তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৫০০
স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে
-- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
মেহেরপুর, ৫ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর):
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, তারা এদেশের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত । তাই মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরা এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
আজ মেহেরপুরে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে জেলা শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত আলোচনাসভা, আবৃত্তি ও সংগীত সন্ধ্যা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি দেশের অগ্রগতিকে পিছিয়ে দিতে চায়। সেজন্যই তারা এদেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। তারা বিশ্বের কাছে এদেশ নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় সকলকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানান।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মোঃ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার মোঃ রফিউল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
#
শিবলীকরাম/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২২৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৪৯৯
কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের বৈষম্য নিরসনে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে সরকার
-- শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, সরকার কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের যে কোনো বৈষম্য নিরসনে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। শ্রম আইন অনুযায়ী সরকার নারী-পুরুষ সকল শ্রমিকের সমান মজুরি নির্ধারণ করেছে। নারীদের ক্ষেত্রে মজুরি বৈষম্যের কোনো সুযোগ নেই।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ ফুড ওয়ার্কার্স ও বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুসমর্থন, বাস্তবায়ন এবং কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানি নিরসনে করনীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী নারী শ্রমিকদের উদ্দেশ করে বলেন, একতাই শক্তি, একতাই বল। সকলের সম্মিলিত শক্তি দিয়ে, কাজ দিয়ে, দক্ষতা দিয়ে কর্মক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে হবে। সরকার চায় কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি যেন কোনো ধরনের সহিংসতা বা হয়রানির ঘটনা না ঘটে। সরকার শ্রম খাতকে আরো উন্নত করার জন্য আন্তরিক। মন্ত্রিসভা ইতিমধ্যেই জবরদস্তি শ্রম সংক্রান্ত আইএলও কনভেনশন-২৯'র প্রটোকল অনুসমর্থনের বিষয়টি অনুমোদন করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার সংবিধান, শ্রম নীতি এবং আইএলও কনভেনশনের আলোকে গৃহীত শ্রমিকদের কল্যাণে বহুপক্ষীয় পদক্ষেপ বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। এ বছর শ্রমিকের সর্বনিম্ন বয়স সংক্রান্ত আইএলও কনভেনশন ১৩৮ অনুস্বাক্ষরের মাধ্যমে সবক’টি কোর কনভেনশনে অনুস্বাক্ষরকারী দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে আইএলও এর সদস্য হয় এবং একই সাথে ৭টি কোর কনভেনশনসহ মোট ২৯টি আইএলও কনভেনশন অনুসমর্থন করে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে মোট ৩৫টি আইএলও কনভেনশন অনুসমর্থন করেছে বলে জানান।
বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ইউনিলিভার বাংলাদেশ এর এমপ্লোয়িজ ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, নেসলে এমপ্লোয়িজ ইউনিয়ন এর সভাপতি আব্দুল মান্নান, পিভিএম এবং নেসলে এমপ্লোয়িজ ইউনিয়ন এর নারী কমিটির সভাপতি আমেনা আকতার, হাসিনা আকতার, জাতীয় কৃষাণী শ্রমিক সমিতির সভাপতি লিলা খান প্রমুখ।
#
আকতারুল/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৪৯৮
আইন-আদালত মানে না বলেই বিএনপি'র লাহামহীন কথা
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ৫ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর) :
'বিএনপি নিজেরা কোনো আইন-আদালত মানে না, সেই কারণেই তারা লাগামহীন ও দায়িত্বহীন কথা বলতে পারে' বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শঙ্করমঠ ও মিশনের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার যুব সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে 'সরকার চাইলে বিএনপিনেত্রীকে বিদেশে নিতে পারবেন' বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথায় মনে হচ্ছে আইন-আদালত কোনো কিছুরই দরকার নেই, সরকার চাইলেই খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে পারে। তাহলে সরকারকে জজকোর্ট, হাইকোর্ট ও সুপ্রীম কোর্টের ভূমিকাও পালন করতে হবে। আইনমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন, আইনানুযায়ী খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর কোনো সুযোগ নেই।
