Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ এপ্রিল ২০২৪

তথ্যবিবরণী ২৭ এপ্রিল ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর: ৪৪০৭

 

আগামীকাল ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস

 

ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল):

 

আগামীকাল ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে : ‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।’

 

জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক প্রধান অতিথি এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

 

অধিকন্তু সারা দেশের জেলা পর্যায়ে র‌্যালি, আলোচনাসভা, পথ প্রচার, লিগ্যাল এইড মেলা, ক্লায়েন্ট-আইনজীবী যৌথ সভা, সেরা প্যানেল আইনজীবী পুরস্কার, ম্যাগাজিন, স্যুভেনির, দেয়ালিকা প্রকাশ, আলোকচিত্র প্রদর্শন, প্রচার ও প্রকাশনা সামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

 

সংবাদপত্রে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এর বাণীসহ আইনগত সহায়তা বিষয়ক প্রতিবেদন সংবলিত বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ ছাড়াও রেডিও-টেলিভিশনে আইনগত সহায়তা প্রদান সংক্রান্ত টকশো, মুক্ত আলোচনা, সংবাদ ও অনুষ্ঠান সম্প্রচারের আয়োজন করা হয়েছে।

 

এদিকে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা ২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত কর্মকাণ্ডের তথ্য-পরিসংখ্যান সংবলিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা সর্বমোট ১০ লাখ ২২ হাজার ৯৫৮ জনকে আইনি সেবা দিয়েছে।

 

                                                          #

 

রেজাউল/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/মোশারফ/আব্বাস/২০২৪/২০৩৪ ঘণ্টা

তথ্যববিরণী                                                                                                নম্বর : ৪৪০৬

 

শেখ হাসিনা সরকার দুর্যোগ মোকাবিলায় যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে

                                                                        -- অর্থ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল):

          অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, ১৯৯১ সালের ২৯ শে এপ্রিল এই জনপদ সম্পূর্ণভাবে প্লাবিত হয়েছিল। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে। এখন পূর্বাভাস অনেক আগেই জানা যায়। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) শুরু করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁরই ধারাবাহিকতাই যেকোন দুর্যোগের পূর্বাভাস আগেই পাওয়া যায়। পাশাপাশি সরকার অনেক সাইক্লোন সেন্টার ও মুজিব কেল্লা স্থাপন করেছে এবং আরো স্থাপন করা হবে।

          আজ চট্রগ্রামের আনোয়ারায় রায়পুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ‘শতাব্দীর প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ২৯ এপ্রিল ১৯৯১ এ নিহতদের স্মরণে স্মরণসভা’য় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          এর পূর্বে অর্থ প্রতিমন্ত্রী নিজ বরাদ্দ হতে রায়পুর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের ছেনোয়ারা বেগমকে নির্মাণ করে দেয়া ঘর এবং হাফিজুর রহমান সড়ক উদ্বোধন করেন।

          অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে ভয়াবহ প্রাণহানি আমরা দেখেছি ১৯৯১ সালে, বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শিতায় আমাদের প্রাণহানি হয় না। আওয়ামী লীগ সরকার দুর্যোগ মোকাবিলায় স্যাটেলাইট থেকে শুরু করে সব রকমের বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থা নিয়েছে, যাতে আগেই থেকেই পূর্বাভাস পাওয়া যায়।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি ২৯ শে এপ্রিলের স্মৃতিচারণ করতে যেয়ে বলেছিলেন, ঘূর্ণিঝড়ে বিমান ও নৌবাহিনী সকল জাহাজ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। রাস্তাঘাট বন্ধ ছিল, তারপরও আমরা ছুটে গিয়েছিলাম। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সে সময় উদ্বাস্তুদের আমরা পুনর্বাসন করেছিলাম। শেখ হাসিনা মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা, ডেল্টা প্লান ২১০০ ও জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। বর্ষা শুরু হলে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। মাটি ধরে রাখতে গাছের বিকল্প নেই। গ্রীষ্মে তাপ অনেক বেড়ে গেছে, এই তাপ কমিয়ে রাখতে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই।

