তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৪২৮
সাংবাদিক হলো সমাজের দর্পণ
--পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী
বান্দরবান, ১৯ কার্তিক (৪ নভেম্বর):
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, সাংবাদিক হলো সমাজের দর্পণ। একজন সাংবাদিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলোকে সাজিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে থাকেন। যেটি দর্পণের ন্যায় স্বচ্ছ ও পরিষ্কার প্রতিচ্ছবি হয়। সমাজের চিত্র বা প্রতিচ্ছবি একজন সাংবাদিকের লেখনীর মাধ্যমে জনগণ দর্পণের ন্যায় দেখতে পায়। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন এবং সত্য প্রকাশ করা একজন সাংবাদিকের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে সর্বক্ষেত্রে।
আজ বান্দরবান প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়াম হলে প্রথম আলোর ২৪ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে লেখক-পাঠক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রীতি সম্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নবীন সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ গ্রহণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, সংবাদ মাধ্যমগুলো স্ব-উদ্যোগে তাদের নিজ নিজ সংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে পারেন। তাছাড়া দেশে ও দেশের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ মাধ্যমগুলোতে যেসব গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিকগণ কাজ করছেন তাদের মাধ্যমে নবীন সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলে আরো ভালো ফল পাওয়া যাবে। প্রয়োজনে প্রেসক্লাবকে নবীন সাংবাদিকদের জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
প্রথম আলোর ২৪তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বান্দরবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বান্দরবান জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৮৬ জন শিক্ষার্থী চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
অনুষ্ঠানে বন্ধু সভার সদস্য রাজেশ দাশের সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যের মধ্যে বান্দরবান পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল কান্তি দাস, এডভোকেট ইকবাল করিম, বান্দরবান প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক মিনার, প্রথম আলো পত্রিকার প্রতিনিধি বুদ্ধজ্যোতি চাকমা, বন্ধু সভার সকল সদস্য ও ক্ষুদে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২২৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৪২৭
ভারতের মুম্বাইয়ে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে জাতীয় সংবিধান দিবস পালন
মুম্বাই (ভারত), ১৯ কার্তিক (৪ নভেম্বর):
ভারতের মুম্বাইয়ে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে জাতীয় সংবিধান দিবস ৪ নভেম্বর ২০২২ যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে উপহাইকমিশন প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ, আলোচনা সভা ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনাসভায় মুম্বাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার চিরঞ্জীব সরকার তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের জাতীয় সংবিধানের অনন্য বৈশিষ্ট্য এবং তাৎপর্য তুলে ধরেন। এ সময় তিনি নবগঠিত বাংলাদেশের জন্য একটি সংবিধান প্রণয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের বিষয় শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এবং দ্রুততম সময়ে একটি লিখিত সংবিধান উপহার দিতে জাতির পিতার অসামান্য কৃতিত্ব তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার এ উপহার, জাতীয় সংবিধান সমুন্নত রাখতে নতুন প্রজন্মসহ সবাইকে অবদান রাখতে হবে।
#
মাহমুদুল/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৪২৬
নিরাপদ ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে
জনপ্রতিনিধিদের স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করতে হবে
---আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্
বরিশাল, ১৯ কার্তিক (৪ নভেম্বর):
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। তৃণমূল জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা তথা সকল প্রত্যাশার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু স্থানীয় সরকার পরিষদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন নীতিতে বিশ্বাসী নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে জনস্বার্থকে সর্বাগ্রে স্থান দিতে হবে। নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দিতে হলে জনপ্রতিনিধিদের সকল প্রকার লোভ-লালসা ত্যাগ করে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরালে স্থানীয় সমাজসেবী ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, সরকার অর্থনীতিকে বিকশিত ও গ্রামীণ জনগণের উন্নয়ন ভাবনাকে আবর্তিত করে বিভিন্ন গণমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। সরকার বিগত ১৩ বছরে পল্লীখাতে ৬৯ হাজার ২ কিলোমিটার পাকা সড়ক, ৪ লাখ ৫ হাজার ৯৯ মিটার নতুন ব্রিজ নির্মাণ, ১ লাখ ৯ হাজার ৭৮ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও ১ হাজার ৭৬৭ টি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করেছে। তিনি বলেন, বরিশালের প্রতিটি উপজেলায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, বনায়ন, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো খাতে রেকর্ড পরিমাণ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুফল যাতে তৃণমূলের মানুষ উপভোগ করতে পারে, সেজন্য স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আরো বলেন, বর্তমান সরকার দেশে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের রূপকল্প ২০২১ এর সফল বাস্তবায়ন এবং অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সরকারের সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করতে হবে। তিনি এ সময় বরিশালের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন।