বেগম জিয়ার একটু অসুখ হলেই বিদেশ কেন নিয়ে যেতে হবে এমন প্রশ্ন রেখে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, দেশে কোটি কোটি মানুষের চিকিৎসা হয়, দেশে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক ভালো হাসপাতাল আছে, যেখানে অনেক ভালো চিকিৎসা হয়, এবং অন্যদেশ থেকেও অনেকে এখানে অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা নিতে আসে। বেগম খালেদা জিয়ার পেটে-হাঁটুতে বা অন্য কোনো সমস্যা হলেই বিদেশ নিয়ে যাবার জন্য তারা জিকির তোলেন কেন সেটাই হচ্ছে প্রশ্ন।
এভাবে বিদেশ নিয়ে যাবার ধোঁয়া তোলার মাধ্যমে তারা আমাদের চিকিৎসক এবং হাসপাতালগুলোকে অবজ্ঞা প্রদর্শন করছেন, বলেন চট্টগ্রাম ৭ আসনের সংসদ সদস্য হাছান মাহ্মুদ।
আর মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে মনে হচ্ছে আইন আদালত কোনো কিছু দরকার নাই, সরকারকে হাইকোর্ট, জজকোর্ট, সুপ্রীমকোর্ট সবকিছুর ভূমিকা পালন করতে হবে। যেটি কখনো সম্ভব নয় এবং সমীচীন নয় – এমন প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দুর্গাপূজার সময় যারা দেশে বিবাদ সৃষ্টি করতে চেয়েছে এরা স্বাধীনতার শত্রু, এদের পূর্বপুরুষ আমাদের স্বাধীনতা চাইনি, এরা আমাদের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। এরা এখনো পাকিস্তানি ভাবধারা মনে ধারণ করে, এরা দেশের শত্রু, এদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।
শ্রীমৎ তপনানন্দ গিরি মহারাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন শ্রীমৎ পরমানন্দ মহারাজ। বক্তব্য রাখেন বিমল কান্তি দাশ, কাউন্সিলর শফিউল আলম মুরাদ, দুলাল দে প্রমুখ।
এর আগে যুব সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম আমরা অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনা করার জন্য। আজকে যারা সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়, ধর্মীয় বিভাজন করে সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায় তারা শুধু সমাজের শত্রু নয়, রাষ্ট্রের শত্রু। কারণ এই রাষ্ট্র রচিত হয়েছে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনা করার জন্য।
ধর্ম যার যার এই রাষ্ট্র সবার, সবাই সবার আনন্দ উৎসবে শামিল হন, এটিই আমাদের সংস্কৃতি। এই চেতনাই আবহমান বাঙালি, বাংলা এবং বাংলাদেশ ধারণ করে। তাই ছোটখাট বিচ্ছিন্ন ঘটনা আমাদের এই সম্প্রীতির বন্ধনে কখনো বিভেদ তৈরি করতে পারেনি এবং পারবে না।
#
আকরাম/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৪৯৭
বাঙালির চিরন্তন অনুপ্রেরণার উৎস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
-- বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর) :
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেছেন, দেশপ্রেমিক বাঙালির চিরন্তন অনুপ্রেরণার উৎস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তির সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত মূল্যবোধ আমাদের উন্নয়নের মূল মন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তোলা। জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ আজ বাস্তবায়িত হচ্ছে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয় বলাকাতে ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। উল্লেখ্য, আলোচনা সভা শেষে তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৫০ বছর পূর্তির লোগো উন্মোচন করেন।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ, গৃহহীন মানুষকে গৃহ প্রদান কর্মসূচি, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, খাদ্যের স্বনির্ভরতা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, তথ্য প্রযুক্তির প্রসার, আর্থসামাজিক উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শেখ হাসিনার বহুমাত্রিক নেতৃত্বে দেশ উন্নীত হয়েছে মধ্যম আয়ের দেশে, উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। সারা বিশ্বে বর্তমানে বাংলাদেশ এক উন্নয়ন বিস্ময়ের নাম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকাকে বুকে ধারণ করে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এই দেশের মানুষকে পৌঁছে দেয়ার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। দেশের এভিয়েশন শিল্পের বিকাশে বিমান পথপ্রদর্শক। প্রতিষ্ঠার পর হতে বিগত ৪৯ বছরে বিমান নানা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে পথ পরিক্রম করেছে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ ও নির্দেশনায় বিমানকে নতুনভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে, বিমানের বহরে যুক্ত হয়েছে ১৫টি সর্বাধুনিক সম্পূর্ণ নতুন উড়োজাহাজ। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুট বৃদ্ধির মাধ্যমে বিমানের অপারেশনের পরিধি ও ব্যাপ্তি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেবার মান বৃদ্ধি করে গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে বিমানকে যাত্রীদের আস্থা ও ভালোবাসার ব্র্যান্ডে পরিণত করার কাজ চলছে।