          অর্থ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা প্রতিহিংসার কাজ না করে মানুষের কল্যাণে কাজ করব। রাজনীতি মানেই মানুষের কল্যাণ করা, দেশের সেবা করা। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের শিখিয়েছেন উন্নয়নের রাজনীতি। তিনি চিন্তা করেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। আগামী প্রজন্ম যেন সুখে শান্তিতে থাকতে পারে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাব।

          আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদুল কবীরের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. নাসির উদ্দীন মাহমুদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরী, আতাউর রহমান খান কায়সার স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব সাবেক ছাত্রনেতা আবু তৈয়ব মোহাম্মদ রাসেল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীগণ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

#

আলমগীর/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২০০০ ঘণ্টা

তথ্যববিরণী                                                                                                নম্বর : ৪৪০৫

 

পার্বত্য শান্তিচুক্তি পাহাড়ের চিত্র বদলে দিয়েছে

                                  -- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

 

খাগড়াছড়ি, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল):

 

          ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্রসমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পার্বত্য শান্তিচুক্তি পাহাড়ের চিত্র বদলে দিয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলে অসাম্প্রদায়িকতা ও সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় হয়েছে।

 

          আজ খাগড়াছড়ি পৌর টাউন হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার বার্ষিক সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

          পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা জীবন দুঃখী মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছাত্রদের জন্য একটি আদর্শ সংগঠন গড়ে তোলা এবং তার মাধ্যমে মানুষের অধিকার আদায় ও তা নিশ্চিত করার কথা ভেবেছিলেন। প্রতিমন্ত্রী ছাত্রলীগ কর্মীদেরকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে অনুসরণ করার জন্য আহ্বান জানান।

 

          প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন এবং তা একের পর এক বাস্তবায়ন করে চলেছেন। ২০২১ সালে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছি।

 

          কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশে প্রত্যেক ছাত্রকে স্মার্ট হতে হবে। তিনি বলেন, স্মার্ট মানুষ, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনীতি না হলে স্মার্ট বাংলাদেশ সম্ভব না। স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে ছাত্র সমাজসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

 

          এর আগে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার বার্ষিক সম্মেলন ২০২৪ এর উদ্বোধন করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী। এসময় ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত হয়ে খাগড়াছড়ি তরুণ-তরুণীরা গান, নৃত্যসহ এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।

 

          বাংলাদেশ ছাত্রলীগ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা শাখার আহ্বায়ক উবিক মোহন ত্রিপুরার সভাপতিত্বে এসময় অনুষ্ঠানের উদ্বোধক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, প্রধান বক্তা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু ও পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

 

#

 

রেজুয়ান/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২০০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর: ৪৪০৪

 

জনহিতকর প্রকল্প হলে টাকা সমস্যা নয়

                                         ---ধর্মমন্ত্রী

 

জামালপুর, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল):

 

ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, জনহিতকর বা কল্যানমুখী প্রকল্প হলে টাকা সমস্যা নয়। টাকার সংস্থান করা যাবে।

 

আজ জামালপুরে লুইস ভিলেজ রিসোর্ট এন্ড পার্কের সেমিনার কক্ষে যমুনা নদী সিস্টেমের বামতীরে সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার নিমিত্তে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা (ফেজ-১) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

ধর্মমন্ত্রী বলেন, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রজেক্টে কিছু নেতিবাচক প্রভাব থাকবেই। এই প্রজেক্টের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার প্রতিবেদনেও এরূপ ঝুঁকি, বিপত্তি ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি প্রকল্পের সম্ভাবনাও তুলে ধরা হয়েছে। এসকল ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ নিরসনের মাধ্যমে নেতিবাচক প্রভাব সর্বনিম্ন পর্যায়ে এনে এলাকার মানুষের বৃহত্তর কল্যাণে প্রকল্পটি গ্রহণে মনোযোগী হওয়ার জন্য তিনি প্রকল্প সংশ্লিষ্টদেরকে অনুরোধ জানান। এছাড়া প্রকল্পের অন্যান্য বিষয়েও তিনি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরামর্শ দেন।

