তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৪৪
ঢাকা বিভাগে বিভিন্ন জেলায় মানবিক ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত
ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন) :
করোনা ভাইরাস মহামারির প্রেক্ষিতে মানবিক সহায়তা হিসেবে সরকারের পক্ষ হতে দেশব্যাপী ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। গতকাল ৫ জুন ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
রাজবাড়ি জেলায় ১ কোটি ২৪ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮০৭ টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৩ কোটি ৪৮ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮০০ টাকা ১ লক্ষ টাকা শিশু খাদ্য এবং ১ লক্ষ টাকা গোখাদ্য হিসেবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
নরসিংদী জেলায় ২কোটি ৩৩ লক্ষ ৯২ হাজার ৫০ টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৬ কোটি ১৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫৫০ টাকা, শিশু খাদ্য হিসেবে ৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫ শত টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ জেলায় ২ কোটি ৬৯ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৪ কোটি ২ লক্ষ ১৩ হাজার ৩৫০ টাকা এবং শিশু খাদ্য হিসেবে ৫ লক্ষ ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।
টাংগাইল জেলায় ৩ কোটি ৫০ লক্ষ ১৮ হাজার ৬০০ টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ১২ কোটি ২ হাজার ৮ শত ৫০ টাকা এবং শিশু খাদ্য হিসেবে ৭ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
শরীয়তপুর জেলার ২৫ হাজার টাকা শিশু খাদ্য হিসেবে প্রদান করা হয়।
মুন্সিগঞ্জ জেলায় ১ কোটি ৭৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ২ কোটি ৮০ লক্ষ ১৪ হাজার ৭৫০ টাকা আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলায় ৩১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৪ কোটি ৯৫ লক্ষ ১৩ হাজার ৯৫০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয় এবং শিশু খাদ্য হিসেবে ৪ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা তথ্য অফিসসমূহ ঢাকা বিভাগীয় তথ্য অফিসের মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে।
#
আনোয়ার/নাইচ/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২২২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৪৩
সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তাদের দক্ষতার সাথে কাজ করতে হবে
-- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন) :
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সরকারি পরিকল্পনার সফল বাস্তবাযয়নে সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তাদের আরো দক্ষতা ও সক্ষমতার সাথে কাজ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ সাভারে বাংলাদেশ লোক লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজিত ৭২তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের গৃহীত পরিকল্পনাসমূহের সফল বাস্তবায়নে সরকারি কর্মচারীদের ভূমিকা অপরিসীম। তাই এসব পরিকল্পনার যথাযথ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সদস্যদেরকে আরো দক্ষতা ও সক্ষমতার সাথে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশ ও জনগণকে যথাযথ সেবা প্রদান করতে হলে সততার সাথে কাজ করতে হবে। জনগণ যেন সঠিক সময়ে যথাযথ সেবা পায় সেজন্য নিজেদেরকে আরো যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। এ সময় তিনি দেশকে আরো সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান
বিপিএটিসি’র রেক্টর মো: জাফর ইকবাল, এনডিসির সভাপতিত্বে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বিপিএটিসি এর মেম্বার ডিরেক্টিং স্টাফ সৈয়দ মিজানুর রহমান, এনডিসি অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য এবং আবু মমতাজ সাদউদ্দিন আহমদ ধন্যবাদ বক্তব্য প্রদান করেন।
৬ মাস মেয়াদী এই প্রশিক্ষণ কোর্সে ৩৪ থেকে ৩৮ বিসিএস এর ১৬টি ক্যাডারের ৬২৭ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করছেন। সাভারের বিপিএটিসিসহ মোট আটটি প্রতিষ্ঠানে এই প্রশিক্ষণ কোর্স চলবে।
#
শিবলী/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯৪৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৪২
রাশিয়া থেকে দ্রুত ৫ মিলিয়ন করোনার টিকা স্পুটনিক ভি আমদানি করতে কাজ করছে সরকার
– পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন) :
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুর মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ রাশিয়া থেকে দ্রুত ৫ মিলিয়ন করোনার টিকা স্পুটনিক ভি আমদানি করতে আগ্রহী। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
আজ রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার আই ইগ্নটভের বিদায়ী সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, অনুমোদন পেলে বাংলাদেশের কয়েকটি কোম্পানি রাশিয়ার সাথে যৌথভাবে টিকা উৎপাদন করতে পারবে। তিনি রাশিয়া থেকে দ্রুত করোনার টিকা আমদানির ক্ষেত্রে বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ কাজের গতি এবং মানে সন্তোষ প্রকাশ করে কর্মরত রাশিয়ার বিশেষজ্ঞ এবং শ্রমিকদের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়ার সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন এবং সেসময়ের সহযোগিতার জন্য রাশিয়ার সরকার এবং জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
