তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৭৬
মেরিন ফিসারিজ গ্র্যাজুয়েটদের সিডিসি প্রাপ্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে
-- মৎস্যপ্রতিমন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ১৬ জ্যৈষ্ঠ (৩০ মে) :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, মেরিন ফিসারিজ একাডেমি গ্র্যাজুয়েটদের সিডিসি (কন্টেনিয়াস ডিসচার্জ সার্টিফিকেট) প্রাপ্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ চট্টগ্রামে মেরিন ফিসারিজ একাডেমি পরিদর্শনশেষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় একথা বলেন।
একাডেমির অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন মোঃ মাসুক হাসান আহমেদ একাডেমির বিভিন্ন বিষয় প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে মেরিন ফিসারিজ একাডেমি একটি বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিকমানের করে গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, মেরিন ফিসারিজ গ্র্যাজুয়েটগণকে বিদেশে দূত হিসেবে দেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম আরো উজ্জ্বল করতে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক নাসির উদ্দিন মোঃ হুমায়ুন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রভাতি দেবসহ একাডেমি ও কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সকালে মন্ত্রী পটিয়ায় মৎস্য পোনা উৎপাদনকারী খামার পরিদর্শন করেন।
সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তর পরিদর্শনে মৎস্যপ্রতিমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ আজ চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে অবস্থিত সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তর কার্যালয় পরিদর্শন করেন।
সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তর, চট্টগ্রামের পরিচালক নাসির উদ্দিন মোঃ হুমায়ুন এ সময় অফিসের বিভিন্ন বিষয় প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
এ সময় জানানো হয়, স্টিল বডি ও কাটবডি মিলে ২শ ৪২টি সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী ট্রলার দিয়ে বঙ্গোপসাগরের গভীর অঞ্চলে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ করা হয়। তবে সরকার ২০ মে- ২৩ জুলাই এ ৬৫ দিন মৎস্য আহরণ কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করায় বর্তমানে মৎস্য আহরণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মৎস্যসম্পদের স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করে মৎস্য আহরণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। বর্তমান সরকারের সমুদ্রজয়ের ফলে অর্জিত সমুদ্রসীমায় আহরিত সমুদ্রসম্পদ দিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকাকে আরো সচল করতে হবে।
#
সাইফুল/সাইফুল্লাহ/নবী/মোশারফ/রেজাউল/২০১৫/২১৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৭৫
কৃষি প্রযুক্তি মেলার সমাপনীতে এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী
দেশে নীরব কৃষি বিপ্লবের ফলে খাদ্যে স¦য়ংসম্পূর্ণতা অর্জিত হয়েছে
ঢাকা, ১৬ জ্যৈষ্ঠ (৩০ মে) :
আজ ঢাকায় বসুন্ধরা কনভেনশন হলে পল্লি উন্নয়ন একাডেমি, বগুড়া (আরডিএ) এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিমরা ট্রেড ফেয়ারস্ এন্ড এক্সিবিশন এর যৌথ উদ্যোগে পঞ্চম আন্তর্জাতিক কৃষি প্রযুক্তি মেলা ২০১৫ সম্পন্ন হয়েছে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আরডিএ’র মহাপরিচালক এম এ মতিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরডিএ’র পরিচালক ড. জাকারিয়া, অ্যাডভান্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এফ এম আনোয়ার হোসেন, এসিআই গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ড. এফ এইচ আনছারী এবং মোঃ নজরুল ইসলাম খান বক্তব্য রাখেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে নীরব কৃষি বিপ্লবের ফলে খাদ্য স¦য়ংসম্পূর্ণতা অর্জিত হয়েছে। এতে আরডিএ’র গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বিশেষ অবদান রাখে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে দারিদ্র্যবিমোচন, আত্মকর্মসংস্থান এবং গ্রামীণ আর্থসামাজিক অগ্রগতির সোপান হিসেবে কৃষি প্রকৌশল এবং উন্নতমানের বীজ উৎপাদন প্রযুক্তি প্রধান সহায়ক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে। তিনি বলেন, মেলায় দেশি ও বিদেশি অধিক উৎপাদন সহায়ক প্রযুক্তি যন্ত্রপাতির সাথে উৎপাদক, আমদানিকারক, গবেষক ও কৃষকদের পরিচিতির ফলে তাদের মধ্যে উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে।
মেলায় ভালো পারফর্মেন্সের জন্য তুরস্কের খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান “আলাপালা” প্রথম স্থান অধিকার করে।
মেলায় দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ড, চীন, জার্মানি, কোরিয়া, তুরস্ক, স্পেন, জাপান, তাইওয়ান, ইতালি, কানাডাসহ বিশ্বের ১৪টি দেশের শতাধিক কৃষিপণ্য ও যন্ত্রপাতির ১৫০টি স্টল অংশগ্রহণ করছে।
#
আহসান/সাইফুল্লাহ/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৭৪
বাজেট আলোচনায় ডেপুটি স্পিকার
গণমুখী বাজেটের জন্য গণতন্ত্র জোরাদারকরণের ওপর গুরুত্বারোপ
ঢাকা, ১৬ জ্যৈষ্ঠ (৩০ মে) :
