Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৩৮৫৫

 

‘বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই লাইব্রেরি উন্নয়ন' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত

 

ঢাকা, ৯ আশ্বিন (২৪ সেপ্টেম্বর) :

 

‘পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ’ এর আয়োজনে আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাকক্ষে ‘বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই লাইব্রেরি উন্নয়ন’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদের সভাপতি  মালিক খসরুর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

 

গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি, হাবিবা রহমান খান শেফালী এমপি, অ্যারোমা দত্ত এমপি, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল, সাবেক সচিব উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কদ্দুস। গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক খান মাহবুব।

 

প্রতিমন্ত্রী গ্রন্থাগার আন্দোলনের মাধ্যমে সামাজিক অবক্ষয় রোধে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদের কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

 

সভায় বক্তারা বেসরকারি গণগ্রন্থাগারের উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ বেগবানে গুরুত্বারোপ করেন।

#

 

ফয়সল/এনায়েত/সঞ্জীব/আরাফাত/সেলিম/২০২২/২২৩৫ ঘণ্টা

 

           তথ্যবিবরণী                                                                     নম্বর : ৩৮৫৪

বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন ও বাতসোয়ানা-এর যৌথ আয়োজনে

নিউইয়র্কে কোভিড-১৯ অতিমারির ওপর সভা অনুষ্ঠিত

 

নিউইয়র্ক (যুক্তরাষ্ট্র), ২৪ সেপ্টেম্বর : 

কোভিড-১৯ এর মতো ভবিষ্যৎ অতিমারি সমন্বিত ও কার্যকরভাবে মোকাবিলায় একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য কৌশল প্রণয়নের ওপর জোর দিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান নামক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের উদ্বোধনী অধিবেশনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।  

কোভিড-১৯-মোকাবিলায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা জোরদার করতে বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের একত্রিত করার প্রয়াসে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল, আলবারেস বুয়েনো এবং বতসোয়ানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. লেমোগাং কোয়াপে যৌথভাবে এই কোভিড-১৯ গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান মন্ত্রী পর্যায়ের সভা আয়োজন করেন। জাপান, থাইল্যান্ড, সৌদি আরব-সহ বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দেশ ও সংস্থার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা এ সভায় অংশ নেন।

ড. মোমেন তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কোভিড ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই সাফল্যের মূলে রয়েছে জীবন রক্ষার পাশাপাশি জীবিকার সংস্থান অব্যহত রাখা, অতিঝুঁকিপূর্ণদের জন্য বিশেষ সহায়তার ব্যবস্থা করা এবং লাগসই প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে অতিমারির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির দ্রুত পুনর্গঠন নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, কোভিড ব্যবস্থাপনায় অর্জিত অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে। 

টিকা ও অন্যান্য কোভিড সামগ্রী সহজলভ্য করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তত্ত্বাবধানে গঠিত ও পরিচালিত ACT-A এবং COVAX-এর মতো বহুপাক্ষিক প্লাটফর্মগুলোর প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত বহুপাক্ষিক উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। কোভিড অতিমারির বিরুদ্ধে যুদ্ধ এখনও শেষ হয়ে যায়নি মনে করিয়ে দিয়ে তিনি টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ওপর জোর দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিকাকে ‘বৈশ্বিক গণপণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করা এবং বৈষম্য ছাড়াই সকল দেশের মাঝে বিতরণের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।

মন্ত্রী স্বাস্থ্যখাতে সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন এবং এ ক্ষেত্রে নিম্ন আয়ের দেশগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে দাবি করেন। অতিমারি প্রতিরোধ, প্রস্তুতি এবং মোকাবেলা (পিপিআর)-এর জন্য বিশ্বব্যাংকের তত্ত্বাবধানে সম্প্রতি গঠিত Financial Intermediary Fund এর উদ্যোগটিকে স্বাগত জানান এবং এ তহবিল কার্যকরভাবে স্বাস্থ্য খাতের চলমান বিভিন্ন বিনিয়োগের সমন্বয়কের ও পরিপূরকের ভূমিকা পালন করবে মর্মে আশা প্রকাশ করেন।

