছেলে-মেয়েদের তৈরি সফটওয়্যারই আমরা দেখতে চাই। সফটওয়্যারের সঙ্গে আইটি অ্যানাবল সার্ভিস থেকেও আমরা রপ্তানি আয় বাড়াতে চাই। আমি মনে করি, আমাদের রপ্তানি হিসাবে আমাদের সকল ডিজিটাল পণ্যকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ‘যন্ত্র মানুষের বিকল্প নয়’ উল্লেখ করে এ জন্য মানুষের পাশাপাশি ‘যন্ত্র পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা, আইওটি, রোবট ম্যানেজমেন্ট করতে শিখতে হবে’ বলে উপস্থিত ব্যবসায়ী নেতাদের তাগিদ দেন
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, স্বপ্নকে সক্ষমতার চেয়ে বড় করতে হবে। এটাই সফলতার মূল। এ জন্য প্রায়োরিটি ফোকাস করতে হবে। এক্ষেত্রে খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষির পরই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে প্রযুক্তিকে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে আমাদের শ্রমনির্ভর অর্থনীতি আজ শিল্প, সেবা ও প্রযুক্তি নির্ভরতায় রূপান্তরিত হয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, সরকার আজকে নিজেই ক্রেতা হয়ে ৯৯৯; ৩৩৩; ১৬২৬৩, ১০৯; ১০৬ কলসেন্টারসহ ২০টি মন্ত্রণালয়ের কলসেন্টার করেছে।
পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ‘বেসিস কনট্যাক্ট সেন্টার’ উদ্বোধন করেন। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠনটির সদস্যরা যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে ও দ্রুততার সাথে বেসিসের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ও সদস্যসেবা উন্নত ও কার্যকরী হয়, সেই লক্ষ্যে বেসিস কনট্যাক্ট সেন্টারের জন্য বিটিআরসি অনুমোদিত শর্ট কোড (১৬৪৮৮) চালু করা হয়।
#
শেফায়েত/পাশা/এনায়েত/রফিকুল/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/১৭১৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪০২
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আগেই
নিয়ম মেনে মাস্ক পড়ার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
ঢাকা, ৩০ জ্যৈষ্ঠ (১৩ জুন) :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘দেশে নতুন করে আবারো করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে। গত প্রায় ৮০ দিনের পর গতকাল (১২ জুন) করোনায় সংক্রমন ১০০ জনের বেশি হয়েছে। একারণে দেশের সকল মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে সচেতন থাকতে হবে যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকা করোনা পরিস্থিতি হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়ে উল্টো দিকে না চলে যায়। দেশে এই মুহূর্তে অর্থনীতির চাকা ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। করোনার মধ্যেই একটি সুদূরপ্রসারী বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য খোলা রয়েছে। দেশের এই স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে ধরে রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
আজ সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এমবিবিএস ভর্তি সংক্রান্ত একটি সভায় সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন ।
সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোঃ সাইফুল হাসান বাদল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান, মহাসচিব আনোয়ার খান এমপি, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রাইভেট মেডিকেলের পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে সরকারি মেডিকেল কলেজের মতো অটোমেশন পদ্ধতি চালু করা প্রসঙ্গে আলোচনা হয়। আলোচনায় স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, স্বাচিব সভাপতিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ অটোমেশন পদ্ধতিতে বা মেধা তালিকার ভিত্তিতে ভর্তির যৌক্তিকতা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
#
মাইদুল/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/১৮৩৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪০১