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ না পেলে এবং সরকার জনগণের সরকার না হলে বাজেট গণমুখী হয় না। বাংলাদেশে বর্তমানে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক চর্চা সংসদের শক্তিশালী কমিটি ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিফলন ঘটছে এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপলাভ করেছে, তাই এ বাজেট জনমুখী বাজেট হবে। নির্বাহী বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সংসদে এবং সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ডেপুটি স্পিকার আজ জাতীয় সংসদভবনের আইপিডি কনফারেন্স রুমে ডেভলপমেন্ট মিডিয়া লিঃ এর উদ্যোগে “গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন” কর্তৃক আয়োজিত “হেয়ারিং দ্য ল মেকারস” শীর্ষক বাজেট আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান, মোঃ মনজুরুল ইসলাম লিটন, কাজী রোজী, উম্মে রাজিয়া কাজল, ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, লুৎফা তাহের, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, জাতীয় সংসদ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কামরান রেজা চৌধুরী, নেক্সট নিউজ বিডি এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মিঠু ও গণমাধ্যমকর্মীগণ বক্তৃতা করেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, সংসদে বাজেট অধিবেশনে বাজেটের ওপর আলোচনা করার আগে সংসদ সদস্যদের উচিত ভালো করে নিজেকে তৈরি করা। তিনি অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে বক্তব্য পরিহার করে জনস্বার্থে বাজেটের ওপর গঠনমূলক দিক ও দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদানের জন্য সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
#
স¦পন/সাইফুল্লাহ/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৭৩
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয়
ফুটবল টুর্নামেন্টের জাতীয় পর্যায়ের খেলার উদ্বোধন আগামীকাল
ঢাকা, ১৬ জ্যৈষ্ঠ (৩০ মে) :
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৪ এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৪ এর জাতীয় পর্যায়ের ফাইনাল খেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠান আগামীকাল ৩১ মে রোববার সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
এ টুর্নামেন্ট ২টি গতবছরের জুন মাস থেকে ইউনিয়ন/পৌরসভা, উপজেলা/সিটি কর্পোরেশন, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের খেলা শেষ হয়। ৭ বিভাগের চ্যাম্পিয়ন ১৪টি দল নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত খেলা আগামীকাল শুরু হচ্ছে।
২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট চালু করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট চালু করা হয়।
#
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৭২
বিদ্যুৎ সঞ্চালন উদ্বোধনকালে পাটমন্ত্রী
সারাদেশে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার
নওগাঁ, ১৬ জ্যৈষ্ঠ (৩০ মে) :
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী মুহা: ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক বলেছেন, দেশের উন্নয়নে গ্রাম বিদ্যুতায়নের বিকল্প নেই। তাই সরকার সারাদেশকে দ্রুত বিদ্যুতায়নের আওতায় আনার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে।
মন্ত্রী গতকাল নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে নতুন বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। নওগাঁ পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির মান্দা সাবজোনাল অফিস অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্ব দাঁড়িয়ে আছে উন্নয়নের ওপর আর উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে বিদ্যুতের ওপর। কোনো দেশের উন্নয়নের প্রথম সোপান হলো বিদ্যুৎ। তিনি বলেন, সরকার সারাদেশে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।
পরে মন্ত্রী উপজেলার ১২টি গ্রামে নওগাঁ পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি’র আওতায় এক কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত ১৩ দশমিক ১১ কিলোমিটার নতুন বিদ্যুৎ লাইনে ৯১৭টি পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
#
রবীন্দ্র/করিম/সাইফুল্লাহ/নবী/জসীম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৫/১৯৪৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৭১
নারী প্রকৌশলীদের অনুষ্ঠানে স্পিকার
উন্নয়নের সকল ক্ষেত্র নারীবান্ধব করার আহ্বান
ঢাকা, ১৬ জ্যৈষ্ঠ (৩০ মে) :
জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, কর্মক্ষেত্রে নারীরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। নারীর ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে হলে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে কর্মক্ষেত্রে নারীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এ সমস্যাগুলো সমাধানে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
আজ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ভবনে ডড়সবহ অৎপযরঃবপঃং, ঊহমরহববৎং, চষধহহবৎং অংংড়পরধঃরড়হ (ডঅঊচঅ), ইধহমষধফবংয এর বার্ষিক সাধারণ সভা ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
স্পিকার বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হলে নারীদের জন্য অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতা নিশ্চিতকরণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে একটি রোল মডেল। বাংলাদেশ জেন্ডার সমতা অর্জনে অনেক দূর এগিয়েছে। মাতৃমৃত্যুহার হ্রাস এবং শিশুমৃত্যুহার হ্রাসসহ এমডিজির বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
স্পিকার আরো বলেন, নারীদের সকল পেশায় এগিয়ে নিতে যে সকল চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলো মোকাবিলা করে নারীর ক্ষমতায়নকে টেকসই করতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে এবং উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রকে নারীবান্ধব করতে হবে। এ লক্ষ্যে ডঅঊচঅ কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও এধারা অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডঅঊচঅ এর সভাপতি প্রফেসর খালেদা একরাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডঅঊচঅ এর সাধারণ সম্পাদক সেলিনা আফরোজা, প্রফেসর গোলাম রহমান এবং প্রফেসর এম এ রউফ বক্তব্য রাখেন।
