Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৭ August ২০২২

তথ্যবিবরণী ৭ আগস্ট ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ৩১৬৮

বাঙালির মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু

                                                                    -- আইনমন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ শ্রাবণ (৭ আগস্ট) :

          আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু একজন ভিন্ন প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। বাঙালি জাতির প্রতি তাঁর পরম ভালোবাসা ছিল। তিনি মনে করতেন, বাঙালির মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব তাঁর এবং ঠিক সেভাবেই তিনি বাঙালির মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।

          আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালনের প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।

          মন্ত্রী বলেন, বাঙালিরা কী করলো আর না করলো তাতে বঙ্গবন্ধুর কিছু আসে যায় না। বরং বাঙালিরা যদি বঙ্গবন্ধুকে সঠিকভাবে স্মরণ করে, শ্রদ্ধা জানায় তাহলে বাঙালি জাতির উন্নতি হবে। বাঙালিরা জাতি হিসেবে একটি ভালো জায়গায় পৌঁছাবে।

          মন্ত্রী জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে গতানুগতিক আয়োজনের বাইরে কিছু ভিন্নধর্মী কাজ করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মকে পরিষ্কারভাবে জানানো দরকার, একজন ফকির হত্যার বিচার হলেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  হত্যার বিচার দীর্ঘ ২১ বছর  বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।  এজন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ ও আইন জারি করা হয়েছিল।

            শোক দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনে কী করে গেছেন এবং আজকের বাস্তবতায় তার প্রাসঙ্গিকতা কী- সেটা নিয়ে আলোচনা করার পরামর্শ দেন মন্ত্রী। এবছর বড় পরিসরে শোক দিবসের অনুষ্ঠান করার নির্দেশ দেন এবং অনুষ্ঠানমালার বিষয় ও সময়সূচি নির্ধারণ করে দেন। সে মোতাবেক আইন মন্ত্রণালয় ১৬ আগস্ট এতিম খানায় খাবার বিতরণ করবে এবং ২১ আগস্ট দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করবে।

          মন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোঃ মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদফতরের মহাপরির্শক শহীদুল আলম ঝিনুক, অতিরিক্ত সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, উম্মে কুলসুম, কাজী আরিফুজ্জামান ও ড. জাকেরুল আবেদীন বক্তব্য প্রদান করেন।

#

 রেজাউল/পাশা/সঞ্জীব/রফিক/মাহমুদ/জয়নুল/২০২২/২০২০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৩১৬৭

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ২৩ শ্রাবণ (৭ আগস্ট) :     

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২১৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ১০ শতাংশ। এ সময় ৪ হাজার ২৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৩০২ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৪৮ হাজার ২৭ জন। 

#

কবীর/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৮৫৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৩১৬৬

জাতীয় জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান অপরিসীম

                                                   ---সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ শ্রাবণ (৭ আগস্ট) :

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জাতীয় জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অপরিসীম। তিনি ঢাকা জাদুঘরকে জাতীয় জাদুঘরে রূপান্তরে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন এবং জাতীয় জাদুঘরের জন্য জমি বরাদ্দ প্রদান করেন। স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরের শাসনামল পর্যালোচনা করলে দেখা যায়- এমন কোনো আইন নেই যা তিনি প্রণয়ন করে যাননি। আমরা যখনই কোনো নতুন আইন প্রণয়ন করতে যাই, দেখা যায় বঙ্গবন্ধু ইতোমধ্যে তা প্রণয়ন করে গেছেন। এতেই বোঝা যায়- বঙ্গবন্ধু কতটা বিচক্ষণ ও সুদূরপ্রসারী চিন্তার অধিকারী ছিলেন। যুগের প্রয়োজনে আমাদের সেসব আইন শুধুমাত্র পরিবর্ধন, পরিমার্জন ও সংস্করণ করতে হয়।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ১০৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাদুঘর আয়োজিত 'ঢাকা থেকে জাতীয় জাদুঘর: রূপান্তরের ইতিবৃত্ত' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাদুঘরকে আজকের পর্যায়ে উন্নীতকরণের জন্য যে দু'জনের নাম উল্লেখ না করলেই নয়, তাঁরা হলেন নলিনীকান্ত ভট্টশালী ও ড. এনামুল হক, যাদের মধ্যে ড. এনামুল হক কিছুদিন আগে প্রয়াত হয়েছেন। আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতাভরে শ্রদ্ধা জানাই। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় জাদুঘরে প্রায় ১ লাখ নিদর্শন রয়েছে যার মধ্যে আমরা মাত্র ৫ শতাংশ প্রদর্শন করতে পারি। সেজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক জাতীয় জাদুঘরকে আধুনিকায়ন করার পদক্ষেপ নিয়েছি। আশা করছি, শীঘ্রই এ প্রকল্প অনুমোদিত হবে। তিনি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে গ্যালারির সংখ্যা বাড়ানো যাবে এবং আরো অধিক নিদর্শন প্রদর্শন করা যাবে।