অগ্নিকাণ্ডে নাশকতার যোগ থাকতে পারে
–তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ জ্যৈষ্ঠ (১৩ জুন) :
সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপো এবং পরবর্তীতে একাধিক ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে নাশকতার বিষয়টি স্পষ্টতর হচ্ছে বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএম ডিপোর অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপারে আমি প্রথম থেকেই বলে এসেছিলোম যে, সেখানে নাশকতা ছিলো কি না সেটা খতিয়ে দেখা দরকার, আস্তে আস্তে বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে। আপনারা জানেন, সিলেটের ট্রেনে আগুন লেগেছে টয়লেট থেকে, তারপর দাঁড়ানো অবস্থায় খুলনাগামী ট্রেনে আগুন লেগেছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এগুলোর সাথে নাশকতার যোগ আছে। আসলে সারাদেশে যে আনন্দ-উল্লাস, তা ম্লান করার জন্য, দেশে একটি আতঙ্ক তৈরি করার জন্য এগুলো করা হচ্ছে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।’
‘যারা অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, গুজব রটিয়েছে, বিভিন্ন সময় গুজব রটায় তারাই এই কাজগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তদন্ত হচ্ছে, তদন্তের মাধ্যমে সেটি আরো স্পষ্ট হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এগুলোর সাথে নাশকতার যোগ আছে।’
বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করলে ড. হাছান বলেন, ‘তিনি যাতে সুস্থ হয়ে ওঠেন সেটি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি। কিন্তু বিএনপির লোকজন চায় না বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হোক। তিনি অসুস্থ থাকলে তাদের রাজনীতি করতে সুবিধা হয়। আজ দেখলাম বিএনপির একজন নেতা এমনভাবে বক্তৃতায় বলছেন- বেগম খালেদা জিয়া কাতরাচ্ছে, তাতে মনে হয় তিনিই কাতরাচ্ছেন। বেগম জিয়াকে আগেও আমাদের দেশীয় চিকিৎসকরা তাদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে সুস্থ করে তুলেছেন। সুতরাং এবারও তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।’
এর আগে দেশের বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন এসোসিয়েশন অভ্ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স -এটকো’র পক্ষ থেকে সহসভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদকে ছয় দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকপত্র হস্তান্তর করেন। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাদিজা বেগম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পত্রিকার অনলাইনে ভিডিও প্রচার বন্ধ, আইপি টিভিতে সংবাদ প্রচার বন্ধ, ক্লিনফিড পূর্ণ বাস্তবায়ন, টিআরপি সার্ভিস চালু করা, কেবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করা ও বিদেশি মডেল দিয়ে বিজ্ঞাপন নির্মাণে বিশেষ কর নির্মাতা সংস্থার ওপর আরোপের লিখিত দাবি প্রদানের সময় এটকো সহসভাপতি বলেন, ‘অনলাইন পত্রিকা ও সংবাদপত্রে যে ডিজিটাল কনটেন্ট প্রচার করা হচ্ছে সেটি নিয়ে আমরা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম এবং বলেছিলাম যে, এটি পত্রিকার ডিক্লারেশনের আইনের বরখেলাপ। এমনকি এগুলো সম্প্রচার আইনেরও পরিপন্থি। পাশাপাশি যে অনলাইন নীতিমালা আছে, নীতিমালাতেও এটি অনুমোদন নেই। যারা এ ধরনের কাজ করছে, তাদের ব্যাপারে মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করি।’
ইকবাল সোবহান বলেন, ‘দুই দিন আগে আমাদের সম্পাদক পরিষদ একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তাদের বিবৃতি সংবাদপত্রের পক্ষে, কিন্তু ব্যাখ্যা সত্য নয়। পত্রিকার ডিক্লারেশন দেয়া হয় পত্রিকা প্রকাশ করার জন্যে। পত্রিকার যে অনলাইন আছে সে অনলাইনে পত্রিকাতে যে সংবাদ আছে, ছবি আছে, সম্পাদকীয় আছে, মতামত আছে সেগুলো ই-পেপার হিসেবে আপলোড করতে পারে। এবং সারাদিন ইচ্ছে করলে ২৪ ঘণ্টায় সংবাদ আপলোড করতে পারে। কিন্তু কোনো ডিজিটাল কনটেন্ট আপলোডের কথা এই ডিক্লারেশনের মধ্যেও নেই, অনলাইনের আইনের মধ্যেও নেই।’