ড. মোমেন বাংলাদেশের উন্নয়নে রাশিয়ার অবদান এবং বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টে রাশিয়ার উন্নয়ন সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে রাশিয়া সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে সহযোগিতার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ঢাকায় তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ করে আগামী ৮ জুন রাশিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
#
তৌহিদুল/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৪১
মাশরুমের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে প্রকল্পগ্রহণসহ সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে
-- কৃষিমন্ত্রী
সাভার, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন) :
মাশরুমের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ও সারা দেশে মাশরুমের চাষ সম্প্রসারণ করতে প্রকল্প গ্রহণের কাজ চলছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশে অর্থকরী ফসল মাশরুম চাষের সম্ভাবনা অনেক বেশি। এই সম্ভাবনাকে সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে হবে। ইতোমধ্যে মাশরুমের উন্নত জাত ও চাষের প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে। এখন সারা দেশে দ্রুততার সাথে কৃষক ও উদ্যোক্তা পর্যায়ে সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করা প্রয়োজন। সেজন্য, উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের কাজ চলছে। পাশাপাশি অন্যান্য উদ্যোগও অব্যাহত আছে।
মন্ত্রী আজ সাভারে মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে মাশরুম চাষি ও উদ্যোক্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি ও নানান প্রণোদনার ফলে বিগত ১২ বছরে কৃষিতে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জিত হয়েছে। সরকারের লক্ষ্য কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ ও লাভজনক করা এবং সকলের জন্য পুষ্টিসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করা। এক্ষেত্রে মাশরুমের সম্ভাবনা অনেক। এটির চাষ সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করতে পারলে তা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে। দেশে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার যুবক রয়েছে যারা চাকরির জন্য চেষ্টা করছে। তাদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা করতে পারলে মাশরুমের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার তৈরি হবে। অন্যদিকে, মাশরুম অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হওয়ায় সহজেই মানুষের পুষ্টি চাহিদার অনেকটা পূরণ হবে।
মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের তথ্যানুসারে, মাশরুম উৎপাদন দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে। দেশে বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন মাশরুম প্রতি বছর উৎপাদন হচ্ছে যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ মাশরুম ও মাশরুমজাত পণ্য উৎপাদন ও বিপণন সংশ্লিষ্ট কাজে যুক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ প্রায় সব দেশেই মাশরুম আমদানি করে থাকে । বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাশরুম রপ্তানির অনেক সুযোগ রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহ এর সভাপতিত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো: এনামুর রহমান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব (সম্প্রসারণ) মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল, সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জরুল আলম রাজিব, পৌর মেয়র আব্দুল গণি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সারাদেশ থেকে মাশরুম চাষি ও উদ্যোক্তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশে মাশরুম চাষের প্রয়োজনীয়তা, সুযোগ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক ফেরদৌস আহমেদ।
#
কামরুল/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯২৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৪০
‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার’ এর জন্য ৩০ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান মনোনীত
ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন) :
বৃক্ষরোপণ অভিযানকে একটি টেকসই ও স্বতঃস্ফূর্ত কার্যক্রমে পরিণত করার উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুপ্রাণিত ও সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০১৯’ প্রদানের জন্য ১০টি শ্রেণিতে ১৪ জন ব্যক্তি ও ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করেছে সরকার।