 

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সদস্য সাবেক সচিব উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত। 

 

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোকাম্মেল এইচ ভূঁইয়া। আলোচনা করেন ওয়াইল্ডটিমের প্রধান নির্বাহী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কীপার শিহাব শাহরিয়ার।

 

প্রতিমন্ত্রী পরে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী গ্যালারিতে জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি নিদর্শন, বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের দুর্লভ আলোকচিত্র ও বঙ্গবন্ধুর লেখা বিভিন্ন গ্রন্থ নিয়ে 'বঙ্গবন্ধু: মুক্তির অগ্রনায়ক' শীর্ষক বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন এবং প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। 

#

 

ফয়সল/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/১৮১১ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ৩১৬৫

বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন, শেখ হাসিনা দিচ্ছেন অর্থনৈতিক মুক্তি

                                                                                         --বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ শ্রাবণ (৭ আগস্ট):   

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বা        ঙালি জাতির মুক্তির জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন, আজ তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। তিনি দিন-রাত কাজ করছেন দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য। ভারত পাকিস্তান ভাগের সময়ই বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্তান বাঙালি  জাতির জন্য সৃষ্টি হয়নি। এর মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে অর্থনৈতিকভাবে বঞ্চিত করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তখনই বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ শুরু করেন। ছয়দফা ঘোষণার মাধ্যমে তা পরিষ্কার হয়ে যায়। ছয় দফার মধ্যে তিন দফাই ছিল বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির বিষয়ে। ছয় দফার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু পুরো বাঙালি জাতিকে এক কাতারে দাঁড় করিয়েছিলেন।

আজ ঢাকায় এফবিসিসিআই অডিটোরিয়ামে দ্য ফেডারেশন অভ্‌ বাংলাদেশ চেম্বার অভ্‌ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনীতি ও বাণিজ্য ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেই বঙ্গবন্ধু দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ শুরু করেন। কিন্তু তিনি বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির কাজ শেষ করতে পারেননি। আজ তাঁরই কন্যা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেন। চলমান বিশ্বের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সরকার বাধ্য হচ্ছে। এগুলো খুবই সাময়িক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে, দেশ স্বাভাবিক গতি ফিরে পাবে। দেশে স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনও সক্রিয় আছে। তারা বিভিন্নভাবে দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ইস্যুতে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমরা দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করে যাবো।

এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোর্শেদ আলম এবং এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি মোঃ শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এম মাহফুজুর রহমান, ঢাকা চেম্বার অভ্‌ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রহমান, এফবিসিসিআই'র প্যানেল উপদেষ্টা ড. মোস্তফা আবিদ খান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট মোঃ জসিম উদ্দিন।

#

বকসী/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/মাহমুদ/শামীম/২০২২/১৭১৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৩১৬৪

অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে আইনি ব্যবস্থা

                                    ---সেতুমন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ শ্রাবণ (৭ আগস্ট) :

 

পুনর্নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

 

মন্ত্রী আজ ঢাকায় নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে একথা জানান।

 

ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ডিজেলচালিত বাস ও মিনিবাসের ভাড়া সমন্বয়ে গতকাল বিআরটিএ-তে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবং বিআরটিএ-এর চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনসহ অংশীজনদের বৈঠকে ভাড়া পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয় এবং সে আলোকে ইতোমধ্যে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, অতীতের মতো এবারও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জনস্বার্থে শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন।

 

উল্লেখ্য, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৭ নভেম্বর ২০২১ তারিখের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার রুটে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে প্রতি যাত্রী প্রতি কিলোমিটার সর্বোচ্চ ভাড়া ১ দশমিক ৮০ টাকার স্থলে ২ দশমিক ২০ টাকা; ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী বাসের ক্ষেত্রে ২ দশমিক ১৫ টাকার স্থলে ২ দশমিক ৫০ টাকা ও  ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী মিনিবাস এবং ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এর আওতাধীন জেলার (নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ ও ঢাকা জেলা) অভ্যন্তরে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাস উভয় ক্ষেত্রে প্রতি যাত্রী প্রতি কিলোমিটার ভাড়া ২ দশমিক ০৫ টাকার স্থলে ২ দশমিক ৪০ টাকা। এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ দশমিক ০০ টাকা এবং মিনিবাসের সর্বনিম্ন ভাড়া
৮ দশমিক ০০ টাকা।

