Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

তথ্যবিবরণী 22 Sept 2016

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২৯৭১

আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০১৬ উদযাপনে সরকারের উদ্যোগ

ঢাকা, ৭ই আশ্বিন (২২শে সেপ্টেম্বর):
    সরকার ২৮শে সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০১৬ উদযাপন উপলক্ষে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
    তথ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে তথ্য কমিশন আয়োজিত দিবসটির মূল অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দুপুরে এ অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধান তথ্য কমিশনার ড. মো. গোলাম রহমান, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মরতুজা আহমদ ও তথ্য কমিশনারবৃন্দ দিবসটির ওপর বক্তব্য রাখবেন। তথ্য অধিকারের বিষয়টিকে জনপ্রিয় করে তোলার লক্ষ্যে অনুষ্ঠানের শেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পর্ব পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তথ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত উদযাপন পরিষদ। আমন্ত্রিত সুধীজনদের অংশগ্রহণে গ্রন্থিত এ অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার সরাসরি সম্প্রচার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।  
    সারাদেশের মানুষকে তথ্যের অধিকার বিষয়ে আরো সচেতন করতে এ দিন ঢাকাসহ প্রতিটি জেলায় গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সহায়তায় আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে র‌্যালি, সমাবেশ, তথ্য অধিকারভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী আয়োজন করছে জেলা প্রশাসন।
    এর পাশাপাশি দিবসটিকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, প্রধান তথ্য কমিশনার ও তথ্য  সচিবের বাণী, তথ্য কমিশনারবৃন্দের নিবন্ধ সমৃদ্ধ বিশেষ স্মরণিকা প্রকাশ ও তথ্য অধিকারকে উপজীব্য করে পোস্টার মুদ্রণ এবং গণমাধ্যমে প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য কমিশন। তথ্য অধিদফতর এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর যথাক্রমে প্রচার ও মুদ্রণের কাজে সহায়তা করছে।
    গত ৪ সেপ্টেম্বর তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মরতুজা আহমদের সভাপতিত্বে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০১৬ উদযাপন প্রস্তুতিসভায় গঠিত ১৬টি উপ-কমিটি এ উপলক্ষে বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করছে।
২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার এ বিষয়ে আরেকটি সভা এবং দিবসটির আগে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হবে।
#
আকরাম/মাহমুদ/সেলিম/জসীম/জয়নুল/২০১৬/১৯০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২৯৭০

স্পিকারের সাথে অষ্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

ঢাকা, ৭ই আশ্বিন (২২শে সেপ্টেম্বর):
        স্পিকার ও সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চোধুরীর সাথে আজ তাঁর কার্যালয়ে বাংলাদেশে অষ্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার মিজ জুলিয়া নিবলেট (গং. ঔঁষরধ ঘরনষবঃঃ) সাক্ষাৎ করেন।
          সাক্ষাৎকালে তাঁরা উভয় দেশের  সংসদীয় কার্যক্রম, সংসদে আইন পাসের প্রক্রিয়া, সংসদ সদস্য নির্বাচন পদ্ধতি, অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের মাঝে আসন বণ্টন প্রক্রিয়া, সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচন প্রক্রিয়া, সংসদে বিরোধীদলের ভূমিকা, সংসদ সদস্যদের কার্যক্রম, নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের জন্য ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার আয়োজন, কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন এবং ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নে বাংলাদেশের নেতৃত্ব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
       স্পিকার বলেন, অষ্ট্রেলিয়ার সাথে সুদূর অতীত থেকে বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম সম্পর্ক রয়েছে। তিনি  বাংলাদেশের উন্নয়নে অষ্ট্রেলিয়ার সহযোগিতার জন্য হাইকমিশনারকে ধন্যবাদ জানান।
হাইকমিশনার নারী শিক্ষার উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা, মাতৃস্বাস্থ্য, শিশু মৃত্যুরোধ প্রভৃতি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এসময় স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী শিক্ষার উন্নয়নে শিক্ষা উপবৃত্তি, অবৈতনিক নারী শিক্ষা কার্যক্রম, বিনামূল্যে বই বিতরণ, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণসহ বিভিন্ন বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় বাংলাদেশের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি সম্প্রতি ইউএন উইমনেরে পক্ষ থকেে ‘প্ল্যা নটে ৫০-৫০ চ্যাম্পয়িন’ পুরস্কার এবং গ্লোবাল র্পাটনারশপি ফোরাম কর্তৃক ‘এজন্টে অভ্ চইেঞ্জ অ্যাওর্য়াড’ প্রদানকে বাংলাদেশের জন্য অনন্য অর্জন হিসেবে আখ্যায়িত করেন।    
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ আর্থসামাজিক বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে প্রভূত উন্নতি সাধন করেছে। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে অষ্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
#
হুদা/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৮০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ২৯৬৯