#
আহসান/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০২২/১৯৫৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৪২৫
মাত্র ৮ মাসে সংবিধান প্রণয়ন এবং তা কার্যকর করা বঙ্গবন্ধুর একটি বড় সাফল্য
-- গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী
ময়মনসিংহ, ১৯ কার্তিক (৪ নভেম্বর) :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, মাত্র ৮ মাসে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন এবং তা কার্যকর করা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি বড় সাফল্য।
আজ জাতীয় সংবিধান দিবস ২০২২ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ময়মনসিংহ কর্তৃক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল। এপ্রিলের ১১ তারিখ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের জন্য গণপরিষদ সদস্য এবং রাজনীতিকদের সমন্বয়ে ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কমিটি মাত্র আট মাসে সংবিধানের খসড়া প্রণয়ন করে, যা গণপরিষদে গৃহীত হয় ৪ নভেম্বর এবং সে বছর ১৬ ডিসেম্বর থেকে তা কার্যকর করা হয়। এত স্বল্প সময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন এবং তা কার্যকর করা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি বড় সাফল্য।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানিয়ে আসছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো অস্তিত্ব আমাদের মহান সংবিধানে বর্তমানে নেই এবং ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া সংবিধানেও ছিল না। যারা এ দাবি উত্থাপন করছে এবং সমর্থন করছে তারা আমাদের মহান সংবিধানের পবিত্রতা রক্ষায় বিশ্বাসী নয়। তারা দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনস্বরূপ মহান সংবিধানের অপমৃত্যু কামনা করে এবং এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি তারা শ্রদ্ধাশীল নয়। তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হওয়া উচিত এবং দেশে গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এই দাবি থেকে তাদের সরে আসা উচিত।
এসময় প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজাউল/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২০১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৪২৪
ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তর ঘটেছে শেখ হাসিনার হাত ধরে
-- খাদ্যমন্ত্রী
নিয়ামতপুর (নওগাঁ), ১৯ কার্তিক (৪ নভেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তর ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আজ নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার পারইল ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে পারইল ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির অধিকার আদায়ে কাজ করে গেছেন। দেশের মানুষের জন্য তাঁর ত্যাগ অতুলনীয়। আর বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের এদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দেন জিয়াউর রহমান উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই স্বাধীনতাবিরোধীদের সংসদে নিয়ে গেছেন এবং মন্ত্রী বানিয়ে গাড়িতে লাল সবুজ পতাকা উড়াতে সাহায্য করেছেন বেগম জিয়া। তিনি বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এটা মেনে নিতে পারিনি।
মন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে দেশের অবস্থা কেমন ছিলো আপনারা জানেন। আর এখন কেমন আছেন তার পার্থক্য করলে বুঝবেন শেখ হাসিনা আপনাদের জন্য কতটা উন্নয়ন করেছেন। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা এবং সংখ্যা বাড়িয়েছেন তিনি। ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপান্তর শেখ হাসিনার হাত ধরে ঘটেছে। নাগরিক সব সেবা এখন হাতের মুঠোয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা দরিদ্র অসহায়দের জন্য বাড়ি করে দিচ্ছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এদেশে গৃহহীন কোনো মানুষ থাকবে না। মুক্তিযোদ্ধাদেরও বাড়ি করে দিচ্ছে সরকার। বিএনপি কোন কাজটি জনগণের জন্য করেছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, বিএনপি মানেই লুটপাট করে খাওয়া। ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টায় আছে বিএনপি। এ সময় নেতা কর্মীদের বিএনপির কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘৩৩৩’ এ ফোন করে করোনাকালে খাদ্য সহায়তা পেয়েছে অনেকেই। করোনাকালে কোনো মানুষ খাদ্যাভাবেও মারা যায়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, দেশের উৎপাদন দিয়েই খাদ্য সংকট মোকাবিলা করা হবে। এদেশে দুর্ভিক্ষ হবে না।
পারইল মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সহসভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদ হাসান রাসেল এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সৈয়দ মুজিব।
#
কামাল/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/১৮৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৪২৩
যেকোনো বয়সে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
সাভার (ঢাকা), ১৯ কার্তিক (৪ নভেম্বর) :
যেকোনো বয়সে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে লেখাপড়ার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আজ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব ২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বায়ত্তশাসন দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন মুক্তবুদ্ধি চর্চার কেন্দ্র হয়ে উঠে। সেটির পাশাপাশি একটি বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সারা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন বিশেষ করে উচ্চশিক্ষার উন্নয়নে ভূমিকা পালন করবে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমরা যেকোনো বয়সে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যেতে পারি, নিজের দেশের বেলায় এতো প্রতিবন্ধকতা কেন?