সভা শেষে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ এবং অগ্রগতির রূপরেখা সংবলিত একটি যৌথ বিবৃতি জারি করা হয়। বিবৃতিতে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কোভিড-১৯ গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের ৬টি মূল কর্মপরিকল্পনার আলোকে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের হালনাগাদ অগ্রগতি এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সমন্বয় বাড়াতে বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকার ওপর আলোকপাত করা হয়। এছাড়া, মহামারি চূড়ান্তভাবে মোকাবিলায় অবশিষ্ট পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের স্বাস্থ্য হুমকি প্রতিরোধ করতে আরো উন্নত ও কার্যকর স্বাস্থ্য সুরক্ষা কাঠামো তৈরিতে গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের অংশীদারদের সমন্বিত প্রয়াস চলমান রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

#

মোহসিন/এনায়েত/সঞ্জীব/আরাফাত/সেলিম/২০২২/২১৩৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর: ৩৮৫৩

 

ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে দেশের শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হবে

                                                                                                     -- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

 

ঢাকা, ৯ আশ্বিন (২৪ সেপ্টেম্বর):

 

          ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হবে দেশের শিক্ষার্থীরা বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) ।

 

          আজ ঢাকায় নটরডেম কলেজ ইংলিশ ক্লাব আয়োজিত সপ্তম জাতীয় ইংলিশ কার্নিভাল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।

 

          গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ব্যক্তি জীবন কিংবা কর্মজীবনে সফল হতে হলে ইংরেজি শেখার বিকল্প নেই। আমাদের শিক্ষার্থীরা ইংরেজিতে ব্যাপক দক্ষতা অর্জন করছে। বর্তমান শিক্ষার্থীদের অব্যাহত চর্চার মাধ্যমে ইংরেজি ভীতি দূর হয়ে কর্মজীবনে আরো সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবে।

 

          মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা অর্জিত না হলে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হতো না। পাকিস্তান আমলে বাঙালিদের কোন অধিকার ছিলো না। পাকিস্তানিরা সব সুবিধা ভোগ করত কিন্তু আমরা বাঙালিরা সুযোগ- সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতাম। আমরা যদি স্বাধীনতা না পেতাম তাহলে আমরা কখনো ভালো চাকরি পেতাম না।

 

          নটরডেম কলেজের স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী আরো বলেন, একসময় এই কলেজে আমি পড়েছি। তখন এ কলেজে ইংরেজি ক্লাব ছিলো না। ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা। এটা সবার জানা দরকার। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের ইংরেজি ভাষা দক্ষতার সাথে জানতে হবে। অনেক শিক্ষার্থী ইংরেজিতে দুর্বল আবার অনেক শিক্ষার্থী ইংরেজি ভয় পায়। তবে ইংরেজি ভাষা চর্চার মাধ্যমে আরো ভালো করা সম্ভব।

 

          অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নটরডেম কলেজের অধ্যক্ষ ড. ফাদার হেমন্ত পিউস রোজারিও, সিএসসি।

 

#

 

সৈকত/এনায়েত/সঞ্জীব/আরাফাত/সেলিম/২০২২/২০২৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ৩৮৫২

 

‘নালিশ পার্টি’ থেকে ‘মাথা খারাপ পার্টি’তে পরিণত হয়েছে বিএনপি

                                                ---তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

গাইবান্ধা, ৯ আশ্বিন (২৪ সেপ্টেম্বর) :  

 

নালিশ করে দিশা না পেয়ে বিএনপি এখন ‘মাথা খারাপ পার্টি’তে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ। 

আজ গাইবান্ধা স্টেডিয়ামে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। 

ড. হাছান বলেন, ‘র‍্যাবের কয়েকজন সদস্য ও পুলিশপ্রধানের ওপর একটি মার্কিন সংস্থার নিষেধাজ্ঞায় বিএনপি নেতারা বর্ষাকালে পুঁটিমাছের মতো লাফিয়েছেন। কিন্তু এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আর বিশ্বনেতাদের পাশে বসে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বৈঠক করতে দেখে তাদের লাফালাফি বন্ধ হয়ে গেছে, মাথা খারাপ হয়ে গেছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আগে বিএনপি নেতারা দিনের বেলা বিভিন্ন জায়গায় নালিশ করে বেড়াতো আর রাতের বেলা বিভিন্ন দূতাবাসে গিয়ে ধরনা দিতো। সেই নালিশ পার্টি এখন মাথা খারাপ পার্টিতে পরিণত হয়েছে। তারা এখন বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশের নামে নিজেরা নিজেরা মারামারি করে আর পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করে। ক'দিন আগেও মুন্সিগঞ্জে তারা পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে।’