 

এ ভাড়া বৃদ্ধি গ্যাসচালিত মোটরযানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না এবং ভাড়ার হার প্রতিটি বাস ও মিনিবাসের দৃশ্যমান স্থানে আবশ্যিকভাবে টাঙ্গিয়ে রাখতে হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

 

#

 

ওয়ালিদ/পাশা/সঞ্জীব/মাহমুদ/আব্বাস/২০২২/১৮০৪ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ৩১৬৩

 অর্থনীতিকে সহনশীল রাখতেই তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে সরকার

                                                                             -কৃষিমন্ত্রী

কুমিল্লা, ২৩ শ্রাবণ (৭ আগস্ট):    

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দেশের অর্থনীতিকে সহনশীল ও স্বস্তির মধ্যে রাখতেই তেলের দাম বাড়াতে সরকার বাধ্য হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। একইসাথে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম আরো কমলে দেশেও তেলের দাম কমানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

        আজ কুমিল্লা শহরের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সিলেট, কুমিল্লাসহ পাহাড়ি অঞ্চলে তেল ফসল ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালা শুরুর আগে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ কর্মশালার আয়োজন করে।

 মন্ত্রী বলেন, দেশে তেলের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ আন্তর্জাতিক সংকট দায়ী। এই সংকটের কারণে সারা পৃথিবীতেই অর্থনীতি অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে। দেশে এ অস্থিরতা মোকাবিলা করার জন্য সরকার তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে। তেলে এত ভর্তুকি দিলে আমাদের ফরেন রিজার্ভ অনেক কমে যাবে, তখন সারা জাতি হুমকির মধ্যে পড়বে। তার চেয়ে বর্তমানে সাবধান হওয়া ভাল, সাশ্রয়ী ও কৃচ্ছ্রসাধন করা ভাল। বর্তমানে একটু কষ্ট সাময়িকভাবে মেনে নিয়ে যাতে আমরা সাবধান হই। দেশটাকে তো আমরা ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারি না। সেজন্য, সরকার তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে যাতে তেলের ব্যবহার কিছুটা হলেও কমে এবং আমরা যাতে শ্রীলঙ্কার মতো বিপর্যয়ে না পড়ে সহনশীল অবস্থায়ও টিকে থাকতে পারি। 

 তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে কৃষিতে প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়েনি, ফলে বিদ্যুৎচালিত সেচযন্ত্রে কোনো সমস্যা হবে না। তবে সার্বিকভাবে কৃষিতে কিছুটা প্রভাব পড়বে। কৃষি উৎপাদন কমবে না, তবে কৃষকের লাভ কমে আসবে। বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে একটু কষ্ট হলেও, আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে তা মোকাবিলা করতে হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, সিলেট ও পাহাড়ি অঞ্চলে অনেক জমি পতিত থাকে। দেশে খাদ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে কোনোক্রমেই এসব জমি পতিত রাখা যাবে না। পাশাপাশি ধানের উৎপাদন না কমিয়ে বিদ্যমান শস্যবিন্যাসে তেল ফসলকে অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। সেজন্য কৃষি কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।

 কৃষিসচিব মো: সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত, ব্রি’র মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বিএডিসি’র চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ, বারি’র মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

#

কামরুল/ডালিয়া/শাম্মী/রবি/শামীম/২০২২/১৬১০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ৩১৬২

করোনার দ্বিতীয় ডোজ না দিলে বুস্টার ডোজ পাবেন না

                                                      -স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ শ্রাবণ (৭ আগস্ট) :     

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা কিছুটা কমেছে। তবে, এখনো করোনায় দু-চারজন মারা যাচ্ছে। যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের অধিকাংশই করোনার টিকা নেননি। এখন টিকা না নিলে, হাতে মজুদ টিকার মেয়াদ দ্রুতই শেষ হয়ে যাবে। মেয়াদ থাকতে দ্বিতীয় ডোজ টিকা না নিলে তারা পরবর্তীতে আর বুস্টার ডোজ নিতে পারবে না।