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অভ্ প্রফেশনালস্ এর নতুন ভাইস চ্যান্সেলর

ঢাকা, ৭ই আশ্বিন (২২শে সেপ্টেম্বর) :

    বাংলাদেশ  সেনাবাহিনীর  মেজর জেনারেল  মো. সালাহ উদ্দিন মিয়াজী গত ৬ই সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অভ্ প্রফেশনালস (বিইউপি) এর ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন।
#

বারী/মাহমুদ/জসীম/সেলিম/২০১৬/১৭৩০ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২৯৬৮

আগামী শনিবার সরকারি অফিস খোলা

ঢাকা, ৭ই আশ্বিন (২২শে সেপ্টেম্বর):
    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গত ৫ই সেপ্টেম্বর তারিখে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আগামী ২৪শে সেপ্টেম্বর শনিবার সরকারি অফিস খোলা থাকবে।
    উক্ত প্রজ্ঞাপনে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১১ই সেপ্টেম্বর রবিবার ছুটি ঘোষণা করার পরিপ্রেক্ষিতে ২৪শে সেপ্টেম্বরকে কর্মদিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
#
মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৭২৫ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ২৯৬৭

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সাথে বাংলাদেশ বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী
                                                                             -শিল্পমন্ত্রী

আগরতলা (ভারত), ২২শে সেপ্টেম্বর:

বৃহত্তর অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির জন্য ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সাথে বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন ভারত সফররত শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে দু’দেশের সীমান্ত পর্যায়ে বাণিজ্য অবকাঠামো সৃষ্টি, অভিবাসন ও শুল্ক সুবিধা জোরদার, স্থলবন্দর আধুনিকায়নসহ অন্যান্য উদ্যোগ গ্রহণে বাংলাদেশ একসাথে কাজ করবে।

মন্ত্রী আজ ভারতের আগরতলায় দু’দিনব্যাপী তৃতীয় নর্থ ইস্ট কানেকটিভিটি সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে একথা বলেন। ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের সহায়তায় ফেডারেশন অভ্ ইন্ডিয়ান চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।  

ফেডারেশন অভ্ ইন্ডিয়ান চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান রণজিৎ বারঠাকুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী টিআর জেলিয়াং, ত্রিপুরা সরকারের শিক্ষা, শিল্প ও বাণিজ্য, তথ্য প্রযুক্তি ও আইনমন্ত্রী তপন চক্রবর্তী, মুখ্যসচিব যশপাল সিং সহ শিল্প উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী নেতারা বক্তব্য রাখেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। এ সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে দু’দেশের মধ্যে ভৌগোলিক সংযোগ জোরদার এবং আন্তঃবাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। তিনি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সাথে সড়ক যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত রেল যোগাযোগ নেটওয়ার্ক পুনরায় চালুর ওপর গুরুত্ব দেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। গত প্রায় এক দশক ধরে ৬ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সরকারের আর্থিক নীতি ও পৃষ্ঠপোষকতায় দেশে দক্ষ উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায় সৃষ্টি হয়েছে। এ উদ্যোক্তারা ভারতের সম্ভাবনাময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ব্যবসা বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী। তিনি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে বাণিজ্য সহায়ক যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেন।     
#
জলিল/মাহমুদ/জসীম/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৬৩০ ঘণ্টা  
 
তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ২৯৬৬
 বিজন সেনের মৃত্যুতে সেতুমন্ত্রীর শোক

ঢাকা, ৭ই আশ্বিন (২২শে সেপ্টেম্বর) :
    চ্যানেল আই ও ভোরের কাগজের নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি প্রবীণ সাংবাদিক বিজন সেনের মৃত্যুতে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ।

    মন্ত্রী এক শোক বার্তায় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।

#
আবু নাছের/মোবাস্বেরা/রেজ্জাকুল/রফিকুল/শামীম/২০১৬/১৪৫৭ ঘণ্টা


তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ২৯৬৫ 

৭১তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ  

নিউইয়র্ক, ২২শে সেপ্টেম্বর :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১শে সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বিস্তারিত নি¤œরূপ :

“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

জনাব সভাপতি,
আসসালামু আলাইকুম এবং শুভ অপরাহ্ণ।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় আপনাকে আন্তরিক এবং উষ্ণ অভিনন্দন জানাচ্ছি। বিগত এক বছর সাধারণ পরিষদে অসাধারণ নেতৃত্ব প্রদানের জন্য আমি আপনার পূর্বসূরী মি. মগেনস লিকেটফ্ট্-কে (Mogens Lykketoft) আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। 

জনাব সভাপতি,
জাতিসংঘ মহাসচিব ইধহ কর-সড়ড়হ এবছর তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে যাচ্ছেন। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের মধ্যে অনেক বৈঠক এবং আলোচনা হয়েছে। আমি কৃতজ্ঞচিত্তে সেগুলো স্মরণ করছি। তিনি সবসময়ই একজন বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়নের অর্জনগুলোকে বাকি বিশ্বের জন্য ‘রোল মডেল’ হিসেবে তুলে ধরেছেন। আমি তাঁর এবং গধফধসব ইধহ-এর অব্যাহত সাফল্য ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। 

জনাব সভাপতি,
বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে এই মহান সাধারণ পরিষদে বলেছিলেন, ‘শান্তির প্রতি যে আমাদের পূর্ণ আনুগত্য, তা এই উপলদ্ধি থেকে জন্মেছে যে, একমাত্র শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই আমরা ক্ষুধা, দারিদ্র্য, রোগ-শোক, অশিক্ষা ও বেকারত্বের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার জন্য আমাদের সকল সম্পদ ও শক্তি নিয়োগ করতে সক্ষম হবো।’ 
আমাদের বিশ্ব বর্তমানে এমন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে, যখন এসকল অভিশাপ থেকে মুক্তি খুব একটা দূরে নয়। অনেক সৃজনশীল এবং প্রায়োগিক সমাধান এখন আমাদের নাগালের মধ্যে। প্রযুক্তি, নব্য চিন্তাধারা এবং বৈশ্বিক নাগরিকদের বিস্ময়কর ক্ষমতা আমাদের একটি ‘নতুন সাহসী বিশ্ব’ সম্পর্কে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করছে।
তবে এখনও আমাদের এই বিশ্ব উত্তেজনা এবং ভীতিকর পরিস্থিতি থেকে মুক্ত নয়। বেশ কিছু স্থানে সহিংস-সংঘাতের উন্মত্ততা অব্যাহত রয়েছে। অকারণে অগণিত মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। যারা সংঘাত থেকে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন, প্রায়শঃই বিভিন্ন দেশ তাদের নিরাপত্তা দিতে অস্বীকার করছে। কখনও কখনও অত্যন্ত জরুরি মানবিক চাহিদা অগ্রাহ্য করা হচ্ছে অথবা সেগুলো প্রবেশে বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে। 
কী অপরাধ ছিল সাগরে ডুবে যাওয়া সিরিয়ার ৩-বছর বয়সী নিষ্পাপ শিশু আইলান কুর্দীর? কী দোষ করেছিল ৫-বছরের শিশু ওমরান, যে আলেপ্পো শহরে নিজ বাড়িতে বসে বিমান হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে? একজন মা হিসেবে আমার পক্ষে এ সকল নিষ্ঠুরতা সহ্য করা কঠিন। বিশ্ব বিবেককে কি এসব ঘটনা নাড়া দিবে না?

