তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯০১
আগামীতে টেনিস খেলার মাধ্যমে সমগ্র পৃথিবী বাংলাদেশকে চিনবে
-- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিশ্বে টেনিস একটি মার্জিত ও অভিজাত খেলা। টেনিস খেলা দেখার জন্য অনেক সেলিব্রেটিরা টেনিস কোর্টে বসে থাকেন। আমাদের টেনিস খেলোয়াড়রা সমগ্র বিশ্বে দেশকে পরিচয় করে দেবে। আগামীতে টেনিস খেলার মাধ্যমে সমগ্র পৃথিবী বাংলাদেশকে চিনবে। টেনিস খেলোয়াড়রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় উত্তরা ক্লাবে ‘উত্তরা ক্লাব টেনিস কার্নিভাল’-এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেনিস খেলা একসময় সর্বসাধারণের মুখে মুখে ছিল। টেনিসকে নিয়ে মানুষ চিন্তা করত, খেলতো। ৫০ বছর আগে বিভাগীয় পর্যায়ে, জেলা পর্যায়ে, এমনকি থানা পর্যায়ে টেনিস খেলার প্রচলন ছিল। টেনিসের সাফল্য সম্পর্কে জানতো, সেটা ছিল গর্বের জায়গা। সেই জায়গা থেকে টেনিস পিছিয়ে আছে। অনেক খেলা এগিয়ে গেছে। ফুটবল, হকি খেলোয়াড়দের নাম মানুষের মুখে মুখে ছিল। এখন অনেকটা পিছিয়ে। এখন ক্রিকেট জায়গা করে নিয়েছে। টেনিস পিছিয়েছে। এটা সাংগঠনিক দুর্বলতা। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে টেনিস এগিয়ে যেতে পারেনি।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন ক্রীড়াবান্ধব ব্যক্তিত্ব। তিনি ক্রীড়া পরিবার থেকে এসেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন খেলোয়াড় ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্রীড়া অবকাঠামো গড়ে উঠছে। সাবেক টেনিস খেলোয়াড় ও সংশ্লিষ্ট সকলকে দলমত নির্বিশেষে টেনিস খেলাকে এগিয়ে নিতে তিনি সহযোগিতার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঐক্য ধরে রাখতে খেলাধুলা ও সংস্কৃতির বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ক্লাবের পরিচালক গোলাম মাওলা, ক্লাবের পরিচালক সুলতান মইন আহমেদ রবিন, বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এ এস এম হায়দার।
পরে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের পক্ষ থেকে উত্তরা ক্লাবের নিকট টেনিস সামগ্রী হস্তান্তর করেন।
#
জাহাঙ্গীর/আরমান/মোশারফ/সেলিম/২০২৩/২১৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৯০০
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও খাদ্যের অপচয় বন্ধে সচেতন হতে হবে
-- খাদ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও খাদ্যের অপচয় বন্ধে সচেতন হতে হবে। দেশে বছরে ৪ কোটি মেট্রিক টন ধান ক্রাসিং হয়। ৪ থেকে ৫ বার ক্রাসিং করে চাল চকচকে করা হয়। মিলারদের তথ্যমতে ৪ শতাংশ অপচয় হয়ে যায়। এই অপচয় বন্ধ করতে আইন পাস করা হয়েছে। অপচয় বন্ধ হলে বিদেশ থেকে চাল আমদানি প্রয়োজন হবে না।
আজ তেজগাঁও সেন্ট্রাল স্টোরেজ ডিপো (সিএসডি) প্রাঙ্গণে নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন শেষে এক সমাবেশে বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা আভাস দিয়ে ছিলো সারা বিশ্বে দুর্ভিক্ষ হবে, বাংলাদেশে অনেক মানুষ না খেয়ে মারা যাবে। দেশে একটি দলও তাতে সুর মিলিয়ে ছিলো উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে করোনাকালে কেউ না খেয়ে মারা যায়নি। যারা অবৈধ মজুত করে তারা দেশের শত্রু উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের শক্তভাবে দমন করতে হবে। এসময় তিনি অবৈধ মজুতদারদের চিহ্নিত করতে সকলের সহায়তা চান।
মন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বোচ্চ মজুত এখন গুদামে আছে। খাদ্যের কোনো সংকট নেই। নির্বাচনের আগে চাল ও গম নিয়ে কেউ যেন খেলতে না পারে তার প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, শ্রমিকদের কল্যাণে শেখ হাসিনার সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকারের ধারাবাহিকতা রাখতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাহলে শ্রমিকদের কল্যাণেও ধারাবাহিকতা থাকবে।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, পরিচালক প্রশাসন মোঃ জামাল হোসেন, ঢাকার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ ফারুখ হোসেন পাটওয়ারী, তেজগাঁও সিএসডির ব্যবস্থাপক চন্দ্র শেখর মল্লিক ও শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি দুদু মিয়া।
#
কামাল/আরমান/মোশারফ/রফিকুল/শামীম/২০২৩/২০৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৯৯
২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার পালিত হবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
বাংলাদেশের আকাশে আজ কোথাও ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামীকাল ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার পবিত্র সফর মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার থেকে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা করা হবে। পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে।