স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার পর সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় সেই ঘোষণা প্রচার করা হয়। চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ঘোষণা করে  চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান সেই কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। পরে আওয়ামী লীগ নেতারা একজন সেনাবাহিনীর অফিসারকে দিয়ে ঘোষণা পাঠ করানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে তখন চট্টগ্রামে অবস্থানরত মেজর রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি জানান যে তিনি এমবুশে আছেন, সেখান থেকে সরে এলে যুদ্ধের ক্ষতি হবে এবং কাছাকাছি থাকা মেজর জিয়ার  সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।’

‘আমার নির্বাচনি এলাকা বোয়ালখালীর পাহাড় থেকে তখন জিয়াউর রহমানকে নিয়ে এসে ২৭শে মার্চ বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয় এবং প্রথমে জিয়া ভুল পড়েন, পরে বঙ্গবন্ধুর নামে ঠিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন’ বলেন ড. হাছান। 

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ, কারণ বঙ্গবন্ধু এই দিন স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। আর জিয়াকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা পাঠ করানো হয় ২৭শে মার্চ। আজকে বিএনপির যারা বলার চেষ্টা করেন জিয়া হুইসেল বাজিয়েছেন আর দেশ স্বাধীন হয়ে গেছে, তারা জাতির সাথে মশকরা করেন।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই। 

গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এড. সৈয়দ শামছুল আলম হিরুর সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এমপি উদ্বোধক হিসেবে, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান এমপি, কোষধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান এমপি, কেন্দ্রীয় সদস্যদের মধ্যে এড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, এড. সফুরা বেগম রুমি, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম বিশেষ অতিথি হিসেবে সম্মেলনে বক্তব্য দেন। 

সম্মেলনে আবু বকর সিদ্দিক গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতি ও মোজাম্মেল হক মন্ডল সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।

                                                #

আকরাম/এনায়েত/সঞ্জীব/আরাফাত/আব্বাস/২০২২/২০১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর: ৩৮৫১

 

ইউনানকে চীনের পর্যটন স্বর্গরাজ্য বলা হয়

                            - সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৯ আশ্বিন (২৪ সেপ্টেম্বর): 

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশের আয়তন ৩ লাখ ৯৪ হাজার বর্গ কি.মি. যা বাংলাদেশের প্রায় তিন গুণ কিন্তু জনসংখ্যা প্রায় ৫ কোটি যা বাংলাদেশের তিন ভাগের এক ভাগ। মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের কারণে প্রদেশটি সারাবিশ্বের ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। যেখানে রয়েছে চিত্তাকর্ষক প্রাকৃতিক
দৃশ্য, আশ্চর্যজনক প্রাকৃতিক নিদর্শনাবলি এবং সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য। প্রাচীন দক্ষিণ সিল্ক রোডের একটি অন্তর্বর্তী অঞ্চল হিসাবে ইউনান এমন একটি সাংস্কৃতিক বলয় তৈরি করেছে, যা হাজার বছরের বাণিজ্য এবং বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে সমৃদ্ধ হয়েছে। ইউনানকে বলা হয় চায়ের মাতৃভূমি। এখানে রয়েছে ২৪০টিরও বেশি প্রাকৃতিক গরম পানির ঝরনা। হাজারেরও অধিক ফুলের চাষের মাধ্যমে এখানে গড়ে উঠেছে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ফুলের বাজার। পর্যটকদের আকৃষ্ট করার সকল উপাদানই এখানে বিদ্যমান। সেজন্য ইউনানকে চীনের পর্যটন স্বর্গরাজ্য বলা হয় ।

প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর পূর্বাচলস্থ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে Foreign Office of the People's Government of Yunnan Province, China এবং Yunnan Commercial Representative Office, Dhaka, Bangladesh আয়োজিত 'Colorful Yunnan' শীর্ষক ইভেন্টে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত Li Jiming।

অনলাইনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পিপলস্ গভর্নমেন্ট অব ইউনান এর গভর্নর H.E. Wang Yubo এবং বাংলাদেশ দূতাবাস চীনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তৃতা করেন Yunnan Commercial Representative Office, Bangladesh এর পরিচালক Li Xiao।

প্রধান অতিথি বলেন, চীন বাংলাদেশ এর অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী, গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক অংশীদার। ভৌগোলিকভাবে নিকটবর্তী ও সাদৃশ্য থাকার কারণে চীনের ইউনানের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় ও ব্যবসা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুশৃঙ্খল জাতি হওয়ায় চীনারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে। চীন থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে পারলে আমরাও দ্রুত অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে পারবো। বর্তমান সরকার সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী পরে রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাকক্ষে ‘পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই লাইব্রেরি উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

#

ফয়সল/এনায়েত/সঞ্জীব/আরাফাত/শামীম/২০২২/১৯১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৩৮৫০

 

স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া হবে

                       -- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

 

চুয়াডাঙ্গা, ৯ আশ্বিন (২৪ সেপ্টেম্বর) :

 

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি পরাজয়ের গ্লানি এখনও ভুলে যায়নি। তারা এখনও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদের এই ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া হবে। এ সময় মন্ত্রী বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন এবং নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ায় আত্মনিয়োগ করতে আহ্বান জানান।

 

আজ চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর ও জীবননগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন শেষে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

 

মন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা এখন ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এ ছাড়া অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ হাজার বীর নিবাস নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিনামূল্যে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন জানিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, জেলা, উপজেলাসহ দেশের বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা, ওষুধ, টেস্ট যা প্রয়োজন সবই বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকারই সবসময় কাজ করেছে এবং করছে জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যরা যখন ক্ষমতায় ছিল শুধু লুটপাট করেছে।

 

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়। দেশের ৬৩ জেলা ও ৪৭০ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে প্রায় ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৩ জেলা ও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪২১ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

 

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য হাজী মোঃ আলী আজগর টগর, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা মেয়র মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ-সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দার, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিকসহ সদর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ সরাসরি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জীবননগর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।

 

                                                      #

 

মারুফ/এনায়েত/সঞ্জীব/আরাফাত/আব্বাস/২০২২/১৯১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর: ৩৮৪৯

 

২৮ দিনে ই-নামজারি বাস্তবায়নে মনিটরিং জোরদার করতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ

 

ঢাকা, ৯ আশ্বিন (২৪ সেপ্টেম্বর): 

www.land.gov.bd ভূমিসেবা প্ল্যাটফর্মে ই-নামজারি সংশ্লিষ্ট অবমুক্ত তথ্যের বরাতে, ই-নামজারির গড় নিষ্পত্তির সময় নিয়মিত মনিটরিং করা সহ ২৮ দিনের অধিক মাত্রাতিরিক্ত অনিষ্পন্ন ই-নামজারি মামলাসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তি করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের নিকট পত্র প্রেরণ করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

এছাড়া, পূর্বের সিস্টেমের কারণে যেসব আবেদন ‘মিথ্যা-নেতিবাচক’ (false-negative) অনিষ্পন্ন/ পেন্ডিং দেখাচ্ছে সেসব সমাধান করার উপায়ও জানানো হয়েছে একই পত্রে। সামগ্রিকভাবে ই-নামজারি নিষ্পত্তিতে নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত মাত্রার সময় ব্যয় হওয়ার অন্যান্য সকল ধরনের কারণ জানানোর জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে পত্রে। মাঠ পর্যায় ই-নামাজারি আবেদন নিষ্পত্তিতে ২৮ দিনের অধিক সময় ব্যয় হওয়ার কারণগুলোর ব্যাপারে অবগত হবার পর সেই অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, প্রশ্নভিত্তিক গাইডেড ই-নামজারি ফরম, সরকারের সার্ভারে রক্ষিত ডেটার সাথে সিনক্রোনাইজিং সহ বেশ কিছু নতুন ফিচার সংযুক্ত করে পূর্বের ই-নামজারি সিস্টেম আপডেট করে স্মার্ট করা হয়েছে। ভূমি প্রশাসনে সুশাসন নিশ্চিত করা এবং ভূমি সেবা অধিকতর গণমুখী করার জন্য ভূমি সেবা সম্পর্কিত প্রযোজ্য তথ্যও এই স্মার্ট সিস্টেমে উন্মুক্ত করা হয়েছে । 