মাহবুব আলী বলেন, সারাবিশ্বে কোভিড-১৯ এর কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্প। বিশ্বের সকল এয়ারলাইন্স একটি বিশেষ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সময় অতিবাহিত করেছে। বিমানও এর বাইরে নয়। সেই সময় দেশে দেশে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স তাদের কর্মী ছাঁটাই করেছে কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর মানবিক নির্দেশনার কারণে বিমানের একজন কর্মীকেও চাকরি হারাতে হয়নি। তখন অপারেশনাল ব্যয় হ্রাস এবং বিমানের সকল সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে বিমানের আয় বৃদ্ধি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ কমে আসায় আকাশ পথে চলাচল আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এই সুযোগ সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগাতে হবে। এখন সময় এসেছে কাজের মাধ্যমে বিমানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতার ও প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোধের।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মফিদুর রহমান।
#
তানভীর/নাইচ/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৪৯৬
ঢাকাকে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে দেয়া হবে না
-- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ৫ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর):
রাজধানী ঢাকাকে আর কোনোভাবেই অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ড্যাপ রিভিউ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। একই সাথে ড্যাপ চূড়ান্ত করার পর তা বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, নগর পরিকল্পনাবিদ, আবাসন ব্যবসায়ী, স্থপতিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী আজ হোটেল সোনারগাঁওয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক আয়োজিত খসড়া বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা-ড্যাপ (২০১৬-২০৩৫) চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে জাতীয় সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরকে আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অবাসযোগ্য নগরীতে রূপান্তর করতে পারি না। সকল আর্থ-সামাজিক শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রয়োজন, জীবনযাত্রার উন্নয়ন ও মৌলিক বিষয়গুলো এবারের ড্যাপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি, পেশাজীবী, পরিবেশবাদী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরসহ সকল পক্ষের সাথে মতবিনিময় করে তাদের পরামর্শ ও মতামত গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, পরিকল্পনা তৈরির সময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উচ্চপর্যায়ে নীতিমালার পরিকল্পনাগুলো বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। ঢাকাকে আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন, বসবাসযোগ্য করতে নানা উদ্যোগের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব শহর তৈরির লক্ষ্যে পরিকল্পনায় অনেকগুলো বৃহত্তম, জলকেন্দ্রিক ও ইকো পার্ক, খেলার মাঠ বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ এবং রিং রোডের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
ড্যাপের আহ্বায়ক জানান, আমরা কেউ সুউচ্চ ভবনের বিপক্ষে নই। এমনকি আমি ব্যক্তিগতভাবে নিজেও উঁচু ভবনের পক্ষে। কিন্তু এটি করার জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা বিশেষ করে ইউটিলিটি সার্ভিস, রাস্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, খেলার মাঠ ও বিনোদন কেন্দ্রসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করে করতে হবে। পাঁচ-সাত কাঠা জমির উপর উঁচু ভবন এবং যেগুলো নিয়ে অসামঞ্জস্য রয়েছে সেগুলো নিয়ে রিভিউ করা হবে। আর এ পরিমাণ জায়গাতে কতটুকু ভবন করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। আমরা শহরটাকে বসবাসের অযোগ্য বানাতে পারি না। তিনি আরো বলেন, যে সব আবাসিক এলাকায় পূর্বেই শিল্প কল-কারখানা গড়ে উঠেছে সেগুলো যদি পরিবেশবান্ধব হয়, জনমানুষের ভোগান্তির কারণ না হয় তাহলে সেই এলাকাকে মিশ্র এলাকা হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হবে। শুধু তাই নয় এসব এলাকায় অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্যকে উৎসাহিত করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে খুন করেছে তারা দেশকে নিয়ে ভাবেনি। তাদের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কোন পরিকল্পনা ছিল না। তাদের শাসনামলে দেশটাকে ধ্বংস করেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করার জন্য ২০৪১ লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন।