আজ সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহাঃ বশিরুল আলম, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুঃ আঃ আউয়াল হাওলাদার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোঃ সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মোঃ আবদুল জলিল, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মহাঃ আসাদুর রহমান, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ ফরিদ উদ্দিন, বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের সহকারী প্রশাসক মোঃ শাহরিয়ার হক, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক মোঃ জুলফিকার রহমান কোরাইশী, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার আল-কুরআন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
#
শায়লা/আরমান/রফিকুল/শামীম/২০২৩/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৯৮
নদীভাঙন রোধে সরকার তৎপর
---পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
পটুয়াখালী (বাউফল), ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, বাংলাদেশ হলো নদীমাতৃক দেশ, একদিকে নদী ভাঙছে আরেকদিকে গড়ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত বাংলাদেশের নদী শাসন ও স্থায়ীভাবে ভাঙন প্রতিরোধে পরিকল্পিতভাবে কাজ শুরু করেছে সরকার। পরিকল্পিত নদীরক্ষা প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন থেকে দক্ষিণাঞ্চলবাসী ও গোটা দেশের নদীপাড়ের বাসিন্দাদের রক্ষা করা সম্ভব হবে। নদীভাঙন রোধের প্রকল্প বাস্তবায়নে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন সরকার বেশি তৎপর।
আজ পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলাধীন ১নং কাছিপাড়া ইউনিয়নের বাহেরচর থেকে পশ্চিম কাছিপাড়া গোপালিয়া লঞ্চঘাট পর্যন্ত নদী ভাঙন রোধকরণ ও পরিদর্শন পরবর্তী মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নদী তীরের গাছ না কাটার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে কোনো সরকারের সময় কোনো কাজ হয়নি। তখন কেউ কাজ করতে পারতো না। এই সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দশনায় নদী রক্ষায় টেকসই কাজ হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এলাকার উন্নয়নে যে আপনাদের জন্য যে কাজ করে আগামী নির্বাচনে তাকে ভোট দিবেন। যে যে দলই করুক, আপনারা আপনাদের এলাকা ও দেশের জন্য কাজ করবে তাকে ভোট দেবেন। ভোট দেওয়ার সময় এইসব কথাগুলো আপনারা মনে রাইখেন, নৌকা মার্কা ছাড়া কোনো বিকল্প নাই।
নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, বরিশাল বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মোঃ হারুন অর রশীদ, পাউবো'র পটুয়াখালী নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান ও বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজী।
#
গিয়াস/আরমান/রফিকুল/আব্বাস/২০২৩/১৮৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৯৭
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইডিসিআর) এর তথ্যানুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৪২ শতাংশ। এ সময়ে ৫৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ১১৪ জন।
#
সুলতানা/আরমান/রফিকুল/আব্বাস/২০২৩/১৭৩২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৯৬
বান্দরবানে ৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন পার্বত্য মন্ত্রী
বান্দরবান, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, বান্দরবানে জলাবদ্ধতা আর বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হউক সেটা আর চাই না। বান্দরবানের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে বন্যার সৃষ্টি যাতে না হয় সেজন্য আরসিসি ড্রেইন, পানির প্রবাহ ঠিক রেখে রাস্তাঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে এ এলাকার নাগরিক সকল সুযোগসুবিধা নিশ্চিত করার জন্য ৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
মন্ত্রী আজ বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের বাস্তবায়নে বান্দরবান পৌর এলাকায় বিভিন্ন ওয়ার্ডের উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বান্দরবান পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে আর সি সি রাস্তা, আর সি সি ড্রেইন, নদীর ঘাটে নামার সিঁড়ি নদীর পাড়ের আর সি সি রাস্তা, ড্রেইন, উজানী পাড়া বৌদ্ধ বিহারে উপাসিকাদের চেরাংঘর নির্মাণ ও রাস্তা কার্পেটিং কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করা হয়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা মিরা, বান্দরবান পৌর মেয়র সামসুল ইসলাম, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিটের সেক্রেটারি অমল কান্তি দাশ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত।
#
রেজুয়ান/জুলফিকার/রবি/সাঈদা/কলি/মাসুম/২০২৩/১৫১০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৯৫
বিশ্ব ওজোন দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ‘বিশ্ব ওজোন দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব ওজোন দিবস’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য 'Montreal Protocol: fixing the ozone layer and reducing climate change' বা ‘মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়ন করি-ওজোনস্তর রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করি' যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি ।
বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তর সূর্য থেকে নিঃসরিত ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি আটকে দিয়ে মানুষ, প্রাণী ও উদ্ভিদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষা দেয়। তবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, অ্যারোসল, ফোম তৈরিসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে ক্লোরোফ্লোরোকার্বনসহ ব্যবহৃত দ্রব্যসমূহের কারণে প্রতিনিয়ত এ অতি গুরুত্বপূর্ণ ওজোনস্তরে ক্ষয়সাধন ঘটছে। বায়ুমণ্ডলের এ অতি গুরুত্বপূর্ণ স্তর সুরক্ষার জন্য ভিয়েনা কনভেনশনের আওতায় ১৯৮৭ সাল হতে মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়িত হচ্ছে। ফলে বিগত ৩৬ বছরে পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ওজোনস্তর ধীরে ধীরে পুনর্গঠিত হতে শুরু করেছে এবং আশা করা যায় ওজোনস্তর ২০৬৬ সালের মধ্যে তার পূর্বাবস্থায় ফিরে আসবে। এছাড়া মন্ট্রিল প্রটোকলের কিগালি সংশোধনী বাস্তবায়নের মাধ্যমে হাইড্রোফ্লোরোকার্বন (এইচএফসি) ব্যবহার পর্যায়ক্রমে হ্রাস এবং শক্তি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি গ্রহণের মাধ্যমে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি-হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে ।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অত্যন্ত সংবেদনশীল ছিলেন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির পর তিনি অন্যান্য গুরুদায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দেশব্যাপী বনায়ন ও উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী সৃষ্টিতে মনোনিবেশ করেছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আমরা মন্ট্রিল প্রটোকল যথাযথভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলাম। ২০০৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে সরকার গঠনের ফলে আমরা ওজোনস্তর পুনর্গঠনে নানামুখী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা ইতোমধ্যে দেশে এইচসিএফসি, হ্যালন, মিথাইলক্লোরোফরম, মিথাইল ব্রোমাইড ইত্যাদি ওজোনস্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছি। বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ মন্ট্রিল প্রটোকল সফলভাবে বাস্তবায়নের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (UNEP), ওজোন সচিবালয় ও বিশ্ব কাস্টমস অ্যাসোসিয়েশন যথাক্রমে ২০১২, ২০১৭ ও ২০১৯ সালে বাংলাদেশকে প্রশংসামূলক সনদপত্র (Certificate of Appreciation) প্রদান করেছে, যা আমাদের সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন।
আমি আশা করি, এবারের ‘বিশ্ব ওজোন দিবস’ পালনের মাধ্যমে মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরার পাশাপাশি ওজোনস্তর রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
আমি ‘বিশ্ব ওজোন দিবস ২০২৩' উদ্যাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
শাহানা/জুলফিকার/রবি/সাঈদা/কলি/মাসুম/২০২৩/১১০০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৯৪
বিশ্ব ওজোন দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল ‘বিশ্ব ওজোন দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে জীববৈচিত্র্যকে সুরক্ষা দিতে বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরের ভূমিকা অনস্বীকার্য। শীতলীকরণ শিল্পে ব্যবহৃত ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (সিএফসি) গ্যাসসহ মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক বিভিন্ন কারণে ওজোনস্তর আজ হুমকির সম্মুখীন। ওজোনস্তরের ক্ষয় রোধে ১৯৮৫ ও ১৯৮৭ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক ভিয়েনা কনভেনশন ও মন্ট্রিল প্রটোকল গ্রহণ করা হয়। মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিগত ৩৬ বছরে বিশ্বব্যাপী ওজোনস্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রেও মন্ট্রিল প্রটোকলের কিগালি সংশোধনী উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে মন্ট্রিল প্রটোকলসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি। এ প্রেক্ষিতে বিশ্ব ওজোন দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘Montreal Protocol: fixing the ozone layer and reducing climate change (মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়ন করি-ওজোনস্তর রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করি)’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
ওজোনস্তরের মাত্রাতিরিক্ত ক্ষয় হলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে মানবদেহে ক্যান্সার, রোগ প্রতিরাধ ক্ষমতা হ্রাসসহ উদ্ভিদ ও প্রাণিজগত হুমকির সম্মুখীন হবে। ওজোনস্তর রক্ষায় তাই সিএফসি গ্যাসের ব্যবহার হ্রাস ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি আশা করি, জীববৈচিত্র্য এবং মানবস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ওজোনস্তরের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ‘বিশ্ব ওজোন দিবস’ উদ্যাপন কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
আমি ‘বিশ্ব ওজোন দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
হাসনাত/জুলফিকার/রবি/সাঈদা/কলি/মাসুম/২০২৩/১১০০ ঘণ্টা