Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২nd সেপ্টেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী ২ সেপ্টেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ৩৫৮৪     

তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যগণ ওএমএস কার্যক্রমে অগ্রাধিকার পাবেন

                                                            --- খাদ্যমন্ত্রী

 

সাভার, ১৮ ভাদ্র (২ সেপ্টেম্বর) :

তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যগণ ওএমএস কার্যক্রমে অগ্রাধিকার পাবেন বলে উল্লেখ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

আজ সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল অডিটোরিয়ামে তৃতীয় লিঙ্গের সাংস্কৃতিক সংগঠন কন্নড় এর তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত কন্নড় সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২২ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ গৃহহীন থাকবে না।’ সে লক্ষ্যে সরকার গৃহহীনদের আশ্রায়ন প্রকল্পে ঘরবাড়ি দিচ্ছে। তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যগণও ঘরবাড়ি পাচ্ছে। সামাজিকভাবে তাদের ক্ষমতায়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জীবনমান উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি দেয়। ২০১৯ সালে তারা স্বতন্ত্র লিঙ্গীয় পরিচয়ে ভোটাধিকার লাভ করে। বর্তমানে তারা পাসপোর্ট গ্রহণ করছে নিজস্ব পরিচয়ে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, একটি দল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়- বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়। তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে আহ্বান জানান।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এর সভাপতিত্বে উৎসবের উদ্বোধক ছিলেন মানিকগঞ্জের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ, সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব, সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাজহারুল ইসলাম ও তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কন্নড় এর সভাপতি মিষ্টি চৌধুরী।

পরে তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

#

কামাল/মোশারফ/শামীম/২০২২/২২০৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৩৫৮৩    

জিয়া ও বিএনপির মানবাধিকার লঙ্ঘন বিশ্বাঙ্গনে নিয়ে যাব

                                            - তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

চট্টগ্রাম, ১৮ ভাদ্র (২ সেপ্টেম্বর) :

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমান ও বিএনপির মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে শুরু করে আমরা বিশ্বাঙ্গনে নিয়ে যাব। যারা মানবাধিকারের কথা বলে দেশে-বিদেশে অপপ্রচার-প্রপাগান্ডা ছড়ায় তাদের স্বরূপ উন্মোচন করা হবে।’

আজ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে দীপ্ত টেলিভিশন নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘গণফাঁসি ৭৭’ প্রদর্শনী ও ১৯৭৭ সালে হত্যা-গুমের শিকার সেনাসদস্যদের পরিবারগুলোর সংগঠন 'মায়ের কান্না' আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

ড. হাছান বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন ঠান্ডা মাথার খুনি, সকালবেলা নাস্তা করতে করতে ফাঁসির আদেশে তিনি সই করতেন। আজকে দাবি উঠেছে একটি শক্তিশালী কমিশন গঠন করে ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের হত্যার শিকার সেনা ও বিমানবাহিনীর অফিসার ও জওয়ানদের বোবাকান্নার সত্য উন্মোচন করে জাতির কাছে জানানো। আমি এই দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করছি।’

‘যে অজানা কান্নাগুলো হারিয়ে গিয়েছিল, যে কথাগুলো জাতি জানতো না, যারা দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে বোবা কান্না নিয়ে বুকের মধ্যে চেপে রেখেছিল, যাদের অব্যক্ত বেদনার কথা বলতে পারেনি, যাদের কান্না নিজের পরিবারও অনেক ক্ষেত্রে শোনেনি, তাদেরকে জড়ো করে জিয়াউর রহমানের নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতার কাহিনী জাতির সামনে উপস্থাপন করার জন্য দীপ্ত টেলিভিশনকে ধন্যবাদ জানাই এবং ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের হত্যা-গুমের শিকার সেনাসদস্যদের পরিবারের সংগঠন ‘মায়ের কান্না’র পাশে আছি’ উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। 

মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে এখানে যারা বক্তব্য রেখেছেন তারা জানে না তাদের বাবা ও স্বামীর কবর কোথায়। কখন ফাঁসি হয়েছে, কিভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে। এই জবাব খালেদা জিয়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের কাছে চাই। আজকে মানবাধিকারের কথা বলে নয়াপল্টনের অফিস এবং প্রেসক্লাবের সামনে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা বক্তৃতা করেন। ৪৫ বছর ধরে জিয়াউর রহমানের নির্মম হত্যাযজ্ঞের শিকার পরিবারগুলোর কান্না, বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় কুশীলবের ভূমিকা ও হত্যার বিচার বন্ধ করা, বেগম জিয়ার বিএনপির ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, ২০১৩-১৪-১৫ সালে পেট্রোলবোমা দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাব বিএনপি ও তাদের নেতৃবৃন্দের কাছে চাই।’

‘মায়ের কান্না’ সংগঠন ও দীপ্ত টেলিভিশনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় সম্মানিত আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) গোলাম হেলাল মোর্শেদ খান বীরবিক্রম, দীপ্ত টেলিভিশনের সিইও এবং  ‘গণফাঁসি ৭৭’ প্রামাণ্যচিত্রের পরিচালক ফুয়াদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মোঃ কামরুজ্জামান মিঞা লেলিনসহ ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান কর্তৃক গুমের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সদস্যরা।

#

আকরাম/মোশারফ/শামীম/২০২২/২১১৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ৩৫৮২  

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে

                                                                     - পরিবেশমন্ত্রী

                

ঢাকা, ১৮ ভাদ্র (২ সেপ্টেম্বর) :

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হচ্ছে। সরকার এ লক্ষ্যে জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান জমা দিয়েছে (এনডিসি), জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা ২০২২-২০৪১ খসড়া চূড়ান্ত করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় গৃহীত সকল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৬২ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭৮৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

‘সবুজ বাংলাদেশ-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটি আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বর্তমান সরকার দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জনগোষ্ঠীর বাসযোগ্য টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তর নিয়মিত এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং মানবসৃষ্ট পরিবেশ দূষণ মোকাবিলায় দূষণকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে, তরল বর্জ্য নির্গত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে তরল বর্জ্য শোধন ব্যবস্থা স্থাপন করতে এবং শূন্য নিষ্কাশন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধ্য করছে।

বনমন্ত্রী বলেন, বনায়ন ও বন সংরক্ষণ, অবক্ষয়িত বন পুনরুদ্ধার এবং টেকসই বন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের বৃক্ষাচ্ছাদিত ভূমির আয়তন ২২ দশমিক ৩৭ থেকে ২৫ শতাংশে এবং বনভূমির আয়তন ১৪ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ থেকে ১৬ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সরকার গাছ লাগানোর গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং গাছের চারা বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের দেশকে সবুজ রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে এবং বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করতে এবং দেশে সবুজ প্রবৃদ্ধিকে জনপ্রিয় করার পক্ষে জনমত তৈরি করতে হবে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
মোঃ শাহ্‌রিয়ার আলম এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সম্পাদক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষক, গবেষক, বিজ্ঞানী, অনুশীলনকারী, শিক্ষার্থী এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্কলার, সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

#

দীপংকর/রাহাত/মোশারফ/শামীম/২০২২/২০২০ঘণ্টা

 

Handout                                                                                                                     Number : 3581

Bangladesh has achieved enviable success in tackling climate change
                                                                            - Environment Minister

Dhaka, 18 Bhadra (2 September) :

Minister for Environment, Forest and Climate Change Md. Shahab Uddin said, Bangladesh, under the leadership of Prime Minister Sheikh Hasina has achieved enviable success in tackling the risks of climate change which is being applauded in the international arena. Government  submitted the Nationally Determined Contribution, formulating the National Adaptation Plan,  drafted Mujib Climate Prosperity Plan 2022-2041. Actions taken to deal with climate change risks in Bangladesh have been strengthened. So far, 789 projects have been undertaken with the estimated cost of 3 thousand 362 crore 32 lakh taka under the financing of Bangladesh Climate Change Trust Fund.

Environment Minister said this in the opening ceremony of the International Conference on Environmental Protection for Sustainable Development with the theme 'Green Bangladesh - prosperous Bangladesh' organized by Forest and Environment Sub-committee of Bangladesh Awami League at Nawab Ali Chowdhury senate Bhaban of the University of Dhaka today.

Environment Minister said in spite of all the challenges, the present government is implementing policies and programs to ensure a sustainable environment suitable for living of the present and future population of the country. The Department of Environment is taking and implementing various effective measures to control environmental pollution. The Department is conducting regular enforcement activities and conducting mobile courts against man-made environmental pollution, forcing industrial establishments that emit liquid waste to set up liquid waste treatment systems and implement zero discharge plans.

Dr. Khondoker Bazlul Hoque, Chairman, Forest and Environment Affairs Sub-Committee of Bangladesh Awami League presided over the occasion. Minister for Road Transport and Bridges and General Secretary, Bangladesh Awami League Obaidul Quader was present as the Chief Guest.  Md. Shariar Alam, State Minister, Ministry of Foreign Affairs; Barrister Mohibul Hassan Chowdhoury, Deputy Minister, Ministry of Education were present as the Special Guests. Delwar Hossain, Secretary, Organizing Committee of ICEPSD-2022 and Member Secretary, Forest and Environment Affairs Sub-committee Bangladesh Awami League also spoke in the occasion. Teachers, researchers, Scientists, practitioners, students, and national and international scholars, journalists were present in the occasion.

#

Dipankar/Rahat/Mosharof/Shamim/2022/1910 hours

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৩৫৮০

 

বিএনপির সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত

-- পানিসম্পদ উপমন্ত্রী

 

শরীয়তপুর, ১৮ ভাদ্র (২ সেপ্টেম্বর) :

 

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বিএনপি। তিনি বলেন, বিএনপি ও তাদের দোসরদের যে কোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে জনগণ প্রস্তুত রয়েছে। বিএনপি যদি আবারও ২০১৩-১৪ সালের মতো সহিংস ও জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি করে তাহলে জনগণের জান-মাল রক্ষায় জনগণকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ রাজপথে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছে।

 

আজ শরীয়তপুরের সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

উপমন্ত্রী শামীম বলেন, বিএনপির ঐক্য অতীতে যেমন জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারেনি তেমনি ভবিষ্যতেও পারবে না। দুঃশাসনের কথা যখন বিএনপি বলে তখন দেশের মানুষ হাসে। দুঃশাসন বলতে যা বুঝায়, বিএনপির আমলেই সেটার বিশ্ব রেকর্ড হয়েছে। এদেশের মানুষ তা ভোলে নাই। বিএনপি নেতাদের দুঃশাসনের কথা বলার আগে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখা উচিত। দেশের মানুষ বিএনপির সেই অপশাসন ও দুঃশাসনে আর ফিরে যেতে চায় না। জনগণ এখন বুঝে গেছে নেতিবাচক রাজনীতি বিএনপিকে জনবিচ্ছিন্ন ও গণধিকৃত দলে পরিণত করেছে।

 

উপমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার প্রশ্নে কখনোই তৃণমূল নেতাকর্মীরা আপস করেন না। দেশের জনগণই আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে পঞ্চমবারের মতো আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবেন।

 

চরসেনসাস ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াদুদ বালার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিজ মাদবরের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির মোল্যা, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকার, সহ-সভাপতি এমএ কাইউম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপকমিটির সদস্য জহির সিকদার, থানার সহ-সভাপতি জিতু মিয়া বেপারী, সহ-সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বালা প্রমুখ।

 

#

 

গিয়াস/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/১৮৪০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ৩৫৭৯

 

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করুন

                                                                                  -- পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সিলেট, ১৮ ভাদ্র (২ সেপ্টেম্বর) :

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

আজ সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ মুজতবা আলী হলের বর্ধিতাংশের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সকলের প্রতি মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের এই দেশটা দিয়ে গেছেন। তিনি শুধু একটা ভূখণ্ড দিয়ে যান নাই- জাতির পিতা হিসেবে যা যা করার, তিনি তা করেছেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশের পক্ষে ১২৬টি দেশের স্বীকৃতি অর্জন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। জাতিসংঘসহ পৃথিবীর বড় বড় সকল সংস্থার সদস্যপদ অর্জন করেছিলেন। মাত্র ৯ মাসের মাথায় তিনি আমাদের একটি শক্তিশালী সংবিধান দিয়ে গেছেন। ড. মোমেন বলেন, এসব সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য। শুধু তাই নয়- তিনি আমাদের একটি স্বপ্ন দেখিয়েছেন- সোনার বাংলার স্বপ্ন। একটা উন্নত, সমৃদ্ধশালী, অসাম্প্রদায়িক অর্থনীতি গড়ে তোলার স্বপ্ন। এখন আমাদের সবার দায়িত্ব হচ্ছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ভাগ্যবান যে আমাদের নেত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের হাল ধরেছেন। পিতার এবং বাংলাদেশের জনগণের সেই স্বপ্নের সোনার বাংলা অর্জনের জন্য তিনি একটা রোডম্যাপ দিয়েছেন। আমরা আশা করছি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ‘সোনার বাংলা’ অর্থাৎ একটা সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত হবে। আর এটি করার জন্য শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আমি সবার প্রতি আহ্বান জানাই।

 বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিংয়ে উন্নতি ও পড়াশোনার ফাঁকে কীভাবে কর্মসংস্থানের জন্য নিজেদের উপযুক্ত করে গড়ে তোলা যায় সেদিকেও বিশেষ নজর দেয়ার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় সৈয়দ মুজতবা আলীর বই থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বই কেনা ও বই পড়ার প্রতি মনোযোগী হতেও আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ-এর সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, সৈয়দ মুজতবা আলীর ভ্রাতুষ্পুত্র সৈয়দ রুহুল আমীন।