পরে, গাজীপুরের মেয়র বরখাস্ত হওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে দলীয় সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি মেয়র পদে থাকবেন কি থাকবেন না সেটা আইন পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক মোঃ আশরাফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউক চেয়ারম্যান এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী বক্তব্য রাখেন।
#
হায়দার/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২১/১৮৪৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৪৯৫
খালেদা জিয়াকে আইন অনুযায়ী সুবিধা দেয়া হচ্ছে
---আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর):
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিকতার দৃষ্টান্ত হিসেবে আইনে যা করা সম্ভব বেগম খালেদা জিয়ার জন্য তা করেছেন। ভুলে গেলে চলবে না বাংলাদেশের আদালত দ্বারা তিনি সাজাপ্রাপ্ত। একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে আইন দ্বারা যে সুবিধা দেয়া যায়, তা দেয়া হয়েছে।
আজ আখাউড়া পৌরসভা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিএনপি যদি বিদেশ থেকে ডাক্তার আনতে চায়, আনতে পারে। তারা যত বড় ডাক্তার আনতে চায়, আনতে পারবে। সেক্ষেত্রে সরকার কোনো বাধা দেবে না। তবে বিএনপিকে এটাও মনে রাখতে হবে দেশের আইনে যা আছে, তার বাইরে গিয়ে সরকার কিছু করবে না।
উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ (অব.) মোঃ জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী আরো বলেন, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আখাউড়ায় কাউকে দলীয় প্রতীক নৌকা দেয়া হবে না। যার যে পদে ইচ্ছুক নির্বাচন করতে পারবে। বক্তৃতায় জনসমর্থনের ভিত্তিতে নির্বাচন করার জন্য তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানান।
মন্ত্রী বলেন, জনগণ যাতে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, সেকারণেই দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠু হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
#
রেজাউল/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৭৫৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৪৯৪
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), ৫ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর):
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ড. মোমেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান। এসময় তাঁরা ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।
অন্যান্যের মধ্যে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেনসহ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যবৃন্দ ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৭৪৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৪৯৩
ব্রিটেনসহ কয়েকটি মিত্র দেশের সহযোগিতা বাংলাদেশের
স্বাধীনতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করেছে
---সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর):
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রিটেনসহ কয়েকটি মিত্র দেশের সহায়তার কারণে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গড়ে উঠেছিল। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান করেছিল। কিন্তু ভারত, ব্রিটেন, রাশিয়াসহ কয়েকটি মিত্র দেশের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করেছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর আগারগাঁওস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও ব্রিটিশ কাউন্সিল আয়োজিত "The UK 1971: People's Solidarity with Bangladesh's Liberation" শীর্ষক একাত্তরের আলোকচিত্রের যৌথ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গণহত্যা অভিযান শুরু করলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালির প্রতিরোধ রূপ নেয় স্বাধীনতা আন্দোলনে। ব্রিটেনে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদ-প্রতিরোধে নেমে পড়েন অনেক মানুষ, সংগঠিত হয় অনেক ধরনের উদ্যোগ। বার্মিংহামে গঠিত হয় 'বাংলাদেশ অ্যাকশন কমিটি'। ব্রিটেন-প্রবাসী বাঙালিদের সঙ্গে যোগ দেন আরো অনেক ব্রিটিশ নাগরিক, রাজনৈতিক নেতৃত্ব বাড়িয়ে দেয় সহযোগিতার হাত।