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘সিডান গাড়ির অনুমতি নিয়ে কি আমি বাস-ট্রাক চালাতে পারি? অথবা বাস -ট্রাক চালানোর অনুমতি নিয়ে আমি তো লঞ্চ-স্টিমার চালাতে পারি না। তাই আমি মনে করি, সবারই আইনগতভাবে এবং আইন মেনে চলা উচিত। আজকে লিখিতভাবে আমরা এটকোর পক্ষ থেকে আমাদের দাবিগুলো দিতে চাচ্ছি। আশা করি মন্ত্রণালয় এর ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেবে।’
দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, এটকো বিভিন্ন বিষয় আমাদেরকে অবহিত করেন। আজকে তারা তাদের দাবিগুলো লিখিতভাবে আমাদের দিয়েছেন। আমরা আইনকানুন ঘেঁটে প্রচলিত বিধিবিধান দেখেছি যে, পত্রিকার অনলাইন ভার্সনকে নিবন্ধন দেয়ার ক্ষেত্রে শর্ত ছিলো যে পত্রিকার কনটেন্টই তারা আপলোড করবে। আর অনলাইন সংবাদ পোর্টাল এবং পত্রিকার অনলাইন ভার্সন টক শো কিংবা নিউজ বুলেটিন প্রচার আইন অনুমোদিত নয়। এটকোর অন্যান্য দাবি মন্ত্রণালয় পরীক্ষা করে দেখছে।
#
আকরাম/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/১৮২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪০০
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৩০ জ্যৈষ্ঠ (১৩ জুন) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গতকাল রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৯১ শতাংশ। এ সময় ৬ হাজার ৬৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ১৩১ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫ হাজার ৩৩৭ জন।
#
কবির/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/১৭৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩৯৯
জাতীয় ফল মেলা ১৬-১৮ জুন
বাংলাদেশ ফল উৎপাদনে বিশ্বে সফলতার উদাহরণ
--কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ জ্যৈষ্ঠ (১৩ জুন) :
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশ ফল উৎপাদনে বিশ্বে সফলতার উদাহরণ হয়ে উঠেছে। এ মুহূর্তে বিশ্বে ফলের উৎপাদন বৃদ্ধির সর্বোচ্চ হারের রেকর্ড বাংলাদেশের, বছরে সাড়ে ১১ শতাংশ হারে ফল উৎপাদন বাড়ছে। কাঁঠাল উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয়, আমে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম, পেঁপেতে ১৪তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। আর মৌসুমি ফল উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। নিত্যনতুন ফল চাষের দিক থেকেও বাংলাদেশ সফলতা পেয়েছে। ২০ বছর আগে আম আর কাঁঠাল ছিল এই দেশের প্রধানফল। এখন বাংলাদেশে ৭২ প্রজাতির ফলের চাষ হচ্ছে, যা আগে হতো ৫৬ প্রজাতির ফল চাষ।
আজ সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘জাতীয় ফল মেলা-২০২২’ উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় কৃষিসচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও সংস্থাপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ২০০৮-০৯ সালে দেশে ফলের উৎপাদন ছিল প্রায় ১ কোটি টন, আর বর্তমানে ফলের উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ টন। বিগত ১২ বছরে ফলের উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি ২২ শতাংশ। এর ফলে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু দানাজাতীয় শস্য গ্রহণের পরিমাণ কমেছে এবং মাথাপিছু ফল গ্রহণের পরিমাণ বেড়েছে। ২০০৬ সালে মাথাপিছু ফল গ্রহণের হার ছিল ৫৫ গ্রাম যা বেড়ে এখন হয়েছে ৮৫ গ্রাম।