চলমান পাতা/২
 -০২-

গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে জাতিসংঘে অভিবাসী ও শরণার্থী বিষয়ক একটি ঐতিহাসিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমি আশা করি, এই সম্মেলনের ফলাফল বর্তমান সময়ে অভিবাসনের ধারনা এবং বাস্তবতাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে সাহায্য করবে। অভিবাসী ও শরণার্থীদের স্বদেশ এবং গন্তব্য উভয় স্থানের জন্যই সম্ভাবনাময় পরিবর্তনের নিয়ামক হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। বাংলাদেশ নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং নিয়মিত অভিবাসন সংক্রান্ত এষড়নধষ ঈড়সঢ়ধপঃ-এর রূপরেখা প্রণয়নে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। আগামী ডিসেম্বর মাসে আমরা এষড়নধষ ঋড়ৎঁস ড়হ গরমৎধঃরড়হ ধহফ উবাবষড়ঢ়সবহঃ (এঋগউ) আয়োজন করতে যাচ্ছি। এই ফোরামে আমরা অভিবাসন-সম্পর্কিত সকল বিষয়ে গঠনমূলক সংলাপের প্রত্যাশা করছি।   
জনাব সভাপতি,
গত বছর অর্থাৎ, ২০১৫ সালে আমরা একটি উচ্চাভিলাষী উন্নয়ন এজেন্ডা-টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) গ্রহণ করেছি। এই এজেন্ডার রাজনৈতিক অঙ্গীকারকে পশ্চাৎপদ দেশগুলোর জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ এবং অর্থবহ অবলম্বনে রূপান্তরিত করা প্রয়োজন। এজন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। 
আন্তর্জাতিকভাবে সম্মত উন্নয়ন প্রতিশ্রুতিসমূহের সঠিক বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষে তাদের বর্তমান অবস্থান থেকে উত্তরণ সম্ভব। উদ্ভাবন এবং সম্ভাব্য সম্পদ সরবরাহ ব্যবস্থা জোরদার করতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য প্রস্তাবিত প্রযুক্তি ব্যাংক-কে দ্রুত কার্যকর করতে হবে। 
আমরা ইতোমধ্যেই বেশিরভাগ এসডিজিগুলোকে আমাদের জাতীয় উন্নয়ন নীতিমালায় স¤পৃক্ত করেছি। কাজের সমন্বয় ও যাচাইয়ের জন্য আমার তত্ত্বাবধানে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম এবং শিক্ষাবিদদের সঙ্গে আলোচনা ও পরামর্শ চলমান রয়েছে। 
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা এবং শোষণমুক্ত স্বপ্নের “সোনার বাংলাদেশ” প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা যে “ভিশন-২০২১” এবং “ভিশন-২০৪১” বাস্তবায়ন করছি, তার সঙ্গে এগুলোর সমন্বয় করা হয়েছে।
আমাদের লক্ষ্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, শক্তিশালী, ডিজিটাল এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। সেজন্য আমাদের সরকার উদ্ভাবনমূলক সরকারি সেবা বিতরণ, জনসাধারণের তথ্য লাভের অধিকার এবং রাষ্ট্র পরিচালনা ও সেবা খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। 
জনগণের দোরগোড়ায় ২শ’ ধরনের সেবা পৌঁছে দিতে দেশব্যাপী প্রায় ৮ হাজার ডিজিটাল কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সারাদেশে ১৬ হাজার ৪৩৮টি কমিউনিটি ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মোবাইল ফোন এবং ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমেও এসব সেবা দেয়া হচ্ছে। আগের তুলনায় আরো অধিক সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ এবং ডিজিটাল ল্যাব ব্যবহৃত হচ্ছে। 
বাস্তব ও পরাবাস্তব সংযোগের ক্রমবর্ধমান বিস্তৃতি বিশ্বের সকল মানুষের জন্য নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি করছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধান নিয়ামক হিসেবে বিশ্বের সকল নাগরিকের কাছে ব্রডব্যান্ড সংযোগ পৌঁছে দেয়া প্রয়োজন। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমি বিশ্ব নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সমবেত প্রয়াস কামনা করছি। সকলের দোরগোড়ায় ভয়েস ও ডাটা সংযুক্তি পৌঁছে দিতে আমাদের সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। 