 

ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি বিশেষজ্ঞ টিম গত ২৩ এপ্রিল মন্ত্রণালয়ে আমার সাথে দেখা করেন এবং প্রকল্পের খুঁটিনাটি বিষয়ে আমাকে ব্রিফ করেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এই এলাকার মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে খাদ্য ঘাটতি পূরণ হবে।

 

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী (পুর) মোঃ আসাদুজজামানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় গেস্ট অভ্ অনার হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন জামালপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ, জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজম, জামালপুর-৪ আসনের সদস্য মোঃ আব্দুর রশিদ। এতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকার অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ এনায়েত উল্লাহ ও মোঃ জহিরুল ইসলাম এবং জেলা প্রশাসক মোঃ শফিউর রহমান।

 

কর্মশালায় জামালপুর জেলার বিভিন্ন পৌরসভার মেয়র, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

 

                                                      #

 

আবুবকর/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/১৯৪২ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর: ৪৪০৩

 

সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড যেকোনো সভ্য জাতিগোষ্ঠীর প্রাণ

                                                       ---গণপূর্ত মন্ত্রী

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল):

 

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, যেকোনো সভ্যতা, যেকোনো সভ্য জাতিগোষ্ঠীর প্রাণ হলো সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড যদি প্রাণবন্ত না হয়, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যদি প্রবাহ না থাকে, তাহলে সভ্যতা টিকতে পারে না।

 

মন্ত্রী আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের লেকচার থিয়েটার কক্ষে ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র আয়োজিত বৃত্তি প্রদান, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।  

 

মন্ত্রী বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে যত বেশি চর্চা করা যাবে ততই এটার শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং সভ্যতারও বিকাশ হবে। বাংলা ভাষা ও বাঙালির সংস্কৃতি খুবই সমৃদ্ধ। বাংলা নববর্ষ পূর্বে বিক্ষিপ্তভাবে উদ্‌যাপন করা হলেও এটি এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপন করা হচ্ছে। এটি বাঙালির সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে।

 

গণপূর্ত মন্ত্রী আরো বলেন, সংস্কৃতির রাজধানী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংস্কৃতির বিকাশের ক্ষেত্রে ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। পাশাপাশি বিগত চার বছর যাবৎ দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান ও সম্মানিত ব্যক্তিদের সম্মাননা প্রদানের ব্যবস্থা করছে। তাদের এই কর্মপ্রচেষ্টাকে আমি স্বাগত জানাই।

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ এস এম শফিকুল্লাহসহ জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও শিক্ষার্থীরা।

 

এ সময় নাট্যকলায় অবদানের জন্য কবি আব্দুল মান্নান সরকারকে সংগঠনটির পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া ১০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।

 

                                                  #

 

রেজাউল/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/১৯৩৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর: ৪৪০২

 

বৈচিত্র্যের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানেই দেশের ঐক্যের প্রেরণা নিশ্চিত করে

                                                                  ---ভূমিমন্ত্রী

দিনাজপুর, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল):

 

ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যের দেশ। এই চেতনাকে ধারণ করেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। আমাদের সংবিধান হচ্ছে অসাম্প্রদায়িকতার ধারক। তিনি বলেন, বৈচিত্র্যের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানেই দেশের ঐক্যের প্রেরণা নিশ্চিত করে। এই অনুষ্ঠান বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্যকে আরো শক্তিশালী করেছে।

আজ দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার কান্তজিউ মন্দির প্রাঙ্গণে ‘বিংশতি (২০) সহস্রাধিক কণ্ঠে পবিত্র “শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা পাঠ”-২০২৪’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে ভূমিমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজক রংপুর বিভাগীয় পবিত্র বেদ ও শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা শিক্ষাদান সংঘ।

আয়োজকরা জানান, বাংলাদেশের সুখ সমৃদ্ধি ও যুদ্ধমুক্ত বিশ্ব শান্তি কামনায় এবং বৈদিক সনাতনী পরম্পরা জাগরণে বিংশতি (২০) সহস্রাধিক কণ্ঠে পবিত্র 'শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা পাঠ' এর আয়োজন করা হয়েছে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর একই ধারাবাহিকতায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার-২০১৩ সালেই অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন প্রণয়নে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি এ সম্পর্কিত দুইটি পরিপত্রও জারি করা হয়েছে। এছাড়া, দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষায় দেবোত্তর সম্পদ আইনের খসড়া তৈরি করা হচ্ছে - মন্ত্রী জানান।

ভূমিমন্ত্রী এ সময় বলেন, বাংলাদেশের সনাতন সম্প্রদায়ের জন্য এই অনুষ্ঠান অপরিসীম সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে। ঐতিহ্যবাহী এই মন্দিরে শান্তিপূর্ণভাবে পূজনীয় গীতা পাঠ করে এত বড় সমাবেশ প্রত্যক্ষ করা ছিল অসাধারণ অভিজ্ঞতা।

অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী বাংলাদেশের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং সহনশীলতা, বোঝাপড়া ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার জন্য আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

বক্তারা মতামত ব্যক্ত করেন যে, এই পবিত্র মন্দিরে ২০ হাজার কণ্ঠে পবিত্র গ্রন্থ পাঠ তাদের জীবনে পাওয়া অনন্য এক অভিজ্ঞতা। এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের আয়োজন সহযোগিতার জন্য এবং ধর্মীয় সম্প্রীতির পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা জানান তারা।

ভূমিমন্ত্রী কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রদীপ প্রজ্বলন ও শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা স্থাপন পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ধ্বজা উত্তোলন ও বেদ মন্ত্রপাঠ, সূর্য্য নমস্কার ও সমবেতভাবে পবিত্র বেদমন্ত্র পাঠ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এরপর শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনি (সমবেতভাবে) পর্বের পর সমবেত কণ্ঠে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা পাঠের মূল পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে মন্দির কমপ্লেক্সে এসে কান্তজিউ মন্দির ভবন পরিদর্শন করেন ভূমিমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালা, সাবেক সংসদ সদস্য ও হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মনোরঞ্জন শীল গোপাল, একুশে পদক প্রাপ্ত শিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মনোরঞ্জন ঘোষাল, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের প্রকল্প পরিচালক সুশান্ত রায়, শিল্পপতি ও রাজনীতিবিদ কালিপদ মজুমদার, ভারতের বিবেকানন্দ মিশনের অধ্যক্ষ ড. মানস ভট্টাচার্য।

                                                       #

 

নাহিয়ান/সায়েম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/১৮২১ ঘণ্টা

তথ্যববিরণী                                                                                                নম্বর : ৪৪০১

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল):

            স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমকি ৫৭ শতাংশ। এ সময় ২১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

            গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৯৪ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৩৮১ জন।

#

দাউদ/পাশা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৭২০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর: ৪৪০০

 

বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের

প্রতি প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান

 

লন্ডন, ২৭ এপ্রিল:

 

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বৈধ পথে বাংলাদেশে প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ সুরক্ষিত থাকবে এবং এই অর্থ থেকে সরকারি প্রণোদনাসহ সঞ্চয় ও বিনিয়োগের মাধ্যমের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি মুনাফা অর্জনের সুযোগ রয়েছে।

গতকাল বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন আয়োজিত রেমিটেন্স মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা বৈধ পথে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স পাঠাবেন তাদের জন্য ‘রেমিটেন্স এওয়ার্ড’ প্রবর্তনের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, রেমিটেন্স প্রেরণের জন্য ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা থেকে ৩ শতাংশ বৃদ্ধির যে প্রস্তাব রেমিটেন্স প্রেরণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা জানিয়েছে, তা বিবেচনার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ে উত্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসীদের কল্যাণে ও তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে যুক্তরাজ্যে সোনালী ব্যাংক চালু করে যুক্তরাজ্য থেকে বৈধ পথে বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠানোর সূচনা করেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতি অনুসরণ করে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেমিটেন্স প্রেরণের জন্য ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা ও সিআইপি মর্যাদাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রবাসীদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ ও বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক।