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের সময়োপযোগী নীতি প্রণয়ন এবং তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের ফলে কৃষি উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ হ্রাস, জনসংখ্যার আধিক্য, জমিতে লবণাক্ততা ইত্যাদি চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বাংলাদেশ আজ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। পাশাপাশি ফল উৎপাদনেও এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমান সরকার এখন সকল মানুষের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য নিশ্চিত করতে কাজ করছে। এক্ষেত্রে ফল ও ফলদ বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের পুষ্টিচাহিদা পূরণে ফলের উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি করতে হবে তেমনি নিরাপদ ফল চাষে গুরুত্ব দিতে হবে। একইসাথে, ফলমূলকে পচনের (২৫-৪০% হার) হাত থেকে বাঁচাতে আমাদেরকে সংগ্রহত্তোর ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাত সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। এসব বিষয়ে ফলের উৎপাদনকারী বা চাষি, পরিবহণকারী, প্রক্রিয়াজাতকারী, ভোক্তাসহ সকলের সচেতনতা অত্যন্ত প্রয়োজন। এ লক্ষ্যেই কৃষি মন্ত্রণালয় জাতীয় ফল মেলার আয়োজন করে থাকে।
মন্ত্রী জানান, গত ২ বছর করোনা মহামারির কারণে জাতীয় ফল মেলা করা সম্ভব হয়নি। এ বছর রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ চত্বরে আগামী ১৬ জুন থেকে জাতীয় ফল মেলা শুরু হবে। মেলা চলবে ১৮ তারিখ পর্যন্ত। এবারের প্রতিপাদ্য ‘বছরব্যাপী ফল চাষে, অর্থ পুষ্টি দুই-ই আসে’। মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে এবং রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল ক্রয় করতে পারবেন। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আম,লিচু, কাঁঠালসহ বিভিন্ন দেশি ফলের প্রদর্শনীর মাধ্যমে মেলায় অংশগ্রহণ করবে।
বর্তমানে একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক ফলের চাহিদা ২০০ গ্রামের বিপরীতে প্রাপ্যতা হলো ৮৫ গ্রাম। সেজন্য ফলের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবেশসম্মত নিরাপদ ফল উৎপাদনেও গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের বিজ্ঞানীরা দেশে চাষোপযোগী ৩০টি বিভিন্ন প্রজাতির ফলের ৬৫টি উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছেন। দেশীয় ফলের সাথে স্ট্রবেরি, রাম্বুটান, ড্রাগনফল, এভোকেডো প্রভৃতি বিদেশি ফলের চাষে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। দেশের পাহাড়ি অঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের অনেক জায়গায় কাজুবাদাম ও কফি চাষের সম্প্রসারণ হচ্ছে।
#
কামরুল/পাশা/রফিকুল/মাহমুদ/রেজাউল/২০২২/১৮১৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৩৯৮
যেকোনো দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকার কাজ করছে
--ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ জ্যৈষ্ঠ (১৩ জুন) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, যেকোনো দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা ও সাড়া প্রদান সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকার কাজ করছে। এ লক্ষ্যে বিদ্যালয়সমূহে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হবে । বিদ্যালয়সমূহে দুর্যোগ নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক তৈরিতে প্রণোদনা দেওয়া হবে । দুর্যোগ সচেতন ও মোকাবিলায় সক্ষম একটি প্রজন্ম তৈরি করতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অন্তর্ভুক্ত করে দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে একটি উত্তম চর্চা সৃষ্টিতে কাজ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় একটি হোটেলে সিপিপি (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) আয়োজিত "খেলায় খেলায় দুর্যোগ প্রস্তুতি- স্কুল শিক্ষার্থীদের করণীয়" শীর্ষক সচেতনতামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভৌগলিক অবস্থান, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, ঘনবসতি ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো প্রাকৃতিক ও মানব সৃষ্ট দুর্যোগের মোকাবিলা করতে হয়। দারিদ্র্য বিমোচনসহ সামাজিক নিরাপত্তা অর্জনে জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে। এসব কারণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে পরিচিত।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধু