তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৫১
রাশেদ খান মেনন হত্যাচেষ্টার ২৫ তম বার্ষিকীতে আলোচকবৃন্দ
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অসাম্প্রদায়িক শক্তির ঐক্য অনিবার্য
ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট):
রাশেদ খান মেনন হত্যা চেষ্টার ২৫তম বার্ষিকীর আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর ছড়িয়ে দেয়া সন্ত্রাস নানা রূপে আশ্রয়-প্রশ্রয় পেয়ে এখন জঙ্গিবাদের রূপ ধারণ করে বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। এই অপশক্তিকে রুখতে হলে সংবিধানের অন্যতম স্তম্ভ¢ ধর্মনিরপেক্ষতাকে আরো দৃঢ়ভাবে ধারণ করে আদর্শিক লড়াই চালাতে হবে। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক ঐক্য অনিবার্য। এ লড়াইয়ে জয়ী হতে না পারলে বাংলাদেশ রাষ্ট্র এক ভয়াবহ সঙ্কটে নিপতিত হবে।
সভাপতির বক্তৃতায় বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, মৃত্যুর দুয়ার থেকে দেশবাসীর দোয়ায় তিনি ফিরে এসেছেন, সে দিন এর প্রতিবাদে দেশজুড়ে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ-বিক্ষোভ গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, সংসদে সন্ত্রাসের প্রতিবাদ করায় তাকেই সন্ত্রাসের শিকার হতে হয়েছে। সে দিন তাঁর জীবন বাঁচাতে হাজারো মানুষ রক্ত দিতে এগিয়ে এসেছে, সেই অগণিত মানুষের রক্ত আজ তিনি বহন করে চলেছেন। তিনি বলেন, এই রক্তের ঋণ শোধ করতে আমৃত্যু লড়াই করে যাবেন।
এ উপলক্ষে রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত “বাংলাদেশে সন্ত্রাসের বহুমুখিতা : গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণের চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক আলোচনা সভায় মূলপত্র উপস্থাপন করেন মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ। আলোচনায় অংশ নেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, অধ্যাপক মুনতাসির মামুন; ’৭১-এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক শাহরিয়ার কবির, নাট্যজন নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের ১৭ আগস্ট রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ ওয়ার্কার্স পার্টির অফিসের সামনে তাকে গুলি করা হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও পরে সিএমএইচ এ নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চিকিৎসার্থে তাঁকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৯৯৩ সালের ২০ জানুয়ারি চিকিৎসাশেষে তিনি দেশে ফিরে আসেন।
#
মাহবুবুর/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৫০
বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে কমিশন করার চিন্তা করা হচ্ছে
--- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকা-ের নেপথ্যে ছিলেন তাদেরকে চিহ্নিত করার জন্য একটি কমিশন গঠন করার চিন্তা করা হচ্ছে।
আজ ঢাকায় নিবন্ধন পরিদপ্তর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন ।
তিনি বলেন, ‘আজ বাঙালির একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কিন্তু লাহোরে মারতে পারে নাই। বঙ্গবন্ধুকে ঢাকাতেই মারা হয়েছে। একথা বলার কারণ হচ্ছে, আমাদের মধ্যেই মীরজাফরেরা আছে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুকে ঢাকায় হত্যা করে নিজেদের উপর যে কলঙ্ক লেপন করেছি, সেই কলঙ্ক কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা দিয়ে শেষ হয় নাই। এই কলঙ্ক মোচন হবে যদি আমরা সব চেষ্টা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে পারি।’
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ্ শেখ মোঃ জহিরুল হক এর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিদর্শক খান মোঃ আব্দুল মান্নান, আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসরিন বেগম ও মোঃ ইসরাইল হোসেন বঙ্গবন্ধুর জীবন আলেখ্য নিয়ে আলোচনা করেন।
সভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সঙ্গে নিহত পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
#
রেজাউল/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/২০৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৪৯
বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে মুছে ফেলা সম্ভব নয়
-- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট):
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে কখনও মুছে ফেলা সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তাঁর মৃত্যুর পর আরো বহুগুণে শক্তিশালী হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তাঁকে হত্যার পূর্বে সুপরিকল্পিত পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছিল। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল তারা আজও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।
মন্ত্রী আজ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মিলনায়তনে “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪২তম শাহাদতবার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস ২০১৭ পালন” উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ইকরামুল হক-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মাফরূহা সুলতানা, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও দপ্তর প্রধানগণ।
মন্ত্রী তাঁর মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনের দায়িত্ব এই মন্ত্রণালয়কে পালন করতে হবে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতেও এ মন্ত্রণালয়কে অধিক ভূমিকা রাখতে হবে।
অন্যদিকে প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সকলকে দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করার কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা ও ১৫ আগস্টে শহীদ সকলের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
#
জাকির/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৪৮
বেসরকারি পাঁচ মেডিকেল ও এক ডেন্টাল কলেজের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত
ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট):
সরকার নির্ধারিত নীতিমালার শর্ত পূরণ না করায় আসন্ন ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের জন্য পাঁচটি বেসরকারি মেডিকেল ও একটি ডেন্টাল কলেজের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
কলেজগুলো হলো ঢাকার নর্দার্ন ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, আইচ মেডিকেল কলেজ, সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ, কেয়ার মেডিকেল কলেজ, কেরানীগঞ্জের আদ্-দ্বীন বসুন্ধরা মেডিকেল কলেজ এবং রাজধানীর সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজ। তবে কলেজগুলোর অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ নীতিমালা সংক্রান্ত সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এতে সভাপতিত্ব করেন। দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গত ছয় মাসের পরিদর্শনের প্রেক্ষিতে প্রদত্ত সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মানহীন কলেজ বন্ধে সরকারের অভিযান অব্যাহত থাকবে। যারা শর্ত পূরণ করতে পারছে না তাদের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। যদি তারা সব শর্ত পূরণ করে মানসম্মত কলেজে উন্নীত হতে না পারে তবে তাদের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, চিকিৎসক নির্মাণের কেন্দ্র মেডিকেল কলেজগুলোতে মানের ঘাটতি সরকার কোনোভাবেই মেনে নেবে না।
গত শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী না পাওয়ায় ৫৬টি মেডিকেল এসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) এর কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এসময় অন্যান্য ম্যাটস্ ও আইএইচটি যথাযথ নিয়ম মেনে মানসম্মত কার্যক্রম পরিচালনা করছে কিনা তা পরিদর্শন করে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বর্তমানে দেশে ১৯৬টি ম্যাটস্ ও ৯৮টি আইএইচটি চালু রয়েছে।
দেশে স্থাপিত ৬৯টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্যে নীতিমালার শর্ত পূরণ না করায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গত শিক্ষাবর্ষে চারটি কলেজের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল যা এখনো বহাল আছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সিরাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিএমডিসির সভাপতি অধ্যাপক
ডা. শহীদুল্লাহ, বিএসএমএমইউর ডিন অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলানসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
পরীক্ষিৎ/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৪৭
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৪৩
আসন্ন ঈদে ৭ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে
ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট ) :
আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করবে। আজ রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক তার দফতরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাতায়াতের সুবধার্থে ৭ জোড়া বিশেষ ট্রেন ২৯ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলাচল করবে।
ট্রেনসমূহ হচ্ছে দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল; ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা, ২৯ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এবং ৩
সেপ্টেম্বর থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। চাঁদপুর স্পেশাল-১; চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম, ২৯ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর এবং ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। চাঁদপুর স্পেশাল-২; চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম ২৯ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর এবং ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
রাজশাহী স্পেশাল; রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী, ২৯ আগস্ট থেকে ১সেপ্টেম্বর এবং ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। পার্বতীপুর স্পেশাল; পার্বতীপুর-ঢাকা-পার্বতীপুর, ২৯ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর এবং ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। শোলাকিয়া স্পেশাল-১; ও শোলাকিয়া-২; ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার, এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ পবিত্র ঈদের দিন চলাচল করবে।
২৭ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট তারিখের ভ্রমনের টিকেট বিশেষ ব্যবস্থাপনায় প্রচলিত নিয়ম অনুসারে ১০ দিন পূর্বে যথাক্রমে ১৮-২২ আগস্ট তারিখের টিকিট বিক্রি করা হবে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ঈদপূর্ব অগ্রিম টিকিট বিক্রি সকাল ৮টায় থেকে পাওয়া যাবে।
ঈদ যাত্রীদের ভ্রমণের জন্য অগ্রিম টিকিট রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে বিক্রি করা হবে।
এছাড়া, ঈদুল আযহার ৫ দিন পূর্ব থেকে ঈদের পূর্বদিন পর্যন্ত সকল আন্তঃনগর সাপ্তাহিক বন্ধের দিনেও চলাচল করবে।
#
শরিফুল/অনসূয়া/শহিদ/শামীম/২০১৭/১৬৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৪২
কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিক কল্যাণে ব্যয় করার আহ্বান শ্রম প্রতিমন্ত্রীর
ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট ) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেছেন, বড় কোম্পানিগুলো শ্রমিক অংশগ্রহণমূলক লভ্যাংশ আইন-ডাব্লুপিপিএফ মেনে তাদের লভ্যাংশর ৫ শতাংশ শ্রমিক কল্যাণে ব্যয় করলে দেশে কোনো শ্রমিক অসহায় থাকবে না ।
প্রতিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অপ্রাতিষ্ঠানিকখাতে নিয়োজিত শ্রমিক যারা বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত হয়েছেন এবং দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিক ও তাদের স্বজনদের মাঝে শ্রমিককল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলের অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান শ্রমবান্ধব সরকার অপ্রাতিষ্ঠানিকখাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের জন্য শ্রমিককল্যাণ তহবিল এবং রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদের কল্যাণে গঠিত কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে সহায়তা প্রদান করছে। তিনি বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কোনো শ্রমিক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করলে ২ লাখ এবং রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পের কোনো শ্রমিক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করলে ৩ লাখ এবং বিমা বাবদ ২ লাখসহ মোট ৫ লাখ টাকা সহায়তা পাচ্ছে। তিনি বলেন, দুর্ঘটনায়, অসুস্থতায় এবং সন্তানের শিক্ষা সহায়তায় শ্রমিকের পাশে আছে সরকার।
তিনি আরো বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিকখাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের কল্যাণে গঠিত শ্রমিককল্যাণ তহবিলে বর্তমানে জমার পরিমাণ প্রায় আড়াই শত কোটি টাকা। প্রতিমন্ত্রী শ্রমআইনের আলোকে প্রণীত ডাব্লুপিপিএফ এর বাস্তবায়নে বড় কোম্পানি ও শিল্প মালিকদের উদ্যোগী হবার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে শ্রমিককল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে হতে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহত, আহত এবং দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ৫৮ জন শ্রমিক এবং তাদের স্বজনদের মাঝে ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে জানানো হয় গত তিনবছরে এ তহবিল থেকে ১ হাজার ৪’শ ১৫ জন শ্রমিক এবং তাদের স্বজনদের মাঝে প্রায় ১১ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
শ্রমিককল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. এ এম এম আনিসুল আউয়ালের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব মিঞা আব্দুল্লাহ মামুন, শ্রম পরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দিলীপ কুমার সাহাসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
#
আকতারুল/অনসূয়া/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৬১৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৪১