আজ রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম)-এ ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ’ পালন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।

দেশে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য করোনার টিকা কার্যক্রম এ মাসের ১১ তারিখ প্রথমবার এবং ২৬ তারিখ দ্বিতীয়বার দেয়ার ঘোষণা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের হাতে এই মুহুর্তে শিশুদের জন্য প্রায় ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আছে। এগুলো দিয়ে আমরা ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে ১৫ লাখ শিশুকে টিকা দিতে পারব। পরবর্তীতে শিশুদের জন্য আরো টিকা আনা হবে।

অনুষ্ঠানে শিশুদের জন্মের পর থেকেই মায়ের দুধ পান করানোর উপর গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। দেশে এখন ৭০ ভাগ দুগ্ধজাত শিশু মায়ের দুধ পান করলেও প্রায় ৩০ ভাগ শিশু মায়ের দুধ পান করে না। কেন করছে না সে বিষয়টিতে আরো গুরুত্ব দিতে মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সকলকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান। এক্ষেত্রে বিভিন্ন কল-কারখানায় মায়েদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার চালুর কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের মহাপরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর এবং নিপসম-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. বায়েজিদ খুরশীদ রিয়াজ ও জাতীয় পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের জাতীয় পুষ্টিসেবা লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান।

উল্লেখ্য, সারা বিশ্বের সাথে বাংলাদেশেও ১৯৯২ সাল থেকে প্রতি বছর ১-৭ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হয়ে আসছে এবং ২০১০ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ জাতীয়ভাবে পালিত হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী World Alliance for Breastfeeding Action কর্তৃক এ বছর বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘মাতৃদুগ্ধ পান এগিয়ে নিতে, শিক্ষা ও সহযোগিতা হবে বাড়াতে’।

#

মাইদুল/ডালিয়া/শাম্মী/রবি/আসমা/২০২২/১৬১২ ঘণ্টা   

Handout                                                                                                               Number : 3161

Program of National Mourning Day

Dhaka, 7 August :

            Elaborate programmes have been chalked out to observe the 47th martyrdom anniversary of Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman and National Mourning Day on 15 August. The national flag will be hoisted half-mast in all government, semi-government, autonomous institutions, educational institutions and private buildings including Bangladesh missions abroad.

            At 6.30 am in the morning of 15 August, the President and the Prime Minister will lay floral wreaths at the portrait of Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman at Dhanmondi Road-32 in the capital. A guard of honor will be presented by the armed forces and prayers will be offered.

            At 7.30 am, the Prime Minister will place wreaths and flower petals in the Banani Graveyard on the graves of the family members of the Father of the Nation and other martyrs who were brutally killed on August 15, 1975, along with Bangabandhu, for eternal peace of the departed souls. She will also offer Fateha and munajat for salvation of the souls of the martyrs there.  

            The Prime Minister will pay homage to the Father of the Nation by placing wreath at mazar of Bangabandhu at Tungipara in Gopalganj at 10 O’clock in the morning. Apart from Honor Guard by the Armed Forces, Fateha will be recited and munajat will be offered at Bangabandhu Mausoleum complex.

                Special doa and munajat will be held in mosques across the country after Johr prayers on August 15 marking the occasion. Special prayer programs will also be organized in temples, churches, pagodas and other religious institutions.

            Special supplement will be published in national dailies and periodicals on the occasion. Department of Films and Publications (DFP) has published posters for distribution across the country. Posters in English language have already been dispatched to Bangladesh diplomatic missions abroad. On the occasion of mourning day, Department of Mass Communication will screen documentary films on life and works of Bangabandhu across the country. The Press Information Department (PID) will organize a week-long photo exhibition at the Bangladesh Secretariat. Regional Information Offices under PID will also arrange Photo Exhibition at divisional level. Bangladesh Betar and Bangladesh Television will organize special programs on the occasion.

            All public and private primary schools, high schools, madrasas, colleges, medical colleges and universities and other educational institutions will organize discussion meetings, poetry recitations, essay writing and painting competitions, art exhibitions, hamd-naat competitions and doa mahfils.

            In line with the national program, discussion meetings, doa mahfil and other programs will be held at the district and upazila levels. Government officials will actively participate in the events. All City Corporations, Municipalities and Union Parishads of the country will chalk out and implement their own mourning day programs.