#
সাইফুল্লাহ/নবী/জসীম/রেজাউল/২০১৫/১৮৫২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৭০
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৬ জ্যৈষ্ঠ (৩০ মে) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ৩১ মে ২০১৫ ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস’ উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার দেশের জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতির জন্য মারাত্মক হুমকি। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে তিলে তিলে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। তামাক সেবন ও ধূমপান ক্যান্সার, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। মানুষের মৃত্যু এবং শারীরিক কর্মক্ষমতা হারানোর অন্যতম বড় কারণ ধূমপান।
আমাদের সরকার তামাক সেবনের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ নানামুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে। “ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন ২০১৩” প্রণয়ন করা হয়েছে। আইনটির কার্যকর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিধিমালা পাস করা হয়েছে। তামাকের ধোঁয়া থেকে অধূমপায়ীদের রক্ষায় সকল কর্মক্ষেত্রকে পাবলিকপ্লেসের আওতায় আনা হয়েছে। শিশুদের তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য এ আইনে শিশুদের নিকট বা দ্বারা তামাকজাত দ্রব্য ক্রয়বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তামাক সেবনে উৎসাহ সৃষ্টিকারী প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইন লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালানোর ক্ষেত্রে শাস্তির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। ধূমপায়ীদের তামাক ব্যবহার হতে বিরত রাখতে প্যাকেটে সচিত্র ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদান নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ক্ষতিকর তামাকজাত দ্রব্যের ওপর স্বাস্থ্যকর হিসেবে ১ শতাংশ সারচার্জ আরোপ করেছি। তামাকের পাশাপাশি মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের প্রয়োজন একটি সুস্থ সবল জনগোষ্ঠী। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার পরিহার করে আমরা সেই আদর্শ জনগোষ্ঠী পেতে পারি। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন, ধূমপান বর্জন ও দেশব্যাপী তামাকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে আমি সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
আসুন বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসে আমরা যে কোন ধরণের তামাককে না বলি। আমি বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০১৫ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নজরুল/সাইফুল্লাহ/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৬৯
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৬ জ্যৈষ্ঠ (৩০ মে) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“তামাক ও ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
তামাক ও ধূমপান জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। ধূমপান কেবল ধূমপায়ীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না পরোক্ষভাবে অধূমপায়ীকেও সমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব মতে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৬০ লক্ষ লোক তামাকজনিত রোগে মারা যায় যার মধ্যে ৬ লক্ষের অধিক হলো পরোক্ষভাবে অধূমপায়ী। তামাকের অবৈধ ব্যবহার বন্ধে জনগণের মধ্যে বিশেষত তরুণ সমাজের মধ্যে তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তামাকজাত পণ্যের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধে উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ তামাকের অবৈধ বাণিজ্য বিশ্বে সকল বয়সী জনগণের স্বাস্থ্যহানির পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যা সৃষ্টিসহ দুর্নীতি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আমি জানতে পেরেছি উন্নয়নশীল বিশ্বে তামাক সেবন ও ধূমপান প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে, সাথে সাথে মরণব্যাধি ক্যান্সার ও হৃদরোগসহ অন্যান্য তামাকজনিত রোগও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি আশাকরি সরকারের পাশাপাশি দেশের সচেতন নাগরিকবৃন্দ তামাক ও ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও এর অবৈধ বাণিজ্য বন্ধে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
ধূমপানসহ তামাকের অবৈধ ব্যবহার ও বিপণনের বিপুল ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস’ উদ্যাপন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনেকরি। এবছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য ‘তামাকজাত পণ্যের অবৈধ ব্যবসা বন্ধ কর’ (ঝঃড়ঢ় রষষরপরঃ ঃৎধফব ড়ভ ঃড়নধপপড় ঢ়ৎড়ফঁপঃং) যা তামাক সেবন ও ধূমপানে জনগণকে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি তামাকজাত দ্রব্যের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি আশাকরি, সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন ও জনহিতৈষী সংস্থা তামাকের ব্যবহার ও তামাকজাত দ্রব্যের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে আরও অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
আমি বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/সাইফুল্লাহ/নবী/সঞ্জীব/মোশারফ/সেলিম/২০১৫/১৭০০ ঘণ্টা