চলমান পাতা/৩
-০৩-

জনাব সভাপতি,
কৌশলগত অবস্থান বাংলাদেশকে আঞ্চলিক সংযোগ, বৈদেশিক বিনিয়োগ এবং বৈশ্বিক আউটসোর্সিং-এর ক্ষেত্রে একটি উদীয়মান কেন্দ্রস্থলে পরিণত করেছে। আমাদের উন্নয়ন উচ্চাকাক্সক্ষার সঙ্গে সংগতি রাখতে আমরা বেশ কিছু বৃহাদাকার অবকাঠামো প্রকল্প গ্রহণ করেছি। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত এবং নেপাল (বিবিআইএন)-এর মধ্যে বাণিজ্য এবং নাগরিকদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য মাল্টি-মোডাল ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক তৈরি করা হচ্ছে।
নিজস্ব অর্থায়নে আমরা ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ করছি। একটি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের আলোচনা চলছে। তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রাজধানী ঢাকা শহরে মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজও শুরু হয়েছে।
সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার সুযোগ তৈরি করে দিতে দেশব্যাপী একশ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
জনাব সভাপতি,
সামষ্টিক এবং আর্থসামাজিক সূচকের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আমাদের অব্যাহত উন্নয়ন অভিযাত্রাকেই সমর্থন করে। ২০১৫-’১৬ অর্থবছরে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭ শতাংশের বেশি।

বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দেশ যেখানে সীমিত সম্পদের সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে দারিদ্র্যের হার দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। দারিদ্র্যের হার ১৯৯১ সালের ৫৬ দশমিক ৭ শতাংশ হতে বর্তমানে ২২ দশমিক ৪ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে ইউএনডিপি’র মানব উন্নয়ন ক্যাটাগরিতে মধ্যম এবং বিশ্বব্যাংকের মান অনুযায়ী নি¤œ মধ্যম-আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি।  
বিশ্ব মন্দা সত্ত্বেও বিগত সাত বছরে আমাদের রপ্তানি আয় প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৩৪ দশমিক২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩ দশমিক 
৫ বিলিয়ন থেকে সাড়ে আট গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এ সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণও তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সামাজিক সুরক্ষা, শোভন কর্মসংস্থান এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি নিশ্চিতকরণের  মাধ্যমে অসমতা দূর করা আমাদের উন্নয়ন কৌশলের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। আমরা আমাদের বাজেটের প্রায় ১৩ শতাংশ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী খাতে বরাদ্দ করছি, যা আমাদের মোট জিডিপি’র ২ দশমিক ৩ শতাংশ।  
জনাব সভাপতি,
জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের অনেকগুলো উন্নয়ন অর্জনকে হুমকির মুখোমুখি করছে। ঐতিহাসিক প্যারিস জলবায়ু চুক্তিটি অভিযোজন, ক্ষয়ক্ষতি এবং জলবায়ু সম্পর্কিত ন্যায় বিচারের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই এই জলবায়ু চুক্তিটি অনুসমর্থন করেছে। আমি আশা করি বৃহৎ কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলি অতি সত্বর চুক্তিটিতে অনুসমর্থন জানাবে। 
পরবর্তী প্রজন্মের জন্য প্রাকৃতিক স¤পদকে সংরক্ষণ করতে আমাদের অবশ্যই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ ‘ব্লু ইকোনমি’র সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সামুদ্রিক স¤পদ সংরক্ষণ ও এর টেকসই ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে।
জীবনধারণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পানি একটি সীমিত স¤পদ। অভিন্ন পানি সম্পদের বিচক্ষণ ও ন্যায়সংগত ব্যবহার নিশ্চিত করা আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব। সকলকে নিরাপদ ও সুপেয় পানি এবং স্যানিটেশন সুবিধা প্রদান করতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। এ বিষয়ে সবাইকে অবশ্যই অবিচল থাকতে হবে। পানি স¤পর্কিত উচ্চ পর্যায়ের প্যানেলের একজন সদস্য হিসেবে আমি এ বিষয়ে সর্বদা সোচ্চার থাকব। 