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের শিক্ষা-সংস্কৃতি উন্নয়ন ও পৃষ্ঠপোষকতায় দীর্ঘদিনের অংশীদার। এ বছর ব্রিটেন-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক সম্পর্কের ৭০ বছর উদযাপিত হচ্ছে। তিনি বলেন, ব্রিটিশ কাউন্সিল 'লাইব্রেরি আনলিমিটেড' প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের গ্রন্থাগারের ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান Stevie Spring CBE। প্রদর্শনী সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক। আরো বক্তৃতা করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এর ট্রাস্টি ও সদস্য-সচিব সারা যাকের।
উল্লেখ্য, মাসব্যাপী প্রদর্শনীটি আজ থেকে শুরু হয়ে আগামী ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত চলবে।
#
ফয়সল/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৭৪২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৪৯২
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তির
নাম মেধাবী তরুণ জনগোষ্ঠী
---টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ৫ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর):
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তির নাম মেধাবী তরুণ জনগোষ্ঠী, তারা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। তাদের ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠবে জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, বলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, গত ১৩ বছরের ডিজিটাল রূপান্তরের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে অনুকরণীয় হয়েছে। প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সক্ষমতা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এক বিস্ময়ের নাম বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী আজ কক্সবাজার জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনলাইনে যুক্ত থেকে রুরাল ই-কমার্স স্ট্যান্ডিং কমিটি অভ্ ই-ক্যাব, মার্কেটিং এন্ড সোস্যাল কমিট অভ্ ই-ক্যাব, একশপ এবং কক্সবাজার ইয়ুথ এন্টারপ্রেনার্স ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে গ্রামীণ উদ্যোক্তা উন্নয়ন, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা শীর্ষক দুদিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মেধা ও সৃজনশীলতাকে ডিজিটাল যুগের প্রধান উপাদান হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন ছাড়া আগামী দিনের পৃথিবীতে টিকে থাকা অসম্ভব। শিক্ষিত জনগোষ্ঠীতো বটেই একজন কৃষক, দিনমজুর বা মুদি দোকানীর জন্যও এই দক্ষতা অর্জন করা অপরিহার্য। তিনি বলেন, ডিজিটাল দক্ষতা মানে কম্পিউটার প্রকৌশলী কিংবা বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই কিন্তু প্রত্যেককেই অন্তত ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার জানতে হবে। নিজেদের তৈরি করার জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্ম ডিজিটাল বাংলাদেশের বড় সৈনিক ।
তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা যখন তরুণ ছিলাম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধ করেছি, তোমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যুদ্ধ চালিয়ে যাও, তোমরা বিজয়ী হবে, তোমাদের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠা লাভ করবে ডিজিটাল সাম্য সমাজ।’ তিনি বলেন, সরকার প্রযুক্তির লেটেস্ট ভার্সন ফাইভ-জি চালু করতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, কোভিডকালে শিক্ষার্থীদের অনলাইন পাঠ গ্রহণ নিশ্চিত করতে আমরা দেশের প্রায় ৯৮ ভাগ এলাকায় মোবাইল সংযোগ থ্রি-জি থেকে ফোর-জিতে উন্নীত করেছি। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রপুরুষ মোস্তাফা জব্বার বলেন, ইন্টারনেট সহজলভ্য করার পাশাপাশি সরকার ডিজিটাল ডিভাইস সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করতে দেশে স্মার্ট ফোন কারখানা গড়ে তুলতে বিনিয়োগকারীদের প্রণোদনাসহ বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশে ১৪টি মোবাইল কারখানা গড়ে উঠেছে। এইসব কারখানা থেকে উৎপাদিত মোবাইল ফোন দেশের চাহিদার প্রায় শতকরা ৬৩ ভাগ পূরণ করছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। এসব যন্ত্র বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে বলে মন্ত্রী জানান। ২০০৮ সালে যেখানে আট লাখ ইন