#

মোহসিন/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/১৯১৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ৩৫৭৮

 

ঢাকা শহরে পানিতে ভর্তুকি দেওয়া হবে না

                       -- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৮ ভাদ্র (২ সেপ্টেম্বর) :

 

ঢাকা ওয়াসার পানিতে ভর্তুকি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মোঃ তাজুল ইসলাম। রাজধানীতে জোনভিত্তিক পানির দাম নির্ধারণ করে বস্তিতে বসবাসরত নিম্ন আয়ের মানুষকে কম দামে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

 

আজ রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) মিলনায়তনে সিটি রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘নগর সাংবাদিকতায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা জানান।

 

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে বসবাসরত বেশিরভাগ মানুষই বিত্তবান। গরিব মানুষের নিকট থেকে রাজস্ব আদায় করে সেই টাকা দিয়ে ধনীদের ভর্তুকি দেয়া নৈতিকভাবে কতটা সমর্থনযোগ্য প্রশ্ন তোলেন মন্ত্রী। গুলশান-বনানীতে বসবাসকারীরা যে হারে পানির বিল দেন, বস্তিতে থাকা অথবা যাত্রাবাড়িতে থাকা মানুষ কেন সমান পানির মূল্য পরিশোধ করবে-প্রশ্ন রাখেন মন্ত্রী।

 

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘ঢাকায় জোনভিত্তিক পানির দাম আলাদা করে বাড়ানো হবে। গুলশান-বনানীর অভিজাত এলাকায় পানির দাম বেশি থাকবে। নিম্ন আয়ের মানুষ বসবাসরত এলাকায় পানির দাম অপেক্ষাকৃত কম থাকবে। তবে ঢাকা শহরে পানিতে ভর্তুকি দেওয়া হবে না।’ এ সময় শুধু পানি নয় হোল্ডিং ট্যাক্স, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের মূল্য জোনভিত্তিক নির্ধারিত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, অনেক পরিশ্রমের ফলে ড্যাপ গেজেট প্রকাশ হয়েছে। এখন বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। ঢাকাকে বাসযোগ্য, আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলতে এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অনেক দেশের তুলনায় আমরা সফল উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা এবং সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে এই সফলতা অর্জিত হয়েছে।

 

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার মূল শক্তি হলো জনগণ। গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক দলের আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে। নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারও তাদের আছে। কিন্তু আন্দোলনের নামে সহিংসতা, জ্বালাও-পোড়াও করবেন, আইন-শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটাবেন রাষ্ট্র তো এটা করতে দেবে না। জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব। তারা সে দায়িত্ব পালন করবেই।

 

সিটি রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আদিলুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব দীপ আজাদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।

 

#

 

হায়দার/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/১৭৪০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ৩৫৭৭

 

‘বিতর্ক’ ন্যায়ভিত্তিক গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা গঠনে সহায়ক

-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

চট্টগ্রাম, ১৮ ভাদ্র (২ সেপ্টেম্বর) :

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ন্যায় এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন করতে চান। ন্যায়, জ্ঞান এবং যুক্তিভিত্তিক সমাজ গঠন করতে হলে সমাজে বিতর্ক থাকতে হয়। বিতর্ক থাকলে ন্যায়ভিত্তিক গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা গঠন সহজ হয়। 

 

আজ বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রে তাদের আয়োজিত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রথম জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সারা দেশ থেকে ১০৪টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।

 

বিটিভি’র মহাপরিচালক সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক দৈনিক আজাদী পত্রিকার সম্পাদক এমএ মালেক, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মহাব্যবস্থাপক মাহফুজা আক্তার।

 

বিটিভি’র ধারাবাহিকভাবে আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতা যুক্তিভিত্তিক গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে সহায়ক হবে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘বিটিভি অনেকদিন বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেনি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়ার পর আমি জিজ্ঞাসা করায় কর্মকর্তারা বললেন, সরকারেরও অনেক সমালোচনা হয়, সেজন্য বন্ধ করা হয়েছে। আমি বললাম, সমাজ সমালোচনাবিহীন হতে পারে না। সমাজে সমালোচনা থাকতে হবে, দায়িত্বে যারা থাকবে তাদের সমালোচনা অবশ্যই হবে। দায়িত্বে না থাকলে তো সমালোচনা নাই। বিতর্ক হতে হবে, তাহলেই সমাজ এগিয়ে যাবে। তখন আমি বিটিভি’র দু’টি কেন্দ্রে বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজনের  সিদ্ধান্ত দিলাম।’

 