  চলমান পাতা/৪
 -০৪-
জনাব সভাপতি,
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, নারীর অংশগ্রহণ ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রায় অর্ধ দশক পূর্বে নারী শিক্ষার উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফল আমরা পেতে শুরু করেছি। বাংলাদেশের নারীরা এখন উন্নয়নের অবিচ্ছেদ্য অংশীদার। প্রায় ৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন নারী এখন আমাদের প্রধানতম রপ্তানি খাত ‘তৈরি পোশাক’ শিল্পে কর্মরত। সকল পেশায় নারীর অংশগ্রহণের হার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। 
সম্ভবতঃ বাংলাদেশ বর্তমানে পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা, বিরোধী দলীয় নেতা, স্পিকার এবং সংসদ উপনেতা সকলেই নারী। চলমান জাতীয় সংসদে আমাদের ৭০ জন নারী সংসদ সদস্য রয়েছেন, যা সংসদের মোট আসনের ২০ শতাংশ।  ১২ হাজার ৫ শ’র বেশি নির্বাচিত নারী প্রতিনিধি স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় কাজ করছেন।
জনাব সভাপতি,
গত বছর আমি বলেছিলাম, বর্তমান সময়ের দু’টি প্রধান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থা। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, এই চ্যালেঞ্জগুলো এখন কোনো নির্দিষ্ট গ-ির মধ্যে আবদ্ধ না থেকে বিশ্বের সকল স্থানেই ছড়িয়ে পড়ছে। কোনো দেশই আপাতঃদৃষ্টিতে নিরাপদ নয়, কোনো ব্যক্তিই এদের লক্ষ্যবস্তুর বাইরে নয়।
আমেরিকা থেকে ইউরোপ, আফ্রিকা থেকে এশিয়ায় অগণিত নিরীহ মানুষ সন্ত্রাসবাদের শিকার হচ্ছে। 