অনুষ্ঠানে রেমিটেন্স প্রেরণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনাসহ উৎসাহব্যঞ্জক পদক্ষেপ গ্রহণের বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপন করলে প্রতিমন্ত্রী এসব বিবেচনার আশ্বাস প্রদান করেন। মেলায় যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রেরণকারী প্রধান ১৪টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়ে বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণের সুযোগ-সুবিধা ও প্রণোদনা সম্পর্কে মেলায় আগত দর্শকদের অবহিত করে।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রবাসীদের স্বার্থ ও কল্যাণ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

                                                 #

 

সৈকত/সায়েম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৪/১৬৪২ ঘণ্টা তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৪৩৯৯

থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান

ব্যাংকক, ২৭ এপ্রিল :   

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগে আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ডে সরকারি সফর চলাকালে গতকাল ব্যাংককে একটি হোটেলে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ব্যবসায়িক সভায় মন্ত্রী এ আহবান জানান।

বিশিষ্ট থাই ব্যবসায়ীবৃন্দ এবং অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব  মাসুদ বিন মোমেন, থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল হাই, বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি গত ১৫ বছরে আর্থসামাজিক উন্নয়নের সকল সূচকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ-এলডিসি গ্রুপ থেকে বাংলাদেশের সফল স্নাতক হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে থাইল্যান্ডের তাৎপর্যও তুলে ধরেন। তিনি দু’দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) শুরু করতে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য এবং বাণিজ্য ঘাটতি ভারসাম্যের জন্য এফটিএ দ্রুত শুরু করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। 

সভায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত প্রণোদনা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি থাই সরকারের কাছ থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার উপকৃত হতে পারে বলে তিনি মত দেন এবং বাংলাদেশের পর্যটন খাতে থাই বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান। 

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বাংলাদেশ সরকারের সম্প্রতি প্রণীত অফশোর ব্যাংকিং অ্যাক্ট ২০২৪ উল্লেখ করে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের বেসরকারি খাতকে সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সুবিধার আশ্বাস দেন।

বিশিষ্ট থাই গ্লোবাল সুগার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি সুটেক লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট চার্লস ফ্রেডেরিক বাংলাদেশ সরকারকে একটি বা দুটি বিদ্যমান চিনিকলকে বেসরকারি খাতের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত করার পরামর্শ দেন। বিডা প্রতিনিধি বাংলাদেশে বিনিয়োগে কৃষি ব্যবসা, ডিজিটাল অর্থনীতি, লজিস্টিকস এবং লাইট ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের প্রণোদনার ওপর আলোকপাত করেন।

#

আকরাম/কামরুজ্জামান/জুলফিকার/রবি/সাজ্জাদ/আলী/মানসুরা/২০২৪/১৪১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৪৩৯৮

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে সুসংহত করতে হবে

                                          -ধর্মমন্ত্রী

ময়মনসিংহ, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :   

          ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, আবহমানকাল ধরে বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে সুসংহত করতে হবে। এই সম্প্রীতি যেন নষ্ট না হয় এবিষয়ে সকলকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।

          আজ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিন্দু কল্যাণ ট্রাষ্টের আয়োজনে ময়মনসিংহের টাউন হলে ময়মনসিংহ বিভাগের পুরোহিত ও সেবাইত সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্য ছিলো একটি শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা যেখানে আইনের শাসন ও মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে। প্রতিষ্ঠিত হবে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার। এরূপ অভিপ্রায় থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধিকার আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলাদেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ একটি রাষ্ট্র। বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা।

2024-04-27-14-54-ef25f85191e4b5504e842e7faa6f67c3.docx