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উচ্চশিক্ষায় ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে দেশের পাঁচ-ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতির মধ্যে এসেছে। এটি শিক্ষার্থী-অভিভাবকের অর্থ সাশ্রয়, তাদের হয়রানি কমানোর জন্য প্রয়োজন। আমরা তো পাশ্চাত্যের দিকে তাকিয়ে থাকি নানান কিছু নিয়ে। আমাদের দেশের মেধাবীরা যারা বিদেশে পড়তে যান, গবেষণা করতে যান, আবার ফিরেও আসেন, সেই সব দেশে ভর্তি হতে গেলে একটি মাত্র পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হওয়া যায়। তাহলে আমাদের দেশে একটি পরীক্ষা দিয়ে কেনো সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া যাবে না?
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির শর্ত প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের এতো প্রতিবন্ধকতা কেন? একবারের বেশি ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া যাবে না, এই বয়সের পর আসা যাবে না। এটা পড়ে আসলে ভর্তি করা যাবে না, পড়াশোনার মধ্যে গ্যাপ থাকলে ভর্তি হওয়া যাবে না। আমরা তো জীবনব্যাপী শিক্ষার কথা বলছি। তাই যদি হয়, যেকোনো শিক্ষায় যেকোনো মানুষ আসতেই পারে। মানুষ জ্ঞান অর্জনের জন্য, শিক্ষা অর্জনের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসবেন। ভর্তির ক্ষেত্রে নানা রকম যে প্রতিবন্ধকতা, সেই প্রতিবন্ধকতার দেয়ালগুলো তুলে দিতে হবে। পরীক্ষা দিয়ে যোগ্যতা দেখিয়েই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসবে। তার বয়স কুড়ি না পঞ্চাশ সেটি বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত নয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ওয়ার্ল্ড র্যাংকিংয়ে আসার বিষয়ে নজর দেওয়ার আহ্বানও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
#
খায়ের/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/১৮৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৪২২
খালেদা জিয়ার কথায় দেশতো দূরের কথা, বিএনপিই চলে না
---পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
শরীয়তপুর, ১৯ কার্তিক (৪ নভেম্বর) :
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, এতিমের টাকা মেরে খাওয়ার দায়ে বেগম খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়ায় জেলের পরিবর্তে তিনি এখন বাসায় আছেন। তার ছেলে সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান বিদেশে পলাতক। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো। আর তার কথায় নাকি আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর দেশ চলবে! উপমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের এমন উদ্ভট বক্তব্যে দেশের মানুষের মাঝে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি ও বিএনপির নেতাকর্মীরাইতো তার কথায় চলে না। কারণ, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দুর্নীতিবাজ। কোনো বিবেকবান মানুষ কোনো দুর্নীতিবাজের কথায় চলতে পারে না। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সততা, মেধা ও দক্ষতায় সেরা। এ কারণে এদেশের মানুষ তাঁর নেতৃত্বেই ঐক্যবদ্ধ।
আজ শরীয়তপুরের নড়িয়ার ভূমখাড়া ইউনিয়ন উন্নয়ন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি জনসভা ও সমাবেশের নামে যতোই চক্রান্তের জাল বুনুক না কেন, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে পরাজিত করা সম্ভব নয়। বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ক্ষমতায় যেতে হলে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। তাই বিএনপি যদি নির্বাচনে বিজয়ী হতে চায় তবে সংঘাত ও ভ্রান্ত পথ পরিহার করে এখন থেকেই জনস্বার্থে দেশের সংকট মোকাবেলায় সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের অনুকম্পার ওপর নির্ভর করতে হবে।
উপমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর বাংলাদেশ উন্নয়ন থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েছিল। অনেক ষড়যন্ত্র ও প্রতিবন্ধকতার বেড়াজাল ছিন্ন করে ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে দেশের উন্নয়ন নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। যার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। তাই এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের মানুষ আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করে ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভুল করবে না।
ভূমখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, সহ-সভাপতি আব্দুল ওহাব বেপারী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ কমিটির সদস্য জহির সিকদার, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ রাশেদউজ্জামান, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মাল, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, নড়িয়া থানার ওসি মোঃ হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
#
গিয়াস/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০২২/১৮২৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৪২১
জেলহত্যার প্রধান কুশীলব জিয়াউর রহমান
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ কার্তিক (৪ নভেম্বর) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমান জেলহত্যার প্রধান কুশীলব বলেই বিএনপি এই দিবসের আলোচনায় অংশ নেয় না।’
আজ রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকরা জাতীয় সংসদে জেলহত্যা দিবসের আলোচনায় বিএনপির অংশ না নেয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি আলোচনা করলে এটাই উঠে আসবে এবং উঠে আসা উচিত যে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ইন্ধনেই তার অনুগত সেনারা কারাগারের মধ্যে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছিল। সুতরাং তারা জেল হত্যা নিয়ে কি বলবে! তারা দায়টা স্বীকার করতে পারে। তাদের প্রতিষ্ঠাতা যেহেতু এই জেলহত্যার সাথে জড়িত, সেজন্য তারা এই দিবসের আলোচনায় অংশগ্রহণ করে না।’
বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ওপর হামলা নিয়ে প্রশ্ন করলে সম্প্রচারমন্ত্রী এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক একজন উদার মনের মানুষ, গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাস করেন এবং মুক্তমত চর্চা করেন। স্বাধীনতার স্বপক্ষের একজন বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর তিনি। ছাত্রদলের ইন্ধনেই তার ওপরে হামলা হয়েছে এবং ছাত্রদলের চারজন গ্রেপ্তার হয়েছে।’
হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘এতে এটিই প্রমাণিত হয় যে আমরা যে বলে আসছি- বিএনপি সারা দেশে নাশকতার ছক এঁকেছে, সেটি সত্য। এই আন্দোলনের আড়ালে তারা দেশে একটি বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করছে। সেটিরই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ওপর হামলা।’
‘বিএনপি-জামাত জোট এই ধরনের আরো হামলা করার পরিকল্পনা করেছে’, উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের ছত্রছায়ায় যে অপশক্তি জঙ্গিগোষ্ঠী আছে, তারা এগুলো করছে। এজন্য বারবার আমরা দেশবাসীকে সতর্ক করেছি। দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই- এই অপশক্তিকে রুখতে হবে।’
#
আকরাম/রাহাত/মোশারফ/লিখন/২০২২/১৬২৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৪২০
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৯ কার্তিক (৪ নভেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৮৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। এ সময় ২ হাজার ৭০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪২৫ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮২ হাজার ১১৪ জন।
#
কবীর/রাহাত/আব্বাস/২০২২/১৭০১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৪১৯
প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের কল্যাণে অত্যন্ত আন্তরিক
-পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী
বান্দরবান, ১৯ কার্তিক (৪ নভেম্বর) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সবরকমের সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছেন। তিনি পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের কল্যাণের জন্য অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের ভালোর জন্য, কল্যাণের জন্য অবিরাম কাজ করে যচ্ছেন। দেশের মানুষের প্রতি তাঁর অকৃত্তিম ভালোবাসা, সেবার মনোভাব ও সহযোগিতা করার অব্যাহত প্রবণতা দেশকে উন্নয়নের শীর্ষে নিয়ে যাচ্ছে।
আজ দুপুরে বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার ৪ নং নোয়াপতং ইউনিয়নের বাগমারা বাজারে দুস্থ মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন, গবাদি পশু- ছাগল, কৃষি উপকরণ- স্প্রে মেশিন, ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী রোয়াংছড়ি উপজেলার দুস্থ মহিলাদের মাঝে ২০টি ছাগল, ২০টি সেলাই মেশিন, ৩০টি স্প্রে মেশিন ও ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ করেন।