আমরা মনে করি, সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম, বর্ণ বা গোত্র নেই। এদেরকে সর্বোতভাবে সমূলে উৎপাটন করার সংকল্পে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদের মূল কারণগুলো আমাদের চিহ্নিত করতে হবে। একইসঙ্গে এদের পরামর্শদাতা, মূল পরিকল্পনাকারী, মদদদাতা, পৃষ্ঠপোষক, অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহকারী এবং প্রশিক্ষকদের খুঁজে বের করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
নিজে একজন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হিসেবে সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে বিশ্বাসী। আমাদের দেশে যেসব সন্ত্রাসী গ্রুপের উদ্ভব হয়েছে, তাদের নিষ্ক্রিয় করা, তাদের নিয়মিত অর্থ সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা এবং বাংলাদেশের ভূখ- থেকে আঞ্চলিক সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম নির্মূল করার ক্ষেত্রে আমাদের সরকার সফল হয়েছে। কয়েকটি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীচক্রের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় কিছু প্রান্তিক গোষ্ঠী তাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে পুনঃসংগঠনের মাধ্যমে নতুনরূপে আবির্ভূত হয়ে থাকতে পারে। 
বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। গত পহেলা জুলাই আমরা এক ঘৃণ্য সন্ত্রাসী হামলার শিকার হই। ঢাকার একটি রেস্তোরায় কিছু দেশীয় উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী ২০ জন নিরীহ মানুষকে  হত্যা করে। এসময় ১৩ জন জিম্মিকে আমরা উদ্ধার করতে সমর্থ হই। এই ভয়ঙ্কর ঘটনা বাংলাদেশের জনগণের মনে এক গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে।
বর্তমানে আমরা এই নতুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করতে এবং এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে আমরা ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এতে সাড়া দেয়ার জন্য আমি সমগ্র জাতির প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। আমরা সমাজের প্রতিটি স্তর থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, জনগণের দৃঢ়তা ও সহযোগিতায় আমরা বাংলাদেশের মাটি থেকে সন্ত্রাসীদের সমূলে উচ্ছেদ করতে পারব। 
একই সঙ্গে আমি সন্ত্রাসী এবং উগ্রবাদীদের অর্থ ও অস্ত্র-শস্ত্রের যোগান বন্ধ এবং তাদের প্রতি নৈতিক এবং বৈষয়িক সমর্থন না দেয়ার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাচ্ছি। 
চলমান পাতা/৫
 -০৫-
জনাব সভাপতি,
বাংলাদেশ জাতিসংঘের অন্যতম প্রধান কর্মসূচি ‘শান্তির সংস্কৃতি’র বিস্তারের পক্ষে প্রচার চালিয়ে যাবে। শান্তি রক্ষা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের অবদান অব্যাহত থাকবে। ঢাকায় ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা কেন্দ্র’ স্থাপনের সিদ্ধান্ত সহিংসতার কবল থেকে বেরিয়ে আসা দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ করে দিবে। 
একইভাবে, আমরা নির্বিচারে হত্যার ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা ও বিচার নিশ্চিত করতে জাতীয় বিচারিক প্রক্রিয়ার ভূমিকাকে গুরুত্ব প্রদানে সোচ্চার থাকব। ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য স্থানীয় অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা বিগত কয়েক দশকের বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি।
মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া পুনরায় চালু ও ভ্রাতৃপ্রতিম ফিলিস্তিনী জনগণের প্রতি বৈরিতা নিরসনের জন্য সাম্প্রতিক প্রচেষ্টাগুলোকে অবশ্যই সঠিক দিকে পরিচালিত করতে হবে।
জনাব সভাপতি,
বিশ্বায়নের এই যুগে আমদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে, যদি আমরা সঠিক পন্থা অবলম্বন করি, তাহলে এখানে সম্ভাবনা ও সুযোগও রয়েছে প্রচুর।
‘এক মানবতার’ জন্য কাজ করার উদ্দেশে আমরা সকলে এখানে সমবেত হয়েছি। মতের ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও আসুন আমরা মানবতার স্বার্থে সকলে অভিন্ন অবস্থানে উপনীত হই এবং বিশ্ব থেকে সংঘাত দূর করে শান্তির পথে এগিয়ে যাই। এক্ষেত্রে জাতিসংঘই হতে পারে আমাদের জন্য একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম। আসুন আমরা এই সংস্থাকে আরো টেকসই এবং প্রাসঙ্গিক করে তুলতে নতুন করে শপথ গ্রহণ করি।
জনাব সভাপতি, আপনাকে ধন্যবাদ।
খোদা হাফেজ।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
#

নুরএলাহি/মোবাস্বেরা/রফিকুল/আসমা/২০১৬/১৩৩০ ঘণ্টা 

Handout                                                                                                          Number : 2964                       

Mahmood Ali handed over Ratification of  Paris Agreement to UN Secretary

New York , 22 September

            Foreign Minister Abul Hassan Mahmood Ali has handed over the Instrument of Ratification of  the Paris Agreement under the United Nations Framework Convention on Climate Change (UNFCCC) to UN Secretary General Ban Ki-moon yesterday at the UN headquarters in New York.

            Bangladesh is one of the first countries that has ratified this Agreement.  It reflects the firm commitment of Bangladesh and the visionary leadership of Prime Minister Sheikh Hasina in addressing climate change adversities.This also places Bangladesh in a strong position in global climate change negotiations, particularly in the areas like mitigation, adaptation, loss & damage, finance and technology transfer. 

            Bangladesh earlier signed this landmark Agreement on 22 April 2016. The Agreement was adopted in Paris in 2015.

#

Khaleda/Mobassera /Rezzakul/Shamim/2016/1128 hours

Todays handout.docx