 The programs of Dhanmondi, Banani and Tungipara will be broadcast live on Bangladesh Betar and Bangladesh Television. Other private television channels, FM radio and community radio will also broadcast the programs live with the help of Bangladesh Betar and Bangladesh Television.

#

Dalia/Shammi/Robi/Shamim/2022/1438 hours

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ৩১৬০

          জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি

ঢাকা, ২৩ শ্রাবণ (৭ আগস্ট) :   

           স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসহ সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

          ১৫ আগস্ট সোমবার সকাল সাড়ে ৬ টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সশস্ত্রবাহিনীর অনার গার্ড প্রদান এবং মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

          সকাল সাড়ে ৭ টায় বনানী কবরস্থানে জাতির পিতার পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও অন্যান্য শহিদদের কবরে প্রধানমন্ত্রীর পুষ্পস্তবক ও ফুলের পাপড়ি অর্পণের পর ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

          এদিন সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে প্রধানমন্ত্রী পুস্পস্তবক অর্পণ করবেন। সশস্ত্রবাহিনীর অনার গার্ড ছাড়াও সমাধি কমপ্লেক্সে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করা হবে।

          শোক দিবসে সারাদেশের মসজিদসমূহে বাদ যোহর বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

          তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় দৈনিক ও সাময়িকীতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। এছাড়া শোক দিবস উপলক্ষ্যে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর পোস্টার প্রকাশ করেছে। সারাদেশে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করবে। তথ্য অধিদফতর বাংলাদেশ সচিবালয়ে সপ্তাহব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করবে। বিভাগীয় পর্যায়েও আঞ্চলিক তথ্য অফিস আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করবে। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন শোক দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে।

সকল সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কলেজ, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী, হামদ-নাত প্রতিযোগিতা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে।

          জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিলসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালিত হবে। অনুষ্ঠানসমূহে সরকারি কর্মকর্তাগণকে আবশ্যিকভাবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে হবে। দেশের সকল সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ শোক দিবসের নিজ নিজ কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে।

ধানমন্ডি, বনানী ও টুঙ্গিপাড়ার অনুষ্ঠান বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে। এছাড়া অন্যান্য বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, এফএম বেতার ও কমিউনিটি রেডিও এ অনুষ্ঠানসমূহ সরাসরি সম্প্রচার করবে।

#

ডালিয়া/শাম্মী/রবি/আসমা/২০২২/১১৪৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ৩১৫৯

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ২৩ শ্রাবণ (৭ আগস্ট) :      

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকীর এবারের প্রতিপাদ্য ‘মহীয়সী বঙ্গমাতার চেতনা; অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা’- যথার্থ ও তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমি বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ৩ বছর বয়সে তিনি পিতা এবং ৫ বছর বয়সে মাকে হারান। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পিতা-মাতার কাছে লালিত-পালিত হন। মহীয়সী নারী ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছোটবেলা থেকেই ছিলেন দৃঢ়চেতা ও বলিষ্ঠ চরিত্রের অধিকারী। তিনি শুধু জাতির পিতার সহধর্মিণীই ছিলেন না, বাঙালির সুদীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তিসংগ্রামের নেপথ্যের কারিগর হিসেবে প্রতিটি পদক্ষেপে তাঁকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দৃঢ় চেতনাকে আরো শাণিত করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন। তখন থেকেই বঙ্গমাতা তাঁর রাজনীতি ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। দেশ বিভাগের পূর্বে ১৯৪৬ সালে দাঙ্গার সময় বঙ্গমাতা নিজেও অসুস্থতা সত্ত্বেও স্বামীকে কাছে না রেখে কলকাতার দাঙ্গাপীড়িত মানুষকে সহায়তা করার পরামর্শ দিয়ে দেশপ্রেমের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় তাঁর সাহসী ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্তে মামলার সকল রাজবন্দীর জীবন রক্ষা হয় এবং স্বাধীনতার আন্দোলনকে আরো বেগবান করে তোলে। ৬-দফা ও ১১-দফা আন্দোলনে তিনি বলিষ্ঠ অবদান রাখেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রদানের ক্ষেত্রেও বঙ্গমাতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। জাতির পিতা কারাগারে থাকাকালীন বঙ্গমাতা দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন, প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিতেন এবং কারাগারের বাইরে অবস্থা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুকে অবহিত করতেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে লেখালেখিতে অনুপ্রেরণার মাধ্যমে বঙ্গমাতা আমাদে

2022-08-07-14-43-4f4ed76a68c2df9cb93836ef486b86a0.doc