নোয়াপতং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চনু মং মার্মা’র সভাপতিত্বে এসময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুৎফর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম, বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, রোয়াংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সকল ইউনিয়নের উপকারভোগীগণ।
#
রেজুয়ান/মেহেদী/জুলফিকার/রবি/মাসুম/২০২২/১৫০০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৪১৮
জাতীয় সমবায় দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৯ কার্তিক (৪ নভেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ৫ নভেম্বর জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছে :
“বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫১তম ‘জাতীয় সমবায় দিবস’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে দেশের সকল সমবায়ী ও সমবায়বান্ধব জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানের ১৩(খ) নং অনুচ্ছেদে সমবায়কে সম্পদের মালিকানার দ্বিতীয় খাত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন এবং সমবায়কে গণমুখী আন্দোলনে পরিণত করার ডাক দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, দেশের জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে দরিদ্র, ভূমিহীন, নিম্নবিত্ত দুগ্ধ উৎপাদনকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণপূর্বক তাঁদেরকে সমবায়ের মাধ্যমে সুসংগঠিত করতে ১৯৭৩ সালে ‘সমবায় দুগ্ধ প্রকল্প’ নামে একটি দুগ্ধ শিল্প উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে পাঁচটি দুগ্ধ উৎপাদনকারী এলাকায় দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপন করেন। আজকের মিল্ক ভিটা তাঁরই সুদূরপ্রসারী উদ্যোগের ফসল। জাতির পিতা সমবায় পদ্ধতিতে সমন্বিত/যৌথ কৃষিখামার প্রচলনের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নের পাশাপাশি স্থানীয় রাজস্বে পল্লী উন্নয়ন করতে চেয়েছিলেন।
জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের সঙ্গে সঙ্গে পল্লি উন্নয়নে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ১৯৯৭ সালে বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করি এবং পরবর্তীতে ২০১২ সালে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ একাডেমিতে রূপান্তরিত করি। দারিদ্র্য বিমোচন, সামাজিক অগ্রগতি ও নারী-পুরুষ সমতার উদ্দেশ্যে পল্লি-দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন আইন, ১৯৯৯ প্রণয়নের মাধ্যমে ফাউন্ডেশনটি প্রতিষ্ঠা করি। সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ এবং জাতীয় সমবায় নীতিমালা, ২০১২ প্রণয়ন করি। পুনরায় সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড আইন, ২০১৮ প্রণয়ন করি। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ‘আমার বাড়ি, আমার খামার প্রকল্প’ গ্রহণ করি এবং এ প্রকল্পের আওতায় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করি- যেখানে মোট ১,২০,১৩৮টি সক্রিয় গ্রাম উন্নয়ন সমিতি গঠন করা হয়েছে এবং যার উপকারভোগী সক্রিয় সদস্য সংখ্যা প্রায় ৫২,৪৪,০০০। গ্রামের সাধারণ মানুষের আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত গ্রামীণ জীবনযাপনের সুযোগ সৃষ্টি এবং গ্রাম থেকে শহরমুখী জনস্রোত কমাতে প্রাথমিকভাবে দেশের নয়টি জেলার দশটি গ্রামে ‘বঙ্গবন্ধুর গণমুখী সমবায় ভাবনার আলোকে বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম প্রতিষ্ঠা পাইলট প্রকল্প’ গ্রহণ করেছি। তাছাড়া দুগ্ধ উৎপাদন ও দুগ্ধ শিল্পের প্রসারে ‘দুগ্ধ ঘাটতি উপজেলায় দুগ্ধ সমবায়ের কার্যক্রম সম্প্রসারণ’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারে ঘোষিত ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা সমবায়খাতে বাজেট বৃদ্ধি করেছি, সমবায়ীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করছি, আর্থিক ও উপকরণ সহায়তার মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনসহ সমবায়ীদের জীবনমান ও সামাজিক ক্ষেত্রে উত্তরোত্তর উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। আমাদের প্রচেষ্টায় সমবায় সমিতি এবং সমবায়ীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে সমিতি ১,৯২,৬৯২টি এবং সদস্য ১,২০,৪২,০৯৫ জনে উন্নীত হয়েছে।
জাতীয় অর্থনীতিতে সমবায় কৃষি, মৎস্য, পশুপালন, পোশাক, দুগ্ধ উৎপাদন, আবাসন, ক্ষুদ্র ঋণ ও সঞ্চয়, কুটির-চামড়াজাত -মৃৎ শিল্প ইত্যাদি খাতের বিকাশ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নারীর ক্ষমতায়ন ক্ষেত্রে উন্নয়নসহ ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করতে বিশাল অবদান রাখছে। ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সমবায় আন্দোলন সকল শ্