আজ ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০১৯’ মনোনয়ন চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত পদক সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় অন্যদের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম, মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এবং শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা এর উপাচার্যগণ এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু-সহ কমিটির অন্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা, জেলা, বিভাগ পর্যায়ে বিচারের পর জাতীয় কমিটি চূড়ান্তভাবে মনোনীত করে থাকে। জাতীয় কমিটির সদস্যগণ বিস্তারিত আলোচনাক্রমে ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়/উচ্চ বিদ্যালয়/এবতাদায়ী মাদ্রাসা/ সিনিয়র মাদ্রাসা’ শ্রেণি তে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন,সাতক্ষীরা; কাজী মফিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, নরসিংদী এবং শিয়ালী তালেমুন কুরআন নূরনী ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা, পটুয়াখালী মনোনীত করেন। ‘কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়’ শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয় যথাক্রমে মৌকরণ বি, এল, পি ডিগ্রি কলেজ, মৌকরণ, পটুয়াখালী; আছমতআলী খান কলেজ, লাউকাঠী, পটুয়াখালী এবং আলহাজ মোল্লা জালাল উদ্দিন কলেজ, খুলনা । ‘ইউনিয়ন পরিষদ/উপজেলা পরিষদ/জেলা পরিষদ/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন’ শ্রেণিতে প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে উপজেলা পরিষদ, রামপাল, বাগেরহাট এবং ঈশ্বরদী পৌরসভা, পাবনা মনোনীত হয়। ‘অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/সেক্টর কর্পোরেশন/প্রতিষ্ঠান’ শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে আর.আর.এফ, খুলনা এবং পটুয়াখালী পওর বিভাগ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, পটুয়াখালী এবং কেরানীগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্ৰ ইটাভাড়া, ঢাকা মনোনীত হয়। এনজিও/ক্লাব/স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা’ শ্রেণিতে প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে বনায়ন , জগতি, কুষ্টিয়া এবং বাংলাদেশ স্কাউটস, পঞ্চগড় মনোনীত হয়েছেন। ‘বন বিভাগ কর্তৃক সৃজিত বাগান’ শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে সামাজিক বন বিভাগ, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর; সামাজিক বন বিভাগ যশোর (এসএফএনটিসি) সাতক্ষীরা এবং কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগ, কচ্ছপিয়া বিট, বাঘখালী রেঞ্জ মনোনীত করা হয়।
‘ব্যক্তিগত পর্যায়ে বৃক্ষরোপণ’ শ্রেণিতে প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে উনুচিং মারমা, খাগড়াছড়ি; পারভীন সিরাজ, মুন্সিগঞ্জ এবং তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যৌথভাবে ইসাক আহমেদ, নাটোর এবং মো: মেহেদী হাসান কবির, বড়লেখা, মৌলভীবাজার মনোনীত হয়েছেন। ‘ব্যক্তি মালিকানাধীন নার্সারী’ শ্রেণিতে প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে উত্তরা ভাই ভাই নার্সারি, প্রোঃ হেলেনা আক্তার হেনা, সাভার, ঢাকা; ফতেয়াবাদ নার্সারি, প্রোঃ মোছাম্মঃ রুজিনা ইয়াছমিন, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম এবং তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যৌথভাবে বৃক্ষবন্ধু নার্সারি, প্রোঃ নিলু বেগম, মৌলভীবাজার এবং সততা নার্সারি, অঞ্জনা রানী পাল, খুলনা মনোনীত হয়েছেন। ‘বাড়ির ছাদে বাগান সৃজন’ শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে নাহিদা বারিক, কলাবাগান, ঢাকা; রাখী দে, দিনাজপুর সদর এবং ওয়াহিদা ইয়াসমিন, বেতিয়াপাড়া, রাজশাহী মনোনীত হয়েছেন। ‘বৃক্ষ গবেষণা/সংরক্ষণ/উদ্ভাবন’ শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য ড. মোঃ আব্দুল হাকিম মন্ডল, রাজবাড়ী; মোঃ মোকাম্মেল হক খান, চট্টগ্রাম এবং হৃদয় চন্দ্ৰ দেবনাথ, মৌলভীবাজার মনোনীত হয়েছেন।
সভাপতির বক্তব্যে বনমন্ত্রী বলেন, দেশে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বৃক্ষরোপণ করে প্রশংসনীয় কাজ করে চলেছেন। তিনি বলেন, সরকার গত অর্থবছর দেশে আট কোটির অধিক বৃক্ষ রোপণ করেছে, এবারেও আট কোটির ওপরে বৃক্ষরোপণ করা হবে। সরকারের পাশাপশি ব্যক্তি ও বেসরকারী সংস্থাসমূহ এগিয়ে আসলে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযানের এবারের প্রতিপাদ্য,’মুজিববর্ষে অঙ্গীকার করি, সোনার বাংলা সবুজ করি’ বাস্তবে রূপ দিতে পারবো।
#
দীপংকর/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৩৯
ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন) :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত এবং আদালতকর্তৃক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ আত্মস্বীকৃত খুনির মুক্তিযোদ্ধা খেতাব বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আজ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রথীন্দ্র নাথ দত্ত স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বাতিলকৃতরা হচ্ছে লেঃ কর্নেল শরিফুল হক ডালিম (বীর উত্তম গেজেট নং-২৫), লেঃ কর্নেল এস এইচ এম এইচ এম বি নুর চৌধুরী (বীর বিক্রম গেজেট নং-৯০), লেঃ এ এম রাশেদ চৌধুরী (বীর প্রতীক গেজেট নং-২৬৭), নায়েক সুবেদার মোসলেম উদ্দিন খান (বীর প্রতীক গেজেট নং-৩২৯)।
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ অন্যান্য শহিদদের হত্যা মামলায় আত্মস্বীকৃত আদালত কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ঘৃণ্য এই ৪ খুনির মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বসূচক খেতাব থাকা জাতির জন্য লজ্জাজনক সেজন্য এ গেজেট বাতিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৭২তম সভায় এই ৪ খুনির খেতাব বাতিলের সুপারিশ করা হয়।
#
মারুফ/পাশা/রফিকুর/রেজাউল/২০২১/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৩৮
শহরের জনদুর্ভোগ যেন গ্রামে না যায় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে
-- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন) :
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, গ্রামে শহরের সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দিয়ে যাতে শহরের ন্যায় জনদুর্ভোগ তৈরি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে 'আমার গ্রাম, আমার শহর দর্শন' বাস্তবায়ন করা হবে।
আজ স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক অনলাইনে আয়োজিত 'আমার গ্রাম, আমার শহর' বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনায় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শহরে যে সকল সমস্যা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে সেগুলোকে বিবেচনায় নিয়েই গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করতে হবে। রাজধানীসহ দেশের বড় বড় নগরে অবৈধভাবে জায়গা দখল করে অবকাঠামো নির্মাণের ফলে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। পর্যাপ্ত রাস্তা, খোলা জায়গা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, অন্যান্য নাগরিক সেবা নিশ্চিত না করে গড়ে উঠেছে মহানগরী। উন্নয়ন এমন ভাবে করতে হবে যেন শহরের নাগরিকরা যে অসুবিধা ভোগ করে সেগুলো গ্রামে না থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। শহরের নানা নাগরিক সমস্যা এবং অবৈধভাবে দখল হওয়া খাল, জলাশয় পুনরুদ্ধারে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, মানুষের জীবন যাপনে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা এবং চাহিদা অন্তর্ভুক্ত করে উপজেলাভিত্তিক দ্রুত মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করতে হবে। তিনি বলেন, মানুষের আবাসিক এরিয়া, এগ্রিকালচারাল ল্যান্ড, গ্রিনাইজেশন, প্লে-গ্রাউন্ড, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, কমিউনিটি ক্লিনিক, শপিংমল, শিল্পাঞ্চল, নদী-নালা, খাল-বিল সংরক্ষণসহ সবকিছু পরিকল্পিতভাবে করতে হবে। যেখানে সেখানে যাতা তৈরি করে মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা যাবে না।
মন্ত্রী আরো বলেন, মাস্টার প্ল্যান শুধু নেওয়ার জন্য নয়, যৌক্তিক কারণ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে নিতে হবে। যেকোনো জায়গায় বাসা-বাড়ি, দোকানপাট, কিন্ডারগার্টেন স্কুল, ক্লাব, মাদ্রাসা, কবরস্থান এভাবে চলতে দিলে দেশকে পরিকল্পিত ভাবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে না।
মন্ত্রী জানান, আমার গ্রাম, আমার শহর কারিগরি সহায়তা শীর্ষক একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের জন্য পরামর্শক ও সহায়ক কর্মচারী জন্য একটি অফিস স্থাপন করা হয়েছে এবং প্রস্তাবিত কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের মাধ্যমে পাইলট হিসেবে ১৫ টি গ্রামকে নির্বাচনের কাজ চলছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সরকারি নির্দেশনা এবং দলীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নসহ ইউনিয়ন পরিষদকে দিয়ে অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের সক্ষমতা বাড়াতে পরিষদকে লোকবল এবং লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে শক্তিশালী করার পাশাপাশি জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব/সচিব, এলজিইডি ও ডিপিএসই এর প্রধান প্রকৌশলী এবং প্রতিনিধিগণ অংশ নেন।
#
হায়দার/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮৫৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৩৭
অর্থনীতিকে শক্তিশালী ও টেকসই উন্নয়নের জন্য
সিএমএসএমই খাতকে সম্প্রসারিত করার কোনো বিকল্প নেই
-- শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন) :
অর্থনীতিকে শক্তিশালী ও টেকসই উন্নয়নের জন্য কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্প খাতকে সম্প্রসারিত করার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও বিসিক শিল্পনগরী এলাকাগুলোতে উৎপাদন অব্যহতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে সিএমএসএমই শিল্পখাতকে জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এখাত কর্মসংস্থান, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, নারীর আর্থিক ক্ষমতায়ন ও রপ্তানি আয় বাড়াতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। রূপকল্প-২০২১, ২০২৬ সালের মধ্যে পরিপূর্ণভাবে এলডিসি গ্রাজুয়েশন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সাল নাগাদ শিল্পোন্নত বাংলাদেশ গড়ার মতো সরকারের নির্ধারিত উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো অর্জনে এখাত ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রিজম প্রকল্পের টেকনিক্যাল এসিসটেন্স কম্পোনেন্ট ও ইকোনমিক রিপোটার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘Impact of Covid-19 on CMSMEs and Understanding thier Recovery: Evldeence from BSCIC Industrieral Estates’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী আজ ভার্চ্যুয়ালি এসব কথা বলেন। ইআরএফ এর প্রেসিডেন্ট শারমিন রিনভী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও হেড অভ্ ডেলিগেশন Rensje Teerink, বিসিকের চেয়ারম্যান মোশতাক হাসান এনডিসি এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: গোলাম ইয়াহিয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রিজম প্রকল্পের টেকনিক্যল এসিসটেন্স কম্পোনেন্ট এর টিম লিডর আলী সাবেত। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন প্রিজম টেকনিক্যাল এসিসটেন্ট প্রকল্পের সিনিয়র এক্সপার্ট ও বিআইডিএস এর গবেষণা পরিচালক ড. মঞ্জুর হোসেন। অন্যদের মধ্যে প্যানেল আলোচক হিসেবে অংশ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংকে সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী, বিল্ড এর চেয়ারপার্সন আবুল কাশেম খান, ঢাকা চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রিজওয়ান রহমান। এতে সঞ্চালনা করেন ইআরএফ এর সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশেদুল ইসলাম।
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ভোগ করেছে। যা জাতির জন্য এক মহান গৌরবের বিষয়। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ আর্থসামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই ক্ষণে সমৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত রেখে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সম্মিলিতভাবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রেনজি থ্রিংক কোভিড-১৯ এর আর্থিক ক্ষতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের প্রসংশা করেন। করোনা মহামারিতে যারা কর্ম হারিয়েছে, তাদের দ্রুত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে সিএমএসএমইখাতের আরো নজর বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। ভবিষ্যতেও ইইউ বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
#
জাহাঙ্গীর/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮৫৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৩৪
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫ হাজার ৬১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৬৭৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ১০ হাজার ৯৯০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জন-সহ এ পর্যন্ত ১২ হাজার ৮৩৯ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৫১ হাজার ৩২২ জন।
#
হাবিবুর/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮১২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৩৬
সহসাই চলচ্চিত্রে ফিরবে স্বর্ণযুগ
--তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন) :
‘চলচ্চিত্রে শিল্পে সহসাই স্বর্ণযুগ ফিরে আসবে’ এ প্রত্যয় ব্যক্ত করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে এদেশে যে শিল্পের যাত্রা শুরু, সেই চলচ্চিত্র যাতে দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যেতে মানুষকে প্রত্যয়ী ও সমৃদ্ধ করতে ভূমিকা রাখতে পারে, সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি।’
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নবনির্বাচিত পরিষদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসকল কথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ মকবুল হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন। পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান সংগঠনের পক্ষে সূচনা বক্তব্য দেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘চলচ্চিত্র মাধ্যমে দেশের মানুষের জীবনচিত্র যেমন পরিস্ফুটন করা যায়, একইসাথে মানুষের মনন তৈরি করার ক্ষেত্রেও চলচ্চিত্র বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। এদেশের চলচ্চিত্রকারবৃন্দ ও শিল্পী-কুশলীরা অনেক মেধাবী, বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার তারা পেয়েছেন এবং তাদের হাত দিয়ে তৈরি অনেক ছবি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। চলচ্চিত্র শিল্পে শুধু স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনাই নয়, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র যেন বিশ্ব অঙ্গনেও জায়গা করে নিতে পারে।’
ইতোমধ্যে চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে ড. হাছান বলেন, বন্ধ সিনেমা হল চালু করতে কিম্বা চালু থাকলেও তার আধুনিকায়নে এবং নতুন সিনেমা হল স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করেছেন। এই তহবিল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে শতকরা ৫ টাকা হার সুদে এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরে শতকরা ৪ দশমিক ৫ টাকা হার সুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ চালু করা একটি অভূতপূর্ব প<