গত সপ্তাহে ভূমি সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংশ্লিষ্ট এক সভায় ই-নামজারি বিষয়ে পর্যালোচনার সময় অবমুক্ত তথ্য প্রদর্শনে প্রযোজ্য সময় থেকে ই-নামজারি আবেদন নিষ্পত্তিতে ২৮ দিনের অধিক সময় মাত্রাতিরিক্তভাবে প্রয়োজন হবার বিষয়টি উঠে আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর আলোচ্য পত্রটি পাঠানো হয়।

সরকার বাধ্যতামূলক শতভাগ অনলাইনে ই-নামজারি ঘোষণার পূর্বে অনেক ভূমি অফিসে অনলাইনে আবেদন করা নামাজারির কেস বিভিন্ন কারণে ম্যানুয়ালি নিষ্পত্তি করা হয়েছিল। নামজারির আবেদন ম্যানুয়ালি নিষ্পত্তি করা হলেও সিস্টেমে আবেদনটি যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থায় রয়ে যায়। অর্থাৎ, এই কারণে ম্যানুয়ালি নিষ্পন্ন-কৃত আবেদন অনলাইনে অনিষ্পন্ন দেখাচ্ছে। আরেকটি সম্ভাব্য কারণ নির্ণয় করা হয়েছে যে, ই-নামাজারি আবেদন নিষ্পত্তি হয়ে চূড়ান্ত খতিয়ান প্রস্তুত থাকার পরও অনেক জমির মালিক ডিসিআর ফি পরিশোধ করে ডিসিআর এবং খতিয়ান তুলছেন না। এজন্য সিস্টেমে পুরোনো নামজারি অনিষ্পন্ন দেখাচ্ছে। অর্থাৎ, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ এর পূর্বের নামজারি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আবেদনের কারণে বর্তমান সিস্টেমেও তথ্য প্রর্শনের সময় ফলস-নেগেটিভ দেখাচ্ছে।

জনগণকে দ্রুত সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের বর্তমান বিধান অনুযায়ী সাধারণ ও এলটি নোটিশ বুনিয়াদে ২৮ কার্যদিবস, সনদ প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের জন্য ১০ কার্যদিবস, প্রবাসীদের জন্য মহানগর এলাকায় ১২ কার্যদিবস ও অন্যান্য এলাকায় ৯ কার্যদিবস এবং নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ, রপ্তানীমুখী, বৈদেশিক বিনিয়োগ পুষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ৭ কার্যদিবসের মধ্যে নামজারি আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়ে থাকে। নিষ্কণ্টক ভূমি ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য জমির মালিকের নামজারি অনুমোদনের পরেই ডিসিআর ও খতিয়ান সংগ্রহ করে নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা উচিত।

 ‘নাগরিক ভূমিসেবা ২৪/৭’-এর হেল্পলাইন ১৬১২২ এ কল করে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম www.facebook.com/land.gov.bd-এ কমেন্ট কিংবা মেসেজ (বার্তা) করে ই-নামজারি সংশ্লিষ্ট তথ্য জানা যাবে এবং অভিযোগ জানানো যাবে। নামজারি আবেদনের অবস্থা www.land.gov.bd অনলাইন সিস্টেম থেকেই সহজে ট্র্যাক করা যায়।

#

নাহিয়ান/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/আরাফাত/শামীম/২০২২/১৮৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৩৮৪৮

 

পুরো দেশকে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আনা হচ্ছে

                                                ---টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ৯ আশ্বিন (২৪ সেপ্টেম্বর) :

 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের হাতিয়ার হিসেবে পুরো দেশকে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী দিনের ডিজিটাল প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শহর-গ্রামের ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার বিকল্প নেই। এই লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উদ্যোগ অপরিহার্য। তিনি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে দেশের প্রতিটি গ্রামে দ্রুত গতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ আমরা বাস্তবায়ন করছি।

 