শুদ্ধাচার ও নৈতিকতা গঠনে পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়ে চূড়ান্ত পর্বের বিতর্ক আয়োজনের জন্য বিটিভিকে ধন্যবাদ জানিয়ে সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, নৈতিকতা এবং শুদ্ধাচার সুষ্ঠু সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাস্তবিক অর্থে বিশ্বব্যাপী মানুষ প্রচণ্ডভাবে যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে। মানুষ যদি যন্ত্রের মতো জড় পদার্থ হয়ে যায়, নৈতিকতা এবং মানবিকতা হারিয়ে ফেলে, তাহলে তো মানুষ আর মানুষ থাকে না। এই ক্ষেত্রে পরিবার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দু’টিরই ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারো চেয়ে কারো ভূমিকা কম নয়।

 

অনুষ্ঠান শেষে বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের বিজয়ী বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ও রানার-আপ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রতিযোগীদের হাতে ট্রফি ও সম্মাননা চেক তুলে দেন মন্ত্রী। পরে পুনঃসংস্কারশেষে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ক্যাফেটেরিয়ার উদ্বোধন করেন হাছান মাহ্‌মুদ।

 

#

 

আকরাম/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/১৭৪০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর :  ৩৫৭৬

 

শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে সবাইকে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করতে হবে

                                              -- ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

 

নেত্রকোণা, ১৮ ভাদ্র (২ সেপ্টেম্বর) :

 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল শিক্ষা হচ্ছে ডিজিটাল যন্ত্রে পাঠদানের জন্য প্রচলিত পাঠ্যসূচির মানসম্মত ইন্টারঅ্যাক্টিভিটি, ছবি, অডিও, ভিডিও, অ্যানিমেশন, টেক্সট ও অন্যান্য মাল্টিমিডিয়া কনটেন্টের মাধ্যমে প্রোগ্রামিং করা সফটওয়্যার দিয়ে ডিজিটাল ডিভাইসে শিক্ষার প্রবর্তন করা। তিনি ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে শিক্ষাবিদ, প্রযুক্তিবিদ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

 

মন্ত্রী গতকাল নেত্রকোণা জেলা সদরে পিটিআই মিলনায়তনে সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ডিজিটালকরণ প্রকল্পের অধীনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলের ৬৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে বিটিআরসি’র এসওএফ (সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল) তহবিলের অর্থায়নে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিগত কারণে ডিজিটাল শিক্ষা শিশুদের জন্য যতটা বোধগম্য হয়, প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা তা হয় না। প্রচলিত শিক্ষা ডিজিটাল শিক্ষায় রূপান্তর না হলে কঠিন চ্যালেঞ্জ আমাদেরকে মোকাবেলা করতে হবে। যে শিশুরা পড়তে চায় না তাদের আগ্রহ সৃষ্টিতে ডিজিটাল কনটেন্টে পাঠ প্রদানের ফলপ্রসূ অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, শিশুরা খেলার ছলে তাদের এক বছরের সিলেবাস ২ মাসের মধ্যে শেষ করতে সক্ষম হয়। মন্ত্রী প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকরা ডিজিটাল মানবসম্পদ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল মোকাদ্দেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডিজিটাল কনটেন্ট বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজয় ডিজিটাল-এর সিইও জেসমিন জুই। অনুষ্ঠানে  বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ,  নেত্রকোণা পিটিআইয়ের অধ্যক্ষ জাহানারা খাতুন, নেত্রকোণার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনির হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ  বক্তৃতা করেন।

 

পরে মন্ত্রী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন।

 

#

 

শেফায়েত/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/১৭৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর :  ৩৫৭৫

 

গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে সকল সহযোগিতা দেয়া হবে

                                                -- কৃষিসচিব

 

ঢাকা, ১৮ ভাদ্র (২ সেপ্টেম্বর) :

 

গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ সম্প্রসারণের জন্য কৃষকদের বীজ, সারসহ প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিসচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম। তিনি বলেন, টমেটোর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে ভরা মৌসুমে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ রাখা হবে। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

 

আজ সাতক্ষীরার কলারোয়ার বাটরা গ্রামে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

 

মাঠ দিবসে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সাবিহা পারভীন। বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বারির পরিচালক অপূর্ব কান্তি চৌধুরী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুল হক, সাতক্ষীরার উপপরিচালক জামাল উদ্দীন, কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুনি বিশ্বাস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

মাঠ দিবসে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষিরা উপস্থিত ছিলেন। বাজারজাতে সমস্যা, ন্যায্যমূল্য না পাওয়া, কোল্ড স্টোরেজ না থাকাসহ বিভিন্

2022-09-02-16-40-f2530a00b2bd897b6342ed3a70af0666.docx