মন্ত্রী আজ ঢাকায় স্থানীয় একটি হোটেলে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট আয়োজিত শান্তি প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র প্রসারে প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার শীর্ষক ন্যাশনাল পলিসি ডায়ালগ অনুষ্ঠানে ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংযুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সামনের দিনকে রোবটিক্স, এআই ও আইওটিসহ ডিজিটাল প্রযুক্তির দিন হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, শিশু থেকে বৃদ্ধ যেই হোক তাদের ডিজিটাল দক্ষতা দিতে হবে। আপনি আপনার সন্তানকে যদি ডিজিটাল যুগ থেকে পিছিয়ে রাখেন তবে সে পৃথিবী থেকে পিছিয়ে থাকবে। ডিজিটাল যুগের জন্য ইন্টারনেট অপরিহার্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে অজ্ঞতার কারণে অনেক ক্ষেত্রে অনেকে প্রতারিত হয়ে থাকেন। খারাপটি বর্জন করার পদ্ধতিও আছে, সেটি জানা থাকলে কোনো অবস্থাতেই ডিজিটাল প্রযুক্তির বিরূপ দিক রাষ্ট্র ব্যক্তি বা সমাজ জীবনকে প্রভাবিত করবে না। প্যারেন্টাল গাইডেন্স ব্যবহার করে অভিভাবকগণ শিশুদের ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের বিরূপ দিকটিও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের সাথে সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে ক্ষতিকর উপাত্তসমূহ অপসারণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।

 

ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক মোস্তাফা জব্বার শত শত বছর অতীতের পশ্চাদপদতা অপসারণ করে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত উদ্যোগ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাড়ে আঠার বছরের শাসনের হাত ধরে বাংলাদেশ বিস্ময়কর সফলতা অর্জন করেছে। এই সময়ের মধ্যে অনেক উন্নত দেশও ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশের সমান্তরালে আসতে পারেনি। তিনি কোভিডকালে শিক্ষা স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জনের চিত্র তুলে ধরেন।

 

রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন এবং রাষ্ট্রদূত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অভ্ ডেলিগেশন চার্লস হোয়াইটলে বক্তৃতা করেন।

 

 

                                                       #

শেফায়েত/এনায়েত/সঞ্জীব/আরাফাত/আব্বাস/২০২২/১৮৩৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৩৮৪৭

 

মীনা শক্তি, সাহস ও প্রেরণার প্রতীক

      -- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব

 

ঢাকা, ৯ আশ্বিন (২৪ সেপ্টেম্বর) : 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেছেন, প্রতিটি শিশুর কাছে মীনা একটি শক্তি, সাহস ও প্রেরণার প্রতীক, যে সব বাধা-বিপত্তি ও প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে শিক্ষার আলোর পথে ছুটে চলে। কারণ শিক্ষাই তাকে দেবে কাঙ্ক্ষিত মুক্তি, পূরণ করবে স্বপ্ন। আর শিক্ষার আলোয় প্রতিগৃহ রাঙাতে কাজ করছে সরকার।

 

আজ ঢাকা পিটিআইতে মীনা দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে সচিব এ কথা বলেন। 

 

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক দীলিপ বণিক প্রমুখ। 

 

সচিব বলেন, মানব সম্পদ উন্নয়নের প্রধানতম হাতিয়ার শিক্ষা। শিশুদের জন্য আলোকিত আগামী নির্মাণ করতে মানসম্মত শিক্ষার বিকল্প নেই। তাই মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে জাতির ভিত গড়ার কাজ করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তিনি সবাইকে এ উদ্যোগে শামিল হবার আহ্বান জানান। 

 

সরকার প্রতিবছর ২৪ সেপ্টেম্বর ইউনিসেফ ঘোষিত মীনা দিবস পালন করে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য 'নিরাপদ ও আনন্দময় পরিবেশে মানসম্মত শিক্ষা'। 

 

এ উপলক্ষ্যে আলোচনা, মেলা, পাপেট শো, গল্প বলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

 

#

 

মাহবুবুর/পাশা/সঞ্জীব/আরাফাত/রেজাউল/২০২২/১৭৩৮ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৩৮৪৬

 

প্রধানমন্ত্রী পার্বত্যবাসীর ভাগ্যোন্নয়নে ব্যাপক উন্নয়ন বরাদ্দ দিয়েছেন

       --পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী

লামা (বান্দরবান), ৯ আশ্বিন (২৪ সেপ্টেম্বর) : 

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, দেশ ও মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স

2022-09-24-16-47-4eb080df8b03dc43850f805a21c95ac0.docx